ben-41
ben-41
View options
Tags:
Javascript seems to be turned off, or there was a communication error. Turn on Javascript for more display options.
এনা : গেল বছরে ( ২০১০ ) যুক্তরাষ্ট্রে শতাধিক বাংলাদেশী মারা গেছেন । এর মধ্যে হেইট ক্রাইম , হৃদরোগ , ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশী । আত্মহত্যার ঘটনাও রয়েছে কয়েটি । স্ত্রী খুনের দায়ে মিশিগান কারাগারে আটক অবস্থায় খুন হয়েছেন আবুল ফজল চৌধুরী । গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহের মাহবুব আলম । ফরিদ উদ্দিন নামক আরেক বাংলাদেশী আত্মহত্যা করেছেন গলায় চাদর পেচিয়ে । প্রবাসের স্বপ্ন ধুলিসাত হবার যন্ত্রণায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন দীন মোহাম্মদ খান । দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম , রিমন হায়দার এবং ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ বক্স । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন । ১২ জনের প্রাণহানী ঘটেছে ক্যান্সারে । যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও বড় হচ্ছে । অনেকের লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বিপুল অর্থ ব্যয়ে । নিউইয়র্ক রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফাইট চালু থাকলে লাশ পাঠাতে ভিা করার প্রয়োজন হতো না ।
• নমুনা লেখা বা sample writing জমা দেবার নির্দেশ ।
লেখক বলেছেন : ওহ চারিদিকে এত প্রমিজ করেছি । সব গুলিয়ে যাচ্ছে তাই । স্যরি । এখুনি উত্তর দিচ্ছি ।
জেনারেশন৭৫ বলেছেন : পোষ্টি আসলেই সুন্দুর লেগেছে । ভালো লাগলো দাদা । সময় পেলে কলকাতা ঘুরে আসবো ।
নিয়ম অনুযায়ী এক - তৃতীয়াংশ ব্রোকারেস হাউস লগইন করলেই লেনদেন শুরু হয় । ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন , " বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে ২১৭টি ব্রোকারেস হাউসের মধ্যে ২১৬টি লগইন করেছে । তাই নির্ধারিত সময় সকাল ১১টায়ই লেনদেন শুরু হয় । এরপর থেকেই সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা যায় । বেলা ১২টা চার মিনিটে সাধারণ সূচক ছিলো ৬২৭৭ পয়েন্ট , যা দিনের শুরুর চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট বেশি । ওই সময় পর্যন্ত ৩৮৬ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয় । গত দিনে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিলো এক হাজার ১৫৮ কোটি টাকা । লেনদেন হওয়া ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে , কমেছে ৪২টির , ৯টির দাম অপরিবর্তিত ছিলো ।
ফাইলের মধ্যে নিচের লাইনগুলো প্রবেশ করিয়ে সেভ করুন :
লেখক বলেছেন : করপোরেট পুঁজির কাছে সবাই অসহায় । বাজার অর্থনীতি অবাধে চলতেও দেব , আবার নিয়ন্ত্রণও রাখব ! তা তো হবে না ! অবাধ বাণিজ্যের কালিমা গায়ে না মেখে উপায় কই ? হ্যাঁ , জাতীয় গরিমা - গৌরব এসব বিক্রির পেছনে আপনার - আমার স্বার্থ নেই । আমরা তা পারিও না । যারা পারেন , নিশ্চই তাদের স্বার্থ সেখানে নিহীত । সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
লেখাটি সামহোয়্যারইন , টেকটিউনস , প্রথম আলো , ও আমার বর্ণমালা ব্লগেও প্রকাশিত ।
সংবাদে আরো বলা হয়েছে , মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা পেলেই হাঁটতে পারবে লিমন । কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য লিমনের বাঁ পায়ে আজ আবার অস্ত্রোপচার হবে । হাঁটুর উপরে সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের কৃত্রিম পা লাগালে লিমন স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা , লেখাপড়া ও কাজ করতে পারবে । খেলতে পারবে ফুটবলও । বাংলাদেশেই এ ধরনের পা কিনতে পাওয়া যায় । চিকিৎসক মো . আব্দুস সালাম জানান , গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে লিমনকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে আসা গেলে হয়তো তার পা কাটতে হত না । বেঁচে যেত প্রতিবন্ধিত্বের হাত থেকে । ইতোমধ্যে রক্তনালি ছিঁড়ে তার পায়ের মাংসে পচন ধরেছিল । লিমনের মনে সারক্ষণই দুটো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে । সে কোনও সন্ত্রাসী নয় বলে স্বীকার করার পরও র্য়াব কেন তার বিরুদ্ধে থানায় দুটো মিথ্যা মামলা করল ? লিমনের দ্বিতীয় প্রশ্নটি সরাসরি র্য়াবের মহাপরিচালকের কাছে রাখা - ' এভাবে আপনার ছেলের পা হারালেও কি ' ঘটনার শিকার ' বলে দায় এড়াতে পারতেন ?
লেখক বলেছেন : হাহাহা , আপনার কমেন্টটা সত্যিই অনেক ইনোসেন্ট হয়েছে । ধন্যবাদ জানবেন । একটা ব্যাপারে মনে হয় আমি খানিকটা একমত , আমাদের পরিবারেও অবস্থা একই রকম । আমার ছোট দুই ভাই বোনের জন্মও দেশের বাইরে , কিন্তু দেশের আলো - বাতাস তো আমার চেয়ে কম বয়স থেকে পেয়েছি । কিন্তু লেখালেখিটার মাঝে আমি তাও যা আছি , ওদের আগ্রহ নেই । অবশ্য আমার ছোট বোন গান - কবিতা মনে রাখতে পটু । বাংলা প্রথম পত্র নিয়ে লেখায় আমি কবিতার তিনটা আলাদা উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম , যার সবগুলোই ওর কাছ থেকে ধার করা
@ সত্যকথন , কি সব ফনেটিক . . বাংলা কি বোর্ড এগুলো আমি বুঝিনা … একটু ঠিক করতে পারলে এডমিন ভাই দয়া করে ঠিক করে দিন
অন্যদিকে ইঙ্গলাক ও থাকসিন উভয়েই এ ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । রয়টারকে থাকসিন বলেছেন , প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে তার কোনো আকাঙ্খাই নেই । এমন কিছুই তিনি করবেন না যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে । তবে তিনি দেশে ফিরতে চান এবং সেটি হবে যথাযথ সময়ে । ডিসেম্বর নাগাদ মেয়ের বিয়েতে তিনি দেশে যেতে পারেন ।
আমাদের সমাজ বিনির্মাণে কতোগুলো লেখনি , চিন্তাধারা কাজ করে চলেছে । এই চিন্তাধারার প্রবাহমানতা বাংলাভাষী মুসলিম রেনেসাঁ থেকে অদ্যবধি বহমান । ঔপনিবেশিক আমলে কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের বাণী প্রচার করে দুটি ধর্ম ও একটি নিধর্মকে একই সুতায় গেঁথে মালা বানাতে চেয়েছিলেন । চেয়েছিলেন এই উপমহাদেশের ধর্ম ও নিধর্ম মিলে একটি নতুন সমাজ উপহার দিতে । সেই ধারাবাহিকতায় তিনি স্থানীয় প্রতিটি ধর্ম ও নিধর্মকে জাগাতে চেষ্টা করেন । এই চেষ্টা তার স্বধর্মের পিছিয়ে পড়া লোকদের উৎফুল্ল করে তোলে । তারা নতুন করে চিন্তা - ভাবনা করতে থাকে সমাজ নির্মাণের পথ নিয়ে ।
বুকে শান্তির পতাকা উড়াতে চাও , উড়াও । কিন্তু বাতাস বিহীন সে পতাকা নির্থব পাথর হয়ে পরে থাকবে । কতটা পাথর আমি ? দুই মা - জন্মভূমি জননী , কেউ তা জানে নি । বিদায় দিচ্ছি অতীতকে । আমি শুধু কাঁদতেই পারলাম , তার চলে যাওয়া চোখ মেলে দেখলাম । শুধু কাঁদতেই পারলাম । জন্ম ভূমিকেই অবশেষ রাখলাম । আবার বিদায় দিতে হবে , যেমন দিয়েছিলাম তাকে । কিন্তু সেই বাধা অর্থের পাচাটা কুত্তা অথবা গোলাম হওয়ার স্বাধ নেই । শুধু দুমুঠো অন্ন বেঁচে থাকার জন্য যেন পাই ।
এরকম নানা রকম তথ্যে চারপাশ ভরপুর । আমরা দিনকে দিন এতে অভ্যস্থ হয়ে উঠছি । কিন্তু কেউ কি ভাবে না যে বর্গকিলোমিটার হল ক্ষেত্রফলের একক - এটাকে আয়তন বলা হচ্ছে কেন ? যত্রতত্র এরকম ভুল প্রয়োগ দেখি - - এই রিকশা যাবে নাকি ? - এর একটা উদাহরণ । আর পথে প্রান্তরে ভুল বানানের ছড়াছড়িতো আছেই . . . . জাতিকে জাতী লিখে এর যে জাত মেরে দেয়া হচ্ছে সেদিকে কারও কি নজর আছে ! কিংবা ফটোস্ট্যাট , পোস্ট , মাস্টার ইত্যাদিতে ষ - ত্ব বিধানের তোয়াক্কা না করে ষ ব্যবহারও আছে । সবচেয়ে খারাপ লাগে যে এ্যাত এ্যাত ভুল বিষয়ে মিডিয়াতে কোনরকম উচ্চবাচ্য নাই দেখে । সবাই কি ভুলের বিজ্ঞাপনমূল্যের কথা ভেবে এসব মেনে নিচ্ছে ?
পোষ্ট করেছেন : ৩৪ টি মন্তব্য করেছেন : ৭২৮ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ৫ মাস ৯ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ৩৬৩৫ বার
রাস্ট্রে বসবাস করে মানুষ , মানুষকেই নিয়েই রাষ্ট্র , ধর্মহীন মানুষ পশুর সমান , যে দেশে যাদের সংখ্যাগরিষ্টতা সে দেশ তাদের ধর্ম থাকা দরকার নয় কী ? আর প্রতিটি রাস্ট্রেরই একটি পরিচয় থাকার দরকার - যেমন মুসলিম রাষ্ট্র , হিন্দু স্থান - - পরিচয় হীন রাষ্ট্র খি ভাবে হতে পারে ? রাষট্রধর্ম ইসলাম আছে আর তা থাকায় কারো যখন ক্ষতি হয় নি বরং লাভ বান হয়েছে তবে বাতিল করা জরুরী কেন ? রাষট্রধর্ম ইসলাম থাকার পরও সুরঞ্জিত বিবু সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান ইত্যাদি
প্রকাশ করা হয়েছে : আমার দিনকাল , কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর , ২০০৯ সকাল ১০ : ০৮
আজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান তখন সচিবালয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা । গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ । মনে যুদ্ধে যাওয়ার ভয় নাই , কিন ' বাবা যদি যুদ্ধে যাওয়ার কথা শুনে থাপ্পড় মারে সেই ভয়ে কাতর হয়ে পরলেন আজম খান । শেষ পর্যন্ত সাহস করে বাবাকে বললেন কথাটা । " ভাবলাম এবার কপালে একটা লাথি পাওনা হয়ে গেল । কিন্তু না , আমার দিকে বাবা তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন - যুদ্ধে যাচ্ছিস ভালো কথা , কিন্তু দেশ স্বাধীন না করে ফিরতে পারবি না । "
দেখুন র্যান্ডম অনুযায়ী - ভিউ অনুযায়ী - ভোট দিন - মন্তব্য অনুযায়ী
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ( বিএসএফ ) গুলিতে ফেলানী ( ১২ ) নামের এক বাংলাদেশি শিশু নিহত হয়েছে । এ ছাড়া বিএসএফ এক নারীসহ দুজনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায় । স্থানীয় লোকজনের ধারণা , বিএসএফের হাতে আটক দুজন ফেলানীর মা - বাবা । আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে অনন্তপুর খেতাবকুটি সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে । শিশুটির বাবার নাম নূর মোহাম্মদ নুুরু ( ৪৫ ) । তাঁদের বাড়ি একই জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণরামখানা ( কলোনি ) গ্রামে । বিএসএফ মৃত শিশুটির লাশ ভোর থেকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখলে বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয় । এতে বিএসএফ ভারতীয় সীমান্তে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে । স্থানীয় বাসিন্দা ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ ( বিজিবি ) সূত্রে জানা যায় , একটি বাংলাদেশি পরিবার ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে আজ দেশে ফিরছিল । ভোরে পরিবারটি ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে খেতাবকুটিতে পোঁছালে বিএসএফের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ওপর গুলি চালায় । এতে ফেলানী ঘটনাস্থলেই মারা যায় । তার সঙ্গে থাকা এক নারী ও একজন পুরুষকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় । এরপর বিএসএফ শিশুটির লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে । ঘটনার প্রতিবাদে হাজার হাজার লোকের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় । পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএফ লাশ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় । বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম সদর দপ্তর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায় শিশুটির লাশ এবং আটককৃত বাংলাদেশিদের ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে । এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে ।
পোষ্ট করেছেন : ৩৯ টি মন্তব্য করেছেন : ৭০ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ৬ মাস ১৭ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ২২৯৩ বার
ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা . দীপু মনি । একটি বিশেষ মহল ধর্মের নামে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন । শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য [ . . . ]
Desk report : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা শহরকে বদলে দিতে আরেক উদ্যোগ নিয়েছেন । তিনি আগেই বলেছিলেন , শহরটিকে লন্ডনের মতো . . বিস্তারিত
মধ্য ফাল্গুনের দুপুরে বেতারে বেজে উঠলো জাতীয় সঙ্গীত । ' পাক সর জমিন শাদ বাদ , কিসওয়ারে হাসিন শাদ বাদ , তু নিশানে আজমে আলীশান , আরজে পাকিস্তান , মারকাজে একীন শাদ বাদ . . . . ' । তার পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ শুরু করলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান । ভাষণ শেষ হলো । পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩রা মার্চ , ১৯৭১ তারিখে আহুত অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট । ভাষণ শুনে বাঙালী জনগণ নেমে এলো রাজপথে , তাদেরকে ডাকতে হয় নাই । প্রত্যেকেই বুঝে নিয়েছে তাদের কি করতে হবে । সারা বাংলার আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে সমস্বরে জনগণ আওয়াজ তুললো , ' ইয়াহিয়ার ঘোষণা , বাঙালীরা মানে না ' ; ' বীর বাঙালী অস্ত্র ধর , বাংলাদেশ স্বাধীন কর ' ; ' মুক্ত কর স্বাধীন কর , বাংলাদেশ বাংলাদেশ ' ; ' ৬ - দফা না এক দফা , এক দফা এক দফা ' ; ' পাকিস্তান পাকিস্তান , আরিফপুরের গোরস্তান ' ; ' পাকিস্তান পাকিস্তান , আজিমপুরের গোরস্তান ' । অথচ এই বাঙালীরাই সৃষ্টি করেছিল পাকিস্তান । বৃটিশ ভারতের স্বাধীনতার জন্য ভারতের মুসলমানেরাও লড়াই করেছে প্রানপণে । বাস্তবে দেখা গেলো মুসলমানদের আত্ম নিয়ন্ত্রণাধিকার নাই । তাদেরকে অস্পৃশ্য ও তুচ্ছ জ্ঞানে বলা হলো ' ম্লেচ্ছ ' অর্থাৎ বহিরাগত । মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী , জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দাবী করল অখন্ড স্বাধীন ভারতের । ঐ দলের নেতৃত্বের একটি বড় অংশের দাবী ছিল অখন্ড ভারত হবে মুসলমান বিবর্জিত ( তথ্য সূত্র ঃ দেশভাগ , মাওলানা আজাদের বক্তব্য এবং আমাদের জানা ইতিহাস ; অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক আবু আহমেদ , দৈনিক কালের কন্ঠ ; সোমবার , ১৭ই মে ২০১০খ্রিঃ ; পৃষ্ঠা ঃ ১৬ ) । হাজার বছর ধরে বসবাসকারী মুসলমানেরা এদেশেরই অধিবাসী , স্পেনের মুসলমানদের মতো তাদের বিতাড়ণ করা যাবে না তাদের জন্মভূমি থেকে । গর্জে উঠলেন বাংলার নেতা এ কে ফজলুল হক । ' নিখিল ভারত মুসলীম লীগে ' র লাহোর অধিবেশনে তিনি ভারতবর্ষের মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র আবাস ভূমি দাবী করলেন । স্বতস্ফূর্ত জনগণ মুহুর্মুহু ধ্বনি দিয়ে তাতে অকুন্ঠ সমর্থন জানায় । এই মহান বাঙালী নেতাকে তারা সেদিন ' শেরে বাংলা ' খেতাবে ভূষিত করে । ঘটনা প্রবাহ এগিয়ে যায় । মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু বাঙালী জনগণ উপলব্ধি করলো তারা পাকিস্তানেও প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত । সবকিছুর সমন্বয় করে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনার আহ্বান জানালেন ' বঙ্গ শার্দূল ' শেখ মজিবর রহমান । ৬ - দফা দাবী উত্থাপিত হলো । ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালী জনগণ এই ৬ - দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনার ম্যান্ডেট দিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন ' নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ' কে । তাতে বাদ সাধলো জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক সঙ্গীগণ , তাদের সাথে হাত মেলালেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টো । এদের কারণেই পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার উদ্যোগ ব্যর্থ হলো । ২৩বৎসরের ইতিহাসের অভিজ্ঞতায় বাঙালী জনগণ উপলব্ধি করেছে যে তারা পশ্চিম পাকিস্তানীদের ভাই বলে কাছে নিতে চাইলেও পশ্চিম পাকিস্তানীরা সে ডাকে সাড়া দিতে নারাজ । পশ্চিম পাকিস্তানীরা চেয়েছে বাঙালীদেরকে অধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে । দূরদর্শী ছাত্র সমাজ এটা উপলব্ধি করেছে অনেক আগেই । স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র সমাজের একটি সচেতন অংশ বিংশ শতাব্দীর সপ্তম দশক ( ১৯৬১ খ্রিঃ থেকে ১৯৭০খ্রিঃ পর্যন্ত ) এর শুরুতেই কার্যক্রম শুরু করেছিল । ১৯৭০ সালের আগষ্ট মাসে স্বপন কুমার চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের বর্ধিত সভায় ' স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ ' গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন । পথ পরিক্রমায় এভাবেই এসে যায় ১৯৭১ সালের মার্চ মাস । হাতে কলমে বাঙালী জনগণ বুঝতে পারে তাদের পূর্ব পুরুষদের সৃজিত পাকিস্তানে তাদের বাস্তব অবস্থান । ছাত্র সমাজ অগ্রণী ভূমিকাই পালন করে চলে । শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনকারীদের উপর গুলি বর্ষণ করা হয় । এভাবেই চলে আসে সেই কালো রাত্রি । প্রতিরোধ গড়ে তোলে ছাত্র যুব সমাজ । শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ । এই যুদ্ধে সারা দেশের মানুষই অংশ গ্রহণ করেছে । কেউ রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরী করেছে , কেউ হানাদার বাহিনীর গতিবিধির উপর সচেতন দৃষ্টি রেখে তাদের হামলা থেকে জনগণকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবস্থা করেছে এবং একই সাথে হানাদার বাহিনীর উপর প্রতিঘাত হানার কৌশল রচনা করেছে , কেউ অস্ত্র সংগ্রহ করে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে , কেউ যুদ্ধের রসদ সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করেছে , কেউ চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছে , কেউ গণ - সংযোগের মাধ্যমে জনগণের মনোবল অটুট রাখার দায়িত্ব পালন করেছে । সে সময় সাড়ে সাত কোটি বাঙালীই এক মন এক প্রাণ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে । সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর লড়াইয়ের ফলশ্র " তিতেই পরাজয় বরণ করে হানাদার বাহিনী । অর্জিত হয় স্বাধীনতা । দেশের প্রয়োজনে সারা দিয়েছে ছাত্র যুব সমাজ । তাই যুদ্ধ শেষে সনদ প্রদান ও গ্রহণের ব্যাপারে বিতর্কের সৃষ্টি হয় । মুক্তিযোদ্ধাদের বিরাট অংশ সেদিন তাদের কৃতিত্বের জন্য সনদ সংগ্রহ করে নাই । ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম মাহবুবুল হকের এতদ সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতি মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র যুবসমাজ অকুন্ঠ চিত্তে সমর্থন জানিয়েছে । যে সব সনদ দেওয়া হয়েছে সেগুলোতেও দস্তখত আগেই দেওয়া হয়েছিল , শুধু মাত্র বিতরণের সময় তাতে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । তাই এই সনদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিতর্ক হয়েছে । তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ত্র " টি বিচ্যুতি বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে সংশোধন । তার পরেও বলা যায় এই তালিকা সম্পূর্ণ নয় । সনদ নাই , তালিকায় নাম নাই অথবা ১৯৭১ সালে দেশ ত্যাগ করে ভারতে যায় নাই ; শুধু এই কারণে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা নয় এটা বলা বাস্তবতার পরিপšী ' । সাড়ে সাত কোটি বাঙলীর মধ্যে মাত্র নব্বই লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছিল প্রতিবেশী ভারত ও বার্মায় । এই শরণার্থীদের অধিকাংশই গিয়েছিল ভারতে । বাকী ৮৮ % বাঙালীর সবাই দেশেই রয়ে গিয়েছিল । তারা প্রতিনিয়ত হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করেছে , শত্র " কে পর্যুদস্ত করেছে , তাদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে , বিতাড়িত করতে করতে কোনঠাসা করেছে , নিজেরা অকুতোভয়ে লড়াই করে জীবন দিয়েছে , ধর্ষিতা হয়েছে , জনগণের নিরাপত্তা বিধান করেছে , গঠন করেছে মুক্ত এলাকা । পাবনার আবদুল লতিফ মির্জা , আনিছুর রহমান কামাল , টাঙ্গাইলের বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকি প্রমুখ এরূপ দেশে অবস্থান করেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন । তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে সনদ , তালিকা , শরণার্থী হয়ে ভারত গমনই মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের চূড়ান্ত প্রমাণ নয় । এই অভাগা দেশে এমনও সময় ছিল যখন মানুষ নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলে তাদের নিগৃহীত হবার আশংকা ছিল , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বলে পরিচিত হলে তাদেরকে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখা হতো । এরূপ অবস্থায় কেটে গেছে অনেক বছর । এদের মধ্যে যারা সরকারী চাকুরী করতেন তাদের জন্য দিনগুলো ছিল চৈত্রের খর তাপযুক্ত দুপুরের মতো । সরকারী চাকুরীতে আজ অবসরের বয়সের প্রশ্ন এসেছে । এখানে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের মাপকাঠি নিয়ে অনেক জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে । ১৯৭১ সালে যারা হানাদার বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল , এরা ছিল চিহ্নিত ব্যক্তি । এদের বাদ দিয়ে বাকী যে জনগোষ্ঠি ছিল তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা । ঐ সময়ে কারও নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ ছিল না । তাই দালাল আইনের মামলার আসামীরা বাদে বাকী সকলেই সরকারী চাকুরী ক্ষেত্রে ঐ সুবিধা পেতে হকদার । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ঃ ( ১ ) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ - লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে । ( ২ ) কেবল ধর্ম , গোষ্ঠি , বর্ণ , নারী - পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ - লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না । ( ৩ ) এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই - ( ক ) নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন , সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান - প্রণয়ন করা হইতে , ( খ ) কোন ধর্মীয় বা উপ - সম্প্রদায়গত প্রতিষ্ঠানে উক্ত ধর্মাবলম্বী বা উপ - সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণের বিধান - সংবলিত যে কোন আইন কার্যকর করা হইতে , ( গ ) যে শ্রেণীর কর্মের বিশেষ প্রকৃতির জন্য তাহা নারী বা পুরুষের পক্ষে অনুপযোগী বিবেচিত হয় , সেইরূপ যে কোন শ্রেণীর নিয়োগ বা পদ যথাক্রমে পুরুষ বা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হইতে , রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না । এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা প্রজাতন্ত্রের কর্মেরতদের অবসরের বয়স সংক্রান্ত বিধানের সাথে সমন্বিত করেই তা প্রয়োগ করতে হবে । মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার । তাই মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে কেউ রাষ্ট্রীয় সুবিধা হতে বঞ্চিত হবে , তা কখনোই কাম্য হতে পারে না । বিভেদ বা বিভ্রান্তি নয় , ঐক্যই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা । কোন রাষ্ট্রীয় সুবিধা একক বা ব্যক্তিগতভাবে নয় , সামাজিক ও সমষ্টিগতভাবে ভোগ করা হবে এটাই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলনীতি । নতুন করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত বা যাচাই করতে হলে , এ দায়িত্ব যাঁদের দেওয়া হবে তাদের কারো বয়সই ৫৬ ( ছাপ্পান্ন ) বৎসরের কম হওয়া চলবে না । কারণ মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে আজ থেকে ৪০ ( চল্লিশ ) বৎসর আগে । সেদিন যাঁরা পরিণত বয়সের ছিলেন তাঁদের অনেকেই আজ পরলোকে , কেউ কেউ আবার বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ । সোজা এবং যুক্তি গ্রাহ্য ভাবে এ বিষয়ে নিঃসন্দেহে দৃঢ় চিত্তে বলা যায় ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি বাঙালীই ছিল মুক্তিযোদ্ধা , এতে কোন সন্দেহ , দ্বিধা বা সংশয়ের অবকাশ নাই । এদের সকলের প্রতি রাষ্ট্রীয় আচরণে জনগণ বৈষম্য নয় , সমতা আশা করে । এর কোন বিকল্প নাই । দৈনিক নওরোজ ও দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত
লেখক বলেছেন : দিও । একটা অদ্ভুদ ঐতিহাসিক মিল আছে জানো স্তালিন আর হযরত উমর এর ব্যক্তিত্বের মাঝে । তোমার পোস্টে আমি সেই ব্যাখ্যাই দিব ।
মুহম্মদ আবদুল গনি রংপুর - ১ আসনে বিএনপি - জামাত জোট মনোনীত প্রার্থী ছিল
মেয়েদের নাভি থেকে উরুসন্ধির দুরত্ব আসলে দশ ইঞ্চি এবং এই সরে যাওয়া আসলে ঐ মাপের সঙ্গে যুক্ত এই টাইপের একটা ফতোয়া আসতে পারে । ওনারাতো সুযোগ পেলেই কথা বলেন মেয়েদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে কিন্তু সুযোগের অভাবে কাজ চালান কিশোর বালক দিয়ে ।
পরিমল জয়ধর নাই কোন ভয়ডর করে তাই যা করবে ভাবে সে
অর্থাৎ সবশেষে ফাইলে নীচের মতো থাকবে । সেভ করে বের হয়ে আসতে হবে ।
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন : এদের কাছে একমাত্র নীতি হল টাকা । এরা টাকার দালাল !
অত্যন্ত জরুরী এই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ । একদিকে লাতিন আমেরিকা , আফ্রিকাসহ দেশে দেশে পানির পন্যকরণ এবং বহুজাতিক কোম্পানীর ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণে এর উত্তোলন এবং বিতরণব্যবস্থা , অন্যদিকে এশিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্রপক্ষগুলোর পানির উৎস ও প্রবাহের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আধিপত্যবাদী প্রবণতা ( যেমন : ভারত - টিপাইমুখ , চীন - হিমালয় নীতি ) - এসব দেখে ভয় হয় এর সবই অদূর ভবিষ্যতের কোন এক ঘনিয়ে ওঠা " পানি যুদ্ধ " বা " নদী যুদ্ধের " আগাম ইঙ্গিত কিনা ।
প্রজন্ম ফোরাম » পড়াশোনা » এই ই - বুকটি জরুরী দরকার - হেল্প প্লীজ . . .
বৃষ্টি বালক বলেছেন : ক্যান ভাই । লঙ্কায় গিয়ে করবেন ?
প্রজন্ম ফোরাম » অভ্যর্থনা কক্ষ » খেলাঘর » হানিফ সংকেতের ডাবিংকৃত ফান ভিডিও - - বিটিভি থেকে । ( টেস্টিং )
৩ . মিডিয়া রাজাকারকিছু মিডিয়া সবসময় দেশের বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত তাদেরকে মিডিয়া রাজাকার পদ
পাঞ্জাবি ও শাড়ি ঠাকুরবাড়ির ঢঙে শাড়ি কিংবা নবাবি পাঞ্জাবিও এনেছে অনেকে । পাঞ্জাবিতে রয়েছে নবাবি কাট । কোনোটি বুক থেকে কোমর পর্যন্ত বাঁকা করে কেটে দেওয়া হয়েছে বোতাম । কোনোটি সাদামাটা একরঙা । কোনো পাঞ্জাবিতে আবার রয়েছে তাঁর নাম , চিরকুট কিংবা কবিতাংশ । রঙের বিক্রেতা আরজু বলেন , নতুন ধরনের এই পাঞ্জাবির প্রতি তরুণদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে । পাঞ্জাবির সঙ্গে সঙ্গে শাড়িতেও এসেছে ঠাকুরবাড়ির ছোঁয়া । বিভিন্ন ডিজাইনে , লেখায় , আঁকায় ঠাকুরবাড়ির কথাই যেন মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি শাড়ি । এ ছাড়া ফতুয়া , কোর্তাও রয়েছে অনেক দোকানে । রয়েছে বাচ্চাদের টি - শার্ট , টপস ইত্যাদিও ।
গুগল জানায় , নেক্সাস এস হ্যান্ডসেটটিতে যুক্ত হয়েছে বেশকিছু নতুন সুবিধা । এতে রয়েছে ভিপি৮ এবং ওয়েব এমসহ নতুন অডিও সমর্থন সুবিধা । সহজেই কথা বলার জন্য এতে এসআইপি , ভিওআইপি কল সমর্থন , গেইম সেন্সর এবং ভিডিও কলিং সুবিধা ও রয়েছে । এ ছাড়া ও রয়েছে পাঁচ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং একটি ভিজিএ ক্যামেরা । ১৬ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এবং ২০ ডিসেম্বর থেকে এটি যুক্তরাজ্যের বাজারে পাওয়া যাবে । দাম প্রায় ৫২৯ ডলার ।
ব্যাপারটা ছেলেমানুষী মনে হতে পারে , কিন্তু এটা খুবই কার্যকর একটা জিনিস ! আপনি যে ধরণের মানুষ হতে চান সেরকম অভিনয় করুণ । নিজেকে সেই কল্পনার মানুষ ভাবুন । তার মতো চিন্তা করুণ । তার মতো কাজ করুণ , না পারলে বানিয়ে বানিয়ে অভিনয় করুণ ।
নোয়াখালী , ১১ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : নোয়াখালী শহরতলীর মাইজদীতে অপহরণের ৯ দিন পর হিন্দু নববধূ কলেজ পড়ুয়া মিলি রানী শীলকে ( ২২ ) রোববার উদ্ধার করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় আটক প্রেমিক কাজী মুনতাসির রোমিওকে আজ সোমবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে । স্থানীয় সূত্র জানায় , মাইজদী নাপিতের পুলের মানিক চন্দ্র শীলের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া মিলি রানী শীলকে গত ২৯ মে তার পরিবার চট্টগ্রাম মীরসরাইয়ের সত্যজিত শর্মা নামে এক স্কুল শিক্ষকের সাথে বিয়ে দেয় । বিয়ের ১ মাস পর গত ২ জুলাই স্থানীয় লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের আয়ুব আলীর ( সাবেক কমিশনার ) ছেলে কাজী মুনতাসির রোমিও ' র হাত ধরে পালিয়ে যায় । এ ঘটনায় রোববার মেয়ের পিতা মানিক চন্দ্র শীল বাদী হয়ে রোমিওকে আসামি সুধারাম থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন । মামলার পর রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবর্ণচরের চরবাটা রোমিও ' র বোনের বাড়ি থেকে তাদের উভয়কে আটক করে । আজ সোমবার দুপুরে রোমিও ও মুসাফিকা হোসেন মিলিকে ( বর্তমান নাম ) আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত প্রেমিক রোমিওকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন । এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে । এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইয়াছিন জানান , হিন্দু মেয়েটি গত ৩০ জুন কোর্টে এভিডেভিটের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে রোমিওকে বিয়ে করেছে । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এইউ / আরআর / ২১ . ৩৩ ঘ . )
পোষ্ট করেছেন : ৫৭ টি মন্তব্য করেছেন : ১২১১ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ১২ মাস ২ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ২৩৩৭ বার
লেখক বলেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ । জ্বি লেখাটা সম্পূর্ণই আমার কল্পনাপ্রসূত ।
২০০৩ থেকে এর নির্মাণ কাজ চলছে । প্রথম ২০০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর এর পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন চালানো হয় । এর সিঙ্গেল সিটের এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান । পুরো ভিউয়িং প্যানেল জুড়ে রয়েছে প্যানারোমিক ককপিট ডিসপ্লে । ভয়েস কমান্ড দিয়ে অপারেশন চালানো সম্ভব এতে । এতে রয়েছে রাডার , ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম । মিসাইল ওয়ার্নিং সেন্সর । বিমানটি লম্বায় ১৫ . ৩৭ মিটার , প্রস্থে ১০ . ৬৫ মিটার এবং ৫ . ২৮ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট । শুধু বিমানের ওজন প্রায় ১৪০০০ কেজি এবং সম্পূর্ণ সমরাস্ত্র ও পাইলটসহ প্রায় ২০১০০ কেজি । আর সর্বোচ্চ ২৭০০০ কেজি ভরসহ এটি উড্ডয়নে সক্ষম । এর ইঞ্জিন হচ্ছে প্র্যাট এন্ড টুইটনি এফ১৩৫ আফটারবার্নিং টার্বোফ্যান । মডেল ভেদে এটি ৬৩০০ - ৯১১০ কেজি জ্বালানী গ্রহণে সক্ষম । এখন পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯ . ৩১ কি . মি . / ঘণ্টা আর কমব্যাট ব্যাসার্ধ্য ১১১০ কি . মি . । এটি ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল দুইভাবেই কামান ও মিসাইল বহনে সক্ষম । ওহ আরেকটি কথা । ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডাই হার্ড ৪ সিনেমায় এই বিমানেরই ' বি ' ভার্সনটি দেখানো হয়েছে ।
Previous : এখন থেকে আর ঘন্টায় ঘন্টায় কারেন্ট যাবেনা ! Next : একটা স্যামসং ওমনিয়া টু নিলাম
হাকিকুল ইসলাম খোকনঃ দীর্ঘ এক যুগ নিউইয়র্ক প্রবাস জীবন শেষে স্বপরিবারে দেশে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউএসএ ' র সভাপতি এবং ময়মনসিংহের সাবেক ছাত্রদল নেতা সালাউদ্দিন তিতু । তার সম্মানে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিউইয়র্কের বাঙ্গালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের গ্রান্ড সুইটস রেষ্টুরেন্টে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউএসএ ' র উদ্যোগে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে । সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম . এ . খালেক আকন্দ এর সুচারু পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় ।
দলের নাম : আল ইখওয়ান , আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায় মুসলিম ব্রাদারহুড নামে পরিচিত
কিচ্ছু বলার নেই । তারপর ও বলব সাবধানে থাকবেন । আমি ও যেখানে থাকি একই অবস্তা যার দরুন এখানে ইন্টারনেট এ এখন এতটা কড়াকড়ি চালু হয়নি তারপর কিছু লেখা বা ছবি তোলা এবং তা অনলানে দেয়া নিজের পায়ে কুড়াল মারার মত ( বিশেষ করে আমরা যারা এখানে প্রবাসে আছি ) । তারপর ও সাহস করে গতকালে অফিস এর জানালে থেকে কিছু ভিডিও করে ফেসবুকে চালিয়ে দিছি । যাই হোক সাবধানে থাকবেন আর সব্রদা গলাই তোয়ালে জাতিয় কিছু রাখবেন কারন মুখ বাধার কাজে আসতে পারে এবং ধোয়া থেকে ও নিজেকে সামলাতে পারবেন । ( দেশের নাম উল্লেখ করলাম না কারন প্রফাইলেই আছে )
১ ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার ২ ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেতু ৩ ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৪ ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ ) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ৬ ) বিএনএস বঙ্গবন্ধু ( একটি রণতরীর নাম ) ৭ ) মিরপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ , ৮ ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ , ৯ ) টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ , ১০ ) গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ , ১১ ) ফুলপুরে তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু কলেজ , ১২ ) সিরাজগঞ্জের কাজীপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ , ১৩ ) রাজশাহীর বোয়ালিয়ায় বঙ্গবন্ধু কলেজ , ১৪ ) মেহেরপুর মুজিবনগর কলেজ , ১৫ ) রূপসা বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ , ১৬ ) বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ , ১৭ ) কচুয়া বঙ্গবন্ধু কলেজ , ১৮ ) বহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ , ১৯ ) বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ , ২০ ) জলঢাকায় শিমুলবাড়ী বঙ্গবন্ধু কলেজ , ২১ ) মতিঝিলে বঙ্গবন্ধু ল কলেজ , ২২ ) মাদারীপুর বঙ্গবন্ধু ল কলেজ ২৩ ) চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ল টেম্পল ২৪ ) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ২৫ ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ২৬ ) বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক ২৭ ) কালীগন্জে বঙ্গবন্ধু বাজার ২৮ ) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ছৈয়দপুর গ্রামের বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল ২৯ ) বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হল ৩০ ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণি , কলকাতা ৩১ . বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রোড - নারায়নগন্ঞ , ৩২ . বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রোড - চট্টগ্রাম - আগ্াবাদ ৩৩ . বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রোড - সাভার , আশুলিয়া বাজার ৩৪ . বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ( UST - ফয়েজ লেক ) ৩৫ - ৪৯ - খোজ নিলে সন্থান পাবেন - আজও একটা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মেরিন একাডেমি ৫০ . বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর ( পোস্তাবিত ) http : / / forum . projanmo . com / post263195 . html # p263195
বাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে খালি লাভ দেখলেই চলে না । অর্থের সুরক্ষাও দেখতে হয় । দুঃখের বিষয় বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই সেটি দেখেন না । বাজার না বুঝে বিনিয়োগ করলে লস হবার সম্ভাবনা সব সময়েই ঠেকে যায় । থিওরিটিক্যালি শেয়ারে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করলে লস হবার কথা না ।
প্রযুক্তিগুলো কবে নাগাদ আমাদের হাতে আসবে কে জানে ? ? ?
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে , রোগীর বাড়ির উঠানে পাঁচ ফুট গভীর একটি গর্ত করা হয়েছে । । আর এর মধ্যে ওই রোগীটিকে নামিয়ে রাখা হয়েছে ।
নিজের টাকা রাখি সুদী ব্যাংকে আর ডঃ ইউনুসকে বলি সুদের কারবারি ! ! ! ! ! ! !
সপ্নচারী @ বিজ্ঞানীদের উক্তি সম্পর্কে জানতে কোন সাইটে সার্চ দিন । কিন্তু উক্তিটি সত্য । হয়তো আপনি নাও জানতে পারেন ।
প্রতিটি ভোরের মতই কাছাকাছি তিনটি মসজিদের আযান শোনা গেলো । একের পর এক । শেষের আযানটি সবচেয়ে জোরে শুনল হাসপাতালের জেগে থাকা প্রতিটি মানুষ । এই মসজিদটি হাসপাতালটির একেবারে খুব কাছে ।
লেখক বলেছেন : এইটা খাওনের জিনিস । তয় খাইতে ভালা না , আমার প্রথম দিনেই ডায়রিয়া হইয়া গেছে !
মদীনা শরীফ থেকে বিদায়ের দু ' দিন আগে হঠাৎ করে এবং অকল্পনীয়ভাবে আমার ছোট মেয়ের বিয়ে হলো সালমানের সঙ্গে । বিয়ে হলো রাওযাতুম - মিন রিয়াযিল জান্নায় বসে । বিয়ে পড়ালো আমার ' জিগরি দো স্ত ' ইয়াহয়া জাহাঙ্গীর , দেশে বড় মেয়ের বিয়েও সে পড়িয়েছিলো । তামান্না ছিলো ছোট মেয়ের বিয়েও সে পড়াবে । এতসব কিছু কীভাবে মিলে গেলো ! আল্লাহর গায়বি মদদের এটাই তো কারিশমা । কিন্তু থাক ব্যক্তি - জীবনের কথা ।
জেনারেশন৭৫ বলেছেন : আপনার হাইট অনুযায়ী ৬০ - ৬১ কেজি ষ্টান্ডার্ড
এখন তাহলে আমাদের মাথায় তো একটি প্রশ্নতো জাগতেই পারে যে , শ্রমিকের মুক্তি আসে কিসে ? প্রশ্নের উত্তরটি পাবার প্রয়োজনে আমাদের পুরো কবিতাটি কিংবা মেয়েটির জবানীতে যে সমস্ত বাক্য ব্যাক্ত হয়েছে সব কথাগলোই শুনতে হবে । আমাদের জানতে হবে যে , মেয়েটি কি তার মুক্তির কোন সম্ভাব্য পথের কথা বলছে ! নাকি শেষ মেশ অই সমস্ত বাচাল কবিদের আবেগি কথার তোড়াতেই তার ভবিষ্যতের জীবন সাঁজিয়ে রাখতে চাচ্ছে !
আরেকটি বিষয়েও কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়া আবশ্যক । ২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদে নারীদের জন্য ৪৫টি আসন ১০ বছরের জন্য সংরক্ষিত করা হয় । আগামী কয়েক বছর পরই এ পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাবে । তাই এ বিষয়েও কমিটিকে সুপারিশ করতে হবে । ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার দিনবদলের সনদ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১০০ - তে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে সারাদেশে একটি জনমতও বর্তমানে বিরাজ করছে । এমনি প্রেক্ষাপটে আমরা নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০০টি আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার পক্ষে ।
জামালপুর , ১২ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : জামালপুরের সরিষাবাড়িতে রঘুনাথপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে । নিহতের নাম নুর মোহাম্মদ ( ৬০ ) । এতে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন । আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে । সরিষাবাড়ি থানার ওসি ( তদন্ত ) আসলাম উদ্দিন শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান , রঘুনাথপুরের উত্তরপাড়ার কামরুল হাসান মজিদ ও মধ্যপাড়ার আমজাদের মধ্যে গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে । সমপ্রতি ইউপি নির্বাচনে এ বিরোধ আরো চাঙ্গা হয় । এ বিরোধের জেরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে । এ সময় ফালার আঘাতে উত্তরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ ( ৬০ ) নামে এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই নিহত হয় । সেই সাথে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে গুরুতর কছিম উদ্দিনকে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । সরিষাবাড়ি থানার ওসি কামরুল আহসান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান , এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন । পরে পুলিশ ২ নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে । গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন - রঘুনাথপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুলতানা পারভীন , আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল আজিজ , অমেদ মণ্ডলের ছেলে জহির , সিরাজের ছেলে মোবারক আলী ও আমিনুলের স্ত্রী নাজমা । পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে । এদিকে সরিষাবাড়ি থানার ওসি ( তদন্ত ) আসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এস / সস / ১৭ . ৫৯ঘ . )
ভর্তির যোগ্যতা : ১৬ বছর বয়স হলে যে কেউ সিবিএতে ভর্তি হতে পারবে । বিজনেস গ্র্যাজুয়েটরা সিআইএমএ নিবন্ধন সাপেক্ষে সিবিএ ' র পাঁচটি বিষয় ওয়েভার পেতে পারে এবং সরাসরি সিআইএমএতে ভর্তি হতে পারবে ।
পোস্ট করা হয়েছে : বৃহঃ নভেম্বর ২৭ , ২০০৮ ৯ : ০৬ অপরাহ্ন
* সকল র্যাব ভাইয়েরা আমাকে ক্ষমা করবেন । দয়া করে এবার আমাকে ধরতে আসবেন না । [ বিঃদ্রঃ এদিকে আমি এখন আর লিখতে ইচ্ছা না করায় তারপর লিখলাম ]
ইসলামী দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন , " তারা বিসমিল্লাহ ' র মধ্যে আল্লাহ খুঁজে পান না । হরতালের মধ্যে আল্লাহ পেয়েছেন কি না - সেটাই প্রশ্ন । "
আপটাউন লোকজ এর গানটা ( ! ) নতুন শুনলাম । শুনা শেষ করার আমার পুরা জবুথবু অবস্থা । এটা ২০০৯ এ রিলিজ পেয়েছে কিন্তু এর আগে শোনা হয় নি । বার কয়েক শোনার পর মনে হলো বাংলা গানে র্যাপ জিনিসটা অনেকটা রেইপ এর সমার্থক , উপর্যুস্ত ধর্ষন করে দিগম্বর করে এটাকে ঝুলিয়ে রেখেছে উল্টা করে । সার্চ দিতে গিয়ে নিচে যে ভিডিওটা দিলাম সেই ভিডিওর গায়কের খোজ পেলাম । ছেলের নাম ব্ল্যাক জ্যাং ।
শর্তসাপেক্ষে আব্দুল আলীমের জামিন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
মিউজিশিয়ান , নির্দেশক , প্রযোজক সকল স্তরের মানুষের সাথেই সমান তালে কাজ করেছেন এই মহান তারকা । নিরাশ করেননি কাউকেই । প্রথম যুগের ' বিট ইট ' গানটিতে গিটার বাজিয়েছিলেন এডি ভ্যান হেলেন । এক দশক পর তার ' ডেনজারাস ' অ্যালবামের ' ব্ল্যাক অর হোয়াইট ' এবং ' গিভ ইট টু মি ' গান দুটিতে কাজ করেছেন আরেক বিখ্যাত গিটারগুরু স্ল্যাশ । পল ম্যাকার্টনির সাথে বহুবার অংশ নিয়েছেন দ্বৈতসঙ্গীতে । কাজ করেছেন কুইন্সি জোনস , বেরি গোর্ডির মত বড় বড় সঙ্গীত প্রযোজকদের সাথে । নতুন সঙ্গীতধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছুদিন আগেও কাজ শুরু করেছিলেন অ্যাকন এর মতো নতুন শিল্পীদের সাথে ।
ভোট দিয়েছেন ৪ জন | পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে | ২ জনের ভাল লাগেনি
আমার আর ভাললাগেনা আওয়ামীলীগ , বি এন পির টানাটানি মনেহয় বিদেশগিযে ভিক্ষা করি ।
( ঙ ) ভাইস - চ্যান্সেলর কর্তৃক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে মনোনীত দুইজন ডীন ;
দরবারের ফটক পেরিয়ে ছিমছাম পাকা রাস্তা ধরে কিছুদূর আগালেই দরবার শরীফের গায়ে লেগে দুভাগ হয়ে রাস্তাটা দুদিকে চলে গেছে । দুদিকে দুটো ভবন । মাঝখানদিয়ে ভেতর এলাকায় যাওয়ার রাস্তা । ডান দিকের ভবনটাই হুজুরের দরবার শরীফ । এর গঠনগাঠনই অন্যরকম । রাস্তা ধরে নবাগত কেউ দরবারে ঢুকেই আমার মতো নাবালের জন্য প্রথমেই যে সতর্কবাণী বিশাল বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে তা তো শুরুতেই বলেছি । হকচকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ! ইহা অলিআউলিয়াগণের স্থান । এইখানে যে বেয়াদপি করিবে তাহার তকদিরে পোকায় ধরিবে । নিম্নলিখিত কারণগুলি চরম ও জঘন্য বেয়াদপি বলিয়া গন্য হইবে । এরপর নীচে দীর্ঘ তালিকা । খুব সম্ভবত ছাব্বিশটি । প্রায় দুযুগ আগের স্মৃতিতে এগুলো থাকা উচিৎ ছিলো । বেয়াদবি বিষয়ক গবেষণায় যথেষ্ট উপকারে আসতো । কিন্তু আমার নাবাল স্মৃতি সে সুযোগ নিতে পারলো না । ক্রমান্বয়ে উল্লেখ করা বেয়াদপির নমূনা ও উপসর্গগুলো পড়তে পড়তে ভেতরে ভেতরে সতর্ক হয়ে ওঠছি । জোরে কথা বলা , শব্দ করিয়া হাসা , দাঁত দেখাইয়া রাখা , যত্রতত্র থুথু বা বর্জ্য পদার্থ ফেলা , দুই হাত ভাঁজ করিয়া রাখা বা দাঁড়ানো , খাবার মাটিতে ফেলা , দরবারের জানালা দরজা দিয়া উঁকিঝুকি মারা , নির্দেশিত নিয়ম মান্য না করা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেককিছু । কিন্তু নির্দেশ মনে না রাখাটাও যে একধরনের বেয়াদপি , ওখানে তা লেখা ছিলো কি না মনে করতে পারছি না । তবে নির্দেশই যদি মনে না থাকবে , মেনে চলা কী করে ? আমি কি বেয়াদপি করছি ? নির্দেশনামা পড়তে পড়তে হঠাৎ খেয়াল হলো আমি হাতদুটোকে রীতিমতো পেছনে ভাঁজ করে দিব্যি ফুলবাবু হয়ে দাঁড়িয়ে আছি ! তাড়াতাড়ি হাতের বাঁধন ছেড়ে দিয়ে দুপাশে সটান ঝুলিয়ে দিলাম । এদিক ওদিক মাথায় ও কোমরে গামছাবাঁধা বিশাল ভুড়িঅলা পাণ্ডাগুলো যেভাবে ঘুরাফেরা করছে , এই যদি বেয়াদপ বলে ধরে এসে ? এখানে নাকি তাদের কথাই আইন । ঘাড় ধরে বের করে দেবে । এতে আরেক সমস্যা দেখা দিলো এবার । বেআক্কেলের মতো হাত দুটো দুপাশে জগরদভের মতো ঝুলে পড়ে নিজেকেই কেমন বেআক্কেল বেআক্কেল লাগছে ।
করেছি ভাই , আগেই করেছিলাম । কিন্তু যেই লাউ সেই কদু " Error establishing a database connection " । নিচে স্কিন সট দিলাম ।
কোনভাবেই কোন টেক্সটই শুদ্ধভাবে আসেনা । আমি অনেকভাবে চেষ্টা করেছি । শেষ পর্যন্ত অনেকবার সফটওয়ার প্রস্তুতকারক হাসনাত বাইয়ের সাথেও যোগাযোগ করেছি । কোনই লাভ নেই । কোন কিছু তৈরী না করে বাজারে ছেড়ে বাহবা পাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় । এটা নিতান্ত দুঃখ জনক । বাংলাদেশে এত এত পন্ডিত ডেভেলপাররা আছেন । কিন্তু নিজের প্রয়োজনে সামান্য তম ও একটি ওসিআর আর একটি ট্রান্সলেটর সফটওয়্যার এখনো কেউই তৈরী করতে পারেনি । এরা দেশকে কি দিলো ? ? টাকা ? ? ? কোথায় ? ? ? ? কোন চেষ্টা নাই । কারো সাথে কারো যোগাযোগ নাই । সবাই নিজের মত করে চেষ্টা করে । আফসুস । যদি কোন ডেভেলপারেরর মনে হিট দিয়ে কোন ভালো ওসিআর আর বাংলা অনুবাদ সফটওয়্যার বের করতে পারি তাকে আমি জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে সম্মাননা জানাবো ।
আমার কথা হল , আমি নিজেকে সহ নিজের আশেপাশে ঠিক করি তারপর সব , আমার নিজের মধ্যেই ভুলে ছড়াছড়ি . . . . . এছাড়া আরও ব্যাপার হল একজন একটির বেশি কয়েকশো ভোট দিচ্ছে ব্যাপারটা আমার কাছে ভাল লাগেনি ।
সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে বুধবার এ সংক্রান্ত সংসদীয় বিশেষ কমিটির পক্ষ থেকে বিরোধী দলীয় নেতার কাছে চিঠি পাঠানো হয় । এতে রোববার সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আলোচনার সময় দেওয়া হয়েছে । বিএনপি এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানকি কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন , ওই চিঠি নিছকই ' আইওয়াশ ' ।
হাসান ভাই , আমার বন্ধু এবং পরিচিতজনরা আমাকে আতিক বলে সম্বোধন করে । আতিকুল নামটা শুনতেও ভাল লাগে না । আবার ব্যকরনগত ভুলও থেকে যায় । আবার ভাইবা বইসেন না আমি বিরাট আরবী ব্যাকরণবিদ
জহির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝারি মাপের কর্মকর্তা । তার আলাদা কোনো বিশেষত্ব নেই । এরকম একজন মানুষ পথেঘাটে দেখতে পাওয়া যায় এবং কেউ মনেও রাখে না । সেই তুলনায় রাজিয়া বানু একদমই অন্যরকম । মুখে একটা আলগা লাবন্য আছে , মানুষ বার বার চোখ ফিরায় । রাজিয়া বানুরে রূপসী বলা যায় যে কোনো অর্থেই । তাদের তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে ।
কয়েকদিন আগেই আগের সেমিস্টার ( ট্রাইমিস্টার ) শেষ হলো । ঠিক সময়ে খাতা দেখে জমা দেয়া অসম্ভব বলে মনে হয়েছে এ পর্যন্ত । শেষ যেই খাতার বান্ডিলটা ছিল , সেটা দেখে মনে হল - বেশ কয়েকজন ভরপুর নকল করেছে । ঐ পরীক্ষায় ইনভিজিলেটর কে ছিল সেটা খেয়াল নাই ( আমি ছিলাম না ) ; তবে সে সম্ভবত পরীক্ষার গার্ড দেয়ার বদলে নিজের ভাগের খাতা দেখেছে বসে বসে । এই গ্রুপটার খাতা আগেও দেখেছি দুটো মিডটার্ম পরীক্ষায় । আহামরি কিছু নাই . . . কিন্তু ফাইনালের খাতায় নিখুত ইংরেজি দেখেই সন্দেহ হচ্ছে . . . . . . এমনকি আমার দেয়া ক্লাসনোটে দুই জায়গায় টাচপ্যাডের কল্যানে / টাইপিং এর ভুলে কোনো কোনো শব্দের মাঝখানে সংখ্যা পড়ে গিয়েছিল ( যেমন diffic3ult ) ; সেগুলোও ঐ ভুল সহ খাতায় নিখুত ভাবে লেখা ! ! যাঁরা সত্যই পড়েছে আর যারা না পড়েই লিখছে তাদের আলাদা করতে না পেরে মেজাজ একটু খারাপ । একই ব্যাপার দেখা যায় , হোম এসাইমেন্টের ক্ষেত্রে ; একই ভুল অনেক খাতায় পেলে সবগুলোতেই শূণ্য দিতে হয় । আবার পরীক্ষার খাতায় দেখা যায় এক প্রশ্নসেটের উত্তরে আরেক সেটের ডেটা দিয়ে সমাধান করা . . . . . . সাথে সাথে শূণ্য । ওপেন বুক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ডেটার বদলে বইয়ের ডেটার সমাধান কপি করা ! ! ছাত্রাবস্থায় ঐতিহাসিক কপি করার কাহিনীগুলো মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তো । যেমন কোনো এক বড়ভাই সেশনালের খাতা কপি করার সময় ভুলে আরেকজনের নাম রোল নং শুদ্ধ লিখে দিয়েছিল ! ! কোনো স্কুলে নাকি কপি করতে গিয়ে বাবার নামে আরেকজনের বাবার নাম বসিয়ে দিয়েছিল । তবে , লেটেস্ট যেটা শুনলাম ( পুরাতন কাহিনী হয়তো ) সেটা হল : কোনো এক ছাত্র একটি প্রশ্নের উত্তরে লিখেছে - " প্রমথ চৌধুরী " । পাশের জন দেখে কপি করেছে - " প্রথম চৌধুরী " ! তারও পাশের জন ওটা দেখে লিখেছে " ১ম চৌধুরী " ! ! এরা পাশ করে কর্মক্ষেত্রে কী করবে . . . . . . . . . : ( ( সচলায়তনে প্রকাশিত )
নারী মানব সম্পদ বাংলাদেশের নারীদের গড় আয়ু ৫৮ . ১ বছর , অন্যদিকে পুরুষের গড় আয়ূ ৫৮ . ৪ বছর । নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০ : ১০৬ - পৃথিবীর মাত্র ৩টি দেশে পুরুষের গড় আয়ু নারী থেকে বেশী । পুরুষের স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৩৮ . ৯ ভাগ , সেখানে নারীর স্বাক্ষরতার হার ২৫ . ৫ ভাগ । শিক্ষার সর্বস্তরে পুরুষের তুলনায় নারী পিছিয়ে আছে । ১৯৯৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু ভর্তির হার হল ৮৩ . ৬ ; এর মধ্যে বালক ৮৮ . ৯ ভাগ ও বালিকা ৭৮ ভাগ এবং বালক বালিকা অনুপাত ৫২ঃ ৪৮ ; এর মধ্যে মেয়ে শিশুর ভর্তি ও ঝরে পড়ার হার যথাক্রমে ৮৮ . ৩ ও ১৫ . ৩ দেশে এবং বিদেশে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও পেশাগত শিক্ষা , বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ , কারিগরী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী সমান সুযোগের অভাবে পুরুষের তুলনায় সংখ্যা ও গুণগত দিকে থেকে অনেক পিছিয়ে আছে । ছেলে ও মেয়ে শিশুর অপুষ্টির আনুপাতিক হার ৪৩ . ৮ ঃ ৪৭ . ৬ - এ থেকে নারী - পুরুষের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ।
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ট্যবলয়েড পত্রিকা দি নিউজ অফ দ্যা ওয়াল্ডের বিরুদ্ধে মোবাইল হ্যা . . .
দেশের নষ্ট , পচা , চরম হতাশাব্যন্জক পরিস্থিতি নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বললেই বুঝি প্রমাণ হয় যে , তার ' মতিভ্রম ' হয়েছে ? !
শিবির তার প্রতিষ্ঠালগ্নের আগে থেকেই এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল । দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নাম ধারণ করে পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে পুনরায় এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে তারা তাদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে । সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই রক্তপিপাসু হায়েনারা সততা , ন্যায় , প্রজ্ঞা , প্রগতি , মননশীলতা , মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে হামলে পড়েছে অসংখ্যবার । তাদের হাতে এ পর্যন্ত জাতির অসংখ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রাণ হারিয়েছেন । শিবিরের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে এখনো অনেকেই অসুস্থতায় কাল কাটাচ্ছেন , জীবনকে বয়ে বেড়াচ্ছেন । রাজপথের টগবগে অনেক প্রতিবাদী যুবক এখন মাথা ঠুকছেন অন্ধকার ঘরের দেয়ালে । রাষ্ট্রযন্ত্র শিবিরের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি , মাঝে মাঝে কিছু হম্বিতম্বি ছাড়া । শিবিরের কুখ্যাত সেই ক্যাডাররা এখনো রাজপথে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রায়ই তারা হুঙ্কার দেয় , তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নাকি মিথ্যা । মিথ্যা নাকি সত্যি তা প্রমাণ হয়ে যায় ঘটনা বাস্তবত কি ঘটেছিল তা জানা গেলেই । শিবিরের দুটি নৃশংস - ভয়ঙ্কর কিলিং মিশনের মধ্য থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া দুজন ছাত্রনেতার ভাষ্য থেকে ঘটনা দুটির পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হল ।
কোন্ স্থায়ী ভাব থেকে কীরকম রসের সঞ্চার ঘটবে তা - ও পণ্ডিতজনেরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন । রতি স্থায়ীভাব থেকে শৃঙ্গার বা আদিরস , উৎসাহ থেকে বীররস , ক্রোধ থেকে রৌদ্ররস , হাস থেকে হাস্যরস , শোকভাব থেকে করুণরস , ভয় থেকে ভয়ানক , জুগুপ্সা থেকে বীভৎস , বিস্ময় থেকে অদ্ভুত এবং শম স্থায়ী ভাব থেকে শান্তরস । রসশাস্ত্র অনুযায়ী এই নয়টি স্থায়ী ভাব নাট্য বা কাব্যে বিভাব , অনুভাব ও ব্যভিচারী ভাবের সংযোগে নয়টি রসে সার্থক পরিণতি লাভ করে । ভাবের সাথে এই যে বিভাব , অনুভাব ও ব্যভিচারী ভাবের সংযোগ তা কি আর এমনি এমনি ঘটে ! রসগ্রহীতার সাথে এই সংযোগ ঘটিয়ে দেয়ার জন্য রসস্রষ্টাকে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু কারুকাজের আশ্রয় নিতে হয় । সাহিত্য যেহেতু একটি শব্দ বা অর শিল্প , তাই শব্দের মায়াজালে বহুমাত্রিক বিন্যাসের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক অভাবনীয় চিত্ররূপ তৈরি করতে হয় যাতে সেই উদ্দিষ্ট ভাবের নাড়িতে সার্থক অনুরণন তোলে । বহুমাত্রিক শব্দবিন্যাসে রচিত এই কাল্পনিক চিত্ররূপকেই সাহিত্যের ভাষায় বলা হয়ে থাকে চিত্রকল্প বা রূপকল্প । এতে যে কাঙ্ক্ষিত রসের উদয় হয় তাতে স্পন্দিত হয়ে রসগ্রাহী পাঠক মাত্রেই হয়ে ওঠে আপ্লুত । আর এভাবেই সাহিত্য তার সার্থকতা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে ।
বিসিবি ও গ্রামীণফোনের এই যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই । আমার দেশের জাতীয় দলের পোষাকের ডিজাইন করেছেন আমার দেশেরই একজন । এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় । বোর্ডের সব কার্যক্রমে বাংলাদেশকে ভালোভাবে সারা বিশ্বে তুলে ধরা সদিচ্ছা থাকুক এটাই চাই । ইচ্ছা থাকলে উপায় কোনো ব্যাপার না ।
আপনার কথায় শেষ পর্যন্ত সমাধান পেলাম । সবাইকে এত খাটাখুটনি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য অসঙ্খ্য ধন্যবাদ । প্রজন্ম ফোরাম থাকিতে নিরাশ হইবার কোন অবকাশ নাই . . .
বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : আহত ১০ , আটক ৯
আপনি কি কারো ব্যক্তিগত মতামত আর একটা ওয়েবসাইটের রেফারেন্সের পার্থক্য বোঝেন না ? সোনাব্লগের কথাগুলো কারো মতামত , সোনাব্লগের এডমিন বা সাইটের নিউজ অংশে এধরনের কোন দাবী করা হয়েছে কি ? আপনার দেয়া লিংকেও নিজেই বলেছেন শুধু হিন্দুগুলো দেখানো হচ্ছে কিন্তু তার মানে তো এটা ঘটেছে তাই না ?
রাজিব খান বলেছেন : আপনি তো খুব ভাল লেখেন । পড়ে ভাল লাগল
জীবন নিয়ে আসলেই একটা সমস্যায় আছি । কারণ , জানি তাত্ত্বিক পড়াশুনার দ্বারা জীবন চালানো অসম্ভব আর জীবন চালাতে গেলে আরো কিছুটা একাডেমিক পড়াশুনা করাটাও ফরজ কিন্ত অই পথে আর বেশি দূর যে হাটতে ইচ্ছে করছে না ।
১৯৮৩ সালে ঘরে বাইরে ছবির কাজ করার সময় সত্যজিতের হার্ট অ্যাটাক ঘটে এবং এ ঘটনার ফলে জীবনের অবশিষ্ট নয় বছরে তাঁর কাজের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত সীমিত । স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে ছেলে সন্দ্বীপ রায়ের সহায়তায় সত্যজিৎ ১৯৮৪ সালে ঘরে বাইরে নির্মাণ সমাপ্ত করেন । এরপর থেকে তাঁর ছেলেই তাঁর হয়ে ক্যামেরার কাজ করতেন । অন্ধ জাতীয়তাবাদের ওপর লেখা রবীন্দ্রনাথের এই উপন্যাসটি চলচ্চিত্রে রূপদানের ইচ্ছা সত্যজিতের অনেকদিন ধরেই ছিল এবং তিনি ৪০ - এর দশকে ছবিটির একটি চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন । [ ৩৪ ] যদিও ছবিটিতে সত্যজিতের অসুস্থতাজনিত ভুলের ছাপ দেখা যায় , তা সত্ত্বেও ছবিটি কিছু সমালোচকের প্রশংসা কুড়ায় এবং এই ছবিতেই সত্যজিৎ প্রথমবারের মত একটি চুম্বনদৃশ্য যোগ করেন । ১৯৮৭ সালে সত্যজিৎ তাঁর বাবা সুকুমার রায়ের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন ।
হ - বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল - রুমানিয়া ম্যাচ । প্রথমার্ধ শেষ হতে তখনো ১৫ মিনিট বাকি । সাইড লাইন থেকে চতুর্থ রেফারি সিগন্যাল দিলেন খেলোয়াড় পরিবর্তনের । ১৯ নম্বর জার্সি পরিহিত স্ট্রাইকার ফ্রেডের পরিবর্তে মাঠে নেমে এলেন কিংবদন্তি রোনাল্ডো । দ্য ফেনোমেনন নামেই তিনি বেশি পরিচিত । ত্রিশ হাজার দর্শকের চোখ ঘুরে গেল তার দিকে । পরবর্তী পনের মিনিট মাঠ জুড়ে দর্শকদের দৃষ্টি থাকল রোনাল্ডোর ওপর । বিদায়ী ম্যাচ খেলতে সাওপাওলোর প্যাকেম্বু স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন দশকের সেরা ফুটবলার রোনাল্ডো । ফ্রেডের ২১ মিনিটের গোল আগেই রুমানিয়ার সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল ব্রাজিল । রোনাল্ডোর বিদায়ী ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ের ব্যবধানও ১ - ০ । আজ হতে হলো বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি । কিংবা , ওগো বন্ধুরা পান্ডুর হয়ে এলো বিদায়ের রাতি । আমাদের জাতীয় কবির লেখা এই লাইন দুটি খুব বেশি মানিয়ে গেল সাওপাওলোতে রোনাল্ডোর বিদায়ী ম্যাচের জন্য । রোনাল্ডো যদি জানতেন তবে নিশ্চয়ই বিদায়ী ভাষণেও লাইন দুটি আবৃত্তি করতেন । গতকাল সাওপাওলোর প্যাকেম্বু স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার দর্শক এবং সতীর্থদের অভিবাদনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো এক কিংবদন্তির ফুটবল জীবনের । ফুটবলার হিসেবে তিনি আর কখনোই মাঠে নামবেন না । নয় নম্বর হলুদ জার্সিতেও আর কখনোই দেখা যাবে না তাকে । ১৯৯৮ কিংবা ২০০২ সাল । বলা যায় ২০০৬ সালের কথাও । ব্রাজিলের সমর্থকরা বিশ্বকাপের মাঠে নয় নম্বর জার্সিকেই খুঁজে বেরিয়েছেন সব সময় । ১৮ বছরের দীর্ঘ সময় শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতেই । গতকাল ছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া সম্মাননা পর্ব । দশকের সেরা ফুটবলারকে মাঠ থেকেই বিদায় দিল ব্রাজিল । আনুষ্ঠানিক বিদায় । বিদায় দ্য ফেনোমেনন । মাঠে নেমেছেন রোনাল্ডো । গায়ে নয় নম্বর জার্সি । দর্শকরা তো আশায় ছিলেন গোল হবে বলে । কিন্তু হলো না । ' আমার গোল করার সুযোগ ছিল । আমি সত্যিই দুঃখিত যে , সুযোগ গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি । ' বিদায়ী ভাষণে গোল করতে না পারায় এভাবেই বললেন রোনাল্ডো । যার ক্যারিয়ার অসংখ্য প্রাপ্তিতে ভরপুর । তার জন্য এমনটি হওয়া কোনো ব্যাপারই নয় । ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে ৯৮টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি । গোল করেছেন ৬২টি । যার ১৫টিই এসেছে বিশ্বকাপের মাঠে । বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনাল্ডো শেষ ম্যাচে গোল করতে পারলে ভালোই হত । দর্শকদের আশাও পূর্ণ হত । তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো । কিন্তু আগের সেই ক্ষিপ্রতা নেই বলে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি । তবে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন উজ্জ্বলতা ছিল সবটুকু সময় জুড়েই । রোনাল্ডো সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জানালেন তার ভক্তদের । ১৮ বছরের ক্যারিয়ার জুড়ে তার ভক্তরাই ছিল সবচেয়ে বড় সঙ্গী । বিদায়ী ভাষণেও তাই তাদের কথাই ওঠে আসলো । ' আপনারা আমার ফুটবল জীবনে যা করেছেন তার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ । যখন আমি কেঁদেছি , তখন আপনারাও কেঁদেছেন । যখন আমি হেসেছি , তখন আপনারাও হেসেছেন । ' ভক্তদের আবারও হাসিয়ে - কাঁদিয়েই বিদায় নিলেন রোনাল্ডো । ১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন রোনাল্ডো । এরপর বিশ্বকাপ দলে স্থানও পেয়েছিলেন । কিন্তু রোনাল্ডো রদ্রিগেজের নামের ভিড়ে তার নাম হয়েছিল রোনালদিনহো ( ছোট রোনাল্ডো ) । ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকে রোনালদিনহো নাম পিঠে নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন এই কিংবদন্তি । ব্রাজিলকে এনে দিয়েছিলেন ব্রোঞ্জ পদক । এরপর ধীরে ধীরে নিজের নামটাকে এতটা উঁচুতে নিয়ে এলেন , সবাই পেছনে পড়ে রইলো । এখন তিনি রোনাল্ডো নামেই পরিচিত । ব্রাজিলের হয়ে ফুটবল খেলতে পারায় নিজেকে গর্বিত মনে করছেন রোনাল্ডো । ' আমি ব্রাজিলের জন্য খেলতে পেরে সত্যিই গর্বিত । ' তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ( ১৯৯৬ , ১৯৯৭ , ২০০২ ) এবং দুইবারের ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ( ১৯৯৭ , ২০০২ ) এভাবেই বললেন বিদায়ী ভাষণে । এক নজরে রোনাল্ডো নাম : রোনাল্ডো লুই নাজারিও দা লিমা জন্ম : ২২ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৬ জন্মস্থান : রিও ডি জেনেরো , ব্রাজিল উচ্চতা : ৬ ফুট ওজন : ৮২ কেজি পজিসন : স্ট্রাইকার গোল : ৬২ ( আন্তর্জাতিক ) , ২৪৭ ( ক্লাব ) ক্লাব : ক্রুজেরো ( ১৯৯৩ - ৯৪ ) এইডোভেন ( ১৯৯৪ - ৯৬ ) বার্সেলোনা ( ১৯৯৬ - ৯৭ ) ইন্টার মিলান ( ১৯৯৭ - ২০০২ ) রিয়াল মাদ্রিদ ( ২০০২ - ০৭ ) এসি মিলান ( ২০০৭ - ০৯ ) করিন্থিয়াস ( ২০০৯ - ১১ ) অর্জন : বিশ্বকাপ জয় ( ১৯৯৪ , ২০০২ ) বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল ( ১৫টি ) ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ( ১৯৯৬ , ১৯৯৭ , ২০০২ ) ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ( ১৯৯৭ , ২০০২ ) বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ( ১৯৯৮ )
আমার এই এলোমেলো উদ্দেশ্যহীন লেখা পড়ে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে , আমি বিকল্প সৃষ্টির বিপক্ষে ? না , আমি বিপক্ষে নয় । বরং আমি পুরাতন ভেঙে নতুন কিছু করার পক্ষে । ভেঙে নতুন যা হচ্ছে তাও বিকল্পের বাইরে যাচ্ছে না । একটি মানুষকে নীচ থেকে দেখলে যা , উপর থেকে দেখলেও তা । শুধুমাত্র পা আর মাথার ব্যবধান । নীচ থেকে দেখলে পা দেখবেন আর উপর থেকে মাথা । সার কিন্তু একই । তাই বলি পুরানের আদলে নতুন করে যা তৈরী হয় তা পুরানই থাকে । প্রথার বাইরে মানুষ যায় না । যেতে পারেনা । চেষ্টা করাটাও অনুচিত মনে হয় ।
ঢাকা , ১৩ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডেস্ক ) : গুরুজনেরা বা আমরা প্রায়ই একে অন্যকে বেশি করে পানি পানের উপদেশ দেই । এমনকি অনেক ডাক্তারও রোগীদের একই পরামর্শ দিয়ে থাকে । বেশি পানি পান নাকি স্বাস্থ্যের . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ( টিআর বিশেষ ) প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক ) দায়ের করা মামলায় বিগত জোট সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত । নোয়াখালীর বিশেষ জজ মো . কাউসারের আদালত গতকাল মঙ্গলবার জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন । ২৩ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে । জিয়াউল হককে গত সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে আনা হয় । বিস্তারিত »
উনবিংশ শতাব্দীর সাহিত্য ও চিন্তার পালাবদলটাকে তৎকালীন বুদ্বিজীবিরা বলেছিলেন বঙীয় রেনেসাঁস । ইতালিয় রেনেসাঁসের পেক্ষাপটে বিচার করলে বঙে কোনও রেনেসাঁসই হয়নি । ইতালীয় রেনেসাঁস কেবল মাত্র সাহিত্য ও কয়েকজন ব্যক্তির চিন্তা ভাবনার ডাক নাম নয় । ইতালীয় রেনেসা৭স পরিবর্তন ঘটিয়ে ছিল সর্বক্ষেত্রে । বাঙালীর রেনেসাস হয়েছিল কেবল সাহিত্য ও কয়েকজন ব্যক্তির চিন্তা ভাবনায় । সাহিত্য ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রেও কি তারা মৌলিক ছিলেন ? ডিরোজিও কিংবা মাইকেল মধুসুদন কি আমাদের নতুন কোনও দর্শন দিয়ে যেতে পেরেছেন ? নাকি পাশ্চাত্যানুকরনকেই আমরা অভিনবত্ব বলে মেনে নেব ! রেনেসাঁস শব্দটির অর্থ পুনর্জাগরণ । ইতালীর ক্ষেত্রে এই পুনর্জাগরণ যদিও প্রাচিন গ্রীক সভ্যতার অনুপ্রেরণায় গঠিত । কিন্ত কখনই অনুকরন হয়নি ইতালীয় রেনেসাঁস সংগঠিত হওয়ার আরো অনেক কারনের মধ্যে কুরুসেড অন্যতম । কুরুসেডের ফলেই প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে ওঠে । এবং ফেরিওয়ালা শ্রেণির মাধ্যমে প্রাচ্যের প্রত্নসম্পদের সাথে ঞান বিগ্ঞানও ফ্লোরেন্সের বরায় বিক্রয় যোগ্য জিনিষ হয়ে ওঠে । এভাবেই ইতালীয় পন্ডিতদের হাতে গিেয় পড়ে আর্যভট্টের গ্রন্থ গিয়ে পড়ে কৌটলিয়াম অর্থশাস্রম । ইতারয়ি রেনেসাঁস সেই বিবেচনায় কেবল মাত্র প্রাচীন গ্রীক সভ্যতারই পুনর্জাগরণ নয় - একই সাথে মিশরীয় , মেসোপটেমিয় , ভারতীয় এবং পারস্য সভ্যতারও পুনর্জাগরণ । কিন্ত ভারতবর্যে উনবিংশ শতাব্দীতে আমরা কি দেখি ? বৃটিশ কলোনি ভারতের তৎকালিন পুনর্জাগরনের পুরোহিতরা যে সভ্যতার জাগরণ ঘটিয়েছেন তা বেদ শাসিত চতুবর্ণ ব্যবস্থার । ব্রাম্মণ্য শাসিত ভারত । যে শাসন ব্যবস্থায় সািহত্য দর্শন এবং ললিতকলার বিপরীতে বৌদ্ধ ও মুসলমানদের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে । অনিবর্যভাবেই এই দুই সভ্যতার ঞান বিঞান আবিস্কার উনবিংশ শতাব্দীতে বিপুলভাবে উপেক্ষেত হলো । অতএব দশৃন এবং সািহত্যেরে ক্ষেত্রে এই রেনেসাঁস হয়ে পড়লো সাম্প্রদায়িক । অপরদিকে এক প্রকার ধর্মীয় পনর্জাগরণ । অসামপ্রদায়িক দৃস্টিকোন থেকে যে কোনও প্রকার কাজ হয়নি তা কিন্ত নয় । রাখাল দাশ বন্দোপাধ্যায় কিংবা হরপ্রসাদ শাস্রী রা তো ছিলেনই । কিন্ত বৃটিশদের এশিয়াটিক সোসাইটিতে শেষ পর্যন্ত তাদের জায়গা হয়নি । চিত্র কলায়ও তাই । ই বি হ্যাভেলদের প্ররোচনায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যা করেছেন তাও পূর্বোক্ত বিবেচনার অধীন ।
মোঃ মনির হোসেন বাদল , পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট আনুষ্ঠানিকভাবে একক প্রার্থী ঘোষনা দিলেও কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সিদ্বান্তহীনতায় প্রার্থী চুড়ান্ত না হওয়ায় স্থবীর হয়ে পরেছে আ ' লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম । ঠিক একই অবস্থায় সাদামাঠাভাবে বিএনপি ' র প্রার্থীরা প্রচার - প্রচারনা চালালেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছে সুযোগ সন্ধানে । সব মিলিয়ে আচমকাই ঝিমিয়ে পরেছে পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারনা । এরফলে বড় দুই দলের সমর্থিত নেতাকর্মী এবং সাধারন ভোটারদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে এক অজানা রহস্যের ধুম্যজাল । পটুয়াখালী শহর আ ' লীগের সহ - সভাপতি , ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে এ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান মনিকে জেলা আওয়ামীলীগ তৃনমূল সিদ্বান্তে ঘোষনা দেয়ার পরদিন মহাজোটের অংশিদার জাতীয় পার্টি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ওই ঘোষনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন , সাথে ১৪দলের শরীকরাও এ সিদ্বান্তে শামিল হন । এরপর মহাজোটের একক প্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মনি । টানা ৪দিন ব্যাপক গনসংযোগে সন্তোষজনকভাবে সমর্থন পেলেও কেন্দ্রিয় সিদ্বান্তে ৫দিনের মাথায় আচমকা তাদের গনসংযোগে বাধাগ্রস্থ হয় বলে দলীয় সূত্র জানায় । মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনের পর হঠাৎ করে " মন্ত্রী - এমপির স্বজনরা " পৌরসভায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারবেনা কেন্দ্রীয় আ ' লীগের এমন সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলা আওয়ামীলীগ । পরপরই জেলা আওয়ামীলীগ , বনিক সমিতি ও মহাজোটের শরীক নেতৃবৃন্দ ঢাকায় চলে যায় চুড়ান্ত সিদ্বান্তের জন্য । এ খবরে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন সমর্থকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছে । আওয়ামীলীগের তৃনমূলের সিদ্বান্তে একাত্মতা প্রকাশ করা বহু নেতা - কর্মী কেন্দ্রিয় এ সিদ্বান্তে ুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন , যেকোন মূল্যে পুনরায় মনিকে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে দেখতে চায় । পটুয়াখালীতে মেয়র প্রার্থী হিসাবে তাদের সিদ্বান্তের প্রার্থী মনি ' র বিকল্প নাই বলেও জানান তারা । এদিকে স্বাচিপ সাধারন সম্পাদক ডাঃ সফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন । অপরদিকে বিএনপির অবস্থাও ঠিক একই । জেলা বিএনপি থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে যুগ্ন আহবায়ক মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্নাকে সমর্থন দিলেও অপর প্রার্থী মোঃ নাসির খান নিজেকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসাবে দাবী করে প্রচার চালাচ্ছেন । সচেতন মহলের দাবী , আ ' লীগ ও বিএনপির এই সিদ্বান্তহীনতার যাতাকলে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে যেতে পারে । সুযোগ নিতে পারে বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ পিনু অথবা ডাঃ সফিকুল ইসলাম । এ ব্যপারে পটুয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদার জানান , কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সিদ্বান্ত অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূলের বাছাইকৃত প্রার্থীকেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি । জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ - সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন , কেন্দ্রিয় বিএনপির পৌরসভা নির্বাচনী কমিটি ও জেলা বিএনপির সিদ্বান্ত অনুযায়ী মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী । অপর প্রার্থী মোঃ নাসির উদ্দিন খান যথা সময়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন । অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।
বিদেশে কারা পড়তে আসেন ? এ বিষয়ে আমার ধারণা ছিল শুধু মেধাবী স্টুডেন্টরাই এটা করতে পারেন । এক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকেই ' স্কলারশীপ ' নামক একটা জিনিস শুনতাম । অমুক খুব মেধাবী , স্কলারশিপে বিদেশে পড়তে গেছেন এমনটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম । পরে আরো শুনতে পেলাম অতো মেধাবী না হলেও টাকাপয়সা থাকলে অনেকেই বিদেশে পড়তে যেতে পারেন । তো মেধার সঙ্গে অর্থ যুক্ত হয়ে বিদেশে পড়ুয়া স্টুডেন্টদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টালো - তারা মেধাবী ( বেশি কিংবা অল্পবিস্তর ) এবং অর্থসম্পন্ন । ছাত্রছাত্রী বিদেশে পাঠায় এরকম প্রতিষ্ঠান দেখে ধারণা করতাম এরা সবাই ভুয়া প্রতিষ্ঠান । বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক স্টুডেন্টদের ভুংভাং দিয়ে টাকা মেরে দেয় । অথচ সেই আমিও একসময় ধরা খেলাম । সম্ভবত প্রথম আলোর কোনো একটা রিপোর্টে এরকম একটা অর্গানাইজেশনের নাম জানলাম যারা ফিজিতে পড়তে ইচ্ছুক স্টুডেন্টদের নানাবিধ ব্যবস্থা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন । আমার বড়ভাই গ্রাজুয়েশনের পর পর্যটন থেকে ট্যুরিজমে কোর্স করেছিলেন , এছাড়াও ছোটবেলা থেকে ফটফট করে ইংরেজি বলায় পারদর্শী , তার খুব শখ হোটেল ম্যানেজমেন্টে পড়ার । আমি খোঁজখবর নিয়ে ফিজিতে তাকে পাঠিয়ে দিলাম । এবং ধরা খেলাম । বড়ভাই ফিজির এয়ারপোর্টে নেমে জানতে পারলেন তাদের ভর্তির প্রক্রিয়ায় ভুজংভাজং আছে । ইমিগ্রেশন অফিসার তাদের তিন মাসের ভিসা দিয়ে ছেড়ে দিলেন । বলে দেয়া হলো তিন মাসের মধ্যে আবার দেশে ব্যাক করতে হবে । আমার বড় ভাই তিন মাস ফিজি ঘুরে জাপান হয়ে দেশে ফেরত আসার সময় কিভাবে যেন জাপানের দুইদিনের ট্রানজিট ভিসা ম্যানেজ করে ফেললেন । বাংলাদেশে ফোন করে বললেন , আমি দেশে ব্যাক করছি না , ইলিগ্যালি জাপানে থেকে যাব । আমার পড়াশোনা করার দরকার নাই । এবার টাকা কামাই করি . . . আমার ধারণা আরো পোক্ত হলো যে বিদেশে স্টুডেন্ট পাঠানোর প্রতিষ্ঠানগুলো আসলেই ভুয়া । সেই সঙ্গে ' অর্থসম্পন্ন মেধাবী ' দের জন্যই বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব ধারণাটি আরো বদ্ধমূল হলো । তবে বছর দুয়েক পরে ধারণাটির কিঞ্চিৎ পরিবর্তন ঘটে । ' ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স ' বলে একটা বিষয় আছে যেটার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের কোর্সে বিদেশে ছাত্র হিসেবে যাওয়া সম্ভব । বাংলাদেশে একটি টিভি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারে আমার আগ্রহ জাগে । ধুপধাপ IELTS দিয়ে 6 . 0 পেয়ে আমি কানাডার ভ্যাংকুভারে এক কলেজে এ্যাপ্লাই করে দিই দশ মাসের একটি ফিল্ম কোর্সের জন্য । কিন্তু ' ইনসাফিসিয়েন্ট ব্যালেন্স ' এর অভাবে ভিসা মেলে না । পড়াশোনার খ্যাতা পুরি বলে মিডিয়ায় আরো ব্যস্ত হয়ে পড়ি । যখন লন্ডনে এলাম তখন আমি কল্পনাও করি নাই আমার চারপাশের সবাই ছাত্রছাত্রী হবেন । এদের অনেকই তেমন মেধাবী নন ( এসএসসি - ইন্টারের রেজাল্ট আমার চেয়েও খারাপ ) , অর্থসম্পন্নও নন । বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র ( বিশেষত ব্যাংক ব্যালেন্স ) দেখিয়ে তারা ভিসা পেয়েছেন । বাংলাদেশী ( সেটলার আর ব্রন - ব্রটাপ বাঙালি ছাড়া ) যাকেই জিজ্ঞাসা করি সবাই বলে তারা পড়ছেন । কিসব বড় বড় নাম তাদের কোর্সের ! কেউ কেউ ৮ / ১০ বছর ধরে পড়ছেন , পিএইচডি করছেন । পিএইচডি শুনে আমার চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে উঠে - লাইব্রেরি থেকে বের হচ্ছে কোনো ছেলে , বগলে আর হাতে বই । সকাল বিকাল টিচারের সঙ্গে মিটিং , হস্টেল রাত জেগে পড়ার টেবিলে ঘন ঘন চা খাওয়া , বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কম দেয়া । দেশি বিদেশী জার্নাল ঘাটা , ইউসিসি - বৃটিশ কাউন্সিলে ঘন ঘন আসাযাওয়া । অথচ লন্ডনের পিএইচডির স্টুডেন্টরা দেখি কলেজেও যায় না । কি মেধাবী ! ! ! যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করেন না । শতাংশের হিসেবে হয়তো ৫ % হবে যারা সিরিয়াসলি পড়াশোনা করেন । এই সংখ্যার বাইরে অন্যান্য বাংলাদেশী স্টুডেন্টরা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এলেও তাদের মূল টার্গেট পড়াশোনার নামে অর্থ উপার্জন । বিভিন্ন ভিসা কলেজ ( যাদের অনেকগুলোর মালিক হচ্ছেন বাংলাদেশীরা ) তাদের ভর্তি করে নেয় , নির্ধারিত ফি নিয়ে ক্লাসে উপস্থিতির হার ঠিক রাখে , হোম অফিস ছাড়াও বিভিন্ন ইনকোয়ারির সময় ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইনফরমেশন দিয়ে সন্তুষ্ট রাখে কর্তৃপক্ষকে । ওদিকে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন অডজব করে অর্থ উপার্জন করছেন । এসব ভুয়া ভিসা কলেজে পড়তে আসা স্টুডেন্টদের বেশির ভাগেরই ( ধারণা করি ৮০ % ) দেশে গ্রাজুয়েশন কিংবা মাস্টার্স সম্পন্ন করা আছে । দেশে চাকরি না পাওয়ার কারণ ছাড়াও পারিবারিক অস্বচ্ছলতা কাটানোর জন্য তারা বিদেশের এই ' হায়ার স্টাডি ' কে বেছে নিয়েছেন । সোজা কথা হলো , কিছুটা পড়াশোনা করার কারণে , মধ্যপ্রাচ্যের শারীরিক শ্রমের কাজে লজ্জিত হয়ে , অর্থ উপার্জনের জন্য ছাত্র সেজে তারা বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন । যাই হোক , এই গ্রাজুয়েশন - মাস্টার্স সম্পন্ন স্টুডেন্টদের পাশাপাশি কিছু বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ( ছাত্রী বেশি ) আছেন যারা ইন্টার পাস করেই চলে এসেছেন অথচ পড়াশোনা করছেন না । তাদের জন্য আমার করুণা ছাড়া কোনো সহানুভূতি নেই । কারণ আমি দেখেছি এ টাইপের স্টুডেন্টদের বাংলাদেশে আর্থিক সঙ্গিত বেশ ভালো পর্যায়ে আছে । তাই তারা যখন পড়াশোনা করেন না তখন আমি তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে উদাসীন থাকি । পাশাপাশি যারা পড়াশোনা না করে অর্থ উপার্জন করছেন তাদের সাপোর্ট করি । স্টুডেন্ট হিসেবে যুক্তরাজ্য কেন পছন্দের তার কয়েকটা কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে । ( কারণগুলো বর্তমানের রিসেশনের আগে ভাবতে হবে ) স্টুডেন্ট অথচ পড়াশোনা সিরিয়াসলি করছেন না কেন জানার জন্য অনেক স্টুডেন্টদের সঙ্গে কথা বলেছি । প্রত্যেকের মনেই একটা সুপ্ত ইচ্ছা রয়েছে সুযোগ আর সাধ্য মিলিয়ে তারা একসময় পড়াশোনাটা সিরিয়াসলি করবে । তবে এখন কেন পড়াশোনা করছেন না তার প্রধান কারণ পারিবারিক অস্বচ্ছলতা হলেও আরো কিছু কারণ রয়েছে । এসব কারণ বিবেচনা করে আমারও মনে হয়েছে পড়াশোনা না চালিয়ে এই অর্থ উপার্জন খারাপ কিছু না । পরিবারে একটু সুখের জন্য , বোনের বিয়ে দেয়ার জন্য হাড় কাপানো ঠান্ডায় পত্রিকা বিলি কিংবা সারারাত জেগে টেসকো , সেইন্সবারিতে মাল টানাটানি করার পর পড়াশোনা হয়ে উঠে না । করার দরকারও নাই । বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের পরেই বোধহয় ইউরোপ তথা ইংল্যান্ডের স্থান । এখানকার বৃটিশ বাংলাদেশী ছাড়াও বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের বড় অবদান রয়েছে এক্ষেত্রে । তবে যুক্তরাজ্যে ধীরে ধীরে স্টুডেন্টদের সুযোগ সুবিধা কমে আসছে । ধারণা করা হচ্ছিল ২০১২ এর অলিম্পিকের কারণে বৃটিশ সরকার আরো বেশি স্টুডেন্টদের এদেশে আসার সুযোগে ছাড় দেবে । কিন্তু বিশ্বের এই সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় হিসেব উল্টে গেছে । বৃটিশ সরকার হন্তদন্ত হয়ে এখন স্টুডেন্টদের দেশ থেকে তাড়ানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় চাকরুচ্যুত বৃটিশরা যে কোনো নিয়োগে তাদের কথা প্রথমে চিন্তা করার জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিটিং মিছিল করছে । স্টুডেন্টদের ভিসা রিনিউয়ের নিয়মকানুন কঠোর হয়েছে । প্রায়ই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রেইড দিয়ে স্টুডেন্টদের ডিপোর্ট করা হচ্ছে । গ্রাজুয়েশনের পর স্টুডেন্টদের জন্য দুইবছরের ওয়ার্ক পারমিটি যা ' আইজিএস ' নামে পরিচিত সেটা দেয়া হয় । এর লোভে অনেকেই ভুয়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন দেখিয়ে এই আইজিএস নিয়েছিল । কিন্তু এসব বিষয়ে তদন্ত হওয়া শুরু হয়েছে । আইজিএস প্রাপ্ত অনেক বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এতে ফেঁসে যাচ্ছেন । যারা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে আসতে চান তারা বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন । আপনি যে ইউনিভার্সিটি / কলেজে ভর্তি হচ্ছেন যাচাই করে নেবেন সেটা বৃটিশ হোম অফিস কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কিনা । নতুবা এয়ারপোর্টে আপনাকে বিপদে পড়তে হবে । ইংল্যান্ডের বাজারে এখন জবের খুবই আকাল । পাউন্ডের মান পড়ে গিয়েছে । বাড়িভাড়া প্রবল কারণ মর্টগেজ তোলার জন্য বাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন । আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থেকে সিদ্ধান্ত নিন । কেননা আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার সহ পরিবারের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হতে পারে ।
আমি একজন ছাত্রী । পড়ি ক্লাস এইটে । লেখালেখি করা আমার ভীষণ পছন্দ । আমি ছড়া , গল্প লিখি । পত্রিকায় নিয়মিত লিখি । লেখালেখি করে বেশ কয়েকটা পুরস্কারও পেয়েছি । শিশু অধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ( প্রিণ্ট মিডিয়া ) পর পর ৩ বার জাতিসংঘ - ইউনিসেফ - এর মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড পেয়েছি । এছাড়া , প্রথম আলো থেকে , মাসিক সাতরং থেকে , ঐতিহ্য - গোল্লাছুট ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উতসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছি । ব্লগ আমার কাছে একটা বিশাল লাইব্রেরির মতো । অনেক কিছুই শেখা যায় এখান থেকে । ব্লগ পড়তে আমার খুব ভাল লাগে । আমি পড়ালেখার ফাঁকে যখনই সময় পাই তখনই ব্লগ পড়ি আর মাঝেমধ্যে লিখি । আমি আশা করি যারা ব্লগে লিখেন তাঁদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারবো ।
সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের সংবিধানে সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে দুই - তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে লেনিন , মাও সে তুং , ফিডেল ক্যাস্ট্রো জনবিরোধী কোন কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন ? শেখ মুজিব তার শাসনামলে গৃহিত সংবিধানের মৌলিক নীতি পরিহার করে বাকশাল গঠন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেন । বিশেষ ক্ষমতা আইন করতেই পারা যেতো না যদি ২য় সংশোধনী না আসতো । শুধু তাই নয় , পরবর্তী সরকারগুলোর শাসনামলেও একইভাবে কালাকানুন জারি করা গিয়েছে ঐ সংশোধনী ব্যবহার করে । ' ৭২ এর সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে ধমর্ভিত্তিক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল যা ৫ম সংশোধনীতে বাতিল করা হয় । সংবিধানে এখন ১১ ন ! অনুচ্ছেদ এর পরে ১৩ নং অনুচ্ছেদ পাওয়া যায় । ' ৭২ এর সংবিধানের গণতান্ত্রিক বিধিবিধান অক্ষুন্ন রেখে জনগণের অধিকার সম্প্রসারণের প্রশ্নে ২য় সংশোধনী কতটুকু অবদান রেখেছে ? কিংবা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রেই কি কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সংবিধানে এসেছে ? তারপরও কথা আছে । সোভিয়েত ইউনিয়নে সংবিধান নিয়ে ৬ লক্ষ সভার আয়োজন করা হয়েছিলো জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য থেকে । বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন বাদ দিলাম , সংবিধানের ২য় সংশোধনী যা ' ৭২ এর সংবিধানে ছিল না তা কি জনগণকে সম্পৃক্ত করে সংসদে গৃহিত হয়েছিল ? বাসদবিরোধী অবস্থান নিতে গিয়ে আপনার অবস্থান আওয়ামী লীগের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোন প্রচেষ্টা আমার ছিল না । বরঞ্চ চিন্তার বিভ্রান্তি যে কোন ব্যক্তির অবস্থান কোন না কোন পক্ষে নিয়ে যেতেই পারে । বাসদের রজনীতির কৈফিয়ত দেয়ার জায়গা এটি নয় । তবে এটুকু বলতে পারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ধমর্ভিত্তিক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে সর্বোপরি সেক্যুলার চিন্তার বিস্তারে দলগতভাবে বাসদ নেতৃত্বদানকারী ভূমিকায় রয়েছে যার বিকাশ ব্যতিরেকে একটি সেক্যুলার সমাজ প্রবর্তন বাংলাদেশে অসম্ভব বলেই মনে হয় । বাসদ সফল হবে কি হবে না সেটি সময়ই বলবে । এখানে আমার ব্যক্তিগত মতকে বাসদের মত বলে ভুল বোঝার অবকাশ নেই । আপনার শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ । আমি লেখকও নই । নির্মাণ গ্রুপ এ আছি বলেই মতামত রাখছি ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাধানিষেধ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন . মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির বিবৃতি অনুযায়ী , উত্তর কেরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক , কারণ কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক বস্তু প্রসারের ঝুঁকি বজায় রয়েছে . ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ জুনিয়ার ঘোষণা করেন যে , ওয়াশিংটন একতরফাভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বহির্বাণিজ্যিক বাধানিষেধ বাতিল করছে . একই সঙ্গে বুশ উল্লেখ করেন যে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রবর্তিত একসারি একতরফা বাধানিষেধ বলবত্ থাকছে . বিশেষ করে , ২০০০ সালের ১৬ই জুন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা উত্তর কোরিয়ার শেয়ার অচলাবস্থায় রাখা হয়েছে .
আপনি কি মুভি ডাউনলোড করেন ? যদি ডাউনলোড করেন তাহলে রিপারের নামটা ( যেমন aXXo , DoNe , FLAWL3SS , FXG , FXM , BrG , IcTV ) দেখে নেবেন । এবার সাবটাইটেলটার নামে ঐ রিপারের নাম দেখে ডাউনলোড করবেন . . তাহলেই আগেপরে হবে না । ( y )
যাহোক এই হুন্ডি প্রবণতা বন্ধ করা দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন । দেশের মানুষের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের কাজে লাগাতে হবে । এজন্য প্রবাসীদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করতে হবে । এজন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে । প্রবাসীদের পাঠানো টাকা উৎপাদনশীল ও লাভজনক খাতে যথাযথভাবে বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা সরকারি ভাবেই উদ্যোগ নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে । এটা আরো আগেই করা উচিত ছিলো । কিন্তু করা হয়নি । এখন করাটা একেবারেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে । দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল করার স্বার্থেই প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বেলায় উৎসাহ ব্যাঞ্জক প্রনোদনার ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি । সম্পাদক
ঢাকা , ১১ জুলাই : বিশ্বের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা । তারা বলেন , অধিক জনসংখ্যার কারণে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে পড়ছে । সোমবার . . . বিস্তারিত »
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রোম সংবিধির নীতিমালার আলোকেই আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার পরিচালনা হবে । অথচ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বলেছেন এটি ' ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল ' । রেজিস্ট্রারের এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর প্রমাণ করছেন । আমরা ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল হিসেবে রেজিস্ট্রারের বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছি । তিনি বলেন আন্তর্জাতিক নামের এই ট্রাইব্যুনালের বিচার হলে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে । যদি এটাকে দেশীয় ট্রাইব্যুনাল হয় , তাহলে অভিযুক্তকে তার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার প্রদান করতে হবে । কারণ আটক ব্যক্তিরা এ দেশের নাগরিক । সংবিধান অনুসারে দেশের ১৬ কোটি মানুষ সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রাপ্য হলে অভিযুক্তদেরও এই মৌলিক অধিকার দিতে হবে । তিনি বলেন ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল হলে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার , প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধি , সাক্ষ্য আইন প্রয়োগ করতে দিতে হবে ।
লেখক বলেছেন : কবিতার তো একটা সুর আছে বটে কিন্তু আপনি কবিতার সুর বলতে কোন অর্থে বলেছেন আমি বুঝতে অপারগ । পুরানো পোস্ট যখন কেউ খোজ নিয়ে পড়তে আসে তখন খুবই ভালোলাগে । আমার মনে হয় সেই প্রকৃত পাঠক , অনুসন্ধান রাখে । নতুন পোস্টের কবিতা পাঠের অনুরোধ রইলো । সময় সহায় হোক । ।
শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ পরোয়া করেন না অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন , আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে । সেই ১ / ১১ ' র সরকারের আমলেও আমার নামে নানা অভিযোগ আনা হয়েছিলো । অথচ সেই সময় কিন্তু দুর্নীতি মামলার মূল আসামি হয়েও আমি খালাস পেয়ে এসেছি । তাই আমি এসব অভিযোগের পরোয়া করি না । বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ৩৬তম বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন । কামাল বলেন , আমি নির্দোষ এটা আমি বলবো না । কিন্তু পারলে প্রমাণ করুন । তবেকি উঁনি আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধ করেছেন , আর ক্ষমতার দাপটে হাতে তুরি দিয়ে হাসতে হাসতে পার পেয়ে যাবেন এটাই বুঝাতে চেয়েছেন ? উঁনি যাই বুঝাতে চান আমি তাই বুঝেছি । তবে আমিও বলে রাখি , আল্লাহ তা " আলা দাম্বিকতা পছন্দ করেন না । সরকার যেন তাদের দ্রুত আইনে বিচার করেন অথবা করুন পরিনতির জন্য নিজেকে তৈরি রাখেন . . . . . . . . ।
ডিউরডান্ট শিমুল বলেছেন : জি ভাই , সবাই একসাথেই থাকতে হবে ।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই শিক্ষক আরো বলেন , উপস্থিত শিক্ষকরা ঘটনাটি কলেজে সমাধান করতে পারত । কারণ হিসেবে তিনি জানান , হাতাহাতির পরে উভয় নেতাই কিছু সময় অধ্যক্ষের কক্ষে বসা ছিলো । অধ্যক্ষ উদ্যেগ নিলে এই ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়াত না ।
অনন্য রায়হান আরো বলেন যে তাঁরা এই সেবা আরো সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছেন , এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের জীবনে সূদুরপ্রসারী পরিবর্তন আনা সম্ভব ৻
ক্রান্তিকালের নির্বাচন ও গণবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্ররক্ষকেরা ফকির ইলিয়াস - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - একটি রাষ্ট্রের রক্ষক কিংবা ত্রাতা কখনই কোন ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী হতে পারে না । একটি দেশে তার নিজস্ব প্রকল্পের পরিভ্রমণ থাকে । প্রজন্ম বেড়ে ওঠে । যোগ্য নেতৃত্ব সামনে এগিয়ে আসে । এক সময় তারা রাষ্ট্রের নেতৃত্বভার গ্রহণ করে । এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়ম । এই নিয়ম থেকে ব্যত্যয় যে ঘটে না তা বলছি না । কিন্তু মানুষের অগ্রসরমাণ চেতনাকে দমিয়ে রাখা যায় না । উচিতও নয় । একটি দেশে দু ' চার শ ' দুর্নীতিবাজ নেতা নির্বাচন করতে না পারলে সে দেশের রাজনীতি থমকে থাকার কথা নয় । কারণ প্রতিটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বলয় থাকে । সামনের সারিটি ব্যর্থতার জন্য কুপোকাত হলে পেছনের সারি সামনে চলে আসে এবং দায়িত্ব নেয় । দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় । বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তেমনি নানা মেরুকরণ হচ্ছে । দেড় দু ' শ ' নেতা এমপি পদে প্রতিদ্বëিদ্বতা করতে পারবেন না বলে সংবাদ বেরুচ্ছে পত্রপত্রিকায় । কেন তারা নির্বাচনের মাঠে খেলোয়াড় হতে পারবেন না তা কারও অজানা নয় । এরা হয়তো দণ্ডিত । না হয় মামলার সম্মুখীন । দেশের নির্বাচনী আচরণবিধিকে সম্মান করলে তাদের উচিত নিজে থেকেই সরে দাঁড়ানো ; কিন্তু তারা তা হয়তো করবেন না । তাই বাধ্য হয়েই তাদের অকার্যকর করে দেয়ার কথাটি আসছে । কথা হচ্ছে যারা দুর্নীতিবাজ বলে প্রমাণিত তারা আবার জনপ্রতিনিধি হতে যাবেন কেন ? তারা তা হতে চান নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য । এ জন্য তারা মরিয়া । মারমুখো হয়ে নানা ধরনের জঘন্য আচরণ করছেন প্রকাশ্যে । টিভিতে একটি সচিত্র প্রতিবেদন দেখলাম । বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন পিন্টু একজন জেল পরিদর্শকের ওপর চড়াও হয়েছেন । নাছির আহমেদ নামক এই পুলিশ অফিসার প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , পিন্টু তাকে ঘুষি মেরেছেন । কি বর্বর আচরণ । কি জঘন্য হীনম্মন্যতা । জেলে থেকে যে রাজনীতিক এমন আচরণ করতে পারছে বেরিয়ে এলে তার আচরণ কেমন হবে ? এ রকম নেতাই আজ বিএনপি থেকে ভোটে দাঁড়াতে চায় । এরাই হতে চায় এই দেশ এই জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষক ? এমন নানা কঠিন এবং জটিল প্রশ্নগুলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ । দেশের একটি প্রধান দল বিএনপি খাবি খাচ্ছে তাদের নিজেদের তৈরি জলাশয়ে । কারণ তারা এমন কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না । যে দানবতন্ত্র বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল সেসব দানব এখন দলছুট । কেউ বিদেশে , কেউ পলাতক , কেউ জেলে , কেউ গণবিচ্ছিন্ন । এসব রাষ্ট্ররক্ষক নামের দানবরা জেলে থেকেই যে কতটা ভয়ঙ্কর সেটাই প্রমাণ করেছে পিন্টু নামের সাবেক সাংসদ । বিএনপি আসলে কি চাইছে ? তারা কি চাইছে তাদের সেই পরিকল্পিত নির্বাচন ? যদি তা না হতো তবে তারা একের পর এক দাবি দিয়ে মাঠ ঘোলা করার চেষ্টা করছে কেন ? তাদের দাবি মেনে মনোনয়নের মেয়াদ বাড়ানোর পরও খন্দকার দেলোয়ার ' সাজানো ' পাতানো নির্বাচনের গ খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন ? বিএনপির সন্দেহকে পাকাপোক্ত করা হয়েছে শেখ হাসিনার ১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনের জোর দাবির মাধ্যমে । শেখ হাসিনা কিছুটা বেশি আগে বেড়ে এমন দাবির সীলমোহরটি না মারলেও পারতেন । কেউ না এলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে কিংবা ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন হতেই হবে এমন দৃঢ় দাবির মাধ্যমে শেখ হাসিনা অদ � রদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই আমি মনে করি । কারণ এটা ধ্রুব সত্য , কেয়ারটেকার সরকার তাদের হিসেব না মিললে সহজে নির্বাচন দেবে না । আর বিএনপিবিহীন নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হবে ক্ষণস্খায়ী । তাই বিএনপিকে নিয়েই নির্বাচন করতে আগ্রহী সরকার । এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার উচিত ছিল , পরিস্খিতি গভীর পর্যবেক্ষণ করে বরং নিজের দলও জোটকে আরও সংগঠিত করা । তা না করে শেখ হাসিনা তদারকি সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেন অগ্রণী হতে চাইলেন তা বোধগম্য নয় কোন মতেই । নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নতুন নতুন যোগ - বিয়োগ লক্ষ্য করছি আমরা । জামিন না দিয়ে নিজামী , মুজাহিদ সাইফুর রহমানকে জেলে পাঠানো হয়েছে । লক্ষ্য হচ্ছে এদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখা । তারা আবার জামিনে বেরিয়ে আসবেন কিংবা সহজেই জামিন পাবেন ঘটনাবলীর চলমানতা আপাতত সে সাক্ষীই দিচ্ছে । এদিকে ড . কামাল , বি চৌধুরী , কাদের সিদ্দিকীরা নতুন ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন । প্রশ্ন হচ্ছে , তাদের প্রস্তাবিত ফ্রন্টের সব দল মিলিয়ে দেশে তাদের জনপ্রিয়তা কত শতাংশ ? প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও এমন জেলা আছে যেসব জেলার মানুষ বিকল্প ধারা , গণফোরাম কিংবা কল্যাণ পার্টির নামও জানে না । তা হলে তো সংস্কারের নামে এসব ফন্সন্টবাদীরা বরং ডানপন্থী মোর্চার পারপাসটাই সার্ভ করছেন । যোগ্য প্রার্থী দেয়ার নামে কিছু ভোট কেটে নিয়ে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদীদের বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছেন । তারা সমমনা বড় দলের মোর্চায় যোগ দিয়েই বরং এই ক্রান্তিকালের নির্বাচনটি পার হতে পারতেন । তারা তা করছেন না । যা জাতির জন্য মোটেই কল্যাণকর নয় এ মুহ � র্তে । দুদক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী বলেছেন , জামিন পাওয়া আর মামলা থেকে অব্যাহতি এক কথা নয় । দুদক চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করে বলেছেন , তারা আসামিদের প্রমাণপত্র সাপেক্ষে সুবিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন । কিন্তু আমরা দেখছি প্রধান দুই নেত্রীকে প্রায় সবক ' টি মামলা থেকেই ক্রমশ অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে । তাহলে বাকিদের ব্যাপারে কি হবে ? তা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র । দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড . আবুল বারকাত নিউইয়র্কে বলেছেন , ওয়ান ইলেভেন মূলত ছিল আমাদের কোমর ভেঙে দেয়ার একটি প্রচেষ্টা । হঠাৎ করে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে রাজনীতি স্খবির করে দেয়া মাত্র । কার্যত সেটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে । এবং এর রেশ ধরে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও সংশয়ে ভুগছে দেশবাসী । মানুষ এটাও লক্ষ্য করছে , ব্যারাকঘেঁষা এক শ্রেণীর মুখপাত্র সাংবাদিক ইতোমধ্যে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ' খোলা সুপারিশ নামা ' ও পেশ করতে শুরু করেছেন । তা হলে কি এই ক্রান্তিকাল দীর্ঘ করার কোন গোপন ইচ্ছে কোথাও লালিত হচ্ছে ? দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন । দেশের প্রজন্মকে বাড়িয়ে তোলার জন্য গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন । জরুরি আইন কখনই কোন রাষ্ট্রে স্খায়ী সমাধান দেয় না , দিতে পারে না । জরুরি আইন গণবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্ররক্ষকদের মানুষের কাছে চিহ্নিত করে যায় । আর মানুষ তা থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে শেখে । নিউইয়র্ক ১১ , নভেম্বর ২০০৮ - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - দৈনিক সংবাদ । ১৪ সেপ্টম্বর ২০০৮ শুক্রবার প্রকাশিত
লেখক বলেছেন : আসলেন তো ভাল করলেন । এবার বসুন । দেখি আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে পারি কি না !
১৯ বছর বয়সে তিনি উনিফেরসিটেট ভিয়েন - এ ( ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় ) পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে ভর্তি হন । সেখানকার পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট মাত্র ১৪ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল , প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডপলার ক্রিয়ার আবিষ্কারক বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান ডপলার ( ১৮০৩ - ৫৪ ) । [ ৩ ] উনিফেরসিটেট ভিয়েন অস্ট্রিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি , এটি সে সময় যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত । বোলৎসমান যখন এখানে আসেন তখন আনড্রিয়াস ফন এটিংসহাউজেন সবেমাত্র পরিচালকের পদ ত্যাগ করেছেন , নতুন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন ইয়োসেফ স্টেফান ( ১৮৩৫ - ৯৩ ) । বেশ কম বয়সেই স্টেফান পরিচালক হয়েছিলেন এবং পরে বিকিরিত তাপ ও তাপমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কারের জন্য অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । [ ৬ ] স্টেফান তার শিক্ষার্থীদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কথাবার্তা বলতেন , এই গুণটি বোলৎসমান খুব পছন্দ করেন । স্টেফানের মৃত্যুর পর এক শোকবাণীতে তিনি লিখেছিলেন ,
লিখতে লিখতে মাথা ব্যাথা কমে এসেছে , কিন্তু জ্বর বাড়তেছে । নো প্রবলেম - আমি কি আর কাওরে ডরাই ভাংতে পারি লোহার কড়াই ।
আর ভাবতে ভালই লাগছে , এই ১০৫ কোটি ডলারের মধ্যে আমার ৩০ ডলার আছে
পোষ্ট করেছেন : ৪১ টি মন্তব্য করেছেন : ১৯৮২ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ৭ মাস ১৩ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ৩৮২৭ বার
ভাবুন দেখি একটা মাঝারী আকারের স্ক্যান করা উপন্যাস যদি ৪০ এমবি জায়গা নেয় তখন কেমন লাগে ? : rolleyes :
আমাদের চার পাশে যা আছে তা নিয়েই গঠিত হয় পরিবেশ । ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় পরিবেশের প্রতি যে গুরুত্বারোপ করেছে যা অন্য কোন ধর্মে নেই । পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের অবদান অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ । তাই ইসলামে বৃক্ষ রোপণ ও পরিচার্যার গুরুত্ব দিয়েছে সবচেয়ে বেশী । আধুনিক বিশ্ব পরিবেশ বিজ্ঞানিরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে , পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের বিকল্প নেই । অথচ আজ থেকে ১৪ শত বছর আগে মহানবী ( স . ) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে গেছেন , যা নিম্নের আলোচনা দ্বারা সহজেই অনুধাবন করা যাবে । পানি ব্যতিত কোন প্রাণী যেমন বাঁচতে পারে না তেমনি বৃক্ষ ব্যতিত মানুষ এক মুহূর্ত চলতে পারবে না । মানুষ প্রতি সেকেন্ডে গ্রহণ করছে অক্সিজেন আর এই অক্সিজেনের যোগান দিচ্ছে বৃক্ষ । আবার বনি আদম যে কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করছে তা গ্রহণ করছে বৃক্ষ । ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে । অন্যথায় গোটা পৃথিবী কার্বনডাই অক্সাইড দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যেত । ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ত এই সুন্দর পৃথিবী ।
নাহজুল বালাগা যে , একটি সুন্দর সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে তার ভূমিকা প্রথম পর্যায়ে রয়েছে , সমাজের বিশেষ ও সার্বজনীন বিষয়বস্তু সেটাতে প্রচুর । আসলে নাহজুল বালাগা সকল উন্নতি , অবনতির পথ , সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যর আয়না স্বরূপ ।
নিউইয়র্ক থেকে এনা : মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ' বাহাত্তরের সংবিধান : প্রেক্ষাপট আজকের বাংলাদেশ ' শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা বলেছেন , বাংলাদেশ হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে । ঐক্য পরিষদ দেশে গণতন্ত্র চায় এবং রাষ্ট্র হতে ধর্মের পৃথকীকরণে বিশ্বাসী । ঐক্য পরিষদ আরো বিশ্বাস করে ' ধর্ম যার যার , রাষ্ট্র সবার । ' গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীনতার চেতনা উজ্জীবিত রাখতে এবং ধর্মনিরপেক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাহাত্তরের সংবিধান পুণ : প্রবর্তণের বিকল্প নেই ।
তার চেয়ে বরং প্রজন্মের টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স - এ " এমন কোন পোস্ট করা যাবেনা যা জামায়াত - শিবিরের পক্ষে যায় " - এ রকম একটি ধারা যুক্ত করা যেতে পারে ।
বাইরে বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন । ভাবছি ইমারতের নম্বর সেইভ করে কি লাভ হয়েছে ! অন্য একদিন যে গোলাম মুস্তাফার সাথে পরিচয় হয়েছিল , সেও তো বিদায়ের সময় বলেছিল , হারিয়ে যাবেন নাতো ! কিন্তু আমি তার সাথে তো আর দেখা করিনি ! আদৌ কি করবো ! এই ইমারতের সাথেই বা কি আর কখনও দেখা হবে , তাকে কি কারণে প্রয়োজন !
আজ ছাত্রলীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি - সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন । উভয় পদের জন্য যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তারা যে কোনো একটি পদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন । বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে । ১০ - ১১ জুলাইয়ের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার মনোনয়নপত্র বিতরণ শেষ হয়েছে । সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওলাদ হোসেন তিতু জানান , ২৫০টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে । এর মধ্যে সভাপতি পদে ৭৮ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে । তবে কেউ কেউ দুটি পদেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন । তারা যে কোনো একটি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন । গতকালই সর্বাধিক ১৩৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা আবু হানিফ , এনামুল করিমসহ বিভিন্ন জেলা ও কলেজ শাখার নেতারা গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন । নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই - বাছাই সাপেক্ষে ৫ জুলাই খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে । ৬ ও ৭ জুলাই প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন অথবা সশরীরে হাজির হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন । ৮ জুলাই চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে ।
কালে আরও কত কি শুনব . . . . . . . ? হয়ত একদিন এ কথাও শুনতে পারি যে , সাজেদা চৌধুরী বলছেন তিনি নিজেও মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন . . . . . . তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা । তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই । এ দেশে এখন এটা স্বাভাবিক ব্যপার । দেখলেননা নতুন ১লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা যোগ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ।
- বাসায় লিনাক্স পি . সি . তেও ওপেন অফিস আছে বাই ডিফল্ট । কাজেই দুই পিসিতেই কম্পাটিবল ফাইল ফরম্যাট - এখন বিদেশী প্রফেসরের পয়সায় এম . এস . অফিস ব্যবহার করতে পারছি । কিন্তু সময় আসছে লিনাক্স তথা ওপেন সোর্সে যোগ দেয়ার । কারণ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকি পাইরেসি থেকে দুরে থাকতে চাই । আস্তে আস্তে এতে অভ্যস্থ হচ্ছি , যেন সামনে হঠাৎ করে কপিরাইট আইন প্রণেতাগণ এটা কঠোর হাতে প্রয়োগ করলে যাতে বাটে না পরি ।
1 . ৩০ বছরেও সিংড়ার গ্যাসকূপ পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি 2 . নারীর ক্ষমতায়নে সরকার কাজ করছে : আহাদ আলী সরকার 3 . সিংড়ার ১২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ১০ এবং বিএনপি ২টিতে জয়ী 4 . বড়াইগ্রামে শিশু অপহরণের চেষ্টাকালে মহিলা আটক 5 . সিংড়ায় বিএনপি নেতাকে অপহরণের অভিযোগ
বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রায় মানুষের রয়েছে । তবে কেউ ইচ্ছে করে আর কেউ ইচ্ছে না করেও বৃষ্টিতে ভেজে । গত ২৮ মে আমার জীবনে ঘটে গেল তেমনি একটি ঘটনা । রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গণেশ পাগলের কুম্ভ মেলা । সেই মেলা দেখতে এসেছিল বাংলাদেশ সরকারের তিন মন্ত্রী ও লক্ষ লক্ষ মানুষ । মন্ত্রী আসবে বলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম ভিড় বেশি । তাই আমাকে হেঁটে হেঁটে যেতে হয়েছে বহুদূর । মেলার শুরুতে অর্থাত্ দুপুর বেলা নেমে এলো বৃষ্টি । বৃষ্টির ভিতরে আশ্রয় নিলাম একটা পলিথিন মাথায় দিয়ে । শুধু আমি না , উপস্থিত সকলকে প্রায় ভিজতে হয়েছে পলিথিনের ছায়া মাথায় নিয়ে । চারপাশ বৃষ্টির পানিতে ও কাদায় ভরে গেল । মেলার মধ্যে এই প্রথম পদার্পণ আমার । আমি এর আগে কখনো ওই মেলায় যাইনি । বৃষ্টির ফলে মেলার পরিস্থিতি নষ্ট হলেও বৃষ্টিটা বেশ মজাদার হয়েছিল ।
আমি নিজে সব সময়েই শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে । এই যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায়নের পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরামহীন অপকান্ড চলছে , তারপর ও আমি ছাত্র রাজনীতির পক্ষে । তবে আমার সেই রাজনীতি তথাকথিত রাজনীতি নয় । বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনে যে ছাত্র রাজনীতি চলছে সেটাকে আমি ছাত্র রাজনীতি না বলে ছাত্র অপ - রাজনীতি বলতেই বেশি পছন্দ করবো । কেন সেটা অপ - রাজনীতি তা আমার নিজ চোখে দেখা অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।
প্রজন্ম ফোরাম » বিবিধ » নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল ও তাদের প্রতীক
কাউন্টার লজিকের ব্যাপারটা আপনি নিজে আয়ত্ব করতে পেরেছেন কিনা সেটাই এখন আমি ভাবছি ! উপরে আমার মন্তব্যের যে তর্জমা এবং তফসির করলেন তাতে এমন ভাবা স্বাভাবিক !
মানবতাবাদী নাস্তিক বলেছেন : @ সত্যই সুন্দর , ভালোই বলসেন । আপনার কথা শুইন্না বুঝলাম যে ৪টা বিয়া করলে কোনও সমস্যা নাই কিন্তু live together করলে প্রব্লেম । ওহ ওহ আপনি তহ বলেছেন আল্লাহর ইবাদাত করলে কোনও লাভ নাই এটা শুনে তহ বুঝা গেলো আপনি এটাও বুঝাতে চান নাই । আচ্ছা ভাই তাহলে বলেন live together এ সমস্যা কই ? যার সাথে আমি সারাজীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিছি তার সাথে কয়েকদিন থাকলে সমস্যা কথায় ? কোনও সমস্যা নাই বরং লাভ আছে । তার সাথে সারাজীবন থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নাকি তা prove হয়ে যায় এর ফলে পরবর্তীতে divorce , পরকীয়া সংক্রান্ত জিনিষ জীবনে আসে নাহ এবং তাদের বাবুদের জীবনও ভালো ভাবে কাটে । আমার একটা বন্ধু আট বছর প্রেম করে বিয়ে করে ১৫দিন পর divorce নিছে । বিয়ার আগে যদি তারা live together করতো তক্ষনি বুঝে ফেলতো যে এই মানুষটার সাথে আমার সারাজীবন থাকা সম্ভব নাহ তাহলে আর divorce জিনিষটা আসে নাহ । আর যারা সমাজের ভয়ে অথবা পারিবারিক কারনে divorce নিতে পারে নাহ তাদের তহ সারাজীবন secrifice করে কাটাতে হয় । আর আমি বুঝি নাহ বিয়া নামের কয়েকজনের sign করা পেপারে এতো আস্থা কই পান । ঠিকই তহ বললেন আল্লাহর ইবাদত করে লাভ নাই তাইলে তার বানানো বিয়া প্রথাতে আপনার এতো বিশ্বাস কোত্থেকে আসে ? ? ? ? ? ? ? ?
সুরঞ্জনা বলেছেন : ধন্যবাদ তির্যক । কোনো কিছুই অতিরঞ্জিত বা মনগড়া লিখছিনা । তখন রাজনীতি কি তা জানতাম না । তবে যতটুকু জেনেছিলাম , তা ঠিকই আসবে ।
অথৈ সাগর বলেছেন : আসুন সবাই মিলে চেস্টা করে দেখি ।
নিজের প্রতি দয়া বিহীন এক জন মানুষ এভাবেই আবির্ভূত হয়েছেন এখানে , যিনি নিজের ক্ষমতা , বিত্ত ও মর্যাদা বৃদ্ধির প্রলোভন থেকে মুক্ত ছিলেন । একটা ক্ষেত্রে , তিনি তাঁর আত্নজীবনীর অনুলেখক রিচার্ড স্টেনগেলকে সতর্ক হওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন , কেননা সামরিক প্রশিক্ষন নিয়ে আলোচনার সময় , তিনি নিয়মিতভাবেই তাঁর লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছিলেন ।
তৃতীয় বাংলা খ্যাত লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার এবার নতুন সংযোজিত হলো ইউকেবিডিনিউজ । সময়ের বিবতর্নে আর আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে একটি অনলাইন নিউজ মিডিয়ার শূণ্যতা ছিল অনেক আগে থেকেই । আর এই শূণ্যতা পূরণের একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সংবাদপত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল ইউকে বিডি নিউজ ডট কম ( www . ukbdnews . com । যাত্রা শুরুর অল্প কয়েকমাসের মধ্যেই আমরা ২৪ঘন্টার সংবাদ সম্প্রচারের ঘোষণা করেছি ।
শাহীন ভাইকে ধন্যবাদ আলোচনাটার সূত্রপাত করার জন্য । আমাদের আশে পাশের এমনকি নিজেদের ভেতরেও যে সব মৌলবাদী প্রবণতা রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে এই আলোচনাটা কাজে লাগবে আমাদের । অবিশ্রুতকেও ধন্যবাদ আরবের ইতিহাস থেকে তুলে আনা কিছু তথ্য আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য । ব্যাপারগুলো জানা ছিল না ।
ডিসেম্বর মাসজুড়েও অব্যাহত ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘন । এই মাসে একই দিনে ডাবল ক্রসফায়ার , ত্রিপল ক্রসফায়ারের খবর প্রকাশ হয়েছে পত্রিকায় । এই মাসে কমপক্ষে ১২ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন । অভিযোগ ওঠে অগ্নিকাণ্ড ও ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ গায়েবের । গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা , বরিশাল ও মেহেরপুরে ক্রসফায়ারে মারা যান ৩ জন । ৪ ডিসেম্বর বরিশালের বরগুনায় ছাত্রীর পা কেটে নেয় বখাটেরা । ৯ ডিসেম্বর নরসিংদীতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত অনেকের লাশ গায়েবের অভিযোগ ওঠে । একইভাবে ১৪ ডিসেম্বর সাভারের হামীম গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত অনেক শ্রমিকের লাশ গায়েব করার অভিযোগও করেন তাদের স্বজনরা । এর আগে ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ইপিজেডে বেতনভাতার দাবিতে বিক্ষোভরত গার্মেন্ট শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে ৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন । ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে । ২০ ডিসেম্বর ঢাকা ও টাঙ্গাইলে ক্রসফায়ারে নিহত হন দু ' জন । ২১ ডিসেম্বর ক্রসফায়ারে মারা যান আরও দু ' জন
ইদানিং বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে পাহাড়িদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জোর তদবির চালানো হচ্ছে । এ প্রসঙ্গে বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন , ' আদিবাসী হচ্ছে তারাই , যারা কোন একটি এলাকায় প্রথম থেকেই বসবাস করে আসছেন এবং পরবর্তীতে সেখানে অন্যরা গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন । [ . . . ]
ওয়াসিম বলেছেন : আমি আর কি কইতাম যা কওয়ার হেতে তো কই দিছে ।
এই কাহিনীতে রূপকের মাধ্যমে একটা দারুন দর্শন তুলে ধরেছেন লেখক । সেটা হল এই দুনিয়ার রাজনীতি কীভাবে চলে তার সরলীকৃত চিত্র বা মূলনীতি । পেশিশক্তি দিয়ে দখলের যুগ শেষ হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অস্ত্র বা উপায় ছিল ধর্ম । ধর্ম আনুগত্য আনে . . ফলে অনেক বেশি অনায্য সুবিধা আদায় করা সহজ হয় । পরবর্তী পর্যায়ে এটার বদলে শোষনের মূল শক্তি হয়ে যায় বাণিজ্য । কাহিনীটার দর্শনটা বুঝলে অনেকগুলো জিনিষ মনের মধ্যে ফকফকা হয়ে যায় ।
দেশের পল্লী এলাকাতো বটেই , শহরতলীতেও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব প্রকট । হাজার হাজার পরিবারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থসম্মত সৌচাগার বানাবার আর্থিক সামর্থ নাই । সেজন্যেই যেখানে সেখানে প্রসাব - পায়খানার কদর্য ও স্বাস্থ্যবিধি বহির্ভূত অভ্যাস আরও বেশি প্রসার লাভ করে চলছে । ফলে সহজেই পানি দূষিত হচ্ছে , সংক্রামক ব্যাধি বিস্তার লাভ করছে , নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে । উপরন্তু গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের পক্ষে ইজ্জত - আবরু বজায় রেখে প্রাকৃতিক এই প্রয়োজন পুরন করা খুবই দূরহ । এর প্রতিবিধানের উদ্দেশ্যে দরিদ্র পরিবার সমূহের জন্যে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী । এজন্য প্রয়োজন একটা প্যানসহ স্লাব ও সিমেন্টের দুই বা তিনটা রিং । এজন্য সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৩৫০টাকা । যদি প্রতি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বছরে ৫০টি করে পরিবারকে এই সুবিধা দেওয়া যায় তাহলে প্রয়োজন হবে ৮কোটি ৮১লক্ষ টাকা ।
তৃষ্ণার পূজারী আমি মাটির পূজায় মাটির কাছাকাছি কখনওবা জল , চৈত্রের খরা , বায়ূ অথবা ঝড় সবারই ভিক্ষা মাগি সোনার ফসলের লাগি ।
( গ ) সকল সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কিত রিপোর্টের ডাটা - বেজ সৃষ্টি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ;
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো - ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন , প্রতি বছর কিছু আসন খালি হবে এ বিষয়টির কথা ভেবেই বিভিন্ন বিভাগে নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অতিরিক্ত ছাত্র - ছাত্রী ভর্তি করা হয় । তারপরও বেশি সংখ্যক আসন যাতে খালি না থাকে , সে ব্যাপারে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ।
কোর্ট রিপোর্টার ॥ পারিবারিক সহিংসতা ( প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ) আইনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মঙ্গলবার সকালে একটি মামলা দায়ের হয়েছে । বাদীর আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিঙ্কি জানান , এ আইনে বাংলাদেশে এটিই প্রথম মামলা । ঢাকা বারের আইনজীবী এ্যাডভোকেট লুৎফুন্নেছা বেগম তাঁর স্বামী জাইকার কন্সালট্যান্ট ড . মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের বিরম্নদ্ধে মঙ্গলবার এ মামলাটি দায়ের করেন । মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে ওই আইনের ১৪ ধারার বিধান মোতাবেক কেন বাদীকে সুরৰার আদেশ দেয়া হবে না_ এ মর্মে ২৪ জুলাই আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে প্রতিপৰকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । বাদীর আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী সাংবাদিকদের জানান , আগে স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে কোন ঝামেলা হলে আইনজীবীদের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নারী ও শিশুআইনে মিথ্যা মামলার পরামর্শ দিতে হতো । কিন্তু এ আইনের ফলে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পরস্পর সুরৰা নিশ্চিত করা হয়েছে । তিনি আরও জানান , স্বামী স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন করলে কোন প্রতিকার ছিল না । কিন্তু ২০১০ সালে এ আইন হবার ফলে এখন আর মিথ্যা মামলা না করে এ আইনে সরাসরি আদালতে মামলা করতে পারবেন । স্বামী - স্ত্রীর যৌথ বাড়িতে বাদীকে বসবাসে বাধা ও স্ত্রীকে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না দেয়ায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
এই বইটি পুরোটা ব্লগে প্রকাশিত হবার পরে , এটাকে ইবুক আকারে এক মলাটে নিয়ে আসার জোর দাবি জানাই । এটা একটা মহামূল্য দলিল হতে চলেছে নিঃসন্দেহে . . .
লেখক বলেছেন : আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই এরকম কিছু সার্ভিসের উপর কাছ করছি । ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য ।
ক্ষমতার ব্যক্তিমালিকানার অধিকার ক্ষমতা গণতন্ত্রায়নের মৌলিক শর্ত । তবে শুধু ব্যক্তি মালিকানা থাকলেই যথেষ্ট নয় ; ক্ষমতা সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অধিকার এবং সামর্থ থাকার প্রয়োজন হয় । সার্বজনীন ভোটাধিকার জনসাধারণকে সোসিও - পলিটিকাল ক্ষমতার ( রাষ্ট্র ক্ষমতা ) ব্যক্তিমালিকানা দেয় ; তেমনি অর্থ - সম্পত্তির ব্যক্তিমালিকানা সোসিও - ইকোনমিক ক্ষমতার ( আর্থিক ক্ষমতা ) মালিকানা দেয় । কিন্তু সেন্ট্রালাইজড গভর্নমেন্ট সিসটেমে রাষ্ট্র ক্ষমতা জনগণের থেকে কেড়ে নেয়া হয় এবং নির্বাচনের মাধ্যমে । নির্বাচিত সংসদ সদস্য , মন্ত্রী প্রভৃতি প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হয় । এমনকি প্রতিনিধিদের অনুসারীরা ( রাজনৈতিক নেতাকর্মী ) জনগণের উপর আধিপত্য বিস্তার করে । শুধু ভোটদান ব্যতীত রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহারের কোন . . .
অতৃপ্ত আত্মা বলেছেন : এর দ্বিতীয় পর্ব খুব শিগ্রই আসছে ।
ঠিকানা : ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডশেন , আলরাজী কমপ্লেক্স ( ১১ তলা ) , ১৬৬ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী , পুরানা পল্টন , ঢাকা ১০০০
জিয়াউর রনি বলেছেন : আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকবেন ।
আজ বাসায় যাচ্ছি । সকালের দিকে সানী এসে ধাক্কা মেরে ঘুম থেকে তুললো । পরস্পরের সাথে লেগে থাকা চোখের পাঁপড়ি দুটো না খোলার মত করে খুলে ওর দিকে তাকালাম । বললো - চল , এডমিন বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়াবো সবাই । আমি বোধহয় জবাবে হু বললাম । অথবা … Continue reading →
কোথায় থাকে তার মোরালিটি যখন তার শ্বশুর শেখ হেলাল বিখ্যাত চোর হয় , কোথায় থাকে
বাংলাদেশের মোট জাতীয় রপ্তানি আয়ের প্রায় তিন - চতুর্থাংশই আসে পোশাক শিল্প থেকে । এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ লোক । অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে এ শিল্পের মাধ্যমে দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । এ ক্ষেত্রে যে শুধু অশিক্ষিত , অর্ধশিক্ষিত বা দরিদ্র শ্রেণীর লোকদেরই কর্মসংস্থান হয়েছে তা নয় , শিক্ষিত শ্রেণীর লোকদের জন্যও এ শিল্প বয়ে এনেছে সুবর্ণ সুযোগ । কারণ একজন শিক্ষিত যুবক স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে এ প্রফেশনে যে পরিমাণ আয় করতে পারে তা অন্য কোনো প্রফেশনে সম্ভব নয় । ফ্যাশন ডিজাইন ও মার্চেন্ডাইজিং পেশায় ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ডিজাইনার ও মার্চেন্ডাইজারের মাসিক বেতন হতে পারে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা । যা যোগ্যতা অনুযায়ী এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে । পরিতাপের বিষয় হলেও সত্যি যে , আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকজন এ পেশায় তেমন এগিয়ে না আসার কারণে পোশাক শিল্পের প্রধান পদগুলোর বেশির ভাগই দখল করে আছে বিদেশিরা । এক্ষেত্রে শ্রীলংকা , ভারত ও পাকিস্তান এগিয়ে রয়েছে । যারা মাসিক বেতন হিসেবে দুই হাজার থেকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পেয়ে থাকে । যা কোনো কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মোট খরচের চেয়েও বেশি । এদেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ শিক্ষিত ও বেকার । কিন্তু পেশাগত কোন প্রশিক্ষণ না থাকায় তারা বিশেষ কোনো পেশায় জড়িত হতে পারছে না । আর সেই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো পূরণে আমাদের দেশের শিল্প মালিকরা বড় অঙ্কের বেতনে নিজেকে এ পেশায় ওই বিদেশিদের স্থলা ভিষিক্ত করতে পারে অনায়াসে । স্নাতক , মাস্টার্স বা সমমানের যেকোনো ডিগ্রিধারী এ পেশায় প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক ও স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে । পোশাকশিল্পে পণ্য রপ্তানির গোড়ার দিকে এ দেশে তেমন কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল না । কিন্তু গত কয়েক বছরে গার্মেন্টস শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যেগে গড়ে উঠেছে এনআইএফটি নামে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমী । দক্ষ ফ্যাশন এবং মার্চেন্ডাইজার গার্মেন্টস টেকনিশিয়ান তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । এছাড়া শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেকেই এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে । যাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে নাই । এই কোর্সে শেখানো হয় ঃ টেক্সটাইল ফাইবার অ্যান্ড ইয়ার্ন , নিটওয়ার ও ওভেন ফেব্রিকস , সোয়েটার ডিজাইনিং , প্রডাকশন প্লানিং এন্ড কন্ট্রোল , বায়ার করেসপন্ডিং , টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট , ট্রিমস এন্ড অ্যাকসেসরিজ , কনজাম্পশন এন্ড গার্মেন্টস কস্টিং , প্যার্টার্ণ মেকিং , ফ্যাশন ক্যাড , টেক্সাইল সাইন্স , ডিজাইন থিওরী , গার্মেন্টস কনস্ট্রাকশন , সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স , কর্মাশিয়াল প্রসিডিউর , এ্যাপারেল প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট , ইন্টারনেট মার্কেটিং এন বিজনেস , ইকোনোমিক্স অব এ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং প্লানিং এন্ড বায়িং , ফ্যাশন ফোরকাস্টিং , এ্যাপারেল গ্লোবাল ইকোনমি , ফ্যাশন এক্সেসরিজ , ফ্যাশন ক্যাড , ফ্যাশন শো প্রডাকশনস , টুলস এন্ড টেকনিকস অব মার্চেন্ডাইজার , এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং , নিটওয়্যার টেকনোলজি , টেক্সটাইল সাইন্স এন্ড এ্যাপারেল এনালাইসিস এবং সর্বশেষ ফ্যাক্টরী ভিজিট ।
লেখাটির মূল বিষয়ের সাথে সহমত পোষণ করে একটি ব্যাপারে জোরালো আপত্তি জানাচ্ছি । সংখ্যালঘু আদিবাসীদের প্রয়োজনে ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা বলা যেতে পারে , কিন্তু কোনো অবস্থাতেই উপজাতি / ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী / নৃ - তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী নয় । খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবেন , এই শব্দগুলো তাদের জন্য বেশ অপমানজনক ।
( গ ) অযথা বা হয়রানিমূলকভাবে কোন ব্যক্তিকে তল্লাশী করেন বা গ্রেফতার করেন , তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷
লেখক বলেছেন : এখনও কিন্তু কেউ আসে নাই । ক্ষোভ কি তাহলে প্রশমিত এখন ?
নকশি কাঁথা ডটকম , ১১ জুলাই - ২০১১ ॥ সোমবার দুপুরে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শিবচর পৌর বাজারের কালিবাড়ি রোড থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফাসহ ( ৩৪ ) আরও ২জনকে আটক করেছে । সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত ইয়াবা ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফাকে ২ বছর অপর ২ যুবকের প্রত্যেককে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করছে । পুলিশ জানায় , মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মো . সিরাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৩ / ৪ জন র্যাব সদস্যরা ক্রেতা সেজে সোমবার বিকেলে শিবচর পৌর এলাকার কালিবাড়ি রোডের ইয়াবা ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফার কাছে ইয়াবা কিনতে যায় । এ সময় আরও দুই যুবক নজরুল মোল ¬ ্যা ও খোকন বাচ্চু খলিফার কাছে ইয়াবা কিনতে যায় । র্যাব তাদের ২ জনের কাছ ২পিচ করে ইয়াবা উদ্ধার করে । সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস ইয়াবা ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফাকে ২ বছর অপর ২ যুবক নজরুল মোল ¬ ্যা ও খোকনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে । ইয়াবা ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফার শিবচর বাজারের ব্যবসায়ী ছবর আলী খািলফার ছেলে ।
এক্ষুনি খবর দেখছি । শেষ পর্যন্ত কোন গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো না । এরপর কী হবে ?
@ রিপনদা : একটা টার্মিনাল উইন্ডো ( উইন্ডোজের ডস প্রম্পটের মত ) ওপেন করে sudo lsusb কমান্ডের আউটপুট কি দেখায় শেয়ার করুন । পিসির সাথে মডেম লাগানো অবস্থায় বুট করবেন । ( এই কমান্ডের মাধ্যমে লিনাক্স কার্ণেল কি কি ইউএসবি ডিভাইস ডিটেক্ট করছে তার লিস্ট পাওয়া যাবে ) ।
একজন ব্যবসায়ীকে শুধু হত্যা নয় , তার লাশকে নয় টুকরো করে বস্তাবন্দি করার খবর পড়ে সুস্থ মানুষ মাত্রই স্তম্ভিত হয়েছেন । মনে হতে পারে যেন হত্যা এদেশে ডাল - ভাতের মতো সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে । এটা শুধু চরম নিষ্ঠুরতাই নয় , ঘাতকরা ভয়ঙ্কর পৈশাচিকতারও নজির স্থাপন করেছে । আমরা কিন্তু বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নেয়ার পক্ষপাতী নই । কারণ , একথাই সত্য যে , এর সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । যার ফলে বাড়ছে হত্যাসহ নানা অপরাধ । রাজশাহীর ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য । পুলিশ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যখন মানুষ চরম বিপদেও পুলিশের শরণাপন্ন হতে চাচ্ছে না । গণতন্ত্রের মধ্যে বসবাস করেও মানুষকে নিজের রাজনৈতিক পরিচিতির কথা স্মরণ করতে হচ্ছে । এটা অবশ্যই সুখবর নয় । প্রসঙ্গক্রমে সমাজের পচনের দিকটিও বিবেচনায় আনা দরকার । রাজশাহীর ঘটনায় নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে , সমাজে আসলেও মারাত্মক পচন ধরেছে । না হলে মানুষ এতটা পৈশাচিকভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারত না ! ! ! বলা বাহুল্য , সমাজের এই পচনের পেছনেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিই ভূমিকা রেখে চলেছে । ঘুষ ও লেনেদেনে যাওয়ার পরিবর্তে পুলিশও যদি সততার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকত , তাহলে বিপন্ন পরিবার যেমন প্রথম সুযোগেই পুলিশের শরণাপন্ন হতো , তেমনি অবনতি ঘটতো না আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও । অর্থাত্ সমাজের পচন প্রতিহত করার ক্ষেত্রেও পুলিশের মাধ্যমে সরকারের দায়িত্বই বেশি । যে বিষয়টিতে বর্তমান সরকার অত্যন্ত ক্ষতিকর ব্যর্থতা দেখিয়ে চলেছে । আমি মনে করি হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধ কমিয়ে আনতে হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে বাধাহীনভাবে তাদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে দেয়া দরকার । এসব বাহিনীর সদস্যদেরও উচিত সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা । রাজশাহীর ঘটনায় কিন্তু তেমন কোনো সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি ।
মোস্তাক আহমাদ দীন পাঠ্যতালিকাভুক্ত লেখার কথা বাদ দিলে , কবিতা - পড়ার সূত্রপাত নির্মলেন্দু গুণের কবিতার মধ্য দিয়ে , তখনও শামসুর রাহমানের কোনও কবিতাবই এককভাবে পড়া হয়নি ¬ ¬ ; এর পর , একদিন কিনে পড়া হয়ে গেল জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন ; পড়ার পর , ' হাওয়ার রাত ' , ' কুড়ি বছর পরে ' , ' ঘাস ' , ' নগ্ন নির্জন হাত ' প্রভৃতি কবিতা হৃদয়ে স্থান করে নিলেও , কাব্যসংস্কারহেতু বইয়ের কয়েকটি ক্রিয়াপদ ও অনুষঙ্গকে মনে হয়েছিল অনাধুনিক , এবং গতানুসারী । জীবনানন্দকে না - বোঝার কারণে সেকালের সজনীকান্ত দাসকে দোষ দিয়ে কী লাভ , একালের আমি নিজেও তখন প্রত্যক্ষত রাহমান - সুনীল - গুণ আর পরোক্ষত মান্নান - সিকদারপন্থী , এবং নিজের গ্রহণদৌবল্যহেতু জীবনানন্দের প্রতি দ্বিধাশীল । তখনই কারও লেখায় পড়ে থাকব , আধুনিক কবিতায় পথ - এর বদলে রাস্তা , সাথে ব্যবহার না - করে সঙ্গে ব্যবহার করা উচিৎ ¬ - এই সময় বইয়ের দোকানে ধুলোর সংসারে এই মাটি , মেঘে এবং কাদায় চোখে পড়ে থাকবে , যা ছুঁয়ে - দেখে আবার রেখে দিতে মনে এতটুকু কুণ্ঠা জাগেনি ; তারও কিছু পরে , কপিলা নামটি শুনে মনে হয়েছিল একটি উপন্যাসের চরিত্রের নামে নাম রাখার মানেটা কী ? এই নাতিবিরক্তিই পরে চরমে পৌঁছয় যখন দেখি তাঁর আরও একটি কবিতাবইয়ের নাম - যেটি তাঁর প্রথম বইও বটে - বৈশাখী পূর্ণিমা , সেদিন - এখন বলতেই লজ্জা লাগছে যে - খাঁটি রবীন্দ্রপন্থী বলে তাঁকে উপেক্ষা করে নিজেকে গর্বিতই মনে হয়েছিল এবং নিরভিজ্ঞ ছিলাম বলে তাঁকে একবারের জন্যেও গৌতম বুদ্ধের অনুরাগী মনে হয়নি । দুই কীভাবে মনে হবে , তখন বৈশাখী পূর্ণিমা চেখে দেখা তো দূরের কথা , চোখে দেখাও হয়নি , তবে ইতোমধ্যে পড়া হয়ে গেল মান্নান সৈয়দের পরাবাস্তব মায় সচিত্রসংবাদী / প্রতীকী কবিতা , সিকদারের পার্স / পাজ - প্লাবিত ঠান্ডা পাথরের মদির জগৎ , আর ঘোরা হয়ে গেল রাহমানের চিড়িয়াখানাও ; পড়ে , ঘুরে কখনও - সখনও ক্লান্ত হলেও - রফিকের সশব্দ পদচারণা সত্ত্বেও - পড়া হয়ে ওঠেনি তাঁর কবিতা । তখন মোহাম্মদ রফিক পড়ব কি , ইন্দ্রিয় - সুখকর আর মগজ - উত্তেজক নয় বলে রবীন্দ্রনাথও তো পড়া হয়নি ; এবং প্রাসঙ্গিক কারণে স্বীকার করা উচিৎ , তখনও পড়া হয়নি বুদ্ধের জীবনীও । তবে , তখন ঠিকই পড়ছি বোদলেয়ার - র্যাঁবো আর মনে - মনে খুঁজে চলেছি সেই রকমেরই কবিতা , কিন্তু তখনও এই কথাটি মনে জাগে ¬ নি যে - জীবনকে পা - মাথা - কাঁধ বুক - পিঠ যেদিকেই দেখা হোক না কেন , চোখের অধিকারীকে শেষপর্যন্ত দাঁড়াতে হয় তার নিজের জলমাটিআগুনের মধ্যেই । তিন নতুন শিং - ওঠা এই আধুনিক পড় - য়ার একদিন বোধোদয় হলো , অথবা বলা যেতে পারে বোধিলাভ ঘটল কীর্তিনাশা , খোলা কবিতা বা গাওদিয়া পড়ে নয় , বৈশাখী পূর্ণিমা পড়ে । ইতোমধ্যে বুদ্ধচরিত পড়ে জানা হলো , বুদ্ধের জন্ম যেমন বৈশাখী পূর্ণিমায় তেমনই তাঁর নির্বাণও ঘটে একই দিনে ; কিন্তু মোহাম্মদ রফিকের কবিতার বইয়ের নাম বৈশাখী পূর্ণিমা কেন ? বইয়ের নামকবিতার যে - বিষয় তার সঙ্গে কি বুদ্ধের জন্ম বা তাঁর নির্বাণ - এর কোনও গূঢ় সম্পর্ক রয়েছে ? খুঁজলে , সম্পর্ক - দুঃসম্পর্ক কিছু একটা পাওয়া যাবে হয়ত , কিন্তু এই সবকিছু পেরিয়ে সেই ভাবনাটাই জাগে : একজন কবি , যিনি বহুদূরের যাত্রী , তাঁর প্রথম বইয়ের নামের আড়ালে কবিজীবনের কোনও বিশেষ সূচনাবিন্দুর নির্দেশ দিয়ে যান কি না ? এই প্রকারের চিন্তা যখন অনেকদিন ধরে তাড়িত করছিল , তখনই একদিন চোখে পড়ে মোহাম্মদ রফিকের একটি লেখা ' আমার প্রথম বই : বৈশাখী পূর্ণিমা ' , যেখানে তিনি লেখেন : কেউ হঠাৎ করে শুধু অকারণ উৎসাহেও জিজ্ঞাসা করে বসতে পারেন , কাব্যগ্রন্থটির কেন নাম দিয়েছিলাম ' বৈশাখী পূর্ণিমা ' । আমি কৈশোর - যৌবনের সেই টালমাটাল দিনগুলোতে গৌতম বুদ্ধের ভীষণ অনুরক্ত হয়ে পড়ি । অমি বিশ্বাসী নই , অবিশ্বাসীও নই । এমনই আমার চৈতন্যের ধারা সেই কাল থেকে । . . . সেই অর্থে আমার তো অনেক দূর যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু যাওয়া হলো কই । কিন্তু বেশ কয়েক যুগ হয়ে গেল ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে গ্রন্থটির যথারীতি অন্তর্ধানও ঘটে গেছে অলক্ষ্যে । এরপর একই লেখার বি . দ্র . অংশে লিখেছেন : ২৫ মার্চের আগে স্বল্পসংখ্যক বই - ই দোকানপত্তরে গোছানো গিয়েছিল । মুক্তিযুদ্ধকালে লেখক - প্রকাশক উভয়েই নিয়োজিত ছিল অন্যত্র যুদ্ধসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজকর্মে । বইগুলো সমগ্র জাতির সঙ্গেই মুক্তির দিন গুনছিল বন্দিগুমোটে , গুদামে । সেখানেই পঞ্চত্ব্প্রাপ্তি ঘটে ক্ষীণায়ু বৈশাখী পূর্ণিমার । পুরো লেখাটি - বিশেষত উদ্ধৃত অংশ দুটি - পড়ে , যে - কোনও পাঠকের মনে হতে বাধ্য যে , তাঁর কাব্যপরিক্রমার শুরুতে বৈশাখী পূর্ণিমা বইয়ে কোনও সম্ভাব্য যাত্রার এমন কোনও সূচনাবিন্দু ছিল ; কারণ , তাঁর লেখায় পাচ্ছি : যে - সময়ে তিনি বুদ্ধের অনুরক্ত , চেতনায় বিশ্বাস - অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব তখন সেই ধারায় তাঁর ' অনেক দূর যাওয়ার কথা ছিল ' কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি ; কারণ , মুক্তিযুদ্ধে লেখক - প্রকাশক দু - জন যুদ্ধসংক্রান্ত নানা কাজে জড়িয়ে - পড়ার কারণে বন্দিগুমোট গুদামের মধ্যেই বৈশাখী পূর্ণিমার কপিগুলো নষ্ট হয়ে যায় । এরপর তিনি লেখেন : যা ঘটে সবসময় ভালোর জন্যে না ঘটলেও , অবশ্যই যা ঘটার , তা - ই ঘটে । সে - ই যে বলে না , এরপর একযুগ শেষ , অন্যযুগের শুরু । এবং সর্ব অর্থেই । ' যা ঘটার তা - ই ঘটে ' - এই বাক্যে তিনি নিয়তির কথাই বললেন যেন ; মুক্তিযুদ্ধের - কারণে - ঘটা এই ঘটনা আর খোদ মুক্তিযুদ্ধই তাঁর বৈশাখী পূর্ণিমার যুগকে শেষ করে দিয়ে তাঁকে অন্য যুগের দিকে ঠেলে দেয় ; বৈশাখী পূণিমা - পরবর্তী কবিতার মধ্য দিয়ে বাঙালি এখন যে - রফিককে চেনে , ( অথবা বলা যায় রফিক যে - বাংলাকে চেনান ) যার কথা আলোচক তাঁদের আলোচনায় নিয়ে আসেন , তা তাঁর ' অন্যযুগের ' কবিতার মাধ্যমেই । কবি নিজেই বলেছেন , অন্যযুগের শুরুটা ছিল ' সর্ব অর্থে ' । কিন্তু , এরপরও কথা থেকে যায় : যে - চেতনা ধারণ করার কারণে কবির মনে হয় , ' অনেক দূর যাওয়ার কথা ছিল ' , হঠাৎ - করে তাঁর জীবনে / চেতনায় সর্ব অর্থে অন্যযুগের শুরু হতে পারে না , তাতে পূর্ব - যুগের রেশ তো থাকেই , এমনকি প্রভাব থেকে - যাওয়াটাও অস্বাভাবিক নয় ; বৈশাখী পূর্ণিমা ও ধুলোর সংসারে এই মাটি - এই বই দু - টির বিষয় - বিবেচনা করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে । তারপরও এমন মন্তব্য কেন করলেন রফিক ? সময় বিচার করলে আমরা দেখব , মোহাম্মদ রফিক তাঁর এই স্মৃতিধর্মী লেখাটি লিখেছেন প্রায় তিন যুগ পরে , ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে , ইতোমধ্যে তাঁর অন্যযুগের চিহ্নায়ক কবিতাগুলি লিখিত হয়ে গেছে , আলোচকেরাও তাঁর লেখায় ' বাংলাদেশ ' কে আবিষ্কার করে ফেলেছেন , পাঠকসাধারণেরাও সেই পরিচয় পেযে যাচ্ছেন - এই সব মিলিয়ে মোহাম্মদ রফিকের যে - ভাবমূর্তি দাঁড়িয়েছে , তা কবি পাঠক উভয়ের জন্যে কম গর্বের নয় । এই পরিপ্রেক্ষিতে এ - কথা উঠতে পারে যে কবিজীবনের এই বড় ঘটনাটি তাঁকে এমন কথা বলায় প্রলুব্ধ করল কি না । এই কথা তোলায় , আশা করি কারও মনে হবে না যে , যে - সব কারণে আমাদের সামনে তাঁর মূর্তিটি দাঁড়িয়েছে তাতে কোনও আপত্তি আছে ; আমাদের আপত্তি সেখানে , যেখানে রফিকের কবিতার আলোচকেরা তাঁর প্রথম যুগের গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে বিবেচনায় না এনে তাঁর মূর্তিটি দাঁড় করিয়েছেন , যার ফলে তাঁর তাঁর স্বাতন্ত্র্য - লক্ষণ এতদিনে আড়ালে পড়ে গেছে । মোহাম্মদ রফিকের এই স্বাতন্ত্র্য - লক্ষণ প্রথম বই বৈশাখী পূর্ণিমা ও তার সেই সময়কার কিছু গদ্যে ধৃত ; কিন্তু আশ্চর্যের কথা , আলোচকরা যখন তাঁর কবিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন তখন বৈশাখী পূর্ণিমা বিষয়ে কবির মনোভাবকে গুরুত্ব দিলেও , বইটির অন্তর্গত ভাবনার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও গদ্যভাবনাকে গুরুত্ব দেননি । রফিক তাঁর প্রথম বইটি নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন কিছু জায়গায় - ' আমার প্রথম বই : বৈশাখী পূর্ণিমা ' শিরোনামক লেখার কথা তো উপরে আলোচিত , মোহাম্মদ রফিক রচনাবলি ১ - এর ভূমিকায় কবি লিখেছেন : ' প্রথম খণ্ড রচনাবলির অন্তর্গত বৈশাখী পূর্ণিমা অতি দুর্বল কবিতা নির্মাণের প্রয়াস হিসাবে টিকে রইল । এখন তো আর তাকে ছেঁটে ফেলা চলে না , চলে না অস্বীকার করাও । তাছাড়া কবিতা কর্মের ক্ষেত্রে সক্ষমের দুরাচারের চাইতে অক্ষমের দুর্বলতা শ্রেয়তর । ' অরুণ সেনকেও কবি তাঁর অস্বস্তির কথা জানিয়ে থাকবেন , না - হলে তিনি একথা লিখতেন না : " বইটির নাম ' বৈশাখী পূর্ণিমা ' - বেরিয়েছিল ১৯৭০ - এ , ১৯৬২ থেকে ৬৮ সালের মধ্যে লেখা । অর্থাৎ প্রায় গোটা ষাটের দশক জুড়ে । অনেক তল্লাসি করে পেতে হয়েছে । কবি নিজেও খুব লজ্জিত এই ' কাঁচা ' বইটিকে নিয়ে । ' ' প্রথম বইটি বিষয়ে শুভাশিস সিনহা লিখেছেন , ' এ কবিও তাঁর তারুণ্যে প্রকৃতির রোমান্টিক আবহের ভিতর ছিলেন ' আর এতে তিনি ' জিজ্ঞাসার অনন্যতা ' দেখতে পেলেও বলেছেন , ' তখনও তাঁর সেই চোখ ফুটে ওঠেনি । যে চোখ সকল জীবন্ত বাস্তবতা থেকে স্পন্দনের সম্ভাবনার কথা ছড়াতে পারে , কাঠিন্যের সত্যে সহজতার চিরায়ত রূপ চেনাতে পারেন , তাঁর নিজের কথায় দারিদ্র্যের হাহাকারকে নিয়ে অন্তর্গত ক্ষোভ ও বিপ্লবের রসায়নে গড়ে তুলতে পারেন অধিবাস্তবতার কাব্যিক নন্দনে , যা ধীরে ধীরে রচিত হতে থাকবে পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ থেকে । ' আহমদ মিনহাজ তথ্য হিসেবে একবার মাত্র বৈশাখী পূর্ণিমা - র কথা উল্লেখ করলেও তাঁর আলোচনায় বইটির কবিতা - বিষয়ে কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছেন । মোহাম্মদ রফিকের অস্বস্তির পাশাপাশি বইটি বিষয়ে তিনজন আলোচকের সমভাব দেখে এই প্রশ্নটিই জাগে যে , এরা সকলেই আলোচনা করার সময় কবির অস্বস্তির কথাটি ভুলতে পারেননি । অথচ বইয়ের কবিতাগুলি যেসময়ে রচিত হচ্ছিল সেই সময় - যুগস্রোতের বাইরে - কবির ব্যক্তিত্ব এমন স্বতন্ত্র আভায় ফুটে উঠেছিল যার প্রচ্ছন্ন চিহ্ন কবিতাগুলিতে তো আছেই , গদ্যেও রয়েছে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত । কিন্তু বিস্ময়ের কথা , মোহাম্মদ রফিকের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের বিষয়টি এখনপর্যন্ত অশনাক্ত , তাই এ - বিষয়টিকে এখানে বিবেচনার দাবিদার । ষাটের দশকের কবিদের মধ্যে বোদলেয়ার ও বুদ্ধদেবপ্রীতির ব্যাপারটি তো প্রায় সর্বজনবিদিত ; আবদুল মান্নান সৈয়দ ও সিকদার আমিনুল হকের একাধিক গদ্যেও তাঁর প্রমাণ অস্পষ্ট নয় , কিন্তু এ - কথার পক্ষে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিররণ আছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ভালোবাসার সাম্পান - এ । তিনি লিখেছেন , বুদ্ধদেব বসুকৃত বোদলেয়ারের চিত্ররূপশালী অনুবাদবইটি কীভাবে তাঁদের মাতাল করে রেখেছিল । তাঁর ভাষায় : যে - ব্যক্তিটি আমাদের জীবনে এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটালেন তিনি কেবল ফরাসি কবি বোদলেয়ার নন , কেবল বুদ্ধদেব বসুও নন , তিনি বুদ্ধদেবীয় বোদলেয়র ; বুদ্ধেদেবের দ্বারা আবিস্কৃত ও তাঁরই অসাধারণ ও সজীব অনুবাদে আমাদের চোখের জীবন্ত করে তোলা বোদলেয়ার । . . . দেখতে দেখেছেন বোদলেয়ার আমাদের রাজা হয়ে উঠলেন । বোদলেয়ারের প্রভাব প্রায় আপাদমস্তক গ্রাস করে ফেলল আমাদের । . . . আমার ধারণা যেসব প্রভাব প্রথম ষাটের কবিতাকে ভিন্ন পথের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল বুদ্ধদেব বসু অনূদিত বোদেলেয়ারের প্রভাব তার একটি । বোদলেয়ারের প্রসঙ্গটি ছাড়াও , ষাটের দশকের লেখকদের আরো যে - কয়টি বৈশিষ্ট্যর কথা তিনি তাঁর পাদটীকায় উল্লেখ করেছেন সেগুলো মোহাম্মদ রফিকের কবিতায় অভিব্যক্ত হয়েছে বলে মনে করেননি । তিনি স্পষ্টই লিখেছেন , ' ষাটের কবিরা আমাদের কবিতা - শরীরে যে - একটি নতুন সুরের সংযোজন করেছিল এ নিয়ে অনেকেই এযাবৎ বলেছেন । রফিক আজাদ , আবদুল মান্নান সৈয়দ , নির্মলেন্দু গুণ , আবুল হাসান , ফরহাদ মজহার , মহাদেব সাহা , হুমায়ুন কবির , মুহম্মদ নূরুল হুদা - মোটামুটি এদের হাতেই ধারার উন্মোচন ঘটেছে । ' এই তালিকায় মোহাম্মদ রফিকের নাম না - থাকার অর্থ এ নয় যে , তিনি কবি হিসেবে উল্লেখযোগ্য নন , বরং এই বইয়ের অন্যত্র রফিক - বিষয়ে সায়ীদের সংপ্রশংস উল্লেখ রয়েছে : ' অনেক ভালো কবিতা লিখেছে রফিক । সেগুলো কবিতাপ্রেমিকদের মন ছুঁয়েছে ' ইত্যাদি ; আমাদের ধারণা , এখানে তাঁর নাম অনুল্লেখের কারণ , যাটের মূর্তিমান বৈশিষ্ট্যাবলির মধ্যে তাঁর বৈশিষ্ট্য ধরা না - পড়া । ষাটের অন্যান্য কবির মানস - প্রবণতার বিবরণ দিয়েছেন সায়ীদ , আর ১৯৬২ সালে কি তার কাছাকাছি সময়ে , মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর লিখছেন , ' ধ্র " পদী ইয়োরোপীয় সাহিত্যের বড় বড় লেখকদের জগতে পাল উড়িয়ে ছুটছে তখন ও ' । তারও প্রায় এক দশক পরে , ১৯৭২ সালে , আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বর - এ ' আমরা ও আমাদের ক্লাসিকস চর্চা ' নামে যে - প্রবন্ধটি লিখলেন তাতে একদিকে যেমন সায়ীদের কথার সত্যতা মেলে তেমনি যাটের অন্য কবিদের থেকে তাঁর স্বাতন্ত্র্য - লক্ষণও স্পষ্ট হয়ে ওঠে । এই প্রবন্ধে রফিক বলেছিলেন , আমাদের সাহিত্য থেকে থেকে ক্লাসিকস চর্চা প্রায় উঠে গেছে , তাই আমাদের কবিতা আজ নিঃপ্রাণ , আমাদের চিন্তন ও চেতনা অস্বচ্ছ ; একসময় মাইকেল বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথ অতুল গুপ্ত শশাঙ্কমোহন সেন অজিত চক্রবর্তী পর্যন্ত তার চর্চা ছিল , এরপর তিরিশের যুগ থেকে তা ছিন্ন হয়ে গেছে । এই জায়গায় অর্থাৎ তিরিশের যুগ - সম্পর্কে এই অভিযোগটি ব্যাখাযোগ্য মনে করায় রফিক এর সঙ্গে একটি পাদটীকা যুক্ত করেছেন আর এতে , বুদ্ধদেবপ্রীতির যুগে তাঁর সম্পর্কে যে - কথা কটি লিখেছেন তা নিঃসন্দেহে দুঃসাহসিক । তিনি লিখেছেন : বুদ্ধদেব বসুর সমস্ত সমালোচনা সাহিত্যে বিদেশী কবি ও কবিতার অনুষঙ্গ কারণে ও অকারণে অহরহ এসে পড়লেও গ্রিক ও রোমান কবিদের প্রসঙ্গ তিনি সযতেœ এড়িয়ে গিয়েছেন । লক্ষ করার বিষয় এই যে , তার প্রায় বছর দেড়েক আগে বেরিয়েছে বৈশাখী পূর্ণিমা , যার রচনাকাল ১৯৬২ থেতে ১৯৬৮ - এই বিবেচনায় এই অনুমানের সুযোগ আছে যে , এই প্রবন্ধের ভাবনার সঙ্গে ওই বইয়ের কাব্যদর্শনের মিল আছে । শুধু অনুমান কেন , চিরায়তের সঙ্গে যোগ ছিন্ন হওয়ার কারণে যে - কবি তাঁর গদ্যে দুঃখপ্রকাশ করেন তাঁর কবিতায় সেই যোগ - স্থাপনের আকাক্সক্ষা থাকা স্বাভাবিক । অন্তত বৈশাখী পূর্ণিমা - য় যে আছে , তার প্রমাণ বইয়ের কবিতা পড়লেই বোঝা যাবে । চার বৈশাখী পূর্ণিমা - র প্রথম কবিতার অন্তরঙ্গ - বহিরঙ্গ বিবেচনায় আনলে রবীন্দ্রনাথের শেষপর্যায়ের কবিতার কথা পড়ে যেতে পারে । বইটি বহুলপঠিত নয় বলে এখানে এই ছোট্ট কবিতাটি উদ্ধৃত করছি : আবেগ প্রস্ফুট আবেগ আসে নম্র পদে সত্তার বিরলে যেখানে সে বাস করে কিছুক্ষণ এবং অন্তিমে দিয়ে যায় অনন্য উপহার : বৈরাগ্যে প্রবাহে আর্দ্র অস্থির ক্রন্দন রবীন্দ্রনাথের কবিতার সঙ্গে এই কবিতার বিষয়গত দূরত্ব থাকলেও , ভাবগত দূরত্ব কম , ফলে এ - কথা বলা যেতে পারে যে , রবীন্দ্রনাথের সমাপ্তিবিন্দু থেকেই মোহাম্মদ রফিকের সূচনা । প্রভাবগত বিচারে এখানে দোষের ব্যাপার যতটা , গুণের ব্যাপারটি তার চেয়ে অনেক বেশি । বৈশাখী পূর্ণিমা - য় রবীন্দ্র - যোগের যে - পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল , এখনও তা অক্ষুণ ; তিনি তাঁর ভালোবাসার জীবনানন্দ বইয়ের এক জায়গায় লিখেছেন : ' এ - কথা আজ আর কিছুতেই অস্বীকার করার প্রশ্নই উঠে না যে বাংলা কবিতার যথার্থ আধুনিকতার মূল সূত্রটি রবীন্দ্রনাথেই নিহিত ' । বইয়ের দ্বিতীয় কবিতাটি সেই পুরাণচরিত্র ক্ল্রিওপেট্টাকে নিয়ে , মোহাম্মদ রফিকের বয়ানে যাকে মানুষের যৌনতার স্রোতে ভাসতে হয় ; কবিতাটির শেষ পঙ্ক্তি , ' লীন হয় অন্ধকার অসীম সৈকতে ' । কবিতাটি জটিল নয় , আবার নির্দ্বন্দ্বও নয় - প্রথম স্তবক পড়ার পর শেষ পঙ্ক্তির গতিমুখ সাধারণ পাঠকের কাছে বিপরীতস্রোতা মনে হওয়া অবাস্তব নয় । এ - ই হচ্ছে মরমিয়া , এখানে যা রবীন্দ্রকাব্য - দর্শন ছুঁয়ে প্রকাশিত , আর অন্যত্র বুদ্ধের দুঃখবোধে আক্রান্ত হয়ে । এই বইয়ের কয়েকটি কবিতায় নানা ভাবে কান্নার প্রসঙ্গ এসেছে , যা দুঃখবাদেরই নিকট / সূদূর বিস্তার । যেমন : ১ . বৈরাগ্যে প্রবাহে আর্দ্র অস্থির ক্রন্দন ২ . প্রান্তরে প্রান্তরে কাঁদে যেখানে ছড়িয়ে থাকে অনন্ত গোধূলি আর শোকাহত নীরবতা ৩ . যারা শুধু ভ ' রে তোলে দিগন্ত কান্নার মৃদু লয়ে ৪ . বেদনার কতোনা চৈতালী দয়িতার আবেদন , বিজন ক্রন্দসী ৫ . তমসায় ঢেকে দেয় সব স্মৃতি সব কান্না ৬ . শুধুই দাঁড়িয়ে বাইরে ভিজেছি বৃষ্টির ধারাজলে ভিজেছি কান্নায় ঘামে আকণ্ঠ সে রৌদ্রের গহনে ৭ . ভালো লাগে দেখে যেতে নির্জনে এই রাস্তার আলো ঘিরে বৃষ্টির ধারা শুনে যেতে বাতাসের চাপা ক্রন্দন এই ভাবে তালিকা করে গেলে তালিকা অনেক দীর্ঘ হবে , এর সঙ্গে আছে বিষাদ , মৃত্যু ও তদসম্পর্কিত নানা প্রসঙ্গ - অনুষঙ্গ ; আছে বৈদেহ - কথা , নানারকম অশরীর মরমি আহ্বান প্রভৃতি । এখানে সর্ববিধ মিছাল টেনে না এনে নামকবিতা থেকে কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করা যেতে পারে : আজ রাতে দেখি আমি তন্দ্রায় বিবশ সবে , পাখিদের কোলাহল বৃক্ষের মর্মর কি এক বৈদেহী সুরে বিভাসিত চরাচর চাঁদ আর তারার প্রণয়ে ; . . . . . . . . . . . . . . . . . . তবু কি দেখিলে তুমি নীরব নির্জন সেই ক্ষণে রাতের দুপুরে ? সেদিনও এমনি সবকিছু শুনেছিলে ; - মৃত্যু জরা প্রেম মানুষের ব্যর্থতার হাসি , বাতাসের স্রোতে ! এই পঙ্ক্তিগুলো গৌতমের জীবন আর বৌদ্ধ - অনুষঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেলে এ - নিয়ে কথা না বাড়ালেও চলত , কিন্তু এই উদাহরণগুলো তো বটেই , এ - ছাড়া বৈশাখী পূর্ণিমার আরও কয়েকটি কবিতায় মূর্ত ও অমূর্ত রূপে চিরায়তের যে - অনুভব ব্যক্ত হয়েছে তা সকল কবির ক্ষেত্রে সচরাচর ঘটে না । কিন্তু , এরপরও যারা ওই কবিতাগুলি সম্পর্কে রফিকের অস্বস্তি যেমন - ' কাঁচা ' ' দুর্বল ' প্রভৃতি দোষের কথা তুলবেন তাদের জন্যে রূপসী বাংলা ( বাংলার ত্রস্ত নীলিমা ) নিয়ে জীবনানন্দের অস্বস্তিজড়িত দৃষ্টান্তই যথেষ্ট ; এ - ছাড়া প্রথম কবিতাবই হিসেবে এর যে - গঠনশৈথিল্য , কোনও - কোনও স্থানে তৎসম শব্দের বাহুল্য , কোথাও কোথাও যথোচিৎ শব্দ - নির্বাচনের ব্যর্থতা - প্রথম বই হিসেবে এগুলো খুব দোষের ব্যাপার নয় । বরং এই বইয়ের যে - অভিব্যক্তি , তা তার সমকালের কবিদের থেকে ছিল ব্যতিক্রম । এবং এ - প্রসঙ্গে একটু বিশেষ কথা বলবার আছে যে - বুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথের মহাজগৎ থেকে যে - কবির যাত্রা শুরু , তাঁর পরিক্রমণ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যে কিছুতেই সীমাবদ্ধ হতে পারে না । অরুণ সেন তাঁর মধ্যে বাংলাদেশের স্পর্শ পেয়েছেন ( পেতেই পারেন ) , আহমদ মিনহাজ তাঁর মধ্যে সেই বাংলাদেশে পৌঁছনোর চেষ্টা দেখেছেন ( দেখতেই পারেন ) - এই দুই আলোচকের আলোচনার আগে পরে , এই ভাবমূর্তি গড়ে উঠবার পেছনে , তাঁর নিজেরও কিছু সশব্দ অবদান আছে , তাই , আমাদের মনে হয় , এই মূর্তি ভাঙবার জন্যে এখন নিজেকেই হাতুড়ি নিতে হবে , কারণ এখনও তিনি সক্রিয় ও সজীব আর কব্জিতেও রয়েছে একজন যুবকের ক্ষমতা । জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্তিত্ব আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী মোহাম্মদ রফিক বক্তৃতামালার সমাপনী দিন ২৮ জুন ২০০৯ - এ প্রবন্ধটি পঠিত হয়েছে
গুরুর মৃত্যুর দু ' বছর আগে তাঁদের তৃতীয় সন্তান নিনা ' র জন্ম হয় । স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ছ ' মাস অবধি গীতা শয্যাশায়ী ছিলেন এবং শোনা যায় যে নিজের সন্তানদেরও সেই সময় তিনি চিনতে পারতেন না । সুস্থ যখন হলেন , তখন বুঝতে পারেন যে তিন সন্তান ছাড়া তাঁর আর কিছুই নেই । আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ নিঃসম্বল । স্টেজ শো করতে শুরু করেন সংসার চালাবার জন্য , পুজোয় বাংলা রেকর্ড বের করলেন এমনকি একটা বাংলা ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন সেই সময়ে , ছবির নাম ' বধূ বরণ ' ( ১৯৬৭ ) ।
চায়না আর জাপানের ভূমিকম্পে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষের জীবন ভেসে গেছে , অনাথ হয়েছে লক্ষ লক্ষ পরিবার , তাঁদের জন্য কি আমাদের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই ? তাহলে ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন ফোরামে ঘটা করে খোলা সব টপিক নেহাতই ফর্মালিটি ?
অবশ্যই বাংলাদেশৈ থাকেন না । যেখানেই থাকুক উনি অনেক স্পিড পান । আমি সর্বোচ্চ ডাউনলোডে ১ . ৪ মে . বাইট পার সেকেন্ড উঠিয়েছি । এর বেশী আর পারি নাই ।
আপনার একাউন্ট থেকে কি বিভাগ বসানো যাচ্ছে না ? যাওয়ার তো কথা । একটু খুলে বলুন ।
আরব আমিরাতের এক পাঁচতারা হোটেলে কর্মরতা এক অস্ট্রেলীয় মহিলাকে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত অ্যালকোহল খাইয়ে ধর্ষণ করে তাঁর সহকর্মীরা ।
ডারউইন আইন্সটাইনের মত পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞানী না হলেও এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে তাঁর মত আর কোন বিজ্ঞানী এমন আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেননি । ডারউইনের গবেষণা কোপারনিকাস , ব্রুনো , গ্যালিলিওর মতই বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক স্ট্যাটাস কুওর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল , তবে ডারউইনের প্রভাবটি সর্বজনীন । ১৮৫৯ সালে অরিজিন অব স্পিসিজ ও ১২ বছর পর দ্যা ডিসেন্ট অব ম্যান এন্ড সিলেকশন ইন রিলেশন টু সেক্সপ্রকাশের মধ্যবর্তী সময়ে অসংখ্য ভাষায় তাঁর গ্রন্থ অনূদিত ও সমালোচিত হয়েছিল । ১৮৮৭ সালে প্রকাশিত তাঁর জীবনী গ্রন্থে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে লিখেছিলেন যে তাঁর তত্ত্ব সুদূর জাপানে পর্যন্ত্য আলোচিত হয়েছে । আরও মজা বিষয় হল , তাঁর অরিজিন গ্রন্থ নিয়ে হিব্রু ভাষায় তিনি একটি প্রবন্ধও খুজে পেয়েছিলেন যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে তাঁর তত্ত্ব নাকি অনেক আগে থেকেই ওল্ড টেস্টামেন্টে ছিল ( তৎকালীন ইহুদিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে জোকারদের অভাব ছিল না ) ! সারা বিশ্বে তাঁর এই খ্যাতির পেছনে প্রযুক্তিরও কিছু ভূমিকা ছিল । অরিজিন প্রকাশের সময়ই আটলান্টিক মহাসাগরের তলে প্রথমবারের মত টেলিগ্রাফের তার প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল , তার পরের দু ' দশকে ভারত , চীন ও অস্ট্রেলেশিয়ার সাথে ইউরোপ সংযুক্ত হয়েছিল । প্রকাশনাশিল্পে যান্ত্রিক উন্নতিও দ্রুত গতিতে গোটা বিশ্বে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । আশ্চর্যনক হলেও সত্য যে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ যে ফ্যাকটরটি ডারউইনের খ্যাতির পথকে প্রশস্ত করেছিল সেটি হল বিভিন্ন লোকধর্মের সাথে একে মানুষের অভিযোজন করিয়ে নেওয়া । কোলকাতা থেকে টোকিও এবং বেইজিংয়ের পন্ডিতরা পর্যন্ত্য দাবি করেছিল যে জৈববিবর্তনের ধারণা অনেক আগে থেকেই তাঁদের শিক্ষায়তনিক সংস্কৃতি ও প্রাচীন পুঁথিতে বিদ্যমান । অনেকে ডারউইনকে ধর্মের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে দেখলেও ডারউইন অবিশ্বাস্যভাবে পৃথিবীজুড়ে ধর্মীয় পুনঃজাগরণে ক্ষুদ্রভাবে হলেও ভূমিকা রেখেছিলেন । এ যুগে মুসলমান সৃষ্টিবাদীদের লম্ফঝম্ফ দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে এঁদেরই ঊনবিংশ শতকের গুরুরা ডারউইন ইস্যুতে " সব ব্যাদে আছে " মার্কা বক্তব্য দিতেন ।
আয়া পড়লাম । কিন্তুক পচুর ইংরেজী আশে পাশে ছড়ানো । এগিলিরে বাংলা করনের কাম ।
কুফর ও নাফরমানীর অবশ্যম্ভাবী ফল হচ্ছে এই যে , এর ফলে মানুষ চিরকালের জন্য ব্যর্থ ও হতাশ হয়ে যায় । এ ধরনের লোক জ্ঞানের সহজ পথ কখনো পাবে না , কারণ যে জ্ঞান আপন স্রষ্টাকে জানে না , তার পক্ষে আর কোন জিনিসের সত্যিকার পরিচয় লাভ অসম্ভব । তার বুদ্ধি সর্বদা চালিত হয় বাঁকা পথ ধরে , কারণ সে তার স্রষ্টার পরিচয় লাভ করতে গিয়ে ভুল করে , আর কোন জিনিসকেও সে বুঝতে পারে না নির্ভুলভাবে । নিজের জীবনের প্রত্যেকটি কার্যকলাপে তার ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা অবধারিত । তার নীতিবোধ , তার কৃষ্টি , তার সমাজ ব্যবস্থা , তার জীবিকা অর্জন পদ্ধতি , তার শাসন - পরিচালনা ব্যবস্থা ও রাজনীতি , এক কথায় তার জীবনের সর্ববিধ কার্যকলাপ বিকৃতির পথে চালিত হতে বাধ্য । দুনিয়ার বুকে সে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে , খুন - খারাবি করবে , অপরের অধিকার হরণ করবে , অত্যাচার উৎপীড়ন করবে । বদখেয়াল , অন্যায় - অনাচার ও দুষ্কৃতি দিয়ে তার নিজের জীবনকেই করে তুলবে তিক্ত - বিস্বাদ । তারপর এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে সে যখন আখেরাতের দুনিয়ায় পৌঁছবে , তখন জীবনভর যেসব জিনিসের উপর সে যুলুম করে এসেছে , তারা তার বিরুদ্ধে নালিশ করবে । তার মস্তিষ্ক , তার দিল , তার চোখ , তার কান , তার হাত - পা এক কথায় তার সব অংগ - প্রত্যংগ আল্লাহর আদালতে অভিযোগ করে বলবেঃ এ আল্লাহদ্রোহী যালেম তার বিদ্রোহের পথে জবরদস্তি করে আমাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিয়েছে । যে দুনিয়ার বুকে সে নাফরমানীর সাথে চলেছে ও হারাম পথে রোযগার করে হারামের পথে ব্যয় করেছে , অবাধ্যতার ভিতর দিয়ে যেসব জিনিস সে জবরদখল করেছে , যেসব জিনিস সে তার বিদ্রোহের পথে কাজে লাগিয়েছে , তার সবকিছুই ফরিয়াদী হয়ে হাযির হবে তার সামনে এবং প্রকৃত ন্যায় বিচারক আল্লাহ সেদিন মযলুমদের প্রতি অন্যায়ের প্রতিকারে বিদ্রোহীকে দিবেন অপমানকর শাস্তি ।
উল্লেখ্য , প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড রোববার জানান , ২০১২ সাল থেকে প্রতি টন কার্বন উৎপাদনের জন্য ২৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ( এক হাজার ৬৫৬ টাকা ) কর দিতে হবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে ।
হরতালকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল এফডিসিতে গতকাল সকাল ১০টা । একে একে এফডিসির সামনে জড়ো হলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার , বেবী নাজনীন , রিজিয়া পারভীন , মনির খান , মুনশী ওয়াদুদ , মনিরুজ্জামান মনির , অমিত হাসান এবং চাষী নজরুল ইসলাম । তাদের সঙ্গে আরো আছেন প্রায় ৩০ - ৪০ জন শিল্পী ও কলাকুশলী । বিস্তারিত … »
উপকরণ : মুরগির সিনার মাংস ৫০০ গ্রাম , আদাবাটা ১ টেবিল চামচ , রসুনবাটা ১ চা - চামচ , গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা - চামচ , বিট লবণ ১ চিমটি , লবণ পরিমাণমতো , ধনেপাতা , কাঁচামরিচ এবং পুদিনা পাতা বাটা ২ টেবিল চামচ , ডিম ১টি , বিস্কুটের গুঁড়ো ১ কাপ , মাখন ২ টেবিল চামচ , তেল পরিমাণমতো । প্রণালী : মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে আদাবাটা , রসুনবাটা , খুব সামান্য পানি এবং লবণ দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে সেদ্ধ মাংস , বিট লবণ , গোলমরিচ গুঁড়ো , ধনেপাতা , পুদিনা পাতা এবং কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন । এবার ব্লেন্ড করা মিশ্রণে মাখন মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন কিছু সময় । ফ্রিজ থেকে বের করে শেপ করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়োয় গড়িয়ে আবার কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজে রেখে ডুবো তেলে ভেজে নিন চিকেন নাগেট ।
মহান একুশের বইমেলায় এবারও প্্রবাসী লেখকদের আগমন বেশ লনীয় । ভাষার প্্রতি আর ভাষা শহীদদের প্্রতি শ্্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন মাটির টানে আমাদের পি্্রয় লেখকরা । বইমেলায় সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলা ভাষার টানে , মায়ের কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ সাথে কথা হয় বিএসবি ক্যামবি্্রয়ান বইমেলা প্্রতিনিধির সাথে । বইমেলার জন্য এক দীর্ঘ সাাতকার গ্্রহন করে সেসব কথা জানাচ্ছেন ডাল্টন জহির । বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্্রন্থ মেলা ও আপনার স্মৃতিতে বইমেলা ও অভিগতার কথা বলুন । হাসানআল আব্দুল্লাহ : ঘোর আনন্দ আছে ; এবং তা ধরে রাখার প্রচেষ্টাও স্বস্তিদায়ক । সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আয়োজনের বহুমুখী ধারা প্রতিনিয়ত টেনে আনছে দূর - দূরান্তের আগ্রহীদের । রক্তে আন্দোলন তুলছে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো । প্রবীণেরাও নবীনের পাশে দাঁড়িয়ে হয়ে উঠছেন তরতাজা , প্রাণবন্ত । হ্যাঁ , আমি বইমেলার কথাই বলছি । বাংলা একাডেমী চত্বরে মাসজুড়ে ফেব্রুয়ারীর মেলা আমাদের সত্তা ও ঐতিহ্যের সাথে গেঁথে গেছে । লেখক প্রকাশক পাঠকের এই মহা উৎসব শুধু ঢাকা শহরই নয় , ব্যস্ত করে তুলছে সারা দেশের মানুষকে । মেলা যেনো এক পণ্য বোঝাই জাহাজ যা ঘাটে ভিড়লে সচকিত হয়ে যায় জেটি ও আশপাশে ঘুরে বেড়ানো , এমনকি পাশ্ববর্তী লোকালয়ের সবগুলো প্রাণ । ফেব্রুয়ারীর এক তারিখ থেকে রেডিও টিভি পত্রপত্রিকায় চোখ রাখেন দেশ ও দেশের বাইরে , বিশ্বের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালী ; কাঙ্তি নতুন বইয়ের খোঁজ করেন পড়ুয়ারা , নতুন মলাটের ঘ্রাণে লেখক ফেলেন তৃপ্তির নিশ্বাস ; বইয়ের সতূপের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রকাশক ছুঁড়ে দেন আনন্দের হাসি ; সাংবাদিকেরা সারাবেলা ছোটাছুটি করেন লেখক - পাঠক - প্রকাশকের নানা সংবাদ সংগ্রহে , স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও পৃথিবীর অন্যপাড় থেকে ছুটে আসেন বই - পাগল মানুষ ; আর মেলামঞ্চে চলে নানা আয়োজন । বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সরাসরি সমপ্রচার , রেডিওর নন - স্টপ প্রোগ্রাম , লিটলম্যাগ চত্বরের আড্ডা আর নজরুল মঞ্চে মোড়োক উন্মেচোনের উপচে পড়া ভিড় অনায়াসে বলে দেয় বাঙালীর হাজার বছরের ঐহিত্য যে বই তা থেকে এই প্রযুক্তি নির্ভরতার যুগে তারা এতোটুকু বিমুখ হননি । তবে লণীয় , মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জ্ঞান চর্চার যে একটি বিশাল কর্মকাণ্ড চলছে তা জাতিকে যে স্থানে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা সেখানটায় পৌঁছাতে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছি । ফাঙ্কফর্টের বিশাল মেলার সাথে আমাদের আয়োজনকে তুলনা করা না গেলেও সরকারী উদ্যোগ , সময়ের ব্যাপ্তি , লেখক - পাঠক - প্রকাশকের মিলন ও সর্বোপরি হৃদয়াবেগের যে প্রকাশ বইকে ঘিরে ঘটছে তার তুলনা বর্তমান পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে । এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও এতো দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বইমেলা হয় না । পরিসংখ্যানে জানা যায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালে যথাক্রমে ২৫ ও ৩৫ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে । প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকাশিত হচ্ছে আড়াই হাজারের মতো নতুন বই ; কোনো কোনো প্রকাশক ৮০ থেকে ১০০টি নতুন বই বের করেন যা বিশ্বের অনেক বড়ো প্রকাশনা পুরো বছরেও বের করতে পারে না । এইসব আশার কথা শুনে আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে যায় । গর্বে বলে উঠতে পারি বাঙালী বইপ্রেমী । কিন্তু কোন অপরাধে আমাদের লেখকরা বিশ্ব সেরা লেখকদের তালিকায় স্থান পান না ? কেনো একটি ভালো বই বেরুলে চারিদিকে হইচই পড়ে না ? কেনো প্রকাশকরা সম্পাদক রেখে বইয়ের মান যাচাই করেন না ? কেনো তরুণ লেখকদের আত্নপ্রকাশের কোনো ব্যবস্থা থাকে না ? কেনো বাজারি বইয়ের মিডিয়া মাতামাতি অসহ্য রকমে বেড়ে যায় ? কেনো একাডেমীর নির্ধারিত বাথরুমে দুর্গন্ধে ঢোকা যায় না ? কেনো কাগজ বা আবর্জনা ফেলার জন্যে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকে না ? বইমেলাকে প্রকৃত প্রাণের মেলায় রূপান্তরিত করতে স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরে এ সব প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার । নতুবা আমরা গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো বলে মনে হয় না । আপনাকে ধন্যবাদ ? হাসানআল আব্দুল্লাহ : আপনাকে ধন্যবাদ বইমেলায় আগত সকলকে ধন্যবাদ , আর অভিনন্দন জানাই বইমেলার আয়োজকদের ।
Download XML • Download text