ben-21
ben-21
View options
Tags:
Javascript seems to be turned off, or there was a communication error. Turn on Javascript for more display options.
থ্যাংকু . . প্রীত হইলাম । পুরাটা পড়ার জন্য আড়াই মাস পর আয় , , , পেয়ে যাবি আশা করতেসি . .
চারিদিক নিস্তব্ধ । কেবল ঘাটের নীচে গঙ্গাস্রোতের নিম্ন কলস্বর ধ্বনিত হইতেছে । সেই শব্দই সে শুনিতে লাগিল । অপরিচয়ের পীড়ায় পীড়িত অস্বচ্ছন্দ তাহার মন অদ্ভুত কল্পনাপ্রবণ হইয়া উঠিয়াছিল - গঙ্গার স্রোতের শব্দ শুনিতে শুনিতেও নিতাইয়ের মনে হইল - গঙ্গাও যেন দুর্বোধ্য ভাষায় কথা বলিতেছে । কাটোয়ায় , নবদ্বীপেও তো সে গঙ্গার শব্দ শুনিয়াছে ; কাটোয়ায় , যে দিন বসন্তর দেহ পোড়াইয়াছিল , সে দিন তো গঙ্গা স্পষ্ট ভাষায় কথা বলিয়াছিল । এখানকার সবই কি দুর্বোধ্য ভাষায় কথা কয় ? … অকস্মাত্ তাহার মনে হইল - বিশ্বনাথ ? বিশ্বনাথই তো যে এই রাজ্যের রাজা ; তবে তিনিও কি - এই দেশেরই ভাষা বলেন ? তাঁহার এই ভক্তদের মতই তবে কি তিনি তাহার কথা - তাহার বন্দনা বুঝিতে পারেন না ? হিন্দী ভজন ? হিন্দী ভজনেই কি তিনি বেশী খুশী হন ? ' মা অন্নপূর্ণা ' - তিনিও কি হিন্দী বলেন ? ক্ষুধার সময় তিনি যদি নিতাইকে প্রশ্ন করেন - তবে কি ওই হিন্দীতে কথা বলিবেন ? তবে ? তবে ? তবে সে কাহাকে গান শুনাইবে ?
এতসব দেখেশুনে মনে হয় বরং বিদ্যার নাক উঁচুপনা থাকা ভাল । নয়ত এই অর্থসর্বস্ব , মিডিয়াসর্বস্ব , আত্মসর্বস্ব জীবনহীন জীবনে নিঃশ্বাস নেব কি ভাবে ?
চট্টগ্রাম নগরীতে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় , অর্থদণ্ড দেওয়া হয় চারজনকে । এছাড়া সিলেটে এক জন , বরিশালে ১৩ জন , চাঁদপুরে সাত জন , নওগাঁয় আট জন , যশোরে ১০ জন , খুলনায় পাঁচ জন , রাজশাহীতে তিন জন , নোয়াখালীতে চার জন গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
পোস্ট করা হয়েছে : মঙ্গল এপ্রিল ০৫ , ২০১১ ১ : ১৩ পূর্বাহ্ন
আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা . . . । ' ১০ টাকা কেজি চাল আর বিনামূল্যে সার ' অপপ্রচার : প্রধানমন্ত্রী যদি তাই হয় তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন চরম মিথ্যাবাদী যদি প্রমান চান তাহলে লিংকটা দেখুন । তারপর মন্তব্য করুন । http : / / www . youtube . com / watch ? v = QY5mLQwYoiM
দু ' সপ্তাহের মধ্যে রুমানা নির্যাতন মামলার চার্জশিট দাখিল হচ্ছে
এখানে X এর জায়গায় আপনার পেন ড্রাইভের " ড্রাইভ লেটার " লিখুন আর " 0000000000 " এর জায়গায় আপনার পেন ড্রাইভের প্রোপার্টিজ ( My Computer ওপেন করুন Pendrive - এর উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Properties - এ ক্লিক করুন ) দেখে সেখান থেকে Free Space ( বাইটস্ আকারে যে সংখ্যাটি দেখায় ) - এর পরিমান টুকু লিখুন ( কোন কমা না দিয়ে ) ।
আধাঘন্টা গুতাগুতি করে আমার সাধের জানালা ৭ - কে নতুন কাপড় পড়ালাম কাজ নাই , তাই খই ভাজ টাইপ কাজকারবার । লজ্জা - লজ্জা মুখে একটা ছবি তুলেই ফেললাম - বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন মূল থিমটা Gaia 10 . . .
রিচার্ড ডকিন্সের উপস্থাপনায় যুক্তি ও বিদ্রূপের অপূর্ব সমন্বয়ে অপবিজ্ঞান ধোলাইপর্ব ।
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » ট্রাবলশুটিং » . iso এক্সটেনশন যুক্ত ফাইল ফরমেট সম্পর্কে সাহায্য চাই
মবিডাটা এর চেয়ে এখনকার জিপি মডেম অনেক ভালো । অন্যটার কথা কইতে পারিনা কিন্তু আমার দুইটায় ব্যবহার করা তাই বললাম । মবিডাটা মডেম পুড়ে যায় ,
অবিশ্রুতের আরেকটি ভুল , এবার তা খুব একটা গৌন না । তিনি লিখলেন ,
কনকোফিলিপস এর একটি ফেসবুক পাতা রয়েছে । আমরা আমাদের প্রশ্ন , প্রতিক্রিয়া সেখানেও ব্যক্ত করতে পারি । প্রশ্ন করতে পারি কনকোফিলিপসকে , কী বলেন ?
বাহার০৩ বলেছেন : ছবি আপলোড হচ্ছে । কিছুক্ষন ওয়েট করুন পেয়ে যাবেন ।
Kalerkantho | ঢাকা , বৃহস্পতিবার , ৪ চৈত্র ১৪১৬ , ১ রবিউস সানি ১৪৩১ , ১৮ মার্চ ২০১০ পারভেজ খান রাজধানীসহ সারা দেশে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী - চাঁদাবাজদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ । পুলিশের ভাষায় , ছাত্রলীগ এখন বেসামাল । ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন , সরকারের মতো তাঁদেরও এখন বড় মাথাব্যথা ' ছাত্রলীগ ' । সারা দেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ অভিযোগ আসছে ছাত্রলীগ নেতা - কর্মীদের বিরুদ্ধে । সারা দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী , চাঁদাবাজ ও দখলবাজের গোপন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ২৬০ - এর বেশি ছাত্রলীগ নেতা - কর্মীর নাম । গতকাল বুধবার এই তালিকার এক নেতা ঢাকা কলেজের গালিবকে ( ছাত্রলীগ , রিপন গ্রুপ ) ৫৭ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে । পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে , সরকার ও দলের উচ্চপর্যায় থেকে কাউকে ছাড় না দেওয়ার কথা বলা হলেও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কারণে থানা পুলিশের পক্ষে তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না । অথচ তাদের সামাল দিতে না পারলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে । আর ব্যর্থতার অভিযোগে ' বলির পাঁঠা ' হবে পুলিশ । গত কয়েক দিনে পুলিশের বিশেষ শাখা ও সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে । গোপন তালিকায় উঠে আসা ২৬০ - এর বেশি নামের মধ্যে অন্তত ২০ জন রয়েছেন , যাঁরা নেতৃত্বপর্যায়ের । সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । এরপর ক্রমানুসারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা কলেজ , মিরপুর বাঙলা কলেজ ও শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় । থানা পুলিশের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখে পুলিশের বিশেষ শাখা ( এসবি ) এবং আরো একটি গোয়েন্দা সংস্থা । থানায় কী ঘটছে না ঘটছে , সে বিষয়ে একটি সংস্থা সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই গোপন প্রতিবেদন দাখিল করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে । এসব প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয় পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে । আবার এমন কিছু বিষয় থাকে , যেগুলো অতি গোপনীয় হওয়ায় খোলা আলোচনায় না তুলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এটা পুলিশ ও ওই গোয়েন্দা সংস্থার রুটিন - কাজ । গত জানুয়ারি পর্যন্ত এসব প্রতিবেদনে উঠে আসা গোপন তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান , সারা দেশের প্রায় সব বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রলীগ দুই ভাগে বিভক্ত । এক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন সভাপতি , আরেক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক । আর এই দুই গ্রুপেরই দল চালানোর খরচ জোগাতে হয় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের । এক কথায় চাঁদাবাজিই ছাত্রলীগ নেতাদের আয়ের একমাত্র উৎস । আর এর বাইরে বিভিন্ন জেলা , থানা ও ওয়ার্ড শাখার কমিটি তো রয়েছেই । ওই কর্মকর্তাদের মতে , বেশি চাঁদাবাজি আর দখল - সন্ত্রাস হচ্ছে রাজধানী , বিভাগীয় শহর আর জেলা শহরগুলোতে । বিশেষ করে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোস্টেল বা হল আছে , সেসব এলাকায় চাঁদাবাজিও অনেক বেশি । এতে অতিষ্ঠ সেখানকার ব্যবসায়ীরা । পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করারও সাহস নেই তাঁদের । অনেকে থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন । কেউ কেউ সাহস করে লিখিত দিলেও থানার ওসি সেটা গ্রহণ না করে বরং আপস করে চলার পরামর্শ দেন । এ ক্ষেত্রে পুলিশের বক্তব্য স্পষ্ট । ইচ্ছে থাকলেও তাদের কিছু করার নেই । কিছু করতে গেলে উল্টো তাদের ওপর নানা ঝামেলা এসে পড়বে । ঝয় আছে চাকরি হারানোরও । কারণ , এ ধরনের উদ্যোগ নিতে গিয়ে গত ১০ বছরে পুলিশের কমপক্ষে ২০০ কর্মকর্তা শাস্তি ভোগ করেছেন এবং করছেন বলে কর্মকর্তারা জানান । কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন , পুলিশ বিভাগে যে অসৎ কর্মকর্তা নেই , তা নয় । পুলিশ যে সব ক্ষেত্রে সঠিক দায়িত্ব পালন করছে , তাও নয় । আবার পুলিশ যে ভালো কিছুই করছে না , সেটাও বলা যাবে না । কিন্তু দেখা যায় , ভালো কিছু করতে গিয়েই বলির পাঁঠা হতে হয় পুলিশকে । এ প্রবণতা আজকের নয় , স্বাধীনতার পর থেকেই চলে আসছে_কখনো কমে , কখনো বাড়ে । গত বিএনপি সরকারের সময় দলীয় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা চরমে উঠেছিল । বর্তমান সরকারের প্রথম সাত - আট মাস যা ছিল , সেটাকে না হয় সহনীয় ধরে নেওয়া যায় ; কিন্তু বর্তমানে যা চলছে , তা সহ্যসীমার বাইরে । কিন্তু ব্যবস্থা নিতে গেলেই ওই পুলিশ সদস্যের পরিচয় গিয়ে দাঁড়াবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের লোক হিসেবে । আবার ব্যবস্থা না নিলে সরকার পরিবর্তন হলে এ পুলিশের পরিচয় হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের লোক হিসেবে । সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সাব স্টেশন নির্মাণের টেন্ডার নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিক গ্রুপ ও দেলোয়ার গ্রুপ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয় । পরে রিপন পোদ্দার নামে এক ছাত্রনেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক হয়েছে । অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে আছে ছাত্রলীগ মুহসীন হল শাখার সাবেক সভাপতি শফিক আর বরিশাল গ্রুপের মোশারফ । এক - এগারোর পর এই মোশারফ দেশের বাইরে পালিয়ে ছিল । আরেক গ্রুপের নেতা শফিক একসময় শিবির করত বলে জনশ্রুতি রয়েছে । গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত ২৬০ জনের অন্যতম এফ রহমান হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ফারুক সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছে । তারও একটি চাঁদাবাজ গ্রুপ আছে । ফারুক গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিন আগে নীলক্ষেতে এক বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে । চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে । পরে দোকানমালিক ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও থানাকে জানায় । এ রকম আরো অসংখ্য অভিযোগ আছে ফারুকের বিরুদ্ধে । কিন্তু পুলিশ তাকে সে সময় ওই অভিযোগে গ্রেপ্তার করেনি । পরে সে গ্রেপ্তার হয় এফ রহমান হলের সংঘর্ষের ঘটনায় । সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অবস্থা দেখে নিজেই ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতাকে ( বর্তমানে আওয়ামী লীগের তিন সাংগঠনিক সম্পাদক ) ছাত্রলীগকে গোছানোর দায়িত্ব দিয়েছেন । তাঁদেরই একজন বি এম মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে জানান , আজ কেন এ অবস্থা , সে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে । খুব শিগগির আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে । পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা কালের কণ্ঠকে বলেন , টেন্ডারবাজি , চাঁদাবাজি , সংঘর্ষ , বন্দুকযুদ্ধ , হল দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ যেভাবে জড়িয়ে পড়ছে , তা দুঃখজনক । বিএনপির শাসনামলে এ সমস্যা ছাত্রদলেও ছিল । অর্থাৎ যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে , সেই দলের ছাত্র সংগঠনই এসব করে । বলা যায় , এটা ছাত্ররাজনীতির একটা কলঙ্কিত ঐতিহ্য । এ দূষিত অবস্থা থেকে বের হতে পারছে না তারা । এ জন্য দায়ী অসৎ রাজনীতিবিদ আর লেজুড়বৃত্তির মনোভাবসম্পন্ন কিছু পুলিশ কর্মকর্তা । তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন এখানে বেশি । শুধু পুলিশকে দায়ী করে লাভ নেই । কারণ , যে পুলিশ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতিন চৌধুরীকে আঘাত করেছিল , পরে সেই পুলিশই লাঞ্ছিত করে মোহাম্মদ নাসিমকে । আসলে পুলিশকে দিয়ে করানো হয় এসব । এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন , বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নামে যারা সন্ত্রাস করে , তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে গ্রেপ্তারের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু নিজেদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর এই সদিচ্ছাকে কাজে লাগাচ্ছেন না স্থানীয় নেতারা । আর পুলিশও ওই স্থানীয় নেতাদের কারণে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী পুলিশের টাইম স্কেল দিয়েছেন , বেতন - বৈষম্য দূর করেছেন , জনবল বাড়াচ্ছেন । এগুলো নিঃসন্দেহে ভালো দিক । কিন্তু এই জনবলের পাশাপাশি মনোবলও বাড়ানো দরকার বলে অভিমত দেন আশরাফুল হুদা । ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে নাম - পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি নন কোনো পুলিশ কর্মকর্তাই । তাঁদের কথা , চেয়ারে বসে সেটা সম্ভব নয় । এর পরও কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হয় পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ এবং র্যাবের ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকারের সঙ্গে । দুজনের একই কথা । সন্ত্রাসী যে - ই হোক , সে সন্ত্রাসীই । পুলিশের দৃষ্টিতে তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই । কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না । অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ নেতারাও গ্রেপ্তার হচ্ছে বলে তাঁরা জানান ।
বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় ফাইল হোস্টিং সাইটগুলোর মধ্যে rapidshare . com অন্যতম । ফলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রোগ্রাম Rapidshare থেকে সহজেই পাওয়া যায় । কিন্তু সমস্যা হল ডাউনলোড লিংক খুঁজে বের করা । তবে এটার ও সমাধান হয়ে গেছে । Rapidshare থেকে ফাইল খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট বের হয়ে গেছে । . . .
পোস্ট করা হয়েছে : বৃহঃ ডিসেম্বর ৩০ , ২০১০ ২ : ৪৮ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে ইউনাইটেড নেশনস ইউমেন এর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন । বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এর কর্মকান্ড করা হয় । জাতিসংঘের ইউআইএফইএম , ইএনএসটিআরএডব্লিউ , ডিএডব্লিউ এবং ওএসএজি এই ৪ টি অংগ সংগঠনকে একত্রিত করে ইউএন ইউমেন গঠন করা হয়েছে । জাতিসংঘের এই নতুন অঙ্গ সংগঠনটি উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা শুরু করছে । গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করা হয় । ঢাকা শেরাটন হোটেলে ইউনাইটেড নেশনস ইউমেন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড . শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ইউ এন রেসিডেন্ট কুঅরডিনেটর মি . আর্থার এইকেন । জেন্ডার সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে এমন আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র সমূহকে উল্লে ¬ খিত বিষয়ে সহযোগীতা ও টেকনিকাল সার্পোট দেয়ার জন্য ২৪ ফেব্র " য়ারি ২০১১ তারিখে নিউ ইয়র্কে ইউ এন ইউমেনের যাত্রা শুরু হয় ।
গত ৫ই জুন ধানমন্ডির বাসায় , স্বামী সাঈদের বাসায় নির্যাতনের শিকার হন ঢাবির শিক্ষিকা রুমানা । এরপর থেকে পত্র - পত্রিকায় একচেটিয়া লেখালেখি হচ্ছিল রুমানার পক্ষে । কিন্তু ঘটনার অন্তরালে রুমানার স্বামী সাঈদেরও যে অনেক বক্তব্য থাকতে পারে তা কেউই আমলে নেয়নি ।
এই ইনসুলিনকে বলা হয় বোলাস ইনসুলিন , যা খাবারের পরের গ্লুকোজকে নিয়ন্ত্রণ করে | একজন সুস্থ মানুষের দেহে এ দুই ধরনের ইনসুলিন সঠিক মাত্রায় তৈরি হলেও ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে এর ঘাটতি দেখা দেয় , যার ফলে তাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে না | এই নতুন ধারণাকে মাথায় রেখে ইনসুলিন সরবরাহের ক্ষেত্রে নতুন করে ইনসুলিন মলিকিউল তৈরি করা হচ্ছে | গবেষণার মাধ্যমে এই ধরনের ইনসুলিন পাওয়া যাচ্ছে | আশার কথা হলো , আমাদের দেশের বাজারেও এ ধরনের ইনসুলিন আসা শুরু হয়েছে | সারা দিনের অভুক্ত অবস্থায় যে ইনসুলিন প্রয়োজন ( বেসাল ইনসুলিন ) , সেটা এখন বাংলাদেশের বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে | ইতিমধ্যে দেশের চিকিৎসকেরা এর ব্যবহার শুরু করেছেন এবং উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের রোগীরাও ভালো ফলাফল পাচ্ছেন | এ ইনসুলিন সারা দিনে একবার গ্রহণ করে ২৪ ঘণ্টায় আমাদের শরীরে অভুক্ত অবস্থায় যে পরিমাণ ইনসুলিনের প্রয়োজন , তার ঘাটতি পূরণ করা যায় | তবে এটা দিয়ে খাবারের পর যে শর্করা তৈরি হয় , সেটা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব নয় | ফলে খাওয়ার পর রক্তের বাড়তি শর্করাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ইনসুলিন ( বোলাস ইনসুলিন ) দরকার , তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে | সুখবর হচ্ছে , এ ধরনের ইনসুলিনও এখন আমাদের বাজারে আসা শুরু হয়েছে ; যার মধ্যে আরও ভালোভাবে খাওয়ার পরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে | যেটা আগের ইনসুলিন দিয়ে সম্ভব ছিল না ; এটাই হলো বোলাস ইনসুলিনের কার্যকারিতা , যার ফলে সঠিকভাবে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং রক্তে শর্করার স্বল্পতা অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া কমানো সম্ভব | এ ধরনের ইনসুলিন দিনে দুই থেকে তিনবার এবং খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া যাবে |
এডমিন প্যানেলের " Menu " অপশনথেকে " mainmenu " তে ক্লিক করুন । এবার উপরের ডানে " New " বাটনে ক্লিক করুন তাহলে " New Menu Item " আসবে । এখানে আপনার মেনুটির সাথে যুক্ত করার জন্য অনেকগুলি আইটেম পাবেন । আমরা যেহেতু শুধু এই ফোরামের ইউআরএল যুক্ত করব তাই " Links " সেকশন থেকে " Link - Url " এ ক্লিক করুন্ তারপর মেনুটির একটা নাম দিন । এর পর " Link : " অংশে দিলাম
পঞ্চশীলা সংঘ ঃ বেড়াইদের চালা ( পঞ্চশীলা ) গ্রামের জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান , জনাব আ : সাত্তার ভুইয়া , জালাল উদ্দিন আহমেদ , ও অত্র এলাকার তরুণদের উদ্যোগে ১৯৮১ সালে সংগটিত হয় সমাজ সেবামূলক সংঘ পঞ্চশীলা । এই সংগঠন এলাকার সমাজ সেবামূলক অনেক কাজে এবং খেলাধুলায় যথেষ্ট অবদান রাখিয়াছে । সমাজ কল্যাণ দফতর হইতে এই সংগঠনটি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত ।
তিনি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া সংশোধন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেও উৎসাহ দেন । তার বক্তব্যের আবেদন ছিল আকর্ষণীয় ; ' আমি বিশ্বাস করি , বিকাশমান গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে । এসব ক্ষেত্রে অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত নাগরিকদের গণতন্ত্রের প্রকৃত মূল্যবোধগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করার দায়িত্ব গণমাধ্যমের ওপর বর্তায় । নির্বাচন প্রক্রিয়ার চৌহদ্দির বাইরে যে গণতন্ত্র , তার পূর্ণাঙ্গ প্রকৃতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করা গণমাধ্যমেরই কর্তব্য । কারণ তথ্যজ্ঞানহীন ও সমালোচনামূলক চিন্তা , চেতনা ও দক্ষতাবিহীন জনগোষ্ঠী স্বভাবগতভাবেই অগণতান্ত্রিক । রাজনৈতিক তর্ক - বিতর্ক বুঝতে অক্ষম নির্বাচকমণ্ডলী নিয়ে যে গণতন্ত্র কাজ করে , তা সত্যিকারের গণতন্ত্র হতে পারে না । '
জড়িত বিষয়ের ঠিকানা : সংবাদ প্রতিবেদন , লাভরভের উত্তর , রাজনীতি , নিকট প্রাচ্য , ঘটনা প্রসঙ্গ , সিরিয়া , নিকট প্রাচ্য , সের্গেই লাভরভ , খবর
আইসা যখন পারছেন তখন ইচ্ছা মতন জোরে জোরে আঙ্গুল চালান কি - বোর্ডে . . . . . স্বাগতম মাটির উপর থেকে .
ওয়াসিম বলেছেন : উনার বলে আপনে কাকে বুঝাতে চাইলেন ? আপনারা যারা এব্যাপারে লেখছেন তারা সবাই পরিমলের ব্যাপারটা মূলত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন , অধ্যক্ষার ব্যাপারটা এতোটা না , কিন্তু যে পোশে তাকে সায়েস্তা না করলে কয়দিন পর এরকম আবার হবে তাই ব্যাপারটার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বলেছি , আপনি মনে হয় আপনার আগের পোস্টে দেয়া আমার মন্তব্যগুলা পড়েন নাই নাকি কি জানি না ।
খুবই সহজ এটি ব্যবহার করা । সফটওয়ারটি ওপেন করুন , যে ধরনের ফাইল মেরামত করতে চান তা নির্বাচন করুন , নষ্ট হয়ে যাওয়া ফাইলটা দেখিয়ে দিন , আউটপুট ফাইলের নাম আর লোকেশন ঠিক করুন । এবারে স্টার্ট রিপেয়ারে ক্লিক করুন । কাজ শেষ হলে কনফার্মেশন দেখাবে । এটি যে যে ধরনের ফাইল সাপোর্ট করে তা আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি -
৪ . যেহেতু মুনিন এ ডিরেক্টরিতে বিভিন্ন গ্রাফ সংরক্ষণ করবে তাই এখানে মুনিনকে রাইট করার অধিকার দিতে হবে । ভাল হয় মুনিনকে ডিরেক্টির মালিক করে দিলে ।
প্রজন্ম ফোরাম » বিবিধ » এর অর্থ আমারে বুঝায় দেন ! ( বিষয়বস্তঃ মোস্তাফা জব্বার )
গত কয়েক দিন ধরেই নিয়মিতভাবে এই ব্লগের আলোচনাগুলো পড়ে যাচ্ছি । অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠেনি । এই ব্লগের পোস্ট এবং মন্তব্যের একটা সাধারণ মান বজায় রাখার চেষ্টা দেখেছি সব সময় । সে জন্যই অনেক আগ্রহ নিয়ে এখানে পড়তে আসি । কিন্তু রায়হান রশিদের " পিলখানা চিন্তাঝড় " সিরিজের পোস্টগুলো ছাপার পর থেকেই লক্ষ্য করছি কিছু নতুন মন্তব্যকারীর উদয় হয়েছে , যারা হয় এই ব্লগের আলোচনার মানের সাথে পরিচিত নন , কিংবা পরিচিত হতে চান না । নাগরিক , আপনার মন্তব্যগুলো আমার কাছে সেই গোত্রের মনে হয়েছে ।
ফুলবাড়িয়া ( ময়মনসিংহ ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়ায় সর্বনাশা হরমোন ক্যামিক্যাল আনারসের বাজারে ধস নামিয়েছে । এক থেকে দেড় বছরের গাছের মাঝে হরমোন ক্যামিক্যাল প্রয়োগ করলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মাথায় আনারস ধরে । এ যেন আনারসে
ভালা পাইছি ডাকতর সাব আমারে ঔষুদ দেন যাতে আমিও এইরাম কইরা লেখতাম পারি .
বাঙ্গালী মাত্রই নাকি জীবনে একবার হলেও কবিতা লেখে । আমি সেই দলে পড়ি না . . . আবার দলছাড়াও নই । শানে নযুল বলি . . . ছোটোবেলা থেকেই আমরা কাজিনরা খুবই মিশুক আর নিজেদের মধ্যে ব্যাপকই মজা করি সবসময় । যতোটা না আমি বন্ধুদের সাথে উপভোগ করি , তার চাইতে বেশি আমি কাজিনদের সাথে বেশি ফূর্তিতে থাকতে পারি । বন্ধুদের মধ্যকার সংকীর্ণতাগুলো এখানে নেই , তাই আড্ডা - বেড়ানো - গান - হাসি - ঠাট্টা . . . এই নিয়ে আমরা ছিলাম , এখনো আছি । তো আমারই এক মামাতো ভাই গীটার কিনে শেখা শুরু করে দিলো একদিন । আমিও কয়েকদিন চেষ্টা করতে গেলাম । কিন্তু একে তো আমি তালকানা ( কিংবা সুরকানাও বলতে পারেন ! ) , তার উপরে গীটারের তারে ফিঙ্গারিং ভীষণ বিরক্তিকর মনে হলো . . . . . . আমার ধৈর্যেও কুলালো না । তাই গীটারের চিন্তা বাদ দিলাম । আমি অন্য কিছু নিয়ে মেতে রইলাম । তারপর অনেকদিন পার হলো । একদিন হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার গীটারওয়ালা কাজিন বেশ ভালোই গীটার বাজাতে পারে । আমাদের আড্ডা তখন থেকে অন্যরকম হয়ে গেলো । কারো ছাদে কিংবা লিভিং রুমে আমাদের আড্ডা গুলো গান আর সুরময় হয়ে যেত । ও বাজাতো . . . আমরা সবাই মিলে হেড়ে গলায় গাইতাম । গাইতে গাইতে বের হয়ে এলো যে আমার আরেক ভাগ্নের ( ভাগ্নে হলেও প্রায় সমবয়সী , মাঝে মাঝে কাজিন বলেও ভুল হয় ) গলা গান গাওয়ার মতো , কমপক্ষে আশেপাশের মানুষ গান শুনে পিটাতে আসবে না । গান বলতে গাইতাম যাত্রী , আর্টসেল , অর্থহীনের গান অথবা এই ধরণের কিছু গান । গাইতে গাইতে একসময় দেখলাম , যে একই কিছু গান আমরা ঘুরে ফিরে গাইছি . . . বিশেষ করে আমাদের এতোই প্রিয় ছিল আর্টসেলের নোনা স্বপ্ন , যে ওই গানটা শুনতে শুনতে আশেপাশের সবার গানটার প্রতি ভক্তিই উঠে গিয়েছিল । গাইতে শুনলেই সবাই পারলে মাইর লাগায় . . .
সাজিদ বলেছেন : ফাস্ট সেমিষ্টারে ফ্রন্টের কাজ কর্মগুলো ভাল লাগতো । রুমমেট সিনিয়রকে দেখতাম ওরা ভ্যানগার্ড দিতে আসলে একদম পাত্তাই দিত না । পরে ওদের কাজ কর্ম দেখে বুঝেছি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ভন্ড হলো এরা । ছাত্রলীগ বা দল এটলিস্ট নিজেদেরকেএমন কিছু দাবি করে না যা তারা না ।
এখন আরো কিছু মেটা ব্যবহার করতে চাইলে Thesis এর আন্ডারে Site Options এই Additional Scripts এর বক্সে আপনার পছন্দমত মেটা ট্যাগ ব্যবহার করুন
বাংলা আমার , বাংলা মায়ের মুখের কবিতা বাংলা আমার শুরু , বাংলা শেষ তাই জীবন মরণ বাংলা আমার নিব্দিধায় দিয়ে ধন্য , আমর বীর যোদ্ধারা । রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্বাধীনতা শ্লোগানে ছাত্র বুদ্ধিজীবীরা , সকল বাঁধা ছিন্ন করে হাসি মুখে দিয়ে প্রাণ জাতিকে গৌরবানিবত করেছে সোনার ছেলেরা । পাকবাহিনী নির্মম চালিয়ে হত্যা মায়ের মুখ থেকে কেড়ে নিতে চায় কথা তা কি সন্তান বেঁচে থাকতে হয় ? জীবন দিয়েছি আরও দিব , ত্যাগ আর সাহস দিয়ে রক্ষা করব বাংলা রক্তে লিখা বাংলা থাকবে " আমর গাঁথা " এভাবে মুক্তিবাহিনী এনেছিল স্বাধীনতা । অনেক মা হারিয়ে খোকাকে আজও চোখে ভেসে বেড়াই খোকা , মা বলে আমি ধন্য জীবন দিয়ে রক্ষা করেছে স্বাধীনতা । রক্তের বন্যায় ভেসে জাতি হয়েছে বন্দি খাঁচা থেকে মুক্ত তাই বাংলা আমার বাংলা আমার অহংকার ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে রহমত আলী ( ৩৫ ) নামের বাংলাদেশী এক রাখাল নিহত হয়েছে । ২৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সীমান্তের ঘোনা জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নিহত রাখাল রহমত আলী সাতক্ষীরা জেলা সদরের বাঁশদহা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে । এদিকে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী রাখাল নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঘোনা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে । সীমান্ত গ্রামবাসী জানান , রহমত আলীসহ কয়েকজন রাখাল গরু আনতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘোনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান । রাত ১২টার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ঘোনা সীমান্তের ৭নং মেইন পিলারের দেড়শ ' গজ অভ্যন্তরে ভারতের জয়নগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । এ সময় রহমত আলী ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় । স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন । ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মতিউর রহমান জানান , বিএসএফের গুলিতে রহমত আলীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিজিবির পক্ষ থেকে গতকাল সকালে বিএসএফের জয়নগর ক্যাম্পে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয় । সে অনুযায়ী ঘোনা সীমান্তের ৭নং মেইন পিলারের জিরো পয়েন্টে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয় । পতাকা বৈঠকে রাখালরা গরু পাচারের সময় বিএসএফ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয় । নিরূপায় হয়ে গুলি চালাতে হয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয় । তবে রহমত আলীর মৃত্যুতে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে বলে জানানো হয় । এছাড়া পতাকা বৈঠকে গরু পাচার নিয়েও কথা হয় । বিজিবি ও বিএসএফের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট দলের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভোমরা ক্যাম্পের সুবেদার মুনসুর হেলাল ও ভারতের জয়নগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সউলকাসহান দত্ত । সাতক্ষীরা সদর থানার উপ - পরিদর্শক হারান চন্দ্র পাল জানান , লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । সূত্র : http : / / www . amardeshonline . com / pages / details / 2011 / 05 / 01 / 79476
মানুষ তার জীবনের তিন ভাগের একভাগ সময় শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় । অর্থাৎ একটি মানুষের বয়স যদি ৬০ বছর হয় , তাহলে সে ২০ বছর স্রেফ ঘুমিয়ে থাকে ।
নীলিমা বলেছেন : দাদু আমাদের ছেঁড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে । ভাল থেকো আপু ,
সময় পেলে ভিজুয়াল বেসিক এবং অন্যান্য প্রোগ্রামিং এর এর টিউটোরিয়াল টিউন করবো ।
হিন্দুপাড়ায় প্রায় পাঁচশ ' হিন্দু লোকের বসবাস । দুই সহোদর উত্তম কুমার দাস ও দিলীপ কুমার দাস জানান , এখানে স্যুয়ারেজ সমস্যা , রাস্তার সমস্যা , ময়লা - আবর্জনা এবং মশা - মাছির সমস্যা প্রকট । বিদ্যুত্ চলে গেলে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আসে না । গত ৫ বছর ধরে এখানে মশার ওষুধ দেয়া হয় না ।
নাগরিকব্লগ ফাইটার ব্লগ , এখানে সকল প্রতারণা , দূর্ণীতি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট হবে । ফুল ফল সিঁদুর কাজল দিয়ে সাজিয়ে চিতায় তুলে দেয়ার মধ্যে কোন বাহাদূরী নেই । শান্তি বহুভাবে আসে , একজন যুবতী বিধবাকে পুড়িযে মেরে ফেললে পাড়ায় শান্তি আসে , অন্য নারীর পুরুষরা , পোলাপানের ঘুরঘুর হয়তো কমে যায় , কিন্তু কেউ একজন নিরবে পুড়ে মরে যায় ।
তিস্তা ও ফেনি নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতার ব্যাপারে দৃঢ় আশা প্রকাশ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন , " গঙ্গার পানিবণ্টনে আমাদের মধ্যে একটি চমৎকার চুক্তি আছে , যা উভয়পক্ষই নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলছে । "
অনুবাদটাকে মূল টপিকের ইংরেজিটার নিচেই যুক্ত করে দেওয়া যায় না ? আমি ইংরেজিটা পড়ে এরপর নিচে নেমে দেখি অনুবাদও আছে ।
লেখক বলেছেন : লিরিক নিয়ে কাজ তো এখন বন্ধ রাখসি ভাই . . . . সময় পেলে অবশ্যই নিয়ে বসবো . . . বা আপনি নিজে পারলেও করে ফেইলেন . . . কিছুদিন সময় ছিলো শখের বসে করে ফেলসি . . . আমরা সবাইই এখন খুব ব্যস্ত হয়ে পরসি . . . আর থিম নিয়ে কবিতা লিখতে পারেন সমস্যা নাই . . .
রাশেদ উদ্দিন ভাইসাহেবের মন্তব্য পড়ে ভালোই মজাক পাইলাম
যাত্রাপালা কিংবা হিন্দু ধর্মীয় অখ্যানমূলক ঢপযাত্রা এখানকার লোক সংস্কৃতির আরেক শক্তিশালী উপাদান । বিভিন্ন ধর্মীয় , সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাকে উপজীব্য করে যাত্রাপালার কাহিনী তৈরি হয় । সাধারণত বর্ষা মৌসুমে হাওরের গ্রামগুলোতে যাত্রাগানের আসর বসে । এ ছাড়া দুর্গাপূজা , মনসাপূজা , কালিপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উত্সবে ঢপযাত্রা পরিবেশিত হয় । এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্যাঁচালি ও পদ্মপুরাণ পাঠ , কীর্তন , পালাগান , গোষ্ঠগান , দোলের গান , হোরিগান , সূর্যব্রত উত্সব মানুষ টানে । ধর্মীয় উত্সব হলেও শিল্পীদের শ্রুতিসুখকর পরিবেশনার গুণে এক আলাদা শৈল্পিক মাধুর্য সৃষ্টি হয় । বর্ষা মৌসুমে নৌকাবাইচ , পুঁথি , কিস্সা , কবিগান , গুরমাগান , ঘাটুগান , নাতগান , শিলুক , জারি , সারি এবং গাজির গানও বেশ জনপ্রিয় ।
ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি । পৃথিবীতে একমাত্র ইসলামই একমাত্র পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান । ইসলাম মানবতার কথা বলে , ইসলাম নারীদের শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে , ইসলামের উদারতায় মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ এই ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে । কিন্তু অতি দুঃখের হলেও সত্যি এই শান্তির ধর্মের … Continue reading →
বুধবার বিকেলে র্যাব , পুলিশ ও সোয়াত টিমের সদস্যরা রমনা বটমূলসহ সমগ্র রমনা পার্কের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে । রমনা , ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা , শাহবাগ , বাংলামটর , কাকরাইল , পল্টন , কার্জন হল , পলাশী - নীলতে এলাকাকে নিরাপত্তা জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । এসব এলাকায় কোন যানবাহন চলাচল করবে না । রাজধানীতে ১৭৫টি স্থানে বৈশাখী অনুষ্ঠান , মেলা , র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে । এসব এলাকায় পুলিশ , র্যাব সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে । রমনা পার্কে ৯০টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে । র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে বুধবার দুপুর থেকে রমনা পার্ক , ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হয় । ইতোমধ্যে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান এলাকাকে ধুমপানমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে । নিরাপত্তাজনিত কারণে জনসাধারণকে লাইটার ও দিয়াশলাই বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে ।
লেখক বলেছেন : সবগুলাতে পাসওয়ার্ড নাই । ডানে বামে ঘোরানো যায় । ঘরে বসে দুনিয়ার সর্বত্র রাস্তা দেখা প্রচণ্ড মজা আর ওপেনটোপিয়ার মাধ্যমে কিন্তু অনেক দোকানপাট , রেস্টুরেন্ট , বার - এসবের ভিতরের ক্যামেরাও দেখা যায় ।
ঝুলন্ত সরকার : তার নাম ছিলো সরকার স্যার ! আমার বন্ধু রানার বাসার পাশে বাসা ! বন্ধুর ছাদ থেকে তার বাসা দেখা যায় । অদ্ভুত হলেও সত্যি উনার বাসার টয়লেট ছিলো দেয়ালের বাইরে ! দেখে মনে হয় ঝুলন্ত টয়লেট ! একদিন তিনি সব ক্লাসে ক্লাসে যাচ্ছেন , পেছনে আরেকজন , আমাদের ক্লাসে এসে বললেন " এই ইনি আমার বন্ধু , এখন থেকে উনার কাছে প্রাইভেট পড়বি , তোরা বাসার স্যারকে যত দিস , তার চেয়ে ৫০টাকা কম দিবি " এক ছাত্রের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন " এই তুই তোর ঘরের স্যারকে কত দিস ? " ছাত্রটি বললো " ৫০ টাকা দেই স্যার " । তারপর যা একটা ধোলাই হলো ! ! হাসির দমকে কিছুই দেখলাম না . . . . . . . . . . . .
এন্টিভাইরাসের কারণেও পিসি স্লো চলে . . . . . . সবসময় উত্তেজনায় থেকে ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়াতে চাই না ।
একটি গনতান্ত্রিক দেশ যেখানে জাত - পাত , ধর্ম - গোত্র - বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম অধিকারের কথা বলে হয় সেখানে এই ধরনের দ্বিমুখী নীতি সাধারন জনগনের সাথে একরকম শোষণ নীতি হিসেবে বিবেচ্য হবে । কথা হচ্ছে একটি গনতান্ত্রিক দেশে জনগনই হল সকল ক্ষমতার উৎস , অন্যভাবে বললে জনগনই সরকারের মালিক । প্রতি পাচঁ বছর অন্তর অন্তর জনগনই দেশে এক একটি নতুন সরকার গঠন করে এবং সরকারের সমস্ত খরচের একটা বিড়াট অংশ জনগন প্রদান করে । সেই হিসেবে প্রত্যেকটি সরকারী চাকুরিজীবির মালিক জনগন , আমাদের সাংসদরাও এর বাইরে নয় । তাহলে তারা ( সাংসদরা ) ব্যতীত আর বাকী সকলে কর কেন দিবে ? ? ? এইধরনের দ্বিমুখী নীতি একটি গনতান্ত্রিক দেশে কতটুক গ্রহনযোগ্য ? ? ? আর আমাদের দেশের সাংসদ দের কর দেশের কোন উপকারে আসবে না যে তারা দিবে না ? ? ?
অবনী বাড়ি আছো . . . . . . . . . . . . . . . . . . . দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া ' অবনী বাড়ি আছো ? ' বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস দুয়ার চেপে ধরে - ' অবনী বাড়ি আছো ? ' আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া ' অবনী বাড়ি আছ যেতে পারি , কিন্তু কেন যাবো ? . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . ভাবছি , ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো । এতো কালো মেখেছি দু হাতে এতোকাল ধরে ! কখনো তোমার ক ' রে , তোমাকে ভাবিনি । এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালে চাঁদ ডাকে : আয় আয় আয় এখন গঙ্গার তীরে ঘুমন্ত দাঁড়ালে চিতাকাঠ ডাকে : আয় আয় যেতে পারি যে - কোন দিকেই আমি চলে যেতে পারি কিন্তু , কেন যাবো ? সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো যাবো কিন্তু , এখনি যাবো না একাকী যাবো না অসময়ে । । আমি যাই . . . . . . যেখানেই থাকো এপথে আসতেই হবে ছাড়ান্ নেই সম্বল বলতে সেই দিন কয়েকের গল্প অল্প অল্পই আমি যাই তোমরা পরে এসো ঘড়ি - ঘন্টা মিলিয়ে শাক - সবজি বিলিয়ে তোমরা এসো কিছু মায়া রয়ে গেলো . . . . . . . . . . . . . . . . . . সকল প্রতাপ হল প্রায় অবসিত … জ্বালাহীন হৃদয়ের একান্ত নিভৃতে কিছু মায়া রয়ে গেলো দিনান্তের , শুধু এই - কোনোভাবে বেঁচে থেকে প্রণাম জানানো পৃথিবীকে । মূঢ়তার অপনোদনের শান্তি , শুধু এই - ঘৃনা নেই , নেই তঞ্চকতা , জীবনজাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক , বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু । এক অসুখে দুজন অন্ধ . . . . . . . . . . . . . . . . আজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে , সমুদ্র , তোর আমিষ গন্ধ দীর্ঘ দাঁতের করাত ও ঢেউ নীল দিগন্ত সমান করে বালিতে আধ - কোমর বন্ধ এই আনন্দময় কবরে আজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে , সমুদ্র , তোর আমিষ গন্ধ | হাত দুখানি জড়ায় গলা , সাঁড়াশি সেই সোনার অধিক উজ্জ্বলতায় প্রখর কিন্তু উষ্ণ এবং রোমাঞ্চকর আলিঙ্গনের মধেযে আমার হৃদয় কি পায় পুচ্ছে শিকড় আঁকড়ে ধরে মাটির মতন চিবুক থেকে নখ অবধি ? সঙ্গে আছেই রুপোর গুঁড়ো , উড়ন্ত নুন , হল্লা হাওয়ার মধ্যে , কাছে সঙ্গে আছে হয়নি পাগল এই বাতাসে পাল্লা আগল বন্ধ ক ' রে সঙ্গে আছে … এক অসুখে দুজন অন্ধ ! আজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে , সমুদ্র , তোর আমিষ গন্ধ । আতাচোরা . . . . . . . . . আতাচোরা পাখিরে কোন তুলিতে আঁকি রে হলুদ ? বাঁশ বাগানে যইনে ফুল তুলিতে পাইনে কলুদ হলুদ বনের কলুদ ফুল বটের শিরা জবার মূল পাইতে দুধের পাহাড় কুলের বন পেরিয়ে গিরি গোবর্ধন নাইতে ঝুমরি তিলাইয়ার কাছে যে নদিটি থমকে আছে তাইতে আতাচোরা পাখিরে কোন তুলিতে আঁকি রে - হলুদ ? একবার তুমি . . . . . . . . . . একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা কর - দেখবে , নদির ভিতরে , মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে পাথর পাথর পাথর আর নদী - সমুদ্রের জল নীল পাথর লাল হচ্ছে , লাল পাথর নীল একবার তুমি ভাল বাসতে চেষ্টা কর | বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল - ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় সমস্ত পায়ে - হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল , তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার , যেন ঢেউ , যেন কুমোরটুলির সলমা - চুমকি - জরি - মাখা প্রতিমা বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটেনক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি | বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল চিঠি - পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই - পাথরের ফাঁক - ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল - অনেক সময় তো ঘর গড়তেও মন চায় | মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে আমাদের সবই দরকার | আমরা ঘরবাড়ি গড়বো - সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো | রূপোলি মাছ পাথর ঝরাতে ঝরাতে চলে গেলে একবার তুমি ভালবাসতে চেষ্টা করো | এবার হয়েছে সন্ধ্যা . . . . . . . . . . . . . এবার হয়েছে সন্ধ্যা । সারাদিন ভেঙেছো পাথর পাহাড়ের কোলে আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে তোমারও তো শ্রান্ত হলো মুঠি অন্যায় হবে না - নাও ছুটি বিদেশেই চলো যে কথা বলনি আগে , এ - বছর সেই কথা বলো । শ্রাবনের মেঘ কি মন্থর ! তোমার সর্বাঙ্গ জুড়ে জ্বর ছলোছলো যে কথা বলনি আগে , এ - বছর সেই কথা বলো । এবার হয়েছে সন্ধ্যা , দিনের ব্যস্ততা গেছে চুকে নির্বাক মাথাটি পাতি , এলায়ে পড়িব তব বুকে কিশলয় , সবুজ পারুল পৃথিবীতে ঘটনার ভুল চিরদিন হবে এবার সন্ধ্যায় তাকে শুদ্ধ করে নেওয়া কি সম্ভবে ? তুমি ভালোবেসেছিলে সব বিরহে বিখ্যাত অনুভব তিলপরিমাণ স্মৃতির গুঞ্জন - নাকি গান আমার সর্বাঙ্গ করে ভর ? সারাদিন ভেঙ্গেছো পাথর পাহাড়ের কোলে আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে তবু নও ব্যথায় রাতুল আমার সর্বাংশে হলো ভুল একে একে শ্রান্তিতে পড়েছি নুয়ে । সকলে বিদ্রূপভরে দ্যাখে । চাবি . . . . . আমার কাছে এখনো পড়ে আছে তোমার প্রিয় হারিয়ে যাওয়া চাবি কেমন করে তোরংগ আজ খোলো ? থুতনিপরে তিল তো তোমার আছে এখন ? ও মন নতুন দেশে যাবি ? চিঠি তোমায় হঠাত্ লিখতে হলো । চাবি তোমার পরম যত্নে কাছে রেখেছিলাম , আজই সময় হলো - লিখিও , উহা ফিরত্ চাহো কিনা ? অবান্তর স্মৃতির ভিতর আছে তোমার মুখ অশ্রু - ঝলোমলো লিখিও , উহা ফিরত্ চাহো কি না ? দিন যায় . . . . . . . . . . সুখের বারান্দা জুড়ে রোদ পড়ে আছে শীতের বারান্দা জুড়ে রোদ পড়ে আছে অর্ধেক কপাল জুড়ে রোদ পড়ে আছে শুধু ঝড় থমকে আছে গাছের মাথায় আকাশমনির । ঝড় মানে ঝোড়ো হাওয়া , বাদ্ লা হাওয়া নয় ক্রন্দনরঙের মত নয় ফুলগুলি চন্দ্রমল্লিকার । জয়দেবের মেলা থেকে গান ভেসে আসে সঙ্গে ওড়ে ধুলোবালি , পায়ের নূপুর সুখের চট্ কা ভাঙে গৈরিক আবাসে দিন যায় রে বিষাদে , ষাদে , মিছে দিন যায় … পাবো প্রেম কান পেতে রেখে . . . . . . . . . . . . . . . . . . বড় দীর্ঘতম বৃক্ষে ব ' সে আছো , দেবতা আমার | শিকড়ে , বিহ্বল প্রান্তে , কান পেতে আছি নিশিদিন সম্ভ্রমের মূল কোথা এ - মাটির নিথর বিস্তারে ; সেইখানে শুয়ে আছি মনে পড়ে , তার মনে পড়ে ? যেখানে শুইয়ে গেলে ধিরে - ধিরে কত দূরে আজ ! স্মারক বাগানখনি গাছ হ ' য়ে আমার ভিতরে শুধু স্বপ্ন দীর্ঘকায় , তার ফুল - পাতা - ফল - শাখা তোমাদের খোঁডা - বাসা শূন্য ক ' রে পলাতক হলো | আপনারে খুঁজি আর খুঁজি তারে সঞ্চারে আমার পুরানো স্পর্শের মগ্ন কোথা আছো ? বুঝি ভুলে গেলে | নীলিমা ঔদাস্তে মনে পড়ে নাকো গোষ্ঠের সংকেত ; দেবতা সুদূর বৃক্ষে , পাবো প্রেম কান পেতে রেখে | ভিতর - বাইরে বিষম যুদ্ধ . . . . . . . . . . . . . . . ইচ্ছে ছিলো তোমার কাছে ঘুরতে - ঘুরতে যাবোই আমার পুবের হাওয়া । কিন্তু এখন যাবার কথায় কলম খোঁজে অস্ত্র কোথায় এবং এখন তোমার পাশে দাঁড়িয়ে - থাকা কুঞ্জলতায় রক্তমাখা চাঁদ ঢেকেছে আকুল চোখ ও মুখের মলিন আজকে তোমার ভিতর - বাইরে বিষম যুদ্ধ পুবের হাওয়া । । মনে মনে বহুদূর চলে গেছি মনে মনে বহুদূর চলে গেছি - যেখান থেকে ফিরতে হলে আরো একবার জন্মাতে হয় জন্মেই হাঁটতে হয় হাঁটতে - হাঁটতে হাঁটতে - হাঁটতে একসময় যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানে পৌঁছুতে পারি পথ তো একটা নয় - তবু , সবগুলোই ঘুরে ফিরে ঘুরে ফিরে শুরু আর শেষের কাছে বাঁধা নদীর দু - প্রান্তের মূল একপ্রান্তে জনপদ অন্যপ্রান্ত জনশূণ্য দুদিকেই কূল , দুদিকেই এপার - ওপার , আসা - যাওয়া , টানাপোরেন - দুটো জন্মই লাগে মনে মনে দুটো জন্মই লাগে ( কবির ৩২ তম জন্ম দিনে ( ২৬ / ১১ / ১৯৬৫ ) লেখা এই কবিতাটি কবিপত্নি শ্রীমতী মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে প্রাপ্ত । ) শিশিরভেজা শুকনো খড় . . . . . . . . . . . . . . . . . শিশিরভেজা শুকনো খড় শিকড়বাকড় টানছে মিছুবাড়ির জনলা দোর ভিতের দিকে টানছে প্রশাখাছাড় হৃদয় আজ মূলের দিকে টানছে ভাল ছিলুম জীর্ণ দিন আলোর ছিল তৃষ্ণা শ্বেতবিধুর পাথর কুঁদে গড়েছিলুম কৃষ্ণা নিরবয়ব মূর্তি তার , নদীর কোলে জলাপাহার … বনতলের মাটির ঘরে জাতক ধান ভানছে শুভশাঁখের আওয়াজ মেলে জাতক ধান ভানছে করুণাময় ঊষার কোলে জাতক ধান ভানছে অপরিসীম দুঃখসুখ ফিরিয়েছিলো তার মুখ প্রসারণের উদাসীনতা কোথাও ব ' সে কাঁদছে প্রশাখাছাড় হৃদয় আজ মূলের দিকে টানছে ( কবির ৫০ তম জন্ম দিনে ( ২৬ / ১১ / ১৯৮৩ ) লেখা এই কবিতাটি কবিপত্নি শ্রীমতী মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে প্রাপ্ত । ) স্টেশন ভাসিয়ে বৃষ্টি . . . . . . . . . . . . . . মনে পড়ে স্টেশন ভাসিয়ে বৃষ্টি রাজপথ ধ ' রে ক্রমাগত সাইকেল ঘন্টির মতো চলে গেছে , পথিক সাবধান … শুধু স্বেচ্ছাচারী আমি , হাওয়া আর ভিক্ষুকের ঝুলি যেতে - যেতে ফিরে চায় , কুড়োতে - কুড়োতে দেয় ফেলে যেন তুমি , আলস্যে এলে না কাছে , নিছক সুদূর হয়ে থাকলে নিরাত্মীয় ; কিন্তু কেন ? কেন , তা জানো না । মনে পড়বার জন্য ? হবেও বা । স্বাধীনতাপ্রিয় ব ' লে কি আক্ষেপ ? কিন্তু বন্দী হয়ে আমি ভালো আছি । তবু কোনো খর রৌদ্রে , পাটকিলে কাকের চেরা ঠোঁটে তৃষ্ণার চেহারা দেখে কষ্ট পাই , বুঝে নিতে পারি জলের অভাবে নয় , কোন টক লালার কান্নায় তার মর্মছেঁড়া ডাক ; কাক যেন তোমারই প্রতীক রূপে নয় , বরং স্বভাবে - মনে পড়ে , মনে পড়ে যায় কোথায় বিমূঢ় হয়ে বসে আছো হাঁ - করা তৃষ্ণায় !
লেখক বলেছেন : বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন : সবার এক সাথে গর্জে উঠা উচিত ।
কি কারণে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , মঙ্গলবার শুনানিতে আমাদের বক্তব্য শেষ করতে পারিনি বলেই আবেদন করা হয়েছে ।
লেখক বলেছেন : এই খুশিতে তোর পোস্টগুলা ফিরায়া আন । সিরিয়াস ।
ওদিকে বইমেলা আরম্ভ হয়ে গেল , একটা সময় ঠিক করে চলে গেলাম আজিজ সুপার মার্কেটে । প্রকাশকের চেহারা কি এতো সহজেই দেখা যায় ! দুই ঘন্টা অপেক্ষায় থাকার পর তার সাথে একটা ছোট্ট দোকানে ঢুকলাম ; দেখলাম একটা ২১ / ২২ বছরের ছেলে আমার লেখার দ্বিতীয় অংশ কম্পোজ করছে । এবার প্রুফ দেখা শুরু করলাম , সোহেল ভাই বললেন - " এটা কি লিখছেন আপু , এতো ছোট উপন্যাসতো হয় না । " আমিতো অবাক - " ওটাতো দুমাস আগেই পাঠিয়ে জিঞ্জেস করেছিলাম কয় ফর্মা হয় দেখতে । শেষ করা লেখা আবার শুরু করি কেমনে ! ! " উনি বললেন - " আচ্ছা দেখি কি করা যায় । " দুই দিনের মধ্যে প্রুফ দেখে দিলাম , কথা হলো লেখাটা যেহেতু ছোট সেহেতু পাতার উপরের অংশ ও নিচের অংশ বাদ দিয়ে চার ফর্মায় এনে ১৫ তারিখেই প্রকাশ করা সম্ভব । আমাকে কেবল ইমেইলে প্রচ্ছদ দেখে নিতে বললেন ।
এবার ঝুড়ি থেকে একটা একটা জাম্বুরা বাম হাতে নেন , আর দেখেন ডান হাতেরটার চেয়ে এই নতুনটা ভারী কি না । যদি ভারী হয় , তাহলে কথাই নেই , ডান হাতেরটাকে অন্য কোথাও রেখে দিয়ে বাম হাত থেকে নতুন ভারী জাম্বুরাটি ডান হাতে পাচার করে দেন । এভাবে একটা একটা করে ঝুড়ির সবগুলো দেখা হয়ে গেলে সব শেষে করিম সাহেবের ডান হাতে যা থাকছে , সেটাই ঝুড়ির সবচেয়ে ভারী জাম্বুরা ।
তানিম বলেছেন : খুবই খুশি হলাম । আমার একবার মোবাইল চুরি গেছিল । সেই সেটে আমার ৫০০ এসএমএস এর দু : খে আমি বাচি না যাক পাওয়া গেছে ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁদের স্ব - স্ব অবস্থান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন । তারা একজন অন্যজনের প্রতিযোগী কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না । একজন রাজনৈতিক নেতৃত্বে বিকশিত হয়েছিলেন রাজনীতি করে ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়ে । অন্যজন রাজনীতিক ছিলেন না , কিন্তু দেশে সৃষ্ট ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে অসম সাহসিকতার সঙ্গে প্রবল দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ছিলেন বিধায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করেছেন । বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়ার জীবনে কেবলই সফলতা ছিল , ভুল - ত্রুটি ও ব্যর্থতা ছিল না , একথা বলা যাবে না । কিন্তু তাঁদের সফলতা ব্যর্থতাকে ঢেকে দিয়েছে । দু ' জনই জাতির কাছে এবং আমাদের জাতীয় জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছেন । একজনকে অন্যজনের সঙ্গে তুল্য করার দৃষ্টিভঙ্গিটাই একটি বড় ভুল । জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা খর্ব কিংবা খাটো হয়ে গেল এমন মনে করা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয় । বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতার স্পৃহায় জাগ্রত ও উদ্বেলিত না করলে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার দুর্লভ ওই ঐতিহাসিক সুযোগ পেতেন না , আবার মেজর জিয়া ওই সন্ধিক্ষণে বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে জাতি ত্বরিতগতিতে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা পেত না । আমাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এখন আর কোনো দলের নন , সমগ্র জাতির । অথচ বিভ্রান্তি ও হীনতার কারণে আমরা এই দুই মহান ব্যক্তিকে বিতর্কিত করছি , তাদের স্মৃতি ও কর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি , ফলে দেশে জাতীয় ঐকমত্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে জাতীয় বিভক্তিকে সম্প্রসারিত করছি ।
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন : বিহারীদের কর্তৃক জহির রায়হানের নিহত হওয়ার ঘটনা এবং মেজর জিয়ার বিচারের নামে এরশাদের উসকানী আগেই জেনেছিলাম । ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায় , উপজেলার গোমকোট গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম একই গ্রামের জাকির হোসেনের পিতা দারগ আলীর সম্পত্তি গোপনে জাল দলিল করে দখল করার চেষ্টা করলে , জাকির হোসেনের পিতা দারগ আলী কোর্টে মামলা দায়ের করেন । মামলায় তারা হেরে যাওয়ায় হাইকোর্টে আপিল দাখিল করলে ও তারা আবার হেরে যায় । পরবর্তীতে আবার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালতে আবার মামলা দায়ের করা হয় । বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে ।
আপনাদের কারো যদি আমার লেখা ভাল লাগে সেই আমার পরম পাওয়া . . . শুধু আপনাদের দোয়া প্রার্থী ।
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » ওপেন সোর্স ও বাংলা কম্পিউটিং » উবুন্টুর সকল সমস্যার সমাধান এক জায়গায়
ব্যাপক মজা পাইলাম । াসতে হাসতে পেট ব্যাথা ।
অত্র স্থলে ব্যবহৃত আমরা কারা ? বাংলাদেশের তামাম জনতা , আওয়ামী লীগের প্রতি উদারভাবাপন্ন সাপোর্টার , মুক্তাঙ্গন ব্লগ নাকি মাসুদ করিমের বন্ধুবান্ধব ? ধর্মের সাথে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি ' র খাতির - প্রণয় আছে । তারা ভোটারদের ধরন দেখেই ঠিক করেন ইসলাম কিভাবে ব্যবহার করবেন । যেহেতু আওয়ামী লীগকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী বেশি পরিমাণে ভোট দেয় , তারা ইসলামের কথা কৌশলে বলে । বিএনপি সেই কৌশলে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না । আওয়ামী লীগের ৯৯ . ৫ % মুসলিম সাপোর্টার ইসলামকে জীবনযাপনের অংশই মনে করে । এর জন্য তাদের জীবনযাপন , কর্মময়তা খেয়াল করলে তা অতি সহজেই বোঝা যায় । কাজেই মাসুদ করিমের আমরা বলতে তিনি কি বুঝাতে চাইলেন তা আমি অন্তত বুঝিনি ।
( ২ ) বিশেষ করিয়া এবং উপরি - উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া , অনুরূপ কার্যক্রমে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন কার্য অর্ন্তভুক্ত হইবে , যথা : -
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মতপ্রকাশ ও সমালোচনার অধিকার স্বীকৃত । রাষ্ট্রেবিরোধী দল অবশ্যই থাকবে সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনে ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই । বিরোধীদলের অস্তিত্বকে মেনে না নিলে তা গণতান্ত্রিক শাসন হতে পারে না । জনগণ সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করতে পারবে । এতে কেউ বাধা দিতে পারবে না । আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলভিত্তি জনমত । ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেন , ' ' তোমার মতামতের সাথে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু তোমার মতামত প্রকাশের অধিকার আমি জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব । ' ' দেশের [ . . . ]
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন : প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের স্ব - স্ব ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য সে অধিকারটার নিশ্চয়তা দেয়া । কিন্তু রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে সে অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে ।
ব্লগ না থাকলে এত পদের মানুষ দেখা হতো না । বাংলা ব্লগ মানুষ এবং মানুষের ভন্ডামী প্রকাশের সবচেয়ে সাবলীল মাধ্যম । মানুষের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে , ক্ষুদ্রতা আছে কিন্তু হাতে কিবোর্ড আর ব্লগে লেখার এক্সেস থাকলে এরা সবাই মহাপুরুষের খোলস লাগিয়ে কিবোর্ড হাতায় । লেখা যে অর্থে চরিত্র নির্মাণ , সুতরাং কিবোর্ড হাতে নিয়ে সবাই নিজের সৎ চরিত্র নির্মাণের বিভিন্ন প্রচেষ্টা করতে থাকে , এবং কয়েকদিন পরে এরা আবশ্যিক ভাবেই ধর্মপ্রচারে লিপ্ত হয় , তাদের ব্যক্তিগত ভালো লাগা মন্দ লাগাকে সামষ্টিক ভালো লাগা মন্দ লাগায় পর্যবসিত না করা পর্যন্ত এর বিরাম নেই ।
( RTNN ডটনেট ) - - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী কাওসার আবারো এক ছাত্রীকে রিকসা থেকে নামিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে । এরআগে একই ছাত্রীকে প্রহার করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে ছাড় পায় কাওসার । সে সময় ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয় তাকে । প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিত ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানায় , গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবীসহ হলে ফিরছিলো । এ সময় হলের সামনে রাস্তার পাশে ওঁত পেতে থাকা কাওসার রিকসা থেকে জোর করে নামিয়ে ওই ছাত্রীকে চড় - থাপ্পড় মারতে থাকে । ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে কাওসার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উপর্যুপরি লাথি ও কিল - ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় । এ সময় অন্যান্য মেয়েরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে কাওসার তাদের ওপরেও চড়াও হয় । প্রহারের সময় কাওসার দম্ভোক্তি করতে থাকে , এরআগে তোকে সামান্য মেরে পত্রিকায় নাম এসেছিল । আর এবার তোকে খুন করে প্রত্রিকায় নাম তুলবো । এ সময় কাওসারের সহযোগী ছাত্রলীগকর্মীরা হাত তালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে । পরে হলের গার্ডরা এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে । প্রসঙ্গত , গত বছরের শেষ দিকে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে একই ছাত্রীকে প্রহার করেছিলো কাওসার । ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কাওসারকে শাস্তি প্রদানে টাল - বাহানা দেখিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত রাবি শাখা মহিলা পরিষদের চাপের মুখে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেয় । এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কাওসারকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করে । বছর গড়াতে না গড়াতে আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । নির্যাতিত ওই ছাত্রী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান । তিনি কাওসারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে বলেন , অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য ইতিপূর্বে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে । ফলে তার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই । এ ব্যাপারে রাবি প্রক্টর মো . জাকারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কাউসার সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মী হওয়ায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি । আরটিএনএন ডটনেট / প্রতিবেদক / এফএন / এমআই_ ১১০৯ ঘ . http : / / rtnn . net / details . php ? id = 23217 & p = 1 & s = 5
স্বাগত সঙ্গীত শেষে মাঠে আনা হবে বিশ্বকাপের মাসকট স্ট্যাম্পিকে । এর পেছনে ১৪টি দেশের অধিনায়কের নেতৃত্বে ক্রিকেট দলের সদস্যরা মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন ।
সাবেক ছাত্রনেত্রী , ' ৯০ - এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র নেতৃত্বদানকারী মোশরেফা মিশুকে বর্তমান শাসক দলের সময় বার বার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে । গার্মেন্ট কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ইন্দনের অভিযোগে সম্প্রতি তাকে নিজের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে রিমান্ড চায় । তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন । নির্যাতনের কারণে বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রিজন সেলে চিকিত্সাধীন আছেন ।
আমারটাও কিছুদিন আগে এমন শো করছিলো । আপডেট করার পর ঠিক হয়ে গিয়েছিলো
" বাংলাদেশের সাথে থাইল্যান্ডের তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতা দিনে দিনে আরও ব্যাপকতর হবে এবং এর পরিমাণ বিপুলভাবে বাড়বে । Continue Reading
তার মিথ্যাচারগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তিগুলো দিতে পারলে ভাল হয় ।
( ৫ ) বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সামনে অভিযুক্ত ব্যক্তি উপস্থিত হইবার বা জামিনে মুক্তি পাইবার পর পলাতক হইলে অথবা উহার সম্মুখে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে , উপ - ধারা ( ৪ ) এ উল্লিখিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে না , এবং উক্ত ট্রাইব্যুনাল উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিয়া অনুরূপ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই বিচার করিবে ।
অতীতেও এ দুর্বলতা ছিল , কিন্তু আজকের রূপ বড় বেশী ভয়ঙ্কর । বাঙালীর গত দুশো বছরের চিন্তার ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় । ইতিহাসবিদ অশীন দাশগুপ্ত মনে করেন , এ অঞ্চলের বিবর্তনে যুগ - প্রবর্তক চিন্তকেরা সকলেই গভীরভাবে ঈশ্বর - বিশ্বাসী ছিলেন । কাজেই এখানকার ইতিহাস আলোচনায় ' চিন্তানায়ক ' কথাটি ব্যবহার করতে কলম আটকায় । তিনি স্বীকার করেন যে , এ অঞ্চলের মানুষের মন শক্তিশালী ঘাত - প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই তৈরী হয়েছে , কিন্তু এ . . .
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন : হে হে হে হে হে । বিয়াপুক বিনুদন ।
দুই অংকের একটি সংখ্যাকে ২ দিয়ে গুণ করলে যা হয় সংখ্যাটির সাথে ২ যোগ করে বিপরীত ক্রম করলে ও তাই হয় । সংখ্যাটি কত ?
জাতীয়তাবাদী শাহেদ বলেছেন : ঘরে বসেই পুরুষের যেসব যৌণ সমস্যা সমাধান করা যায়
. . . . . . . . . যে সব বলদ পূজিবাদ অর্থাৎ ইউরোপ আমেরিকার দোষ দেয় , সেই সব বলদরা কি জানে ইউরোপ এবং আমেরিকায় মেয়েরা নিজের জীবন এবং পরিবার নিয়ে কত সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ? এইসব বলদদের কি বিন্দুমাত্র ধারণা আছে আইন সে দেশের মানুষদের ব্যক্তিঅধিকারকে কতটা সুরক্ষা করে , আঘাতপ্রাপ্ত হলে কিভাবে তার বিচার করে ?
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ইস্যুগুলো হলো - আফতাব অটোমোবাইলস , ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক , মবিল যমুনা , বেক্সিমকো , এম আই সিমেন্ট , মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স , লংকাবাংলা ফাইন্যান্স , ন্যাশনাল ব্যাংক , ওয়ান ব্যাংক , ও ইউনেইটেড এয়ারওয়েজ ।
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে নানান ছদ্মাবরণে এবং শিল্পের নামে মানুষের পশুত্ব শক্তিকে এমনভাবে উস্কাইয়া দেয়া হইতেছে যে , মানুষ আর মানুষ থাকিতে পারিতেছে না বরং বন্যপশুর রূপধারণ করিয়া চলিয়াছে । নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসনকে অবজ্ঞার ফলে আজ নারী - পুরুষের মাঝে শালীনতাবোধ বা লজ্জার আবরণ ছিন্ন - ভিন্ন হইয়া পড়িয়াছে এবং পাশ্চাত্যের পশ্বাচারনীতি চালু হইয়া যাইতেছে বলিয়া বেসামাল পুরুষ নারী - শিশুদের ওপর হিংস্র জানোয়ারের মতো দ্বিগুণ - ত্রিগুনমাত্রায় ঝাঁপাইয়া পড়িতেছে , এইসব দাবী কিন্তু আমার নহে বরং পর্দাপন্থীদের ! এই হতভাগা পত্রিকায় পড়িয়াছে যে , আমেরিকার স্কুলগুলিতে শিশুমাতার সংখ্যা দিনদিন আশংকাজনক হারে বাড়িয়াই চলিয়াছে । তাই শিশু ছাত্রীদের গর্ভরোধে ছাত্রদের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে কনডম রাখিবার নির্দেশ জারী করা হইয়াছে । এমনকি সেই পাশ্চাত্য বা আমেরিকাপন্থীদের ফ্রীসেক্সের দেশেও এক সেকেন্ডের জন্য বিদ্যুত চলিয়া গেলে হাজার হাজার নারী - শিশুও বা কেনো ধর্ষিতা হইয়া থাকে , তাহার জবাবও আমি প্রগতিবাদীদের ঝুলিতে খুঁজিয়া পাই নাই ।
মাহফুজুল ইসলাম , ১২ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : সরকারি - বেসরকারি , বিদেশি ও বিশেষায়িতসহ মোট ৮ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের চিত্র উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে । ব্যাংকগুলো হলো - সোনালী , অগ্রণী , কমার্স . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
তবে বেঁচে আছি একা নিদারুণ সুখে অনাবিষ্কৃত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বুকে অবর্ণনীয় শুশ্রূষাহীন কষ্টে যায় যায় দিন ক্লান্ত ক্লান্ত ক্লান্ত ।
দেশের বর্তমান পরিস্থিত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন সেদিন বলছিল যে , মগের মুল্লুকের কথা শুনে এসেছি এতদিন ; এবার আওয়ামী শাসনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি ।
লেখক বলেছেন : অধিকাংশই অপদার্থ , কিছু পুরুষও এদের চেয়ে কম নয় ! !
কুটির শিল্পঃতাঁত ৯০টি , বাঁশের কারিগর ২৬০জন , কাঁঠের কাজ ৩৬৪ , স্বর্ণকার ১৭৫ , কামার ৪০ , কুমোর ৩০ , দর্জি ৩৩০ ।
বাসন্তী রঙ শাড়ীতে আজ কি যে ভাল লাগছিল তোমায় , বৈশাখ মাসের এক তারিখে ভার্সিটির ঐ আমতলায় । মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে শুধু তোমায় আমি দেখছিলাম , তোমায় ঘিরে মনের মাঝে কল্পনার জাল বুনছিলাম । বধূ বেশে আসবে ঘরে এ আনন্দে মন দুলছিল , দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখা পুরোটাই যে ভুল ছিল । মেলার পাশেই জটলা করে ছেলে কতক দাড়িয়ে রয় , জানতাম নাকি তাদের মাঝেই একটা তোমার ছেলে বন্ধু হয় । তোমার পানে তাকিয়ে থাকাই আমার বড় কাল হলো , সবাই মিলে বেদম মেরে আমায় মূল সড়কে ফেলে দিলো । সেদিন থেকে আজ অব্ধি বিছনায় পরে রয়েছি , দিন নয় শুধু রাতের বেলায়ও স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছি ।
সমুদ্র সে তো মহা জলরাশি উত্তাল তরঙ্গ গজর্ন - বাতাসের শন শন কান্না , সে তো চাঁদে চোরকা কাটা বুড়ির মতন কষ্ট ।
প্রবন্ধটিতে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এম এল এম নামক যে বর্তমান সময়ের বহুল প্রচলিত এক প্রকার ব্যবসার বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে । প্রবন্ধকারগণ বিষয়টিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন । তারপর তারা কুরআন ও সুন্নাহ থেকে সেটির বিধান বর্ণনা করেছেন । সাথে সাথে তারা এ ব্যাপারে ফিকহ একাডেমী ও অন্যান্য বড় বড় আলেমদের মতামত উল্লেখ করেছেন ।
বন্ধুরা সবাইকে ধন্যবাদ । আিম বাংলা লেখার চেষ্টা করছি বাংলা েলখার িকন্তু েকমন যেন লাগছে । মনে হয় একটু সময় লাগবে । বন্ধুরা বলবেন কি আমাকে কিভাবে দাড়ি ( । ) দিব । আমি হাতে খড়ি দিচ্ছি । কেউ মাইন্ড কইরেন না । অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ । ক খ গ ঘ ঙ । চ ছ জ ঝ ঞ । ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম । য র ল ব শ । ষ স হ ড় ঢ় য় । ক্ষ ম্ম গ্ল ব্রা হ্ম কু ঞ্জ ঞ্জ জ্ঞ আমায় বলবেন কি ? কিভাবে খ্ন্ডত দিব ( হসনত ) । কিভাবে দাড়িঁ দিব ।
শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল বন্ধুরা তোমাদের প্রতি , বিদায়ের বেলা নয় কোন অপূর্ণতা পায়ে ঠেলে দেই সব দুঃখ - ক্ষতি । ।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জে গড়পাড়া সারথী কচিকাঁচা মেলার উদ্যোগে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । রচনা প্রতিযোগিতায় প্রায় বারশত ছাত্র - ছাত্রী অংশগ্রহণ করে । গত ২৭ মার্চ গড়পাড়া হাইস্কুল মাঠে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ করিম । অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , মেলার প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়ের সিদ্দিকি আবু । উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম তকিবুল , আবদুল মুন্নাফ পুলিশ কর্মকর্তা মো . আবু তাহের , শাঁকরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইফ্ফাত জাহান প্রমুখ । বিজয়ী ভাইবোনেরা হলেন , দীপা বকসী , ইরানা আক্তার , হূদয় শকদার , সুমি আক্তার , নাজিফা আক্তার , সাফিন আহমেদ , শিরিন আক্তার , মঈন উদ্দিন আহমেদ পিয়াম , কাজী নেহা , মো . শান্তি আলম , ফারজানা আক্তার ঋতু , জাসিয়া সিদ্দিকী , আর্থি , নিলয় সরকার , মেজবাউদ্দিন , তনিমা দেওয়ান , ইফতি খানম , হাসনা আক্তার , পূজা কর্মকার , ভানা দেওয়ান , রানা মিয়া , আকাশ আহমেদ , আকিব আল মামুন , মো . আব্দুল্লাহ , সোলাইমান । সাহিত্য আসর গত শুক্রবার বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ১৮তম মাসিক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে । আসরে সভাপতিত্ব করেন মনিরুজ্জামান খান মজলিস । প্রধান আকর্ষণ ছিল ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের উপস্থিতি । তিনি লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন , কবিদের জীবন অনেক কঠিন । এ কঠিনকে যারা ভালবাসে , কবিতা লেখে , আমি তাদের সাফল্য কামনা করি । তিনি আরো বলে , আমি আমার জীবনে একটা কবিতা লিখেছি । তখন আমি ছাত্র । পরে তিনি সেই কবিতার কয়েক চরণ পাঠ করেন । যে রকম দেশ সে রকম রাজা সে রকম বেশ হাতে সুটকেস । আসরে স্বরচিত লেখা পাঠ করেন জারিফ খান মজলিস মো . শরীফ সিদ্দিকী , নুসরাত জাহান ইরা , হূদয় , ইয়াসমীন নাহার , তামান্না চৌধুরী , ইকবাল যাদু , মনিরুজ্জামান খান মজলিস , জাকির আহমেদ খান , মাসুম হাবিব , নাসীমুল বারী প্রমুখ । পঠিত লেখা নিয়ে আলোচনা করেন হানিফ খান । পথ শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রতি রাজধানীর আহসান মঞ্জিলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহরাঞ্চলের পথশিশুদের সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড . শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি । তিনি বলেন , পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ দেশের সব শহরের পথশিশুকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে । তিনি আরো বলেন , শিশুদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব তারিক - উল ইসলাম , যুগ্ম মহাসচিব রিয়াজ উদ্দিন , ইউনিসেফের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিশেল ফ্রেন্টলট প্রমুখ ।
শেখ - হাসিনার দার নামকি ? শেখমুজিব কোথায় কোন বংশে জন্ম গ্রহন করেছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরটা আমার একটা পরিক্ষার জন্য জানা খুব প্রয়োজন ছিল । তাই সকল ব্লগারদের কাছে জানাতে চেয়েছিলাম । কিন্তু আমার পোষ্টটি কেন সরিয়ে দেওয়া হলো ? আমি তার জন্য সবিনয়ের সাথে প্রতিবাদ জানাচ্ছি । কারণ আমরা যে মানুষটিকে বাংলার একমাত্র পুরুষ বলে জানি তার ইতিহাস জানা এই প্রজন্মের জান্য জরুরী । তাই একটি অজানা বিষয় জানতে চাওয়াকি অপরাধ ? যদি তাই হয় তাহলে কেন আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি ? যে দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস যুদ্ধ করে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে সেই দেশের মানুষ কেন স্বাধীন পিতার বংশ পরিচয় জানতে পারবে না । জানতে চাইলে তার মুখ বন্ধ করে দিতে চায় এর রহস্য কি ? সবার কাছে জানতে চাই . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
Previous : সংগ্রহ করুন উবুন্টু জন্টি জ্যাকোল্প ( ৯ . ৪ ) ডিভিডি বিনামূল্যে Next : ইনফ্রারেকোর্ডার একটি দুর্দান্ত ডিভিডি / সিডি রাইট করার সফটওয়্যার
আর এ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে নষ্ট বা বাতিল হয়ে যাওয়া বাতি সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়টি মাথায় না রেখেই ।
ভাল কিছু অনুকরণের মধ্যে তো দোষের কিছু নেই । বরং ভাল ।
এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক চিরকুমার এম এ বশির মিয়ার ৮তম মৃত্যু বার্ষিকী গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পিটুয়া গ্রামে পালিত হয়েছে ।
নিরবতা কাছে টানে নিরবতা দূরে ঠেলে আমি নিরব ছিলাম । আপনারা ? ব্লগ এ এই বিষয়ে ময় মুরুব্বিদের কিছু লেখার জন্য অনুরুধ করছি ।
নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার , চট্টগ্রাম , নোয়াখালী , ফেনী , লক্ষ্মীপুর , ভোলা , বরিশাল , পটুয়াখালী , বরগুনা , চাঁদপুর , পিরোজপুর , ঝালকাঠী , বাগেরহাট , খুলনা , সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা ও সংলগ্ন দ্বীপগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনকে ব্যবহার করেছে বিএনপি - জামাত জোট সরকার , যাতে করে এ নিয়েও অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা যায় । আর বিএনপি - জামাতের পাতা ফাঁদেই পা দিলো বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার - এমনই মনে করছেন অনেকে । প্রসঙ্গত গত ১ জুলাই ২০০৯ বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক , স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শ্রম , স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর নামেই পুনর্বহাল করা হয় । এই নতুন নামফলক উন্মোচন করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান ।
এখানে যে কোনো দুইটি বিবেচ্য বিষয়কে পরষ্পরের সাথে তুলনা করে বেশি গুরুত্বপূর্ণটাকে ১ এবং কমটাকে ০ মান দেয়া হয়েছে । প্রথমে বিবেচ্য - ১ এর সাথে বিবেচ্য - ২ এর তুলনা করে দেখতে হবে যে কোনটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । বেশি গুরুত্বপূর্ণটাকে ১ এবং কমটাকে ০ দিতে হবে । এভাবে প্রতিটার সাথে প্রতিটার তুলনা করতে হবে । বিবেচনার তালিকায় একটা ডামি বিবেচ্য রাখতে হবে যেটা সবগুলোর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ হবে । ওটা না দিলে এই পদ্ধতিতে যে কোন একটা বিবেচনার আপেক্ষিক গুরুত্বের মান শূন্য হয়ে যেতে পারে । আমার কাছে বাসার আকারের চেয়ে ভাড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ লেগেছে , তাই ভাড়া ( বিবেচ্য - ১ ) এর জন্য ১ এবং বিবেচ্য - ২ ( আকার ) এর জন্য ০ দিলাম । কিন্তু শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব ভাড়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এক্ষেত্রে বিবেচ্য - ১ = ০ আর বিবেচ্য - ৩ = ১ দিলাম । তাই ক - সংখ্যাক বিবেচ্য থাকলে ক × ( ক + ১ ) / ২ টি ( এক্ষেত্রে ২১ টি ) জোড়া তুলনা করতে হবে । কোনক্ষেত্রে দুইটি বিবেচ্যকে সমান গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে উভয়কে ০ . ৫ করে দেয়া যেতে পারে । এভাবে সবগুলো তুলনা হয়ে গেলে প্রতিটি বিবেচ্য বিষয় মোট কত পয়েন্ট পেয়েছে সেটা যোগ করতে হবে । তারপর সবগুলো বিবেচ্যর প্রাপ্ত নম্বরগুলো যোগ করে প্রতিটি বিবেচ্যর মোট পয়েন্টকে এই যোগফলের ভগ্নাংশ হিসেবে প্রকাশ করলেই সেটা আপেক্ষিক গুরুত্বের মান নির্দেশ করবে ।
নীলুটা অঝোরে কাঁদে । কী করে যেন জানতে পেরেছে , আমি বাড়িটা আমার অসহায় মেয়ে নীলুর নামে লিখে দেওয়ার মনস্থ করেছি , সেই থেকে মেজো মেয়ের বরটা আরও অসুর হয়ে উঠেছে । এইসব যন্ত্রণায় আমার নীলাঞ্জনাটা আরও নীল হয়ে যাচ্ছে ।
মিউজিত মোগল সিমন কোয়েল ঘোষণা দিয়েছিলেন , তার বাগদত্তা আফগান সুন্দরী মেজগান হুসেইনিই তার একমাত্র সঙ্গী । কিন্তু সম্প্রতি গুজব উঠেছে , তাদের ভেতরকার সম্পর্ক নাকি ভালো যাচ্ছেনা । খবর ডেইলিমেইল অনলাইনের । সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে , আমেরিকান আইডলে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন হুসেইনি । সেখানেই কোয়েলের সঙ্গে প্রথম পরিচয় তার । এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাগদান সম্পন্ন হয় তাদের । এই গ্রীষ্মেই তাদের বিয়ে করার কথা ছিলো । কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিয়ের তারিখ ঘোষণা করেননি তারা । এমনকি হুসেইনি নাকি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বলেছেন , ইদানিং তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা । সংবাদমাধ্যমটি আরো জনিয়েছে , এ প্রসঙ্গে হুসেইনির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেছেন , ' হুসেইনি জানিয়েছে , তাদের ভেতরকার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা । কোয়েলের সঙ্গে কখনোই একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেনা সে । কারণ কোয়েল এখন তার পুরনো সঙ্গীদের পেছনেই বেশি সময় ব্যয় করছে । ' জানা গেছে , তিনি আরো বলেছেন , ' তাদের সঙ্গে দেখা - সাক্ষাৎও খুব একটা হচ্ছেনা । অথচ কোয়েল যখন এক্স ফ্যাক্টরের কাজ শুরু করেন , তখন হুসেইনি লন্ডন চলে এসেছিলেন তাকে সাহায্য করার জন্য । কিন্তু তখন কোয়েলের বাসায় হুসেইনিকে বেশিরভাগ সময়ই একাকী কাটাতে হয়েছে । এই গ্রীষ্মেই তাদের বিয়ের কথা থাকলেও , এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি । হুসেইনি এখন লস এঞ্জেলসে ফিরে গেছে তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে । সে আদৌ সেখান থেকে ফিরবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই আমরা । ' উল্লেখ্য , ৫১ বছর বয়সী কোয়েল এখন একাকী সময় কাটাচ্ছেন । আর ৩৭ বছর বয়সী হুসেইনি লস এঞ্জেলসে তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সেখানে অবস্থান করছেন । বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম / তানভীর / এইচবি / অক্টোবর ২৮ / ১০
আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাহলে স্বীকার করে নিলেন যে , বিরোধীদলের নেতা - কর্মীদের বিরুদ্ধে অহেতুক বা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করা হয় । শুধু মুখের কথায় না বরং সরকারের সকল কার্যকলাপ প্রধানমন্ত্রীর আহবানের মতো পজিটিভ হবে সেই প্রত্যাশা রইলো ।
প্রসঙ্গত এটুকুই বলব , ওই সময় , সরকার বাদে অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কি কি বক্তব্য দেয়া হয়েছিল তার কোনো বিবরণ ( সংক্ষিপ্ত হলেও ) কোথাও পাওয়া যাবে কি ? ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ন্যাপ , সিপিবি , জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহণ করেছিল । এদের নির্বাচনী কর্মসূচীতে এ নিয়ে কোনও বক্তব্য ছিল কি ( আমি জানার জন্যে বলছি ) ? কিংবা ওই সময় প্রকাশিত মননশীল কোনও পত্রিকায় ( হতে পারে মাসিক সমকাল বা সংস্কৃতি অথবা গণসাহিত্য ) এসব প্রসঙ্গে কোনও আলোকপাত করা হয়েছিল কি ? আমার চোখে পড়েনি ।
( এই লেখাটি পড়েছেন : ৩৫২৫ জন )
{ { তোমার মজে নিজেকে বোলে বলে > ( তোমার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেব বলে ) } } ধরে নিয়ে পড়লাম ছোট কিন্তু ভালো লাগলো . . . আরও মনোযোগ দাবি করছি . . . .
প্রজন্ম ফোরাম » রাজনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট » স্বরাষ্ট্রপ্রতি মন্ত্রী কোথায়
- তোমাকে বিয়া করতে অইবো . . - আজকের দিনের মধ্যেই . . - কোন কথা নয় , চলো আমাদের লগে । তিনজন মুরুব্বীর এমন অবান্তর কথা শুনে আমি চমকে গেলাম । আমি জীবনে হয়তো এমন রসহীন - কমান্ডিং কথা কোনদিন শুনিনি । আমি মুরুব্বীদের চিনি ও জানি । পাশের গ্রামের একজন হাছেন মুনশি , বাকি দুজন একই গ্রামের Read More . . .
শিক্ষক নিয়োগ : গত ৯ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল । দেশের ১ হাজার ৯৬৮টি সহকারী শিক্ষক / শিক্ষিকা পদের বিপরীতে এ পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন সারাদেশের ৯টি শিক্ষা অঞ্চলের মোট ১ লাখ ৩২ হাজার পরীক্ষার্থী । কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্রের অনুলিপিসহ ১৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয় । এর মধ্যে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসের কয়েক কর্মচারীও ছিল । পরবর্তী সময়ে বিজি প্রেসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে । প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাত্ক্ষণিকভাবে পরীক্ষাটি স্থগিত করে । কয়েকদিন আগে মাউশি থেকে এ পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ৭ জানুয়ারি ।
শিল্প : একসময় খুলনা শিল্পশহর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বর্তমানে এখানকার বেশিরভাগ শিল্পই রুগ্ন । পূর্বে খুলনাতে দেশের একমাত্র নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল ছিল , যা এখন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । খুলনার বেশির ভাগ পাটকলগুলোও একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে খুলনার উল্লেখযোগ্য শিল্প হলো বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা রপ্তানিযোগ্য মাছ শিল্প ।
ডিউরডান্ট শিমুল বলেছেন : থাক ফটোটা , দেখি - - - - আর হ্যাঁ , অনেকেই এরুপ পরিস্থিতিতে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।
পোস্ট করা হয়েছে : বুধ এপ্রিল ১৩ , ২০১১ ৪ : ৪৭ অপরাহ্ন
পাহাড়ের কান্না বলেছেন : অল্প বয়সে ছ্যাকা খাইলে প্রানে বাঁচাতা না
এডমিন এবং লেখক উভয় পক্ষকেই স্বাগতম জানাচ্ছি যথাক্রমে পোস্টটিকে যুক্তিযুক্ত কারণে অপসারণ করায় এবং যুক্তি মেনে নিয়ে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ন মনোভাবের পরিচয় দেয়ায় । সাহাদাত উদারজি - কে সন্মানপ্রদর্শনপূর্বক নাগরিকব্লগে স্বাগতম ! ফুল খুশি বুখে আয় বাবুল
ঢাকা , ২৭ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : পিলখানা সদর দফতরে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে বিডিআর ( বর্তমানে বিজিবি ) ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ১০৮ জওয়ানকে সর্বোচ্চ ৭ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে । এছাড়া অপর ৫৪৯ জওয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত । একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে । অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জওয়ানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত । খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন হাবিলদার আব্দুল খালেক , নায়েক শ্রী তপন কুমার দেবনাথ , ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম আজাদ , সিপাহী শামিম রেজা , সিপাহী রিয়াজুল ইসলাম , শাহিন ফরাজী , রবিউল ইসলাম , এমরান মিয়া ও হাবিবুর রহমান । অন্য কোন মামলা না থাকলে তাদের অতিসত্বর মুক্তি দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে । পিলখানায় সংস্থার দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত - ৭ এর সভাপতি বিজিবি ' র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম এনডিসি , পিএসসি আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন । মামলার প্রসিকিউটর মেজর খান মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন । এ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পিলখানায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয় । সেনাবাহিনী , আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন , র্যাব এবং পুলিশের সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়া হয় । পিলখানার ভেতরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ব্যাগ পর্যন্ত তল্লাশি করেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা । আদালত শুরুর আগে সকাল নয়টার দিকে অভিযুক্তদের কাঠগড়ায় উঠানো শুরু হয় । তাদের পায়ে ডাণ্ডা বেরি পড়ানো ছিলো । কারো পায়ে জুতা ছিল না । সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে এজলাসে আসন নেন সভাপতি । আদালতের সদস্য লে . কর্নেল মো . মোজাম্মেল হোসেন , মেজর সাইদ হাসান তাপস এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো . সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে আসন গ্রহণের পর রায় দেয়া শুরু করেন আদালতের সভাপতি । প্রথমেই আসামি গোফরান মল্লিককে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা শুরু হয় । এরপর একে একে রায় দেয়া হয় অন্য আসামিদের । মাঝে আধঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত রায় ঘোষণা করা হয় । রায়ে ৬ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় ৯ জনকে , ৫ বছর ৮ জনকে , সাড়ে চার বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় ৩ জনকে , চার বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ২৬ জনকে , সাড়ে তিনবছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৫৭ জনকে , ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৫২ জনকে , ২ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ১৮ জনকে , ২ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৮২ জনকে , ১ বছর ৬ মাস করে ৫৫ জন , ১ বছর করে ৬৭ জনকে , ৯ মাস করে ৩৪ জন , ৬ মাস করে ৪৭ জন এবং ৪ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৮৯ জনকে । উল্লেখ্য , ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সদর দফতরে বিদ্রোহের অন্যতম কমান্ড ফোর্স ছিলো ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন । হত্যা , গুম , নির্যাতন , লুট , অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যা এ ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহী জওয়ানরা করেনি । বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহীদের হাতে ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের লে . কর্নেল লুৎফর রহমান , মেজর মোমেন ও মেজর মাকসুমুল হাকিম নিহত হন । গত বছরের ৩১ মার্চ বিশেষ আদালত - ৫ এ ব্যাটালিয়নের ৬৬৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুবেদার মতিউর রহমান । পরবর্তীতে দু ' জন মারা যাওয়ায় আদালত তাদের অব্যাহতি দেন । অভিযুক্ত ৬৬৬ জনের মধ্যে একজন সুবেদার মেজর , পাঁচজন সুবেদার , ১৩ জন নায়েব সুবেদার , ৩৭ জন হাবিলদার , ২১ জন নায়েক , ৩৮ জন ল্যান্সনায়েক এবং ৫৫১ জন সিপাহী রয়েছেন । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / এমজে / টিএইচ / এমএইচ / ১৩ . ২৫ঘ . )
অর্থাৎ শিশুকামী প্রতিরোধ কমিটিতেই শিশুকামী ! হয়তো উপায়ও ছিলো না । কারণ ভ্যাটিকানে অ - শিশুকামী যাজক খুঁজে বের করা দুঃসাধ্য বলেই মনে হয় ।
ঢাকা , ১০ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : যন্ত্রসভ্যতার সঙ্গে মানুষের দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মিত নাটক মুক্তধারা । উত্তরকুট ও শিবতরায় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সম্পর্কের মাঝে রয়েছে টানাপোড়েন । শিবতরায় অঞ্চলের প্রজারা সহজ - সরল । অন্যদিকে উত্তরকুটের লোকজন কুটিল . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
চির উন্নত মম শির বলেছেন : লুংগি ছাড়া আমার ও চলে না । তবে আমি একটা সাবধানতা অবলম্বন করি সেটা হচ্ছে শোয়ার সময় লুংগির নিচে গিট দেয়া । No tension
স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোর থাকছে বিশেষ আয়োজন । তাদের তৈরি পোশাকের রং , মোটিফ - সবকিছুতে উঠে আসছে এর আবহ । দেখুন তারই এক ঝলক কে ক্র্যাফট ' জাগো বাংলাদেশ ' শিরোনামে পোশাকের সংগ্রহ এনেছে কে ক্র্যাফট । প্রধানত সুতি কাপড়ে তৈরি এই সংগ্রহে রং হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে সবুজ ও লাল । শাড়ি , সালোয়ার - কামিজ , ফতুয়া ও টপস , পাঞ্জাবি , টি - শার্ট , শাল , ব্যান্ডানা , স্কার্ফ [ . . . ]
অ্যাপল সূত্র মতে , এরই মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ গ্লাস কাটিং মেশিন নিজ থেকে ক্রয় করা হয়েছে । অ্যাপল ফোর্থ জেনারেশনের ' আইপ্যাড ন্যানো কার্ভড গ্লাসের স্ক্রিন ' নিয়ে কাজ করছে ।
শিলে পাডায় ঘষাঘষি , মইচের জীবন শেষ বলেছেন : ভাই গো . . . এতো বড় পুষ্ট . . . পড়তে তো ডর লাগে . . .
লেখক বলেছেন : আপনার প্রতিবাদের ভাষার সাথে সুর মেলালাম !
১ - পানির গ্লাস কে সে উলটা করে রাখতে পছন্দ করে ( উলটা হোক আর সোজা হউক গ্লাস তো গ্লাসই তাই না ? )
আজকাল তোমাকে চিরকুট লিখে দেয়া হয়না , কাগজের পর কাগজ ছিড়ে ছিড়ে ফেলেছি মেঝেতে বানান ভুলগুলো তোমার ঠিক আঁতে লাগতো । অথচ তুমি আমাকে শুধরাতে পারোনি ! সেই অভ্যেসটা এখনো বহন করছি , ইরেজ বাটনে ক্লিক করে তা শুদ্ধ করেই যাই । জানো , ক্যানো য্যানো আমার ইরেজ বাটনে কাজ হয়না । অথচ তুমি ক ' তো সুন্দর করে আমায় শুদ্ধ করতে ।
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন : আমি ভাই শান্তিবাদী পাবলিক । এইসব গদাম - টদামে নাই ।
এখানে তো দেখা যাচ্ছে সে আপনাকে কাজটা দেয়নি বরং রিপ্লাই করেছে শুধু । ভিওয়ার্কার সাইট থেকে একটা মেসেজ পাবেন যাতে লেখা থাকবে কাজটা আপনাকে দেয়া হয়েছে । এই লোক দুই নম্বর মনে হচ্ছে । তাই আরেকটু যাচাই করুন ।
চতুর্থতঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ সকল বস্তুর সৃষ্টি কর্তা ইহার প্রতি ঈমান আনা ।
লেখক বলেছেন : এরপরও প্রতিবছরই খালেদা জিয়া নির্লজ্জভাবে এই দিনটা পালন করে যাবেন ।
হ্যাঁ , এটা ট্রান্সলেইট করে দিলে ভালো হত । তাহলে একটাবাংলা ফোরামের সবকিছু বাংলায় থাকতো ।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ , বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার , মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী এবং কয়েকশ ' সদস্য উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে শ্রম , প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসেননি । সদস্যদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আলহাজ আবুল হোসেন , মিজানুর রহমান মজুমদার , মো . আবুল বাশার , সিফাত উল্লাহ , সিরাজ মিয়া , নুমান শামীম প্রমুখ ।
এদিকে ৬ মাস আগে যশোরের সিংয়া রেলস্টেশন এলাকার তেল চোর সিন্ডিকেট প্রধান মুকুলকে র্যাব ট্রেনের তেলসহ আটক করে । এ ঘটনায় খুলনার অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে র্যাব । এরপর জামিনে এসে মুকুল ও রবিউলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট আবারও বেপরোয়াভাবে শুরু করেছে তেল চুরি । রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তা , কর্মচারী , চালকসহ স্থানীয় পুলিশের দুর্নীতিবাজ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সংঘবদ্ধ দলটি দীর্ঘদিন ধরে তেল চুরি ও বিক্রি করছে । যে কারণে প্রশাসন কখনও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে ।
২৭৬ বার পঠিত | ৪৩ টি মন্তব্য | রেটিং + ২ / - ০ | বাকিটুকু পড়ুন |
অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয় । যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয় , তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ।
কপি করব কি লিনাক্স এর সিডিটা ? কপি করলে এটা জমা হবে কোথায় ? ড্রাইভে ?
লাল চাঁন বলেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ , আমারও একই প্রশ্ন
যাউগ্গা . . আপনের সংগে তর্ক করতে গেলে পোস্ট হারায়ে যাইবো . . তার চেয়ে আপনে আপনারটা নিয়া ক্ষেপতে থাকেন . . আমি আমারটা নিয়া খুশি থাকি . . হাউ ' বাউট দ্যাট ?
দল - নিরপেক্ষ সাধারণ প্রবাসীদের মতামত সংগ্রহকালে এনা জানতে পেরেছে , হিলারীর সাথে বৈঠকের আগাম তথ্য এবং পরবর্তিতে হিলারী কর্তৃক তার ভাইয়ের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশের তথ্য প্রকাশ করে প্রকারান্তরে বিএনপি সম্পর্কে স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা ওবামা প্রশাসনের বিরুপ একটি ধারণা তৈরী করা হলো । শুধু তাই নয় , বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বেগম জিয়া সম্পর্কে স্টেট ডিপার্টমেন্টেও বিভ্রান্তিকর ধারণা জন্মাতে পারে । তাই সময় থাকতেই বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিষয়টি মূল্যায়ন করা জরুরী বলেও প্রবাসীরা মনে করছেন । প্রবাসীরা আরো উল্লেখ করেছেন যে , এখন কোনকিছুই গোপন রাখা সম্ভব নয় । আগের মত বাঙালিকে আর হুজুগে বাঙালি মনে করারও কোন কারণ নেই ।
প্রকৃতিতে মানুষ ভূল করে , তাই বানান ভূল হলে মাফ করে দিয়েন ।
আমাদের প্রতিদিন রিপোর্ট : বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ।
লেখক বলেছেন : জন্মদিন কেমন কাটালেন মির্জা সাহেব ? সময়মত শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেছি । কিন্তু তাতে কি ! আগামী বছরের জন্মদিনের শুভেচ্ছা অগ্রিম এবং সবার প্রথমে জানাচ্ছি । ভাল থাকুন । আপনি আড্ডা - আলোচনায় নিয়মিত বেশ । ব্লগ দিবসকে সার্বজনীন করতে আপনার পরামর্শ আয়োজকদের উপকৃত করবে নিশ্চিত । লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
কিন্তু গুড়াদুধের মেলামাইনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম । আমি মনে করি না যে ব্যবসায়ীরা এরকম একটা ক্ষতিকর জিনিষ জেনেশুনে তাঁদের দোকানে এনেছেন / রেখেছেন । বরং আমদানীকারক ব্যবসায়ী হয়তো জেনেশুনে কাজটি করেছে ( তেজষ্ক্রিয় গুড়াদুধের পর্বটা মনে পড়ে যায় ) ।
তীরান্দাজ বলেছেন : লুৎফর রহমানের ব্লগে সফর করলাম । সব দেখি মাইক্রো ছড়ার ছড়াছড়ি । বুঝলাম না । ভাই কি মাইক্রো ক্রেডিটের ব্যবসা করেন নাকি ?
আহতরা হলেন ছাত্রদল নেতা জুয়েল , সাইদুর , আলাউদ্দিন , মিলন , নয়ন , শামীম , আলম , হাবিব , ডিজেল , আলমগীর , আলী হোসেন , সামাদ , শাহীন রেজা , বকুল , সাফি , তুহিন , এমদাদ , সাইদুর , ওয়াহেদ , জাহিদ , মন্টু প্রমুখ । গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাসুম ও তরিকুলের নাম জানা গেছে । তবে বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেছেন , তারা কাউকে গ্রেফতার করেননি । তিনি দাবি করেন , বিনা অনুমতিতে সাহেববাজারের বড়রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে নিষেধ করে । কিন্তু এরপরও তারা সমাবেশে চেষ্টা করলে পুলিশ লাটিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ।
এছাড়া ' আল্টিমেট ইয়ারস ২০০ ' ও ' ২০০ ভিআই ' মডেলের হেডফোনের সঙ্গে থাকছে একটি ফ্রি প্রটেকটিভ কেস । আর ' আল্টিমেট ২০০ ভিআই ' ইয়ারফোনের সঙ্গে আছে ' অন কড কন্ট্রোলার ' । ফলে মিডিয়া প্লেয়ারের সাহায্য ছাড়াই এ বিশেষ বাটনের মাধ্যমে রিওয়ার্ড - ফরওয়ার্ড করা যাবে ।
এসময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বিদ্যালয়ে দৌড়াতে থাকেন । এ ঘটনা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় । অবিলম্বে শরীর চর্চা বিভাগের শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করেছেন অভিভাবকবৃন্দ । এসময় হাসপাতাল প্রাঙ্গনে অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় । স্থানীয় এলাকা ও শিক্ষার্থীদের ভাস্যমতে জানা গেছে , প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিভাগের শিক্ষক কামরুল হাসান বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ৩ ' শত শিক্ষার্থী নিয়ে শরীর চর্চা করাচ্ছিলেন । এসময় হঠাৎ পিছনের লাইনে দাড়িয়ে থাকা কয়েকজন ছাত্রী গল্প গুজব করতে থাকে । ছাত্রীদের গল্প গুজবে দেখে শিক্ষক কামরুল হাসান উত্তেজিত হয়ে শাস্তি স্বরূপ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ২ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে কান ধরে ৫৫ বার উঠবস করান । এসময় কয়েকজন ছাত্রী কান্ত হয়ে পড়লে তা দেখে ঐ পাষন্ড শিক্ষক তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন প্রয়োজন হলে আজ এ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে বিদ্যালয় থেকে তোমাদের নেয়া হবে । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের অবস্থা দেখে এমন শাস্তি দিতে তিনি ঐ শিক্ষককে বাঁধা প্রদান করেন । কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কথার কোন তওয়াক্কা না করে তিনি তাদের শাস্তি দিতে থাকেন । কান ধরে ৫৫ বার উঠবস করানোর পর শিক্ষার্থীরা যার যার ক্লাশে চলে গেলে ৬ষ্ট , ৭ম ও দশম শ্রেণীর করে মেঝে কয়েকজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে । তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন করে এ্যাম্বুলেন্সে করে ছাত্রীদের হাসপাতালে নেয়া হয় । পরবর্তীতে দেখা যায় এক এক করে প্রতিটি ক্লাশে ৫ / ৭ করে অজ্ঞান হচ্ছে । কয়েকজন ছাত্রীদের এমন অবস্থা দেখে বিদ্যালয়ের বাকী শিক্ষার্থীরা ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন । অনেক শিক্ষার্থী তাদের বাড়ীতে গিয়েও অজ্ঞান হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , অজ্ঞান হয়ে পড়া ৫২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরায় তাদের বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে । বাকী ৫জনের মধ্যে ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অপর ৪জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার শারমিন জানান । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী জানান " লাইনে দাড়িয়ে আমরা পিটি করছিলাম । এসময় লাইনের পিছনে দাড়ানো কয়েকজন ছাত্রী কথা বলছিলেন । তা দেখে স্যার উত্তেজিত হয়ে আমাদের সকলকে বলেন ৫২ বার কান ধরে উঠবস করার জন্য " । নাম প্রকাশ না করার জন্য বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী জানান " পায়ে হেটে আমরা বিদ্যালয়ে এসেই বিশ্রাম না নিয়ে পিটি করি । কোনদিন আমরা বিরক্ত বোধ করিনি । কিন্তু আজ লাইনে দাড়িয়ে একটু কথা বলায় স্যার আমাদের এত বড় শাস্তি দিয়েছেন । একদিকে মাথার উপরে খাঁড়া রোদ অন্য দিকে ৫৫ বার উঠবস করতে করতে আমরা অজ্ঞান হয়ে পড়েছি । " বাড়ীতে অজ্ঞান হয়ে পড়া এক ছাত্রীর পরিবারের সাথে আলাপ করলে জানাযায় " ৩ / ৪ জন লোক তাহার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় বাড়ীতে নিয়ে আসেন । সাথে সাথে তারা ডাক্তার এনে সেলাইন দিয়েছেন । সন্ধ্যা ৭টায় পুণরায় ফোন করলে জানাযায় ঐ শিার্থীর জ্ঞান এখনও ফিরেনি । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তন্ময় ভট্টাচার্য জানান " আমরা জানিনি কেন ছাত্রীরা অজ্ঞান হয়েছে । হিস্টিরিয়া অথবা অতিরিক্ত গরমে এ অবস্থা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে তিনি ধারনা করছেন । তবে আশঙ্কার কোন কারন নেই । এমনটা কেন হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য ২জন ছাত্রীকে রাখা হয়েছে । পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে । এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশ কুমার দাস জানান " শরীর চর্চার জন্য যদি ছাত্রীদের এ অবস্থা হয় তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা নেয়া হবে " । অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি । উপজেলা নির্বাহী অফিসার এজেড এম নুরুল হক জানান " ছাত্রীরা অজ্ঞান হয়েছে আমি জেনেছি । তবে কি কারনে অজ্ঞান হয়েছে তা এখনও জানিনি । "
তবে জাইহানের মতে , দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ' দক্ষতা ' এবং প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে দেখলে একটি মুক্ত পুঁজিবাদী ব্যবস্থার তুলনা হয় না । অন্তত আমেরিকার ক্ষেত্রে , এর পৃথিবীব্যাপী প্রভাব কি , সেটা আমরা পরের পর্বে দেখবো । সঙ্গে শুরু করবো রাশিয়া নিয়ে আলোচনাও ।
বিনোদন বাংলা ডেস্ক ( ১৩ জুলাই ) : এখনও যেন আকাশে উড়ছেন বলিউডের এই হিরো ৷ উড়ছেন তাঁর স্বপ্ন - উড়ানে ৷ শাহিদ ' এর কথায় , ' আমি ভাগ্যবান ৷ কারণ মনে হয় না , আর কোনো অভিনেতা এফ - ১৬ ' এর মতো একটি যুদ্ধ বিমান ওড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন ৷ কথাটা একেবারে খাঁটি ! শাহিদ ' ই প্রথম বলিউড অভিনেতা , যিনি ঐ যুদ্ধবিমানে চালকের আসনে বসার সুযোগ পেয়েছেন ৷ কেন বলুন তো ? শাহিদের নতুন ছবি ' মৌসম ' পর্দায় আসেছে আগামী সেপ্টেম্বরে ৷ পরিচালক বাবা পঙ্কজ কাপুর ৷ বলাই বাহুল্য , এই সিনেমাটির হাত ধরেই পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে পঙ্কজের ৷
লেখক বলেছেন : আপনাকে ব্যাপক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা । ব্যাপক ভালো কাটুক সময় ।
আপনার চিন্তা ভাবনা দেখে আমি অভিভূত । বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যদি এরকম হতো ? ? ? ?
১৯৫৩ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি মাত্র সাতটি বিভাগের ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা করে ।
আর কতো ? ক্লান্তি লাগে এসব নিয়ে কথা বল্তে । গত সরকারের আমলে নিজ এলাকায় এই শুওরদের কার্য্যকলাপ নিয়ে কথা বল্তে গিয়ে বহুবার লাঞ্ছিত হয়েছি । ১৬ বছর একই এলাকায় বাস করেও যে এলাকাবাসী আমাকে কখনোই কোনো কথা শোনানোর সুযোগ পায় নাই , এই শুওরের বাচ্চাদের জন্য সেই এলাকাবাসীই আমাকে শাঁসিয়েছে আর নর্দমার শুওররা আমাকে . . . . অবাক লাগে , কীভাবে এরা মানুষকে সহজেই বায়াস্ড করে ফ্যালে ! কষ্ট পাই - ওই সরকারের আমলে যেটা ছিলো স্বাভাবিক , কিন্তু এখন এই শুওরের পালদের এতো সাহস আসে কোত্থেকে ? তার ওপর পুলিশ - প্রশাসনও নাকি নীরব ভূমিকা পালন করেছে । এসব থেকে কী প্রমাণিত হয় ! জ . বাঙাল , আপনার ব্যাখ্যা ' র সাথে আমি একমত , তবে কিছুটা যোগ করি এখানে - চট্টগ্রাম , রাজশাহী ও শাহজালাল ( আপনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বাদ দিয়ে গেছেন ) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ( যাদের আমি নর্দমার শুওরের চেয়েও বেশি ঘৃণা করি ) এর রাজত্ব কায়েমের পেছনে রয়েছে অনেক বছর ধরে লালিত নীল নকশা । বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ - পাশের এলাকাগুলোতে রয়েছে শিবিরের প্রচুর মেস , যেগুলো তাদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ওইসব এলাকায় আপনি এই শুওরপালদের রেফারেন্স ছাড়া কোথাও থাকার সুযোগ পাবেন না , নরমালি । ব্যাচেলর হিসেবে কোনো বিল্ডিং - এ তো নয়ই । অথচ শুওরদের সার্টিফিকেট থাকলে আপনার সব মুশকিল আসান । তাদের অগ্রজ শুওররা আগে ওইসব এলাকায় বাস করতে করতে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গেছে ; তাদের মুখোশ পরা আচরণ দিয়ে তাদের ভেতরে ঢুকে গেছে ; লজিং থেকেছে - তারপর ওই এলাকাগুলোতে বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছে । তাদের আশ্রয়েই এখন অনুজ শুওররা চ ' রে বেড়াচ্ছে । এলাকা গুলোর প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে এমনকি স্থানীয় প্রশাসন ও গুরুত্বপূর্ন পজিশন গুলোও শুওরপালের দখলে । এভাবেই এই সোয়াইন - ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে । শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় , এসব এলাকার স্কুল - কলেজ গুলোতে এবং বাসা - বাড়িগুলোতেও শুওরপালের দাওয়াতী অভিযান চলে । [ উৎসাহী পাঠক খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন সত্য - মিথ্যা ] এই শুওরপাল যদি সমূলে উৎখাত করা না হয় , অর্থাৎ সংগঠনটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা হলে এই শুওরপাল অচিরেই শিক্ষাঙ্গনগুলো নর্দমা বানিয়ে ফেলবে ।
রামু ডিগ্রি কলেজের প্রয়াত অধ্য , পরিবেশবাদী ও নারী নেত্রী শারমিনা আফরোজ রেশমিন ' র নাগরিক শোক সভা আগামী . . .
ভোট দিয়েছেন ১৫ জন | পোস্টটি ১ জনের ভাল লেগেছে | ১৪ জনের ভাল লাগেনি
এমনটা হলে কাউকে আর হরতালের মাঠে পাওয়া যাবে বলে মন হয়না !
আমাদের সমাজ - ব্যবস্থা , ধর্ম - রীতি - নীতিকে যদি এসব মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যেতো , তাহলে আমাদের অবস্থা এতো খারাপ হতো না , এটা আমার অভিজ্ঞতার কথা বললাম । এখন আপনারাও বলুন , আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের করণীয় কী কী হতে পারে । ।
এরপর প্রিন্সিপাল ম্যাডাম তার দুই হাজার ছাত্রী নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে এলেন , সূর্যের আলো এবং তাপ ঘনীভূত করে নিক্ষেপ করলেন শত্রুর উপর ।
ডালাস আবার ফিরে আসছে ৷ এ খবরটা স্রেফ একটা খবর নয় , এ একটা নস্টালজিয়াকে নতুন করে রক্তমাংস দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার মত ৷ কারণ , গোটা বিশ্বে ডালাসপ্রেমীর কোনো অভাব নেই ৷
এসবই আমার ব্যক্তিগত বিশেষত্ব , এবং একই ভাবে " বাংলাদেশে কবির সংখ্যা চিরকালই বেশি , উত্তম কবির সংখ্যাও সুপ্রচুর " এর সাথেও আমি মোটেই একমত নই । বাংলা কবিতার তো ভালো সংকলন নেই , যেসব আছে সেসবের কলেবর দেখলেই এর একটা আন্দাজ আমাদের হয় । আর বাংলা কবিতার কবির সংখ্যা প্রতিনিয়ত যে দুর্জনেরা কাকের সাথে তুলনা করেন , সে তুলনার মধ্যে কবিতার মান নিয়ে কিছুটা হলেও সত্যকথন লুকিয়ে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই । আর বুদ্ধদেব বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ দুজনই বড় মাপের গদ্যশিল্পী । আমাদের দেশে এমন প্রচুর কবি যারা গদ্য লিখতেই জানেন না , এই এতো বেশি কবিদের কাছ থেকে যে মোটেই সুপ্রচুর উত্তম কবিতা বের হতে পারে না , এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই । পৃথিবীর আর কোনো ভাষায় এমন কোনো দৃস্টান্ত নেই যে কবি পরিচয় নিয়ে চলছেন ফিরছেন কিন্তু গদ্য লিখতে জানেন না । গদ্য সবারই লিখতে পারা উচিত , কেউ কেউ কবিতা লিখুক : আমি নিশ্চিত এভাবে কবির সংখ্যা বেশি না হয়েও ভালো কবিতার কবিতার সংখ্যা বাড়বে । আর বুদ্ধদেব বসু শিক্ষক না হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গুরুদেব না হয়ে যদি আমাদের কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেন তাহলেই তাদের সাহিত্যসৃষ্টি আমাদের জন্য রাজটিকার কাজ করবে ।
আমি ঠিক কোন জায়গাটিতে অযৌক্তিক তা ব্যাখ্যা করুন প্লীজ । কুরআন , হাদীস কিছু তো বাদ দেই নি আপনাদের বোঝাতে গিয়ে । চাপা গোঙানীটা মৈথুনের শীৎকার সেটা খেয়াল করলেন আর জুলেখার দীর্ঘশ্বাসটা তার নিজের অপ্রাপ্তির সেটা খেয়াল করলেন না ?
দারুন লাগল । ছবিগুলো তো আমি আগেই দেখেছিলাম , লেখাটা পড়ে যেন আরো ভাল লাগল । মনে পড়ে যাচ্ছিল ভৈষনোদেবীর মন্দিরে যাওয়ার ঘটনা । তবে সেটা সোজা পথে হাঁটা , তোমার অভিজ্ঞতার সাথে কোন তুলনাই হয় না ।
বুঝলাম না । Dhaka University কি কোন আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে কি সমস্যা ছিল , টাইপের কথা হয়ে গেল না ?
সহিহ্ বোখারী ভল্যুম ৫ , ৭০৯ : সাহাবী আবু বাক্রা বলছেন , নবী ( দঃ ) বলেছেন যে , যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে , সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না ।
ইখওয়ান শুধু একটি রাজনৈতিক সঙ্গঠন নয় , ধর্মশিক্ষা সাহিত্য সকল ক্ষেত্রে তাদের অবদান অনস্বীকার্য । ইখওয়ানের সদস্যরা সর্বজন বিদিত প্রাজ্ঞ ব্যক্তি । ডাক্তার হাসানুল বান্না , সায়েদ কুতব এর পর মুহাম্মাদ আল গাজ্জালী , আব্দুল কাদের আওদা , সাইয়েদ রামাদান ইউসুফ আল কারজাভীর মতো খ্যাতনামা লেখক ও মনীষিরা ইখওয়ানের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন
বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে উদ্যাপন করছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী । ভারতের নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আজ সকালে তিন দিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং । প্রতিদিন বিকেলে মেঘদূত থিয়েটারে আয়োজন করা হয়েছে গান , আবৃত্তি আর নাচের অনুষ্ঠান । আজ শনিবার এখানে গান করবেন অদিতি মহসিন । গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে কথা হয় তাঁর সঙ্গে । জাতীয় [ . . . ]
মেহেদী আকরাম এর প্রতিউত্তর : জুন 20th , 2009 তারিখে 9 : 24 অপরাহ্ন ঘটিকায়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মধ্য দিয়ে সাবেক প্রধান উপদেষ্টা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ' বিচারের সুযোগ এসেছে ' দাবি করে তিনি বলেন , " এরশাদের বিচার হলে কেন শাহাবুদ্দিনের বিচার হবে না । তিনি সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছেন । আমরা তার বিচার করব । "
ড . জায়েদ বখত : চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবে পারর্ফম করেছে । প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে , রফতানি বেশি হয়েছে , কৃষির উৎপাদন ভাল হয়েছে । কিন্তু একই সময়ে অর্থনীতিতে বেশ কতগুলো চাপ বা চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে । এই চাপগুলো আগামী বছরে আরো প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে । এই চাপের মধ্যে মূল্যস্ফীতি , সুদের হার বৃদ্ধি , বিনিয়োগ , বিদ্যুৎ - গ্যাস সমস্যা উল্লেখ্যযোগ্য । বার্ষিক গড় হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে , খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি । পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসাবে এই হার আরো বেশি । আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি , টাকার অবমূল্যায়ন ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে , যা মূল্যস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে । মূল্যস্ফীতির আরেকটি কারণ হলো বাজেট ঘাটতি । প্রস্তাবিত বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসাবে সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে । এর মধ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশী ঋণ এবং ২৭ হাজার কোটি টাকা দেশীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে । সরকার যখন বড় খরচ করে , সেটার অর্থায়নেও অর্থনীতির ওপর চাপের সৃষ্টি করে । যা মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেয় । মূল্যস্ফীতি যে কোনো রাজনৈতিক সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ । উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পৃথিবীর অনেক দেশের সরকার পর্যন্ত বদল হয়েছে । সুতরাং মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে সরকারকে বেশি সচেতন হতে হবে । অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন , আমরা কৃচ্ছতা সাধন করব , ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনবো , মুদ্রার বিনিময় হারকে নিয়ন্ত্রণ করব । এগুলো কিভাবে করবেন সেটি পরিষ্কার নয় । বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারেনি । মুদ্রার বিনিময় হার অর্থমন্ত্রী চাইলেই কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন । টাকার মূল্যমান বাড়ালে রফতানি ব্যাহত হবে । এটা করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাজারে যে পরিমাণ হস্তক্ষেপ করতে হবে , সেই পরিমাণ সামর্থ্য তার আছে কিনা সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে ।
পরদিন খুব ভোরে আমরা বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে পৌঁছে গেলাম পার্কসার্কাস । এত ভোরে আর কোথাও ভীড় না থাকলেও হাইকমিশন অফিসটির সামনে বেশ ভীড় । সবই প্রায় দুস্থ দরিদ্র মলিন মানুষের জটলা । তার মধ্যে অনেকেরই রাত কেটেছে ফুটপাতে । কারণ অনেকেই কলকাতার বাইরের থেকে এসেছে । যাক্ আমরা প্রথম বিশ জনের মধ্যে আছি । কাউন্টার খুলবে বেলা দশটায় । মাত্র এক ঘন্টার জন্য । বন্ধ হয়ে যাবে এগারটায় । আমাদেরটা এগারটার মধ্যেই জমা হয়ে গেলো । এবার আমাদের টেনশন বিকেল চারটা অবধি । চারটায় আবার কাউন্টার খুলে নাম ডেকে ডেকে পাসপোর্ট ফেরৎ দেবে । হোটেলে ফিরে বিশ্রাম । সময় আর কাটতে চায় না । টেনশনের কারণে আমরা আবার তিনটের মধ্যেই চলে এলাম হাইকমিশনে । তখনও দেখি সেই একই রকম মানুষের জটলা । অবশ্য সব টেনশনের অবসান ঘটিয়ে আমরা দুজনেই দশ দিনের ভিসা সমেত পাসপোর্ট ফেরৎ পেয়ে গেলাম । এবার আমরা যেতে পারি বাংলাদেশ । দীর্ঘ একবছরের নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই একটা পর্যায়ে যে আমরা এসে পৌঁছুতে পারবো একসময় সত্যিই এমন আশা ছিলোনা ।
শিশুরা খেতে চায়না - আমাদের মায়েরা প্রায়ই এই অভিযোগ করে থাকেন । বিভিন্ন কারণেই শিশুরা খেতে চায় না ; যেমন : -
বেগম জিয়ার সফরসঙ্গি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড . ওসমান ফারুক ২৩ মে বার্তা সংস্থা এনাকে এ তথ্য জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন , তবে হিলারী ক্লিনটনের সাথে বেগম জিয়ার চমৎকার একটি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে সম্যক ধারণা রাখেন । বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিল ক্লিনটন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনকারী বাংলাদেশী - আমেরিকান ড . ওসমান সিদ্দিকের বড়ভাই ড . ওসমান ফারুক এনাকে আরো জানান , স্টেট ডিপার্টমেন্টের পদস্থ কর্মকর্তা এবং কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের সাথে বেগম জিয়ার সাক্ষাত ঘটবে । উল্লেখ্য যে , ২১ মে বেগম জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন । ২৭ মে তিনি লন্ডন হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন ।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দৈনিক গণকণ্ঠ ও দৈনিক দেশবাংলা বন্ধের ঘটনা ছিল অনেকটা প্রতারণামূলক । তারা গণকণ্ঠ পত্রিকা সরাসরি বন্ধ না করে গণকণ্ঠের মুদ্রণালয় প্রতিষ্ঠান , পরিত্যক্ত সম্পত্তি জনতা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস লিঃ - এর প্রশাসক পরিবর্তনের নামে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন যাতে পত্রিকা প্রকাশনার স্বাভাবিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে । আকস্মিকভাবে ২৩ মার্চ সরকার জনতা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস লিঃ - এর প্রশাসক জনাব মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ - প্রধান জনাব নাজির হোসেন হায়দার পাহাড়ীকে প্রশাসক নিয়োগ করেন । সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই গণকণ্ঠের প্রধান ফটকে পুলিশ বসিয়ে দেয়া হয় । ২৮ মার্চ অজ্ঞাত ব্যবসায়িক চুক্তির অজুহাত দেখিয়ে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয় । পুলিশ সাংবাদিক কর্মচারীদের বলপূর্বক অফিস থেকে বের করে দেয় ।
কেন ভাই ভুল করেছি নাকি নতুন টপিক খুলে । করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী ।
আজ ( ৪ মে ২০১১ ) সকাল ১১ : ০০টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের ( পিএসটিসি ) উদ্যোগে নাগরিক সাংবাদিকতার ওয়েব পোর্টাল ' নাগরিক কণ্ঠ ' সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে । সরকারি সেবার মানোন্নয়নে নাগরিক অংশগ্রহণ বিষয়ে পিএসটিসি একটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে । ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের আওতায় তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা নাগরিক সাংবাদিক হিসেবে সরকারি সেবা বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত - পরামর্শ - অভিযোগ - চাহিদা তুলে ধরছেন । ' নাগরিক কণ্ঠ ' ওয়েব পোর্টালে ( http : / / www . nagorikkontho . org / portal / ) বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক সরকারি সেবা বিষয়ে নিজ নিজ মতামত পাঠাতে এবং তথ্য পেতে পারেন ।
laptop এ GP এবং AKTEL ইন্টারনেটে ব্যাবহার করছি মোটামুটি ভালই চলছিল । গত কাল আমি বাংলালিঙ্ক এ পি২ চালু করেছি কিন্তু এখন আর মোবাইল মডেম motorola v360 থেকে ইন্টারনেটে ব্যাবহার করতে পারছি না সুধু The PPP link control protocol was terminated . দেখায় । কিন্তু GP , AKTEL কোন . . .
কিন্তু ৭০০ এমবি ওজনের ইমেজ ডালো করতে গিয়ে তো আমাকে অনেকের কাছে হাত পাততে হবে । ১০০ এমবির মধ্যে হলেও একটা কথা ছিল । আচ্ছা , এটা ইন্সটল করার পর হার্ডডিস্কে স্পেস খায় কত ?
পোষ্ট করেছেন : ২১ টি মন্তব্য করেছেন : ১৯৭ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ৯ মাস ২১ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ২৮৮১ বার
সত্য সন্ধানী আমি বলেছেন : কারণ , আমরা বেশ্যাই রয়ে যাব
ঠিক যে ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা পত্র - পত্রিকায় এসেছে তাতে ম্যাডামের আগেই চলে যাওয়া উচিত ছিল । কিন্তু রাজনীতির খেলা বলি আর মৌলিক শিক্ষার ঘাটতিই বলি এই শিক্ষিকার ঐ পদে থাকার কোন অধিকার নেই । যে শিক্ষা তাকে নৈতিকতা রক্ষার জন্য ধাবিত করেনা সে শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি । সমাজটা আর কত অধঃপতিত হলে পরে আমরা জেগে উঠবো তা বোধগম্য হচ্ছে না ।
অত্যন্ত অধুনিক এক হাসপাতালে এক লোক অনেক্ষণ যাবৎ ছেলেদের টয়লেটে যেতে চাচ্ছিল , কিন্তু যতবার ঘুরে ঘুরে টয়লেটের সামনে আসে , কেউ না কেউ সবসময়ই ভেতরে থাকছে । এক নার্স লোকটার দুর্দশা দেখছিল , সে বলল , স্যার , আপনি মেয়েদের টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু আপনাকে প্রমিজ করতে হবে যে আপনি টয়লেটের দেয়ালের কোন বাটন ব্যবহার করবেন না ।
আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম দি আলটিমেট চামচাকে ! যিনি আজকে এক কলাম লেখায় বাঙলার ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন । মানুষের এত বড় চামচা হতে পারে তা ভাবনার অতীত , ভাবি এই চামচামির উৎস কোথায় । কত বড় চামচা হলে একজন মানুষ এই লেখা লিখতে পারে । আমি ভাবছি এই লেখাটা আমি বাধাই করে রাখবো , ভবিষ্যতে ছেলে মেয়ে হলে তাদের দেখাতে পারাবো ! ! বাবারা ! দেখ , তোরা যে দেশে জন্মেছিস সেই দেশেই এম এম বাহাউদ্দীন জন্মেছে ।
মৃত্যুর আগে . . . . . . . . . আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায় , দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে , গেছে ; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ - কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে ; আমরা বেসেছি যারা অন্ধকারে দীর্ঘ শীতরাত্রিটিরে ভালো , খড়ের চালের পরে শুনিয়াছি মুগ্ধ রাতে ডানার সঞ্চার ; পুরোনা পেঁচার ঘ্রাণ - অন্ধকারে আবার সে কোথায় হারালো ! বুঝেছি শীতের রাত অপরূপ - মাঠে মাঠে ডানা ভাসাবার গভীর আহ্লাদে ভরা ; অশত্থের ডালে ডালে ডাকিয়াছে বক ; আমরা বুঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভৃত কুহক ; আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্্র নীল জোছনার ভিতরে , আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হাত , সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে ; শিশুর মুখের গন্ধ , ঘাস , রোদ , মাছরাঙা , নক্ষত্র , আকাশ আমরা পেয়েছি যারা ঘুরে - ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারোমাস ; দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হয়েছে হলুদ হিজলের জানালায় আলো আর বুলবুলি করিয়াছে খেলা , ইঁদুর শীতের রাতে রেশমের মতো রোমে মাখিয়াছে খুদ , চালের ধূসর গন্ধে তরঙ্গেরা রূপ হয়ে ঝরেছে দু - বেলা নির্জন মাছের চোখে - পুকুরের পাড়ে হাঁস সন্ধ্যার আঁধারে পেয়েছে ঘুমের ঘ্রাণ - মেয়েলি হাতের স্পর্শ লয়ে গেছে তারে ; মিনারের মতো মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায় ডাকে , বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শক্ত হয়ে আছে , নমর জলের গন্ধ দিয়ে নদী বারবার তীরটিরে মাখে , খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জোছনার উঠানে পড়িয়াছে ; বাতাসে ঝিঁঝির গন্ধ - বৈশাখের প্রান্তরের সবুজ বাতাসে ; নীলাভ নোনার বুকে ঘর রস গাঢ় আকাঙক্ষায় নেমে আসে ; আমরা দেখেছি যারা নিবিড় বটের নিচে লাল লাল ফল পড়ে আছে ; নির্জন মাঠের ভিড় মুখ দেখে নদীর ভিতরে ; যত নীল আকাশেরা রয়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল ; পথে পথে দেখিয়াছি মৃদু চোখ ছায়া ফেলে পৃথিবীর পরে আমরা দেখেছি যারা শুপুরির সারি বেয়ে সন্ধ্যা আসে রোজ , প্রতিদিন ভোর আসে ধানের গুচ্ছের মতো সবুজ সহজ ; আমরা বুঝেছি যারা বহু দিন মাস ঋতু শেষ হলে পর পৃথিবীর সেই কন্যা কাছে এসে অন্ধকারে নদীদের কথা কয়ে গেছে আমরা বুঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো এক আলো আছে : দেহে তার বিকাল বেলার ধুসরতা : চোখের - দেখার হাত ছেড়ে দিয়ে সেই আলো হয়ে আছে স্থির ; পৃথিবীর কঙ্কাবতী ভেসে গিয়ে সেইখানে পায় ম্লান ধূপের শরীর ; আমরা মৃত্যুর আগে কী বুঝিতে চাই আর ? জানি না কি আহা , সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধূসর মৃত্যুর মুখ - একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল - সোনা ছিল যাহা নিরুত্তর শান্তি পায় - যেন কোন্ মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে । কী বুঝিতে চাই আর ? রৌদ্র নিভে গেলে পাখিপাখলির ডাক শুনি নি কি ? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখি নি কি উড়ে গেছে কাক । শকুন . . . . . . . মাঠ থেকে মাঠে মাঠে - সমস্ত দুপুর ভরে এশিয়ার আকাশে আকাশে শকুনেরা চরিতেছে ; মানুষ দেখেছে হাট ঘাঁটি বস্তি - নিস্তব্ধ প্রান্তর শকুনের ; যেখানে মাঠের দৃঢ় নীরবতা দাঁড়ায়েছে আকাশের পাশে আরেক আকাশ যেন - সেইখানে শকুনেরা একবার নামে পরস্পর কঠিন মেঘের থেকে - যেন দূর আলো ছেড়ে ধুম্র ক্লান্ত দিক্হস্তিগণ পড়ে গেছে - পড়ে গেছে পৃথিবীতে এশিয়ার ক্ষেত মাঠ প্রান্তরের ' পর এই সব ত্যক্ত পাখি কয়েক মুহুর্তে শুধু - আবার করিছে আরোহণ আঁধার বিশাল ডানা পাম্ গাছে - পাহাড়র শিঙে শিঙে সমুদ্রের পারে ; একবার পৃথিবীর শোভা দেখে - বোম্বায়ের সাগরের জাহাজ কখন বন্দরের অন্ধকারে ভিড় করে , দেখে তাই - একবার স্নিগ্ধ মালাবারে উড়ে যায় - কোন্ এক মিনারের বিমর্ষ কিনার ঘিরে অনেক শকুন পৃথিবীর পাখিদের ভুলে গিয়ে চলে যায় যেন কোন্ মৃত্যুর ওপারে ; যেন কোন্ বৈতরণী অথবা এ জীবনের বিচ্ছেদের বিষন্ন লেগুন কেঁদে ওঠে … চেয়ে দেখে কখন গভীর নীলে মিশে গেছে সেই সব শকুন । পাখিরা . . . . ঘুমে চোখ চায় না জড়াতে - বসন্তের রাতে বিছানায় শুয়ে আছি ; - এখন সে কত রাত ! অই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের স্বর , স্কাইলাইট মাথার উপর আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর তারপর চলে যায় কোথায় আকাশে ? তাদের ডানার ঘ্রাণ চারিদিকে ভাসে । শরীরে এসেছে স্বাদ বসন্তের রাতে , চোখ আর চায় না ঘুমাতে ; জানালার থেকে অই নক্ষত্রের আলো নেমে আসে , সাগরের জলের বাতাসে আমার হৃদয় সুস্থ হয় ; সবাই ঘুমায়ে আছে সব দিকে - সমুদ্রের এই ধারে কাহাদের নোঙরের হয়েছে সময় ? সাগরের অই পারে - আরো দূর পারে কোনো এক মেরুর পাহাড়ে এই সব পাখি ছিল ; ব্লিজার্ডের তাড়া খেয়ে দলে দলে সমুদ্রের পর নেমেছিল তারা তারপর - মানুষ যেমন তার মৃত্যুর অজ্ঞানে নেমে পড়ে ! বাদামি - সোনালি - শাদা - ফুটফুটে ডানার ভিতরে রবারের বলের মতন ছোট বুকে তাদের জীবন ছিল - যেমন রয়েছে মৃত্যু লক্ষ লক্ষ মাইল ধরে সমুদ্রের মুখে তেমন অতল সত্য হয়ে ! কোথাও জীবন আছে - জীবনের স্বাদ রহিয়াছে , কোথাও নদীর জল রয়ে গেছে - সাগরের তিতা ফেনা নয় , খেলার বলের মতো তাদের হৃদয় এই জানিয়াছে - কোথাও রয়েছে পড়ে শীত পিছে , আশ্বাসের কাছে তারা আসিয়াছে । তারপর চলে যায় কোন্ এক ক্ষেতে তাহার প্রিয়ের সাথে আকাশের পথে যেতে যেতে সে কি কথা কয় ? তাদের প্রথম ডিম জন্মিবার এসেছে সময় ! অনেক লবণ ঘেঁটে সমুদ্রের পাওয়া গেছে এ মাটির ঘ্রাণ , ভালোবাসা আর ভালোবাসা সন্তান , আর সেই নীড় , এই স্বাদ - গভীর - গভীর । আজ এই বসন্তের রাতে ঘুমে চোখ চায় না জড়াতে ; অই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের স্বর স্কাইলাইট মাথার উপর , আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর । পিপাসার গান . . . . . . . . কোনো এক অন্ধকারে আমি যখন যাইব চলে - আরবার আসিব কি নামি অনেক পিপাসা লয়ে এ মাটির তীরে তোমাদের ভিড়ে ! কে আমারে ব্যথা দেছে - কে বা ভালোবাসে - সব ভুলে , শুধু মোর দেহের তালাসে শুধু মোর স্নায়ু শিরা রক্তের তরে এ মাটির পরে আসিব কি নেমে ! পথে পথে - থেমে - থেমে - থেমে খুঁজিব কি তারে - এখানের আলোয় আঁধারে যেইজন বেঁধেছিল বাসা ! মাটির শরীরে তার ছিল যে পিপাসা আর যেই ব্যথা ছিল - যেই ঠোট চুল যেই চোখ , যেই হাত , আর যে আঙুল রক্ত আর মাংসের স্পর্শসুখভরা যেই দেহ একদিন পৃথিবীর ঘ্রাণের পসরা পেয়েছিল - আর তার ধানী সুরা করেছিল পান , একদিন শুনেছে যে জল আর ফসলের গান , দেখেছে যে ঐ নীল আকাশের ছবি মানুষ - নারীর মুখ - পুরুষ - স্ত্রীর দেহ সবই যার হাত ছুয়ে আজও উষ্ণ হয়ে আছে - ফিরিয়া আসিবে সে কি তাহাদের কাছে ! প্রণয়ীর মতো ভালোবেসে খুঁজিবে কি এসে একখানা দেহ শুধু ! হারায়ে গিয়েছে কবে কঙ্কালে কাঁকরে এ মাটির পরে ! অন্ধাকারে সাগরের জল ছেনেছে আমার দেহ , হয়েছে শীতল চোখ - ঠোট - নাসিকা আঙুল তাহার ছোয়াচে ; ভিজে গেছে চুল শাদা শাদা ফেনাফুলে ; কত বার দূর উপকূলে তারাভরা আকাশের তলে বালকের মতো এক - সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া জেনেছি দেহের স্বাদ - গেছে বুক - মুখ পরশিয়া রাঙা রোদ - নারীর মতন এ দেহ পেয়েছে যেন তাহার চুম্বন ফসলের ক্ষেতে ! প্রথম প্রণয়ী সে যে , কার্তিকের ভোরবেলা দূরে যেতে যেতে থেমে গেছে সে আমার তরে ! চোখ দুটো ফের ঘুমে ভরে যেন তার চুমো খেয়ে ! এ দেহ - অলস মেয়ে পুরুষের সোহাগে অবশ ! চুমে লয় রৌদ্রের রস হেমন্ত বৈকালে উড়ো পাখাপাখালির পালে উঠানের ; পেতে থাকে কান - শোনো ঝরা শিশিরের গান অঘ্রানের মাঝরাতে ; হিম হাওয়া যেন শাদা কঙ্কালের হাতে এ দেহেরে এসে ধরে - ব্যথা দেয় ! নারীর অধরে - চুলে - চোখে - জুঁয়ের নিশ্বাসে ঝুমকো লতার মতো তার দেহ - ফাঁসে ভরা ফসলের মতো পড়ে ছিঁড়ে এই দেহ - ব্যথা পায় ফিরে ! … . তবু এই শস্যক্ষেতে পিপাসার ভাষা ফুরাবে না কে বা সেই চাষা - কাস্তে হাতে - কঠিন , কামুক - আমাদের সবটুকু ব্যথাভরা সুখ উচ্ছেদ করিবে এসে একা ! কে বা সেই ! জানি না তো হয় নাই দেখা আজও তার সনে ; আজ শুধু দেহ - আর দেহের পীড়নে সাধ মোর চোখে ঠোঁটে চুলে শুধু পীড়া , শুধু পীড়া ! - মুকুলে মুকুলে শুধু কীট , আঘাত , দংশন - চায় আজ মন ! নক্ষত্রের পানে যেতে যেতে পথ ভুলে বারবার পৃথিবীর ক্ষেতে জন্মিতেছি আমি এক সবুজ ফসল ! অন্ধকারে শিশিরের জল কানে কানে গাহিয়াছে গান - ঢালিয়াছে শীতল অঘ্রাণ ; মোর দেহ ছেনে গেছে অলস - আঢুল কুমারী আঙুল কুয়াশার ; ঘ্রাণ আর পরশের সাধ জাগায়েছে কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ ঢালিয়াছে আলো - প্রণয়ীর ঠোঁটের ধারালো চুম্বনের মতো ! রেখে গেছে ক্ষত সব্জির সবুজ রুধিরে ! শস্যের মতো মোর এ শরীর ছিঁড়ে বারবার হয়েছে আহত আগুনের মতো দুপুরের রাঙা রোদ ! আমি তবু ব্যথা দেই - ব্যথা পাই ফিরে ! - তবু চাই সবুজ শরীরে এ ব্যথার সুখ ! লাল আলো - রৌদ্রের চুমুক , অন্ধকার - কুয়াশার ছুরি মোরে যেন কেটে লয় , যেন গুড়ি গুড়ি ধুলো মোরে ধীরে লয় শুষে ! মাঠে মাঠে - আড়ষ্ট পউষে ফসলের গন্ধ বুকে করে বারবার পড়ি যেন ঝ ' রে ! আবার পাব আমি ফিরে এই দেহ ! - এ মাটির নিঃসাড় শিশিরে রক্তের তাপ ঢেলে আমি আসিব কি নামি ! হেমন্তের রৌদ্রের মতন ফসলের স্তন আঙুলে নিঙাড়ি এক ক্ষেত ছাড়ি অন্য ক্ষেতে চলিব কি ভেসে এ সবুজ দেশে আর এক বার ! শুনিব কি গান ঢেউদের ! - জলের আঘ্রাণ লব বুকে তুলে আমি পথ ভুলে আসিব কি এ পথে আবার ! ধুলো - বিছানার কীটদের মতো হব কি আহত ঘাসের আঘাতে ! বেদনার সাথে সুখ পাব ! লতার মতন মোর চুল , আমার আঙুল পাপড়ির মতো - হবে কি বিক্ষত তোমার আঙুলে - চুলে ! লাগিবে কি ফুলে ফুলের আঘাত আরবার আমার এ পিপাসার ধার তোমাদের জাগাবে পিপাসা ! ক্ষুধিতের ভাষা বুকে করে করে ফলিব কি ! - পড়িব কি ঝরে পৃথিবীর শস্যের ক্ষেতে আর একবার আমি - নক্ষত্রের পানে যেতে যেতে । প্রেম আমরা ঘুমায়ে থাকি পৃথিবীর গহ্বরের মতো - পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহত - একা - হরিণের মতো আমাদের হৃদয় যখন ! জীবনের রোমাঞ্চের শেষ হলে ক্লান্তির মতন পান্ডুর পাতার মতো শিশিরে শিশিরে ইতস্তত আমরা ঘুমায়ে থাকি ! - ছুটি লয়ে চলে যায় মন ! - পায়ের পথের মতো ঘুমন্তেরা পড়ে আছে কত - তাদের চোখের ঘুম ভেঙে যাবে আবার কখন ! - জীবনের জ্বর ছেড়ে শান্ত হয়ে রয়েছে হৃদয় - অনেক জাগার পর এইমতো ঘুমাইতে হয় । অনেক জেনেছে বলে আর কিছু হয় না জানিতে ; অনেক মেনেছে বরে আর কিছু হয় না মানিতে ; দিন - রাত্রি - গ্রহ - তারা পৃথিবীর আকাশ ধরে ধরে অনেক উড়েছে যারা অধীর পাখির মতো করে - পৃথিবীর বুক থেকে তাহাদের ডাকিয়া আনিতে পুরুষ পাখির মতো - প্রবল হাওয়ার মতো জোরে মৃত্যুও উড়িয়া যায় ! - অসাড় হতেছে পাতা শীতে , হৃদয়ে কুয়াশা আসে - জীবন যেতেছে তাই ঝরে ! - পাখির মতন উড়ে পায় নি যা পৃথিবীর কোলে - মৃত্যুর চোখের পরে চুমো দেয় তাই পাবে বলে ! কারণ , সাম্রাজ্য - রাজ্য - সিংহাসন - জয় - মৃত্যুর মতন নয় - মৃত্যুর শান্তির মতো নয় ! কারণ , অনেক অশ্রু - রক্তের মতন অশ্রু ঢেলে আমরা রাখিতে আছি জীবনের এই আলো জ্বেলে ! তবুও নক্ষত্র নিজে নক্ষত্রের মতো জেগে রয় ! তাহার মতন আলো হৃদয়ের অন্ধকারে পেলে মানুষের মতো নয় - নক্ষত্রের মতো হতে হয় ! মানুষের মতো হয়ে মানুষের মতো চোখ মেলে মানুষের মতো পায়ে চলিতেছি যতদিন - তাই , ক্লান্তির পরে ঘুম , মৃত্যুর মতন শান্তি চাই ! কারণ , যোদ্ধার মতো - আর সেনাপতির মতন জীবন যদিও চলে - কোলাহল করে চলে মন যদিও সিন্ধুর মতো দল বেঁধে জীবনের সাথে , সবুজ বনের মতো উত্তরের বাতাসের হাতে যদিও বীণার মতো বেজে উঠে হৃদয়ের বন একবার - দুইবার - জীবনের অধীর আঘাতে - তবু , প্রেম , - তবু তারে ছিড়ে ফেঁড়ে গিয়েছে কখন ! তেমন ছিঁড়িতে পারে প্রেম শুধু ! - অঘ্রাণের রাতে হাওয়া এসে যেমন পাতার বুক চলে গেছে ছিঁড়ে ! পাতার মতন করে ছিঁড়ে গেছে যেমন পাখিরে ! তবু পাতা - তবুও পাখির মতো ব্যথা বুকে লয়ে , বনের শাখার মতো - শাখার পাখির মতো হয়ে হিমের হাওয়ার হাতে আকাশের নক্ষত্রের তলে বিদীর্ণ শাখার শব্দে - অসুস্থ ডানার কোলাহলে , ঝড়ের হাওয়ার শেষে ক্ষীণ বাতাসের মতো বয়ে , আগুন জ্বলিয়া গেলে অঙ্গারের মতো তবু জ্বলে , আমাদের এ জীবন ! - জীবনের বিহ্বলতা সয়ে আমাদের দিন চলে - আমাদের রাত্রি তবু চলে ; তার ছিঁড়ে গেছে - তবু তাহারে বীণার মতো করে বাজাই , যে প্রেম চলিয়া গেছে তারই হাত ধরে ! কারণ , সূর্যের চেয়ে , আকাশের নক্ষত্রের থেকে প্রেমের প্রাণের শক্তি বেশি ; তাই রাখিয়াছে ঢেকে পাখির মায়ের মতো প্রেম এসে আমাদের বুক ! সুস্থ করে দিয়ে গেছে আমাদের রক্তের আসুখ ! পাখির শিশুর মতো যখন প্রেমেরে ডেকে ডেকে রাতের গুহার বুকে ভালোবেসে লুকায়েছি মুখ - ভোরের আলোর মতো চোখের তারায় তারে দেখে ! প্রেম কি আসে নি তবু ? - তবে তার ইশারা আসুক ! প্রেমকি চলিয়া যায় প্রাণেরে জলের ঢেউয়ে ছিঁড়ে ! ঢেউয়ের মতন তবু তার খোঁজে প্রাণ আসে ফিরে ! যত দিন বেঁচে আছি আলেয়ার মতো আলো নিয়ে - তুমি চলে আস প্রেম - তুমি চলে আস কাছে প্রিয়ে ! নক্ষত্রের বেশি তুমি - নক্ষত্রের আকাশের মতো ! আমরা ফুরায়ে যাই - প্রেম , তুমি হও না আহত ! বিদ্যুতের মতো মোরা মেঘের গুহার পথ দিয়ে চলে আসি - চলে যাই - আকাশের পারে ইতস্তত ! ভেঙে যাই - নিভে যাই - আমরা চলিতে গিয়ে গিয়ে ! আকাশের মতো তুমি - আকাশে নক্ষত্র আছে যত - তাদের সকল আলো একদিন নিভে গেলে পরে তুমিও কি ডুবে যাবে , ওগো প্রেম , পশ্চিম সাগরে ! জীবনের মুখে চেয়ে সেইদিনও রবে জেগে জানি ! জীবনের বুকে এসে মৃত্যু যদি উড়ায় উড়ানি - ঘুমন্ত ফুলের মতো নিবন্ত বাতির মতো ঢেলে মৃত্যু যদি জীবনেরে রেখে যায় - তুমি তারে জ্বেলে চোখের তারার পরে তুলে লবে সেই আলোখানি । সময় ভাসিয়া যাবে দেবতা মরিবে অবহেলে তবুও দিনের মেঘ আঁধার রাত্রির মেঘ ছানি চুমো খায় ! মানুষের সব ক্ষুধা আর শক্তি লয়ে পূর্বের সমুদ্র অই পশ্চিম সাগরে যাবে বয়ে ! সকল ক্ষুধার আগে তোমার ক্ষুধায় ভরে মন ! সকল শক্তির আগে প্রেম তুমি , তোমার আসন সকল স্থলের ' পরে , সকল জলের ' পরে আছে ! যেইখানে কিছু নাই সেখানেও ছায়া পড়িয়াছে হে প্রেম , তোমার ! - যেইখানে শব্দ নাই তুমি আলোড়ন তুলিয়াছ ! - অঙ্কুরের মতো তুমি - যাহা ঝরিয়াছে আবার ফুটাও তারে ! তুমি ঢেউ - হাওয়ার মতন ! আগুনের মতো তুমি আসিয়াছ অন্তরের কাছে ! আশার ঠোঁটের মতো নিরাশার ভিজে চোখ চুমি আমার বুকের পরে মুখ রেখে ঘুমায়েছ তুমি ! জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানের মতন তুমি আছ বলে প্রেম , গানের ছন্দের মতো মন আলো আর অন্ধকারে দুলে ওঠে তুমি আছ বলে ! হৃদয় গন্ধের মতো - হৃদয় ধুপের মতো জ্ব ' লে ধোঁয়ার চামর তুলে তোমারে যে করিছে ব্যজন । ওগো প্রেম , বাতাসের মতো যেইদিকে যাও চলে আমারে উড়ায়ে লও আগুনের মতন তখন ! আমি শেষ হব শুধু , ওগো প্রেম , তুমি শেষ হলে ! তুমি যদি বেঁচে থাক , - জেগে রব আমি এই পৃথিবীর পর - যদিও বুকের পরে রবে মৃত্যু - মৃত্যুর কবর ! তবুও সিন্ধুর জল - সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো বয়ে তুমি চলে যাও প্রেম - একবার বর্তমান হয়ে - তারপর , আমাদের ফেলে দাও পিছনে - অতীতে - স্মৃতির হাড়ের মাঠে - কার্তিকের শীতে ! অগ্রসর হয়ে তুমি চলিতেছ ভবিষ্যৎ লয়ে - আজও যারে দেখ নাই তাহারে তোমার চুমো দিতে চলে যাও ! - দেহের ছায়ার মতো তুমি যাও রয়ে - আমরা ধরেছি ছায়া - প্রেমের তো পারি নি ধরিতে ! ধ্বনি চলে গেছে দূরে - প্রতিধ্বনি পিছে পড়ে আছে - আমরা এসেছি সব - আমরা এসেছি তার কাছে ! একদিন - একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা ! এক রাত - এক দিন করেছি মৃত্যুরে অবহেলা এক দিন - এক রাত তারপর প্রেম গেছে চলে - সবাই চলিয়া যায় সকলের যেতে হয় বলে তাহারও ফুরাল রাত ! তাড়াতাড়ি পড়ে গেল বেলা প্রেমেরর ও যে ! - এক রাত আর এক দিন সাঙ্গ হলে পশ্চিমের মেঘে আলো এক দিন হয়েছে সোনেলা ! আকাশে পুবের মেঘে রামধনু গিয়েছিল জ্বলে এক দিন রয় না কিছুই তবু - সব শেষ হয় - সময়ের আগে তাই কেটে গেল প্রেমের সময় ; এক দিন এক রাত প্রেমেরে পেয়েছি তবু কাছে ! আকাশ চলেছে তার - আগে আগে প্রেম চলিয়াছে ! সকলের ঘুম আছে - ঘুমের মতন মৃত্যু বুকে সকলের , নক্ষত্রও ঝরে যায় মনের অসুখে প্রেমের পায়ের শব্দ তবুও আকাশে বেঁচে আছে ! সকল ভুলের মাঝে যায় নাই কেউ ভুলে - চুকে হে প্রেম তোমারে ! - মৃতেরা আবার জাগিয়াছে ! যে ব্যথা মুছিতে এসে পৃথিবীর মানুষের মুখে আরো ব্যথা - বিহ্বলতা তুমি এসে দিয়ে গেলে তারে - ওগো প্রেম , সেই সব ভুলে গিয়ে কে ঘুমাতে পারে ! ১৩৩৩ . . . তোমার শরীর - তাই নিয়ে এসেছিলে একবার - তারপর - মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা - মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা - হয়েছে মলিন চক্ষু এই - ছিঁড়ে গেছি - ফেঁড়ে গেছি - পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে কত দিন - রাত্রি গেছে কেটে ! কত দেহ এল , গেল , হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে দিয়েছি ফিরায়ে সব - সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি - সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া ! তোমার শরীর - তাই নিয়ে এসেছিলে একবার - তারপর - মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্দিকে - ফলে গেছে কতবার , ঝরে গেছে তৃণ ! * আমারে চাও না তুমি আজ আর , জানি ; তোমার শরীর ছানি মিটায় পিপাসা কে সে আজ ! - তোমার রক্তের ভালোবাসা দিয়েছ কাহারে ! কে বা সেই ! - আমি এই সমুদ্রের পারে বসে আছি একা আজ - ঐ দূর নক্ষত্রের কাছে আজ আর প্রশ্ন নাই - মাঝরাতে ঘুম লেগে আছে চক্ষে তার - এলোমেলো রয়েছে আকাশ ! উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা ! - তারই তলে পৃথিবীর ঘাস ফলে ওঠে - পৃথিবীর তৃণ ঝড়ে পড়ে - পৃথিবীর রাত্রি আর দিন কেটে যায় ! উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা - তারই তলে হায় ! * জানি আমি - আমি যাব চলে তোমার অনেক আগে ; তারপর , সমুদ্র গাহিবে গান বহুদিন - আকাশে আকাশে যাবে জ্বলে নক্ষত্র অনেক রাত আরো , নক্ষত্র অনেক রাত আরো , ( যদিও তোমারও রাত্রি আর দিন শেষ হবে একদিন কবে ! ) আমি চলে যাব , তবু , সমুদ্রের ভাষা রয়ে যাবে - তোমার পিপাসা ফুরাবে না পৃথিবীর ধুলো মাটি তৃণ রহিবে তোমার তরে - রাত্রি আর দিন রয়ে যাবে রয়ে যাবে তোমার শরীর , আর এই পৃথিবীর মানুষের ভিড় । * আমারে খুজিয়াছিলে তুমি একদিন - কখন হারায়ে যাই - এই ভয়ে নয়ন মলিন করেছিলে তুমি ! - জানি আমি ; তবু , এই পৃথিবীর ফসলের ভূমি আকাশের তারার মতন ফলিয়া ওঠে না রোজ - দেহ ঝরে - ঝরে যায় মন তার আগে ! এই বর্তমান - তার দু - পায়ের দাগে মুছে যায় পৃথিবীর পর , একদিন হয়েছে যা তার রেখা , ধূলার অক্ষর ! আমারে হারায়ে আজ চোখ ম্লান করিবে না তুমি - জানি আমি ; পৃথিবীর ফসলের ভূমি আকাশের তারার মতন ফলিয়া ওঠে না রোজ - দেহ ঝরে , তার আগে আমাদের ঝরে যায় মন ! * আমার পায়ের তলে ঝরে যায় তৃণ - তার আগে এই রাত্রি - দিন পড়িতেছে ঝরে ! এই রাত্রি , এই দিন রেখেছিলে ভরে তোমার পায়ের শব্দে , শুনেছি তা আমি ! কখন গিয়েছে তবু থামি সেই শব্দে ! - গেছ তুমি চলে সেই দিন সেই রাত্রি ফুরায়েছে বলে ! আমার পায়ের তলে ঝরে নাই তৃণ - তবু সেই রাত্রি আর দিন পড়ে গেল ঝ ' রে । সেই রাত্রি - সেই দিন - তোমার পায়ের শব্দে রেখেছিলে ভরে ! * জানি আমি , খুঁজিবে না আজিকে আমারে তুমি আর ; নক্ষত্রের পারে যদি আমি চলে যাই , পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই যদি আমি - আমারে খুঁজিতে তবু আসিবে না আজ ; তোমার পায়ের শব্দ গেল কবে থামি আমার এ নক্ষত্রের তলে ! - জানি তবু , নদীর জলের মতো পা তোমার চলে - তোমার শরীর আজ ঝরে রাত্রির ঢেউয়ের মতো কোনো এক ঢেউয়ের উপরে ! যদি আজ পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে - জানি আমি , তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে ! * তুমি যদি রহিতে দাঁড়ায়ে ! নক্ষত্র সরিয়া যায় , তবু যদি তোমার দু - পায়ে হারায়ে ফেলিতে পথ - চলার পিপাসা ! - একবারে ভালোবেসে - যদি ভালোবাসিতে চাহিতে তুমি সেই ভালোবাসা । আমার এখানে এসে যেতে যদি থামি ! - কিন্তু তুমি চলে গেছ , তবু কেন আমি রয়েছি দাঁড়ায়ে ! নক্ষত্র সরিয়া যায় - তবু কেন আমার এ পায়ে হারায়ে ফেলেছি পথ চলার পিপাসা ! একবার ভালোবেসে কেন আমি ভালোবাসি সেই ভালোবাসা ! * চলিতে চাহিয়াছিলে তুমি একদিন আমার এ পথে - কারণ , তখন তুমি ছিলে বন্ধুহীন । জানি আমি , আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই । তারপর , কখন খুঁজিয়া পেলে কারে তুমি ! - তাই আস নাই আমার এখানে তুমি আর ! একদিন কত কথা বলেছিলে , তবু বলিবার সেইদিনও ছিল না তো কিছু - তবু বলিবার আমার এ পথে তুমি এসেছিলে - বলেছিলে কত কথা - কারণ , তখন তুমি ছিলে বন্ধুহীন ; আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই ; তারপর , কখন খুঁজিয়া পেলে কারে তুমি - তাই আস নাই ! * তোমার দু চোখ দিয়ে একদিন কতবার চেয়েছ আমারে । আলো অন্ধকারে তোমার পায়ের শব্দ কতবার শুনিয়াছি আমি ! নিকটে নিকটে আমি ছিলাম তোমার তবু সেইদিন - আজ রাত্রে আসিয়াছি নামি এই দূর সমুদ্রের জলে ! যে নক্ষত্র দেখ নাই কোনোদিন , দাঁড়ায়েছি আজ তার তলে ! সারাদিন হাঁটিয়াছি আমি পায়ে পায়ে বালকের মতো এক - তারপর , গিয়েছি হারায়ে সমুদ্রের জলে , নক্ষত্রের তলে ! রাত্রে , অন্ধকারে ! তোমার পায়ের শব্দ শুনিব না তবু আজ - জানি আমি , আজ তবু আসিবে না খুঁজিতে আমারে ! * তোমার শরীর - তাই নিয়ে এসেছিলে একবার - তারপর , মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন । তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্দিকে জানি নি তা - হয়েছে মলিন চক্ষু এই - ছিঁড়ে গেছি - ফেঁড়ে গেছি - পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে কত দিন - রাত্রি গেছে কেটে কত দেহ এল , গেল - হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে দিয়েছি ফিরায়ে সব - সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি - সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া ! জীবন . . . ১ চারি দিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের স্বর - নতুন রাত্রির সাথে পৃথিবীর বিবাহের গান ! ফসল উঠিছে ফলে - রসে রসে ভরিছে শিকড় ; লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ । সে কোন প্রথম ভোরে পৃথিবীতে ছিল যে সন্তান অঙ্কুরের মতো আজ জেগেছে সে জীবনের বেগে ! আমার দেহের গন্ধ পাই তার শরীরের ঘ্রাণ - সিন্ধুর ফেনার গন্ধ আমার শরীরে আছে লেগে ! পৃথিবী রয়েছে জেগে চক্ষু মেলে - তার সাথে সেও আছে জেগে ! ২ নক্ষত্রের আলো জ্বেলে পরিস্কার আকাশের পর কখন এসেছে রাত্রি ! - পশ্চিমের সাগরের জলে তার শব্দ ; উত্তর সমুদ্র তার , দক্ষিণ সাগর তাহার পায়ের শব্দে - তাহার পায়ের কোলাহলে ভরে ওঠে ; এসেছে সে আকাশের নক্ষত্রের তলে প্রথম যে এসেছিল , তারই মতো - তাহার মতন চোখ তার , তাহার মতন চুল , বুকের আঁচলে প্রথম মেয়ের মতো - পৃথিবীর নদী মঠ বন আবার পেয়েছে তারে - সমুদ্রের পারে রাত্রি এসেছে এখন ! ৩ সে এসেছে - আকাশের শেষ আলো পশ্চিমের মেঘে সন্ধ্যার গহ্বর খুঁজে পালায়েছে ! - রক্তে রক্তে লাল হয়ে গেছে বুক তার আহত চিতার মতো বেগে পালায়ে গিয়েছে রোদ - সরে গেছে আলোর বৈকাল ! চলে গেছে জীবনের আজ এক - আর এক কাল আসিত না যদি আর আলো লয়ে - রৌদ্র সঙ্গে লয়ে ! এই রাত্রি নক্ষত্র সমুদ্র লয়ে এমন বিশাল আকাশের বুক থেকে পড়িত না যদি আর ক্ষ ' য়ে রয়ে যেত - যে গান শুনি নি আর তাহার স্মৃতির মতো হয়ে ! ৪ যে পাতা সবুজ ছিল , তবুও হলুদ হতে হয় - শীতের হাড়ের হাত আজও তারে যায় নাই ছুঁয়ে - যে মুখ যুবার ছিল , তবু যার হয়ে যায় ক্ষয় , হেমন্ত রাতের আগে ঝরে যায় - পড়ে যায় নুয়ে - পৃথিবীর এই ব্যথা বিহ্বলতা অন্ধকারে ধুয়ে পূর্ব সাগরের ঢেউয়ে জলে জলে , পশ্চিম সাগরে তোমার বিনুনি খুলে - হেঁট হয়ে - পা তোমার থুয়ে - তোমার নক্ষত্র জ্বেলে - তোমার জলের স্বরে স্বরে রয়ে যেতে যদি তুমি আকাশের নিচে - নীল পৃথিবীর ' পরে ! ৫ ভোরের সূর্যের আলো পৃথিবীর গুহায় যেমন মেঘের মতন চুল - অন্ধকার চোখের আস্বাদ একবার পেতে চায় - যে জন রয় না - যেই জন চলে যায় , তারে পেতে আমাদের বুজে যেই সাধ - যে ভালোবেসেছে শুধু , হয়ে গেছে হৃদয় অবাধ বাতাসের মতো যার - তাহার বুকের গান শুনে মনে যেই ইচ্ছা জাগে - কোনোদিন দেখে নাই চাঁদ যেই রাত্রি - নেমে আসে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রেরে শুনে যেই রাত্রি , আমি তার চোখে চোখ , চুলে তার চুল নেব বুনে ! ৬ তুমি রয়ে যাবে তবু , অপেক্ষায় রয় না সময় কোনোদিন ; কোনোদিন রবে না সে পথ থেকে স ' রে ! সকলেই পথ চলে - সকলেই ক্লান্ত তবু হয় - তবুও দুজন কই বসে থাকে হাতে হাত ধরে ! তবুও দুজন কই কে কাহারে রাখে কোলে করে ! মুখে রক্ত ওঠে - তবু কমে কই বুকের সাহস ! যেতে হবে - কে এসে চুলের ঝুটি টেনে লয় জোরে ! শরীরের আগে কবে ঝরে যায় হৃদয়ের রস ! তবু , চলে - মৃত্যুর ঠোঁটের মতো দেহ যায় হয় নি অবশ ! ৭ হলদে পাতার মতো আমাদের পথে ওড়াউড়ি ! - কবরের থেকে শুধু আকাঙক্ষার ভূত লয়ে খেলা ! আমরাও ছায়া হয়ে ভূত হয়ে করি ঘোরাঘুরি ! মনের নদীর পার নেমে আসে তাই সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যার অনেক আগে ! - দুপুরেই হয়েছি একেলা ! আমরাও চরি - ফিরি কবরের ভূতের মতন ! বিকালবেলার আগে ভেঙে গেছে বিকালের মেলা - শরীর রয়েছে , তবু মরে গেছে আমাদের মন ! হেমন্ত আসে নি মাঠে - হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন ! ৮ শীত রাত ঢের দূরে - অস্থি তবু কেঁপে ওঠে শীতে ! শাদা হাতুদুটো শাদা হাড় হয়ে মৃত্যুর খবর একবার মনে আনে - চোখ বুজে তবু কি ভুলিতে পারি এই দিনগুলো ! - আমাদের রক্তের ভিতর বরফের মতো শীত - আগুনের মতো তবু জ্বর ! যেই গতি - সেই শক্তি পৃথিবীর অন্তরে পঞ্জরে - সবুজ ফলায়ে যায় পৃথিবীর বুকের উপর - তেমনি স্ফুলিঙ্গ এক আমাদের বুকে কাজ করে ! শস্যের কীটের আগে আমাদের হৃদয়ের শস্য তবু মরে ! ৯ যতদিন রয়ে যাই এই শক্তি রয়ে যায় সাথে - বিকালের দিকে যেই ঝড় আসে তাহার মতন ! যে ফসল নষ্ট হবে তারই ক্ষেত উড়াতে ফুরাতে আমাদের বুকে এসে এই শক্তি করে আয়োজন ! নতুন বীজের গন্ধে ভরে দেয় আমাদের মন এই শক্তি - একদিন হয়তো বা ফলিবে ফসল ! - এরই জোরে একদিন হয়তো বা হৃদয়ের বন আহ্লাদে ফেলিবে ভরে অলক্ষিত আকাশের তল ! দুরন্ত চিতার মতো গতি তার - বিদ্যুতের মতো সে চঞ্চল ! ১০ অঙ্গারের মতো তেজ কাজ করে অন্তরের তলে - যখন আকাঙক্ষা এক বাতাসের মতো বয়ে আসে , এই শক্তি আগুনের মতো তার জিভ তুলে জ্বলে ! ভস্মের মতন তাই হয়ে যায় হৃদয় ফ্যাকাশে ! জীবন ধোঁয়ার মতো , জীবন ছায়ার মতো ভাসে ; যে অঙ্গার জ্বলে জ্বলে নিভে যাবে , হয়ে যাবে ছাই - সাপের মতন বিষ লয়ে সেই আগুনের ফাঁসে জীবন পুড়িয়া যায় - আমরাও ঝরে পুড়ে যাই ! আকাশে নক্ষত্র হয়ে জ্বলিবার মতো শক্তি - তবু শক্তি চাই । ১১ জানো তুমি ? শিখেছ কি আমাদের ব্যর্থতার কথা ? - হে ক্ষমতা , বুকে তুমি কাজ কর তোমার মতন ! - তুমি আছ - রবে তুমি - এর বেশি কোনো নিশ্চয়তা তুমি এসে দিয়েছ কি ? - ওগো মন , মানুষের মন - হে ক্ষমতা , বিদ্যুতের মতো তুমি সুন্দর - ভীষণ ! মেঘের ঘোড়ার পরে আকাশের শিকারীর মতো - সিন্ধুর সাপের মতো লক্ষ ঢেউয়ে তোল আলোড়ন ! চমৎকৃত কর - শরীরের তুমি করেছ আহত ! - যতই জেগেছ - দেহ আমাদের ছিঁড়ে যেতে চেয়েছে যে তত ! ১২ তবু তুমি শীত রাতে আড়ষ্ট সাপের মতো শুয়ে হৃদয়ের অন্ধকারে পড়ে থাক - কুন্ডলী পাকায়ে ! - অপেক্ষায় বসে থাকি - স্ফুলিঙ্গের মতো যাবে ছুঁয়ে কে তোমারে ! - ব্যাধের পায়ের পাড়া দিয়ে যাবে গায়ে কে তোমারে ! কোন অশ্রু , কোন্ পীড়া হতাশার ঘায়ে কখন জাগিয়া ওঠো - স্থির হয়ে বসে আছি তাই । শীত রাত বাড়ে আরো - নক্ষত্রেরা যেতেছে হারায়ে - ছাইয়ে যে আগুন ছিল সেই সবও হয়ে যায় ছাই ! তবুও আরেকবার সব ভস্মে অন্তরের আগুন ধরাই । ১৩ অশান্ত হাওয়ার বুকে তবু আমি বনের মতন জীবনেরে ছেড়ে দিছি ! - পাতা আর পল্লবের মতো জীবন উঠেছে বেজে শব্দে - স্বরে ; যতবার মন ছিঁড়ে গেছে , হয়েছে দেহের মতো হৃদয় আহত যতবার - উড়ে গেছে শাখা , পাতা পড়ে গেছে যত - পৃথিবীর বন হয়ে - ঝড়ের গতির মতো হয়ে , বিদ্যুতের মতো হয়ে আকাশের মেঘে ইতস্তত ; একবার মৃত্যু লয়ে - একবার জীবনের লয়ে ঘূর্ণির মতন বয়ে যে বাতাসে ছেঁড়ে - তার মতো গেছি বয়ে ! ১৪ কোথায় রয়েছে আলো আঁধারের বীণার আস্বাদ ! ছিন্ন রুগ্ন ঘুমন্তের চোখে এক সুস্থ স্বপ্ন হয়ে জীবন দিয়েছে দেখা - আকাশের মতন অবাধ পরিচ্ছন্ন পৃথিবীতে , সিন্ধুর হাওয়ার মতো বয়ে জীবন দিয়েছে দেখা - জেগে উঠে সেই ইচ্ছা লয়ে আড়ষ্ট তারার মতো চমকায়ে গেছি শীতে - মেঘে ! ঘুমায়ে যা দেখি নাই , জেগে উঠে তার ব্যথা সয়ে নির্জন হতেছে ঢেউ হৃদয়ের রক্তের আবেগে ! - যে আলো নিভিয়া গেছে তাহার ধোঁয়ার মতো প্রাণ আছে জেগে । ১৫ নক্ষত্র জেনেছে কবে অই অর্থ মৃঙ্খলার ভাষা ! বীণার তারের মতো উঠিতেছে বাজিয়া আকাশে তাদের গতির ছন্দ - অবিরত শক্তির পিপাসা তাহাদের , তবু সব তৃপ্ত হয়ে পূর্ণ হয়ে আসে ! আমাদের কাল চলে ইশারায় - আভাসে আভাসে ! আরম্ভ হয় না কিছু - সমস্তের তবু শেষ হয় - কীট যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটি ঘাসে তারও বড় ব্যর্থতার সাথে রোজ হয় পরিচয় ! যা হয়েছে শেষ হয় শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয় ! ১৬ সমস্ত পৃথিবীর ভরে হেমন্তের সন্ধ্যার বাতাস দোলা দিয়ে গেল কবে ! বাসি পাতা ভুতের মতন উড়ে আসে ! - কাশের রোগীর মতো পৃথিবীর শ্বাস - যক্ষ্মার রোগীর মতো ধুঁকে মরে মানুষের মন ! - জীবনের চেয়ে সুস্থ মানুষের নিভৃত মরণ ! মরণ - সে ভালো এই অন্ধকার সমুদ্রের পাশে ! বাঁচিয়া থাকিতে যারা হিঁচড়ায় - করে প্রাণপণ - এই নক্ষত্রের তলে একবার তারা যদি আসে - রাত্রিরে দেখিয়া যায় একবার সমুদ্রের পারের আকাশে ! - ১৭ মৃত্যুরেও তবে তারা হয়তো ফেলিবে বেসে ভালো ! সব সাধ জেনেছে যে সেও চায় এই নিশ্চয়তা ! সকল মাটির গন্ধ আর সব নক্ষত্রের আলো যে পেয়েছে - সকল মানুষ আর দেবতার কথা যে জেনেছে - আর এক ক্ষুধা তবু - এক বিহ্বলতা তাহারও জানিতে হয় ! এইমতো অন্ধকারে এসে ! - জেগে জেগে যা জেনেছ - জেনেছ তা - জেগে জেনেছ তা - নতুন জানিবে কিছু হয়তো বা ঘুমের চোখে সে ! সব ভালোবাসা যার বোঝা হল - দেখুক সে মৃত্যু ভালোবেসে ! ১৮ কিংবা এই জীবনের একবার ভালোবেসে দেখি ! পৃথিবীর পথে নয় - এইখানে - এইখানে বসে - মানুষ চেয়েছে কিবা ? পেয়েছে কি ? কিছু পেয়েছে কি ! হয়তো পায় নি কিছু - যা পেয়েছে , তাও গেছে খসে অবহেলা করে করে কিংবা তার নক্ষত্রের দোষে - ধ্যানের সময় আসে তারপর - স্বপ্নের সময় ! শরীর ছিঁড়িয়া গেছে - হৃদয় পড়িয়া গেছে ধসে ! অন্ধকার কথা কয় - আকাশের তারা কথা কয় তারপর , সব গতি থেমে যায় - মুছে যায় শক্তির বিস্ময় ! ১৯ কেউ আর ডাকিবে না - এইখানে এই নিশ্চয়তা ! তোমার দু - চোখ কেউ দেখে থাকে যদি পৃথিবীতে কেউ যদি শুনে থাকে কবে তুমি কী কয়েছ কথা , তোমার সহিত কেউ থেকে থাকে যদি সেই শীতে - সেই পৃথিবীর শীতে - আসিবে কি তোমারে চিনিতে এইখানে সে আবার ! - উঠানে পাতার ভিড়ে বসে , কিংবা ঘরে হয়তো দেয়ালে আলো জ্বেলে দিতে দিতে - যখন হঠাৎ নিভে যাবে তার হাতের আলো সে - অসুস্থ পাতার মতো দুলে তার মন থেকে পড়ে যাব খসে ! ২০ কিংবা কেউ কোনোদিন দেখে নাই - চেনে নি আমারে ! সকালবেলার আলো ছিল যার সন্ধ্যার মতন - চকিত ভূতের মতো নদী আর পাহাড়ের ধারে ইশারায় ভূত ডেকে জীবনের সব আয়োজন আরম্ভ সে করেছিল ! কোনোদিন কোনো লোকজন তার কাছে আসে নাই - আকাঙক্ষার কবরের পরে পুবের হাওয়ার মতো এসেছে সে হঠাৎ কখন ! - বীজ বুনে গেছে চাষা - সে বাতাস বীজ নষ্ট করে ! ঘুমের চোখের পরে নেমে আসে অশ্রু আর অনিদ্রার স্বরে ! ২১ যেমন বৃষ্টির পরে ছেঁড়া ছেঁড়া কালো মেঘ এসে আবার আকাশ ঢাকে - মাঠে মাঠে অধীর বাতাস ফোঁপায় শিশুর মতো - একবার চাঁদ ওঠে ভেসে দূরে - কাছে দেখা যায় পৃথিবীর ধান ক্ষেত ঘাস , আবার সন্ধ্যার রঙে ভরে ওঠে সকল আকাশ - মড়ার চোখের রঙে সকল পৃথিবী থাকে ভরে ! যে মরে যেতেছে তার হৃদয়ের সব শেষ শ্বাস সকল আকাশ আর পৃথিবীর থেকে পড়ে ঝ ' রে ! জীবনে চলেছি আমি সে পৃথিবী আকাশের পথ ধরে ধরে ! ২২ রাত্রির ফুলের মতো - ঘুমন্তের হৃদয়ের মতো অন্তর ঘুমায়ে গেছে - ঘুমায়েছে মৃত্যুর মতন ! সারাদিন বুকে ক্ষুধা লয়ে চিতা হয়েছে আহত - তারপর , অন্ধকার গুহা এই ছায়াভরা বন পেয়েছে সে ! অশান্ত হাওয়ার মতো মানুষের মন বুজে গেছে - রাত্রি আর নক্ষত্রের মাঝখানে এসে ! মৃত্যুর শান্তির স্বাদ এই খানে দিতেছে জীবন জীবনের এইখানে একবার দেখি ভালোবেসে ! শুনে দেখি - কোন্ কথা কয় রাত্রি , কোন্ কথা নক্ষত্র বলে সে ! ২৩ পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভরে - শস্য ফলে গেছে মাঠে - কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা ; নদীর পারের বন মানুষের মতো শব্দ করে নির্জন ঢেউয়ের কানে মানুষের মনের পিপাসা মৃত্যুর মতন তার জীবনের বেদনার ভাষা - আবার জানায়ে যায় ! কবরের ভূতের মতন পৃথিবীর বুকে রোজ লেগে থাকে যে আশা - হতাশা - বাতাসে ভাসিতেছিল ঢেউ তুলে সেই আলোড়ন ! মড়ার - কবর ছেড়ে পৃথিবীর দিকে তাই ছুটে গেল মন ! ২৪ হলুদ পাতার মতো - আলোয়ার বাষ্পের মতন , ক্ষীণ বিদ্যুতের মতো ছেড়া মেঘ আকাশের ধারে , আলোর মাছির মতো - রুগ্নের স্বপ্নের মতো মন একবার ছিল ঐ পৃথিবীর সমুদ্রে পাহাড়ে - ঢেউ ভেঙে ঝরে যায় - মরে যায় - কে ফেরাতে পারে ! তবুও ইশারা করে ফাল্গুন রাতের গন্ধে বয়ে মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহ্বরে আঁধারে জীবন ডাকিতে আসে - হয় নাই - গিয়েছে যা হয়ে , মৃত্যুরেও ডাক তুমি সেই ব্যথা - আকাঙক্ষার অস্থিরতা লয়ে ! ২৫ মৃত্যুরে বন্ধুর মতো ডেকেছি তো - প্রিয়ার মতন ! চকিত শিশুর মতো তার কোলে লুকায়েছি মুখ ; রোগীর জরের মতো পৃথিবীর পথের জীবন ; অসুস্থ চোখের পরে অনিদ্রার মতন অসুখ ; তাই আমি প্রিয়তম প্রিয়া বলে জড়ায়েছি বুক - ছায়ার মতন আমি হয়েছি তোমার পাশে গিয়া ! যে - ধূপ নিভিয়া যায় তার ধোঁয়া আঁধারে মিশুক - যে ধোঁয়া মিলায়ে যায় তারে তুমি বুকে তুলে নিয়া ঘুমানো গন্ধের মতো স্বপ্ন হয়ে তার ঠোটে চুমো দিয়ো , প্রিয়া ! ২৬ মৃত্যুকে ডেকেছি আমি প্রিয়ের অনেক নাম ধরে । যে বালক কোনোদিন জানে নাই গহ্বরের ভয় , পুবের হাওয়ার মতো ভূত হয়ে মন তার ঘোরে ! - নদীর ধারে সে ভূত একদিন দেখেছে নিশ্চয় ! পায়ের তলের পাতা - পাপড়ির মতো মনে হয় জীবনেরে খসে ক্ষয়ে গিয়েছে যে , তাহার মতন জীবন পড়িয়া থাকে - তার বিছানায় খেদ - ক্ষয় - পাহাড় নদীর পারে হাওয়া হয়ে ভূত হয়ে মন চকিত পাতার শব্দে বাতাসের বুকে তারে করে অম্বেষণ । ২৭ জীবন , আমার চোখে মুখ তুমি দেখেছ তোমার - একটি পাতার মতো অন্ধকারে পাতা - ঝরা - গাছে - একটি বোঁটার মতো যে ফুল ঝরিয়া গেছে তার - একাকী তারার মতো , সব তারা আকাশের কাছে যখন মুছিয়া গেছে - পৃথিবীতে আলো আসিয়াছে - যে ভালোবেসেছে , তার হৃদয়ের ব্যথার মতন - কাল যাহা থাকিবে না - আজই যাহা স্মৃতি হয়ে আছে - দিন রাত্রি - আমাদের পৃথিবীর জীবন তেমন ! সন্ধ্যার মেঘের মতো মুহুর্তের রঙ লয়ে মুহুর্তে নূতন ! ২৮ আশঙ্কা ইচ্ছার পিছে বিদ্যুতের মতো কেঁপে ওঠে ! বীণার তারের মতো কেঁপে কেঁপে ছিঁড়ে যায় প্রাণ ! অসংখ্য পাতার মতো লুটে তারা পথে পথে ছোটে - যখন ঝড়ের মতো জীবনের এসেছে আহ্বান ! অধীর ঢেউয়ের মতো - অশান্ত হাওয়ার মতো গান কোন্দিকে ভেসে যায় ! - উড়ে যায় কয় কোন্ কথা ! - ভোরের আলোয় আজ শিশিরের বুকে যেই ঘ্রাণ , রহিবে না কাল তার কোনো স্বাদ - কোনো নিশ্চয়তা ! পান্ডুর পাতার রঙ গালে , তবু রক্তে তার রবে অসুস্থতা ! ২৯ যেখানে আসে নি চাষা কোনোদিন কাস্তে হাতে লয়ে , জীবনের বীজ কেউ বোনে নাই যেইখানে এসে , নিরাশার মতো ফেঁপে চোখ বুজে পলাতক হয়ে প্রেমের মৃত্যুর চোখে সেইখানে দেখিয়াছি শেষে ! তোমার চোখের পরে তাহার মুখেরে ভালোবেসে এখানে এসেছি আমি - আর একবার কেঁপে উঠে অনেক ইচ্ছার বেগে - শান্তির মতন অবশেষে সব ঢেউ ভেঙে নিয়ে ফেনার ফুলের মতো ফুটে , ঘুমাব বালির পরে - জীবনের দিকে আর যাব নাকো ছুটে ! ৩০ নির্জন রাত্রির মতো শিশিরের গুহার ভিতরে - পৃথিবীর ভিতরের গহ্বরের মতন নিঃসাড় রব আমি - অনেক গতির পর - আকাঙক্ষার পরে যেমন থামিতে হয় , বুজে যেতে হয় একবার - পৃথিবীর পারে থেকে কবরের মৃত্যুর ওপার যেমন নিস্তব্ধ শান্ত নিমীলিত শূন্য মনে হয় - তেমন আস্বাদ এক কিংবা সেই স্বাদহীনতার সাথে একবার হবে মুখোমুখি সব পরিচয় ! শীতের নদীর বুকের মৃত জোনাকির মুখ তবু সব নয় ! ৩১ আবার পিপাসা সব ভূত হয়ে পৃথিবীর মাঠে - অথবা গ্রহের পরে - ছায়া হয়ে , ভূত হয়ে ভাসে ! - যেমন শীতের রাতে দেখা যায় জোছনা ধোঁয়াটে , ফ্যাকাশে পাতার পরে দাঁড়ায়েছে উঠানের ঘাসে - যেমন হঠাৎ দুটো কালো পাখা চাঁদের আকাশে অনেক গভীর রাতে চমকের মতো মনে হয় ; কার পাখা ? - কোন্ পাখি ? পাখি সে কি ! অথচ সে আসে ! - তখন অনেক রাতে কবরের মুখ কথা কয় ! ঘুমন্ত তখন ঘুমে , জাগিতে হতেছে যার সে জাগিয়া রয় ! ৩২ বনের পাতার মতো কুয়াশায় হলুদ না হতে হেমন্ত আসার আগে হিম হয়ে পড়ে গেছি ঝরে ! - তোমার বুকের পরে মুখ আমি চেয়েছি লুকোতে ; তোমার দুইটি চোখ প্রিয়ার চোখের মতো করে দেখিতে চেয়েছি , মৃত্যু পথ থেকে ঢের দুরে সরে প্রেমের মতন হয়ে ! - তুমি হবে শান্তির মতন ! তারপর সরে যাব - তারপর তুমি যাবে মরে - অধীর বাতাস লয়ে কাঁপুক না পৃথিবীর বন ! - মৃত্যুর মতন তবু বুজে যাক - ঘুমাক মৃত্যুর মতো মন । ৩৩ নির্জন পাতার মতো আলেয়ার বাষ্পের মতন , ক্ষীণ বিদ্যুতের মতো ছেড়া মেঘে আকাশের ধারে , আলোর মাছির মতো - রুগ্নের স্বপ্নের মতো মন একবার ছিল ঐ পৃথিবীর সমুদ্রে পাহাড়ে - ঢেউ ভেঙে ঝরে যায় - মরে যায় - কে ফেরাতে পারে ! তবুও ইশারা ক ' রে ফাল্গুনরাতের গন্ধে বয়ে মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহ্বরে আঁধারে জীবন ডাকিতে আসে - হয় নাই - গিয়েছে যা হয়ে - মৃত্যুরেও ডাক তুমি সেই স্মৃতি - আকাঙক্ষার অস্থিরতা লয়ে ! ৩৪ পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাসাতে গেছে ভ ' রে - শস্য ফলে গেছে মাঠে - কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা ; নদীর পারের বন মানুষের মতো শব্দ করে নির্জন ঢেউয়ের কানে মানুষের মনের পিপাসা - মৃত্যুর মতন তার জীবনের বেদনার ভাষা - আবার জানায়ে যায় - কবরের ভূতের মতন পৃথিবীর বুকে রোজ লেগে থাকে যে আশা - হতাশা - বাতাসে ভাসিতেছিল ঢেউ তুলে সেই আলোড়ন ! মড়ার কবর ছেড়ে পৃথিবীর দিকে তাই ছুটে গেল মন ! ক্যাম্পে . . . . . . এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি ; সারারাত দখিনা বাতাসে আকাশের চাঁদের আলোয় এক ঘাইহরিণীর ডাকে শুনি - কাহারে সে ডাকে ! কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার ; বনের ভিতরে আজ শিকারীরা আসিয়াছে , আমিও তাদের ঘ্রাণ পাই যেন , এইখানে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঘুম আর আসে নাকো বসন্তের রাতে । চারি পাশে বনের বিস্ময় , চৈত্রের বাতাস , জোছনার শরীরের স্বাদ যেন্ ! ঘাইমৃগী সারারাত ডাকে ; কোথাও অনেক বনে - যেইখানে জোছনা আর নাই পুরুষহিরণ সব শুনিতেছে শব্দ তার ; তাহারা পেতেছে টের আসিতেছে তার দিকে । আজ এই বিস্ময়ের রাতে তাহাদের প্রেমের সময় আসিয়াছে ; তাহাদের হৃদয়ের বোন বনের আড়াল থেকে তাহাদের ডাকিতেছে জোছনায় - পিপাসার সন্ত্বনায় - অঘ্রাণে - আস্বাদে ! কোথাও বাঘের পাড়া বনে আজ নাই আর যেন ! মৃগদের বুকে আজ কোনো স্পষ্ট ভয় নাই , সন্দেহের আবছায়া নাই কিছু ; কেবন পিপাসা আছে , রোমহর্ষ আছে । মৃগীর মুখের রূপে হয়তো চিতারও বুকে জেগেছে বিস্ময় ! লালসা - আকাঙক্ষা - সাধ - প্রেম স্বপ্ন স্ফুট হয়ে উঠিতেছে সব দিকে আজ এই বসন্তের রাতে ; এই খানে আমার নক্টার্ন - | একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে , সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে দাঁতের - নখের কথা ভূলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে অই সুন্দরী গাছের নীচে - জোছনায় ! মানুষ যেমন করে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে হরিণেরা আসিতেছে । - তাদের পেতেছি আমি টের অনেক পায়ের শব্দ শোনা যায় , ঘাইমৃগী ডাকিতেছে জোছনায় । ঘুমাতে পারি না আর ; শুয়ে শুয়ে থেকে বন্দুকের শব্দ শুনি ; চাঁদের আলোয় ঘাইহরিণি আবার ডাকে ; এইখানে পড়ে থেকে একা একা আমার হৃদয়ে এক অবসাদ জমে ওঠে বন্দুকের শব্দ শুনে শুনে হরিণীর ডাক শুনে শুনে । কাল মৃগী আসিবে ফিরিয়া ; সকালে - আলোয় তারে দেখা যাবে - পাশে তার মৃত সব প্রেমিকেরা পড়ে আছে । মানুষেরা শিখায়ে দিয়েছে তারে এই সব । আমার খাবার ডিশে হরিণের মাংসের ঘ্রাণ আমি পাব , মাংস খাওয়া হল তবু শেষ ? কেন শেষ হবে ? কেন এই মৃগদের কথা ভেবে ব্যথা পেতে হবে তাদের মতন নই আমিও কি ? কোনো এক বসন্তের রাতে জীবনের কোনো এক বিস্ময়ের রাতে আমারেও ডাকে নি কি কেউ এসে জোছনায় - দখিনা বাতাসে অই ঘাইহরিণীর মতো ? আমার হৃদয় - এক পুরুষহরিণ - পৃথিবীর সব হিংসা ভুলে গিয়ে চিতার চোখের ভয় - চমকের কথা সব পিছে ফেলে রেখে তোমারে কি চায় নাই ধরা দিতে ? আমার বুকের প্রেম ঐ মৃত মৃগদের মতো যখন ধূলায় রক্তে মিশে গেছে এই হরিণীর মতো তুমি বেঁচেছিল নাকি জীবনের বিস্ময়ের রাতে কোনো এক বসন্তের রাতে ? তুমিও কাহার কাছে শিখেছিলে ! মৃত পশুদের মতো আমাদের মাংস লয়ে আমারও পড়ে থাকি ; বিয়োগের - বিয়োগের - মরণের মুখে এসে পড়ে সব ঐ মৃত মৃগদের মতো - প্রেমের সাহস সাধ স্বপ্ন বেঁচে থেকে ব্যথা পাই , ঘৃণা মৃত্যু পাই ; পাই না কি ? দোনলার শব্দ শুনি । ঘাইমৃগী ডেকে যায় , আমার হৃদয়ে ঘুম আসে নাকো একা একা শুয়ে থেকে ; বন্দুকের শব্দ তবু চুপে চুপে ভুলে যেতে হয় । ক্যম্পের বিছানায় রাত তার অন্য এক কথা বলে ; যাহাদের দোনলার মুখে আজ হরিণেরা মরে যায় হরিণের মাংস হাড় স্বাদ তৃপ্তি নিয়ে এল যাহাদের ডিশে তাহারাও তোমার মতন - ক্যাম্পের বিছানায় শুয়ে থেকে শুকাতেছে তাদের ও হৃদয় কথা ভেবে - কথা ভেবে - ভেবে । এই ব্যথা এই প্রেম সব দিকে রয়ে গেছে - কোথাও ফড়িঙে - কীটে , মানুষের বুকের ভিতরে , আমাদের সবের জীবনে । বসন্তের জোছনায় অই মৃত মৃগদের মতো আমরা সবাই । অবসরের গান . . . . . . . . . . শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার - চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ , তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান , দেহের স্বাদের কথা কয় - বিকালের আলো এসে ( হয়তো বা ) নষ্ট করে দেবে তার সাধের সময় ! চারি দিকে এখন সকাল - রোদের নরম রঙ শিশুর গালের মতো লাল ! মাঠের ঘাসের পরে শৈশবের ঘ্রাণ - পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের পড়েছে আহ্বান ! চারি দিকে নুয়ে প ' ড়ে ফলেছে ফসল , তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল ! প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে থেকে আসিতেছে ভেসে পেঁচা আর ইঁদুরের ঘ্রাণে ভরা আমাদের ভাঁড়ারের দেশে ! শরীর এলায়ে আসে এই খানে ফলন্ত ধানের মতো করে যেই রোদ একবার এসে শুধু চলে যায় তাহার ঠোটের চুমো ধ ' রে আহ্লাদের অবসাদে ভরে আসে আমার শরীর , চারি দিকে ছায়া - রোদ - ক্ষুদ - কুঁড়া - কার্তিকের ভিড় : চোখের সকল ক্ষুধা মিটে যায় এই খানে , এখানে হতেছে স্নিগ্ধ কান , পাড়াগাঁর গায় আজ লেগে আছে রূপাশালি ধান ভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ ! আমি সেই সুন্দরীরে দেখে লই - নুয়ে আছে নদীর এপারে বিয়োবার দেরি না - রূপ ঝরে পড়ে তার - শীত এসে নষ্ট করে দিয়ে যাবে তারে ! আজও তবুও ফুরায় নি বৎসরের নতুন বয়স , মাঠে মাঠে ঝ ' রে পড়ে কাঁচা রোদ , ভাড়ারের রস ! মাছির গানের মতো অনেক অলস শব্দ হয় সকালবেলা রৌদ্রে ; কুঁড়িমির আজিকে সময় । গাছের ছায়ার তলে মদ লয়ে কোন্ ভাঁড় বেঁধেছিল ছড়া ! তার সব কবিতার শেষ পাতা হবে আজ পড়া ; ভুলে গিয়ে রাজ্য - জয় - সাম্রাজ্যের কথা অনেক মাটির তলে যেই মদ ঢাকা ছিল তুলে লব তার শীতলতা ; ডেকে লব আইবুড় পাড়াগাঁর মেয়েদের সব - মাঠের নিস্তেজ রোদের নাচ হবে - শুরু হবে হেমন্তের নরম উৎসব । হাতে হাত ধরে ধরে গোল হয়ে ঘুরে ঘুরে ঘুরে কার্তিকের মিঠা রোদে আমাদের মুখ যাবে পুড়ে ; ফলন্ত ধানের গন্ধে - রঙে তার - স্বাদে তার ভরে যাবে আমাদের সকলের দেহ ; রাগ কেহ করিবে না - আমাদের দেখে হিংসা করিবে না কেহ । আমাদের অবসর বেশি নয - ভালোবাসা আহ্লাদের অলস সময় আমাদের সকলের আগে শেষ হয় দূরের নদীর মতো সুর তুলে অন্য এক ঘ্রাণ - অবসাদ - আমাদের ডেকে লয় - তুলে লয় আমাদের ক্লান্ত মাথা - অবসন্ন হাত । তখন শস্যের গন্ধ ফুরায়ে গিয়েছে ক্ষেতে - রোদ গেছে পড়ে , এসেছে বিকালবেলা তার শান্ত শাদা পথ ধরে ; তখন গিয়েছে থেমে অই কুঁড়ে গেঁয়োদের মাঠের রগড় হেমন্ত বিয়ায়ে গেছে শেষ ঝরা মেয়ে তার শাদা মরা শেফালির বিছানার পর ; মদের ফোঁটার শেষ হয়ে গেছে এ মাঠের মাটির ভিতর ! তখন সবুজ ঘাস হয়ে গেছে শাদা সব , হয়ে গেছে আকাশ ধবল , চলে গেছে পাড়াগাঁর আইবুড়ো মেয়েদের দল ! ২ পুরনো পেঁচারা সব কোটারের থেকে এসেছে বাহির হয়ে অন্ধকার দেখে মাঠের মুখের পরে সবুজ ধানের নিচে - মাটির ভিতরে ইঁদুরেরা চলে গেছে - আঁটির ভিতর থেকে চলে গেছে চাষা ; শস্যের ক্ষেতের পাশে আজ রাতে আমাদের জেগেছে পিপাসা ! ফলন্ত মঠের ' পরে আমরা খুঁজি না আজ মরণের স্থান , প্রেম আর পিপাসার গান আমরা গাহিয়া যাই পাড়াগাঁর ভাঁড়ের মতন ! ফসল - ধানের ফলে যাহাদের মন ভরে উঠে উপেক্ষা করিয়া গেছে সাম্রাজ্যেরে , অবহেলা করে গেছে - পৃথিবীর সব সিংহাসন - আমাদের পাড়াগাঁর সেই সব ভাঁড় - যুবরাজ রাজাদের হাড়ে আজ তাহাদের হাড় মিশে গেছে অন্ধকারে অনেক মাটির নীচে পৃথিবীর তলে কোটালের মতো তারা নিশ্বাসের জলে ফুরায় নি তাদের সময় ; পৃথিবীর পুরোহিতদের মতো তারা করে নাই ভয় ! প্রণয়ীর মতো তারা ছেড়ে নি হৃদয় ছড়া বেঁধে শহরের মেয়েদের নামে ! চাষাদের মতো তারা ক্লান্ত হয়ে কপালের ঘামে কাটায় নি - কাটায় কি কাল । অনেক মাটির নিচে তাদের কপাল কোনো এক সম্রাটের সাথে মিশিয়া রয়েছে আজ অন্ধকার রাতে ! যোদ্ধা - জয়ী - বিজয়ীর পাঁচ ফুট জমিনের কাছে - পাশাপাশি - জিতিয়া রয়েছে আজ তাদের খুলির অট্টহাসি ! অনেক রাতের আগে এসে তারা চলে গেছে - তাদের দিনের আলো হয়েছে আঁধার , সেই সব গেঁয়ো কবি - পাড়াগাঁর ভাঁড় আজ এই অন্ধকারে আসিবে কি আর ? তাদের ফলন্ত দেহ শুষে ল ' য়ে জন্মিয়াছে আজ এই খেতের ফসল ; অনেক দিনের গন্ধে ভরা ঐ ইদুরের জানে তাহা - জানে তাহ নরম রাতের হাতে ঝরা এই শিশিরের জল ! সে সব পেঁচারা আজ বিকালের নিশ্চলতা দেখে তাহাদের নাম ধরে যায় ডেকে ডেকে । মাটির নিচের থেকে তারা মৃতের মাথার স্বপ্নে নড়ে উঠে জানায় কী অদ্ভুত ইশারা ! আঁধারের মশা আর নক্ষত্র তা জানে - আমরাও আসিয়াছি ফসলের মাঠের আহ্বানে । সূর্যের আলোর দিন ছেড়ে দিয়ে , পৃথিবীর যশ পিছে ফেলে শহর - বন্দর - বস্তি - কারখানা দেশলাইয়ে জ্বেলে আসিয়াছি নেমে এই ক্ষেতে ; শরীরের অবসাদ - হৃদয়ের জ্বর ভুলে যেতে । শীতল চাঁদের মতো শিশিরের ভিজা পথ ধরে আমরা চলিতে চাই , তারপর যেতে চাই মরে দিনের আলোয় লাল আগুনের মুখে পুড়ে মাছির মতন ; অগাধ ধানের রসে আমাদের মন আমরা ভরিতে চাই গেয়ো কবি - পাড়াগার ভাঁড়ের মতন ! - জমি উপড়ায়ে ফেলে চলে গেছে চাষা নতুন লাঙল তার পড়ে আছে - পুরনো পিপাসা জেগে আছে মাঠের উপরে ; সময় হাঁকিয়া যায় পেঁচা অই আমাদের তরে ! হেমন্তের ধান ওঠে ফলে - দুই পা ছড়ায়ে বস এইখানে পৃথিবীর কোলে । আকাশের মেঠো পথে থেমে ভেসে চলে চাঁদ অবসর আছে তার - অবোধের মতন আহ্লাদ আমাদের শেষ হবে যখন সে চলে যাবে পশ্চিমের পানে - এটুকু সময় তাই কেটে যাক রূপ আর কামনার গানে ! ৩ ফুরোনো ক্ষেতের গন্ধে এইখানে ভরেছে ভাঁড়ার ; পৃথিবীর পথে গিয়ে কাজ নাই - কোনো কৃষকের মতো দরকার নাই দূরে মাঠে গিয়ে আর ! রোধ - অবরোধ - ক্লেশ - কোলাহল শুনিবার নাহিকো সময় - জানিতে চাই না আর সম্রাট সেজেছে ভাঁড় কোন্খানে কোথায় নতুন করে বেবিলন ভেঙে গুঁড়ো হয় ! আমার চোখের পাশে আনিয়ো না সৈন্যদের মশালের আগুনের রঙ দামামা থামায়ে ফেল - পেঁচার পাখার মতো অন্ধকারে ডুবে যাক রাজ্য আর সাম্রাজ্যের সঙ ! এখানে নাহিকো কাজ - উৎসাহের ব্যথা নাই , উদ্যমের নাহিকো ভাবনা ; এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার অনেক উত্তেজনা । অলস মাছির শব্দে ভরে থাকে সকালের বিষন্ন সময় , পৃথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয় ! সকল পড়ন্ত রোদ চারি দিকে ছুটি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে গ্রীষ্মের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে , এখানে পালঙ্কে শুয়ে কাটিবে অনেক দিন - জেগে থেকে ঘুমবার সাধ ভালোবেসে । এখানে চকিত হতে হবে নাকো - ত্রস্ত হয়ে পড়িবার নাহিকো সময় ; উদ্যমের ব্যথা নাই - এইখানে নাই আর উৎসাহের ভয় ! এই খানে কাজ এসে জমে নাকো হাতে , মাথায় চিন্তার ব্যথা হয় না জমাতে ! এখানে সৌন্দর্য এসে ধরিবে না হাত আর - রাখিবে না চোখ আর নয়নের পর ; ভালোবাসা আসিবে না - জীবন্ত কৃমির কাজ এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার ভিতর ! অলস মাছির শব্দে ভরে থাকে সকালের বিষন্ন সময় পৃথিবীর মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয় ; সকল পড়ন্ত রোদ চারি দিকে ছুটি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে , গ্রীষ্মের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে , এখানে পালঙ্কে শুয়ে কাটিবে অনেক দিন জেগে থেকে ঘুমাবার সাধ ভালোবেসে !
Download XML • Download text