ben-25
ben-25
View options
Tags:
Javascript seems to be turned off, or there was a communication error. Turn on Javascript for more display options.
বাংলাদেশের সবকিছুই ঘন কুয়াশার মত অন্ধকার তা বললে নিশ্চয় অন্যায় বলা হবে । লাশের উপর দাড়িয়েও এ দেশের মানুষ হাতে মেহেদী পরতে পারে , ছবি কথা বলে । অপরাধ ও পুরস্কার বাংলাদেশ স্টাইল ! প্রশ্ন , এখানে কে অপরাধী আর আর কে জয়ী ?
পরামর্শ থাক্লো , মানসিক চিকিৎসকের সরনাপন্ন হবার । ইদানিং তুমি অ - বাংলায় নিজের নাম - ধাম লিখছো খেয়াল করেছি । ভারতে তোমার নবীকে বলে দেখতে পারো ভালো সাইকিয়াট্রিস্ট - এর সাথে তোমার একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা হয়তো করে রাখতে পারবে । এতো ইবাদত - বন্দেগি করবার ফলস্বরূপ যদি এটুকু না করে কি ' করে চলবে ? !
খরগোশ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো সাবধানে । জীবন্ত হয়ে উঠবার মতো এমন রহস্যময় জাদু তার ওপর কবে ঘটে কে জানে ! আদৌ কি ঘটবে ! অথচ এত্তো ইচ্ছে করছিলো ওর জীবন্ত হয়ে যেতে । জানতে ইচ্ছে করছিলো নিজের শরীরে যখন এই জীবন নামের অদ্ভুত জিনিসটা প্রবাহিত হয়ে যাবে তখন কেমন লাগে । কেমন হয় সেই অনুভূতিটা ?
তিনি বলেন , " বাংলাদেশ বিশ্বের ৩ হাজার ভাগের এক ভাগ । অথচ জনসংখ্যার দিক থেকে ৪৭ ভাগের এক ভাগ । বিশাল জনসংখ্যার এ দেশে এখনই মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ।
ধরুন , আপনার কোডিং - এ একপর্যায়ে " type_sel " নামক একটি কনস্ট্যান্ট ডিফাইন করলেন । তখন আপনার
সেই মুহূর্তগুলোতে পাহাড় প্রমাণ অস্বস্তি এসে হুড়মুর করে মাটি ফুঁড়ে জেগে উঠে তার সামনে । ঢোলা পাজামা বাম ধারের পকেটটা সব সময় ঝুলে থাকে নিচের দিকে প্রচুর মার্বেলে বোঝাই করা ভারের কারণে ।
লেখক বলেছেন : কস্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।
আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় মায়ের সেই আদর মাখা আঁচলের তালে ।
রামুতে পৃথক দু ' টি সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জন নিহত ও ১জন আহত হয়েছে । গতকাল দিনের পৃথক সময়ে দুর্ঘটনা দুট . . .
কেনসিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ২৪০ রানে এগিয়ে আছে ভারত । দ্বিতীয় পালায় তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২২৯ রান । এক প্রান্তে ভিভিএস লক্ষ্মণ ৭২ ও অন্য প্রান্তে বিরাট কোহলি ২৬ রানে ব্যাট করছেন । প্রথম পালায় ২০১ রান করে ভারত । ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম পালা গুটিয়ে যায় ১৯০ রানে । ব্রিজটাউনে শুক্রবার বিনা উইকেটে ২৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ভারত । আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয় ( ৩ ) যেখানে শেষ করেছিলেন থেমে যান সেখানেই । স্কোরবোর্ডে আরো ৩ রান যোগ হলেও সেখানে তার কোনো অবদান ছিল না । তবে খেলে যেতে থাকেন অন্য অপরাজিত ব্যাটসম্যান অভিনব মুকুন্দ ।
অফটপিক : আপনি এত কিছু জানেন কেমনে ? আমার মনে হয় এই ফোরামের টেকি বিষয়ক বড় ধরণের সমস্যার এমন কোন টপিক নাই যেটাতে আপনি সমাধান দেন নাই । খুবই আশ্চর্যকর বিষয় ( অন্তত আমার কাছে ) । আপনার প্রোফাইলটা জানার খুব ইচ্ছে । প্রোফাইল না দিলেও আশা রাখি উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর পাব ।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে একদিকে যখন সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন চলছে - অন্যদিকে প্রতিদিন দেশের আনাচে কানাচে পাকিস্তান মিলিটারির গুলিতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে । পাকিস্তান মিলিটারির গতিবিধি থামানোর জন্যে ছাত্র - শ্রমিক - জনতা পথে পথে ব্যারিকেড গড়ে তুলছে । সারাদেশে ঘরে ঘরে কালো পতাকার সাথেস্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে । দেশের ছাত্র - জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যে ট্রেনিং নিচ্ছে । মওলানা ভাসানী ৯ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভায় পরিষ্কার ঘোষণা দিয়ে বলে দিলেন , পশ্চিম পাকিস্তানিরা যেন আলাদা করে তাদের শাসনতন্ত্র তৈরি করে , কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েনিজেদের শাসনতন্ত্র নিজেরাই তৈরি করে নেবে । ১৬
যেসব নাগরিক সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা , আপনারা একটা চমৎকার কাজ করেছেন । আমি মোটামোটি কাঠখোট্টা মানুষ হলেও কয়েকটা ছবি দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে ।
আপনি হয়তো বুঝতে পারেননি এখানে কি বিষয়ে কথা চলছে এবং হ্যাকিন্টোশ কি জিনিস । তাই উইন্ডোজ ব্লাইন্ডস - এর সাথে তুলনা করার চেষ্টা করলেন !
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন , ২০১০ রাত ২ : ৪৯
Shamokal চট্টগ্রাম ব্যুরো | ঢাকা | ২৫ এপ্রিল ২০১০ থাইল্যান্ডের ধস্মকায়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাংলাদেশকে দেওয়া ২৫০টি মূল্যবান অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধমূর্তি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নগরীর পলোগ্রাউন্ড স্কুল মাঠে রাখা হচ্ছে । আগামী ৭ মে মহামানব গৌতম বুদ্ধের ২৫৭৩তম বুদ্ধ জয়ন্তীতে এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে হস্তান্তর করা হবে । বুদ্ধজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা পান্নালাল বড়ূয়া , অমিরণ বড়ূয়া , কাঞ্চন বড়ূয়া , বিপ্লব বড়ূয়া , বিকাশ কুমার চৌধুরী বুদ্ধমূর্তিগুলো প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছেন ।
লেখক বলেছেন : হাসান ভাই , যাদের এখনও বিয়ের বয়স হয়নাই , তারা কি করবে ?
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চমৎকার সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া । তবে সবার নজর কাড়েন মাইক হাসি । পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে হাসি শেষ ওভারে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৯১ বলে করেন ১০৮ । তিনি তার ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও ২টি ছক্কা দিয়ে । এটি তার একদিনের ক্রিকেট জীবনের তৃতীয় শতক । এর আগে দ্বিতীয় খেলায় ওয়াটসন ও সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং যেখানে শেষ করেছিলেন , সেখান থেকে শুরু করেন তারা । ব্র্যাড হ্যাডিনের বদলে টিম পেইনকে সুযোগ দেয়ায় ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় উদ্বোধন করতে নামেন পন্টিং । উদ্বোধনী জুটিতে রীতিমত ঝড় তোলেন ওয়াটসন ও পন্টিং । ১১ ওভার ৫ বলে ১১০ রান তোলেন তারা । ৭২ রান করে আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হন ওয়াটসন ।
" তিনি যখন কিছু একটা ( সৃষ্টি ) করতে ইচ্ছা করেন তখন কেবল এইটুকুই বলেন " হও " অত : পর তা সাথে সাথে ( তৈরই ) হয়ে যায় " । ( সুরা - ইয়াসিন , আয়াত - ৮২ ) এবং এই রকম আরোও অনেক আয়াত আছে .
ঢাকা , ১১ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : রাত ১২টায় স্ত্রী গল্পকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়াজ । এদিকে গল্প ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । নিয়াজের সন্দেহটা সেখানেই । কারণ , নিয়াজ জানে তার বাবা হবার কোন . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
বাংলাদেশে ভাল সাংবাদিক পাইলেন কই ? ? ? বেশীর ভাগই মূর্খের দল । যেগুলি মূর্খ না সেগুলি হয় টাউট নয়তো জ্ঞানপাপী
প্যান্টের জিপার নিয়েই আমার ভয়ের শেষ নাই , কখন লাগে কে জানে । পিঠেরটা থাকলে টেনশন বাড়বে খালি . . . : অপেক্ষায়আছি : : অপেক্ষায়আছি :
" ঝিনাইদহে এক সপ্তাহে আটটি গুপ্তহত্যা " ( ০১ / ০৭ / ৭৩ ) ; " ঢাকা - আরিচা সড়কঃ সূর্য ডুবিলেই ডাকাতের ভয় " ( ০২ / ০৭ / ৭৩ ) " বরিশালে থানা অস্ত্রশালা লুটঃ ৪ ব্যক্তি নিহত " ( ৪ / ০৭ / ৭৩ ) ; " পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্তঃ সমুদয় অস্ত্রশস্ত্র লুট " ( ১২ / ০৭ / ৭৩ ) ; " লৌহজং থানা ও ব্যাঙ্ক লুট " ( ২৮ / ০৭ / ৭৩ ) ; " দুর্বৃত্তের . . . ফ্রি স্টাইল " ( ০১ / ০৮ / ৭৩ ) ; " পুলিশ ফাঁড়ি ও বাজার লুটঃ লঞ্চ ও ট্রেনে ডাকাতি " ( ৩ / ০৮ / ৭৩ ) ; " এবার পাইকারীহারে ছিনতাইঃ সন্ধা হইলেই শ্মশান " ( ১১ / ০৮ / ৭৩ ) ; " চট্টগ্রামে ব্যাংক ডাকাতি , লালদীঘিতে গ্রেনেড চার্জে ১৮ জন আহত , পাথরঘাটায় রেঞ্জার অফিসের অস্ত্র লুট " ( ১৫ / ০৮ / ৭৩ ) ; " খুন ডাকাতি রাহাজানিঃ নোয়াখালীর নিত্যকার ঘটনা , জনমনে ভীতি " ( ১৬ / ০৮ / ৭৩ ) ; " ২০ মাসে জামালপুরে ১৬১৮টি ডাকাতি ও হত্যাকান্ড " ( ১৭ / ১১ / ৭৩ ) ; " আরও একটি পুলিশক্যাম্প লুটঃ সুবেদরসহ ৩ জন পুলিশ অপহৃত " ( ১৩ / ০৭ / ৭৩ ) ; " যশোরে বাজার লুটঃ দুর্বৃত্তের গুলীতে ২০ জন আহত " ( ১৮ / ০৪ / ৭৪ ) ; " রাজশাহীতে ব্যাংক লুট " ( ২১ / ৪ / ৭৪ ) । মুজিব আমলের পত্রিকাগুলো পড়লে চোখে পড়বে এরূপ হাজার হাজার ঘটনা ও বহু হাজার বিয়োগান্ত খবর । পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে দুর্বৃত্তির যত না ঘটনা ঘটেছে মুজিবের ৪ বছরে তার চেয়ে বহু গুণ বেশী ঘটেছে । বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে " ভিক্ষার ঝুলী " - এ খেতাব জুটিনি , কিন্তু মুজিব সেটি অর্জন করেছে । অথচ কিছু কাল আগেও গ্রামবাংলার অধিকাংশ মানুষের গৃহে কাঠের দরজা - জানালা ছিল না । ঘরের দরজায় চট বা চাটাই টানিয়ে অধিকাংশ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে রাত কাটাতো । কিন্তু মুজিব শুধু খাদ্যই নয় , সে নিরাপত্তাটুকুও কেড়ে নেয়
পরদিন মধ্যরাতে পুরানো সেই চেয়ারটাতে পুনরায় বসলাম । পাশের চেয়ারটা আরও পাশে টেনে বসলো রহমান । গল্পটা আবার লিখতে বসলাম । রহমান তার ইচ্ছে মত লিখিয়ে নিলো সব । আমার সেই তেজ আর স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য গত হয়েছে কবেই তাই নীরবে মেনে নিতে হল ওর নির্দেশ । একসময়ের ফাস্ট ক্লাস পেয়ে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া রহমান এখন এ প্লাস পেয়ে নর্থ সাউথে ভর্তি হয়েছে । পাল্টে গেছে পোশাক আশাকেও - ঢিলে ঢোলা শার্ট - প্যান্টের বদলে এখন সে জিনস আর টি - শার্ট পরে । যে কিনা একদিন রাজনীতিবিদ হয়ে দেশের সেবা করতে চেয়েছিল এখন সে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের ধান্দা করছে । পারলে থেকে যাবে ওখানেই । আমি লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । সকালে উঠে দেখি রহমান উধাও । রাস্তা ঘাট তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম , এ - গলি সে - গলি কোথাও বাদ রাখলাম না - রহমানের কোন হদিশ পেলাম না ।
এসব তথ্য , কে না জানে , ছাত্রপাঠ্য বইয়ের পাতায় আছে । কিন্তু টার্নারের ছবির অনুষঙ্গে এ লেখায় উপমহাদেশের কোম্পানি চিত্রকলা , নদীমাতৃক বাংলার নিসর্গচিত্রের একটি প্রচলিত ধারা কিংবা আমাদের সবারই প্রিয় উপন্যাসকে ছুঁয়ে যেতে দেখে চমৎকৃত হতে হয় । বেইজিং শহরে প্রদর্শনী দেখে বেরিয়ে বৃষ্টিস্নাত আকাশে রৌদ্র - মেঘের খেলাকে শিল্পী - লেখকের মনে হয় ' ঠিক যেন টার্নারের ছবির মতো ' !
মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো : নোমান উর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে নাজমা আক্তার এম . পি . , শিক্ষাসচিব সৈয়দ আতাউর রহমান , অতিরিক্ত সচিব মো : এস এম গোলাম ফারুক , এনসিটিবি ' র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো : মোস্তফা কামাল উদ্দিন , নায়েম ' এর মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুর রহমান , এসইএসডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রতন কুমার রায় , এনসিটিবি ' র পরিচালক ( শিক্ষাক্রম ) প্রফেসর তাহেরা আক্তার জাহান প্রমুখ বক্তৃতা করেন । কর্মশালায় দুই শতাধিক শিক্ষক , শিক্ষাবিদ , শিক্ষা প্রশাসক , অভিভাবক অংশ গ্রহণ করেন ।
ব্লাডঃ পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের যাঁদের আমরা চিনতাম , তাঁদের বেশির ভাগকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল । যেমন গভর্নর , জেনারেল অফিসার কমান্ডিং । অবশ্য পরে তাঁদের পেয়েছি । তাঁরাও সামরিক হামলার বিরোধিতা করেছিলেন ।
লেখক বলেছেন : নাজিরুল ভাইরে অনেক দিন পরে দেখলাম আছেন কেমন ? ? কার একটা পোষ্টে দেখলাম এখন আর আমার মত নিঃসঙ্গ নাই বিয়ে করে ফেলছেন সত্য নাকি ? ?
ফকির ইলিয়াস সাহেবের উদ্দেশ্যে একছত্র > > জুলিয়ান সিদ্দিকী
উপরের লাইন কয়টা স্বাধীনতার চেতনাধারী বাংলাদেশের মানুষের সূখনিদ্রা যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ।
রমিজ আলী মেস্বাক দিয়ে দাত ঘষছে . রাত গভীর হইতেছে . আকাশ ফাত্ত চাঁদের আলো মাটিতে পরতেসে . রমিজ আলী আরও জোরে মেস্বাক ঘষে . আজকের কাজ অনেক বেশি হইব . আকাশে যেইদিন
জবাব দেয়ার মত কিছু নেই আপনার মন্তব্য । বলতে পারেন কৌতূহলের কারণে কিছু একটা লিখতে বসলাম । একটু বোধহয় দেরী হয়ে গেছে আপনার আগমনে । উপরের লেখাটা অনেকদিন আঠার মত ঝুলে ছিল এখানে । প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ডঃ ' এর সুচিন্তিত মন্তব্য হয়ত অনেকেরই সময় বাচিয়ে দিত । আফসোস করা ছাড়া আর কোন রাস্তা দেখছি না । আপনার ই - মেইলটা কোথাও প্রকাশ করলে ভবিষ্যত লেখা প্রকাশের সাথে সাথে আপনাকে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি । আমার কৌতূহলটা অবশ্য অন্য জায়গায় । কোন মনমানসিকতা নিয়ে মা বসুমতীর এই একবিংশ শতাব্দিতে আপনি বাস করছেন জানতে বড্ড ইচ্ছে করছে । তর্কের খাতিরে ধরে নেই মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত কোন মরুভূমিতে শেখদের ভেড়ার পাল দেখাশুনা করছি আমি । স্বভাবতই আমার বিশেষ কোন লেখাপড়া নেই , নেই রাজনীতি , অর্থনীতি আর সমাজনীতির উপর নূন্যতম জ্ঞান । এমনটা হতেই পারে । ব্যাক্তি ওয়াচডগ না করলেও হয়ত বাংলাদেশীদের অনেকেই এসব কাজ করে জীবন ধারণ করছে । এখানে অমানুষত্বের কি পেলেন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে । মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম দেয়া হোক আর নিউইয়র্কে ইয়োলো চালানো হউক যারা এমনটা করছে তার আপনার মতই দুই হাত , দুই পা আর ঘাড়ের উপর মস্তক ওয়ালা একজন মানুষ । ওদের হয়ত প্রসিডেন্ট পুরস্কার দেয়া হয়না , কিন্তু একটা সত্য আপনাকে মানতে হবে এদের এই পরিশ্রমই কিন্তু ১৭ কোটি মানুষের দেশকে সচল রাখছে । আপনি যে কক্ষে প্রেসিডেন্টের হাত হতে পুরস্কার নিলেন সে কক্ষে নিশ্চয় বিজলী বাতি জ্বলছিল । জানেন কি ঐ রুমে ব্যবহার করা বিদ্যুত উৎপাদন করতে বিদেশ হতে জ্বালানি আনতে হয়েছিল ? জ্বালানির মালিকরা আমাদের মামা শ্বশুর নয় যে বিনাপয়সায় তা বিলিয়ে দেবে । মূল্য দিয়েই তা আমাদানি করতে হয় এবং এর জন্যে শেখ মুজিবের ছবিওয়ালা কাগজ নয় বরং সৌদি আরবের কথিত এসব অশিক্ষিত মানুষের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের বিনিময়ে আয় করা অর্থ দিয়েই তা করতে হয় । এই যে আপনার নেত্রী ও তার সন্তানগণ চোখেপড়ার মত কোন কাজকর্ম না করেই বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে বাড়ি - গাড়ির মালিক হতে পারছেন তাও কিন্তু কথিত অশিক্ষিত মানুষদের পরিশ্রমেরই ফসল ।
বাংলাদেশের টাইগারেরা দারুন খেলেছে । ২৮৩ রানের ভালো টোটাল স্কোর করেছে । যদিও ভারতের ৩৭০ রানের বিশাল স্কোর দেখে আশা আগেই ছেরে দিয়েছিলাম তবুও আশা ছিলো বাংলাদেশ ভালো ফাইট করবে । বাংলাদেশ দল ভালো ফাইট উপহার দিয়েছে । প্রতিপক্ষের কাছে অসহায় আত্নসমর্পন করেনি । ওয়েল প্লেইড টাইগারস . . . . . . . । পরবর্তী ম্যাচ গুলোর জন্য রইলো শুভকামনা । আমাদের দলকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য নেক্সট ম্যাচ গুলোতে জিততে হবে । B - ) B - ) B - ) গুড লাক বাংলাদেশ ।
স্যার এলটন জন - এর এইডস ফাউন্ডেশনের জন্য স্পেশাল এক কনসার্টে স্টেজে দেখা যাবে জর্জ মাইকেলকে । লন্ডন - এর রয়্যাল অপেরা হাউজে অনুষ্ঠিতব্য এই কনসার্টটির মাধ্যমে উপকৃত হবে চ্যারিটির নতুন এলিজাবেথ টেলর মেমোরিয়াল ফান্ড । খবর বিবিসি অনলাইন - এর । স্যার এলটন - এর এইডস বিষয়ক কনসার্টে অংশ নেয়ার কারণ হিসেবে জর্জ মাইকেল জানিয়েছেন , ' এইডস - এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে এলিজাবেথ টেলর - এর নামে প্রতিষ্ঠিত এই চমৎকার উদ্যোগকে সম্মান জানাতে চাই ' । জানা গেছে , জর্জ মাইকেল - এর ইউরোপিয়ান সিম্ফোনিকা অর্কেস্ট্রাল ট্যুর - এর অংশ হিসেবে ৬ নভেম্বর এই স্টেজ শো অনুষ্ঠিত হবে । ১৯৯২ সালে এলটন জন ' স্যার এলটন জন এইডস ফাউন্ডেশন ' প্রতিষ্ঠা করেন ।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইত্তেফাকের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু , ইন্ডিপেন্ডেন্ট সম্পাদক মাহবুবুল আলম , সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার , ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম , প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান , সান সম্পাদক প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন , মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী , ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন , ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত , দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাস কবির , মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবেদ খান , আসাদুজ্জামান নূর , শাঈখ সিরাজ , তৌফিক ইমরোজ খালিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
সম্পূর্ণ → Blogger . com ব্লগের টেমপ্লেট রঙ HTML দিয়ে পরিবর্তন করা
সূর্য রশ্মি বলেছেন : আমি করছিলাম ব্যাংক ডাকাতি - নাকি চুরি বলব । তবে মাটির ব্যাংক ছিল , মা গিয়েছিল চাচীর বাসায় সেই সুযোগে চুলের ক্লিপ দিয়ে ব্যাংকের ভিতরে খুচিয়ে খুচিয়ে ১৫০ টাকা বের করেছি । সেই টাকা দিয়া হোটেল থেকে ডাল পুরি এনে খেতাম , ডাল পুরি এখনও আমার প্রিয় খাবার ।
আজ প্রথম এলাম এখানে । প্রাইমা ফ্যাসি ভালো লেগেছে । গুড জব । তবে এটা কি ব্লগের মত ? যদি ব্লগ হয় , তবে কি তা পারসোনাল ? নাকি সোশ্যাল ? আমি কি এখানে লিখতে পারব ? তা কি প্রকাশিত হবে অনলাইনে ? এখানে সাইন আপ করার কি ব্যবস্থা ?
হবিগঞ্জ , ২৪ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় দু ' দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে । এতে আহত হয়েছে আরো ১০ জন । নিহতের নাম আব্দুল হামিদ ( ৬০ ) । তিনি বড়ইউড়ি গ্রামের কাছম আলীর ছেলে । বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোকসেদুল মোমিন মোনেম শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান , পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ধ্যার দিকে মহিদ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া ' র লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাধে । সংঘর্ষে গুরুতর আহত আব্দুল হামিদকে ( ৬০ ) বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সাড়ে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন । আহত মহিদ মিয়া ( ৪০ ) , নুর মিয়া ( ৪৫ ) , আফরোজ মিয়া ( ৩৫ ) , ওয়াহেদ মিয়া ( ৪৫ ) , আব্দুর রউফ ( ৩৫ ) , ইকবাল ( ২২ ) ও মুছা মিয়াকে ( ৩৫ ) বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি করা হয়েছে । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এস / ২২ . ৩১ ঘ . )
নাগরিকের প্রতি যদি তার ঐসব কথা না হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আমার অভিযোগের বা প্রশ্নের উত্তর আমি পেলাম । বুঝলাম আমার ধারনা ভুল ছিলো । দ্যাটস ওকে ।
অসহায় যাত্রী হয়ে মিরপুর থেকে আসছি প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ ঝুলে ঝুলে - নিন্ম আয়ের অফিসগামী যাত্রীরা - দরিদ্র পরীক্ষার্থী ভাই বোনরা - আমরা সবাই এই গরমে লোকাল বাসের দমবন্ধ চাপাচাপিতে - হায় কি ভোগান্তি - হায় - আমাদের আক্কেল কবে হবে ? - মানুষতো প্রয়োজনের তাগিদেই ঘর থেকে বের . . .
- তোমার পুত্র যে আবার বেলা দুটোয় আসবে , কে বাড়ি আনবে তাকে ?
প্রবাসে বাঙালির সংস্কৃতি চর্চা ফকির ইলিয়াস - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় ' এথেন্স পার্ক ' টি এক সময় ছিল গ্রিক - আমেরিকানদের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু । দু ' দশক আগে কখনও ভাবাই যেত না , এই এথেন্স পার্ক একদিন বাঙালি অভিবাসীদের অনুষ্ঠানমালায় মুখরিত হয়ে উঠবে । অথচ আজ তাই হয়েছে । এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে প্রবাসের একটি অত্যন্ত সুপরিচিত সংগঠন ' বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস ' ( বিপা ) । বিপা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতি চর্চায় একটি বিপ ব ঘটিয়েছে তা বলা যায় আজ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে । বিপা গেল ছ ' বছর যাবৎ এথেন্স পার্কের মুক্তমঞ্চে আগস্ট মাসের প্রতি শুক্রবার বিকালে ৪ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করছে অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে । গান , নাচ , নাটক , মূকাভিনয় , কবিতা আবৃত্তি , পুঁথিপাঠসহ বিভিন্ন সূচি থাকছে এসব অনুষ্ঠানে । বিপা এ পর্যন্ত বেশ কিছু নবীন প্রজন্মেরর অভিবাসী বাঙালি শিল্পীও সৃজন করেছে । সেমন্তী ওয়াহেদ তাদেরই একজন । সেমন্তী গেল ক ' মাস আগে ঢাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে কৃতিত্ব কুড়িয়েছেন । তার পারফরম্যান্স প্রশংসিত হচ্ছে দেশে - বিদেশে । বিপা ' র ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শতাধিক । প্রবাসে এভাবেই গড়ে উঠছে মিনি বাংলাদেশ । শক্ত হচ্ছে বাংলা ভাষা , বাঙালির সংস্কৃতির শিকড় । বিদেশে যে লাখ লাখ বাঙালি প্রজন্ম বেড়ে উঠছে , তাদের ' সুন্দরতম ভূমি বাংলাদেশ ' কে বিশদভাবে জানাতে এগিয়ে এসেছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক কৃতী পুরুষ বিশিষ্ট সাহিত্যিক , প্রাবন্ধিক কবি ড . হুমায়ুন আজাদ । তিনি লিখেছিলেন একটি চমৎকার গ্রন্থ ' মাই বিউটিফুল বাংলাদেশ ' । শিশু কিশোর - কিশোরীদের পঠন উপযোগী এ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিল নিউইয়র্কভিত্তিক প্রকাশনা - বিপণন সংস্খা ' মুক্তধারা ' । গ্রন্থটি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার অনেক বাংলা স্কুলে পঠিত হচ্ছে । অনেক মাতা - পিতা তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিয়েছেন এই গ্রন্থটি । বাংলা শিক্ষানবিসদের উপযোগী আরেকটি বাংলা বই খুব সহজ ভাষায় লিখেছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী টিভি ব্যক্তিত্ব , প্রাবন্ধিক বেলাল বেগ । তার গ্রন্থটিও প্রশংসিত হয়েছে পাঠক মহলে । বিশেষ করে লন্ডন এবং নিউইয়র্ক নগরী এখন গড়ে উঠেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অভিবাস ভূমি হিসেবে । লন্ডন প্রবাসী বাঙালিরা দাবি করছেন , ইংল্যান্ড এখন ' তৃতীয় বাংলা ' । একই দাবি নিউইয়র্কবাসীরও । চলছে পরিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার প্রতিযোগিতা । বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলার পর ' তৃতীয় বাংলা ' নামক চারণভূমিটি কোথায় তৈরি হবে তা স্পষ্ট করে বলার সময় হয়তো এখনও আসেনি । কিন্তু অভিবাসী বাঙালির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে , তার অব্যাহত ধারায় এক সময় ' তৃতীয় বাংলা ' কিংবা ' চতুর্থ বাংলা ' র অস্তিত্ব যে বিকশিত হবেই তা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র । দুই . প্রবাসে বাংলা ভাষা , বাংলা সংস্কৃতি চর্চার পথিকৃত হিসেবে অনেকের ভূমিকা স্মরণযোগ্য । একজন অগ্রজের কথা না বললেই নয় । তিনি ইংল্যান্ড প্রবাসী প্রয়াত তাসাদ্দুক আহমদ । ষাটের দশকে ব্রিটেনে এসে বিলেতে বাংলা সংস্কৃতি চর্চার যে ঝাণ্ডা তিনি উড়িয়েছিলেন তা আজও উড়ছে ইংল্যান্ডের আকাশে গৌরবের সঙ্গে । তাসাদ্দুক আহমদ তার কর্মের জন্য ব্রিটেনের রানীর দেয়া ' এমবিই ' খেতাব পেয়েছিলেন । মনে পড়ছে , ১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডে দেশ বিকাশ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে বাংলাদেশ মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ আমার হয়েছিল । সে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাসাদ্দুক আহমদ তার স্বপ্নের কথা আমাদের বলেছিলেন । তিনি বলেছিলেন , এই প্রবাসী প্রজন্মের সুযোগ্য সন্তানরাই একদিন তাদের শিকড় ভূমি বাংলাদেশের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে । এরা জানবে তাদের মূল ধারার কথা । তাদের ইতিহাস , ঐতিহ্য , সভ্যতা , সংস্কৃতির কথা । তারা তা ধারণ করবে মনেপ্রাণে । ব্রিটেনে এখন বেশক ' টি প্রতিনিধিত্বশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন কাজ করছে মাঠ পর্যায়ে । ' বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ' ইংল্যান্ড শাখা নিয়মিত কার্যক্রম চালু করেছে গেল পাঁচ বছর যাবৎ । ' চারণ ' নামের একটি সাংস্কৃতিক চক্রও গড়ে তুলেছেন বেশ কিছু মননশীল তরুণ - তরুণী । লন্ডনের বাংলা টাউনে বাংলাদেশ মেলা , বৈশাখী মেলার আয়োজন হচ্ছে প্রতি বছর খুব জমকালো আঙ্গিকে । অংশ নিচ্ছেন দেশ ও প্রবাসের শিল্পীরা । একইভাবে কানাডার টরন্টো , মন্ট্রিয়েলেও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর নাচ , গান , সেমিনার , নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্ত ফোরামসহ ব্যাপক আয়োজন করছে । ১৯৮৭ সালে ফেডারেশন অব বাংলাদেশী অর্গানাইজেশন অব নর্থ আমেরিকা ( ফোবানা ) নামে একটি ছাতা সংগঠন জন্ম নিয়েছিল উত্তর আমেরিকায় । কিন্তু দু : খের কথা নেতৃত্বের কোন্দলের শিকার হয়ে ফোবানা এখন বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে । যে লক্ষ্য নিয়ে ফোবানার জন্ম হয়েছিল , সে লক্ষ্য থেকে সম্পূর্ণই সরে এসেছে উদ্যোগটি । পরিকল্পনা চলছে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে গোটা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং কানাডা জুড়ে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ' বাংলাদেশ সম্মেলন ' আয়োজন করার । বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সংগঠনগুলো এ বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে ইতিমধ্যে । তিন . যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ , বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে । সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন গেল পাঁচ বছর যাবৎ সুবিশাল পরিসরে বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করছে নিউইয়র্কে । একই ধারায় এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম সমিতি , বিয়ানীবাজার সামাজিক - সাংস্কৃতিক সমিতি , জ্যামাইকা ফেন্সন্ডস সোসাইটি , ব্রঙ্কস্ বাংলাদেশ সোসাইটিসহ বেশ কিছু সংগঠন । বোস্টনে কিশলয় বাংলা স্কুল , ওয়াশিংটন বাংলা স্কুল , কিংবা নিউইয়র্কে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী , তরঙ্গ শিল্পীগোষ্ঠী , বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার , বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যেসব প্রোগ্রাম করছে তা প্রবাসে সংস্কৃতি চর্চার পরিপূরক সর্বাংশে । তাছাড়া প্যারিসে পার্থ প্রতিম মজুমদার কিংবা ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজী মশহুরুল হুদার মতো কৃতী মূকাভিনেতা অথবা শিল্পী কাদেরী কিবরিয়া , পণ্ডিত রামকানাই দাশ , শিল্পী কাবেরী দাশ , শিল্পী দুলাল ভৌমিক প্রমুখের উজ্জ্বল ভূমিকা কি অস্বীকার করা যাবে ? কিংবা প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা . জিয়াউদ্দিন আহমেদের কথা ? অতিসম্প্রতি নিউইয়র্কে সিলেট সদর হাউসে আয়োজন হল প্রবাসী শিল্পী তাজুল ইমামের একক চিত্র প্রদর্শনী ' স্মৃতি - সত্তা - বোধ ' । তার কর্মে প্রবাসের জীবনঘনিষ্ঠ চিত্রই ফুটে উঠেছে প্রাঞ্জলভাবে । তাজুল ইমাম একের ভেতরে অনেক । শিল্পী , সুরকার , চিত্রকর , গল্পকার , গীতিকার , গ্রাফিকস ডিজাইনার । প্রবাসে শিল্পী সত্তার ' আইকন ' তৈরি হয়ে গোটা বিশ্বে বাংলা সংস্কৃতির দ্যুতি ছড়িয়ে দেবে এ প্রত্যাশা প্রবাসী সমাজের । পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের আয়োজন বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন উত্তর আমেরিকায় আয়োজিত হচ্ছে পঁচিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে । এ সম্মেলনে বাংলাদেশের বাঙালিদের অংশগ্রহণও বাড়ছে । বেশ ক ' টি নাট্য সংগঠন নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে শো ' তে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছে । নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি বেশ ক ' জন বাঙালি লেখক - পাঠককে তাদের সেশনে পাঠ করার সুযোগ দিয়েছে গেল পাঁচ বছরে । এর পরিসর ক্রমশ বাড়ছে । অভিবাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়ায় বাঙালিরা ছড়িয়ে পড়বেই বিশ্বের দেশ - দেশান্তরে । বিশ্বায়ন তাদের ডেকে নেবে আরও কাছাকাছি । তারা বিদেশে যাওয়ার সময় নিজ সংস্কৃতি বহন করে নিয়ে যাবেন এবং তা তুলে ধরবেন যুগে যুগে কালে কালে । চার . বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা চলছে অষ্ট্রেলিয়া , জাপান , সুইডেন , জার্মানীসহ সৌদীআরব , কু্য়েত , কাতার , বাহরাইন , ওমান , আরব আমীরাত - মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে । প্রবাসী - অভিবাসী বাঙালীরা জাগিয়ে রাখছেননিজ সভ্যতা । অনেক প্রবাসী কবি লেখকের বই বের হয় বইমেলায় । অনলাইন ম্যাগাজিন , ব্লগে লেখালেখি সহ প্রতিদিনের কর্মকান্ড নজর কাড়ার মতো । এর ব্যাপৃতি যতো এগিয়ে যাবে ততোই লাভবান হবেপ্রবাসী প্রজন্ম । - # # # # #
৮০ - এর দশকে আমার এক শিক্ষক আমাকে একদিন অর্থনীতি পড়াতে গিয়ে বলেছিলেন , ' এই , বল তো , বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক কত টাকা বৈদেশিক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হাঁটছে , ঘুমাচ্ছে , আনন্দ করছে ? ' আমি সঠিক উত্তরটি বলতে না পারলেও সেদিন স্যার বলেছিলেন , ' ব্যাটা , এটা জানিস না ! তুই এই মহূর্তে ৬৩০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে হাঁটছিস , খাচ্ছিস , ঘুমাচ্ছিস , আনন্দ - ফুর্তি করছিস ! ' সেদিন মনে হয়েছিল , ' মাত্র ৬৩০ টাকা ! এই আর এত বেশি কি ? আমি তো ইচ্ছে করলেই আমার ঋণটা শোধ করে দিতে পারি । '
মর্তুজা ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন , পাঁচ নম্বর কূপ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও আবাসন নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ।
মনিরুল ইসলাম মনিরঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই বিভাগের ১০ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন , উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আতাম বোরহান উদ্দিন । প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন , মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন , ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পরিবার ও পরিকল্পনা পরিদর্শক ওবায়েদ উল্যাহ । বিদায়ী পরিবার ও পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুল লতিফ , মোঃ আবু মুছা , মোঃ শাহজাহান , জয়নাল আবদীন , নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস , পরিবার ও পরিকল্পনা সহকারী ফৌজিয়া হক , মাফিয়া আক্তার , জোছনা আক্তার , আরোজা বেগম ও এমএলএসএস তোফায়েল আহমেদ । অনুষ্ঠানে বিদায়ীদের সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ।
আসসালামু আলাইকুম , আশা করি সবাই ভাল আছেন । আজ আমি ফাইল মেনুর Print preview নিয়ে আজ আলোচনা করব । আজকে … আরো পড়ুন »
আপনার চোখের সমস্যা আছে নাকি ? আমার মনে আপনার চোখে ডাক্তার দেখান উচিত । রাব্বি ভাই যা লেখা দিয়েছে তার নীচে উনি সুন্দর করে লিংক দিছে , দেখেন ।
ভিকে : আমি বিবাহিত এবং থেম্বি আমার স্ত্রী । আমাদের চার সন্তান , ১ . ৫ থেকে ৯ বছর বয়সের তিন মেয়ে আর এক ছেলে রয়েছে । পরিবার হিসাবে আমরা ঈশ্বরকে ভয় করি আর এটা এসেছে খ্রিষ্টান হিসাবে আমাদের বেড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে , তবে ধর্ম পালন সর্বোপরি আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার সোয়ায়েল গত রাতে আমার দেশ - এর কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেছেন , এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমরা জড়িত নই । এ ব্যাপারে বিবিসির কাছে দেয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন , যে কোনো ধরনের অপারেশনই আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় করে থাকি । আমাদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রমাণিত হলে সে ক্ষেত্রে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকি । আমার দেশকে তিনি জানিয়েছেন , উইকিলিকসের তথ্য ও গার্ডিয়ানের রিপোর্ট তিনি দেখেছেন । তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে র্যাবের প্রশিক্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন , বাইরের দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া নতুন কোনো বিষয় নয় । বিদেশে প্রশিক্ষণে মানবাধিকার রক্ষা করে দায়িত্ব পালন ও ক্রাইম সিন সংক্রান্ত বিষয় তাদের প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে তিনি জানান । উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি , গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন , বিবিসি , বিডিনিউজ ও আমার দেশ - এর অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ।
' ভালো ' স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়া সম্প্রচার করবে বিটিভি । ২২ মে এই সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হবে । রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান , প্রতি রোব , সোম ও মঙ্গলবার সকাল ০৯টা ১০মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত নবম শ্রেণীর বিষয়ভিত্তিক তিনটি ক্লাসের পাঠদান সম্প্রচার করা হবে । মন্ত্রী জানান , শুরুতে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন , ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি এবং গভ . ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে । পরবর্তী প্রচারসূচি বিটিভির ঘোষণা ও স্ক্রলের মাধ্যমে জানানো হবে । পর্যায়ক্রমে মানসম্মত স্কুলের সংখ্যা ও বিষয় সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি । প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলসহ অন্যান্য স্কুলে কীভাবে শিক্ষার্থীরা বিটিভির ওই অনুষ্ঠান দেখবে - জানতে চাইলে নাহিদ বলেন , বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু টেলিভিশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে । অন্যদের মধ্যে শিক্ষাসচিব ড . কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী , প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান , অতিরিক্ত সচিব এস এম গোলাম ফারুক , বিটিভি ' র মহাপিরিচালক কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন প্রেস ব্রিফিংয়ে ।
পাচক সেটা খুশি মনেই মেনে নেয় , কেননা তার মনিব ফেয়ারব্যাঙ্কস্ এমন এক মানুষ যিনি নিজেও লোকের সঙ্গে ঠাট্টামশকরা করতে পছন্দ করেন ।
মধুমিতা ম্যুভিজের পক্ষ থেকে একটি ভারতীয় ছবি সেন্সরের জন্য জমা দেয়া হয়েছে । আরো কয়েক জন অপেক্ষা করছেন তাদের আনা ছবি দেয়ার জন্য । তারা এখন অপেক্ষা করে দেখছেন মধুমিতার ছবিটির ক্ষেত্রে কি ঘটে । এদেশে ভারতীয় ছবি মুক্তি দেয়ার প্রচেষ্টা এটাই প্রথম নয় ।
দ্বিতীয়ঃ ইরাদা দ্বীনিয়া শারয়ীয়া , তা হল দ্বীনী নির্দেশ বা উদ্দেশ্য ও তার আহল অনুসারী কে ভালবাসা ও তাদের প্রতি সন্তষ্ট থাকা । ইরাদা দ্বীনিয়া শারয়ীয়া বাস্তবায়িত হবে না , যতক্ষণ পর্যন্ত এর সাথে ইরাদা কাউনিয়া সংযুক্ত না হবে ।
জেলা প্রশাসনের অধঃস্তন প্রশাসন হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন । এই প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার । তাঁকে সহায়তা করার জন্যে রয়েছেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) সহ অন্য কর্মকর্তাগণ । সময়ের বিবর্তনে মানুযের প্রয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হলেও কেন্দ্রিয় সরকারের প্রতিভু হিসেবে জনগনকে সেবাপ্রদানের কাজটিই জেলা প্রশাসনের প্রধান কাজ হিসেবে রয়ে গেছে ।
রাখী বলেছেন : আমার যে পরতে হবে তা আমি আপনার থেকে ভালো জানি । তসলিমা কোন অতিথিশালায় কোন রাজরানীর হালে আছে তার খোঁজ রাখেন ! ! ! তিনিও তো চেষ্টা কম করেননি দেশে আসার ! ! !
বাঙ্গাল বাবাজী , তোমার বয়স কত ? ৩০ পার হইছো ? ৩০ এর আগে সবাই - ই ভাবে " আমার মতো বুইড়া চোদা আর নাই
ল্যাপটপে লেখার ভান করে আমি আমাদের মতো কাউকে খুঁজি । একসময় পেয়েও গেলাম ! আমি যে - ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছি তারই খোঁজ নিচ্ছেন দাড়ি - টুপিঅলা এক ভদ্রলোক । সঙ্গে আছে তাঁর পরিবার । বেশ খুশি মনে এগিয়ে গেলাম তাঁদের কথোপকথন শোনার জন্য । ওহ ! ইনি তো পাকিস্তানি ! কেন জানি না একরকম পালিয়ে এলাম । ঘণ্টাখানেক বসে বসে মানুষ গোনা ছাড়া আর কিছু করার না পেয়ে হাঁটা শুরু করলাম । বেশ ঠাণ্ডা লাগছিল ।
উনি দেহ দান করে গেছেন । মেডিক্যাল পড়ুয়ারা দেহ কাটাছেরা করে শেষে দেহের বিভিন্ন অংশ সংরক্ষণ করবেন , যেমনটা হয়েছে বিনয়বাবু ও অনিলবাবুর ক্ষেত্রে । আমার মতে পুরো দেহটাই সংরক্ষণ করে রাখা হোক না , লেনিনের মতো । মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও জানুক দেহ কি ভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয় । আমার মনে হয় এতে সবার খুশি হয়া উচিৎ । এবং সব উদ্দেশ্যই সফল হবে বলে মনে হয় ।
অনেকদিন ধরেই হাত দিয়ে কোন লেখা বের হচ্ছে না । যদিও মাথাই অনেক কিছুই ঘুরঘুর করতেছে । লিস্ট বানাইলে অনেক বড় একটা ফর্দ হয়ে যাবে । যেমন পিংক ফ্লয়েডের একটা গান নিয়ে লেখা রেডি করছি ( মাথার ভিতরে ) , কিন্তু কী - বোর্ড চাপতে ইচ্ছা করতেছে না । ঈদের পর চট্টগ্রাম গিয়ে এক ইন্টারেস্টিং রিক্সাওয়ালার সাথে আধা - ঘন্টার মত কথা হয়েছিল , সে তার জীবনের মারাত্মক কিছু ঘটনা বলেছিল , সেটাও লেখার ইচ্ছা আছে । কিছু কবিতার লাইন বিড়বিড় করত
ধনবাড়ির অনারেবল নবাব স্যার নওয়ার আলী চৌধুরী সি . আই . ই সাহেব ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইল মহকুমার কতিপয় জমিদার ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে নিয়ে ধনবাড়িতে এক সভার আঞ্জাম করেছিলেন । সেই সভাতেই প্রথম সুবৃহৎ মোমেনশাহী জেলাকে বিভক্ত করার দাবী উত্থাপিত হয়েছিল । অনারেবল নবাব স্যার নওয়াব আলী চৌধুরী সাহেব ছিলেন ইংরেজ লাট সাহেবের কাউন্সিলর । তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে ছিলেন প্রভাবশালী জমিদার স্যার আবদুল হালীম গজনবী সাহেব । তিনি ছিলেন রেলওয়ের বোর্ডের সদস্য । তাদের মিলিত প্রচেষ্টায় সমগ্র টাঙ্গাইল মহকুমা ও জামালপুর মহকুমার কিয়দংশ নিয়ে একটা স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার দাবী পেশ করা হয়েছিল । দাবী করা হয়েছিল প্রস্তাবিত জেলার সদর স্থাপনের জন্য ধনবাড়িকে মনোনীত করা হোক । কেবল তাই নয় ধনবাড়ি হয়ে টুঙ্গি - টাঙ্গাইল - জামালপুর একটা নতুন রেল পথ স্থাপনেরও পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছিল ইংরেজ সরকারের কাছে ।
সাক্ষাৎকারে শেখ সুজাত , নবীগঞ্জ বাহুবলবাসীর কাছে আমি ঋণী
দর্শকদের আরেকজন বলেন , দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের মাধ্যমেই সামরিক শাসনের পথ রুদ্ধ করা সম্ভব ।
বলতে বলতে বর্তমান মহাজোট সরকারের আরেকটি বাজেট উপস্থাপনের সময় চলে এলো । যে কোন দেশের মতো বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণারও একটা বিশাল গুরুত্ব রয়েছে । এর সাথে জড়িয়ে থাকে গোটা দেশের ব্যবসা বাণিজ্য , অর্থনৈতিক লেনদেন , আমদানী - রপ্তানী ইত্যাদি । এই বাজেটকে মাথায় রেখে মজুতদার শ্রেণী তাদের ব্যবসায়ের গুটি চালে । এমনকি এই বাজেট বাস্তবায়ন হবে বেশ কিছু দিন পর কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণকারী অসাধু ব্যবসায়ী এবং অব্যবসায়ী গোষ্ঠী স্রেফ বাজেট বক্তৃতার সাথে সাথেই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে . . . ( বিস্তারিত )
* দাত ব্যথার প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যাসট্রিনজেন্ট - সমৃদ্ধ মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাঢ়ির ফোলা ভাব কমে যায় । * কোনো কোনো ব্যথা ঠান্ডায় কমে যায় , সে ক্ষেত্রে বরফের সেক নিতে পারেন বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি কিছুক্ষণ মুখ ধরে রাখতে পারেন । * ব্যাথা কম রাখার জন্য প্যারাসিটামল , আইবুপ্রোফন বা অ্যাসপিরিন - জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন । তবে বয়স ষোলে নিচে হলে অ্যাসপিরিন খেলে মারাত্নক ধরনেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রেস - সিনড্রেম হতে পারে । * হাতের তালুতে একটু বরফ নিয়ে ঘসতে পারেন । সম্প্রতি কানাডিয়ান এক পরীক্ষায় দেখা গেছে , হাতের তালুতে বরফের টুকরো ঘসলে তা নার্ভ বা স্নায়ুতে যে পথে অনুভূতি তৈরি করে , দাতের ব্যথায়ও একই পথে অনুভূতি তৈরি হয় । তাই এ পদ্ধতিতে দাতের ব্যথা কম অনুভুতি হয় । * দাতের মাঢ়ি বা গোরা ফুলে গেলে দেরি করবেন না কারণ এই ফোলার ভেতরে থাকে পুজ । মুখ মন্ডলের অন্যত্র এ পজ ছরিয়ে গিয়ে মৃত্যুর কারণ হতে পারে ।
তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বৈমাত্রেয় আচরণ সত্ত্বেও ( একটা বড় সময় অবধি বাংলায় উদ্বাস্তু সমস্যাকে সরকার স্বীকারই করতে চায়নি , লক্ষণীয় পাঞ্জাবে কিন্তু এমনটা হয়নি ) এপারের মানুষের কাছ থেকে একধরণের মিশ্র সহযোগিতা পেয়েছিলেন তাঁরা । বৈরিতার পাশাপাশি অনেকক্ষেত্রেই সহমর্মিতাও ছিল । এপারে প্রতিষ্ঠিত আত্মীয় বন্ধুরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকে । ব্যক্তিগত বা সংগঠিত ভাবে পুনর্বাসন উদ্যোগগুলিও গড়ে ওঠে । যে কংগ্রেস সরকার উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে মোটের উপর উদাসীন ছিল , তার ভেতরকার অনেকেই উদ্বাস্তু - উন্নয়ন নিয়ে সক্রিয়ও হয়েছেন । পশ্চিমবঙ্গের প্রথম কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ নিজেই ছিলেন পূর্ববাংলার সন্তান , এর পাশাপাশি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল বাস্তুহারা কল্যাণে । নিজেদের আর্থ - সামাজিক - রাজনৈতিক পরিণতিতে ওপার বাংলার ভিটেছাড়া শিক্ষিত বাঙালরা উদ্বাস্তু আন্দোলনকে বিভিন্ন ফর্মে বিকশিত করেন । কোথাও নিজেদের স্বল্প সামর্থ্যে অব্যবহৃত জমি কিনে , কোথাও পড়ে থাকা জমি জবরদখল করে কলোনিগুলি গড়ে ওঠে । কলোনির মধ্যে একভাবে সমবায় আন্দোলন বিকাশ লাভ করতে থাকে , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয় । রাজনৈতিক চেতনার ছাপ দেখা যায় কলোনিগুলির সংহতি , শহিদ , নেতাজী , সুভাষ , গান্ধী , বিধান প্রভৃতি নামকরণে । পরবর্তীকালে ( ৫০ - এর পর ) যখন কমিউনিস্ট পার্টি উদ্বাস্তু আন্দোলন সংগঠিত করছে , কলোনির নামে লেনিন , স্ট্যালিন , মুজফফর এমন কি হোচিমিন - এর নামও আসে । আরও পরে , নিম্নবর্ণের উদ্বাস্তুরা যখন কলোনি গড়ে তুলবেন , আমরা দেখতে পাব আম্বেদকর - হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম । যাই হোক , কলোনি গড়ার পাশাপাশি এই পর্যায়ে একটি প্রায় অনুল্লিখিত ইতিহাসও আসে , সাম্প্রতিক কালের একটি বাংলা ছবির ( স্থানীয় সংবাদ ) ডায়লগ থেকে উদ্ধৃত করলে -
ধন্যবাদ মেহেদী আকরাম ভাই । আপনার টাও দেখি ব্যবহার করে ।
নোটবইয়ের ব্যবহার বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে এ ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ । রোববার ৪র্থ জাতীয় দেয়াল পত্রিকা উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , " আমরা চেষ্টা করেও এটা ( নোটবই ) বন্ধ করতে পারছি না । শিক্ষক এবং অভিভাবকরা এগিয়ে এলেই এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে । " বাংলাদেশ দেয়াল পত্রিকা পরিষদ বাংলা একাডেমীতে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে ।
সন্তোষরা দুই ভাই এই গ্রামের বাসিন্দা । একাত্তরের যুদ্ধের পর ওদের আসা । তখন ওরা খুবই ছোট ছিল । সন্তোষ ছোট । অক্ষয় বড় । অক্ষয় বিয়ে করেছে । কিন্তু ওর সংসারে মন আছে কি নেই বোঝা যায় না । বউ বাচ্চা এখানেই পড়ে থাকল , অক্ষয় চলে গেল কোথায় না কোথায় ! তারপর হয়ত কি খেয়াল হল , ঘরে ফিরে এল । এন্তার খরচপাতি করল । সবার জন্য কাপড়চোপড় নিয়ে এল । ক ' টাদিন বাড়িতে আনন্দের হাট বসে গেল । তারপর হঠাৎ আবার একদিন বেরিয়ে পড়ল ।
দীর্ঘ বিরতির পর ' নাগীন ' খ্যাত বলিউডি অভিনেত্রী শ্রীদেবী আবারো রূপালী পর্দায় হাজির হচ্ছেন । এই প্রত্যাবর্তন সফল করার জন্য রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই নেমে পড়েছেন তিনি । নিয়মিত হিন্দি উচ্চারণ কাসে অংশ নিচ্ছেন । পাশাপাশি নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে নিয়মিত জিমেও যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী । খবর মিডডেডটকম - এর । চিত্রনির্মাতা আর বালকির স্ত্রী গৌরীর পরিচালনায় অভিনয়ের মধ্য দিয়েই বলিউডে প্রত্যাবর্তন ঘটবে শ্রীদেবীর । অন্যদিকে এই ছবিটির মাধ্যমেই চিত্রপরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটবে গৌরীর । ছবির কাহিনীও লিখেছেন তিনি । ছবিটিতে টিপিক্যাল একজন ভারতীয় নারীর চরিত্রে দেখা যাবে শ্রীদেবীকে , যিনি স্বামীর কারণে নিজের ইচ্ছেগুলো বাস্তবে রূপ দিতে পারেন না । ছবির পুরো কাহিনীই এই চরিত্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে । শিগগিরই ছবিটির শুটিং শুরু হবে । দুর্ঘটনায় ঋত্বিক প্রিয়াঙ্কা
মৌনকুহর বলেছেন : এ ধরণের মন্তব্য ব্লগারদের কাছ থেকে কাম্য নয় . . . মুছে দিতে বাধ্য হলাম , দয়া করে ভদ্রতা বজায় রাখুন ।
আমাদের যদি কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয় তবে আমরা ইস্তিখারার নামায পড়ি । কিন্তু অনেকেই এ কাজটি করতে চাননা । এর বদলে তারা কুরআন নিয়ে কয়েক লাইন নিচে নামে , কি কি করতে হবে এর জন্য একটা বইও পারলে সাথে রাখে । উদাহরণস্বরূপ তারা কুরআনের যেকোন একটা পাতা মেলে তিন লাইন নিচে নামে , চতুর্থ শব্দটার প্রথম বা তৃতীয় অক্ষর দেখে , এরপর অক্ষরটা সারণীতে মিলিয়ে নেয় । যদি অক্ষরটা লাম হয় তবে সেখানে লেখা থাকে কি করতে হবে , কোনটা না করা ভাল অথবা যদি অক্ষরটা মীম হয় তবে ঐটা করতে হবে ইত্যাদি । মানুষ এভাবে কুরআন ব্যবহার করছে । এর তুলনা চলে চীনাদের আইচিং বইয়ের । তারা কতগুলো কাঠি নিক্ষেপ করে এবং কাঠিগুলো কিভাবে পড়ল তা দেখে বইটা থেকে জানতে পারে এভাবে বা ঐভাবে হলে কি অর্থ দাঁড়ায় ।
শিল্পী কৌশলী ইমা ঢাকা সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় থেকে লোকসঙ্গীতে স্নাতক এবং লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে বাংলাসাহিত্যে এম . এ । সুতরাং তিনি লোকসঙ্গীতে একজন বিশেষজ্ঞও বলা যায় ।
যদিও আমার জানা নাই কোথা হতে এলো সেই মৃত ভারতীয় । তবু তার গোঙানিতে সম্মোহিত আমি আরশোলারে চুমু খেতে চাই . . .
( থ ) বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত ফিস দাবী ও আদায় করা ;
জাপানে ৮ . ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ১০ মিটারের বেশি উঁচু সুনামি আঘাত করেছে । ( টিভি ফুটেজের মোবাইল থেকে তোলা ছবি )
বাংলাদেশে এখনও অবাধ , সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তথা বিশ্ব দরবারে অহংকার করার মত ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ , বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলী ও বিচারপতি লতিফুর রহমানদের মত বিশিষ্টজন রয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস ।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভাংচুর ও সংঘাত চলে । পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে ।
জানা গেছে , লাভলি - ফেসেস ডটকম সাইটটিতে রয়েছে অঞ্চলভেদে এবং পছন্দানুসারে সঙ্গী খুঁজে নেবার বিভিন্ন অপশন ।
১৯৯০ সালের পয়লা জুলাই পূর্ব জার্মানিতেও ডয়চে মার্ক চালু করা হয় ৷ তা ' তে জিডিআর ' এর নাগরিকরা খুশী হলেও , জিডিআর ' এর অর্থনীতির পক্ষে তার ফল হয় মারাত্মক ৷ পূর্বের মুদ্রা এবং পশ্চিমের মুদ্রা সমমূল্য ধরায় , নাগরিকরা তাদের সঞ্চয় , অবসর ভাতা ইত্যাদি হঠাৎ ডয়চে মার্কে রূপান্তরিত হতে দেখে ৷ অপরদিকে শিল্পসংস্থা ইত্যাদিরা তাদের শ্রমিকদের ডয়চে মার্কে বেতন দিতে গিয়ে পশ্চিমের অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে - যে প্রতিযোগিতায় তাদের হারা ছাড়া জেতার কোনো সম্ভাবনা ছিল না ৷ স্বয়ং জিডিআর ' এর মানুষরা স্বদেশের পণ্য ছেড়ে পশ্চিমের , কিংবা বিদেশী পণ্য কেনার দিকে ঝোঁকেন ৷
রজত বলেছেন : স্বাধীনতার ৪০ বছর হয়ে গেল । কি পেলাম আমরা ? এভাবে বিনা বিচারে নির্যাতন , হত্যা আর কত দিন ? তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করছি , জানি কোন লাভ হবে না । পুরো শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আশা করছি ।
এ বছর সব ধরনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে ১৫ মিনিট সময় বেশি পাবে । গত বছর এ সুবিধা শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ছিল ।
কাওছার ভাই ফাটাফটি লিখছেন . . . ! ! আপনার ধ্যান ধারণার সাথে একমত না হলেও বরাবরের মত দারুন মজা পাইলাম : P : P
লুই ব্রেইল দুরারোগ্য ব্যাধীতে আক্রান্ত হয়ে ১৮৫২ সালে ৬ জানুয়ারী মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন । ১৮৬৮ সালে ড . থমাস আরমিটেজ - এর নেতৃত্বে চারজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর একদল প্রতিষ্ঠা করেন ' ব্রিটিস এ্যান্ড ফরেন সোসাইটি ফর দ্যা ইমপ্রুভিং দ্যা ইমবোস্ড লিটারেচার অব দ্যা ব্লাইন্ড ' । পরবর্তীতে ' রয়েল ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব দ্যা ব্লাইন্ড ( আরএনআইবি ) হিসেবে পরিচিত লাভ করে । এটি ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় ব্রেইল প্রকাশনা । বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় ব্রেইলকে নিজস্ব ভাষায় উপযোগী করে তৈরী করেছে ।
জলদি অভিযোগ বাক্সে গিয়া - তত্তরি জানান দ্যান ! ডেভুগো মাথা খাইয়া ফালান ! ! এখোনো আস্তো রাখছেন ! ! ? ?
যুক্তরাষ্ট্র তোশিবার মূখপাত্র জেফ বার্নি জানান , অ্যাপল বিমুখ গ্রাহকদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ । অ্যাপল ট্যাবলেট পণ্যের সব ধরনের সুযোগা পাওয়া যাবে থ্রাইভে । আর দামও তুলনামূলক অনেক কম ।
জল্লাদ হিসেবে কাজ করতে পবন কুমার সিং অপেক্ষা করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আর অপেক্ষা করতে চান না । আসামের মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহেন্দ্র নাথ দাসের প্রাণভিক্ষার আবেদন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিল প্রত্যাখ্যান করলেও জরুরিভিত্তিতে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আদালতে আবেদন করেছেন । কারণ আদালতের প্রক্রিয়া শেষ হতে বছরের পর বছর পার হয়ে যায় এমনকি কয়েক দশকও চলে যায় বিচার ছাড়াই । তাই আসামিপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হচ্ছে জোর করে কাউকে অভিযুক্ত করা অথবা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের বছরের পর বছর ফাঁসি কার্যকর করার জন্য অপেক্ষায় থাকা খুবই নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি । ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী রাম জেঠলামনির মতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে ফাঁসির প্রকোষ্ঠে রাখা মাথার ওপর ডেমোক্লিসের তরবারি ঝুলিয়ে রাখার মতই । ভারতের আদালতও স্বীকার করে যে , দীর্ঘদিন প্রক্রিয়া ঝুলে থাকার কারণে বিচারব্যবস্থা কখনো কখনো দণ্ডিতদের পক্ষেই যায় । আসামের সেই দণ্ডিত ব্যক্তি মহেন্দ্রনাথ দাস দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ১৯৯৭ সালে । এর এক বছর পর সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে । তার আইনজীবীরা প্রথম প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন ১৯৯৯ সালে । এরপর ভারতে তিনজন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছেন , কিন্তু তার আবেদন এতদিন ঝুলে ছিল । গত মে মাসে তার আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি । এতদিন আবেদনটি ঝুলিয়ে রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তার আইনজীবী অরূপ চন্দ্র বড়ুয়া । তিনি বলেন , তার মক্কেলকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে , ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়নি । কিন্তু ১২ বছর ধরে তাকে জেলখানায় বন্দি রেখে কার্যত প্রতিদিনই মেরে ফেলা হচ্ছে ।
আফরোজা বলেছেন : যোডি লাগে হিয়া , কি আর করা , বল পিয়া পিয়া ।
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে তিনটি বোমা বিম্ফোরণে ৮ জন নিহত এবং অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে । ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরের দিয়ে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে , নগরীর ব্যস্ততম জাভেরি বাজারে এবং একটি থিয়েটার হলে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয় । তৃতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হয় মুম্বাইয়ের দক্ষিণ প্রান্তে । স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে । ভারতের সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা গেছে , এই . . . . .
এম জিললুর রহমান : আলোকিত দিন গড়ার শপত নিন - নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সুযোগ দিন । পৌরবাসির শাষক নয় - সেবক হতে চাই । এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পিতার পথ অনুসরন পূর্বক পৌরবাসির সেবা করার প্রত্যাশায় আসন্ন নির্বাচনে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র প্রার্থীতার ঘোষনা দিয়েছেন সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা উদিওমান আওয়ামী রাজনীতিক মাহমুদ আলী সুমন । তিনি সাবেক সাংসদ সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ্যাড এ . এফ . এম এন্তাজ আলীর জেষ্ট্য পুত্র । সম্প্রতি দৈনিক আজকালের খবর এর সাথে একান্ত সাক্ষাত কারে বলেন আমার পিতা ৯৮ সালের ২৬ জানুয়ারী সবে কদরের রাতে ইন্তেকাল করেন । ঐ সালের ৭ ফেব্র " য়ারী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসভবনে এসে পরিবারের সমবেদনা জানান । মৃত্যুকালে জেলা আ ' লীগের সিনিয়র সহ - সভাপতি ছিলেন । এছাড়াও ৭০ - ৮৫ পর্যন্ত জেলা আ ' লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন । পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ - সভাপতি , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ও ফজলুল হক হলের ভিপি ছিলেন । এরআগে ৭১ সালের খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর আহবায়ক ছিলেন । মরহুম এন্তাজ আলীর ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ স্ত্রী মিসেস নাদিরা আলী এখনও সক্রিয় ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও পুরো পরিবারকে কিছু স্বার্থনেষী নেতৃবৃন্দু বার বার বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে । সুমন বলেন , ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সর্ব দলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়ক এর দায়িত্বে ছিলাম । তৎকালিন সময়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাপানো নেতা সুমন ১২১ টি মামলার আসামী হন । একাধিকবার কারাবরন করা ছাড়াও অসংখ্যবার হামলার স্বীকার হয়েছেন । তিনি ৮৭ থেকে ৯১ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক , ৯২ - ৯৪ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ - সভাপতি , ৯৫ - ৯৮ পর্যন্ত সদর থানা যুবলীগের সভাপতি , ২০০৩ - ০৬ পর্যন্ত জেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং ২০০৭ সালের জুলাই থেকে বর্তমান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন । পাশাপাশি অসংখ্য সামাজিক , শ্রমিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে থেকে সাধারন মানুষের সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন । তরুন এ আওয়ামী রাজনীতিক ও সমাজ সেবক নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর জন্যে কি কি কাজ করবেন তার একটি ইসতেহার ঘোষনা করেছেন । এরমধ্যে অন্যতম আরেকটি নতুন কবর স্থান নির্মান করা , শহর উপকণ্ঠের বাকাল ও পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় দুটি নতুন পানির ট্যাংক নির্মান করা , প্রায় মৃত প্রাণ সায়েরের খাল পরিকল্পিত ভাবে ফিরিয়ে আনা , প্রতিটি ব্রীজের পাশে যাত্রী ছাউনি নির্মান , পুরো প্রাণ সায়ের খাল এলাকা জুড়ে সবুজ বনায়ন করা , একটা শিশু পার্ক করা , পৌরসভার মধ্যে রাস্তা ড্রেন ও ড্রেনের পানি নিস্কাসন এর সার্বিক ব্যবস্থা করা , প্রতিটি পরিবারের আয়ের উপর ট্যাক্স নির্ধারন করা , পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌরবাসীর পৃথক ভাবে স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করা , শহরের বড় বাজার ও টাউন বাজারের চান্নি স্থাপন করা , শহরের একমাত্র নিউ মার্কেট এর জরাজীর্ণ ভবন আধুনিকায়ন করা , সড়কে আলোর দ্বিগুন ব্যবস্থা করা , বাসটার্মিনাল উন্নিত করন , দলমতের উর্দ্ধে থেকে প্রকৃতদের ভিজিএফ - ভিজিডি - বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদান করা , শহরের ছিন্নমুল শিশুদের স্থায়ীভবে ব্যবস্থা করা , প্রতিটি নাগরিককে অনুমতি ছাড়া স্থায়ী নির্মান কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া , অপরিকল্পিত নগরায়নকে সু - পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা , মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দুঃস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক মূল্যায়ন করার পাশাপাশি দূর্ণীতি অনিয়ম আর মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান সব সময়ই থাকবে । তিনি বর্তমানে প্রতিদিন ভোরে এলাকা ভিত্তিক গনসংযোগ করছেন । সঙ্গে ভ্যানে করে রাখছেন ভবিষ্যত সবুজ বনানীর উদ্দেশ্যে একটি করে চারা গাছ নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি রোপন করছেন । সীমিত খরজে এবং সামাজিক উদ্দেশ্যে আজকের রোপনকৃত একটি গাছ আগামী দিনের ভবিষ্যতকে ভাবিয়ে তুলেছে অন্যান্য প্রার্থীদের । তিনি সর্বশেষ নগর বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন , বিগত উপজেলা নির্বাচনে আমি পৌরবাসির কাছে ঋণী । বিগত নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল । ইন্শাআল্লাহ আগামী পৌর নির্বাচনে পুনরায় পৌরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দেবে । তিনি বলেন , পৌর প্রার্থী অনেক থাকবে তবে যে জনগনের জন্য কাজ করতে পারবে এমন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান ।
গতকাল বিকালে ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় । সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী , মাওলানা যাইনুল আবেদীন , মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী , ড . মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী , আলমগীর মজুমদার , মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী , মমতাজ চৌধুরী প্রমুখ । সভায় উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে সরকারের পক্ষে তার প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয় । অন্যথায় সম্মিলিত ওলামা - মাশায়েখ পরিষদ আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে ।
যিনি এই কথা বলেছেন তার সম্পর্কে এর পরেও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা বৃথা । আমার পক্ষ থেকে উনাকে কাটপট্টির নিচে একটা রাম থাপড়া !
খুব সুন্দর করে ব্যাপারটা শিখলাম , ধন্যবাদ । যদি এডসেন্স এড নিয়ে একটা পোস্ট করতেন , এড পোস্টের মাঝখানে / এডিট html সারা কিভাবে এড দেওয়া যায় । এবং পাশাপাশি ব্লগ কি কি উপায়ে প্রতিদিন upgrade করা যায় । যেমন আমার কোম্পানির সাইটে কিছু নাই । তবুও গুগেলের ১ নাম্বার আছে । দয়া করে আপনি এই দুইটা পোস্ট দেবেন , এবং খুব তাড়াতাড়ি ।
ঢাকা , ২১ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড . আকবর আলী খান বলেছেন , দেশের অর্থনীতি বর্তমানে সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে । এ অবস্থায় বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । সামাজিক নিরাপত্তা ও গরিব মানুষের কল্যাণের জন্য তা করতে হবে । কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানের জন্য সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই । আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজনেস সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ২০১১ - ২০১২ সালের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন । আকবর আলী খান বলেন , প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতার সাথে মিল নেই । বাজেট বক্তৃতা অসত্য তথ্যে ভরপুর । যে উদ্দেশ্যে বাজেট তৈরি হয়েছে তা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে এসেছি । দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই , জনগণেরও নিয়ন্ত্রণ নেই । এটা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত । বাজেটে দলিল ও পৃষ্ঠার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু যথাযথ তথ্য থাকছে না । অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার সমালোচনা করে তিনি বলেন , সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে বেকার সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ । অথচ বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে শুধুমাত্র ২৫ লাখ বেকার । এ বাজেট কেবল হবে , হচ্ছে , হয়েছে তবে কম ইত্যাদিতে ভরপুর । তিনি বলেন , প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ১ হাজার ২শ কোটি টাকা ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হয়েছে । কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ খাত থেকে কেন বা কি কারণে ভর্তুকি কমানো হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই । অথচ প্রাইমারি স্কুলে বাদ্যযন্ত্রের জন্য বরাদ্দ কেন দেয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে । তাহলে কি বাদ্যযন্ত্র কৃষিখাতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ? দেশের গত অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন , কৃষিখাতে বাম্পার ফলন হয়েছে , রফতানি বেশি হয়েছে , রেমিটেন্স বেশি এসেছে - এ তিনটি কারণে গত অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন , প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমত্রা অর্জনের কথা বলা হয়েছে তার জন্য দরকার জিডিপির ২৮ - ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ । কিন্তু বিনিয়োগের সে অবস্থা নেই । বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চরম ঘাটতির কারণে নতুন বিনিয়োগ আসছে না । ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন , এটা আগামীতে বার্ষিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে । কারণ এ ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নের জন্য উচ্চ হারে ব্যাংক ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হবে । এ বছরই বিগত বছরের ঋণের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা সুদ সরকারকে দিতে হয়েছে । পুঁজিবাজার সম্পর্কে আবু আহমেদ বলেন , এখানে আস্থার সংকট চলছে । আস্থা ফিরিয়ে আনতে এসইসির বিশেষ কিছু করার নেই । তিনি বাজারের সূচকের আরো পতনের আশঙ্কা করেন । অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন , বাজেট ঘোষণার পূর্বেই পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানান চাপ জনগণের ওপর চেপেছিল । বাজেটে তা উত্তরনের কোনো পথ দেখানো হয়নি । এবারের প্রস্তাবিত বাজেট ঋণের বাজেট । সরকার প্রভুর আসনে বসে জনগণের টাকা ব্যয় করে আরাম - আয়েশি ও বিলাসী জীবনযাপন করছে । বাজেটের বরাদ্দের গুণগত মান দেখা যাচ্ছে না । আগামী ৩ জুলাই ' র হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন , সাম্প্রতিক কনোকো ফিলিপসের সাথে করা অবৈধ চুক্তির বিরোধিতা করা সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের নৈতিক দায়িত্ব । এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আলোচনা হতে পারে । জ্বালানি সংকট সমাধান হলে তারাই বেশি উপকৃত হবে । তিনি বলেন , ভবিষ্যতে তেল , গ্যাস বিদ্যুতের দাম আরো বাড়বে । এতে বিনিয়োগ কমবে , কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে , শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে না । এতে অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে । বিজনেস সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন । ( শীর্ষ নিউজডটকম / এএস / জেডআর / সস / ১৮ . ৩৩ঘ . )
যিনি নিজে স্রষ্টা । তার চাইতে কি সৃষ্টির পবিত্রকরণের পন্থা সম্পর্কে অন্য কেউ অধিক অবহিত হতে পারে ?
কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের দাম কমে আসছিল । এবার পাটের প্রধান তিন ক্রেতা , চীন , ভারত আর পাকিস্তানও পাট কেনা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে । এর কারণ তেমন কিছুই না , তাদের চাহিদা কমে গেছে । অর্থাৎ তারা নিশ্চই বিকল্প কিছু একটার সন্ধান পেয়েছে । এর বিপরীতে আমাদের পাট নিয়ে কায়কারবার করা সংস্থার ' শ্বেতহস্তিদের কথা বার্তা শুনলে মনেই হবে না যে পাট নিয়ে আমরা যতটা না ভাবি তার চে অনেক বেশী ভাবে এর ব্যবহারকারীরা । আমাদের এই কর্তারা যখন চোঙার সামনে কথা বলবেন তখন মনেই হবে না যে পাটের বাজারের কোন তারতম্য হয়েছে বা হচ্ছে ! তারা এটা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন যে পাটের বহুমুখি ব্যবহার বাড়াতে হবে , পাটের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা বাড়াতে হবে , পাটচাষীদের নায্যমূল্য দিতে হবে … . . । পাট নিয়ে আমাদের রাজনীতিক আর নীতিনির্ধারকদের যে কি পরিমানে দরদ তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো আমাদের সবচেয়ে বড় পাটকলটি বন্ধ করার পর আমাদের রাজনীতিকরা , তৎকালিন বিএনপি - জামাত সরকারের মন্ত্রিরা , আমলারা খুশিতে মিষ্টিমুখ করেন ! কারণ আদমজী নামক সেই পাটকলটি নাকি বছরের পর বিপুল পরিমানে লোকাসান গুনছিল ! সেই লোকসান থেকে তারা জাতিকে পরিত্রাণ দিয়েছেন ! তারা তো মিষ্টিমুখ করবেনই ! পাট এবং বাংলাদেশের অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে বিশ্বব্যাংক , এইএমএফ , এডিবি সংস্থাগুলোর যে প্রেসক্রিপশন ছিল তার কোনটিই এদেশের জন্য উপযোগী ছিল না । তার পরও আমাদের সেসব মানতে হয়েছে । গিলতে হয়েছে । এখন যখন আমাদের যেটুকু পাট উৎপন্ন হতো সেটুকুরই বাজার শেষ , তখন বিশ্বব্যাংকঅলারা কোন নতুন প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন না । দেবেন না , কারণ আর কোন প্রেসক্রিপশর নেই । আমাদের দেশে আগেও যে পরিমানে পাট ব্যবহার হতো , এখনো সেই পরিমানেই পাট ব্যবহারের চল গড়ে ওঠেনি । আগে সাত কোটির বাংলাদেশ যে পরিমান পাট ব্যবহার করত এখর তার দ্বিগুণ লোকসংখ্যা হয়েও সেই আগের অনুপাতে পাটের ব্যবহার । তার মানে এখানেও পাটের বিকল্প তৈরি হয়েছে । তাহলে বাকি থাকছে রপ্তানী । আমাদের পাটের মূল আবাদটাই হতো বা হয় রপ্তানীর উদ্দেশ্যে । কিন্তু যারা কিনবেন তারা যদি আর না কেনেন , তাহলে কি করতে হবে , তেমন কোন বিকল্পও আমাদের কর্তাদের মগজে নেই ।
চীলেশান থেরাপি সম্পন্ন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ৩০টি চিকিৎসার বা সেশনের প্রয়োজন হয় । প্রতিটি সেশনে লাগে কয়েক ঘন্টা করে । থেরাপি চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি বিশেষ কতগুলো পরীক্ষা - নিরীক্ষা চলতে থাকে । ' ২০টি চিকিৎসা নিতে নিতেই অনেকের মধ্যে ব্যাপক উন্নতি চোখে পড়ে । ' কথাটি বললেন নেপলস্ - এর চীলেশানসেন্টারের রেজিস্টার্ড নার্স ডায়ানা স্মিথ । ' যখন রোগীরা নিজেরাই এ পার্থক্যটা ধরতে পারেন তখন তারা বাকী ১০টি চিকিৎসাও সম্পন্ন করতে আগ্রহী হন । '
নাঈম : উপরে মন্তব্য ২২ এর আওতায় আপনার এ দু ' টি মন্তব্যেরই ( ২২ এবং ২৫ ) প্রত্যুত্তর দেয়া হয়েছে IB এর পক্ষ থেকে । বাকী বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করেছেন Ashmita মন্তব্য # ২৮ এ এবং এই পোস্টের আলোচনায় অন্যান্য ব্লগাররা । উপর থেকে প্রতিটি ধরে ধরে পড়ে নিচে scroll করুন ।
বদরুদ্দিন ওমরঃ সাকাকে গ্রেফতার আওয়ামীলীগের আরেকটি বাকশালীয় আচরণ । তবে এর পেছনে আব্দুল গাফফার চৌধুরী সাহেবের হাত আছে বলেই জানি । যাই হোক , যা বলছিলাম । আমাদের প্রথমেই জানতে হবে বাকশাল কি । তারপর আমরা জানব বাকশালীয় আচরণ কাকে বলে . . .
ইফতারীর ব্যবস্থা অবশ্যই হবে এবং করতে হবে , তা না হলে হরতালের ডাক দিব , মডু ভাইদের এবং প্রজন্মের বিরুদ্ধে আন্দলোন গড়ে তুলবো ।
গুগলের জনপ্রিয় দুটি সাইট ' পিকাসা ' এবং ' ব্লগার ' - এর নাম পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ । জানা গেছে , ফটো শেয়ারিং সাইট ' পিকাসা ' এবং ব্লগিং সাইট ' ব্লগার ' - এর নাম পাল্টে গুগল নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই . . .
মাঘের শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে স্বপ্নের সোনালি দিনে ফিরে যাবার জন্য প্রাণের ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব কায়কোবাদ হোসেন । সকালে এসেই দেখা পেয়েছেন সতীর্থ হাবিব , আফসার , শাহনাওয়াজ প্রমুখ বন্ধুদের । একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আরে কেমন আছিস , বন্ধু কী খবর বল ?
ছোটবেলাতে ছন্দময় ছড়াগুলো পড়তে দারুন লাগতো । কবিতাগুলোতেও থাকতো ছন্দের ছড়াছড়ি । কিন্তু ইদানিং কঠিন ভাবওয়ালা কবিতাগুলো আর কাছে টানে না । আমর মনে হয় , এরকম সিরিয়াস বিষয়ে মন টানাতে হলে তো কিছু চটুল বিজ্ঞাপনের মত ছন্দের আকর্ষণ থাকতে হবে । না হলে কবিতা হারাবে বেশ কিছু পাঠক । যা হোক , মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়াকারদের যে কোন বিষয়ে মজার মজার ছন্দের উপস্থাপনা দেখে মুগ্ধ হই . . . আর ভাবি , এই রকম একটা বিষয়ে এমন ছন্দ আসলো কীভাবে । ইদানিং দেখি প্রজন্ম ফোরাম বা সচলায়তন ব্লগেও ছান্দসিক ছড়াকারের ছড়াছড়ি । দেখে মনে কোনে একটু ইচ্ছা জাগে . . . ইশ্ আমিও যদি পারতাম অমন ছন্দ মিলাতে । তারপর হঠাৎ . . . . দেখি আমার কীবোর্ড থেকেও ছন্দময় লেখা বের হচ্ছে । আমি নিজেই তাজ্জব ! যা হোক , ওগুলো কী ছাইপাশ বের হয় তা জানিনা , তবে একদিন প্রজন্ম ফোরামের এডমিন ঘোষনা করল যে ছড়িয়াল ভাইরাসে লোকজন আশংকাজনকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে । বুঝলাম . . . তাহলে আমার সেই লেখাগুলোও ওনার কাছে ছড়ার মত মনে হয় । একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম যে , ছন্দ লিখতে বসেই কিছু কথা / শব্দ উল্টাপাল্টা করতে হয় , কিছু প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে হয় । তাই ভাবলাম ফর্মূলাটা লিখে ফেলি , ভবিষ্যতে কখনো যদি আবার ছন্দাঘাত করতে ইচ্ছা হয় আর , সে সময় বেরসিকের মত ছন্দের কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটে তবে এই ফর্মূলার জোলাপটা খেয়ে নেব । কীভাবে ছন্দ লিখি সেটাই এই লেখায় খুঁজে পেতে চেষ্টা করবো বলে ভাবছি । অন্ত্যমিল প্রথম যে জিনিষটা জরুরী সেটা হল অন্ত্যমিল । এবং অন্ত্যমিলগুলোর পার্থক্য সমান হতে হলে ভাল হয় । অর্থাৎ প্রতি লাইনে বা প্রতি দুই / তিন / চার লাইনে । যেমন : সবাই শুধু মিল খোঁজে ছড়ার এই ভবে মিল করতেই হবে যে তা কে বলেছে কবে ? মিলের কথা যদি বলো মনে পড়ে যায় , Meal charge ছিল বেশি Hall - এ থাকার সময় । প্রথম দিকে শুধু এই ব্যাপারটাই লক্ষ্য রেখে ছড়া লিখতাম ( লেখার মকশো করতাম ) । কিন্তু ওতে কেমন জানি অপূর্ণতা রয়ে যেত ছন্দের মধ্যে । ধ্বনিমাত্রা দারুন ছন্দ হবে যদি প্রতিটা অন্ত্যমিলের মাঝের মোট শব্দাংশের সংখ্যা সমান হয় । ভাষাতত্ত্বে আমি বিশেষ দক্ষ নই । তাই একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা সহজে বোঝার চেষ্টা করি : ধ্বনির কথা যদি তুমি একটু বুঝতে চাও , ধ্বনিতত্ত্বের জোলাপটা মাথায় পুরে নাও । প্রথম লাইনে : ধ্ব - নির্ ক - থা য - দি তু - মি এক্ - টু বুঝ্ - তে চাও = মোট ১৩টা ভিন্নরকম শব্দাংশ রয়েছে । দ্বিতীয় লাইনে : ধ্ব - নি - তত্ - ত্বের জো - লাপ্ - টা মা - থায়্ পু - রে নাও = মোট ১২টা ভিন্নরকম শব্দাংশ রয়েছে । এখানে শব্দাংশের সংখ্যা বাড়িয়ে ছন্দ ভাল মেলার জন্য আমি দ্বিতীয় লাইনে একটা শব্দ পাল্টিয়ে দেব । জোলাপ এর বদলে ফর্মুলা লিখব । জো - লাপ্ = ২টি শব্দাংশ ; আর , ফর্ - মু - লা = ৩টি শব্দাংশ । দেখি কেমন শোনায় . . . ধ্বনির কথা যদি তুমি একটু বুঝতে চাও , ধ্বনিতত্ত্বের ফর্মুলাটা মাথায় পুরে নাও । উপরের হিসাবটা সম্ভবত পুরাপুরি ঠিক নয় । কারণ শব্দাংশ কোনটা একটু বড় কোনটা একটু ছোট আছে । কাজেই আরও ভাল হয় যদি শব্দাংশকে উচ্চারণে প্রয়োজনীয় সময় অনুযায়ী একটা মাণ দেয়া যায় । সুতরাং অন্ত্যমিল মেলানোয় লাইন সংখ্যার চেয়ে শব্দাংশের সংখ্যা বেশি গুরুত্বপূর্ণ । কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক ভাব ফুটানোর জন্য লাইনের মাঝে বা শেষে যতিচিহ্ন ব্যবহার করতে হয় । ওগুলোতে দেয়া বিরতিটুকুও এভাবে হিসাবের মধ্যে ঢুকিয়ে তারপর সেই অনুযায়ী লিখলে ছড়াটা পড়ার সময় দারুন ছান্দসিক মনে হবে । উচ্চারণের মাত্রা অন্ততপক্ষে অন্ত্যমিলের শব্দটির ক্ষেত্রে উচ্চারণের মাত্রা একরকম হলে ভাল শোনায় । বল = খেলার বল হলে উচ্চারণটা হল বল্ এর মত . . অর্থাৎ ল - টার উপরে জোর কম , ব - টাই বেশি শোনা যায় । কিন্তু যদি , বল = কথা বলো এর মত হলে উচ্চারণে ল - টা বেশি প্রাধান্য পায় এবং কানে বাজে । অন্ত্যমিল দেয়ার সময় শ্রুতিমাধুর্যের জন্য এই উচ্চারণের মিল / অমিলের ব্যাপারটাই খেয়াল করা জরুরী বলে মনে হয় । ঝড় - এর সাথে বড় অন্ত্যমিল করতে চাইলে এই ধরণের গ্যাঞ্জাম লাগবে . . . যেমন : ইদানিং মাঝে মাঝে রাতে আসে ঝড় ভিজতে নাই মানা হয়েছি যে বড় । কারণ ঝড় - এ ' ঝ ' - টা উচ্চারণের কেন্দ্রে , ' ড় ' টা কম উচ্চারিত । অপরদিকে ' বড় ' তে ' ড় ' - টাই উচ্চারণে প্রাধান্য পায় । তাই অন্ত্যমিলটা ভাল হয় না । কিন্তু যদি এমন হয় , ইদানিং মাঝে মাঝে রাতে আসে ঝড় ভিজতে করে মানা বিয়ে করার পর । যা বলতে চাচ্ছি বুঝাতে পারলাম কি ? নিজের জোলাপ হিসেবে কাজ চলবে মনে হয় . . . . . . . ( প্রজন্ম ফোরামে প্রকাশিত )
সন্ত্রাসের জলবায়ু : ভয়ের বদলে যাওয়া মুখোশ - ওলে সোয়িঙ্কা অনুবাদ : সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় মূল বই : Climate Of Fear by Wole Soyinka আমি নিজেকে সত্তরের দশকের শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছি , যখন আমি লন্ডন ইনস্টিটিউট অফ কনটেম্পোরারি আর্টসে ' শিল্পের জলবায়ু ' শীর্ষক বক্তৃতা দিয়েছিলাম । বক্তৃতার শুরুতেই আমি স্বীকার করেছিলাম " বক্তৃতার শীর্ষক সচেতনভাবে স্থির করা হয়েছে যেন ' ভয়ের জলবায়ু ' ' সন্ত্রাসের
হার্ডি রিলিজ পার্টির দিন আমরা সবাইকে উবুন্টুর হার্ডি - র সিডি সর্বনিম্ন দামে ( ব্ল্যাঙ্ক সিডির ১৫ - ২০ টাকা - দু : খিত এই মূহুর্তে একদম বিনামূল্যে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা টাকার স্বল্পতায় ) বিতরন করবো । এতে লাভ হবে ব্যবহারকারীদের কষ্ট করে ডাউনলোড করে সিডি রাইট করতে হবেনা ।
আগের পর্বে উল্লেখ করেছিলাম রাতেই আমরা আগমনী বাসে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিই । কিন্তু এখন লিখতে বসে , স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে আসলে আমরা ভোরের বাসটিতেই রওনা দিয়েছিলাম । ওটা ধরেই লিখতে শুরু করলাম . . . এবার বাসে আমাদের সিট ছিল শেষের ৪টি । এরশাদের কল্যাণে বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের রাস্তাগুলো বেশ মসৃণ হওয়াতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছিল না । কিন্তু যতোই ঢাকার দিকে এগুচ্ছিলাম , বুঝতে পারছিলাম ঝাকানাকার পরিমাণ বাড়তেই থাকবে ।
শারমিন লাকীর উপস্থাপনায় এ প্রতিযোগিতায় নিয়মিত বিচারক হিসেবে ছিলেন ইমন সাহা ও তামান্না রহমান । প্রতি রাউন্ডে নিয়মিত বিচারকদ্বয়ের সঙ্গে ছিলেন একজন অতিথি বিচারক । এ গ্র্যান্ড ফিনাল আয়োজনে অতিথি থাকবেন ফজলে হাসান আবেদ , তারিকুল ইসলাম , নওয়াজেশ আলী খান সারা যাকের প্রমুখ । কিশোরী প্রতিভার খোঁজে ব্র্যাকের সৌজন্যে আয়োজিত মেঘে ঢাকা তারায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতিযোগিতা পর্বের শিল্প নির্দেশনা , গ্রুমিং ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে সাধনা । গ্র্যান্ড ফিনালের নৃত্য প্রশিক্ষণ ও কোরিওগ্রাফি করেছেন চাঁদনী , সঙ্গীতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইমন সাহা ।
সাবেক ছাত্রনেত্রী , ' ৯০ - এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র নেতৃত্বদানকারী মোশরেফা মিশুকে বর্তমান শাসক দলের সময় বার বার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে । গার্মেন্ট কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ইন্দনের অভিযোগে সম্প্রতি তাকে নিজের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে রিমান্ড চায় । তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন । নির্যাতনের কারণে বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রিজন সেলে চিকিত্সাধীন আছেন ।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রর্থণা করছি , রুপা যাতে কিছু জানতে না পারে । রুপাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম ।
যে যেমনে ভাবে সেইটা তাদের একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার । সিনেমার যে বিষয় গুলো এখানে প্রধান আলোচ্য সেই বিষয়গুলা বাদ দিয়া স্রেফ একটা সিনেমার মাপ - কাঠিতেও যদি এই ছবিকে মাপকাঠিতে বিশ্লেষন করি তবে তা সিনেমার মানদন্ডে উর্ত্তীণ হয়না । এখন প্রশ্ন আসবে , সিনেমার মাপকাঠিতে উর্ত্তীণ হবার মন্ত্র বা মাপ - কাঠি কি বস্তু ? এই উত্তর দিতে গেলে আমি ডেফিনেশন টেফেনেশনের মত নিয়ামক গুলো না আনি । বরং তাকাই পৃথিবীর তাবত চলচ্চিত্র বা মানুষের ভালোলাগার মাপকাঠিতে মাপতে । সেই হিসেবেও বলা চলে , কারো কাছে ভালো লেগেছে , কারো কাছে লাগেনি ।
- লেখক : মো . শহীদুল্লাহ সহযোগী অধ্যাপক , কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ , ময়মনসিংহ ।
খারাপ খেলেছে , তাতে কোণ সমস্যা দেখছি না । একটি টিম ভাল করতে সময়ের প্রয়োজন আছে । বাংলাদেশের আরো সময় প্রয়োজন ।
রাজ বলেছেন : আজ আমি আমার মায়ের কাছে কৈফিয়ত চাই , কেন তিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন , কেন আমাকে বড় করেছেন যে যেখানে বাংলার ৫৭জন বীর সন্তানের জন্য দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছুই করতে পারছিনা । . . . . . জবাব চাই মা . .
আপাতদৃষ্টিতে এসব সত্যই বটে । সত্য শস্য - তালিকা ক্রমাগত কমে আসছে , এশিয়ায় পশুজাত সামগ্রীর ব্যবহার বাড়ছে , বাড়ছে পৃথিবী জুড়ে জনসংখ্যা , বৈশ্বিক তাপমাত্রা , জৈবজ্বালানির চাহিদা , দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা , বাণিজ্যিক ফটকাবাজী , কমছে ডলারের দাম , প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে অশোধিত তেলের বাজারমূল্য , বিরূপ ভূমিকা রাখছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ - এর নীতিসমূহ , আমদানি প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি সব কিছু । এসবের প্রতিটিই কোনও না কোনওভাবে পণ্যমূল্য বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে ।
বাবার প্রতি ভাল বাসা আর সন্মান যানাতে বাবা দিবস পালনের চিন্তা সোনার এর মাথায় আসে ১৯০৯ সালে । সেই বছর মা দিবসের এক অনুষ্ঠানে সোনার অংশ গ্রহন করেন । এবং তিনি ভাবতে থাকেন মা দিবস এর মত বাবা দিবস নামে একটি দিন পালন করা যায়কিনা । যেখানে মা দের পাশাপাশি বাবাদের ও ভাল বাসা যাবে , শ্রদ্ধা জানান যাবে । এই চিন্তা নিয়ে মূলত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্পোকেন মন্ত্রীজোটের কাছে তার পিতার জন্মদিন ৫ জুনকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠান । তার প্রস্তাবের প্রশংসা করলেও মন্ত্রীজোট ৫ জুনকে বাবা দিবস ঘোষণা করতে রাজি হয়নি । তারা জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন ।
বিশেষ করে এই ব্লগে নতুন ভাইয়ের জন্য এই পোষ্ট । # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # # মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী বাংলাদেশের অন্যতম একজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা । উনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন । তাছারা উনি বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের একজন অন্যতম প্রধান নেতা । দেলোয়ার হোসেন সাইদী ১৯৪০ সালের ফেব্রুয়ারীর ২তারিখে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । তার বাবা মোঃ ইউসুফ সাইদী ছিলেন একজন ইসলামী সাধক । সাইদী নিজ গ্রামে বাবার তৈরি মাদ্রাসায় প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু করেন । অতঃপর উনি সারশিনা আলিয়া মাদ্রাসাতে পরবর্তি ইসলামী শিক্ষা চালিয়ে যান । খুলনা আলিয়া মাদ্রাসাতেও পড়ালেখা করেন । উনি পাকিস্থানের করাচীতে অবস্থিত জামিয়া - উলুম - উল - ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা সম্পন্ন করেন । সাইদীর চরমপন্থা কার্যক্রম : সাইদীর বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিচারবিভাগকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মত দুঃসাহস দেখান । ওনি কোর্টকে বলেন যে , পিরোজপুরের রাজাকার - আলবদর - আলসামস এর মত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান কারী বাহীনিগুলোর সংঘটনের মত গুরুতর অপরাধের দায়ে দায়ী । সাইদী ১৯৭১ সালে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না । কিন্তু ইসলামী স্কলার আর পরিবারের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্থানের হত্যা , লুট , ধর্ষন সহ সকল প্রকার যুদ্ধপরাধের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে । তাছাড়া নিজের দলবল নিয়েও হিন্দু আর মুক্তিযুদ্ধাদের সম্পত্তি লুট করে এই মাওলানা সাহেব । এখন পর্যন্ত আমি যা বললাম এগুলো সবই তার সম্মন্ধে অভিযোগ । এবার আসুন দেখি সাক্ষীরা কি বলে ? মিজান নামের মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সৈনিক সাইদীর নামে অভিযোগ করেন । সাইদী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানী সৈন্যদের সকল অত্যাচার আর অন্যায়ে সরাসরি অংশগ্রহন করেছে । সে ব্যক্তিগতভাবে পিরোজপুরের পাড়ের হাটে সম্পত্তি লুটপাট করেছে । সে মদন নামের এক হিন্দুর দোকান ভেঙ্গে সকল মালপত্র লুটপাট করেছে । তাছাড়া সাহেব বাজার থেকে লুট করা মালামাল দিয়ে পাড়ের হাটের ফেরিঘাটে দোকান সাজিয়েছে ( মাসিক পত্রিকা নিপুন এ ১৯৮৭আগস্ট প্রকাশিত ) একজন উকিল এবং মুক্তিযুদ্ধের সাহায্যকারী আব্দুর রাজ্জাক খান বলেছেন , সাইদী হিন্দুদের বাড়িঘর জবরদখল করেছেন । বিপদ সাহার দখলকৃত বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধ সময়টা বাস করেন । তাছাড়া এলাকায় সন্দেহজনক মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা বানিয়ে তা পাকিস্থানীদের সরবরাহ করত । রাজ্জাক সাহেব আরো বলেন , সাইদী ধারে কাছের গ্রাম থেকে মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকিস্থান ক্যাম্পে সরবরাহ করত । পাকিস্থান আর্মির পাড়ের হাট এলাকার মাসাকারের সময় সাইদী গাইড হিসাবে অশগ্রহন করে । এলাকার ছেলেদের আলবদরে যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ ও করেন । সুপ্রিম কোর্টের বারের একজন মেম্বার আলি হায়দার সাইদী সম্মন্ধে একি অভিযোগ করেন । তিনি আরো যোগ করেন , হিমাংশু বাবু এবং বানপতি হালদার নামে দুজন প্রভাবশালী এবং এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিকে হত্যার সাথে দেলোয়ার হোসেন সাইদী সরাসরি জড়িত । তাছারা এলাকার অনেক সমাজকর্মী আর ইনটেলেকচুয়াল সরকারী অফিসার , যারা নাকি মুক্তিযুদ্ধাদের হয়ে কাজ করত তাদের হত্যার জন্য এই দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেব দায়ী । অপর এক মুক্তিযুদ্ধাদের সাহায্য কারীকে দেলোয়ার মহাশয় পাচ কিলোমিটার মোটর সাইকেলের পেছনে বেধে টেনে হিচরে নিয়ে আসে এবং পরে হত্যা করে বলে এলাকায় কিংবদন্তী আছে । গ্রামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইদী সম্মন্ধে একি অভিযোগ করেন । আর এই ঘটনাগুলো ঘটে গেছে ১৯৭১ সালে । আমরা হয়ত দেখি নি নিজের চোখে । কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয় , একজন রাজাকার বা একজন বাংলাদেশের অস্তিত্বে অবিশ্বাসীর চাইতে মুক্তিযোদ্ধা , অন্তত বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী কারো সাক্ষ্য গ্রহন করা নিরাপদ । আজকের জামাতে ইসলামী সংঘটনে অনেক দেশ প্রেমিক আর ভাল মানষিকতার ছেলেরা আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । তাদের নিজেদের বুঝে নিতে হবে সত্যি কোনটা । কেউ ধোয়া তুলসি পাতা হলে মিডিয়ার এত শক্তি নেই যে একজনকে শুধু শুধু যুদ্ধপরাধি বানিয়া দেবে । মিডিয়ার এই রাজ্যত্বের যোগে মানুষ ত আর আগের মত অন্ধ নাই । তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ , ব্রেন ওয়াশড না হয়ে প্রকৃত সত্যকে খুজে বের করুন । অনেকে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে এত সাক্ষ্যপ্রমান যদি সত্যিই থেকে থাকে তবে কেন যুদ্ধপরাধের মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না ? ? কেন প্রমান করতে পারছে না যে এরা যুদ্ধপরাধী ? ? - - - কারন আর কিছুই না , রাজনীতি । আওয়ামীলিগেও যুদ্ধপরাধী আছে , বিএনপিতেও তাই । আর যুদ্ধপরাধীরা দলের মধ্যে অনেক প্রভাবশালী । তাই কেউ বেশি উচ্ছবাচ্য করে না । আওয়ামীলিগ মানুষকে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য , ভোটের জন্য এই ইস্যুটা নিয়ে অনবরত রাজনীতি খেলছে । কোন ভাবেই আওয়ামীলিগ এই ইস্যুটাকে শেষ করে দিতে রাজী নয় । কারন এটা ওদের ভোটের জন্য একটা বড় অস্ত্র । কিন্তু জনগন আর বোকা নয় । সব বুঝতে পারে জনতা । আর তাই ত আশায় বুক বাধি , জনগনের শক্তি জেগে উঠবেই , আর একদিন এই সব ভন্ডদের সমুদ্রে চুবিয়ে শুদ্ধ করে আনবে । সেই সোনালি দিনের আশায় পথ চেয়ে আছি । ধন্যবাদ সবাইকে । Click this link Click this link Click this link Click this link
আমজাদ হোসেন ( শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার , মরণোত্তর ) এবারের পুরস্কারের অভিজ্ঞতা আমার ভালো না । কারণ ৬ থেকে ৭ বছরের পুরস্কার এবারে একবারে দেয়া হয়েছে । এটা আমার ভালো লাগেনি । আর যেহেতু এটা চলচ্চিত্র পুরস্কার , ফলে এখানে চলচ্চিত্র শিল্পীরা পারর্ফম করবে - এটাই স্বাভাবিক ছিল । কিন্তু এখানে টিভির লোকজন পারফর্ম করেছে । এটা যারা আয়োজন করেছে , তাদের বিবেচনা করা দরকার । যে অহঙ্কার এবং গর্ব নিয়ে এ পুরস্কার রাষ্ট্র দেয় সেই উত্তেজনা এবারে ছিল না । শিল্পীরা খুব বেশি উত্তেজনা নিয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেননি ।
কর্নেল দুলাল বলেছেন : জ্বীভে কামড় আস্তে দেন । জ্বীভ কেটে যাবে
অক্টোবরের শেষের দিকে যখন পাকিস্তান সরকার উপনির্বাচন করারা ঘোষণা দেয় তখন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে আমাকে ফেনীর আসন থেকে এম এন এ প্রার্থী মনোনীত করা হয় । সে কথা শুনে মফিজ আমার কাছে ছুটে আসেন । তিনি আমাকে বললেন , দোস্ত তুমি এসব বিপদের মধ্যে নিজেকে জড়িও না । পাকিস্তান থাকবে না , পাকিস্তানকে আমরাই শেষ করে দিয়েছি । এখন কেন এভাবে বিপদের ঝুঁকি নিচ্ছ ? আমি তাঁকে বললাম আমার রক্তের বিনিময়ে হলেও পাকিস্তানের আদর্শ রক্ষার জন্য লড়াই করব । এ কথা বলা প্রয়োজন , পশ্চিম পাকিস্তানী কিছু নেতা ও আমলা এক পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন না । পূর্ব বাংলার শতকরা ৯৭ জন - এর ভোটে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল । সন্তানের মত জনকের স্নেহ দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গড়েছি । ভারতের ষড়যন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পণ করব না । আদর্শ রক্ষা করব , আমি তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই । বাংলাদেশ হওয়ার পর আমি যখন জেলে তখন মফিজ আমার মুক্তির জন্য অনেক ছোটাছুটি করেছিলেন । মফিজের মত এ সময় নোয়াখালীর ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ইন্ডিয়া থেকে পালিয়ে চলে আসেন । তিনি ৭০ - এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে ছাগলনাইয়া - পরশুরাম - ফুলগাজী এলাকা থেকে এম এন এ হয়েছিলেন । এটা ছিল আমার নির্বাচনী এলাকা । ২৫শে মার্চের পর তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান । এ এলাকারই সীমান্তের ওপারে মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান । এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতর শুভপুর ও রেজু মিয়া ব্রিজ বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয় । এ দুটো খুব দীর্ঘ সেতু ছিল । মুহুরী নদীর উপর ছিল এ দুটো সেতু । এক শুক্রবারে তারা শুভপুর ব্রিজ উড়িয়ে দেয় । পরের শুক্রবার রেজু মিয়ার ব্রিজ । ব্রিজ দুটো ওড়ানোর পর স্বাভাবিকভাবে এ এলাকায় আর্মির চলাচল বেড়ে যায় । রেজু মিয়া ব্রিজ ওড়ানোর পরের দিন রাস্তায় পুঁতে রাখা মাইনে আর্মির একটা ট্রাক ওড়ে যায় । এতে ৯ জন পাকিস্তানী সৈন্য মারা যায় । আরও হতাহত হতে পারত । কিন্তু আর্মি সে দিন সামনের দিকে মুভ না করে ফেরীতে ফিরে যায় । পরের দিন এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যেখানে ট্রাক উড়ে গিয়েছিল তার দুপাশের গ্রামে আর্মি ঢুকে পড়ে । এক পাশে ছিল আমাদের পানুয়া । অন্যদিকে হরিপুর পানুয়া । আমাদের বাড়ীর সামনে এসেও আর্মি ফিরে যায় । আমাদের বাড়ীর সামনে দীঘির পাড়ে ছিল গোরস্থান । ওখানে আমার বাবা - দাদারা শুয়ে আছেন । কবরগুলো পাথর দিয়ে খোদাই করা । কবরের গায়ে কোরআন শরীফের আয়াত খোদাই করা আছে । আর্মি বোধ হয় এসব দেখে কি মনে করে ফিরে যায় এবং হরিপুর গ্রামে গিয়ে ঢুকে পড়ে । প্রতিহিংসার কারণে কিছু নিরপরাধ গ্রামের মানুষকে মেরে ফেলেছিল তাতে আমি অবাক হয়ে যাই । আমি এদের অনেককেই চিনতাম । এ ঘটনা সে সময়কার তৈরী পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের মনে আর্মি সম্বন্ধে স্রেফ বিরূপ ধারণাই জন্ম দিয়েছিল । এরকম সময়েই ওবায়দুল্লাহ মজুমদার একদিন দেখতে পান আমাদের এলাকার কতিপয় আলেমকে চোখ বাধা , হাত বাধা অবস্থায় হত্যা করার জন্য ভারতে নেয়া হয়েছে । ওবায়দুল্লাহ গিয়ে দেখতে পান পাহাড়ের কাছে লাইন দিয়ে পড়ে আছে তাঁরই এলাকার কিছু পরিচিত লোক এবং সম্মানিত কিছু আলেমের লাশ । হাজার হোক ওবায়দুল্লাহ ছিলেন রাজনীতিবিদ । এসব কান্ড তাঁর ভাল লাগেনি । তিনি তাদের কাছে বললেন আমি একটু ঘুরে আসি । তিনি তাড়াতাড়ি করে ফিরে এসে তাঁর স্ত্রীকে লোক দিয়ে ফেনী পাঠিয়ে দেন এবং নিজেও অন্য রাস্তা দিয়ে ফেনী চলে আসেন । ফেনীতে তিনি একদিন থাকার পর ঢাকায় এসে অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক আবদুস সালাম সাহেবের সাথে দেখা করেন । সালাম তাঁকে হামিদুল হক চৌধুরীর কাছে নিয়ে যান । ওবায়দুল্লাহ পরে সবুর সাহেবের সাথেও দেখা করেন । আমার সাথেও তাঁর দেখা হয় । তাঁর কাছেই শুনি এই লোমহর্ষক ঘটনা । তিনি আক্ষেপ করে বলতে থাকেন আমি বহুদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা যে গোপনে এত বড় ষড়যন্ত্র করেছে তার কিছুই বুঝতে পারিনি । শুধু আলেম হওয়ার অপরাধে তাদেরকে বাংলাদেশ বিরোধী চিহ্নিত করে এমন কাজ করতে পারে তা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি । ওবায়দুল্লাহ পরে হামিদুল হক চৌধুরী ও সবুর সাহেবের সহযোগিতায় আর্মির বড় কর্তাদের সাথেও দেখা করেন । সেখানে তিনি আর্মিকে বলেছিলেন আপনারা পাকিস্তানের স্বার্থে আমাকে যে কোন কাজে লাগাতে পারেন । পরবর্তীকালে পাকিস্তান সরকার যখন পূর্ব পাকিস্তানে মালেক সাহেবের নেতৃত্বে একটা অসামরিক সরকার গঠন করে তখন ওবায়দুল্লাহ ডা . মালেক মন্ত্রীসভার সদস্য হয়েছিলেন । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির অর্থই যে ছিল ভারতের অনুকূলে কাজ করা অর্থাৎ পাকিস্তান ভাঙ্গা ওবায়দুল্লাহর সেই চৈতন্য হয়েছিল অনেক দেরীতে , যখন পাকিস্তান মৃত্যু শয্যায় শায়িত । মফিজ ও ওবায়দুল্লাহর মত আওয়ামী লীগের অনেক এমপি ও এমএনএ কেবল ভারতে গিয়েই ষড়যন্ত্রটা টের পেয়েছিলেন । তাঁর আগে তারা কিছুই বুঝতে পারেননি । ভারত গিয়ে অনেকে অনেক কিছু বুঝেও তেমন কিছু করে উঠতে সাহস পায় নি । কেননা তাতে তাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা ছিল । তাই তারা নিয়তিকেই এক রকম মেনে নিতে বাধ্য হয় । প্রবাসী সরকারকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করত ইন্ডিয়া । তাদের নির্দেশের বাইরে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের রা ' করবারও উপায় ছিল না । যত দিন যেতে থাকল ইন্ডিয়ার পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকল । আমার বাড়ী থেকে কয়েক শ ' গজ দূরে গণেশের এক প্রাসাদোপম বাড়ী ছিল । এই বাড়ী নিয়ে এক কাহিনী আছে । ভাওয়ালের রাজা নিরুদ্দেশ হওয়ার ১২ বছর পর যখন জন সমক্ষে সন্যাসী হিসেবে আবির্ভূত হন তখন তিনি এখানে এসে উঠেছিলেন । গণেশ চক্রবর্তী ছিল তাঁর পূর্ব পরিচিত । ভাওয়ালের রাজার নিরুদ্দেশ হওয়ার চমকপ্রদ গল্প , মামলা করে তাঁর জমিদারী এস্টেট ফিরে পাওয়ার অভিনব কাহিনী আমি পরে গণেশের কাছ থেকে শুনেছিলাম । গণেশ ২৫শে মার্চের পর ভারতে পালিয়ে যায় । আর্মি যখন খাজুকে নিয়ে আসে তখন বিহারীরা লুটতরাজ চালাচ্ছিল গণেশের বাড়ীতে । আমি মেজর নাসিমকে বললাম এগুলো তোমাদের চোখে পড়ে না ? সে তখন তার ফোর্স নিয়ে গণেশের বাড়ীর দিকে ছুটে যায় । বিহারীরা আর্মি আসার কথা শুনে তাড়াতাড়ি গা ঢাকা দেয় । বিহারীদের হাত থেকে গণেশের বাড়ীতে লুটতরাজ তখনকার মত ঠেকাতে পারলেও বাংলাদেশ হওয়ার পর গণেশের বাড়ী আবার লুটতরাজের শিকার হয় । এবার তার বাড়ীতে লুটতরাজ চালায় আওয়ামী লীগাররা । এই গণেশ কয়েকটা বড় বড় গরু পুষত । এই গরুগুলো জবাই করে তারা বিজয় উৎসব পালন করে । এইভাবে গণেশের বাড়ী দুবার লুট হয় । আওয়ামী লীগ মনে করেছিল এভাবে যদি হত্যা ও সন্ত্রাস চালানো হতে থাকে তাহলে আর্মি অবশ্যই নেমে আসবে এবং তাদের উপর আক্রমণ করবে । আর্মির সেই আক্রমণকে পুঁজি করে তখন সকলের কাছে নিপীড়নের কাহিনী বলে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে । আওয়ামী লীগের এ কৌশল অনেকখানি সফল হয়েছিল । এ সময় একদিন আর্মি এসে আমার বাড়ী সার্চ করে । কি করে যেন আর্মি খবর পেয়েছিল আমার শ্যালক সাহাদত চৌধুরী সাধন আওয়ামী লীগের সমর্থক । আর্মির ধারণা হয়েছিল আমি কিছু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের প্রোটেকশন দিচ্ছি । প্রকৃত ঘটনা ছিল সাধনসহ তার কয়েকজন বন্ধু বিপদ টের পেলে আমার বাসায় এসে উঠত । জানতাম এরা পাকিস্তানী আদর্শে বিশ্বাসী নয় । পাকিস্তানের যে কোন বড় ক্ষতি হতে পারে এদের দ্বারা । সশস্ত্র অবস্থায়ই এরা সব সময় ঘোরাফেরা করত । তবুও একটা লোককে আর্মি মেরে ফেলবে তার দোষ যত প্রমাণিতই হোক না কেন এটা আমি কখনও মেনে নিতে পারিনি । সাধনের সাথে জনকন্ঠের মাসুদ খান , মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া , রাজা আর ঝিলু ঘোরাফেরা করত । আর্মি যেদিন আমার বাড়ী এসেছিল সেদিন সকালে সাধন ও মাসুদ আমার বাড়ীতে অবস্থান করছিল । আর্মির ঘোরাফেরা দেখে কলাবাগানে এক আত্মীয়ের বাসায় তাদের সরিয়ে দিয়েছিলাম । সেদিন বিকেলেই দেখি আমার বাড়ীর সামনে আর্মির একটা ট্রাক এসে থামল । তারপর ট্রাক থেকে চোখ বাধা অবস্থায় এক তরুণকে নামানো হল । সম্ভবত আর্মি চেয়েছিল ছেলেটিকে গুলি করে লাশটা রাস্তার উপর ফেলে যাবে । চোখ বাধা হলেও ছেলেটাকে আমার কাছে পরিচিত মনে হল । কাছে গিয়ে দেখি এতো আমাদের খাজু । রাজার ছোট ভাই । খাজু ছিল আমার প্রতিবেশী প্রাক্তন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন আহমদের ছেলে । তিনি আমার চেয়ে বয়সে কিছু বড় হলেও আমার সাথে তাঁর বরাবর একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল । গিয়াসউদ্দিন যুক্তফ্রন্টের সময় খাদ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন । মোহন মিয়া যখন মুসলিম লীগ ত্যাগ করে যুক্তফ্রন্টে যোগ দেন তখন তাঁর সাথে তিনিও মুসলিম লীগ ছাড়েন । আর্মি ট্রাকে বসা মেজর নাসিমকে বললাম এ তোমরা কি করছ ? খাজু আমার মুসলিম লীগের কর্মী । তাকে নিয়ে আমি কাইয়ুম খানের সাথে মিটিং পর্যন্ত করেছি । আরও অনেক লোক জমা হয়ে গিয়েছিল । তাদের মধ্যে অনেক বিহারীও ছিল । তাঁরাও বলল খাজু মুসলিম লীগের লোক । আর্মি খাজুকে ছেড়ে দিল । আমি তখন নাসিমকে বললাম , তোমরা কেন এভাবে পাকিস্তানের শত্রু খুঁজে বেড়াচ্ছ । এভাবে কি দেশকে শত্রু মুক্ত করা যাবে । ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে এক মহান আদর্শের অনুপ্রেরণায় আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম পাকিস্তান আন্দোলনে । বৈষয়িক স্বার্থের গ্লানি আমাদেরকে সেদিন স্পর্শ করেনি । ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল সে সব দিনের স্মৃতি আজও যখন মনের আয়নায় ভেসে ওঠে তখন আপ্লুত না হয়ে পারা যায় না । কেননা , আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল একটি স্বাধীন স্বদেশ ভূমির স্বপ্ন । আমরা চেয়েছিলাম এমন এক রাষ্ট্র কাঠামো যা কোন ভৌগোলিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার মধ্যেই সীমিত থাকবে না । সেদিন আমাদের প্রত্যয়ের ভাষা মূর্ত হয়েছিল কবিকন্ঠেঃ ' মোরা মুসলিম সারা জাহান ভরিয়া গড়িব পাকিস্তান । ' শুধু কি তাই । আমরা চেয়েছিলাম কাঙ্খিত রাষ্ট্র হবে ' যারা নীড় হারা ' ' যারা আশ্বাস হারা ' তাদের আবাসভূমি । এক কথায় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি হবে ' সারা জাহানের মজলুমানের মঞ্জিল মহীয়ান ' । সেদিন চাঁদ তারা খচিত পতাকার তলে জড় হয়েছিল সর্বস্তরের মানুষ । কত শত ত্যাগ তিতিক্ষা আর জানমালের কোরবানীর বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল ৪৭ - এর স্বাধীনতা - তার মূল্যায়ন সম্ভব নয় এই সীমিত পরিসরে । তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আজাদী আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে শেখ মুজিবরসহ আওয়ামী লীগের অনেককেই পেয়েছি সংগ্রামের সাথী হিসেবে । পাকিস্তান আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী পটভূমি সম্পর্কে তাঁরা অবহিত নন এমনটি ভাবতে কুন্ঠা জাগে । আরও যেটা বিস্ময়কর সেটা হল ৪৭ - এর পূর্বে যাদের ভান্ড ছিল শূন্য অথচ পাকিস্তানের বদৌলতে ধানমন্ডি - গুলশানে যারা জাঁকিয়ে বসেছেন , তারাই রাতের আঁধারে হাত মিলিয়েছে প্রতিবেশী দেশটির - হোমরা চোমড়াদের সাথে । সাতচল্লিশের স্বাধীনতা অর্জনের পরক্ষণেই ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত পাকিস্তান নামক কষ্টার্জিত রাষ্ট্রটি ধ্বংসের প্রমত্ত নেশায় মেতে ওঠে । শিক্ষকের ছদ্মবেশে বন্ধুর মুখোশে অনবরত প্রচার চালাতে থাকে দুগ্ধপোষ্য রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে । আমার বন্ধুরা ষাটের দশকের ঢাকার সাথে তুলনা দিতেন পিন্ডি , লাহোরের । আফসোসের বিষয় ৪৭ - এর পূর্বে ঢাকার চিত্র তাদের স্মৃতি থেকে কেন জানি চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল । আমার কাছে পুরো বিষয়টা আজ অবধি অবোধগম্য রয়ে গেছে । সত্তরের সেই উত্তাল দিনগুলোতে মনে হত বাঙ্গালী খুব আবেগপ্রবণ জাতি । পিছনের কথা তারা বেশীদিন মনে রাখে না । বারবার তাই তাদের জীবনে বিপর্যয় ধেয়ে আসে । একাত্তরের জুলাই মাসের দিকে রাও ফরমান আলী একবার মুসলিম লীগসহ পাকিস্তানপন্থী কয়েকটা দলের নেতাদের তাঁর অফিসে ডাকেন । তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা করার জন্যই তিনি আমাদের ডেকেছিলেন । এ সভায় আর্মির কয়েকজন সিনিয়র জেনারেলও ছিলেন । আলোচনা প্রসঙ্গে জেনারেল রহীম একটা দামী কথা বলেছিলেন । মোমেনশাহীর হালুয়াঘাট সীমান্তের একটা উদাহরণ টেনে জেনারেল রহিম বললেন , সেখানে আমাদের আর্মি আছে । তারা বর্ডার পাহারা দিচ্ছে । ট্রেঞ্চ খুঁড়েছে । সবই চলছিল ঠিকঠাকভাবে । হঠাৎ একদিন রসদ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হল । কতিপয় তরুণ পথ দেখিয়ে নিয়ে এলো ইন্ডিয়ান আর্মিকে । জেনারেল রহীম বললেন , আমরা কাদের সাথে তাহলে যুদ্ধ করব । আমরা কাদের জন্য বুকের রক্ত দেব । একদিকে ইন্ডিয়ান আর্মি অন্যদিকে আমরা দেশের বিভ্রান্ত তরুণেরা । এরকম অবস্থায় কি যুদ্ধ চলতে পারে ? দেশের সর্বত্রই তখন হালুয়াঘাট সীমান্তের অবস্থা বিরাজ করছিল । তাছাড়া আমার মনে হয় আর্মির মধ্যেও কোন সংহত পরিকল্পনা ছিল না । এর কারণ ছিল আর্মি হেড কোয়ার্টারের সিদ্ধান্তহীনতা । আর্মি হেড কোয়ার্টারের সিনিয়র জেনারেলদের যে অংশ ভুট্টোর সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন তাঁরা কখনোই চাননি পূর্ব পাকিস্তানে আর্মি কোন সুষ্ঠু প্রতিরোধ গড়ে তুলুক । ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা চেয়েছিলেন । পাক আর্মির কয়েকজন জেনারেলও এ চক্রান্ত বাস্তবায়নে ভুট্টোর সহযোগী হন । ফলে পূর্বাঞ্চলে আর্মি যত অপারেশন চালিয়েছে , সীমান্তে যুদ্ধ করেছে তা অনেকটা সিদ্ধান্তহীনভাবে হয়েছে । তারা একদিকে দেখেছে দেশের মানুষ তাদের প্রতি মোটেই সহানুভূতিশীল নয় , অন্যদিকে হেড কোয়ার্টারের কোন দিক নির্দেশনা নেই । এরকম পরিস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলের আর্মি হয়ে পড়েছিল অসহায় । অন্যদিকে আমরা পাকিস্তানপন্থীরা নিজেদের বিপন্ন ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যথার্থই আন্দাজ করতে পারছিলাম । এসত্ত্বেও পাকিস্তানের প্রতি গভীর অনুরাগ আমাদেরকে সচল রেখেছিল । পাকিস্তানের জন্য সন্তান প্রতিম ভালবাসাই আমাদের পরিচালিত করেছিল । এসময় ইয়াহিয়া হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলেন পূর্ব পাকিস্তানে একটা বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার । তাঁকে এ বুদ্ধি কে দিয়েছিল জানি না । তবে আর্মির মধ্যে এ অনুভুতি জেগে থাকতে পারে যে সামরিক সরকারের স্থলে কোন বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা গেলে হয়ত পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে । তাছাড়া ইন্ডিয়া এ সময় শরণার্থী সমস্যা ও পাকিস্তান বাহিনীর নিপীড়নের মিথ্যা কাহিনী প্রচার করায় বিদেশে পাকিস্তান বিরোধী প্রোপাগান্ডা বৃদ্ধি পায় । তার মোকাবেলার জন্য হয়ত আর্মি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে । কিন্তু এরকম সিদ্ধান্তে তখনকার বিস্ফোরনন্মুখ পরিস্থিতিতে কোন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না । কারণ দেশের দু ' অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্যের নামে আওয়ামী লীগ যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল তা দূর করা সহজ সাধ্য ছিল না । জেনারেল টিক্কা খানের স্থলে নতুন গভর্ণর নিযুক্ত হলেন ডাক্তার এএম মালেক । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন দাঁতের ডাক্তার । রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে । কলকাতার ডক শ্রমিকদের তিনি ছিলেন নেতা । পাকিস্তান হাসিলের পর মালেক সাহেব লিয়াকত আলী খানের মন্ত্রীসভার সদস্য হয়েছিলেন । পাকিস্তান হওয়ার পর পর আমি যখন ঢাকায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তখন মালেক সাহেব আমাকে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে উৎসাহিত করতেন । ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন আসার ঠিক আগে আগে একবার এ . এম . মালেক ঢাকায় এলেন । দ্বিধাবিভক্ত মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মীদের একত্রিত করার জন্য তিনি পাকিস্তান ফ্রিডম ফাইটার্স মুভমেন্ট নামে একটা বৈঠক ডাকেন হোটেল শাহবাগে । পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি অঞ্চল থেকে এ বৈঠকে পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মী ও নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন । বৈঠকে আমি সেদিন মোহন মিয়াকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম । মালেক সাহেবের সাথে আমি সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেছিলাম অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য । তখনই টের পেয়েছিলাম তিনি একজন উঁচু মানের সংগঠক । রাজনীতিবিদদের জন্য যা অবশ্যই একটা বড় গুণ । মালেক সাহেব ফ্রিডম ফাইটার্স মুভমেন্টের সভাপতি আর আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই । পাকিস্তান আন্দোলনের ইতিহাস যাতে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছায় তার একটা পরিকল্পনা তখন আমরা নিয়েছিলাম । মনে পড়ে তিনি সভাপতির বক্তৃতায় দুঃখ করে বলেছিলেন , যারা পাকিস্তান আন্দোলন করেছিল তারা কি উদ্দেশ্যে আজ পাকিস্তানের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করছে তা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে । দুঃখের বিষয় সংগঠনটা আমরা বেশীদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি । এ . এম . মালেক বিভিন্ন সময় পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষিক্ত হয়েছেন । কখনও মন্ত্রী হয়েছেন , কখনও রাষ্ট্রদূত । কিন্তু তিনি যখন পূর্ব পাকিস্তানের দুর্যোগপূর্ণ রাজনৈতিক আবহাওয়ায় গভর্ণর হয়ে এলেন তখন অনেকেই বলাবলি করতে লাগল মালেক সাহেব তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করে বসলেন । তিনি আসলেই কোন ভুল করেছিলেন কিনা তা বিচার করবে ভবিষ্যতকাল । তবে একথা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি , পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ সময়ে তিনি প্রদেশের গভর্ণরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন । পর্বত প্রমাণ যে গুরু দায়িত্ব নিয়ে তিনি গভর্ণর হয়েছিলেন সেই গুরুভার পালনে তাৎক্ষণিকভাবে সফলকাম হতে পারেননি । তবে পাকিস্তানের জন্য তিনি যে এতবড় ঝুঁকি নিতে পেরেছিলেন সেটা তার প্রগাঢ় আদর্শবাদী চরিত্রের জন্যই সম্ভব হয়েছিল । ইতিহাসের পাতায় পরাজিতদের জন্য কিছুই বরাদ্দ থাকে না বললেই চলে । একারণে বাংলাদেশ হওয়ার পর রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে তিনি অনেকটা মুছে গেছেন । কিন্তু ইতিহাসে তো আদর্শবাদীদের একটা স্থান থাকে । সে স্থান অবশ্যই তাঁর প্রাপ্য । পাকিস্তানের আদর্শের জন্য জনাব মালেক সব রকমের ঝুঁকি নিয়ে গভর্ণরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন । পাকিস্তান আন্দোলনের জেহাদে তিনি যেমন ছিলেন সক্রিয় , পাকিস্তান রক্ষার জেহাদেও তাঁকে দেখা গেল সম্মুখ সারিতে । মালেক সাহেব তাঁর ক্যাবিনেটে ইসলামপন্থী দলগুলো থেকে কয়েকজন সদস্য গ্রহণ করেছিলেন । সবগুলো দলের নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করেই তিনি এটা করেছিলেন । আওয়ামী লীগের এমন দু ' জন সদস্যকেও মন্ত্রীসভার সদস্য করেছিলেন তিনি যাঁরা মুজিবের ষড়যন্ত্রকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেননি । ভেবে হতবাক হতে হয় , পূর্ব পাকিস্তানের শেষ দিনগুলোতে যখন ভারতীয় জঙ্গী বিমান গভর্ণর হাউসের উপর অনবরত বোমা বর্ষণ করত তখনও গভর্ণর মালেক সকাল - বিকাল ক্যাবিনেট মিটিং করে সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতেন । জীবনবাজী রেখে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন । ব্যক্তি জীবনে মালেক সাহেব খুবই আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন । নামাজ আদায়ের ব্যাপারে তাঁর কোন শৈথিল্য ছিল না । দুনিয়াবী কোন চাওয়া - পাওয়া কখনই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি । অবিশ্বাস্য হলেও সত্য জীবনে বহু উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে সামান্য একটি বাড়ীও তিনি নির্মাণ করেননি । এর চেয়ে দুর্লভ চরিত্র এ যুগে আর কি হতে পারে ! পাকিস্তান হওয়ার পর আমরা যখন জেলে তখন তিনি মাঝে মাঝে বলতেনঃ দেখ ইব্রাহিম জীবন মৃত্যুর মালিক তো মুজিব নয় । আল্লাহতাআলার মেহেরবানী সাথে থাকলে আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না । আর মৃত্যু যদি ভাগ্যে থাকে সেটিও কেউ রুখতে পারবে না । সে সময় পাকিস্তানের জন্য দিনরাত খেটেছেন এরকম একজন দক্ষ অফিসারের কথা না বলে পারছিনা । তিনি ছিলেন শফিউল আজম । সব রকম ভীতি ও ঝুঁকি উপেক্ষা করে দুর্যোগময় দিনগুলোতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনকে সচল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন । তিনি তখন পূর্ব পাকিস্তানের চীফ সেক্রেটারী । শফিউল আজম সারা পাকিস্তান সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন । বাংলাদেশ হওয়ার পর নতুন সরকার তাঁর দক্ষতা মূল্যায়ন করেনি । মূল্যায়ন করেছিল তাঁর পাকিস্তান প্রীতিকে । এ কারণে প্রশাসন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল । পূর্ব পাকিস্তানে অসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আর্মি সিদ্ধান্ত নিল নতুন করে গণপরিষদ আহ্বান করার । কিন্তু সমস্যা দেখা দিল পূর্ব পাকিস্তানের যে সমস্ত আসনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সদস্যরা ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন তাদের সিটগুলো নিয়ে । কিছু আওয়ামী লীগ সদস্য অবশ্য পাকিস্তানেই ছিলেন । তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এসব জায়গায় নির্বাচন করার মত অবস্থা ছিল না । তাই আর্মি সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব পাকিস্তানের সব কটি ইসলামপন্থী দলের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে সিলেকশনের মাধ্যমে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের । এ ব্যবস্থাটা তখনকার পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট ছিল না । সরকারের তরফ থেকে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঘোষণা দেয়া হলে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সিটগুলো ভাগ করে নেয় । ফেনীর আসনটা নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন । কাকে এ আসনটা দেয়া যায় তা নিয়ে একদিন সকালে দেখি ফেনীর আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমার বাসায় হাজির । আইয়ুবের আমলে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এম এন এ নির্বাচিত হয়েছিলেন । কিন্তু মুজিব তাঁকে ৭০ সালে জানিনা কি কারণে নমিনেশন দেননি । তিনি ভারতেও যাননি । আমিনুল আমাকে এসে বললেন এ সিট থেকে তো একবার আমি এমএনএ হয়েছিলাম । তোমার তো সব নেতার সাথে খাতির । তুমি যদি তাঁদের একটু গিয়ে বল , তাহলে আর্মি আমাকে সিলেকশন দিতে পারে । আমি আমিনুল ইসলামকে নিয়ে নেতাদের বাড়ীতে ঘুরলাম । নেতারা আমিনুলকে নিয়ে যাওয়ায় প্রকাশ্যে কিছু বলেননি কিন্তু পিছনে অসন্তোষ জাহির করেছিলেন । সবুর সাহেব আমাকে তাঁর বাসার ভিতরে ডেকে নিয়ে বললেনঃ ইব্রাহিম , তুমি কাকে নিয়ে এসেছ । ওর কি কোন ঠিক আছে । পাকিস্তানের এ দুর্দিনে আমাদের সাচ্চা লোক চাই । তুমি ওখান থেকে দাঁড়িয়ে যাও । আমি ইতস্ততঃ করছিলাম । কিন্তু সবুর সাহেব আরও বললেন , ইব্রাহিম আমার কথায় না করো না । আমি যখন সবুর সাহেবের বাসায় যাই তখন দেখি আরও কয়েকজন এমএনএ পদপ্রার্থী সবুর সাহেবের অনুগ্রহ লাভের জন্য অপেক্ষা করছেন । এদের মধ্যে সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য শামসুদ্দীন আহমদ , এডভোকেট মোসলেহউদ্দিন প্রমুখ রয়েছেন । তাঁরা সবাই মুসলিম লীগের নেতা ও কর্মী । আমার তখন মনে হয়েছিল পাকিস্তান ভেঙ্গে যাচ্ছে আর মুসলিম লীগের কর্মীরা পরিষদ সদস্যের সিট ভাগাভাগি করার জন্য কামড়াকামড়ি করছেন । এই মুসলিম লীগ দিয়ে কি পাকিস্তানের বিপর্যয় রোধ করা যাবে ? নমিনেশন পেপার জমা দেওয়ার জন্য আমাকে যেতে হয়েছিল নোয়াখালীতে । প্রথমে যাই ফেনীতে । ঢাকা - চট্টগ্রাম হাইওয়ের মাঝখান থেকে ফেনীর দিকে যে ডাইভারশন রোড চলে গেছে সেই রাস্তার ওপরে তখন অবিরাম যুদ্ধ চলছে । ইন্ডিয়ান আর্মি একাধারে শেলিং করে চলেছে । সীমান্তের ধার ঘেঁষা এ রাস্তা তখন প্রায় বন্ধ । আমার ভাগ্নে বদরুল আহসানের গাড়ী নিয়ে আমি প্রথমে লাকসাম হয়ে নোয়াখালী যাই , সেখান থেকে ফেনী পৌঁছি । ফেনীতে গিয়ে নমিনেশন পেপারের জন্য প্রথমে প্রস্তাবক ও সমর্থক জোগাড় করি । তারপর সেই নমিনেশন পেপার জমা দেই নোয়াখালীর রিটার্নিং অফিসারের কাছে । আমি যখন নোয়াখালী কোর্ট বিল্ডিং এ নমিনেশন পেপার জমা দিতে যাই তখন আমার দেখা হয় এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সাথে । তিনি আমাকে বললেন ইব্রাহিম ভাই , আপনি তো আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিতে চাচ্ছেন । কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না । আমি তাঁকে বললাম , পাকিস্তানের আদর্শের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত আছি । তোমার আব্বা সারাজীবন মুসলিম লীগ করেছেন । তোমার মুখে এ কথা শোভা পায় না । লুৎফর ছিলেন খান বাহাদুর আব্দুল গোফরানের ছেলে । নমিনেশন পেপার নিয়ে যখন রিটার্নিং অফিসারের রুমে গিয়েছি তখন আমার জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছিল । দেখি একজন সামরিক পোষাক পরিহিত অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারও এসেছেন নমিনেশন পেপার জমা দিতে । দুর্যোগময় আবহাওয়াতেও নির্বাচনের উন্মাদনা দেখতে মন্দ লাগেনি । নোয়াখালী থেকে পুনরায় ফেনী গিয়েছিলাম আত্মীয় - স্বজনসহ বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করতে । তাদেরকে বলেছিলাম পাকিস্তানের আদর্শের লড়াই হিসেবে এ নির্বাচনকে আমি নিয়েছি । এর মধ্যে আমার আর কোন উদ্দেশ্য নেই । ফেরার সময় আমি ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পৌঁছেছিলাম । ট্রেন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল । যত্রতত্র ট্রেনে বোমাবাজী হচ্ছিল । কোথাও রেল লাইনের ফিস প্লেট তুলে ফেলছিল তরুণেরা । চট্টগ্রাম থেকে আমি কিছু চান্দা মাছের শুটকী কিনেছিলাম । শুটকী মাছের গন্ধ যাতে প্লেনের যাত্রীদের বিব্রত করতে না পারে সেজন্য কার্টুনে খুব ভাল করে মাছগুলো কাপড় দিয়ে বেঁধে নিয়েছিলাম । কিন্তু গোল বাধলো অবশেষে ঐ কার্টুনটি নিয়ে । এয়ারপোর্টে তখন আর্মি যাত্রীদের ব্যাগ খুলে সার্চ করত । বাক্স দেখে তাদের সন্দেহ হল হয়ত আমি এর মধ্যে বোমা জাতীয় কিছু লুকিয়ে রেখেছি । তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করায় বললাম , এর মধ্যে শুটকী ছাড়া অন্য কিছু নেই । দরকার হলে তোমাদের আমি খুলেও দেখাতে পারি । তারা আমার কথা শুনল না । তারা আমাকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিল । অবশেষে সেই শুটকী আমাকে ফেলে রেখে আসতে হয়েছিল । পরের দিন প্লেনে করে আমি ঢাকা পৌঁছেছিলাম । আর্মি তখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিল না । আর্মির এই অবিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ ছিল । কেননা , তখন তারা নিজের দেশেই পরবাসী হয়ে উঠেছিল । ঢাকায় আসার চারদিন পর গেজেটে আমার নাম পাকিস্তানের গণপরিষদ সদস্য হিসেবে প্রকাশিত হল । কিন্তু সেই গণপরিষদ সদস্য হিসেবে কাজ করার আমার আর সৌভাগ্য হয়নি । এর মধ্যে একদিন খবর পেলাম মোহন মিয়া করাচী যাচ্ছেন । যেদিন তিনি যাবেন সেদিন আমি তাঁর আরমানীটোলার বাসায় দেখা করতে গিয়েছিলাম । তিনি বললেন , আমি ভূট্টো ও মুজিব দু ' জনের সাথেই দেখা করব । একটা রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া পাকিস্তান রক্ষা করা যাবে না । মোহন মিয়ার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি । তিনি করাচীতে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই ইন্তেকাল করেন । তাঁর লাশ এনে ফরিদপুরেই দাফন করা হয় ।
আমি জানিনা শুধু আমারই এমন মনে হচ্ছে কিনা কিন্তু কয়েকটা ছবি দেখে বুশের কথা মনে পড়ে গেল । ট্যারা ছবিটার সেম একটা ছবি দেখেছিলাম বুশের ।
নিজের জীবন থেকে কিছু শিক্ষা অর্জন করছি সাম্প্রতিককালে তাহলো , কিছু ধর্মের সমালোচনা করা হলো " প্রগতিশীলতা " আর কিছু ধর্মের সমালোচনা করা হলো " সাম্প্রদায়িকতা " ।
আমি বলতে চাইছি এটাই যে , আমি শুরু করছি কোথা থেকে , ' না ' থেকে , না , ' হ্যাঁ ' থেকে ? যদি কাউকে নাকচ করা দিয়ে শুরু করি , তাহলে তাকে আমি শত্রুরূপে ভজনা করছি । সে - ময় হয়ে আছি , যদিও একটা নঞর্থক রকমে । ঘৃণা যেমন ভালোবাসার চেয়েও বেশি করে অবিস্মরণীয় করে রাখে ঘৃণার পাত্রকে । তার চেয়ে আমি ভুলে যাই না কেন এই নাম্বার গেম , কে এক আর কে দুই । আমি আমার মত , আমি কিছু জিনিস ঠিক বলে মনে করি , যেমন ন্যায়পরায়ণতা , আমি কিছু জিনিস ভালোবাসি , যেমন স্বাধীনতা । জানার স্বাধীনতা , জ্ঞানের স্বাধীনতা , গবেষণার স্বাধীনতা । আমি সেই অনুযায়ী কাজ করে চলি । কে এক কে দুই জেনে আমি কী করব ?
ঢাকা , ১২ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডেস্ক ) : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন , সিরিয়ার প্রসিডেন্ট বাশার আল - আসাদের আর ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নেই । আসাদ সমর্থকরা রাজধানী দামেস্কে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের দূতাবাসে হামলা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার এ কথা বলেন তিনি । তিনি বলেন , সিরিয়া সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল । তবে তারা তা করল না । আসাদ সেদেশের জন্য অপরিহার্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি । আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ধরে রাখতে বিভিন্ন দেশের সম্পদ ও কূটনীতিকদের রক্ষা করতে সিরিয়বাসীকে আহ্বান জানান হিলারি । এদিকে দূতাবাসে হামলার জন্য ফ্রান্সও আসাদ সরকারকে দোষ দিয়েছে এবং নিন্দা জানিয়েছে । সোমবারের হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান , কেউ হতাহত হয়নি । তবে দূতাবাস ভবনের ক্ষতি হয়েছে । বিক্ষুব্ধরা ভবনের জানালা ভেঙেছে । এরপর তারা সেখানে সিরিয়ার জাতীয় পতাকা উড়ায় বলে জানান তিনি । সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সবচেয়ে বড় এলাকায় পরিণত হওয়া হামা শহরে মার্কিন ও ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সফরের তিনদিন পর সেখানে পশ্চিমা এ দেশ দু ' টির দূতাবাসে হামলা চালালো আসাদ সমর্থকরা । এ হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সিরিয় দূতকে তলব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । এ সময় দামেস্কে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হতে পারে । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / এএএ / ০৯ . ৩০ঘ . )
এসিড সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে আমারহেলথ ( ২৬ফেব্রুয়ারী , শনিবার ) : দেশে প্রতি ৩ দিনে একটি এসিড সহিংসতার ঘটনা ঘটছে । এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার কাজ ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান থাকলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা । ( বিস্তারিত )
সেজউইকের ওই চিঠির পাশেই রাখা হয়েছে ডারউইনের প্রত্যুত্তরটিও । তেমন কোনো যুক্তি দিতে যাননি তিনি , কারণ তিনি তো ভালো করেই জানেন , কী অমীমাংসিত বৈপরীত্য তাঁদের দুজনের মধ্যে ! তবে চিঠিটি পড়তে পড়তে যে - কেউই বুঝতে পারেন , ডারউইনও ব্যথিত সেজউইক কষ্ট পাওয়ায় । মাথাটা খানিকটা অবনমিত সেই কষ্টে , তার পরও নিজের অবস্থানে অনড় তিনি : আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি , বিশ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রীতদাসের মতো এ - বিষয়টির ওপর আমি কাজ করেছি এবং যে - উপান্তে এসে দাঁড়িয়েছি তাতে পৌঁছবারও সচেতনভাবে কোনো উদ্দেশ্যের প্রণোদনা ছিল না আমার । যে - মানুষটিকে আমি আন্তরিকভাবে সম্মান করি , এই প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে তাঁকে আহত করায় আমার নিজেরও কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু আমি মনে করি না যে আপনি প্রত্যাশা করেন , একজন মানুষ তার পক্ষের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে যেখানে উপনীত হয়েছে সেটা সে গোপন রেখে দেবে । ( I can only say that I have worked like a slave on the subject for above 20 years and am not conscious that had motives have influenced the conclusions at which I have arrieved . I grieve to have shocked a man whom I sincerely honor . But I do not think you would wish anyone to conceal the results at which he has arrived after he has worked , according to the best abilitiy which may be in him . ) পাঁচ ডারউইনের এ - আবিষ্কার , লেখাই বাহুল্য , স্পর্শ করেছে জ্ঞানজগতের প্রতিটি ক্ষেত্রকে । ম্যালথাসের তত্ত্ব খণ্ডন করলেও ডারউইনের তত্ত্বকে কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস গ্রহণ ও প্রয়োগ করেছেন তাঁদের রাজনৈতিক অনুশীলনের পথে । সাধারণ মানুষের সঙ্গে ডারউইন ও ডারউইনের তত্ত্বকে প্রত্যক্ষ বিজ্ঞানচর্চা যতটুকু না পরিচিত করিয়েছে , মার্কসবাদী - লেনিনবাদীরা করিয়েছেন তারও ঢের গুণ বেশি । আর বুর্জোয়ারা রাজনৈতিকভাবে ম্যালথাসের তত্ত্বকে গ্রহণ ও প্রচার করলেও ডারউইনকে কখনো সরবতার সঙ্গে , কখনো আবার নীরবতার মধ্যে দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন । ডারউইনের তত্ত্ববিরোধী অযৌক্তিক প্রচারণা সবচেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ রূপ পেয়েছে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রে । সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনতত্ত্বের প্রতিপক্ষ হিসেবে ইনটেলিজেণ্ট ডিজাইন তত্ত্বটিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে । রিপাবলিকান ও জর্জ বুশরা এই প্রচেষ্টার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক । কিন্তু রাজনৈতিক উদ্যোগে বিজ্ঞানশিক্ষায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেও ডারউইনের তত্ত্বকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি । অপরিহার্য এই তত্ত্বকে ভিত্তি ধরে বরং সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রহস্যের মীমাংসা করা , নতুন নতুন তথ্য ও বিষয় উন্মোচন করা । কী ন্যাশনাল মিউজিয়াম কী ব্রিটিশ লাইব্রেরি দুস্থানের প্রদর্শনীতেই দেখানো হয়েছে উত্তর প্রজন্মের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে এই অর্জনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব । তাতে দেখা যাচ্ছে আধুনিক পথিকৃৎ সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে কেবল ডারউইনের তত্ত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এগুনোর ফলেই । যেমন , বহুল আলোচিত ডিএনএ গবেষণায় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে ডারউইনের এ - অর্জন । ডারউইনের অনুসারী ক্রিক এবং ওয়াটসন বিবর্তনতত্ত্ব থেকে সমপ্রসারিত অনুমিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উৎসাহিত হন বিশেষ এই বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্মে , - যার ফলে ১৯৫৩ সালে আবিষ্কৃত হয় ডিএনএ । এই আবিষ্কার এবং এর সূত্র ধরে জ্ঞান - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার মানুষের দর্শন ও নৈতিকতাকে পালটে দিতে চলেছে । ডারউইনের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ করে ইউরোপে নিরীশ্বরবাদীরা বেশ আটঘাট বেঁধেই নিরীশ্বরবাদী প্রচারণায় নেমেছে , দেখা যাচ্ছে । গত কয়েক মাস ধরে লণ্ডন শহরে মাঝেমধ্যেই এমন কোনো দোতলা বাসে চোখ আটকে যাচ্ছে , যেটার গায়ে জ্বলজ্বল করছে অবিশ্বাস্য একটি বিজ্ঞাপন । এ - বিজ্ঞাপনের ভাষা এমন : দেয়ার ' স প্রোবাবলি নো গড / নাউ স্টপ ওরিং অ্যাণ্ড এনজয় ইওর লাইফ । ' এভাবে অনেক বছর পর আবারও সরবে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করছেন নিরীশ্বরবাদীরা । বিজ্ঞান ও যুক্তি দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করছেন নিজেদের দর্শনগত অবস্থান । গত শীতের , - যেমনটি বলছেন লণ্ডনের বার্কবেক কলেজের দর্শনের অধ্যাপক এ সি গ্রেইলিংগ্ , - অন্যরকম এক উজ্জ্বলতম অর্জন হল ন্যাশনাল ফেডারেশন অভ অ্যাথেইস্ট , হিউম্যানিস্ট অ্যাণ্ড সেক্যুলার সোসাইটিস - এর উদ্বোধন । এ - সংগঠনের উদ্যোক্তাদের তিনি মনে করেন আগামী দিনের নেতা । গ্রেইলিংগ্ - এর সুপ্ত আশা , এঁরাই গড়ে তুলবেন আগামীর কুসংস্কারমুক্ত যৌক্তিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি । ব্রিটেনের অন্যতম দৈনিক ইনডিপেনডেণ্ট - এর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সংখ্যায় তিনি লিখেছেন , বিশ্বাস , - যা শেষ পর্যন্ত যুক্তিরই বিপরীত , এবং ডগমা পথচ্যুত করতে পারবে না জনবিতর্ককে সেক্টারিয়ান প্রিজুডিস - এর সংকীর্ণ স্বার্থে , বরং জননীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সুখী জীবন গঠন অবধি সবকিছুই হবে মুক্ত এবং খোলা মনের কাজ , এমন এক পৃথিবীর অঙ্গীকার করছে এ - সংগঠন । এমন এক ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ জানাচ্ছে , মানুষের মুক্তি ও বাক্স্বাধীনতার অন্তর্র্নিহিত তাগিদ থেকে ক্রমবিকশিত সেক্যুলারিজমের সপক্ষে গড়ে ওঠা জনমত নতুন এক মোড় নিতে চলেছে । আর এই জনমত বিকাশের সূত্রপাত বছর তিনেক আগে , যখন ব্রিটেনের বাজারে আসে রিচার্ড ডকিনস - এর বই ' দ্য গড ডিলুশান ' । তারও আগে , ২০০৩ সালে , রিচার্ড ডকিনস এবং স্টিভেন পিংকার মিলে উদ্যোগ নেন ধর্মের বিকল্প এক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার । ষাট আর সত্তরের দশকেও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন নাস্তিক গোষ্ঠী । একইসঙ্গে সেগুলি সামন্তবাদী চিন্তাচেতনা ও সংস্কৃতিকে খণ্ডন করার মধ্যে দিয়ে পরিপূরক হয়ে উঠেছিল কোথাও ব্যক্তি ও বাক্স্বাধীনতার , কোথাও জাতীয় মুক্তি ও সমাজ - বদলের রাজনীতির । বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে যেমনটি প্রত্যাশা করা হয় , - সেখানে মুক্তচিন্তার চর্চা হবে , জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চা হবে , - ঠিক তেমনটিই ঘটেছিল বিশেষত ষাট দশক জুড়ে । ' আমরা এখন যিশুখ্রিস্টের চেয়েও জনপ্রিয় । আমি জানি না রক অ্যাণ্ড রোল না যিশু কে আগে বিদায় নেবে ; কিন্তু বিদায় তাঁদের নিতেই হবে ' - ষাটের দশকে জন লেননের উচ্চারিত এমন কথাগুলি থেকেই বোঝা সম্ভব , মুক্তচিন্তা ও বাক্স্বাধীনতার চর্চা তখন কী তুঙ্গে পৌঁছেছিল । কিন্তু বিজয়ের আনন্দে শিথিল হতে হতে একসময় মিইয়ে পড়ে মুক্তচিন্তার সে - আন্দোলন । রিচার্ড ডকিনস - এর এই বইয়ের প্রকাশ , আর তার ঠিক কয়েক বছরের মধ্যেই লণ্ডনসহ ইউরোপের বিভিন্ন জনবহুল শহরে বাসের গায়ে লেখা প্রচার - স্লোগান হয়ে উঠেছে কৌতূহলজনক ব্যাপার । এই সেক্যুলারিস্টরা মনে করছেন , পাশ্চাত্যের কথিত সভ্যতার সংঘাত আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মজ রাজনীতি মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত ও অস্থির করে তুলেছে , তাই সময় এসেছে নতুন এক ধর্মের - ' আ লাইভ - অ্যাণ্ড - লেট - লাইভ ' ব্র্যাণ্ড - এর হালকা নিরীশ্বরবাদিতা ছড়িয়ে দেয়ার । নাস্তিকদের এ ফেডারেশনটির নতুন সভাপতি মাত্র ২৪ বছরের ছাত্র নর্মান রালফ । ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ফেডারেশন উদ্বোধনের দিন তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন , কেন ব্রিটেনে এখন সেক্যুলারদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । তিনি বলছিলেন , ব্রিটেনের সেক্যুলার ঐতিহ্য এখন কীভাবে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে এবং এত কিছুর পরও তা কীভাবে ক্রমশই তরঙ্গিত হচ্ছে গোটা ব্রিটেনে । রালফের মতে , আমাদের দরকার ওই তরঙ্গে চড়ে বসা । ৯ / ১১ - র পর জনগণের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে , যে - কোনো একটি পক্ষ বেছে নেয়ার । এই মুহূর্তে এখানে এমন এক চাপ রয়েছে যে মনে হয় , রাজনৈতিকভাবে এই ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিটির স্বীকৃতি মিলেছে যে যাঁদের কোনো ধর্ম নেই , তাঁরা প্রকৃতপক্ষে অধিকারহীন । বাসের গায়ের ওই বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয়তাই বলছে , রালফের কথা নেহাত ফেলনা নয় , সেক্যুলাররা এখানে চাইছেন সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে । এ - বিজ্ঞাপনের টানে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে উপেক্ষিত লণ্ডনবাসী নিরীশ্বরবাদীরা নড়েচড়ে উঠেছেন । অথচ এই বিজ্ঞাপন - পরিকল্পনা করা হয়েছিল অনেকটা সাদামাটাভাবেই । তরুণী এক কমেডিয়ান নাস্তিক অ্যারিয়েন শেরিন খানিকটা চটুলতা নিয়েই প্রস্তাব করেছিলেন , প্রচারণাকৌশল হিসেবে বাসের গায়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্যে নাস্তিকরা সবাই পাঁচ পাউণ্ড করে চাঁদা দিক । তাঁর যুক্তি ছিল , বাসের গায়ের এই বিজ্ঞাপন বাইবেলের গতানুগতিক বাণীর বদলে একটি হালকা সেক্যুলার বার্তা ছড়িয়ে দেবে সবার কাছে এবং তা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে । ফলে ঈশ্বর আছে কি নেই তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মুক্ত বিতর্কের সূত্রপাত ঘটবে । সবাই ভেবেছিলেন , তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাবে না ; কিন্তু দেখা গেল তরুণী শেরিনের কাছে এ - প্রস্তাবের সমর্থনে চিঠির পর চিঠি আসছে । সঙ্গে অনুদানও আসছে এবং এত অনুদান যে তাতে তিনি গা ভাসিয়ে দিতে পারবেন । শেরিনের লক্ষ্য ছিল , সারা লণ্ডন শহরে চার সপ্তাহ জুড়ে ৩০টি বাসবিজ্ঞাপন দেয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় পাঁচ হাজার পাঁচশো পাউণ্ড তোলা । কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর কাছে এসে জমা হলো ১৫০ হাজার পাউণ্ডেরও বেশি চাঁদা । আর এই অভাবনীয় অনুদানের জোরে সেই জানুয়ারি মাস থেকে ৮০০র বেশি বাস লণ্ডন শহরটায় ঘুরপাক খাচ্ছে , যেসব বাসের গায়ে লেখা রয়েছে ' দেয়ার ' স প্রোবাবলি নো গড । ' কিছুদিনের মধ্যেই এ - বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে এক হাজারেরও বেশি টিউবসিস্টেমে । এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আর স্পেনের নাসি - করাও বেছে নিয়েছেন এই বিজ্ঞাপন প্রচারপদ্ধতি । নাস্তিকদের এ - ফেডারেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্বয়ং ডকিনস । বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাঁরা নিরীশ্বরাদী সমাজ গঠন করতে চান , তাঁদের সর্বতোভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন ওইদিন , বিশ্ববিদ্যালয় হল এমন এক জায়গা যেখানে মানুষ চিন্তা করে , যেখানে মানুষ প্রমাণিত সত্যেরও মূল্যায়ন করে । তিনি বলেছেন , জনসমক্ষে অবিশ্বাসের কথা প্রকাশ করলে তা ধার্মিকতার প্রতি অবমাননাকর ও হুমকিস্বরূপ মনে করা হয় । অথচ এর বিপরীত অবস্থাও যে সত্য হতে পারে , তা কখনো মনে করা হয় না । সরকার , সংস্কৃতি ও মিডিয়া ধর্মকে যে - পরিমাণ গুরুত্ব দিয়ে ধর্মকে উপস্থাপন করে , তাতে ডকিনস উদ্বিগ্ন । আবারও দাবি তুলেছেন তিনি , ধর্মসংশ্লিষ্ট নৈতিক বিবেচনায় কোনো মতকেই সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না । অক্সফোর্ডের সেইণ্ট হিলডা থেকে গ্র্যাজুয়েট - করা ছাত্রী ক্লোয়ে ক্লিফর্ড - ফার্থের মন্তব্যও মনে রাখার মতো । সে বলছিল , এমন এক পৃথিবীতে আমরা আছি , যেখানে ধর্মবাদী সরকারও ব্যাভিচারিতা আর সমকামিতায় সায় দিচ্ছে । অথচ নারী আর সংখ্যালঘিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলির মৌলিক স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে , জন্মনিরোধক ও বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা সম্পর্কে প্রতারণামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে । তারা এমন সব আইন প্রণয়ন করছে যা তাদের সমালোচনার হাত থেকে বাঁচাবে । মনে রাখার মতো আর - একটি কথাও বলেছে ফার্থ , এরকম পৃথিবীতে এমন এক দেশে ( ব্রিটেন ) আমরা বাস করার সুযোগ পেয়েছি যেখানে এইসব নিয়ে বিতর্ক করতে পারি । আর তাই , আমাদের দায়িত্ব এ - বিষয়টি ( নাস্তিকতা ) বিশ্ববিদ্যালয় ও এর চারপাশে নিয়ে আসা , ছড়িয়ে দেয়া । ফার্থদের জন্যে একটি সুখবর হল , নিউজিল্যাণ্ডের শতকরা ৪০ শতাংশ মানুষই ধর্মহীন । আর যাঁরা ধর্ম ও ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন , তাঁদেরও প্রায় অর্ধেকের মনে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে খানিকটা সন্দেহ আছে । সতেরো বছর আগে এদেশটিতে ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ । ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা সেখানে ক্রমাগত বাড়ছে , যদিও ধর্মপ্রবণ যে - কোনো রাষ্ট্রের তুলনায় এ - রাষ্ট্রটি পুরোপুরি স্থিতিশীল , আর মানুষগুলোও সাদাসিধা ও খোলামেলা ।
পুলিশের সঙ্গে পুলিশের খুব বন্ধুত্ব । ভারতীয় পুলিশ লণ্ডনের পুলিশকে আমার ওপর নজর রাখতে অনুরোধ করল । তা , এক রবিবার স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড থেকে দু ' জন এসেছে প্লেন ড্রেসে । ঘরে এসে বই - পত্তর দেখে বলছে , ও ইউ আর এ ভেরি লার্নেড ম্যান । তখন আমি পরিষ্কার বললাম , দ্যাখো , আমি পোড় - খাওয়া লোক , বুঝতে পারছি , কোনও এনকোয়ারিতে এসেছ । পরিষ্কার করে বলো , আমি বলে দিচ্ছি সব । তখন ওরা বলল , হ্যাঁ , তোমার এখানে কয়েকজন আসে - টাসে । আমার বন্ধু মার্গারেট আলভা - র বোন মায়া আলভার সঙ্গে নেলসন ম্যাণ্ডেলা , ইয়াসের আরাফত এঁদের বন্ধুত্ব থাকার সুবাদে আমিও আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস , বাস্ক সেপারেটিস্ট , প্যালেস্টাইন লিবারেশন আর্মি , আইরিশ লিবারেশন আর্মি - র সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ি । আমাদের ভবানীপুরের বাড়িতেও লালবাজারের লোকজন এসেছিল । আসলে , আমার বন্ধুরা কেউ কেউ বিপ্লবী , কেউ কেউ অতিবিপ্লবী , কেউ আবার প্রতিবিপ্লবী ছিল ।
কারিগর লিখেছেন : অফটপিক : আপনি ছিলেন কই , আপনার পোস্ট বর্ষণ হয়নাই আজকে ! !
১১০ বার পঠিত | ১৩ টি মন্তব্য | রেটিং + ৩ / - ০ | বাকিটুকু পড়ুন |
সবজি ছন্দ বলেছেন : ফেবুতে যখন আমি লিখি তখন সেটাকে সবাই আক্ষরিক অর্থে জটিল বলে , আপনি কি অর্থে বললেন , আমি ধরে নিচ্ছি এটা মোটামুটি চলে । ধন্যবাদ অজিতদা ।
অনেক পাঁঠা - মোষ খেয়েছিস , রাক্ষসী তোর যায়নি ক্ষুধা ,
উল্লেখ্য , আগামী ২০১২ সালের দিকে আইফোন5 মডেল অভিষেকের পরই গুণগত মান সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে পারবে এ পণ্যর প্রত্যাশীরা ।
লিখেছেন : মুয়িন পার্ভেজ | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ , সোমবার
জনাব আনিস , আমি দুঃখিত যে , আপনি আমার স্যাটায়ারটা বুঝতে পারেন নি । আমি আমার মন্তব্যে ' no event more than twenty percent ( 20 % ) ' কথাটাকে বোল্ড করে দিয়েছি । এছাড়া গ্যাস প্রাপ্তি , বিদেশীদের দালালী আর মনু মুহাম্মদ শব্দগুলো ইনভার্টেড কমার মধ্যে দিয়েছি !
ঢাকা ৭ জুলাই : : জাসদের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আসম আব্দুর রব বলেছেন , গণতন্ত্রের এখন প্যান্ট খোলা বাকি আছে । ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুখকে দেখতে গিয়ে আসম রব সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একথা বলেন । আসম রব পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন , পুলিশ সরকারী কর্মচারী । যেদিন তিনি চাকরীতে যোগ দিয়েছেন সেদিনই তাকে রাজনৈতিক বিরোধের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে হবে । তাকে দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এ দীক্ষা তাকে নিতে হবে । জয়নুলের ওপর পুলিশের হামলাকে আসম রব ক্ষমার অযোগ্য , নিষ্ঠুর ও নির্মম ঘটনা বলে বর্ননা করেছেন । তিনি বলেন , সরকার যদি আগামী আড়াই বছরে এ অবস্থার উন্নতি করতে না পারে তবে পরিসথিতি হবে ভয়ংকর ।
Android এর জন্য Angry Birds ফ্রি কারণ এটা অ্যাড সহ আসে । আমার ব্যবহার করা এ্যাপের মধ্যে আমি Sky Fm এর রেডিও টা অনেক বেশি ব্যবহার করি । বাসা ওয়াইফাই থাকায় খুব আরামে রেডিও শুনতে পারি সারাদিন । তারপর যে একটা অ্যাপ আমি পাচ্ছি না সেটা হচ্ছে একটা মিউজিক প্লেয়ার যেটা কথা বলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক প্লে করতে পারবে । আর মিউজিকের জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে PowerAmp Music Player যেটা ফ্রি না । তবে Applanet টা ব্যবহার করি । ( জিনিসটা ঠিক বৈধ না ) কারনটা এখানে নাই বলি ! আমারটায় ফ্ল্যাশ সাপোর্ট নেই । তাই স্কাইফায়ার অথবা মিরেন ব্রাউজার অথবা আরেকটার নাম মনে নেই এইসব ব্রাউজার ব্যবহার করতে হয় ইউটিউব বাদে ভিডিও দেখার জন্য । আর ইউটিউবের জন্য নেটিভ ক্লায়েন্ট তো আছেই । আমার সেট Samsung Galaxy 551 . চার্জ আমারটা সব চেয়ে কম থাকে । কড়া ব্যবহার করলে সকালের পর রাতেই চার্জ করতে হয় । আরেকটা সমস্যা আমার সেটের জন্য কাস্টম রম নেই কোন । তাই আমি বেশি experiment করতে পারছি না জিনিসটার উপরে । কেউ পেলে জানাবেন ।
( ' নৈর্বত্তিক ' শব্দটি ) আপনার শব্দভান্ডারে নেই বলছেন ? হাহাহা … কিভাবে বিশ্বাস করি বলুন ? এই নৈর্বত্তিকতার জন্যেই তো দর্শনের মনীষা ব্যয়িত হলো কতো …
হিরা তালুকদার ও রহমান জাহিদ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক নৌ - পরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে । তবে এ মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন কোকোর আইনজীবীরা । কোকোকে শাসিত্ম দেয়ার বিষয়টি সরকার আগেই নির্ধারণ করে রেখেছে অভিযোগ করে তারা বলেছেন , এ কারণেই অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে । বিস্তারিত »
ওর বইগুলো চোখে পড়ল , ছড়ানো রয়েছে , রাতে শুতে যাওয়ার আগেই মানু ওকে পড়ে শোনাচ্ছিল । একটা বই তুললাম , আশ্চর্য কৌটো , লেখক গৌরী ধর্মপাল । মানু এগুলো কিনে এনেছে শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে , রু - এর জন্যে ।
ঢাকা , ৮ জুলাই : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানাকে নির্যাতন করার মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে নির্যাতন করা হয়েছে । বিশ্বের বুকে এই রকম নিষ্ঠুর প্রতিহিংসার নজির কোথাও নেই । তাই রুমানার ওপর নির্যাতন মানবতার বিকাশে বাধা বলে মমত্মব্য করেছেন বক্তারা ।
মধ্যরাতের হাইওয়ে বলেছেন : দিনে দিনে নতুন নতুন বাটপারের আবির্ভাব হচ্ছে ।
অন্যান্য সমস্যা নিয়ে এ বিভাগে আলোচনা করুন । উপফোরাম : সার্ভার ও নিরাপত্তা , এডমিনিস্ট্রেশন , সাজুগুজু
১ ) তিনি তার নিজের জন্য একটা কবর খুঁড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ২ ) ক্ষেত থেকে পটল তুলছেন ৩ ) পেশাব করছেন ৪ ) হাগছেন ৫ ) সুরঙ্গ খুঁড়ে পালাচ্ছেন
মাঝি মিয়া কই ? রাজাকার কি মিয়া দেখেন । তেপান্তরের মাঝি পুরা রাজাকারের বংশধর । তার সব লেখা এইরকম বলে । সাকা যা বলছে তা শুনে দেখি রাজাকার এর কিছু চামচা আছে দেখি কি বলে ?
প্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার হার ( + ১৫ বছর ) ৪১ . ১ ৫৬ . ১
তুষার কি খাওয়া যায় ? ( মনে মনে বলি , আমি তুষার খাবো )
একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে ।
আগামী শরতকালের পূর্বেই বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম , হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রের তৈরীর কাজ শেষ হবে । রাশিয়ার গ্যাসপ্রোম কোম্পানী সোচির অলিম্পিক গেমসের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের নির্মান কাজ করছে ।
প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকারের কোন মাথা নাই । অথচ প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে প্রবাসীরা ।
( দ ) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য কোন দেশী বা বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কোন অনুদান বা চাঁদা গ্রহণ করা ;
গত বছর পুলিশের কিছু সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমালোচিত হয়েছে । রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করায় ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রায় ৩০ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । ১০ পুলিশ সদস্য জনতার রোষানলে পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে । বিভিন্ন সময় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ সদর দফতর । পুলিশ হেফাজতে আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে রমনা থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন । এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে । আদালত ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে ।
এক প্রজাতির গাছ আছে যা পাহাড়ি নিম নামে আমাদের এলাকায় পরিচিত । যা নিম গাছের বদলে রোপন করা হয় কিন্তু আগে যে নিম গাছ রোপন করা হত তা আর এখন রোপন করা হয় না । কারণ নিম গাছের তুলনায় পাহাড়ি নিম তারাতারি বড় হয় , কিন্তু নিম গাছের তুলনায় পাহাড়ি নিমের কোন গুন নেই । আমাদের এলাকায় নিম গাছের ধ্বংশের কারণ এই পাহাড়ি নিম ।
Tools > LeechBlock > options এ যান , তারপর site এর নামটা লিখে Next চাপুন , এখানে আপনি বিভিন্ন option যেমন - দিনের কতটুকু সময় block রাখতে চান বা কতক্ষন পরপর block করতে চান , সপ্তাহের কোন কোন দিন block করতে চান ইত্যাদি আপনার পছন্দমত select করে " Ok " button এ click করুন । ব্যাস , কাজ এখানেই শেষ ।
রিংলাইগেশন পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে একটি ছোট্ট যন্ত্রের সাহায্যে পাইলসের চিকিৎসা করা হয় । এটি ডাক্তারের চেম্বারেই সম্ভব । কোনোরূপ অবশ বা অজ্ঞান করার প্রয়োজন নেই । চিকিৎসা - পরবর্তী কিছু দিনের ভেতর পাইলসটি আপনাআপনি কেটে পড়ে যায় । পদ্ধতিটি প্রয়োগের সময় রোগী কোনোরূপ ব্যথা অনুভব করেন না । আমাদের শরীরে যেহেতু তিনটি পাইলস রয়েছে অতএব কিছু দিন পরপর এটি ২ - ৩ বার করা প্রয়োজন হতে পারে । এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান পাইলস বিশেষজ্ঞ ডা . মারভিন এল করম্যান বলেন যে , এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার সাফল্য এত চমৎকার যে ৮০ শতাংশ পাইলস রোগী এ চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় হয়েছেন ।
আমার মন বলেছেন : অনেক কিছূ জানতে পারলাম . . . আর ঢাকাকে বাচাতে তথা ঐতিয্য রক্ষার্তে আমাদের কেয় সামনে আসতে হবে । . . .
মধ্যরাতের হাইওয়ে বলেছেন : বাহিরে থাকলেতো টের পাওয়ার কথা না
অনলাইন ম্যাগাজিন বিষয়ে গুগল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য , ' ব্যস্ত এই বিশ্বে মানুষকে কিছুটা সময় দেয়ার জন্য অনলাইন ম্যাগাজিন চালু করেছে গুগল । ' অবশ্য , গুগল কর্তৃপক্ষ এই অনলাইন সংস্করণটিকে সংবাদমাধ্যম না বলে ওয়েবসাইটে একটি বই এবং যোগাযোগের একটি বিশেষ মাধ্যম হিসেবেই উল্লেখ করেছে ।
তাইতো বলি বাদ দাও ঘুরাঘুরি , শহরের অলি গলি , বাদ দাও রাজউক আর মন্ত্রীদের গালাগালি ।
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । আমার দৃষ্টিতে , সকল বাংলা ভাষা ভাষীদের জন্য গুরুত্ব পূর্ন একটি বিষয়ে প্রস্তাব করবো । যদিও বিরক্তিকর একটি লেখা পড়তে হছে সবাইকে । অনুরোধ থাকবে , আমার প্রস্তাবটি একটু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করলে , বাংলা ভাষা ভাষীদের অনেক উপকারে আসবে । সাথেসাথে বাংলা ভাষার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরো একটু অগ্রসর হওয়ার সুযোগ হবে । প্রস্তাব প্রসঙ্ঘ , গুগল অনুবাদ ( Translation ) . পৃ্থিবীর সবচাইতে শক্তি শালী সার্চ ইঞ্জিন গুগল । তাই আমার প্রস্তাবটি গুগল এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাগেলে বিশ্ব জুড়ে বাংলা ভাষার প্রসার ঘটবে । গুগলের অনুবাদ তালিকায় বেশ কিছু ভাষা থাকলেও , সরাসরি বাংলা ভাষা নাই । গুগলের অনুবাদের ( Translation ) এর তালিকায় সরাসরি বাংলা ভাষা যুক্ত করার প্রস্তাব ।
২০২১ সালে প্রায় ১৪ লক্ষ হেক্টর আবাদি জমি কমে যাবে । এর ফলে বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির পরিমাণ হবে ৫৭৩ লক্ষ হেক্টর । বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী তখন দেশের লোকসংখ্যা হবে প্রায় ২০ কোটির উপর । ২০২০ সালে আবাদি জমি হ্রাস পাওয়ার ফলে ৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য উত্পাদন কম হবে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৮০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা । জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে দেশের কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে এবং খাদ্যে নিরাপত্তা অর্জন করতে খাদ্যভাস পরিবর্তন করতে হবে । আমাদের মাথাপিছু চাল উত্পাদন জাপান কিংবা ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে বেশি অথচ জাপান তার চাহিদা পূরণ করে প্রতি বছরই বিদেশে রফতানি করছে । সুতরাং জাপান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি ।
কাজেই সামরিক সেনাদের সহজে প্রত্যাহার করা হচ্ছে না । ঢাকার ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারে সরকারের পূর্ব বাংলা নীতি সম্পর্কে আমি জানলাম । এর তিনটি সূত্র আছে :
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য । আপনি সিনেমা বানান জানতাম না । ক্রিয়েটিভ লোকদের ব্যাপারে আমারে কৌতূহল সব সময়ই আলাদা । বাংলাদেশে সিনেমা পরিচালক হতে হলে এফ ডিসির সার্টিফিকেট লাগে আগে জানতাম না । কারা দেয় এই সার্টিফিকেট ? কাট পিস বানানেওয়ালারা তাহলে আজকাল বসে বসে সার্টিফিকেট দেয় নাকি ? ভালোই . . .
[ . . . ] ( পূর্ব প্রকাশিতের পর … ) গৌহাটি সামরিক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি কক্ষ । জীবন শঙ্কা এখনও কাটেনি । এর মধ্যে আহত হওয়ার চারদিনের মাথায় ১৮ নভেম্বর , ১৯৭১ তারিখে রণক্ষেত্রে ছেড়ে আসা তার প্রিয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তাহের একটি পত্রের ডিকটেশন দেন । আমি তার কথা শুনে তা লিখি । তার কিছু অংশ , " কামালপুরে কিছুক্ষণের জন্য যা দেখেছি তা অপূর্ব । তোমরা সম্মুখ যুদ্ধেও যে রণকৌশলের পরিচয় দিয়েছ তা যুদ্ধের ইতিহাসে বিরল । কামালপুরের যুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের ও অনন্য রণকৌশলের স্বাক্ষর । তোমরা নিয়মিত বাহিনীকেও হারিয়ে দিয়েছে । যতোদিন না আবার আমি তোমাদের মধ্যে ফিরে আসি , আশা করি সংগ্রাম চালিয়ে যাবে সাফল্যের সাথে । . . . তোমরা যুদ্ধ করছো জনসাধারণের জন্য । বাংলাদেশকে স্বাধীন করা , জনগণকে অভাব , দুঃখ , অশিক্ষা থেকে মুক্ত করা এ যুদ্ধের লক্ষ্য । তোমাদের আচরণের মধ্য দিয়ে যেন জনসাধারণের মধ্যে সেই লক্ষ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে । বাংলার অগনিত কৃষক যারা দেশের সর্বপ্রধান শ্রেনী তাদের মুক্তির জন্য এ যুদ্ধ । তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে মুক্তির আলো দেখাও , তাদেরকে শিক্ষিত করো , যেন স্বাধীন বাংলাকে তারা একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে । যখনই তোমরা কারো বাড়ীতে আশ্রয় নাও , তোমাদের উচিত তাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করা । এ কাজ তোমাদের কৃষকদের সঙ্গে একাত্ম করবে এবং তারা পরিস্কার বুঝতে পারবে তোমরা কাদের জন্য যুদ্ধ করছো । তোমাদের মধ্যে যদি কেউ জুলুম করে , মেয়েদের সম্ভ্রম নষ্ট করে , তবে তাদের জনসাধারণের দ্বারা বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে দ্বিধা করবে না । . . . তোমরা তরুণ । তোমরা একটি পবিত্র ইচ্ছা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে নেমেছো । বাংলাদেশ তোমাদের জন্য গর্বিত । মনে রাখবে , বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব তোমাদের । জয় বাংলা । মেজর আবু তাহের " । [ . . . ]
টুকরো টুকরো কথাগুলি ইদানিং যেন বড় বেশি - গোঁয়ার মাছির মতো জ্বালাচ্ছে । কে যেন কাকে বাসের ভিতরে বলেছিল , " ভাবতে হবে না , এবারে দুদ্দাড় করে হেমাঙ্গ ভীষণভাবে উঠে যাবে , দেখে নিস " । কে হেমাঙ্গ ? কে জানে , এখন সত্যিই দুদ্দাড় ক ' রে কোথাও উঠে যাচ্ছে কিনা । কিংবা সেই ছেলেটা , যে ট্রাম - স্টপে দাঁড়িয়ে পাশের মেয়েটিকে অদ্ভুত কঠিন স্বরে বলেছিল , " চুপ করো , না হলে আমি সেই রকম শাস্তি দেব আবার - " কে জানে " সেইরকম " মানে কি রকম । আমি ভেবে যাচ্ছি , ক্রমাগত ভেবে যাচ্ছি , তবু - গল্পের সবটা যেন নাগালে পাচ্ছি না । গল্পের সবটা আমি পাব না নাগালে । শুধু শুনে যাব । শুধু এখানে ওখানে , জনারণ্যে , বাতাসের ভিতরে , হাটেমাঠে , অথবা ফুটপাথে , কিংবা ট্রেনের জানলায় টুকরো টুকরো কথা শুনবো , শুধু শুনে যাব । আর হঠাত্ কখনো কোনো ভুতুড়ে দুপুরে কানে বাজাবে " বাতাসি ! বাতাসি ! "
মহান একুশের বইমেলায় এবারও প্্রবাসী লেখকদের আগমন বেশ লনীয় । ভাষার প্্রতি আর ভাষা শহীদদের প্্রতি শ্্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন মাটির টানে আমাদের পি্্রয় লেখকরা । বইমেলায় সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলা ভাষার টানে , মায়ের কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ সাথে কথা হয় বিএসবি ক্যামবি্্রয়ান বইমেলা প্্রতিনিধির সাথে । বইমেলার জন্য এক দীর্ঘ সাাতকার গ্্রহন করে সেসব কথা জানাচ্ছেন ডাল্টন জহির । বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্্রন্থ মেলা ও আপনার স্মৃতিতে বইমেলা ও অভিগতার কথা বলুন । হাসানআল আব্দুল্লাহ : ঘোর আনন্দ আছে ; এবং তা ধরে রাখার প্রচেষ্টাও স্বস্তিদায়ক । সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আয়োজনের বহুমুখী ধারা প্রতিনিয়ত টেনে আনছে দূর - দূরান্তের আগ্রহীদের । রক্তে আন্দোলন তুলছে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো । প্রবীণেরাও নবীনের পাশে দাঁড়িয়ে হয়ে উঠছেন তরতাজা , প্রাণবন্ত । হ্যাঁ , আমি বইমেলার কথাই বলছি । বাংলা একাডেমী চত্বরে মাসজুড়ে ফেব্রুয়ারীর মেলা আমাদের সত্তা ও ঐতিহ্যের সাথে গেঁথে গেছে । লেখক প্রকাশক পাঠকের এই মহা উৎসব শুধু ঢাকা শহরই নয় , ব্যস্ত করে তুলছে সারা দেশের মানুষকে । মেলা যেনো এক পণ্য বোঝাই জাহাজ যা ঘাটে ভিড়লে সচকিত হয়ে যায় জেটি ও আশপাশে ঘুরে বেড়ানো , এমনকি পাশ্ববর্তী লোকালয়ের সবগুলো প্রাণ । ফেব্রুয়ারীর এক তারিখ থেকে রেডিও টিভি পত্রপত্রিকায় চোখ রাখেন দেশ ও দেশের বাইরে , বিশ্বের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালী ; কাঙ্তি নতুন বইয়ের খোঁজ করেন পড়ুয়ারা , নতুন মলাটের ঘ্রাণে লেখক ফেলেন তৃপ্তির নিশ্বাস ; বইয়ের সতূপের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রকাশক ছুঁড়ে দেন আনন্দের হাসি ; সাংবাদিকেরা সারাবেলা ছোটাছুটি করেন লেখক - পাঠক - প্রকাশকের নানা সংবাদ সংগ্রহে , স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও পৃথিবীর অন্যপাড় থেকে ছুটে আসেন বই - পাগল মানুষ ; আর মেলামঞ্চে চলে নানা আয়োজন । বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সরাসরি সমপ্রচার , রেডিওর নন - স্টপ প্রোগ্রাম , লিটলম্যাগ চত্বরের আড্ডা আর নজরুল মঞ্চে মোড়োক উন্মেচোনের উপচে পড়া ভিড় অনায়াসে বলে দেয় বাঙালীর হাজার বছরের ঐহিত্য যে বই তা থেকে এই প্রযুক্তি নির্ভরতার যুগে তারা এতোটুকু বিমুখ হননি । তবে লণীয় , মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জ্ঞান চর্চার যে একটি বিশাল কর্মকাণ্ড চলছে তা জাতিকে যে স্থানে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা সেখানটায় পৌঁছাতে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছি । ফাঙ্কফর্টের বিশাল মেলার সাথে আমাদের আয়োজনকে তুলনা করা না গেলেও সরকারী উদ্যোগ , সময়ের ব্যাপ্তি , লেখক - পাঠক - প্রকাশকের মিলন ও সর্বোপরি হৃদয়াবেগের যে প্রকাশ বইকে ঘিরে ঘটছে তার তুলনা বর্তমান পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে । এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও এতো দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বইমেলা হয় না । পরিসংখ্যানে জানা যায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালে যথাক্রমে ২৫ ও ৩৫ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে । প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকাশিত হচ্ছে আড়াই হাজারের মতো নতুন বই ; কোনো কোনো প্রকাশক ৮০ থেকে ১০০টি নতুন বই বের করেন যা বিশ্বের অনেক বড়ো প্রকাশনা পুরো বছরেও বের করতে পারে না । এইসব আশার কথা শুনে আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে যায় । গর্বে বলে উঠতে পারি বাঙালী বইপ্রেমী । কিন্তু কোন অপরাধে আমাদের লেখকরা বিশ্ব সেরা লেখকদের তালিকায় স্থান পান না ? কেনো একটি ভালো বই বেরুলে চারিদিকে হইচই পড়ে না ? কেনো প্রকাশকরা সম্পাদক রেখে বইয়ের মান যাচাই করেন না ? কেনো তরুণ লেখকদের আত্নপ্রকাশের কোনো ব্যবস্থা থাকে না ? কেনো বাজারি বইয়ের মিডিয়া মাতামাতি অসহ্য রকমে বেড়ে যায় ? কেনো একাডেমীর নির্ধারিত বাথরুমে দুর্গন্ধে ঢোকা যায় না ? কেনো কাগজ বা আবর্জনা ফেলার জন্যে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকে না ? বইমেলাকে প্রকৃত প্রাণের মেলায় রূপান্তরিত করতে স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরে এ সব প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার । নতুবা আমরা গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো বলে মনে হয় না । আপনাকে ধন্যবাদ ? হাসানআল আব্দুল্লাহ : আপনাকে ধন্যবাদ বইমেলায় আগত সকলকে ধন্যবাদ , আর অভিনন্দন জানাই বইমেলার আয়োজকদের ।
হুমম । আমার এক বন্ধু এরকম একটা জিনিস অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল । ধন্যবাদ ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে রাষ্ট্রপতির ভবন ঘিরে ফেলে এবং শেখ মুজিব , তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারিদের হত্যা করে । কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান । তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় । সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামরিক কর্মকর্তারা । এদের মধ্যে ছিলেন শেখ মুজিবের প্রাক্তন সহকর্মী খন্দকার মোশতাক আহমেদ , যিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন । সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেণ্ট্রাল ইণ্টেলিজেন্স এজেন্সিকে দায়ী করা হয় । বাংলাদেশে অবস্থিত তত্কালীন রাষ্ট্রদুত ইউজিন বুস্টারের বরাত দিয়ে লরেন্স লিফসুল্জ সিআইএ কে অভ্যুত্থান ও গণহত্যার জন্য দোষারোপ করেন ।
সঠিক , ফেইলার ইস দ্যা পিলার অব সাকসেস । বেশী বেশী ভুল বেশী বেশী পিলার । এন্ড শেষে মজবুত বিল্ডিং । হাহাহাহাহা
অন্য কারো নয় , নিজের ব্যাপারেই জানতে চাইছি ! কে ! কে আমি ? অস্তিত্ব নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে , তার কোন সীমা - পরিসীমা নেই । ভাষণে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন ; তখন বলেন , দেশে নাকি সংকট আর সংকট । নয়াপল্টনের মুহুর্মুহু করতালি , স্লোগানে - স্লোগানমুখরতা আর বলিষ্ট কন্ঠের গগণবিদারী ভাষণের সীমা ছাড়িয়ে রৌদ্রতপ্ত ঐ আকাশের দিকে এক মূহুর্ত তাকিয়ে আপনমনে বলছিলাম , কেউ কি আছে আমার সংকট নিয়ে কথা বলার . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তিনভাবে বাংলা লিখতে পারবেন - বিজয় , ফোনেটিক বাংলা এবং ইউনিজয় । বিজয় যারা ব্যবহার করে অভ্যস্ত - ইউনিজয় অনেকটা বিজয়ের মতই কিন্তু আ ' কার , ই ' কার এবং ঐ ' কারগুলো অক্ষরের পরে দেবেন । তাহলেই দেখবেন টাইপ করা কত সহজ ইউনিজয়ে ।
" চরমপন্থার উত্সকে সব দিক থেকে আটকাতে হবে , যেখান থেকেই তা শুরু হোক না কেন . কাউকেই সবার সঙ্গে এক রঙে রাঙানোর দরকার নেই , কিন্তু যে কোন রকমের চরম কাজ কারবারকে কঠোর ভাবে নিবৃত্ত করতে হবে . সকলেই অনুভব করতে পেরেছেন যে , নিয়ম শৃঙ্খলা থাকার দরকার আছে ও তা রক্ষাও করা দরকার . গরিষ্ঠ সংখ্যক লোকের স্বার্থ রক্ষার জন্যেই রাষ্ট্রের প্রয়োজন হয় " .
ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন । আশা করা যায় সামনে উবুন্টুর প্রতিটা ভার্সনের আপডেটের সাথে সাথে এই সহায়িকাটাও আপডেট হবে । আমি যদ্দূর বুঝি এই সহায়িকার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ভার্সনের আপডেট গুলো প্রকাশ করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না । যেহেতু মূল কাঠামোটা দাঁড়িয়ে গেছে শুধু প্রতিটা ভার্সনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করাটাই যথেষ্ট হবে বলে মনে করছি । এই সহায়িকাটা বের করার জন্য সবাইকে আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ ! !
Download XML • Download text