ben-6
ben-6
View options
Tags:
Javascript seems to be turned off, or there was a communication error. Turn on Javascript for more display options.
লেখক বলেছেন : শিরীষ - - - - আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভাল লাগলো । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । শুভকামনা রইল ।
আসসালামু আলাইকুম , সবাইকে স্বাগতম জানাই প্রথমেই । আজকে দেখাব সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে কীভাবে জিমেইল পাসওয়ার্ড হ্যাকিং করা যায় । বকবক না করে আসল কাজে যাই যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি হ্যাকিং করবেন জিমেইল password তার নাম হল " জিমেইল হ্যাকার " । এটির দ্বারা সবচেয়ে সহজ পথে hacked করতে পারবেন জিমেইল একাউন্ট কীভাবে কি করবেন : ১ । প্রথমে Gmail Hacker ডাউনলোড করে নিন ২ । এবার [ . . . ]
ঢাকা , ১৩ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডেস্ক ) : বিশ্ব ক্রিকেটে বোলারদের দীর্ঘ ২২ বছর ধরে শাসন করে আসছেন শচীন টেন্ডুলকার । আর শচীন মানেই যেন সেঞ্চুরি । এখন পর্যন্ত টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে সর্বমোট ৯৯টি সেঞ্চুরি করেছেন লিটল মাস্টার শচীন । আর মাত্র ১টি সেঞ্চুরি করলেই তিনি নতুন এক ইতিহাসের সূচনা করবেন । ১৩৪ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই হবেন শততম সেঞ্চুরি করার অনন্য রেকর্ডের মালিক । বিশ্বকাপে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি । ওই আসরেও ৪টি ম্যাচে সুযোগ ছিল শততম সেঞ্চুরি করার তবে পারেননি শচীন । মাইলফলক অর্জনের ক্ষেত্রে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাকে । অথচ শচীন নিজেই সে ব্যাপারে আগ্রহী নন । এ ব্যাটিং জিনিয়াস জানিয়েছেন ক্রিকেট খেলার প্রতিই তিনি বেশি আগ্রহী কিন্তু শততম সেঞ্চুরি করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন তিনি । আজ বুধবার ডেইলি টেলিগ্রাফকে এ কথা জানিয়েছেন শচীন । শততম সেঞ্চুরি পেতে দেরি হলেও বিশ্বকাপের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেননি শচীন । তবে আগামী ২১ জুলাই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট ম্যাচে নামছেন আবারো ব্যাট হাতে । আর সেদিনই রচনা হতে পারে নতুন এক ইতিহাস । ওই ম্যাচটি হবে ক্রিকেট ইতিহাসে ২০০০তম টেস্ট । আর ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে শততম টেস্ট । সবদিক থেকেই এক ঐতিহাসিক দিনে আরেকটি নতুন দ্বার উন্মোচনের সুবর্ণ সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে ভারতীয় সমর্থকদের কাছে ' ক্রিকেট গড ' খ্যাত শচীনের । তিনি টেস্টে সর্বাধিক ৫১টি এবং ওয়ানডেতেও সর্বাধিক ৪৮টি সেঞ্চুরি করেছেন । তবে নতুন আরেকটি বিশ্বরেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে থাকা শচীন জানালেন , আমি কোনো রেকর্ডের কথা ভাবছি না । সফরটাকে কিভাবে উপভোগ করা যায় সেটা নিয়েই ভাবছি । রেকর্ডের পেছনে ছোটা কখনোই ভাল পারফরম্যান্সের কারণ হতে পারে না । তাই আমি কেমন খেললে খেলাটা উপভোগ্য হবে সেটাই আসল । আর আমি যদি উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দিতে সক্ষম হই তাহলে খেলার বৈশিষ্ট্য উচ্চমানের হতে বাধ্য । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / এমআর / এনডিএস / ২০ . ১৫ ঘ . )
পে - প্যাল থেকে ক্যাশ আউট করতে গিয়ে নানা ধরণের ক্যাচালে পড়েছি বিভিন্ন সময়ে । তবে প্রথমে ইউ , এস , এ হয়ে টাকা ঘুরিয়ে পেচিয়া আনতাম তাতে খরচ ভালোই পড়তো যার জন্য অন্য কোনো উপায় বের করার চেষ্টা চালাতে গিয়েই ইন্টারনেট থেকে পে - প্যাল বিডি ' র সন্ধান পেলাম । এই ভদ্রলোক ( যে আর কি এই ব্যবসার মালিক ) তার ব্যক্তিগত নম্বরে সাথে সাথে ফোন দিলাম খবর জানবার জন্য । সে বললো এক লম্বা কাহিনী ধৈর্য ধরে শুনে পরদিন তার বাসায় গিয়ে ভালোয় ভালোয় টাকা নিয়ে আসলাম । প্রথম লেন - দেন হয়েছিলো মাত্র ১৪৫ ডলারের তাই একটু রিস্ক নিতে সংকোচ করি নাই । ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে ভালো ই লেগেছিলো তাই তার মিষ্টি কথায় গলে আমি বিজনেস একাউন্ট এর সাবস্ক্রিবশন কিনলাম ১ বছরের জন্য । তখন আর কি ওদেরও বিজনেস মাত্র শুরুর দিকে কয়েকটা ট্রান্জেকশন পরেই ঘটলো বিপত্তি ওদের পে - প্যাল এর কোনো একটা রিভিউ বাকি থাকার কারণে আমাদের একটা ট্রান্সেকশন পেপ্যাল থেকে প্রায় ১৩ হাজার টাকার মত আটকিয়ে দিলো , কিন্তু ঐদিকে ওরা আমাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে ডলারের বদলে । আমি ২ দিন পরে দেখি এই কাহিনী আর ঐ দিকে মাশাল্লাহ আমারো টাকা শেষ । পড়লাম মহা বিপদে কারণ আমার পে - প্যাল ও আটকা ট্রান্জেকশন বন্ধ ছিলো ১৪ দিনের মতো যদিও ওদের টাকা দিয়ে কোনো মতে ইজ্জত বাচাইতে পারছিলাম নাহলে তাও গেছিলো । যদিও ভুল টা ওদের ছিলো কি ছিলো এইটা পে - প্যাল ই ভালো জানে । যাই হোক তার পর থেকে ওদের রুলস খুবই কড়া ৩ দিনের আগে টাকা দিবে না । ওদের পে - প্যালে টাকা পাঠানোর ৩ দিন পর আপনি টাকা পাবেন । এছাড়াও আরো ভকি - ঝকি আরও অনেক সুযোগ সুবিধা আছে , আমি ঐ একটা ইউজ করি তাই বাকি গুলো সম্পর্কে ঠিক মতো জানি না তবে সাইট চেক করলে পাবেন । ওরা ভুয়া না এইটা কথা যেমনি মিথ্যা তেমনি ওরা জালিয়াত এই কথা তেমনিই সত্যি পার ডলারের এগেইন্সটে ওরা আপনাকে দিবে ৬৪ , ৬ টাকা আর ওরা সেই ডলার পে - প্যালে আবার সেল করে পাবলিকের কাছে ৭০ টাকায় । মানে এক ডলারে ৫ টাকার বেশী লাভ । এ পুরা বেনিয়াদি বিজনেস বসে বসে টাকা গুনে । আমার খুবই মেজাজ খারাপ হয় মাঝে মধ্যে । অবশ্য এখন খুবই ভদ্র আমার সাথে স্পেশাল বিজনেস মেম্বার কিনা
উপরের ছবির মতো ২টো চেকবক্স সিলেক্ট করুন । পরের স্ক্রিণে যান , কোন উইন্ডোজ ভার্শনের সাথে কম্প্যাটিবল হবে সেটা জানতে চাইবে , এখানে Vista সিলেক্ট করে সেইভ করুন ।
জহুরুল হক হলের নৃ - বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মনির উদ্দিন বললেন , " গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসের এমন রূপ দেখিনি । এ যেন অন্য রকম এক ক্যাম্পাস । "
প্রাক - পুঁজিবাদী যুগে রাজা - বাদশারাই দেশ শাসন করতেন । কোন সংবিধানের অধীনে এই শাসন চলতো না । প্রত্যেক দেশের সমাজ ব্যবস্থায় তাদের নিজস্ব কিছু প্রচলিত নিয়মকানুন , রীতিনীতি ছিল । সেই নিয়মকানুন , রীতিনীতির সাথে শাসক রাজা - বাদশাদের দ্বারা নির্দিষ্ট ও প্রচলিত আইনকানুন যুক্ত হয়ে আইনের একটা কাঠামো থাকতো । সেই কাঠামোর অধীনেই রাজা - বাদশারা শাসন কাজ পরিচালনা করতেন । তবে আইনের এই কাঠামো এমন হতো না , যা রাজা - বাদশারা পবিত্র জ্ঞানে সব সময় মান্য . . .
ব ঙ্কিম আচার্য , শেখর হাজরাসহ আশেপাশের কারখানা থেকে শ্রমিকরা ছুটে আসাতে শূন্যে গুলি চালিয়ে ' কসমা ' পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় । এই ঘটনার কিছু পরেই কসমা আক্রমণ করে সি পি আই এম প্রভাবিত ঘোষ বস্তি এলাকায় । ভাঙ্গা হয় ' শিশুকল্যাণ প্রাথমিক স্কুল ' । বোমা মারা হয় আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক শ্যামল সুন্দর বেরার বাড়িতে । বোমার আঘাতে মারা যায় সি পি আই এম কর্মী পিঙ্কু দাস ও তরুণ বেরা । গুরুতর আহত হন - অমল চ্যাটার্জী , সীমা চৌধুরী , সনাতন দাস , রবীন মন্ডল সহ বহু সি পি আই এম কর্মী ।
৪ । আর তোমরা যার পূঁজা করে আসছো , আমি কখনও তার পূঁজা করবো না । ৫ । তোমরাও তাঁর এবাদতকারী হবে না যার এবাদত আমি করি । ৬ । তোমাদের দ্বীন তোমাদের , আমার দ্বীন আমার ৬২৯১ ।
এটা গত পরশু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২য় ওয়ানডেতে জয়ের পরের ছবি । দীর্ঘ ২৫০ দিন আর ২৪ ম্যাচ পর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে । আর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৯ টা টেস্ট টীমকে হারানোর বৃত্ত পূর্ণ করেছে । অভিনন্দন টাইগারদের । কিন্তু আমরা আর ২৫০ দিন আর ২৪ ম্যাচ ( এত দিন এত ম্যাচ ) অপেক্ষা করতে চাইনা । চাই বাংলাদেশ
আকাশটা ভাল লাগতো সবসময় ভাল লাগে এখনও … মনের অজান্তে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলোই পোস্ট করলাম । ( আরও & # 8230
করিডোর সুবিধা দিতে প্রথম সমঝোতাটি হল কোন ফি ছাড়াই
সরকারের বিরু্দ্ধে লিখে ভাংগে কলম বিরোধিরা বকলমে ভাংগে কলম ট্রাই মারতে গিয়া
মাঝে মাঝে আমার খুব ইচ্ছে করে আপনাদের কাছে গিয়ে গল্প করতে ৷
লেখক বলেছেন : আমি নিজেও কনফিউজড হলাম । আমি জানি যে মেয়েদের যেতে বলা হয়েছে । এনিওয়ে , একেবারে সামনে না যান , কাছাকাছি আসতে পারেন । সাহায্য করার অনেক পথ আছে । একটা না একটা জায়গায় তো লেগেই যাবেন , তাই না ?
লেখক বলেছেন : " সম্ভবত ব্লগে আপনি হাতেগোনা কয়েকজনের একজন , যিনি প্রায় অর্ধেক জীবন ছাগুবান্ধব সংঘে ( আমরা শক্তি আমরা বল , আমরা ছাত্রদল ! ) ছাগুসঙ্গে থেকে পরে পল্টি খেয়ে ছাগুবিরোধী আন্দোলনের হাবিলদার হতে পেরেছিলেন । " - - - বিস্মিত হবার কিছু নাই ফিউশন ! মহামতি মার্কসের মতে ইতিহাসে ব্যক্তি দুবার আসে : প্রথমবার কমেডি হিসেবে এবং দ্বিতীয়বার ট্রাজেডি হয়ে । আরিফ হয়ত এভাবে ইতিহাসের দায় শোধ করেছেন ।
আজ ১৪ই ডিসেম্বর । ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার ও তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার , আল শামস ও আল বদর বাহিনীর সহায়তায় বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যা করে ।
ক্যাচাল বলেছেন : কাল নটায় বের হব উইথ ব্লগার মাটি ভাই
আরে ছোটদেরওতো কাজে লাগবো , তবে সেটা সময়মতো ; সেটা কেন আপনারা ভুলে যাচ্ছেন । আমি পুরো টপিকটি অত্যন্ত মনযোগের সহিত পড়লাম । লাভ মেরেজের তো কোন সম্ভাবনাই নেই , { থাকলেও ১০ থেকে ১৫ % ( কারণ কোন কিছুরই ১০০ % গ্যারান্টি যেমন নেই তেমনি ০ % গ্যারান্টিও হতে পারেনা ) } তাই স্বাভাবিকভাবেই এ্যারেঞ্জ ম্যারেজের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা আরকি . . . ।
পোস্ট করা হয়েছে : শনি জুলাই ২৫ , ২০০৯ ১০ : ৪৫ পূর্বাহ্ন
বন্ধু তুমি আছ কোথাই যানিনা আমি । তোমায় নিয়ে ভাবতে থাকি গবির রজনি ।
ধামইরহাটে মৃত্যুর আগেই কবর প্রস্তুত করলেন এক মুরিদ
ফয়েজ উদ্দিন শাকিল বলেছেন : লালসালু বলেছেন : মাইয়া দর্শকটা বড়ই সৌন্দর্য । লালসালু ভাই এর পাত্রি দেখা হচ্ছে চান্সে
ভ্রমণ কাহিনীকার হিসেবে আপনার আত্মপ্রকাশ কিন্তু বেশ সদম্ভেই হবার সময় হয়েছে বলে মনে হলো . . . ফ্যাবুলাস হইছে ম্যান ।
স্বল্প ঘুম , একেবারে না ঘুমানো এবং স্বাভাবিক ঘুমের কারণে কয়েকদিন শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ , হরমোনের মাত্রা এবং তাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় কী ধরণের পরিবর্তন হয় সেটা তাঁরা লক্ষ্য করেছেন ৷ সেখানে দেখা গেছে , মাত্র একদিন ঘুম না হলে , পরেরদিন সকালে বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় ৷ রাতে যার খুব ভালো ঘুম হয়েছে তার সাথে তুলনা করে দেখা গেছে , যার ঘুম হয়নি তার শরীরে ক্লান্তি ভর করেছে , নিশ্বাস নেওয়া বা হজমের মত ব্যাপারগুলো শতকরা কুড়িভাগ থেকে নেমে এসেছে শতকরা পাঁচ ভাগে ৷ দেখা গেছে , ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টির পরে সকালে একজন অল্প বয়সের পুরুষের রক্তে চিনির মাত্রা , ক্ষুধা বৃদ্ধির হরমোন ঘ্রেলিনের মাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধির হরমোন কর্টিসলের মাত্রা অনেক বেশি ৷ এর আগের কয়েকটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে , যারা পাঁচ ঘন্টা বা তারও কম ঘুমান , খুব দ্রুত তাদের ওজন বাড়ে এবং ওজনের সঙ্গে সমর্কিত রোগ টাইপ - টু ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হন ৷
একাত্তরে গণহত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী গোলাম আজম ও জামায়াত ইসলামীর বিচার না করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ , চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট । সংগঠন দুটি ' র চট্টগ্রামের নেতারা বলেছেন , ' গোলাম আজম ও জামায়াতের বিচার না করে নিজামী , মুজাহিদ , সাকাদের মত গুটি কয়েকজনের বিচার প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয় । ' শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় সংগঠন দুটির নেতারা এসব কথা বলেন । এসময় তারা আরও বলেন , ' একাত্তরে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আন্দোলনের …
লেখক বলেছেন : প্রতিভা বিকাশে ব্যর্থ হলে মানুষ সমঝদার কিংবা সমালোচক হয়ে যায় - মোতাহের হোসেন চৌধুরী ।
চার দিনের বাংলাদেশ সফরের আগে ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ভেনিজুয়েলার সাথে ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা । মূলত কলকাতার কর্মকর্তাদের সাথে বাফুফে সভাপতির সম্পর্কের কারণে ঢাকায় আসছে ম্যারাডোনার দেশ । ফিফা নির্ধারিত আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে অনেক সময় কোচরা নতুনদের পরীক্ষা - নিরীক্ষা করান । বাদ দেন তারকা ফুটবলারদের । তবে বাংলাদেশ সফরে আর্জেন্টিনা দলে মেসি - তেভেজরা যেন থাকে সে শর্ত দিয়েছে বাফুফে । সালাউদ্দিন জানান এ তথ্য । ঢাকায় অবস্থানকালে নাইজেরিয়া ও আর্জেন্টিনার দু ' টি প্র্যাকটিস সেশন হবে । একটি সেশন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও ট্যাকটিক্যাল প্র্যাকটিস সেশনে নিষিদ্ধ মিডিয়া - দর্শক সবাই ।
২০০৯ - এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জাকির তালুকদারের উপন্যাস ' মুসলমানমঙ্গল ' । ৩৫০ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি দুটি পর্ব ' আত্মসমালোচনা পর্ব ' ও ' মোকাবিলা পর্ব ' - এ বিভক্ত । শেষ প্রচ্ছদে ' সংবেদী পাঠক ' কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে পাঠক ও লেখক উভয়েই তাদের মুসলমান ও বাঙালি পরিচয় নিয়ে রক্তাক্ত । একদিকে উন্নত বিশ্ব তাদের ঋণচক্রজালের মধ্য দিয়ে যাদের অবজ্ঞা ও ঘৃণা করছে তারাই আবার পাহাড়সমান অবজ্ঞার কারণে নিজেদের আত্মপরিচয়হীনতার মধ্যে নিমজ্জিত . . .
ঘটনা ১ : ১৯৯৪ - ৯৫ সালে বাংলাদেশের অনেক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জনিত ব্যাপার স্যাপার ছিল যেগুলো পাচার হবার ভয়ে সাবমেরিন কেবলে যোগ দেয়া হয় নাই । ১০ বছরের মাঝে আমাদের ঘরের খবর সব পান্তাভাত সুতরাং নিরাপত্তার ভয় না থাকায় সাবমেরিন কেবলে যোগ দিলাম আমরা , নাহয় গরীবের ট্যাক্স আর বিদেশী ভিক্ষার টাকা থেকে এক খাবলা তুলেই দিলাম কেবল ওয়ালাদের হাত এ । ঘটনা ২ : একসময় আমাদের জাতির কম্পিউটার বিবেক নামে অভিহিত এক ভদ্রলোক ভিনদেশী প্রযুক্তি চুরি করে কিছু একটা বানিয়ে বেশ কয়েকবছর নাম কামালেন । পরে যদ্দিনে নিজের গাঁটের পয়সা হলো পেটেন্ট করার তখন নিজের লোক দিয়ে আসল কিছু একটা বানালেন এবং নিজের নামে পেটেন্ট করলেন ! শুরু হয়ে গেলো হম্বিতম্বি ! ঘটনা ৩ : ১৯৯৬ সাল । আমার পরিচিত এক স্কুল শিক্ষক ৫৪ বছর বয়সে ক্লাস নিতে এসে দেখেন ছাত্ররা কি নিয়ে যেন কিচির মিচির করছে ! একটার ঘাড় চেপে ধরতেই সে একটা টিভি গেইমের ক্যাসেট দিল । মাস্টার মশাই বুঝলেন না এটা কি ? তো , ভালো ছাত্র মানেই ভালো ছেলে এই হিসাবে ক্লাসের ফার্স্ট বয়কে জিজ্ঞেস করলেন এটা কি রে ? সুবোধ বালক বাবু মনের মাধুরী মিশিয়ে সেটাকে তখনকার দুষ্প্রাপ্য বস্তু কম্পিউটারের কিছু একটা বলে চালিয়ে দিল ! মাস্টার মশাই বেশ আগ্রহের সাথে তাকে পিঠ চাপড়ে ফেরত পাঠালেন এবং " আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা . . . . . . . . . . . . . . . . . " টাইপ উক্তি আউড়ে নিজের ছাত্রদের প্রযুক্তি মনষ্কতার প্রশংসা করতে লাগলেন ! এবারেও হয়তো রোকেয়া হলের সিঁড়ির নকশা ইন্টারনেটে বিদেশে পাচার কিংবা হল কর্তৃপক্ষের ১ঘর - ১পিসি তত্বের পেটেন্ট রক্ষার্থে অথবা , মেয়েরা পড়া ছেড়ে ছি : নেমা দেখে এই সন্দেহে কম্পিউটার ব্যবহার কমানোর চেষ্টা চলছে ! আমার মাথায় তো আর কিছুই আসছে না ভাই ! ভাবখানা এমন যেন , সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রীর কম্পিউটার থাকলে সমাজ অশুদ্ধ হয়ে যাবে ! আর কম্পিউটারের ছাত্রী সমাজ কে বাঁচিয়ে তুলবে " আনন্দ " বটিকা খাইয়ে !
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বলেন , " ২০২১ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের হার শতকরা ৮০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার । "
অ্যাডেলেইডে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সময় কাঁধে আঘাত পান হ্যারিস । কিন্তু স্ক্যান করে দেখা যায় আঘাত গুরুতর নয় । তাই বলা [ বিস্তারিত ]
যোহন 8 : 47 যে কেহ ঈশ্বরের , সে ঈশ্বরের কথা সকল শুনে , এই জন্যই তোমরা শুন না , কারণ তোমরা ঈশ্বরের নহে ৷
' ধর্মনিরপেক্ষতা হারাম ' , ' নামাজ পড়বেন তো নিজের ভালোর জন্য ; কিন্তু ইমান ঠিক রেখে , মুসলমানের ক্ষতি হয় , এমন কাজ ঠেকানোই মুসলমানের আসল কাজ ; আমরা জামাতিরা অনেকেই নামাজ পড়িনা , কিন্তু আমাদের ইমান শক্ত ; এজন্যই আমলের চেয়ে ইমানের জোর বাড়ান , মুসলমানের ইমানি জোর কমে গেলে সে আর মুসলমান থাকেনা ' - এদের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে আমাদের সমাজে । আমি আমার এক ৭০ বছরের বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে তো ? তিনি আমাকে বললেন , শফিক চায় এখন তোমাদের হাসিনা চাইলেই হয়ে যাবে । আমি বললাম , বুড়োদের নিয়ে এই সমস্যা - রাজা উজির না মারলে তাদের চলে না ! তিনি কিছুক্ষণ চালশেদের গালাগালি করলেন তারপর বললেন , রাজা উজির ছাড়া এই কাজ হবেই না ।
স্টাফ রিপোর্টার : টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত দেশের উপকূলীয় জনজীবন । পানিবন্দি লাখো মানুষ । ভারি বৃষ্টিতে রাজধানীতেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত । জলাবদ্ধতা ও যান চলাচলে ব্যাঘাতের নগরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে । বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তা । গতকাল দিনের প্রথমার্ধে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল ৪৯ মিলিমিটার । এখনও বহাল চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত । এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত পণ্যবাহী বিদেশী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস ।
১ . আজ ভোরে ঘুম ভাঙল ঠিকা বুয়ার সঙ্গে মায়ের বাহাসে । প্রতিদিনই তার দেরী হয় , একই ব্যাখ্যা প্রতিদিনই , তবু মা সেটা জানতে চায় । দীর্ঘদিন স্কুলের হেডমিস্ট্রেস থাকার অর্জন হল বেশকিছু বদগুণ । যার মধ্যে অন্যতম এই জেরা করার স্বভাব । মাথার নীচ থেকে বালিশটা টেনে মুখের উপর ফেলি । আওয়াজ একটু কমল । আসলে কি মায়ের অর্জন শুধু ঐটুকুই ? নাহ্ , ভাল কিছুও আছে । এই যে আমি , একটু পরে অফিসে যাব , তার পারিপাট্যের প্রস্তুতি মা নিজ দায়িত্বে করে রাখছেন ।
ওয়ান ইলেভেনের দিনটি এলেই আমার ১ ডিজিটটি প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে যায় । কারণ ওয়ান ইলেভেনে আমার জন্মটাও অনেকটা এরকম ০ এবং ১ এর খেলা ছিল । রাজপথে মৃত গণতন্ত্রের নমুনা হয়ে পড়ে থেকে আমি শূন্যের মাঝে বিলীন হয়ে গিয়েছিলাম । সেখান থেকে বসের এই ল্যাবরুমে আমাকে সাইবর্গ ম্যান করে অস্তিত্ব প্রকাশের একক অর্থাৎ ১ হিসেবে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে । এই দিনটিতে তাই তিনটি ১ ডিজিটের সাথে একটি ০ ডিজিট কোনরকমেই পেরে উঠে না । আমি তিনটি ১ ডিজিটের বদৌলতে প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে উঠি ।
সেখানে থাকত অর্ফিউস । সে এত সুন্দর বীণা বাজাতে পারত যে , বন্য পশুরাও তার গান শুনে মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার পিছন পিছন আসতে শুরু করে দিত । গাছেরা পর্যন্ত নাচতে নাচতে তার পিছু নিত । তারপর যেখানে সে বীণা থামাত , সেখানেই শিকড় গাড়ত । আর ছিল মোপাস । পাখিরা নিজেদের মধ্যে কি কথা বলে , তা বুঝতে পারত মোপাস । বুটাস ছিল জগতের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ । টাইফিসের মতো সুদক্ষ জাহাজচালক আর কেউই ছিল না । ক্যাসটর ও তার ভাই পলিডিউসিস ছিল দুর্ধর্ষ মুষ্টিযোদ্ধা । বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিমান পুরুষ হেরাক্লেসও সেখানে ছিল । লিনসিউস নামে আরও একটি ছেলে ছিল । সে বহু দূর পর্যন্ত দেখতে পেত । এমনকি কবরে শুয়ে থাকা মৃতদেহগুলিকেও দেখতে পেত সে । এই জন্য তাকে বলা হত ' সূক্ষ্মলোচন ' । এফিমাস এত জোরে দৌড়তে পারত যে , পায়ের পাতা না ভিজিয়েই ধূসর সমুদ্র পার হয়ে যেত সে । ক্যালাইস ও জিটাস ছিল উত্তর বায়ুর পুত্র । তাদের পায়ে লাগানো ছিল সোনার ডানা । আর ছিল পেলিউস । পরবর্তীকালে সে রুপোর পা - ওয়ালা সমুদ্রফেনার দেবী থেটিসকে বিয়ে করেন । পেলিউস ও থেটিসের সন্তানই ছিলেন প্রসিদ্ধ যোদ্ধা অ্যাকিলিস । এরা ছাড়াও আরও অনেকেই সেখানে ছিলেন । সবার নাম লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে । সেই পাহাড়ি অঞ্চলে সকলে এক সঙ্গে বড়ো হচ্ছিল । তাদের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল । ধীরে ধীরে প্রত্যেকেই হয়ে উঠলেন স্বাস্থ্যবান , সাহসী ও শক্তিশালী যুবক । তারপর যে যার বাড়ি ফিরে গেলেন । কিন্তু জেসনের তো আর যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না । তাঁর বাড়ি কেড়ে নিয়েছিলেন কাকা পেলিয়াস । আর সেই থেকে তাঁর বাবাও ভবঘুরে হয়ে পড়েছিলেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত একা থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে জেসনও গুরুকে বিদায় জানিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এলেন । ধরলেন আইওলকসের পথ । তাঁর দুষ্টু কাকা সেখানে রাজত্ব করছিলেন তখনও । হাঁটতে হাঁটতে তিনি উপস্থিত হলেন এক বিশাল নদীর ধারে । সেই নদীতে বান ডেকেছিল । নদীর জল যেন রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে পাথরগুলিকে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছিল । নদীর তীরে বসেছিল একটা বুড়ি ।
প্রজন্ম ফোরাম » রাজনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট » অভ্র ' র জন্য মানব বন্ধন
০৪ . পাহাড়ীরা এখন পাহাড়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক না ।
আজকে দুপুরের লাঞ্চের পর কথা হচ্ছিল একজন সিনিয়র বাংলাদেশি ভাইয়ের সাথে । উনি প্রায় বছরের বেশি হলো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পি এইচ ডি করে একটি প্রজেক্টে ফেলো হিসেবে কর্মরত । উনার গবেষনার বিষয় ছিলো প্রাকৃতিক গ্যাস আহরনের অপটাইমাইজেশন প্রসেস । কনোকোফিলিপসের সাথে সাম্প্রতিক পেট্রোবাংলার যুক্তির বিষয়
যে অাঘাত করে লুকিয়ে পড়ে তাকে কাপুরুষ ছাড়া অার কি বলা যায় !
সিলেট ২ জুলাই : নগরীর হাউজিং এস্টেটের ১৩২ নং বাসা থেকে প্রায় দেড় বছর বন্দী থাকা দুই তরুণীকে আজ শনিবার পুলিশ উদ্ধার করেছে । তাদের পিতাই তাদেরকে দুটো পৃথক রুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলো । আফিয়া বেগম কলি ( ৩১ ) ও সাথিয়া বেগম লাকীকে ( ৩৪ ) আজ দুপুর ১টায় উদ্ধার করা হয় । কলি নবম শ্রেণী পর্যন্ত ও লাকী সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে বিএ ক্লাসে অধ্যায়নরত ছিলো । সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী দৈনিক সিলেটকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন , মেয়ে দুটির বাবা সম্ভবত মানসিক বিকারগ্রস্থ । লাকী ও কলিকে যখন উদ্ধার করা হয় । তখন তাদের গায়ে দূর গন্ধ করছিলো এবং রুমে দূরগন্ধ । তাদের পিতা বাসার বিদুগ্যাস ও পানি সংযোগ কেটে ছিলো । লাকী মাথার চুল ন্যাড়া করা হয়েছিলো । সদ্য তার মাথার চুল গজিয়েছে । কলি মাথার চুল বক কাট ধরনের । তাদের বাবাই তাদের মাথার চুল কেটেছিলো । তরুনী দুটোকে যখন পুলিশ বাসার বাইরে নিয়ে আসে তখন লাকীর পরনে ছিলো একটি সেমিজ ও একটি পায়জামা । খাটো চুল ও হাড্ডিসার লাকিকে দেখে বুঝার উপায় ছিলো না সে ছেলে না মেয়ে । তবে কলি ছিলো প্রাণবন্ত সে সারাক্ষনই শুদ্ধ উচ্চারনে এবং প্রচুর ইংলিশ শব্দ মিশিয়ে রেডিও জকিদের মতো কথা বলছিল । বুঝায়ই যাচ্ছিলো না তার বাড়ি সিলেটে তার পরনের ছিল কালো রংয়ের বিশাল একটি জ্যাকেট অনেক গুলো পকেটওলা প্যান্ট এবং পায়ে জুতো । তার একটি পায়ে ছিল মোজা এবং মোজা না পাওয়ায় অপর পা একটি গেঞ্জি দিয়ে পেছানো ছিল । তারা দুজনকে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে । দুই তরুণীকে কেন বন্দী করে রাখা হয়েছিলো এসর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য এখনও আমাদের হাতে এসে পৌছেনি । তবে অন্য একটি সুত্র মতে মানসিক বিকারগ্রস্থ এই পিতা লন্ডন প্রবাসী বলে জানা যায় ।
গেদু কলেজ ও হোস্টেল এবং কিছু সরকারী অফিস ।
ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মামুন আজাদ । এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো . গোলাম সগির , উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো . ইউসুফ আলী , মো . নিজাম উদ্দিন , পৌর কাউন্সিলর বশার প্যাদা , ছাত্রলীগ সভাপতি ইশরাত হোসেন আব্বাস প্রমুখ । …
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ বলেছেন : অনেক ভাল লাগল । সমবেদনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।
টিপ্পনী : ( জিহ্বায় কামড় ) নিজের মনের কথাটা এভাবে বের করে দিলেন ইমাম সাহেব ( এইচ টি ) ! আপনি না হয় হুইস্কি দিয়ে ইফতার করেন আওয়ামীলীগের ইমাম বলে , তাই বলে এভাবে জনসমক্ষে নিজের হাড়ি নিজেই ভাঙ্গলেন ? শেখের বেটির প্রেস্টিজের কথাও ভাবলেন না একবারো ? চুক্ চুক্ চুক্ . . . .
যারা বানান করে দুই চার অক্ষরও পড়তে পারেন তারাও হাতের কাছে যে কোন ধরনের বই পেলে বিজ্ঞের মতোই হাত দিয়ে নাড়া চাড়া শুরু করে দেন , কখনো কখনো খুব মনোযোগ দিয়ে চোখ বুলাতেও ভুল করেন না । বই পড়তে কার না ভালো লাগে ? তবে সবার বেলায় সব ধরনের বই যে ভালো
মাহমুদ হাসান বলেছেন : সবার প্রতিঃ বিজ্ঞানকে মাতৃভাষায় উপস্থাপন করাটাই শেষ কথা নয় , এটার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাটাও আমাদেরই দায়িত্ব । কম্পিউটার বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলোকে সহজভাবে মাতৃভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাব নিরন্তর , যেন নন - টেকি মানুষজন সহজে বুঝতে পারেন কম্পিউটারের কোন জিনিসটা আমরা কেন কী কারণে কোথায় ব্যবহার করছি । তবে আমার জ্ঞান সীমিত , সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ । একবার ভেবে দেখুন , বাংলাদেশের কতজন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন ? শতকরা হিসেবে হয়তো নগণ্য একটা সংখ্যা দাঁড়াবে সেটা । কিন্তু এঁরা এই দূর্ভাগা দেশের সত্যিকারের ভাগ্যবান মানুষ , অথচ এই ভাগ্যবান মানুষেরা দুর্মূল্যের ইন্টারনেটকে অপচয় করছেন হয় অর্থহীন আস্তিক - নাস্তিক বিতর্ক তুলে , অথবা এই দল - সেই দল , এই দেশ - সেই দেশ বিতর্ক তুলে । দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু এই মানুষগুলোর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল , যদি সঠিকভাবে সঠিক তথ্য শেয়ার করাটা মানুষ শিখতে পারত । আমি মনে করি , আজ যদি বন্ধ করা যায় বাংলা ব্লগগুলোতে রাজনীতি কড়চা ও অর্থহীন পোস্টের সমাহার , যদি নিশ্চিত করা যায় সাহিত্য , গণিত , বিজ্ঞান ও শিল্পকলার তথ্য শেয়ার ; এক বছরের মাথায় এই দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষগুলো সত্যিকার অর্থে প্রযুক্তি ও কলায় অন্তত কথা বলার মতো জ্ঞান অর্জন করতে পারবে , যেটা দেশের সামাজিক উন্নয়নে বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে ।
আদম মহা বিরক্ত জ্ঞানবৃক্ষ নিয়ে এসব ফালতু বিধিনিষেধে । আরে বাবা , ফল যদি না - ই খাওয়া , তো ঐ ফল সৃষ্টির দরকারটা কী ? জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেলে তো জ্ঞানই বাড়ার কথা , আর জ্ঞান বেড়ে গেলে ঈশ্বরের সমস্যাটা কোথায় ?
ছেলেটা অনেকক্ষণ ধরে আন্দাজ করে দ্বিধাভরে বলে " কয়েক হাজার ? "
[ টিকাঃ সার্ভার ও . এস ( উইন সাভার ২০০০ বা ২০০৩ ) হলে , ডি . এইচ . সি . পি কনফিগার করে নিলেই হল । ]
পরদিন সকাল - সকাল প্রেসিডেন্ট চলে এসেছেন ব্যাংকে গতকাল থেকে বারবার চেক করে দেখেছেন , testicle গুলি গোলই । তারপর তার হঠাত করে মনে হয়েছে - কোনো কারণে এগুলি আবার চৌকো হয়ে যাবে নাতো ? তারপার থেকে কিছুক্ষণ পরপরই হাতবুলিয়ে দেখে নিচ্ছে আকৃতি ঠিক আছে কিনা । কর্মচারিরা সব আড়চোখে প্রেসিডেন্টির কান্ড দেখে মিটি মিটি হাসছে । আসল ঘটনা তো আর কেউ জানে না । প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ পরপর ঘড়ি দেখছেন । সময় যেনো পারই হয় না , আর ফেয়েজও আসছে না । এমনি করতে করতে ১১টা বাজলো ঘড়িতে । তখন ফয়েজও তার উকিলকে নিয়ে ঠিক সময় মতই হাজির হয়ে গেলো ।
অকুলের সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করছি বর্ষণমুখর সন্ধ্যার গ্রহণলাগা আলাের ছায়ায় ।
হ - বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : যেসব ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে , সেগুলোর কথা আলাদা । না হলে , বাংলাদেশের প্রতিটি ইনিংসই এক একটি আক্ষেপের নাম । এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮ রানের ইনিংস দুটি আসবে না । ওই দুটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষে একটি কথাই বারবার উচ্চারিত হয় , ' ইস . . . " ওমুক " যদি আর একটু ভালো খেলত । ' আজ মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষে এমন কথাই ঘুরে ফিরে এল , ' ইস . . . ইমরুল , রকিবুল , নাফীস যদি একটু ভালো খেলতেন ' , আহা . . . তামিম যদি ওই মুহূর্তে অমন শট না খেলতেন ' , সাকিব যদি তাঁর ইনিংসটিকে আর একটু টেনে নিয়ে যেতে পারতেন । দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার ২৭০ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২১০ করে ৬০ রানে হার । নানা ধরনের আক্ষেপ কি মনের মধ্যে ভিড় করছে না ? বাংলাদেশের ক্রিকেটের কান্না যে ব্যাটিং - সেটা নতুন করে না বললেও চলে । অস্ট্রেলিয়ার মতো দল এই যুগের ওয়ানডেতে ২৫০ রানের বেশি করবেই , এ কথা ধরে নিয়েও আজও টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতাই কি বেশি করে সামনে চলে আসছে না ? ইমরুল কায়েস ইনিংসের প্রথম থেকেই অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে বিব্রত ছিলেন । অভিজ্ঞ ব্রেট লি বারবার বল ওই একই করিডরে ফেলতে ফেলতেই ইমরুল উইকেটের পেছনে হাডিনের ক্যাচে পরিণত হলেন । বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যেন বলে - কয়ে আউট করা যায় । শাহরিয়ার নাফীস উইকেটে এসেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দিলেন । রকিবুলকে মনে হলো বৃহস্পতিবারের ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচের ছায়া । ব্যাটসম্যানদের অধারাবাহিকতার এত উদাহরণ বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দলে আছে ? ৪৯ রানেই ৩ উইকেট চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের মধ্যে গড়লেন ৬৭ রানের ইনিংস । তামিম ধীরে - সুস্থে হলেও নিজের উইকেট বাঁচিয়ে খেলছিলেন । স্থিতধী ইনিংস খেলে ফিফটিও করে ফেলেছিলেন । কিন্তু এর পরই যেন পুরোনো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠল । ডোহার্টিকে একই ওভারে একটি ছয় মারলেন । সেই ওভারেই স্কোর বোর্ডে উঠেছিল ৮টি রান । হঠাত্ই এই অসি বাঁ - হাতি স্পিনারকে হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলতে গেলেন তামিম । আর তাতেই ডিপ এক্সট্রা কভারে স্মিথের হাতে ধরা । এমনভাবে আর কত দিন আউট হবেন তামিম ? সাকিব আল হাসান আজ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে দায়িত্ব নিয়ে খেললেন । ৫১ রানের একটি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে , সেটাকে আর দূরে টেনে নিয়ে যেতে পারলেন না । ৩০ - ৪০ - ৫০ রানকে সেঞ্চুরি বা তার কাছাকাছি ইনিংসে পরিণত করতে না পারার চিরন্তনী ব্যর্থতা আর কত দিন কুড়ে কুড়ে খাবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ? ইনিংসের একেবারে শেষদিকে দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন মুশফিকুর । বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার একটা জবাব দেওয়ার দরকার ছিল , মুশফিকুর সেটাই করলেন ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে । মাহমুদউল্লাহ ২৮ রান করে দলের স্কোরকে টেনে নিয়ে গেলেন ২০০ - এর ওপরে । হাতে অর্ধেক উইকেট রেখেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬০ রানের পরাজয় । আবারও টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতা কি মূর্ত হয়ে উঠছে না ? সকালে টস জিতে সাকিব মাইকেল ক্লার্ককে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন । ১০০ - এর নিচেই অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা । অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক দেখিয়ে দিলেন বিপদের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে কীভাবে একটি ইনিংস দাঁড় করাতে হয় , বাংলাদেশের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ ক্লার্কের ইনিংসটিকে সেভ করে রেখে দিতে পারেন । অন্তত , বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কল্যাণেই । রিকি পন্টিং আর শেন ওয়াটসন মারকাট ব্যাটিং শুরু করেছিলেন । পন্টিংকে মনে হচ্ছিল অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার শোকটা তিনি শক্তিতে পরিণত করেছেন । শফিউল , মুশফিক আর সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে দুর্দান্ত রানআউটে পন্টিংকে ফেরাতে না পারলে কপালে কী ছিল , তা জানার জন্য জ্যোতির্বিদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না । ওয়াটসনকেও ৩৭ রানে এলবির ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন রাজ্জাক । ক্যামেরন হোয়াইটকে ২০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে সবাইকে আশান্বিত করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী । ইমরুল কায়েস দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে হোয়াইটকে ফেরাতে রেখেছেন অগ্রগণ্য অবদান । এর পরও ক্লার্ক ভেঙে পড়লেন না , হাসি , স্মিথ ও জনসনকে সঙ্গে নিয়ে খেলে গেলেন অবিচল । দারুণ এক শতরান করে দিনশেষে তিনিই নায়ক । অধিনায়কত্বের পূর্ণ কর্তৃত্ব হাতে পাওয়ার পর এমন ইনিংস ! উদযাপনটা আজ রাতে বেশ জম্পেশই হবে মাইকেল ক্লার্কের । মাইক হাসির ৩৩ রানের ইনিংসটিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ । ওই ইনিংসটিকেও ধন্যবাদ দিতে পারেন মাইকেল ক্লার্ক । মাশরাফি বিন মুর্তজা অনেক দিন পর ফিরলেন , দুটি উইকেটও নিয়েছেন । কিন্তু আসল মাশরাফিকে ফিরে পেতে যে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে , তা আজ প্রমাণিতই । তবে তাঁর নিজের পারফরম্যান্স তাঁকে কিছুটা তৃপ্তি দেবে , এতে কোনো সন্দেহ নেই । বাকি বোলারদের মধ্যে সাকিব আর সোহরাওয়ার্দীই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য । সাকিব উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে বাকিদের বুঝিয়ে দিয়েছেন , এই উইকেটেও অসি ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখা সম্ভব । সোহরাওয়ার্দী গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছেন । রাজ্জাক একটি উইকেট নিলেও ছিলেন বেশ খরুচে । আর দিনটা শুরু থেকে একেবারেই যে শফিউলের ছিল না , তা তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় । দিন শেষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই পারেন । আগের ম্যাচেই ৭৮ রানে অলআউট হওয়া দল তো আর আজ লজ্জা দেয়নি ! এই বা কম কী ! তবে তৃপ্তি থাকলেও এই দর্শকেরা যে আরও একবার পরাজিত দলেরই সমর্থক ! সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া ২৭০ / ৭ ( ৫০ ওভার ) মাইকেল ক্লার্ক ১০১ , ওয়াটসন ৩৭ , পন্টিং ৩৪ , হাসি ৩৩ জনসন ২৬ সোহরাওয়ার্দী ৩ / ৪৪ , সাকিব ০ / ৩৪ , মাশরাফি ২ / ৬৫ . রাজ্জাক ১ / ৫৪ বাংলাদেশ ২১০ / ৫ ( ৫০ ওভার ) তামিম ৬২ , সাকিব ৫১ , মুশফিকুর ৪৪ * , মাহমুদউল্লাহ ২৮ * লি ১ / ৩৬ , জনসন ১ / ২৩ , ডোহার্টি ১ / ৩৬ , স্মিথ ১ / ৪১ ( অস্ট্রেলিয়া ৬০ রানে জয়ী )
অনটপিকঃ আপনাদের লাইব্রেরী কেমন হচ্ছে ? মিরপুর তো ঘরের কাছে , আসলে কিছু পড়তে টড়তে পারবো ? বাসায় এনে পড়ার সুযোগ পাব ?
তূর্য বলেছেন : থুথু নিক্ষেপ করি এইসব প্রভা - চৈতীর সন্তানদের মুখে । কুকর্ম দেখে ওই চাঁদমুখে মুত্রবিয়োগের বড় সাধ আজ জাগে
দশ - বারো বছর আগে যারা দেশের অবস্থা দেখে ' কি দিন আইলো রে ' বলে আক্ষেপ করতো , তারা আজকের ঊর্ধ্বমূল্যের বাজার দেখে কি বলবে মনে হয় বুঝতেই পারছে না । আব্বুকে অনেকদিন জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অনুযোগ করতে শুনি না । সারাদিন খালি পেপার পড়ে । পেপারের মধ্যে যে কি পাইলো লোকটা ! অবশ্য ট্রাফিক জ্যাম , পাবলিক বাস আর ধুলিমুখর এই শহরে আর কিইবা আছে , যার প্রতি আগ্রহ জন্মায় ? ভার্চুয়াল জগতটাকে বরং অনেক উষ্ণ মনে হয় । অনেক নিরুত্তাপ , বৃক্ষের ছায়ার মতো একটা জায়গা ।
. . . . সুবহান আল্লাহ্ । আল্লাহ্র ইচ্ছায় নাস্তিকদের জন্য আপনার হাত দিয়ে প্রসূত লেখাটি বরকতময় হয়ে উঠুক ।
যারা সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের কে ধন্যবাদ । Invarbrass সাহেবের টা করলাম এতে ডেস্কটপ থেকে গেছে কিন্তু প্রোগ্রাম ফাইল থেকে যায় নাই । আমি কি ও ফাইল গুলা ডিলিট করে দিমু ।
টিউটর দিচ্ছি / নিচ্ছি : বাংলা / ইংরেজি মিডিয়ামের সকল স্কুল কলেজের স্টুডেন্টদের গ্যারান্টিসহ পড়াতে লেডিসহ টিউটর দিচ্ছি । প্রাক্তন অধ্যক্ষ - ৮৩৬১৯১১ , ০১৭১৫০৮৯৯৬০ । সি - ১২৪৬৫
ঢাকা , ২৭ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বলেছেন , জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে । এ জন্য উচ্চ আদালতকে বিতর্কিত করা . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
আগন্তুক বলেছেন : আপনি যে নাসিরুদ্দিন আলবানি সাহেবের বই থেকে এবং তার অনুসারী অন্যান্য আহলে হাদীসদের বই থেকে রেফারেন্স দিচ্ছেন তা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম । আপনি মুসলমানদের শিরক থেকে বিরত রাখতে চান , আপনার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভাল , কিন্তু তাই বলে উম্মতের মাঝে যে সব বিষয়ে ইখতেলাফ আছে , সে সব বিষয়কে আপনি সরাসরি হারাম বলতে পারেন না । আর আপনার শেষের কথাগুলো পড়ে , হাসি থামিয়ে না রেখে পারলাম না । আপনি বলছেন যারা আরবী পড়ে তারা এসব বিষইয়ের বিরোধিতা করে । কিন্তু আমি তো দেখি এর উল্টো । তবে অন্যান্য ক্ষত্রে ঠিক আছে । অর্থাৎ যারা টিভি দেখে , ইন্টারনেট থেকে কোরআন - হাদীস শেখে তারা , তারা আপনাদের কথা বিশ্বাস করতেই পারে । কিন্তু যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোরয়ান - হাদীস শেখে তারা কখনোই ইখতেলাফী বিষয়কে শিরক বলে আখ্যায়িত করেন না । আর আপনাকে যে ইবারত দিতে বলা হয়েছে , তা কিন্তু আরবীতে দিতে বলা হয়েছে । যাক ব্লগে আর বেশি কিছু বলতে চাইনা , এসম্পর্কে সরাসরি আলোচনা হইয়াই ভাল , আপনি একদিন মিরপুর ১২ নম্বরে , মারকাযুয দাওয়ায় চলে আসুন , সেখানে আল - কাউসার পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালেক অথবা অন্যান্য মুহাদ্দেসীন্দের সাথে কথা বলুন , তারপর আপনি সিধান্ত দিয়েন । দ্বীন কখনোই একা শিক্ষা কয়ার যায় না , তার জন্য অবশ্যই শিক্ষকের প্রয়োজন হয় , তা নাহলে তা মানুষকে প্রান্তিকতা এবং গোমরাহীর পথে নিয়ে যায় । আর মাওলানা আব্দুল মালিকের কথা বলছি , তিনি কিন্তু সাধারণ আলেম নন , তিনি একজন হাফেজে হাদীস এবং আরব - আজম দুজায়গা থেকেই ইলম অর্জন করেছে । আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সকল প্রকার প্রান্তিকতা থেকে দূরে রাখুন । আমিন
বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াগুলো সহজ হয়ে গেছে । যে কোনো ছাত্রছাত্রীর যদি * বৃটিশ হোম অফিস লিস্টেড কলেজের অফার লেটার থাকে এবং * আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে ( ২৮ দিন বা তদুর্ধ্ব ) মিনিমাম ১০ লাখ থাকে তাহলে তিনি কোর্সের অবস্থা অনুযায়ী মিনিমাম ২ বছর থেকে ৩ বছর ভিসা পেয়ে যাচ্ছেন । বৃটিশ হাইকমিশন আর তেমন কোনো ঠিকুজি যাচাই করছে না । পশ্চিমা বিশ্বের হাতছানি এবং উচ্চতর পড়াশোনার জন্য অনেকেই এখন বৃটেন আসছেন । এক হিসেবে জানা গেছে গত ৩ মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ - ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রী যুক্তরাজ্যে এসেছেন । কিন্তু তাদের অবস্থা কি ? কেমন কলেজে তারা পড়ছেন ? স্টুডেন্টদের জন্য স্বর্গ ছিল লন্ডন সহ পুরো যুক্তরাজ্য । ভিসাপ্রাপ্তি কঠিন থাকলেও কোনোমতে চলে আসা গেলে ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করে পুরো মাসে ২০০০ থেকে ৩০০০ পাউন্ড আয় করা সম্ভব ছিল । ভিসা রিনিউ ফর্মে NI Number ( National Insurance ) নাম্বার দিতে হতো না বলে হোম অফিস ধরতে পারত না কোন স্টুডেন্ট কতো ঘন্টা কাজ করেছে । কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সংগঠিত হবার পর থেকেই এসব সুবিধা কমে আসতে আসতে এখন শূণ্যের কোঠায় চলে গেছে । ভিসা রিনিউ করার চার্জ তো বেড়েছেই , সাথে এনআই নাম্বার দিতে হচ্ছে । ফলে ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই । এছাড়াও বাড়তি কাজ দেয়ার কারণে মালিক - কর্তৃপক্ষের জরিমানার কারণে সেই ঝুঁকিও কেউ নিচ্ছে না । কিছু কিছু কলেজ ছিল যারা ' ভিসা কলেজ / মামা কলেজ ' নামে পরিচিত ছিল । এসব কলেজের কাজ ছিল ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ঠিক রাখা , ফাঁকে ফুঁকে দুয়েকটা টেস্ট - পরীক্ষা নিয়ে তাদের ছাত্রত্ব বজার রাখা , ফোনটোন করে হোম অফিসের ভিজিটের দিন কলেজে আসতে বলা । এবাবদ তারা বছরে একটা ফি ( ৪০০ থেকে ১০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ) ছাত্রদের কাছ থেকে নিত । এসব কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার নামে আসলে অর্থ উপার্জন করতে বলে এসব কলেজের চাহিদা ছিল । ( আমারও অবশ্য এতে কোনো আপত্তি ছিল না ) তবে হোম অফিসের কঠোর হস্তক্ষেপে প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আসা এই ভিসা কলেজের রমরমা ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে । এখন প্রতিটি কলেজকে হোম অফিস কর্তৃক এফিলিয়েটেড হতে হচ্ছে । যারা নিয়ম রক্ষা করে পারছে না তারা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে । এদিকে কড়া করে অন্যদিকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে দিয়েছে হোম অফিস । বেনিয়া বৃটিশ জাতি তার ব্যবসার নতুন দিক উন্মোচন করেছে । এখন প্রতিটি কলেজে ভিসা পাবার পূর্বে ন্যুনতম ১২০০ থেকে ৩০০০ পাউন্ড দিয়ে আসতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের যেটা আগে ছিল না । তো প্রাথমিক অবস্থাতেই বৃটিশ গভর্ণমেন্ট তার দেশে অনেকগুলো পাউন্ডের যোগান পেয়ে যাচ্ছে । কলেজগুলো থেকে প্রতিটি স্টুডেন্ট বাবদ একটা ফি কেটে নেয় হোম অফিস ( এ ব্যাপারে আমি ঠিক শিওর না , কোনো ব্লগার জানলে শুধরে দেবেন ) । ওদিকে ভিসার জন্য বৃটিশ হাইকমিশনে ফি তো দেয়া হচ্ছেই । একটা অফার লেটার আর একাউন্টে ১০ লাখ টাকা , চলে আসুন লন্ডন । জমজমাট বিজ্ঞাপনে আগপাশতলা না ভেবে ছাত্রছাত্রীরা লাফিয়ে পড়ছে আর মুনাফা লুটছে অসাধু বাংলাদেশীরা । আপনার টাকা নেই কোনো সমস্যা নেই । ১০ লাখ টাকা আপনার একাউন্টে ১ মাস জমা রেখে ভিসা পাওয়ার পর সুদ বাবদ আপনার কাছ থেকে ২ / ৫ লাখ টাকা নিয়ে নিচ্ছে । ছাত্রছাত্রীরা ভাবছে ২ / ৫ লাখ টাকা খরচে লন্ডন আসা গেল । লন্ডন গেলেই চাকরি , পড়াশোনা , ঋণের টাকা পরিশোধ , বাবা - মায়ের মুখে হাসি । কিন্তু আসল চিত্র ভিন্ন । বতর্মানে বৈশ্বিক মন্দার কারণে চাকুরি নাই , শাদা চামড়ার মানুষের কাছে পয়সা নাই , তাই বাঙালি রেস্টুরেন্টের পসার কমে গেছে । বাড়ি ভাড়া অত্যধিক । লন্ডন শহরে ছোটখাট অনেক মসজিদ আছে , সেখানে কিছু কিছু স্টুডেন্ট রাত্রি যাপন করছে । শীতের শুরু , ভালো কোনো বাসস্থান না পেলে ঠান্ডায় কষ্ট পেতে হবে । আগে যেমন পড়াশোনা না করে থাকা যেত এখন সেটা সম্ভব না । আপনারকে সপ্তাহে ৩ দিন অবশ্যই কলেজ এটেন্ড করতে হবে । সেমিস্টার / বছর গেলেই পয়সা দিতে হবে । যাদের সামর্থ্য আছে তারা ভালোই আছেন । কিন্তু বেশিরভাগ স্টুডেন্ট কাজ করে উপার্জন করে পড়বেন বলে ঠিক করেছেন তারা সমস্যায় পড়েছেন । লন্ডনে একজন ছাত্রের সব মিলিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ পাউন্ডের প্রয়োজন আরাম আয়েশ ছাড়া বেঁচে থাকতে , বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো । তবে লন্ডনের মতো জব মার্কেটের অতো অবস্থা খারাপ নয় বাইরের শহরগুলোতে । কিন্তু সেখানে যাওয়া যাবে না হোম অফিসের তদারকি আর কলেজের উপস্থিতির কারণে । তাছাড়া মোটামুটি কম পয়সায় বাইরের শহরগুলোতে পড়তে যাওয়ার মতো কলেজও নেই । লন্ডনের বাংলা কমিউনিটি টিভিচ্যানেল ' চ্যানেল এস ' বাংলাদেশ থেকে আসা এসব স্টুডেন্টদের সঙ্গে কথা বলেছে । প্রতিবেদক মোহাম্মদ জুবায়ের - এর ভিডিও রিপোর্টটি নিচে দেখুন । যদিও স্টুডেন্টদের অনুমতি নিয়েই প্রতিবেদক তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারপরও আমি তাদের চেহারা আবছা করে দিলাম । ভিডিওর লিংক
২৯৮ বার পঠিত | ২১ টি মন্তব্য | রেটিং + ১ / - ১ | বাকিটুকু পড়ুন |
" মনন মম " তে আপনাকে স্বাগতম ! আসবেন মাঝে মাঝে । আপনার ব্লগটা ঘুরে আসলাম । ভাল লাগল । ধন্যবাদ ।
ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া যেতে পারে । যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা ফতোয়া দিতে পারেন । তবে তা মানতে বাধ্য করা যাবে না । শারীরিক ও মানসিক কোন ধরনের শাস্তিও দেওয়া যাবে না । প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকরে নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন ।
এজি মাহমুদ সব কিছু কি সবার কাছে ভালো লাগে ? কিছু শুধু নিজের কাছেই ভালো লাগে । যেমন কেউ আছে যার সারাদিন স্পিকার কাপিঁয়ে গান শুনতেই ভালো লাগে । এখন যদি তার ভালালাগার জন্য সারাদিন মিউজিক প্লেয়ারে গান বাজতেই থাকে তবে সেটা তার আশেপাশের মানুষদের জন্য যে মোটেও খুব ভালো লাগার বিষয় হবে না এটা স্বাভাবিকভাবেই বলে দেয়া যায় । তেমনি ফ্যাশানের হিসাবটা হত আগে অন্যদের চোখে । যে ফতুয়া , টি - শার্ট বা কামিজটা পরবো সেটা অন্যদের কাছে কেমন লাগবে ? ভালো লাগছে কি - না । তরুণদের ফ্যাশানকেন্দ্রিক ভাবনাটা ছিল এরকম । কিন্তু এখন হিসাবটা বদলে গেছে নিজের মত করে । যেটা করছি বা পরছি সেটা নিজের কাছে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ভালো লাগলেই ফ্যাশান । বিষয়টা অনেকটা হয়তো নিজের কছে ভালো লাগছে বলে চুড়িদার পায়জামার সাথে সু কিংবা কেডস পরার মতো । নিজের কাছে ভালো লাগলেই হলো । কে কি বলছে বা ভাবছে সেটা এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয় । ফ্যাশানের ধারায় জুতো কিংবা স্যান্ডেল কখনোই হিসাবের বাহিরে নয় । যে ফুটওয়্যার জিন্সের সাথে যাবে সেটা পায়জামার সাথে নাও যেতে পারে । এটা ভেবেই কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ডিজাইন আর সোলের ফুটওয়্যার বাজারে এনে থাকে । কিন্তু এখন যদি আপনি কোন পার্টিতে গিয়ে দেখলেন আপনি ছাড়া সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই কোন রকম ফুটওয়্যার ছাড়াই এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছেন তাহলে বিষয়টা কেমন হবে । সেখানে একমাত্র জুতো বা সু পরিহিত ব্যক্তি হিসাবে আপনাকেই বেমানান লাগবে । ভাবছেন , এরকম কি কখনো হয় ? ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতিতে পরে যাওয়ার সম্ভবনাকে একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না । কারন ঢাকা শহরে এখন অনেক তরুণ - তরুণিই কোন রকম স্যান্ডেল জুতো ছাড়াই রাস্তা দিয়ে হাটছেন । এরকম আরেকটি বিচিত্র ফ্যাশান বিবর্তন ঘটেছে ব্যাগের দুনিয়ায় । প্রথম দিকে স্কুল কলেজের স্টুডেন্টদের পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে সকাল - দুপুর হাটতে দেখ যেত । ভার্সিটির তরুণ শিার্থীদের মাঝে খুব একটা ব্যাগের প্রচলন ছিল না । ব্যাগের বিকল্প হিসাবে প্লাস্টিক ফাইল ব্যাবহারটাই ছিল স্মার্টনেসের পরিচয় । কিন্তু এখন আবার সবাই ব্যগের দিকে ঝুঁেকছে । ব্যাগেরাও অবশ্য আগের জায়গায় নেই । পিঠ থেকে ডিজাইন ও ফ্রেন্ডলি ইউজিংয়ের কারনে কাঁেধ চলে এসেছে । কাঁধে আসার পরেই কেন যেন ব্যাগেরা কেবল নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে । কাঁেধ স্ট্রাইপ ঝুলিয়ে ব্যাগেরা এখন সবাই প্রায় সবার হাটু ছাড়িয়ে প্রায় মাটির কাছাকাছি । সেলফোনের যুগে আজকাল বলতে গেলে তরুণরা ঘড়ি পরা ছেড়েই দিয়েছেন । যেখানে সময় দেখাটাই মূখ্য ব্যাপার সেখানে হাতঘড়ির সময় আর সেলফোনের সময়ের তফাৎটাইবা কোথায় ? কিন্তু হাতঘড়ি পরা অনেক তরুণকে সময় কত জিজ্ঞাসা করলে বেশিরভাগই পকেট থেকে সেলফোন বের করে সময় বলেন । হাতঘড়ির দিকে তাকান না । কারন স্টাইলেস্ট এসব ঘড়িগুলো বেশিরভাগ েেত্রই দেখা যায় নষ্ট । সিম্পলি ফ্যাশানের কারনেই এগুলো ব্রেসলেট হিসাবে পরা । প্রথমদিকে পপস্টার , রেসলার আর হিপ্পিদের মাঝে যে ট্যাটু বা উল্কি ফ্যশান বলে বিবেচিত ছিল সেই ট্যাটুকেও এখন আমাদের দেশের তরুণ - তরুণীরাও তাদের ফ্যাশানের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন । অনেকেই ট্যাটু লাগাচ্ছেন শরীর ও পেশীর বিভিন্ন জায়গায় । টেম্পোরারি আর পারমানেন্ট দু ' রকমের ট্যাটুই আজকাল শরীরে আঁকছেন তরুণরা । বিভিন্ন মার্কেটেও আজকাল সস্তা কিছু টেম্পোরারি ট্যাটু কিনতে পাওয়া যায় । সস্তায় পাওয়া এসব ট্যাটু ত্বকের জন্য তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে । কিন্তু এ ব্যাপারে খুব একটা সচেতনতা তরুণদের মাঝে নেই বললেই চলে । হিন্দি ছবির সুপারস্টারদের অনুকরণে উদ্ভট হেয়ারকাট এদেশের তরুণদের মাঝে একদম স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে । ছবিতে যে সুপারস্টার ছবির কাহিনীর প্রয়োজনে ওরকম ছোট চুলে রেখে একপাশ দিয়ে একলাইন ন্যাড়া করে দিয়েছেন ওটা উনাকে ওভাবে মানিয়েছে বলেই করেছেন । কিন্তু ঐ হেয়ার স্টাইলে কি সবাইকে এক রকম লাগবে ? সেটা না ভেবেই ইচ্ছামত সেই হেয়ার কাট দিয়ে নিজেদেরকে ফ্যাশানেবল ভাবছে তরুণরা । কিন্তু নিজের কাছে ভালো লাগাটাই কি সব ? চুলের মত ফিগারের ব্যাপারেও রয়েছে তরুণদের আকষর্ণ । পার্শ্ববর্তী দেশের ছবির নায়কদের ফিগার আমাদের তরুণদের আকৃষ্ট করছে ওভাবে নিজেকে মাসলম্যান হিসাবে তৈরি করতে । প্রথম দিকে জিমে গিয়ে একরকম ফিগার দাঁড়া করানোর পর দেখা যায় জিমে আর নিয়মিত যাওয়া পরে না । কিন্তু এর প্রভাব খুবই ভয়াবহ । জিমে গিয়ে একবার নিজের মাসল তৈরি করে নিয়ে আসলেই সেটা সারাজীবন একইরকম থাকে না । নিয়মিত অনুশীলন ছেড়ে দিলে শরীরের কাঠামো পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে । যা জীবনের স্বাভাবিক গতিকে নষ্ট করে দিতে পারে । তরুণদের ফ্যাশানটাই এখন যেন শুধুমাত্র নিজেকে মহৎ , উদার আর সবার থেকে আলাদা প্রমাণ করতেই ব্যস্ত । পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই একে অপরের থেকে ভিন্ন । এটা আলাদাভাবে প্রমাণের কোন প্রয়োজন নেই । আর তরুণরা মহৎ হবে এটাই স্বাভাবিক । ফ্যাশানের ব্যাপারটাই হলো কারও নিজস্ব মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ । আর সেটা পজেটিভ দিকে প্রবাহিত হোক এটাই প্রত্যাশা ।
লেখক বলেছেন : হ্যাঁ ফারহান , কথা একদম ঠিক ! কাজের কি অবস্থা ?
লেখক বলেছেন : প্রচ্ছদের ভিডিওটা রান করার জন্য তার ওপরে একটা ক্লিক করতে হবে শুধু । লিনাক্সে পরীক্ষা করে দেখিনি । ধন্যবাদ ।
আজ যা সংবাদ কাল তা ইতিহাস । ইতিহাস সংরক্ষণ করা জরুরি । ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো সংবাদপত্র । প্রতিনিয়ত সংবাদপত্র সংরক্ষণ করে চলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি । প্রতিদিনের পত্রিকা পড়ার পাশাপাশি পুরনো পত্রিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পুরনো পত্রিকা সংগ্রহ কক্ষে । এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে বিগত দিনের অনেক পত্রিকা । ১৯৫৬ , ১৯৫৭ , ১৯৫৮ , ১৯৫৯ সালের কিছু পত্রিকা এবং তার পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রই পাওয়া যাবে এখানে । ইতিহাস , ঐতিহ্য , সংস্কৃতি , অভ্যুত্থান প্রায় সবকিছুই আগামী প্রজন্মকে জানাবে এসব সংবাদপত্র । মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসমৃদ্ধ ১৯৭১ সালের পত্রিকাগুলো নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে পত্রিকা সংগ্রহের রেয়ার কক্ষে । এছাড়া ইতিহাসের সাক্ষী অনেক সংবাদপত্র যেমন - দৈনিক সংবাদ , ইত্তেফাক , জনকণ্ঠ , দিনকাল , মিল্লাত , ইনকিলাব , আজাদ , সংগ্রাম , বাংলার বাণী , খবর , মুক্তকণ্ঠ , যুগান্তর , প্রথম আলো , বাংলাবাজার পত্রিকা , দৈনিক বাংলা , দৈনিক পাকিস্তান , দৈনিক দেশ , দৈনিক বার্তা , দৈনিক ইত্তেহাদ , আনন্দবাজার , The New Nation , The Bangladesh Times , The Daily Star , Bangladesh Observer , The Holiday , Dawn , The Independent , The Morning News , Amirta Bayar Patrika , The Pakistan Observer সব বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এ কক্ষে । তবে এর মধ্যে কিছু পত্রিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , যা নতুন করে আবার বাঁধাই করা হচ্ছে । বর্তমানে সব পত্রিকা বাঁধাই করা হয় না । যে পত্রিকাগুলো বাঁধাই করা হয় সেগুলো হলো_ প্রথম আলো , যুগান্তর , ইনকিলাব , ইত্তেফাক , সংবাদ , জনকণ্ঠ , Daily Star , Bangladesh Observer । ' ৯০ - এর দশকে কিছু পত্রিকা সংগ্রহে সমস্যা থাকলেও ২০০০ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য সব পত্রিকা সংরক্ষণ করা হয়েছে এখানে । প্রতিদিন যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ছাত্র , শিক্ষক , কর্মচারী , চাকরিজীবী , অনেকেই ছুটে আসেন পুরনো পত্রিকা সংগ্রহের এ কক্ষে । আগে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাঁধাইকৃত পত্রিকা ফটোকপির ব্যবস্থা ছিল । বর্তমানে বাঁধাইকৃত পত্রিকা ফটোকপির কোনো ব্যবস্থা নেই । কারণ এতে পৃষ্ঠা ছিঁড়ে এবং লেখা ঝলসে যায় বলে কর্তৃপক্ষের অভিমত । তবে এখন শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে শুধু খোলা পত্রিকাগুলো ফটোকপি করতে পারেন । প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো হাতে লিখে নিতে পারেন যে কেউ । সংবাদপত্র রাখা হয় তথ্য সংগ্রহের জন্য । বিপুল পরিমাণ তথ্যের জন্য এখানে অনেক সংবাদপত্র থাকলেও আরো কিছু সংবাদপত্র সংরক্ষণ জরুরি বলে জানালেন সংবাদপিপাসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াজ । যারা ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী , জ্ঞান আহরণের জন্য বদ্ধপরিকর এবং যাদের আছে সংবাদপত্রের প্রতি গভীর ভালোবাসা , তারা ঘুরে আসতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি - সংলগ্ন পুরনো পত্রিকা সংগ্রহ কক্ষে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পুরনো পত্রিকা সংগ্রহ কক্ষ খোলা থাকে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত । বাংলাদেশ নিউজ ২৪x৭ ডটকম / হাফিজ মোল্লা / এসএ / এসএকে .
এখানে উল্লেখ্য যে , আমেরিকার আদালতে ফোর্ড ইমপেরিয়াল ড্রাইভিং এর অভিযোগ স্বীকার করলে ক্রাউন তার বিরুদ্ধে আনিত মাদক গ্রহণ ও বহন করার অভিযোগ প্রত্যাহার করেন এবং তাকে ৫০০ ডলার জরিমানা , ৫০ ঘন্টার কমিউনিটি সার্ভিসের আদেশ দেয় ।
ফেইসবুকে ভিডিও কলিং ভয়েস এবং ভিডিও কল ( ভিডিও কলিং ) সেবা চালু করেছে ফেইসবুক । বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ এ সেবা চালু করেন । নতুন এ সেবা চালুর ফলে ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা একে অন্যের সঙ্গে ফেইসবুকে ভয়েস এবং ভিডিও কল করার সুযোগ পাবেন । স্কাইপের কারিগরি সহায়তায় ফেইসবুকে এই ভিডিও কল সেবাটি চালু করা হয়েছে । মার্ক জুকারবার্গ বলেন , ' আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য নিত্যনতুন সুবিধা চালু করতে চাই । এরই ধারাবাহিকতায় ফেইসবুক ভিডিও কলিং সেবাটি … সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন »
স্কুল - কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বন্ধু থাকে যাদের বলা হয় বেস্ট / ক্লোজেস্ট ফ্রেন্ডস । এরা এক বৃত্তের বন্ধুরা আম গাছের আঠার মত সবসময় একসাথে থাকে । কিছু বন্ধু আছে যাদের সাথে শুধু ক্লাসে আর কোথাও দেখা হলে কথা হয় , এছাড়া কোন প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা কথা বার্তা হয় না । আবার কিছু বন্ধু যাদের সাথে ক্লাসে খুব কথা বার্তা হয় কিন্তু বাইরে শুধু ' হায় - হ্যালো ' । এরা এককথায় সহপাঠি নামে পরিচিত হয় । তবে একটা কথা আছে , সবাই কিন্তু কারও বেস্ট ফ্রেন্ড , কারোও ক্লাস ফ্রেন্ড আবার কারও সহপাঠি ।
আমেরিকার ডাইভারসিটি ভিসা ( ডিভি ) লটারির নামে প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা . . বিস্তারিত
বিদেশে আসার পর অনেক বাংগালিকে দেখি যারা ইন্ডিয়ান , পাকি দের সাথে হিন্দিতে উর্দুতে কথা বলে , কেন রে ভাই কী দরকার তোমার এদের সাথে এইভাষায় কথা কওয়ার , এরা কী ইংরেজী জানে না , নাকী তুমি যে হিন্দি পারও তার বাহার দেখাও ।
হেলাল এম রহমান বলেছেন : ধন্যবাদ অজিত । আমি কি অপ্রিয় ? ?
লেখক বলেছেন : সাথে ক্যাটরিনা আর কারিনা হইলে আরও ভালো হইতো
এদিকে আবুল কাশেমের হত্যার খবর পেয়ে সকাল থেকেই ব্যবসায়ীরা মাদবর বাজার এলাকায় জমায়েত হন । পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় র্যাব ও বিপুল স্যংখ্যক পুলিশ । ব্যবসায়ীরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসী - চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন । শত শত ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ করে অঘোষিত হরতাল পালন করেন । দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল । ব্যবসায়ীরা এলাকায় কালো পতাকা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করেন । পুলিশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেও ধর্মঘট প্রত্যাহার করাতে পারেনি । পরে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়ায় দুপুরের পর ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন । এদিকে পুলিশ জানায় , হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি । ঘটনার পরই হত্যারহস্য উন্মোচন এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তত্পরতা শুরু করে ।
শুধু লন্ডনে গ্রাফিতি তথা দেয়ালচিত্র পরিষ্কার করতে সরকারকে বছরে খরচ করতে হয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ! ১৯৯৫ সালের চেয়ে এখন গ্রাফিতি চর্চা বেড়েছে পাঁচ গুণ ।
আপনারা জানেন বাংলা ব্লগের অন্যতম খ্যাতিমান ব্লগার দিনমজুর নামে মূলত তিনজন তরুন প্রকৌশলী লিখে থাকেন যাদের মধ্যে অন্যতম অনুপম সৈকত শান্ত । তেল - গ্যাস নিয়ে তার বিশ্লেষণধর্মী লেখা আমাদের অনেক চরম সত্যের মুখোমুখি করেছে । আজ সকালে প্রখ্যাত এই ব্লগার কনোকোফিলিপসের সাথে অন্যায্য চুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ।
পোষ্ট করেছেন : ৮ টি মন্তব্য করেছেন : ৮৯ টি ব্লগ লিখছেন ০ বছর ৫ মাস ২০ দিন ব্লগটি দেখা হয়েছে : ১০৬৭ বার
আমার ল্যাপটপ আসুস কেফোরযিরোআইএন । এনভিডিয়া পাচশো বারো গ্রাফিক্স কার্ড , চার গিগা র্যাম । উইন্ডোজ সেভেনের সাথে ডুয়েল বুট হিসেবে চালানোর জন্য উবুন্টু ১০ . ০৪ ডাউনলোড করে সিডিতে বার্ণ করে বুট করলাম । পাঁচটা ডটের মধ্যে মুভ দেখানোর এক / দেড় মিনিটের মধ্যে স্ক্রীণে ফাটাফাটা নীল কমলা কালার বক্স এসে হ্যাং । মিন্ট ৯ ডাউনলোড করে বার্ণ করে চেষ্টা করলাম । তাও একই অবস্থা । ডিভিডি ভার্সন টা করলাম একই অবস্থা । উবি দিয়ে উইন্ডোজ এর ভেতরে উবুন্টু করার চেষ্টা করলাম , রিষ্টার্ট করার পর আবার একই অবস্থা । মিন্ট ইনষ্টলের চেষ্টা করলাম উইন্ডোজের ভেতর , রিষ্টার্টের পর একই অবস্থা । আমার দুইটা দিন সময় গেলো ।
লিখেছেন আবু মুস ' আব » শুক্র অক্টোবর ৩১ , ২০০৮ ১০ : ২৮ পূর্বাহ্ন
আমার ইনবক্সে স্প্যাম - এ যায়নি , সরাসরি ইনবক্সে পেয়েছি । আর বিজ্ঞাপন বলে সরাসরি স্প্যাম হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কারণ প্রাথমিক অবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে ভালো কিছুরও শুরু হয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে । বিষয়টি মোবাইল বেইজড্ নতুন কোন আউটসোর্সিং সিস্টেমও হতে পারে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্তহচ্ছেন বিদেশ সচিব নিরুপমা রাও . আগামী মাসের পরেই তিনি দায়িত্বভার গ্রহন করবেন বলে জানা
ক্যারিয়ার নিয়ে প্রতিনিয়ত নানা হতাশা আমাদের গ্রাস করে ফেলে । হয়তোবা কিছুটা ভুল সিদ্ধান্তের কারনে জীবনে ঘটে গেছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা । এখন কূল কিনারা খুজে পাচ্ছেনা না । নো চিন্তা । কয়েকটি বিষয় মেনে চলে এবং সে অনুপাতে কাজ করেন দেখবেন আপনার জীবন গতি কেমন ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে । এমনই ৫টি বিষয় নিয়ে একটি ফিচার পড়লাম । এর মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে আপনার পুরাতন ভুলকে সামনে তুলে আনুন । সেটি মনে রেখে এগিয়ে যান । এমনই ৫টি বিষয় । ভাল লাগলো । কারন আমিও এর থেকে কিছুটা হলেও শিক্ষা নিতে পেরেছি । যাক আপনাদের সময় নষ্ট না করে লিংকটি দিয়ে দিলাম । সময় পেয়ে পড়ে নেবেন । কাজে আসবে ।
কিন্তু নিউলান ও তার দুটো বাচ্চা স্বর্গীয় রাজাকে বার বার মিনতি করতে থাকেন । শেষে স্বর্গীয় রাজার মন গলে । তিনি তাদের অনুরোধ গ্রহণ করেন । স্বর্গের জেলখানায় বন্দি অবস্থায় চিনুই স্বামী ও ছেলেমেয়েদের দেখে খুব খুশি হন । কিন্তু স্বর্গীয় রাজার দেয়া সময় খুব কম । এই সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনুইকে আবার জেলখানায় নেয়া হয় । নিউলান ও তার বাচ্চার তার পিছনে পিছনে ছুটতে থাকেন । পথে নিউলান বেশ কয়েকবার হোঁচট খেয়ে পড়েও যান । কিন্তু উঠে আবার ছুটতে শুরু করেন । দৌঁড়তে দৌঁড়তে নিউলান চিনুইয়ের পিছনে এসে পড়েন । ঠিক সেই সময় স্বর্গীয় রানী চুল থেকে একটি সোনালী চুলের কাটা বের করে তাদের দুজনের মধ্যে একটি রুপোলী নদী সৃষ্টি করে দেন । তখন থেকেই নিউলান ও চিনুই শুধু এই রুপোলী নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে থাকেন । প্রতি বছরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিন তারা একবার করে মিলনের সুযোগ পান । সেই দিন হাজার হাজার পাখি রুপোলী নদীর উপরে দাঁড়িয়ে একটি পাখির সেতু তৈরি করে । সই সেতুতেই মিলন হয় নিউলান ও চিনুইর ।
ফারুক খান বলেন , ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন জুলাইয়ের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশক নিয়োগ সম্ভব হবে । রমজানে পণ্যমূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন , গত রমজানের মতো এবারও ব্যবসায়ীদের সাথে বসে আলোচনা করে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করা হবে । বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন , ডিও প্রথা থেকে পরিবেশক প্রথা চালু হওয়ায় প্রথম পর্যায়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে । তবে এটা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে । তিনি বলেন , চলতি বছর এলসি খোলা হয়েছে । এছাড়া , টিসিবির পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও প্রচুর এলসি খুলেছেন । তাই রমজানে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে ।
দেশ টিভিতে প্রতিদিন চীনা ভাষা শেখার পাঠক্রম শুরু হয়েছে । ঘন্টাব্যাপী রবি দূরপাঠ নামে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে চারটা থেকে । অনুষ্ঠানটি পুন : প্রচার হয় প্রতিদিন দুপুর সোয়া বারোটায় । চীনা ভাষা শেখার অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৬ মে থেকে । শুক্র এবং শনিবার ব্যাতীত পরবর্তী বিশ দিন ধরে অনুষ্ঠানটি চলবে । রবি দূরপাঠে শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন সিআরআই এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাশরুমের বাংলাদেশি শিক্ষক মহিউদ্দিন তাদের , যিনি প্রায় দশ বছর চীনে বসবাস করেছেন । চীনা শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন ইয়াং ওয়েই মিং . . . . বিস্তারিত পড়ুন > > >
প্রথমে আস্তে , তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয় সবার মাধ্যে । এ ঘর থেকে ও ঘর হয়ে গোটা মহল্লা মোবাইল নেটওয়ার্কের মতো নিজের কব্জায় নিয়ে নেয় শব্দটি । মহল্লার লোকজন যেনো ওয়াকিবহাল ছিলো , আওয়াজটা শুনতে পাবে । এজন্য সবার চেহরায় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফুটে উঠতো নিজেদের অজান্তেই । প্রতিদিনই তারা খোঁজ নেয়ার জন্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দিত - ` খবর কী ? ' ` না , আগের মতোই … ' যখন শুনতে পায় ` আগের মতোই ' তখন ` আগের মতোই ' শব্দটা তাদের তৃপ্ত না করে কাঙ্খিত শব্দ শোনার তৃষ্ণা বৃদ্ধি করে । এ জন্য তারা দীর্ঘ সময় অপো করে । সেই কাঙ্খিত শব্দটি কেমন হবে তারা জানে না । তারপরও শুনতে পাবে বলে তারা অপো করে । আর সেই মোম শব্দটি শুনতে পায় না বলেই নিজেরা নিজেদের ভেতর একপ্রকার মানসিক চাপ বোধ করে ; আর একে অপরের সঙ্গে দেখা হলে অনুভব করে , কিভাবে তাদের ধমনিতে রক্তস্রোতের গতি বৃদ্ধি পায় । তাদের মুখ থেকে কথা লোপ পায় । আকার - ইঙ্গিতে শব্দ করে । সেই শব্দ ফিসফিস আওয়াজ তুলে বাতাসে মিশে যায় ।
০০ ফলিক এসিড সেবণে বাচ্চার মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় ।
পথে এরকম অজস্র ছোট ছোট বাড়ি কাম হোটেল পরবে ।
নির্বাচিত , প্রতিবেদন » সজীব রহমান » ২৬ ডিসেম্বর , ২০১০ » 75 টি মন্তব্য » 1 , 914 বার দেখা হয়েছে
রাইন অঞ্চলের বকবকানি এবং বাভারিয়ার বিশেষ মদিরা সম্পর্কে সবকিছু
আহ্ - হা - রে বয়সের বাঁধার কারনে স্থির চিত্র , চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পারছিনা ! ! ! !
চট্টগ্রাম , ২২ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : দেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও বন্দর সুবিধার কারণে চট্টগ্রামে অধিকতর বিনিয়োগ বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক খাতকে প্রাধান্য দিয়ে একক বা যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড । আজ বুধবার . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
কি জিনিস ? এন্টিভাইরাস ? ফ্রি হইলে লিঙ্ক দেন দেখি . . . ফ্রি না হইলে দরকার নাই । ক্র্যাক করা সব জিনিসই ভুয়া ।
সত্য , ত্রেতা ও দ্বাপর এই তিন যুগে তপস্যা ক্রমাণ্বয়ে ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য এই তিন বর্ণকেই আশ্রয় করিয়াছিল । কিন্তু এই তিন যুগে শূদ্রের তাহাতে অধিকার হয় নাই । এই নীচ বর্ণ ভবিষ্যতে ঘোরতর তপস্যা করিবে । কলিযুগই তাহার প্রকৃত সময় । শূদ্রজাতির দ্বাপরে তপস্যা করা অতিশয় অধর্ম । সেই শূদ্র আজ নির্বুদ্ধিতাবশতঃ তোমার অধিকারে তপস্যা করিতেছে । সেই জন্য এই বিপ্রবালক অকালে কালগ্রাসে পতিত হইয়াছে ।
১ - ৩ জুলাই ফোবানা সম্মেলন ২০১১ , আয়োজনে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি । স্থানঃ Hilton Crystal City , Arlington , USA .
দৈনিক সংগ্রাম , ২৩ এবং ২৪ নভেম্বর , ১৯৭১ : " রবিন্দ্র মার্কা লারেলাপ্পা গান "
গ্রুপ - বি ' র এ পর্যন্ত চারটি খেলার মধ্যে এই প্রথম জয়ের দেখা পেলো ভেনিজুয়েলা । আগের তিনটি খেলাই ড্র হয় । শুধু গ্রুপ - বি কেন এবারের কোপা আমেরিকার এ পর্যন্ত ১২টি খেলার মধ্যে সাতটি খেলাই অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে ।
২৫ ৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও প্ররোচনা দিলে বা সাহায্য করিলে বা কাহারও সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে ৩৪ [ অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোন উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করিলে ] , অপরাধ সংঘটিত হউক বা না হউক , তিনি অন্যুন ৩ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ৷
ইউটিউব থেকে ডউনলোডানোর জন্য ফায়ারফক্স এডঅন ডাউনলোড হেল্পার ব্যবহার করুন । ইচ্ছামত ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন । ইন্সটল করুন এখান থেকে আর বাকী ডাউনলোডের জন্য ডাউনদেম অল এডঅনটা ব্যবহার করুন । ইন্সটল করুন এখান থেকে তবে ডাউনলোডের জন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় কিউট বেবী aria2 চাইলে এটাও ট্রাই করতে পারেন ।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ পারিবারিক শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন দশ পুরুষের যে নামাবলি আবৃত্তি করতেন , তাতে প্রথমেই থাকত পুরুষোত্তম অর্থাৎ পুরুষোত্তম বিদ্যাবাগীশের নাম । তিনি ছিলেন ভট্টনারায়ণের অধস্তন পঞ্চবিংশতিতম ( ২৫ ) পুরুষ । পুরুষোত্তমের সময়েই ঠাকুর পরিবারের পারিবারিক কৌলিন্য বিনষ্ট হয় । পুরুষোত্তম অথবা তাঁর পিতা পিঠাভোগের জমিদার জগন্নাথ কুশারী যশোহরের চেঙুটিয়ার পিরালি ব্রাহ্মণ শুকদেবের কন্যাকে বিবাহ করে পিরালী থাকভুক্ত হন ।
অন্যদেশের , বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করা রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি প্রচলিত ( কিন্তু অলিখিত ) ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজি । আর এই স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়ন করে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । সাম্প্রতিক ইতিহাসে এর ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত রয়েছে । আমেরিকার সিআইএ করেছে কিউবা , সোভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে ; সোভিয়েত কেজিবি করেছে আমেরিকা ও তার মিত্রদেশগুলোর বিরুদ্ধে ; ইজরায়েলি মোসাদ করেছে প্যালেস্টাইন ও অন্যান্য আরব দেশের বিরুদ্ধে ; ভারতের ' র ' করেছে বাংলাদেশ , পাকিস্তান ও অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে ; এবং একইভাবে পাকিস্তানের আইএসআই করেছে ভারতের বিরুদ্ধে । জাতীয় নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবৃত্তির ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা ।
নূরুল হাসান খান , ৩১ মে ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) ঋণের সুদ পরিশোধই এখন সরকারি খরচের সব থেকে বড় ব্যয় খাতে পরিণত হয়েছে । অবস্থাটা এমন পর্যায়ে পোঁছেছে যে , সরকারের মোট ব্যয়ের . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
১৯৯০ এর দশকে আফগানিস্তানে আসার আগে তিনি ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেন । তিনি ২০০১ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানের তোরাবোর যুদ্ধে অংশ নেন । পরে তিনি ইরানে পালিয়ে যান এবং সেখানে গ্রেফতার হন । ২০০৩ সালে তাকে ইয়েমেনে পাঠিয়ে দেয়া হয় । ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওহাইসি তার ২২ জন সঙ্গীসহ সানার একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান । ওহাইসি তার সহযোগী কাসিম আল রাইমিকে নিয়ে ইয়েমেনে আল কায়েদা সংগঠিত করেন । ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আগতদের এতে অন্তর্ভুক্ত করানো হয় । ২০০৮ সালে সানায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় ১৪ জন নিহত ও অন্য একটি বোমা হামলায় ৬ পশ্চিমা পর্যটক নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করেন । ওহাইসি এর চার মাস পর ওহাইসি এক ভিডিও বার্তায় ঘোষণা দেন যে , তারা ইয়েমেনে ও সৌদি আরবের আল কায়েদাকে একীভূত করেছেন । ২০০৯ সালের আগস্টে সৌদি আরবে তারা প্রথম হামলা চালায় । তবে সৌদি নিরাপত্তা প্রধান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নাইয়েদ প্রাণে বেঁচে যান । ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভেট্টয়েটগামী একটি বিমানে বোমা হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তারা জড়িত বলে জানা যায় ।
আমার কবিতা / গল্প ভাল লাগলে ভোট করতে পারেন । কোন গঠনমুলক সমালোচনা পেলে তা পরবর্তী লেখার ক্ষেত্রে আমার উপকারে আসবে বলে বিশ্বাস করি । আমি প্রধানত কবিতা লিখি । তার পাশাপাশি ছোটগল্পও . . Tomosha Aronna / তমসা অরণ্য জন্মদিনঃ ৪ ফেব্রুয়ারী , ০০০০ গল্প / কবিতাঃ ইচ্ছে হলেই দেয়া হয় !
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হল দখলের সময় পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি নিয়ে মহড়া । ছবি : প্রথম আলো স্টাফ রিপোর্টার রাজধানীর সরকারি ইডেন কলেজে এবার দেহব্যবসার ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগের দু ' গুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । এ নিয়ে গতকাল দু ' পক্ষের মধ্যে ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়া , ভাংচুর ও সংঘর্ষ হয় । এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয় । কলেজ সূত্রে জানা গেছে , সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দু ' পক্ষের নেতাকর্মীরা হকিস্টিক , রড , স্ট্যাম্প নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় । দু ' পক্ষের মধ্যে মৃদু ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে । এতে অনু , তানিয়া , রূপা , রুমানা , কণা , লুচি , স্বর্ণা , লাবনীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে । এছাড়া জেবুন্নেসা হলের ২০৮ , খোদেজা বেগম হলের ২০৫ ও পুরাতন হলের ২ ( ক ) নম্বর কক্ষটিতে ভাংচুর করে মালামাল লুট করা হয়েছে । ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মী ছাড়াও সাধারণ ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা ও ভর্তি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত । দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগ , যুবলীগ নেতাদের বাসায় নেয়া ছাড়াও রাজধানীর কাকরাইল , গুলিস্তান , এলিফেন্ট রোড , মালিবাগ , মতিঝিল , মোহাম্মদপুর , নাখালপাড়া , মীরপুরের আবাসিক হোটেলগুলোতে সংগঠনের জুনিয়র কর্মী ছাড়াও প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের বাধ্য করে নিয়ে যাওয়া হতো । এছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩ শতাধিক ভর্তিচ্ছু এবং শতাধিক ছাত্রীর সাবজেক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা ব্যবসা করেছে ছাত্রলীগ । ইডেন কলেজে হল দখলের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয় । এ সময় ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে ধেয়ে আসে । ছবি : প্রথম আলো এ সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে । একটি পক্ষ বলছে , কলেজের সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়াসহ কয়েকজন প্রথম সারির নেত্রী ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা ও ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত । আবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষ বলছে , যারা ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা করায় তার প্রতিবাদ করায়ই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে । নিজুম গু্রপের তানিয়া বলেন , আমি রাজিয়া হলের ২১০ নম্বর কক্ষে থাকি । বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের বড় আপা চম্পা ও কানিজ আমাকে অবৈধ কাজে অফার করে । এতে আমি রাজি না হলে গতকাল আমাকে রুমেই মারধর করে চম্পা ও কানিজ । জানা গেছে , কলেজের জেবুন্নেসা হলের ২০৮ নম্বর কক্ষের এক ছাত্রীকে ও খোদেজা বেগম হলের ২০৫ নম্বর কক্ষের এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগ ও এক মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া গ্রুপ । প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই দুই ছাত্রী বিষয়টি অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেন । সমাজকর্ম বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী মাহফুজা খানম স্বর্ণা বলেন , সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আমাকে সব ধরনের অফার করেছে । বিভিন্ন নেতার বাসায় যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে । আমি তাদের কথা না শোনায় আমার রুম ভাঙচুর করে তালা দিয়ে সবকিছু নিয়ে গেছে । তিনি বলেন , বৃহস্পতিবার রাতেও আমাকে এক মন্ত্রীর বাসায় যেতে বলেছিল নিঝুম । তার কথা না শোনায় আমাকে তার কর্মীরা মারধর করেছে । অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবনী আক্তার বলেন , আমার চৌদ্ধগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে । আমি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কথামতো না চলায় আমাকে শিবির বানিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে । আমাকে সব ধরনের অফার করা হয়েছিল । তিনি বলেন , সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টাকার বিনিময়ে নবম শ্রেণীর মেয়েদেরও হলে রেখে তাদের দিয়ে দেহব্যবসা করাচ্ছে । কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে শিবির বলে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে । এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দু ' পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল । গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দু ' গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় । জানা গেছে , ২০০৮ - ০৯ শিক্ষাবর্ষে সভাপতি নিঝুম ও তানিয়া ইডেনে কয়েকশ ' ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করায় । প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয় । এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরীর সঙ্গে সমঝোতা করে কয়েকশ ' ছাত্রীর সাবজেক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা ব্যবসা করে । এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা নেয়া হয় । ভাগ - বাটোয়ারার ক্ষেত্রে জুনিয়রদের একটি করে ছাত্রী ভর্তি করার সুযোগ দেয়া হয় । প্রত্যাশিত ভাগ না পেয়ে এর প্রতিবাদ করায় তিন মাস আগে সাংগঠনিক সম্পাদক শর্মী ও হ্যাপিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় । তবে সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম বলেছেন , ওই দুই নেত্রী ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসার মতো কাজ করিয়েছে । এজন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে । তিনি বলেন , আমি সব ধরনের অনিয়মের বিপক্ষে । এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । আমাকে সরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম ষড়যন্ত্র করছেন । সভাপতি নিজুম গু্রপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন , কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও ইডেনের সহ - সভাপতি চম্পা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে মিরপুরে বাসা নিয়ে থাকছেন । ওই বাসায় আরও পাঁচ থেকে ছয়জন ছাত্রীকে রেখে তারা দেহব্যবসা করাচ্ছে । এর সঙ্গে বহিষ্কৃত নেত্রী হ্যাপী , শর্মী , চম্পা , কানিজ জড়িত । আমরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে । শর্মী ও হ্যাপি , সহ - সভাপতি চম্পা খাতুন , রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হ্যাপী , ইতিহাস বিভাগের কানিজ , অর্থনীতি বিভাগের লিজা , বি . কমের মিশু , সমাজকর্ম বিভাগের স্বর্ণা , ইতিহাস বিভাগের মিনাসহ আরও ক ' জন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে । সহ - সভাপতি চম্পা খাতুন বলেন , ইডেনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন আগেই । সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে সমপ্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে নিজুম ও তানিয়া । এছাড়া তারা ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা , ভর্তি বাণিজ্যসহ সব ধরনের অপকর্ম করছে । হলের ছাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে । তাদের কবল থেকে বের হয়ে ছাত্রীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে । এছাড়া এই চক্রটি ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িত । http : / / www . amardeshonline . com / pages / details / 2010 / 03 / 13 / 22560
সাভারেই একটা ক্লিনিকের ডাক্তারকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হল । ঐ লেডি - ডাক্তারের দেশের বাইরের বড় ডিগ্রী আছে , উপরন্তু শাহেদের সম্বন্ধীর ( আমাদের . . তুতো ভাই ) খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মা উনি । ক্লিনিকটা ঢাকা থেকে গেলে সাভার বাজার পার হয়ে কিছুদুর পরে প্রধান রাস্তার বামপাশে অবস্থিত ( ভেলরি টেইলরের সি . আর . পি . ওটার উল্টা দিকে কিছুটা ভেতরে ) । ডাক্তার সাহেবের আলিশান বাড়িটাও ক্লিনিকের সাথেই লাগোয়া । কাজেই বেশ নির্ভরতার সাথেই ওনার পরামর্শ মেনে চলতে থাকলো ওরা । বাইরের দেশগুলোতে গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয় . . . সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য তাঁদের নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম করানো হয় । জাপানে থাকার সময় এই ব্যাপারটা দেখেছি . . . . কেউ আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের জুনিয়র সিনেমাটা দেখে থাকলেও এই ধরনের সিন দেখে থাকবেন । অথচ , আমাদের ডাক্তার এ ধরণের কোন পরামর্শই দিয়েছে বলে কখনো শুনিনি । বরং সবসময়ই এমন কথা বলেন যে সব ঠিক আছে ইত্যাদি ।
অনলাইনে ভার্চুয়াল পয়েন্ট পাওয়ার বেশ কিছু সাইট ইতিপূর্বে দেখেছিলাম । বেশীর ভাগগুলোই পয়েন্টের বিনিময়ে সফটওয়্যার বা এমপিথ্রি ইত্যাদি দিয়ে থাকে । এবার দেখলাম ডোমেইন ও হোস্টিং দেয়ার মত একটা ফোরাম । রেজি : করে পোস্ট করে যেতে হয় । পোস্ট করলে পয়েন্ট . . আবার কাউকে রেফার করলেও পয়েন্ট । সেই পয়েন্ট ভাঙ্গিয়ে অনলাইন সার্ভিস কেনা . . . কিছু না হোক , নিজের একটা ব্যাক্তিগত ব্লগ তো করা যাবে । নিচে দেখুন তাদের পণ্য তালিকার একটা অংশ -
সাহয্য করার চেষ্টা করছি পজিটিভলি দেখুন লিনাক্স প্রসারে এগিয়ে আসুন কাউকে হেলা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়
ভালো মানের্একটা গ্রাফিক্স কার্ডের জন্যে কতো বাজেট করলে ভালো হয় ?
বি এন পি শেষমেষ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারলো না । জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায়ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরকার দ্বন্দ্ব আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটা বড় বাধা । তা আবারও প্রমাণিত হলো । প্রতিনিধিদল ফিরে এসে প্রতিবেদন দিলেই দেখা যাবে আসলে বাংলাদেশ সরকার কতখানি আন্তরিক । তবে ভারতের পক্ষ থেকে প্রকল্পটি সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত এখনও না পাওয়াটা শঙ্কিত করে তুলছে আমাদের । বি এন পি শেষমেষ সরকারের সজ্গে সমঝোতায় আসতে পারলো না । জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায়ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরকার দ্বন্দ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটা বড় বাধা । তা অবারও প্রমাণিত হলো । প্রতিনিধিদল ফিরে এসে প্রতিবেদন দিলেই দেখা যাবে আসলে বাংলাদেশ সরকার কদখানি আন্তরিক । তবে ভারতের পক্ষে থেকে প্রকল্পটি সম্পর্কে কোনো ইজ্গিত এখনও না পাওয়াটা শস্কিত করে তুলছে আমাদের । বি এন পি শেষমেষ সরকারের সজ্গে সমঝোতায় আসতে পারলো না । জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায়ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরকার দ্ব
ওটা অন্য কোনো সফটওয়্যার / পদ্ধতি । সবার মেশিনে এ্যাপাচে সার্ভার থাকে না , আবার এ্যাপাচে ইনস্টল করলেও অনেকে কিভাবে কি করতে হবে তা ঠাউরে উঠতে পারবে না । তাছাড়া , এ্যাপাচে সার্ভার যে এ্যাডমিনিস্টার করতে পারে , সে বরং এফটিপি সার্ভার দিয়েই এই কাজটা করবে ( ftp আরো ভালো অপশন ) । আমি নিজেও আগে ftp দিয়ে করতাম ( ওই সময় আমার মেশিনে ভিবক্সে 1 . x - এ কোনো ফোল্ডার শেয়ার করা যেত না - পরে ভার্সন 2 . x থেকে মনে হয় গেস্ট ড্রাইভারগুলো ঠিকভাবে কাজ করা শুরু করে )
আমাদের দেশের অভিভাবকরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং করে দেন । এক্ষেত্রে বেশিরভাগ অভিভাবকই সম্মানকে বিবিএ , এমবিএ , অনার্স বা মাস্টার্সে পড়াশোনায় উত্সাহিত করেন । তারপর যেই ভাবা সেই কাজ । দীর্ঘ ৮ - ৯ বছরের পড়াশোনা শেষে রেজাল্ট বের হলে তাকে খুঁজতে হয় চাকরি । কেউ কেউ চাকরি পেলেও অনেক ক্ষেত্রে তাও প্রত্যাশিত নয় । অন্যদিকে সিএটি , এফআইএ ও এসিসিএ
- আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু : ইসলামের নবী ( মূল লক্ষ্যবস্তু ) , কোরান , জাকির নায়েক , হারুন ইয়াহিয়া , মরিস বুকাইলী , সদালাপ সাইট , রায়হান , আল - মোর্শেদ , সরোয়ার , শাহবাজ নজরুল , সাদাত , ফুয়াদ , আইভি , ও সকল মুসলিম । সামান্য একটু মাথা খাটালেই বের হয়ে যাবে ।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বাদল বলেন , " আমাদের অর্থমন্ত্রী উপকূল চেনেন না । ওনার কাগজ - পত্রে কোথাও উপকূলের কথা উল্লেখ করেননি । উন্নয়নের স্বার্থে ' কোস্টাল ম্যানেজমেন্ট ' ( উপকূল ব্যবস্থাপনা ) ও নদী শাসনের ওউপর জোর দিতে হবে । "
লিভিং আর্টস নভেম্বর ২৯ , ২০১০ @ ৯ : ৪৬ অপরাহ্ন
গাজীপুর , বাংলাদেশনিউজ২৪x৭ . কম গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গুলিসহ সাটারগান বিক্রি করতে গিয়ে র্যা বের ফাঁদে আটক হয়েছে ৩ জন অস্ত্র ব্যবসায়ী । আটককৃতরা হচ্ছে - মোহাম্মদ অপু ওরফে দোস্ত অপু ( ৩০ ) , রনি ( ২৫ ) ও রানা মিয়া ( ২৪ ) । কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন জানান , র্যা ব - ১ এর একদল সদস্য ক্রেতা সেজে রোববার রাত ৮টার দিকে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মোড় এলাকায় হাফিজ উদ্দিনের রেচ্চোরায় অপু ও তার বন্ধুদের নিকট থেকে অস্ত্র ক্রয় করার জন্য ফাঁদ পাতে । তারা ক্রেতাদের র্যা ব পরিচয় বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । র্যা ব সদস্যরা তাদেকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে অপু পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় সোপর্দ করে । দুপুরে থানা পুলিশ তাদের কোর্টে চালান করেছে । গুলিবিদ্ধ অপুকে পুলিশ হেফাজতে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পুলিশ জানায় , আটককৃতরা কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর গ্রামের বাসিন্দা এবং অপু সরকার সমর্থিত যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত । বাংলাদেশনিউজ২৪x৭ . কম / প্রতিনিধি / এসএ .
ধর্ম মানুষকে উন্নত সত্ত্বার কাছে সারেন্ডার করতে শিখায় , বিনা প্রশ্নে কমান্ড পালন করতে শিখায় । নিয়ন্ত্রন করার জন্য এটা খুবই জরুরী । তাই বিনাবাক্য ব্যয়ে বা যৌক্তিকতার প্রশ্ন করাকে ইদানিং ধর্মে নিরূৎসাহিত করা হয় । নিরূৎসাহিত হয় জ্ঞান চর্চা । ইবনে সিনার যুগে সম্ভবত ধর্মকে নিয়ন্ত্রনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়নি । তাই তখন ছিল জ্ঞানচর্চা . . . আর এখন যে কোন আবিষ্কারের পরে - ওটা ১৪০০ বছর আগেই কোরআনে বলা আছে বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা দেখা যায় ; তারপর ঐ তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হলে হুজুরদের টিকিটিও দেখা যায় না । জ্ঞানচর্চা করলে যে মানুষ নত হবে না . . . তাই জ্ঞান চর্চা এখন নিষিদ্ধ । কোন প্রশ্ন করা যাবে না - এটাই এখন ধর্মের চর্চা ।
রাসূল ( সা . ) আরো বলেন : " নিশ্চিতই তোমাদের ভিতর যারা বেঁচে থাকবে , তারা অনেক বিভেদ দেখবে , সুতরাং আমার সুন্নাহ এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহর সাথে লেগে থেকো , তোমরা সেটাকে দাঁত দিয়ে কামড়ে থেকো ৷ এবং নতুন ভাবে উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ এড়িয়ে চলবে ৷ নিশ্চিতই প্রতিটি উদ্ভাবনই হচেছ পথভ্রষ্টতা ৷ " ( আহমাদ , দাউদ , তিরমজী , হিব্বান , আবি আমিন , আল - বায়হাকী , আল - হাকিম ইত্যাদিতে শব্দের সামান্য তারতম্য সহকারে লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷ এ হাদীসটি সহীহ বলে গণ্যকরা হয় ৷ )
মনতো সহজে এলোমেলো হয় না , কিন্তু আজ কেন যেন এলোমেল লাগছে , বসে বসে খুজতে থাকি এর কী কারন হতে পারে কিন্তু কোন তল খুজে পাই না । ভাবি ব্লগে আসলে মন ভাল হবে কিন্তু সব ব্লগ গুলোই কেমন যেন একটা উত্তপ্ত হয়ে আছে , মরুভুমির বালু কনার মত যেখানে যাওয়া মাএ মন এর ভিতর গরম বালুর স্বাদ লাগে । গতকাল ভাষা দিবস গেল কিন্তু কিছুই করা হয়নি আসলে করতে মন চায় নি । সবার মত হয়ে উঠিনি করা আমার অভিনয় । কেন যেন সবার মত মেকি কান্না করতে পারলাম না । কেন যেন স্মৃতিচালন মুলক কোন পোষ্টই লেখা হয়ে উঠেনি ।
তাই ভিসি প্রান গোপাল দত্ব নিজের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন । অনেকে হয়তো বলতে পারেন সঠিক যন্ত্রপাতি না থাকায় ভিসি বিদেশে যাচ্ছেন । তাদের জ্ঞ্যাতার্থে বলি - বিদেশ যাবার আগে বর্তমানে তিনি গ্রিন রোডের গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন । তবুও বঙ্গবন্ধুতে নয় । আমার মতে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে যদি চিকিৎসাই না হয় তবে হাসপাতালটি বন্ধ অথবা ভিসিকেই দায়মুক্ত
এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান , লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে । মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তাই তিনজন পেসার ও একজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে চান ধোনি । লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রকে বাইরে রেখে ফেরানো হচ্ছে মুনাফ প্যাটেলকে । আর স্পিনার হিসেবে রয়েছেন হরভজন সিং ।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিসার্চ অন বাংলা ল্যাংগুয়েজ প্রসেসের ( সিআরবিএলপি ) সহায়তায় এ কার্যক্রম চালু করা হয় । সিআরবিএলপি এই শ্রুতি সংস্করণের বাংলা লেখা থেকে বলার ( টেক্সট টু স্পিচ ) সফটওয়্যার তৈরি করেছে । অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আইনুন নিশাত বলেন , বাংলা লেখা পড়ে শোনানোর এ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে । এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে । প্রথম আলোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি । এ ব্যাপারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রথম আলোর মধ্যকার সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন । শ্রুতি সংস্করণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন , দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পত্রিকা পড়তে পারেন না । তাঁদের এ কাজটি সহজ করে দিতেই প্রথম আলোর এই শ্রুতি সংস্করণ । শুধু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা নন , নিরক্ষর ব্যক্তিরাও এখন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর শুনতে পারবেন । ভবিষ্যতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও কাজ করার ব্যাপারে প্রথম আলোর আগ্রহের কথা জানান তিনি । ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআরবিএলপির প্রধান মুমিত খান বলেন , ইংরেজি ভাষায় টেক্সট টু স্পিচ নিয়ে ৪৫ বছর ধরে কাজ চলছে । আর বাংলা ভাষায় এ কাজ চলছে মাত্র পাঁচ বছর ধরে । তাই এ প্রযুক্তিকে আরও সাবলীল করতে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে । তিনি জানান , প্রথম আলোর শ্রুতি সংস্করণে বাংলা টেক্সট টু স্পিচের একেবারে প্রাথমিক সংস্করণ ( ১ . ০ ) রয়েছে । পরবর্তী সংস্করণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । তিনি বলেন , এ প্রযুক্তির মান আরও উন্নত করা সম্ভব , তবে এ জন্য সময় লাগবে এবং সবার সহযোগিতায় কাজটি সম্পন্ন হবে । এই সফটওয়্যারের মানোন্নয়নের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান , বাংলা টেক্সট টু স্পিচের এই প্রযুক্তির প্রোগ্রামিং সংকেত উন্মুক্ত ( ওপেনসোর্স ) রাখা হয়েছে । ফলে কোনো প্রোগ্রামার চাইলে এই সফটওয়্যারের উন্নয়ন করতে পারবেন । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ভিজুয়ালি ইমপেয়ারড পিপলস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মজুমদার , ন্যাশনাল ফোরাম অব অর্গানাইজেশন ওয়ার্কিং উইথ দ্য ডিজঅ্যাবলের মহাসচিব জওয়াহেরুল ইসলাম , ডিজঅ্যাবল চাইল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান , দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাসেল হাসান , সিআরবিএলপির সদস্য ফিরোজ আলম , মুর্তজা হাবিবসহ অনেকে ।
লেখক বলেছেন : ভাবলাম প্রথামতো বলে দেই , " ভালো " । পরে মুশকিলে পড়লাম ভাবতে বসে । এি বুঝতে পারছি না যে ভালো আছি না খারাপ অবস্থাটাকে কী বলা যায় ?
মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগীতা যেটি এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল । ২০১১ সালের ইমাজিন কাপ এর ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক এ । পৃথিবীর প্রায় ১২০ টি দেশ থেকে সফ্টওয়্যার ডিজাইন এর চ্যাম্পিয়ন টিমগুলো নিউ ইয়র্ক এর এই ওয়ার্ল্ড ফাইনাল এ অংশ নিবে আজ থেকে ঠিক ২ মাস পর ৮ জুলাই ২০১১ এ । সেখান থেকে পুরো পৃথিবীর সবগুলো প্রজেক্ট এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রজেক্টটি ২০১১ এর ইমাজিন কাপ এর জয়ী ঘোষিত হবে ।
কোন কোম্পানী হয়তো একটা কন্ট্রাক্ট পেল যেখানে ১০০০ শ্রমিক প্রয়োজন । তারা তাদের ইমিগ্রেশনে ১০০০ ভিসা আবেদন করবে । ইমিগ্রেশন এই ১০০০ ভিসা কে বিভিন্ন দেশের জন্য ভাগ করে দেবে । . . বিস্তারিত …
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিএ ' র এক কর্মকতা বলেন , অতীতে বার বার নদী ভরাটকারীদের উচ্ছেদ করা হলেও নদী ভরাট কখনো থেমে থাকেনি । অবৈধ দখলদাররা যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে দখল কাজ চালিয়ে যায় । এ কারণে পুলিশ প্রশাসনও অবৈধ দখলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে উদাসীন থাকে । বর্তমানে নদী ভরাট যে পর্যায়ে গিয়েছে তা বন্ধ না করলে পরবর্তীতে প্রযুক্তিগতভাবেও নদী দখলমুক্ত করা সম্ভব হবে না । কারণ ক্রমাগত বালু ও পাথর ফেলার কারণে নদীর মাঝ বরাবার কৃত্রিম তীরের সৃষ্টি হয়েছে । বিআইডব্লিউটিএ জেলা নদী বন্দর উপ - পরিচালক আলমগীর কবির বলেন , নদীর ভরাট করা অংশের মাটি সরিয়ে নিতে জেএস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে । একটি এক্সক্যাভেটর ( ভেকু ) , ৫টি ট্রাক , দুটি ওয়ার্ক বোটসহ শতাধিক শ্রমিক উচ্ছেদ কাজে অংশ নিয়েছে বলে তিনি জানান । বিআইডব্লিউটিএ ' র জেলা নদী বন্দর ঊর্ধ্বতন উপ - পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন , ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীতে বড় জহাজ চলাচল করতে পারছে না । অবৈধ দখলদারদের বার বার নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি । ভরাটকৃত অংশ থেকে মাটি সরিয়ে নিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে । আগামী ৩ দিন এ কার্যক্রম চলবে । প্রয়োজন হলে উচ্ছেদ কার্যক্রমের সময় আরো বাড়ানো হবে । এছাড়া ড্রেজার দিয়ে নদী খনন করার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে । তিনি আরো বলেন , নদী দখলদার হিসেবে প্রাথমিকভাবে ২৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে । এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান । উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলাম , বিআইডব্লিউটএ ' র কর্মকর্তাসহ আমর্ড পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এমআর / আরআর / ১৯ . ৪০ ঘ . )
ফ্রান্সের জ্যাঁ পল সার্ত্রে ১৯৬৪ সালে সাহিত্যে আর ভিয়েতনামের লি দাক থো ১৯৭৩ সালে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন । সার্ত্রে বরাবরই প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কার নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন , আর লি ' পুরস্কার গ্রহণের অবস্থায় নেই ' এই যুক্তিতে পুরস্কার নেওয়া থেকে বিরত থাকেন ।
১ . সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করতে হবে
একটি শব্দের ভেতরে আরেকটি শব্দ ঢুকে পড়ে , চমকে উঠি ! না তারা আমার চেনা নয় , খুব দূর থেকে দেখা নির্জন রেখার মতো একটি একাকী সবুজ প্রান্তর । মায়ের বাড়ি পুব দিকে , বাবা দক্ষিণের আর আমি মাঝখানে সাঁতার দিয়ে উত্তর পশ্চিম কুড়াই । আমার দিক নেই , দিশা নেই , বিদিশা অন্ধকারে জলের শব্দ শুনে শুনে হাতরে চলি , পেয়ে যাই নক্সাকাটা
আগামীকাল আমি গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি । সবাইকে তাই আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম । ঈদ মোবারক ।
গাইবান্ধা , ২১ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা । আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালন করা হয় । জানা গেছে , স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় চত্বরে জেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাওছুল আযম ডলার , ওয়াহিদুজ্জামান খান তিতু , আব্দুল মান্নান সরকার , মাহমুদুন্নবী টিটুল , শাকিল ইসলাম পাপুল , এডভোকেট হানিফ বেলাল , তাহেরুল ইসলাম রঞ্জু , মমতাজুল ইসলাম , মাহামুদুন্নবী রিটু , ইলিয়াস হোসেন , শামীম আহমেদ পলাশ , শফিকুল ইসলাম , মোশাররফ হোসেন বাবু , আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু , খন্দকার জামিরুল ইসলাম প্রমুখ । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এমআর / আরআর / ১৯ . ৫৮ ঘ . )
অয়ন ভাই কি টিভির খবর পড়লেন নাকি ?
মাছ , দুধ এমনকি ফলকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতেও ফরমালিন ব্যবহার করছেন তারা । এই অপকর্মের ফলে অগুনতি মানুষ ক্রমবর্ধমান হারে পড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন , ফরমালিন মানুষের পেটে যেভাবেই যাক না কেন , সেটা তার স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ' এর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ' Lots of Economics in the Dots of Bangladesh
ধন্যবাদ বোরহান ভাই আপনাকে । এরপর কার হবে , কবে হবে সেটা একটু বলা মুশকিল । আমার মাথায় কখন কিসের ভুত চেপে ধরে কে জানে । আমি নিজেকে কখনই এসব ব্যাপারে প্রেসার দেই না । মন থেকে হঠাৎ কারো নাম চলে আসলে সেটাই করি । তাই পুরো ব্যাপারটাই বেশ অনিশ্চয়তায় ভরা
@ লেখককে , এই ব্যাটা আসলে বাজে বকে । " ডাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার " । সরকার তত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের চেষ্টা করছে তাদের রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি হাসিলের জন্য , ( যদিও এব্যাপারে কেউ কোন নিশ্চয়তাই দিতে পারবেনা , কারন আমাদের দেশের পূর্বের ইতিহাস তার স্বাক্ষী ) । আর উনি ঘটা করেই ১৫ই ফেব্রূয়ারী বাতিল করে দিলেন । তবে কি ' ৯৬ - ২০০১ এর আওয়ামী সরকার বৈধ নয় ?
রাবি , ২৪ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী উম্মে হাবিবা মিমি ( ২০ ) আত্মহত্যা করেছে । আজ শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মিমি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের অভ্যন্তরে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে । হল সূত্রে জানা গেছে , রাত পৌনে ১০টার দিকে মিমি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয় । এ সময় কয়েকজন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় । তারা এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে । মিমি তাপসী রাবেয়া হলে থাকতো । তার বাড়ি গাইবান্ধায় । এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল । প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / জেডআর / ২৩ . ০৯ঘ . )
লেখক বলেছেন : য়াপনের ঈমানের দোষ আমি কি কর্তাম !
পুরান বলেছেন : ধন্যবাদ শফিক ভাই সুন্দর পোস্টের জন্য ।
বৃদ্ধ মৃত্যুর আগে অনেকেরই হক মেরে সব কিছু মেয়ের নামে দিয়ে গিয়েছিলেন । দিলারা বেগমের চরিত্রের দোষ । অনেকেই টের পায় । স্বামী ব্যাঙ্কে গেলে অন্য পুরুষ এসে বাড়িতে ঢুকে । আবার কখনো তাকেও পর পুরুষের সাথে মাঝে মাঝেই দেখা যায় । পাড়াপড়শী আড়ালে ক্যাশিয়ারের রাতের ক্ষমতা নিয়ে হাসাহাসি করে । তা হলেও এসব ব্যাপারে মানুষ মজা পায় বেশ । দৈনন্দিন নিরামিষ জীবনে একটু আধটু আমিষের মত যেন । বেরসিকের মত কেউ আবার ক্যাশিয়ারের কানে কথাটা তুলে দিয়ে আসে । হয়ত সবার জন্য দিলারা বেগমের দ্বার উন্মুক্ত ছিলনা কিমবা প্রস্তাব দিয়ে মুখ চুন করে ফিরে আসা লোল কোন পুরুষ , যার হৃদয় পক্ষাঘাতগ্রস্থতার পেছনে দিলারা বেগমের হৃষ্টপুষ্ট স্তনগুলো দ্বায়ী । আক্কাস যখন প্রাইমারীর গন্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হল ততদিনে তার আরো একভাই এক বোন জন্মে গেছে । যেদিন হাতে নাতে ধরা পড়ে দিলারা বেগম , সেদিন ক্যাশিয়ারের ব্যাবহার ছিল অদ্ভুত । দিলারা বেগম হয়ত চড়চাপ্পড় আশা করেছিল , এমন নিরব শাস্তির কথা চিন্তাও করেনি । ঘন ঘন সে এ বিষয়ে আলটিমেটাম পেয়েছে এমন নয় কিন্তু ক্যাশিয়ার তালাক দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ততদিনে । সংসার যখন ভাঙে বড় বিচিত্র তার প্রতিক্রিয়া । বিশেষ করে মূল মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে যে ছানাপোনারা বাড়তে থাকে প্রতিনিয়ত তাদের মত অসহায় জীব বুঝি তখন আর কিছু থাকেনা । সন্তানদের বিপদে ফেলতে চাননি এমাজউদ্দিন । তাই তিন সন্তান কে নিয়ে তিনি চেষ্টা তদবির করে বদলি হয়ে যান খুব অল্প সময়েই । কিন্তু অভিভাবকহীন দিলারা বেগম বোধহয় এত কিছু আশা করেননি । এক লহমায় কৃতকর্মের এমন ফলাফলে তিনি বেশ ধাক্কা খান । তখন তিনি সন্তানদের জন্য মরিয়া হয়ে আদালতে কেস মোকাদ্দমা করতেও প্রস্তুত । ছায়াবিহীন নারীর জন্য প্রত্যেক পুরুষই হয়ত বর্ষাতির কাজ করাকে দ্বায়িত্ব মনে করে । তেমনি পরামর্শ দাতার অভাবও কোন কালে ছিলনা । বিশেষত যার পয়সা আছে কিন্তু মাথার উপর অভিভাবক নেই । দিলারা বেগমের বাড়ীতে তখন উকিল মুহুরীর ঘন ঘন আনাগোনা । ততদিনে দিলারার আগের প্রেমিক হাওয়া । এক দোকানের কর্মচারী ছিলেন তিনি । এখন এসব ঘটনার পর মালিক পক্ষ তাকে চাকুরীচ্যুত করেছিল বলে নাকি দিলারা বেগম বিমুখ হওয়ার কারনে তিনি মনের দুঃখে অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি । মোটকথা তিনি এরপরের কোনো ঘটনায় আর ছিলেন না । কেস মুকাদ্দমার দরুন আর কিছু না হোক একটা লাভ হল মুহুরীর আর তা হল দিলারা বেগমের খুব কাছাকাছি আসার সুযোগ পেলেন তিনি । অবশেষে আপাত নিঃসঙ্গতা দূর করে দিলারা বেগম বিয়ে করলেন সেই মুহুরীকে । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারন দেখিয়ে মাঝে মাঝেই সাদা কাগজে সই করিয়ে মুহুরী এক সময় দিলারা বেগমের বেশির ভাগ সম্পত্তি হাতিয়ে নিলেন । বাবা আবার বিয়ে করলে আক্কাস আলি পালিয়ে এসেছিল মায়ের কাছে । অথচ যখন মা বিয়ে করল তার আর পালানোর কোনো জায়গা রইলনা । সেই থেকে আক্কাস আলীর পরিবর্তন শুরু । ভেতরে শৈশব পেরুনোর ডাক , ফুটন্ত ভিসুভিয়াস । মানুষের উপর অক্ষম রাগ , প্রতিটি মানুষ তখন তার নিশানা । দিলারা বেগমের মুহুরী স্বামী মোটেই ভাল চোখে দেখেন না আক্কাস কে । ছেলেটার কেমন যেন খুনে চোখ , সদ্য গোঁফ ওঠায় যে জড়তা আক্কাস আলীর ভেতরে থাকার কথা , ভাঙা স্বরের মধ্যে তা তো নেই বরং প্রচন্ড জেদ আর অন্যরকম আত্মবিশ্বাস খেলা করে । এই বয়সেই বন্ধুরা খুব বেশি কাছের মানুষ হয়ে যায় । কারো মধ্যে যদি আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে তবে তো কথায় নেই । শুকুর সহ বেশ কিছু বন্ধু তখন তার সর্বক্ষনের সঙ্গী । পড়ালেখা তখন আর আক্কাসের ভাল লাগেনা । নৃসংসতা ভাল লাগে । মুরগীর গলা দু ' হাত দিয়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলে আক্রোশ নিয়ে । এরকম সময়ে তার চোখদুটো ভয়াবহ নেশায় আসক্ত মানুষের মত চকচক করে । কারো বাগানের ফল পাড়া কিমবা কারো খোয়াড়ের হাঁসমুরগী ধরার মত কাজ সে কখনো করেনি । তবে তার বন্ধুরা করতো । আক্কাসের হাতে প্রথম রক্ত ঝরে মানুষের , এক বনভোজনে । বেচারা ছেলেটি মাকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে চাল , ডাল , ডিম সাথে পোশালু করতে গিয়েছিল অতি আগ্রহ নিয়ে । খুব বেশি বয়স ছিলনা ছেলেটির । শাবল দিয়ে চুলার জন্য মাটি খুঁড়ছিল শুকুর আর বাচ্চা ছেলেটিকে দেয়া হয়েছিল মাটি সরানোর কাজ । তখন যদি কেউ আক্কাসের চোখের দিকে দেখত নিশ্চয়ই তার চকচকে নেশাময় চোখ দেখতো । কেউ দেখেনি আক্কাস ভেতরে ভেতরে কেমন ছটফট করছে অক্ষম রাগে । কতটা মানসিক যন্ত্রনায় তার ভেতরটা অমন নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতর হচ্ছে । মায়ের চরিত্রের কথা যখন কেউ মুখের উপর শুনিয়েছে , আক্কাস আলীর ভেতর তখন কি আক্রোশে পুড়েছে ! শুকুরের হাত থেকে শাবল নিয়ে ধীর মাথায় কোপ বসায় আক্কাস । গল্পটি এখানেই শেষ হতে পারে বা এটি কোনো গল্পই নয় । গল্পের চেয়েও জটিল বাস্তব জীবন । কিন্তু এটাই সত্যি যে আক্কাস ছেলেটি অন্যদের চেয়ে আলাদা , কিমবা পরিবেশের চাপ তাকে অন্যরকম করে দিয়েছে । মানসিক ভাবে অসুস্থ্য একটা রুগীর মত । ছেলেটি তার কাটা হাত নিয়ে সারাজীবন বহন করবে আক্কাসের নিষ্ঠুরতা । সে রাতে মহল্লার মানুষ আক্কাসের জান্তব চিৎকার শোনে । হয়ত আক্কাস সেদিন বেশি অস্থির ছিল বলে মুহুরী বাপের চোখে চোখ রাঙিয়ে কথা বলছিল অথবা খাবারের থালা ছুঁড়ে মায়ের উপর পুষে রাখা রাগ কিছুটা প্রকাশ করেছিল । ঘটনা যাই ঘটে থাকুক না কেন আক্কাস সেদিন চিৎকার করেছিল এক কি দু ' বারই । তারপরের দিন থেকে এই অন্যরকম ছেলেটিকে আর মহল্লায় দেখা যায়নি । বিভিন্ন জন অনুমানের উপর তাদের মতামত ঠিক ই প্রকাশ করেছিল বিকেলের প্রাত্যহিক জটলায় । অজানার প্রতি আজন্ম কৌতুহল বলে সব কৌতুহলের পরিনাম যে সুখকর তা হয়ত নয় । কৌতুহলের বশেই মানুষ সৃষ্টিশীল , ধ্বংশেও তেমনি । বহুদিন পর যখন দিলারা বেগম বাস্তবিকই পাগল হয়ে যান তখন তার প্রলাপের সাখে অনেক অজানা ঘটনার গুপ্ত তথ্য বেরিয়ে আসতো । তিনি হয়ত পোষ্টমর্টেম করেন ঘটনার । কি হয়েছে আর কি হতে পারতো । আক্কাস আলীর পরদিন নিখোঁজ হওয়ার ধোঁয়াটে দিকটা প্রকাশিত হয় এভাবেই । মুহুরী তাকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেনি কিন্তু খুঁটির সাথে বেঁধে গরম খুন্তির যে কটি ছেঁকা দিয়েছিলেন তার প্রথম দু ' একটির জন্য আক্কাসের ছিল অমন জান্তব চিৎকার । শোনা যায় পরদিন আক্কাস বাড়ির সাইকেল টা নিয়ে পালায় । সাইকেল বিক্রী করে আক্কাস কিছু টাকা পেতে পারতো , কিন্তু সে চিরকালের মত হারিয়েছিল আশ্রয় । অনেক বছর পরে যদি পাপপূণ্যের হিসেব কষে আক্কাস , তখন তার যে পাল্লাটায় ভারী হোক না কেন সময় কিন্তু থেমে ছিলনা । বস্তায় ভরা কুঁজোবুড়ির মত সময় গড়ায় । দিলারা বেগমের পূর্বপুরুষ কিমবা আক্কাস আলীর পরবর্তী প্রজন্ম কাহিনীর পর কাহিনী জন্ম দিয়েছিল এবং দিতে থাকবে । পক্ষপাতহীন মহাকাল ফলাফলের শূন্যতায় ডুবে আছে তবু চলমান তার গতি । আশ্রয় ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে আক্কাস পথে বেরিয়েছিল । জীবনযুদ্ধে আশ্রয় কি জরুরী তা হয়ত আক্কাসরাই ভাল বোঝে । দিনমান আক্কাস সাইকেল চালিয়ে বহুদূর যায় , এভাবেই আরো দূর । কখন সে সীমানা ছাড়িয়ে গেছে ।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মুখের ভাষা হিসেবে চীনা ( ম্যান্ডারিন ) , স্পেনীয় , ইংরেজি , হিন্দি / উর্দু ও আরবির পরেই বাংলার স্থান । ১৬ কোটি বাঙালির মাতৃভূমি বাংলাদেশ । ভারতের পশ্চিম বঙ্গ , ত্রিপুরা , দক্ষিণ আসাম , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বেশির ভাগ মানুষের মুখের ভাষাও বাংলা । নিচের মানচিত্রে লাল রংয়ে চিহ্নিত বাংলাভাষীদের নিজস্ব অঞ্চলটি দেখুন :
খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে বলেছিলেন সরকার ' প্রকৃত ' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যবস্থা না করে তাদের ' সহযোগীদের ' বিচারের কথা বলছে । জনগনকে নিয়ে বিএনপি নাকি সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি রুখে দিবে । কি ভয়াবহ কথা । একেবারে রুখে দিবে । বিএনপির নেত্রীর ভাষায় ' যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী ' দের বিচার তিনি রুখে দেবেন । তারই ধারাবাহিকতা বিএনপিপন্থীদের এই সম্মেলন । কেন বিএনপি এমন করছে তা সত্যি আশ্চর্যজনক । নিজামীদের বাঁচাতে এতটা মরিয়া বিএনপি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ! চরম লজ্জাজনক ব্যাপার ।
আপনারা অনেকে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন অভ্র থেকে ইউনিজয় কি - বোর্ড বাদ দেয়া হচ্ছে অচিরেই । তাই আসুন অভ্রতে কিভাবে নিজের পছন্দমত কি - বোর্ড ইনস্টল করে নেয়া যায় তা জেনে নেই । মাত্র কয়েকটি ধাপ । যে কেউ খুব সহজে এটি করতে পারবেন । এটি করার জন্য অভ্রর সাম্প্রতিক ভার্সন ৪ . ৫ . ১ ব্যবহার করাই ভাল । আমি পুরনো ভার্সনে এটি করে দেখিনি ।
আর হিন্দুস্থান নামের সাথে হিন্দু শব্দের সম্পর্ক নেই , হিন্দুস্থান এসেছে সিন্ধু নদের বিকৃত উচ্চারণ থেকে ।
এবং ১৯৮৭ সালের ১৫ই এপ্রিল এই অধম সুখী ফয়সাল ' র জন্ম ।
১৯৬৭ সালে ভানুর আরো একটি ছবি মুক্তি পায় , ' মিস প্রিয়ংবদা ' - যেখানে উনি চরিত্রের প্রয়োজনে মহিলা
পটুয়াখালী , ২১ জুন ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : পটুয়াখালী শহরের স্বনির্ভর সড়ক এলাকায় রুবেল ( ২০ ) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে । পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ . . . . বিস্তারিত পড়ুন »
বিলটি আগে আইন এবং অর্থমন্ত্রক থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল রাজ্যসমূহ কর্তৃক অর্থবরাদ্দের বিষয় নিয়ে । আইন মন্ত্রকের ধারনা ছিল সমস্যা আসবে ২৫ % সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে , যেখানে জনশক্তি বিকাশ মন্ত্রকের হিসাবে খরচ দেখানো হয়েছে প্রতিবছরে ৫৫০০০ কোটি টাকা ।
এবারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিন্নপত্র প্রসঙ্গ । শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে লেখা আটখানি চিঠিসহ , ১৮৮৭ - ১৮৯৫ সালে শ্রীমতী ইন্দিরা দেবীকে রবীন্দ্রনাথ যে সমস্ত পত্র লিখেছেন , ১৫৩ টি পত্র - সংকলিত গ্রন্থখানি তা থেকে সংকলন । এ সময়ে লিখিত চিঠিপত্র ( সব চিঠি নয় ) ইন্দিরা দেবী দুটি খাতায় স্বহস্তে নকল করে কবিকে উপহার দিয়েছিলেন । এই খাতা দুটি অবলম্বনে , অনুলেখিকা অথবা পত্রকার স্বয়ং যতটা সঙ্কলনযোগ্য মনে করেছিলেন তাই নিয়ে ১৩১৯ সালে ছিন্নপত্র প্রকাশিত হয় । বহু চিঠিই রবীন্দ্রনাথ তখন গ্রন্থভুক্ত করেননি ; অনেক পত্রের কোনো কোনো অংশ সাধারণের সমাদরযোগ্য নয় মনে করেও বর্জন করেন । মূল খাতা - দুখানি অবলম্বনে ১৯৬০ সালে ছিন্নপত্রাবলী নামে যে গ্রন্থখানি প্রকাশিত হয় , তাতে পাওয়া যাবে বর্জিত অনেকগুলি পত্র এবং পত্রাংশ । ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরাকে , তাঁর ১৩ থেকে ২১ বছর বয়েসকালে , লেখা চিঠিগুলির একক তাৎপর্য স্বয়ং পত্রকারই সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন ৭ অক্টোবর ১৮৯৪ সালে লেখা চিঠিখানিতে । ইন্দিরা দেবীকে লেখার বিষয় - বৈশিষ্ট্য কি , সেটা স্বয়ং লেখকের জবানি শোনা যাক : আমার অনেক সময় ইচ্ছা করে , তোকে যে সমস্ত চিঠি লিখেছি সেই গুলো নিয়ে পড়তে পড়েত আমার অনেক দিনকার সঞ্চিত অনেক সকাল দুপুর সন্ধ্যার ভিতর দিয়ে আমার চিঠির সরু রাস্তা বেয়ে আমার পুরাতন পরিচিত দৃশ্যগুলির মাঝখান দিয়ে চলে যাই । কত দিন কত মুহূর্তকে আমি ধরে রাখবার চেষ্টা করেছে - সে গুলো বোধ হয় তোর চিঠির বাক্যের মধ্যে ধরা আছে … আমাকে একবার তোর চিঠিগুলি দিস - আমি কেবল ওর থেকে আমার সৌন্দর্যসম্ভোগগুলো একটা খাতায় টুকে নেব … আমার গদ্যে - পদ্যে কোথাও আমার সুখ দুঃখের দিনরাত্রিগুলি এ রকম করে গাঁথা নেই ( শিলাইদহ । ১১ মার্চ ১৮৯৫ , সংযোজন , ছিন্নপত্র ) । ছিন্নপত্রের যে - কোনো একটি চিঠি পড়লেই দেখা যাবে কবির অনুপ্রাণিত মনে বহির্জগতের ক্রিয়াগুলি যে - প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে তাকেই সত্যরূপে পত্রগুলি বিশ্বস্তভাবে ধারণ করে আছে । যেমন প্রকৃতির বক্ষলগ্ন কবির প্রাণিত অনুভব : ঐ - যে মস্ত পৃথিবীটা চুপ করে পরে রয়েছে ওটাকে এমন ভালোবাসি - ওর এই গাছপালা নদী মাঠ কোলাহল নিস্তব্ধতা প্রভাত সন্ধ্যা সমস্তটা - সুদ্ধ দুহাতে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে । মনে হয় পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা যে - সব পৃথিবীর ধন পেয়েছি এমন কিকোনো স্বর্গ থেকে পেতুম ? স্বর্গ আর কী দিত জানি নে , কিন্তু এমন কোমলতা দুর্বলতা - ময় , এমন সকরুণ আশঙ্কা - ভরা , অপরিণত এই মানুষগুলির মতো এমন আপনার ধন কোথা থেকে দিত ! … আমি এই পৃথিবীকে ভারী ভালোবাসি । এর মুখে ভারী একটি সুদূরব্যাপী বিষাদ লেগে আছে - যেন এর মনে আছে , আমি দেবতার মেয়ে , কিন্তু দেবতার ক্ষমতা আমার নেই । আমি ভালোবাসি , কিন্তু রক্ষা করতে পরি নে । আরম্ভ করি , সম্পূর্ণ করতে পরি নে । জন্ম দিই , মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পরি নে । এই জন্যে স্বর্গের উপর আড়ি করে আমি আমার দরিদ্র মায়ের ঘর আরো বেশি ভালোবাসি - অসহায় , অসমর্থ , অসম্পূর্ণ , ভালোবাসার সহস্র আশঙ্কায় সবর্দা চিন্তাকাতর বলেই ( পত্র ১৮ , ছিন্নপত্র ) । কাদম্বিনী দত্ত ( ১২৮৫ ? - ১৩৫০ ) উচ্চশিক্ষিতা বা সুপরিচিতা কোনো ব্যক্তিত্ব ছিলেন না । কিন্তু তাঁর ঈশ্বর - জিজ্ঞাসা এবং অসামান্য ধীশক্তি রবীন্দ্রনাথকে বিশেষবাবে মুগ্ধ করেছিল । প্রায় ত্রিশ বছর কাল উভয়ের মধ্যে পত্রযোগে নানা বিষয়ে আলাপ - আলোচনা চলেছিল । কবি কি - প্রাঞ্জল ভাষায় এই শোকাতুরা বালবিধবাকে শান্তির আমোঘ বাণী শুনিয়েছেন , এখানে তার কিছু নমুনা দেয়া আলোচনার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হবে । ঈশ্বর তাঁর পরম দানগুলিকে দুঃখের ভিতর দিয়াই সম্পূর্ণ করেন - তিনি বেদনার মধ্য দিয়া জননীকে সন্তান দেন - সেই বেদনার মূল্যেই সন্তান জননীর এত অত্যন্তই আপন । সেই কথা মনে রাখিয়া , যখন ঈশ্বরের কাছে সত্য চাই , আলোক চাই , অমৃত চাই তখন অনেক বেদনা অনেক ত্যাগের জন্য নিজেকে সবলে প্রস্তুত করিতে হইবে । মা , ঈশ্বর যদি তোমাকে বেদনা দেন তবে নিজরে দোষে সেই বেদনাকে ব্যর্থ করিয়ো না - তাহাকে সফল করিবার জন্য সমস্ত হৃদয় মনকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করিয়া জাগ্রত হও ( পত্র ৪ , ঐ ) । রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাদম্বিনী দত্তের পত্রব্যবহারের মূল বিষয় ছিল - এ সংসারে মানুষের সুখদুঃখের স্বরূপ । হেমন্তবালার সঙ্গে পত্রালাপের মুখ্য বিষয় মানুষের ধর্মমত , এবং ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে কবির আত্মপরিচয় । তিনি নানা প্রশ্ন করে এমনভাবে চিঠি লিখতেন যে , রবীন্দ্রনাথ সারবান উত্তর লিখতে উদ্বুদ্ধ হতেন । বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণকারিণী এই গরীয়সী রমণীর মুখ্য প্রশ্নটি ছিল আপনি এমন কবি ও ভাবুক হয়েও বৈষ্ণবধর্মকে কেন সমর্থন করেন নি , এবং সাকার - উপাসনার বিরুদ্ধে বলেন কেন ? এ সম্পর্কে কবি বহু পত্রে বহু কথা লিখেছেন । এখানে আমি কেবল দ্বিতীয় পত্রখানি থেকে দীর্ঘ একটি উদ্ধৃতি দিয়ে প্রসঙ্গটি শেষ করবো । আমি র্নিগুণ নিরঞ্জন নির্ব্বিশেষের সাধক এমন একটা আভাস তোমার চিঠিতে পাওয়া গেল । কোনো একদিক থেকে সেটা হয়তো সত্য হতেও পারে - যেখানে সমস্তই শূন্য সেখানেও সমস্তই পূর্ণ - যিনি তিনি আছেন এটাও উপলব্ধি না করব কেন ? আবার এর উল্টো কথাটাও আমারি মনের কথা । যেখানে সব - কিছু আছে সেখানেই সবার অতীত সব হয়ে বিরাজ করেন এটাও যদি না জানি তাহলে সেও বিষম ফাঁকি । আজ এই প্রৌঢ় বসন্তের হাওয়ায় বেলফুলের গন্ধ সিঞ্চিত প্রভাতের আকাশে একটা রামকেলী রাগিণীর গান থাকে ব্যাপ্ত হয়ে - স্তব্ধ হয়ে একা একা বেড়াই যখন , তখন সেই অনাহত বীণার আলাপে মন ওঠে ভরে । এই হোলো গানের অন্তর্লীন গভীরতা । তার পরে হয়তো ঘরে এসে দেখি গান শোনবার লোক বসে আছে - তখন গান ধরি " প্যালা ভর ভর লায়ীরি " । সেই ধ্বনিলোকে দেহমন সুরে সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে , যা কিছুকে সেই সুর স্পর্শ করে তাই হয় অপূর্ব্ব । এও তো ছাড়বার জো নেই । সুরের গান , না - সুরের গান , কাকে ছেড়ে কাকে বাছব ? আমি দুইকেই সমান স্বীকার করে নিয়েছি । এক জাগয়ায় কেবল আমার বাধে । খেলনা নিয়ে নিজেকে ভোলাতে আমি কিছুতেই পারি নে । এটা পারে নিতান্তই শিশু বধূ । সাথী আছেন কাছে বসে তাঁর দিকে পিছন ফিরে খেলনার বাক্স খুলে বা একেবারেই সময় নষ্ট করা । এতে করে সত্য অনুভূতির রস যায় ফিকে হয়ে । ফুল দিতে চাও দাও না , এমন কাউকে দাও যে - মানুষ ফুল হাতে নিয়ে বলবে বাঃ । তার সেই সত্য খুসি আনন্দে গিয়ে পৗঁছায় । শিলাইদহের বোষ্টমী আমার হাতে আম দিয়ে বললে , তাঁকে দিলুম । এই তো সত্যকার দেওয়া - আমারই ভোগের মধ্যে তিনি আমটিকে পান । পূজারী ব্রাহ্মণ সকাল বেলায় গোলকচাঁপার গাছে বাড়ি মেরে ফুল সংগ্রহ করে ঠাকুরঘরে যেত - তার নামে পুলিশে নালিষ করতে ইচ্ছা করত - ঠাকুরকে ফাঁকি দিচ্ছে বলে । সেই ফুল আমার মধ্যে দিয়ে ঠাকুর গ্রহণ করবেন বলেই গাছে ফুল ফুটিয়েছেন আর আমার মধ্যে ফুলে আনন্দ আছে । ঠাকুরঘরে যে মূর্ত্তি প্রতিদিন এই চোরাই মাল গ্রহণ করে সে তো সমস্ত বিশ্বকে ফাঁকি দিলে - মূঢ়তার ঝুলির মধ্যে ঢেকে তার চুরি । কত মানুষকেই বঞ্চিত করে তবে আমরা এই দেবতার খেলা খেলি । ঠাকুরঘরের নৈবেদ্যের মধ্যে আমরা ঠাকুরের সত্যকার প্রাপ্যকে প্রত্যহ নষ্ট করি । এর থেকেএকটা কথা বুঝতে পারবে , আমার দেবতা মানুষের বাইরে নেই । নির্ব্বিকার নিরঞ্জনের অবমাননা হচ্ছে বলে আমি ঠাকুরঘর থেকে দূরে থাকি এ কথা সত্য নয় - মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বলেই আমার নালিষ । যে সেবা যে প্রীতি মানুষের মধ্যে সত্য করে তোলবার সাধনাই হচ্ছে ধর্ম্মসাধনা তাকে আমরা খেলার মধ্যে ফাঁকি দিয়ে মোটাবার চেষ্টায় প্রভূত অপব্যয় ঘটাচ্চি । এই জন্যেই আমাদের দেশে ধার্ম্মিকতার দ্বারা মানুষ এত অত্যন্ত অবজ্ঞাত । মানুষের রোগ তাপ উপবাস মিটতে চায় না , কেননা চিরশিশুর দেশে খেলার রাস্তা দিয়ে সেটা মেটাবার ভার নিয়েচি । মাদুরার মন্দিরে যখন লক্ষ লক্ষ টাকার গহনা আমাকে সগৌরবে দেখানো হোলো তখন লজ্জায় দুঃখে আমার মাথা হেঁট হয়ে গেল । কত লক্ষ লক্ষ লোকের দৈন্য অজ্ঞান অস্বাস্থ্য ঐ সব গহনার মধ্যে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে । খেলার দেবতা এই সব সোনা জহরৎকে ব্যর্থ করে বসে থাকুন - এদিকে সত্যকার দেবতা সত্যকার মানুষের কঙ্কালশীর্ণ হাতের মুষ্টি প্রসারিত করে ঐ মন্দিরের বাহিরে পথে পথে ফিরচেন । তবু আমাকে বলবে আমি নিরঞ্জনের পূজারি ? ঐ ঠাকুরঘরের মধ্যে যে পূজা পড়চে সমস্ত ক্ষুধিতের ক্ষুধাকে অবজ্ঞা করে সে আজ কোন শূন্যে গিয়ে জমা হচ্চে ? হয়তো বলবে এই খেলার পূজাটা সহজ । কিন্তু সাধনাকে সহজ কোরো না । আমরা মানুষ , আমাদের এতে গৌরব নষ্ট হয় । দেবতার পূজা কঠিন দুঃখেরই সাধনা - মানুষের দুঃখভার পর্ব্বত - প্রমাণ হয়ে উঠেছে সেইখানেই দেবতার আহ্বন শোনো - সেই দুঃসাধ্য তপস্যাকে ফাঁকি দেবার জন্যে মোহের গহ্বরের মধ্যে লুকিয়ে থেকো না । আমি মানুষকে ভালোবাসি বলেই এই খেলনা দেবতার সঙ্গে আমার ঝগড়া । দরকার নেই এই খেলার , কেননা প্রেম দাবী করচেন সত্যকার ত্যাগের , সত্যকার পাত্রে । তোমাকে বোধ হয় কিছু কষ্ট দিলুম । কিন্তু সেও ভালো । যদি তোমাকে অবজ্ঞা করতুম তাহলে এ কষ্টটুকু দিতুম না ।
এই টপিকে যা যা পাবেন - ১ . ফোরামের নিয়মাবলী ( লিঙ্ক ) ২ . প্রোফাইল হালনাগাদ ৩ . আমাদের সাথে পরিচিত হওন ৪ . ফোরামে বাংলা লিখবেন যেভাবে ( লিঙ্ক ) ৫ . ফোরামে নতুন টপিক করবেন যেভাবে ৬ . ফোরামে পোস্ট অথবা টপিকের উত্তর দিবেন যেভাবে ৭ . BBCode বারের ব্যবহার ৮ . গোপন বার্তা
লেখক বলেছেন : ভাল প্রশ্নঃ ১ । দেশী বীজ কৃষকরা নিজেরাই উৎপাদন করে । এতে ফলন হাব্রীড বীজের তুলনায় কম । হাইব্রীড বীজ গবেষণাগারে তৈরি । ফলন বেশি । দামও বেশি । এই বীজের থেকে নতুন বীজ তৈরি হয় না । যেমন ফার্মের মুরগীর ডিমে বাচ্চা হয় না ! ওই ডিম একটার দাম . . . ৭ টাকা । বাচ্চা হওয়া ' প্যারেন্ট স্টক ' ডিমের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা । ২ । না । শুধু ধান নয় প্রায় অধিকাংশ ফসলেই আছে । ৩ । যে সব দেশে কৃষি বড় পুঁজির আওতায় চলে গেছে সেখানে ব্যবহার হচ্ছে । ৪ । হাইব্রীড প্রজনন এর ক্ষমতা পেটেন্ট করা । আমাদের ব্যবসায়ীরা পারে শুধু আমদানি করতে । ৫ । বাধ্য তো করেই । গত মৌসুমে সরকার নির্ধারণ করেছিল ৯ লাখ হেক্টর জমি । এবার করেছিল ৪৫ লাখ হক্টের । ব্লকের ভেতর পড়লে এটা চাষ না করে উপায় নেই ।
২৫ মার্চ । সকাল এগারোটা । ঝনঝন শব্দে বেজে উঠলো সবুজ রঙের টেলিফোন । জেনারেল খাদিম রাজার কক্ষ । ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জান্তব কণ্ঠে ঘোষিত হলো , একটি নির্দেশ । বলা হলো - ' খাদিম আজ রাতেই । ' স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙালিদের নিধন যঞ্জের সবচাইতে কুখ্যাত ব্যক্তি লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজাকে এদেশের নিরস্ত্র মানুষদের উপর ঘাতকদের লেলিয়ে দেয়ার লাইসেন্স দিয়ে দিলেন । তেমন কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি হলো না খাদিম রাজার মধ্যে । কারণ তিনি এ নির্দেশেরই অপেক্ষায় ছিলেন । কাজে নেমে পড়লেন খাদিম রাজা এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে । পাক সেনা সদস্যদের প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিলেন স্টাফদের ।
শুধু ফাঁসিতেই খুনের শাস্তি শেষ হয়নি তার । মৃত্যুর পর ১৯০ বছর পর্যন্ত ঝুলে থাকতে হয়েছে । মেডিকেল ছাত্রদের ব্যবচ্ছেদবিদ্যা প্রয়োগের কথা না হয় বাদই দিলাম । তার চামড়া দিয়ে একটি খুনের মামলার বই পর্যন্ত বাঁধাই করা হয়েছে । বইটি এখনও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অফিসের প্রদর্শনীতে রয়েছে । এ হতভাগা খুনির নাম জন হরউড । হতভাগা [
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু মধুর ক্যান্টিনও নীরব । সবসময় মুখরিত থাকা এ স্থানটি যেন অনেকটাই অচেনা ।
চট্টগ্রামের মির সরাইয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে সরকার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে । যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ( পিআরও ) আবু নাসের জানান , চট্টগ্রাম বিভাগের রোড এ্যান্ড হাইওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ।
রাজিব খান বলেছেন : সাউথ আফ্রিকায় একটি পুরুষ পতিতালয় আছে
একসঙ্গে ৩০ শিল্পীকে পাওয়া সহজ কথা নয় । নিজের অভিনীত নাটকের অনুষ্ঠানে এখন অনেক শিল্পীই যান না । সে ক্ষেত্রে অন্যরকম চিত্র দেখা গেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ' পৌষ ফাগুনের পালা ' র শততম পর্ব উদযাপন অনুষ্ঠানে । এতে পরিচালক আফসানা মিমিসহ নাটকের প্রায় ৩০ জন অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন । সব মিলিয়ে পুরো আয়োজন পরিণত হয় তাদের মিলনমেলায় । এক নাটকে থাকলেও তাদের একসঙ্গে সাধারণত দেখা হয় না ।
যখন স্কাইপ বা ভিডিও সাপোর্টেড অন্য কোন সফটওয়্যার ইউজ করবেন তখন অটোমেটিক ওয়েবক্যাম পেয়ে যাবে । চেনা জানা কোম্পানি হলে উবুন্টুতে কোন সমস্যাই হয় না । সস্তা চায়নিজ ওয়েব ক্যাম হলে সমস্যা হতে পারে । অবশ্য এই পর্যন্ত ওয়েবক্যাম নিয়ে কোন সমস্যার কথা শুনিনি ।
এই সঙ্গীতের ভাবাবেগে আপ্লুত হয়ে নজরুলের জওয়াবের পর সুভাষ চন্দ্র বসু তাঁর স্বভাবসুলভ আনন্দমুখর কণ্ঠে নজরুলের কথার সুরে সুর মিলিয়ে বলেন , ' আমরা যখন যুদ্ধে যাব তখন সেখানে নজরুলের যুদ্ধের গান গাওয়া হবে । আমরা যখন কারাগারে যাব , তখনও সেখানে তাঁর গান গাইব । . . . নজরুল যে স্বপ্ন দেখেছেন , সেটা শুধু তাঁর নিজের স্বপ্ন নয় - সমগ্র বাঙালি জাতির স্বপ্ন । '
পরে শান্তিনিকেতনে অধ্যাপনা করেছে । রবীন্দ্রচিন্তা করেছেন । সেই বাবা বলতেন , রবীন্দ্রনাথও নোবেল প্রাইজ পকেটে করে জন্মাননি । তার প্রমাণ কবির লেখাতেই আছে । যে কবির কাছে আসা প্রথম সাগর দেখার মতো , সেই কবিও যে একদিন বীজ ও অঙ্কুর থেকেই শুরু করেছিলেন , এক লাফে মহীরুহ হয়ে যাননি , এ ' কথা উপলব্ধি করলে দু ' পার বাংলার উঠতি কবিদের অনেক উপকার হতে পারে । সন্ধ্যা সংগীত দিয়েই শুরু করা যাক । কবি লিখছেন : ' ' এই গ্রন্থাবলীতে আমার কাব্য রচনার প্রথম পরিচয় দিয়ে দেখা দিয়েছে সন্ধ্যা সংগীত । তার পূর্বেও অনেক লেখা লিখেছি কিন্তু সেগুলোকে লুপ্ত করার চেষ্টা করেছি অনাদরে । হাতের অক্ষর পাকাবার যে খাতা ছিল বাল্যকালে সেগুলিকে যেমন অনাদরে রাখিনি , এও তেমনি । ' ' কুষ্টিয়াতে কবিগুরুর বাসস্থান প্রভাত সংগীতের ' ' সূচনা ' ' য় কবি নিজের ' বিকাশোন্মুখ মন ' , ' অপরিণত ভাবনা ' র কথা বলেছেন । ছবি ও গান সম্বন্ধে বলছেন : ' ' এটা বয়ঃ সন্ধি কালে লেখা , শৈশব যৌবন যখন সবে মিলেছে । ভাষায় আছে ছেলেমানুষি , ভাবে এসেছে কৈশোর । তার পূর্বেকার অবস্থায় একটা বেদনা ছিল অনুদ্দিষ্ট , সে যেন প্রলাপ বকে আপনাকে শান্ত করতে চেয়েছে । এখন সেই বয়স যখন কামনা কেবল সুর খুঁজছে না , রূপ খুঁজতে বেরিয়েছে । কিন্তু আলো আঁধারে রূপের আভাস পায় , স্পষ্ট করে কিছু পায়না । ছবি এঁকে তখন প্রত্যক্ষতার স্বাদ পাবার ইচ্ছা জেগেছে মনে কিন্তু ছবি আঁকার হাত তৈরী হয় নি তো । নিজের সমালোচনায় কবি কিন্তু মুহূর্তেই কড়ি এবং কোমল : ' ' মোটের উপর অক্ষম ভাষার ব্যাকুলতায় সবগুলিতেই বানানো ভাব প্রকাশ পেয়েছে , সহজ হয়নি । কিন্তু সহজ হবার একটা চেষ্টা দেখা যায় সেইজন্যে চলতি ভাষা আপন এলোমেলো পদক্ষেপে এর যেখানে সেখানে প্রবেশ করছে । আমার ভাষায় ও ছন্দে এই একটা মেলা - মেশা আরম্ভ হল । ছবি ও গান কড়ি ও কোমলের ভূমিকা করে দিল । ' ' আর কড়ি ও কোমল সম্পর্কে কবির মন্তব্য ' ' যৌবন হচ্ছে জীবনে সেই ঋতু পরিবর্তনের সময় যখন ফুল ও ফসলের প্রচ্ছন্ন প্রেরণা নানা বর্ণে ও রূপে অকস্মাৎ বাহিরে প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে । কড়ি ও কোমল আমার সেই নব যৌবনের রচনা । ' ' রবীন্দ্রনাথের লেখা পান্ডুলিপি . . . . বাকি থাকেন সাধক , জিজ্ঞাসু রবীন্দ্রনাথ । তাঁর সূচনা হল কোথা । মানসীর ' ' সূচনা ' ' য় কবি লিখছেন , গাজিপুরে এসে : ' ' মন নিমগ্ন হল অক্ষুণœ অবকাশের মধ্যে । আমার গানে আমি বলেছি - আমি সুদূরের পিয়াসী । পরিচিত সংসার থেকে এখানে আমি সেই দূরত্বের দ্বারা বেষ্টিত হলুম ; অভ্যাসের স্থূল হস্তাবলেপ দূর হবামাত্র মুক্তি এলো মনোরাজ্যে । এই আবহাওয়ায় আমার কাব্য রচনার একটা নতুন পর্ব আপনি প্রকাশ পেলো । . . . আমার কল্পনার ওপর নূতন পরিবেষ্টনের প্রভাব বারবার দেখেছি । এই জন্যেই আলমোড়ায় যখন ছিলুম আমার লেখনী হঠাৎ নতুন পথ নিল শিশুর কবিতায় , অথচ সে জাতীয় কবিতার কোনো প্রেরণা কোনো উপলক্ষ্যই সেখানে ছিল না । ' ' মানসীতেই ছন্দের নানা খেয়াল দেখা দিতে শুরু করে , লিখেছেন কবি , কবির সঙ্গে শিল্পীর গাঁটছড়া পড়ে । কিন্তু মহাকালের সোনার তরীতে নিজের পাকা ফসল বোঝাই করার জন্য যে কবির জন্ম , তিনি কি বলেন । ' ' . . . সোনার তরী লেখা আর এক পরিপ্রেক্ষিতে । বাংলা দেশের নদীতে নদীতে গ্রামে গ্রামে তখন ঘুরে বেড়াচ্ছি , এর নূতনত্ব চলন্ত বৈচিত্র্যের নূতনত্ব । . . . বাংলাদেশকে তো বলতে পারিনে বেগানা দেশ , তার ভাষা চিনি , তার সুর চিনি । . . . সেই নিরন্তর জানাশোনার অভ্যর্থনা পাচ্ছিলুম অন্তঃকরণে , যে উদ্বোধন এনেছিল তা স্পষ্ট বোঝা যাবে ছোটো গল্পের নিরন্তর ধারায় । সে ধারা আজও থামত না যদি সেই উৎসের তীরে থেকে যেতুম । যদি না টেনে আনত বীরভূমের শুষ্কপ্রান্তরের কৃচ্ছ্রসাধনের ক্ষেত্রে । ' '
আশিফ ভাই , মানিবুকারস বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক সাপোর্ট করে । এবং এমন কোন বাংলাদেশী ব্যাংক কি সাপোর্ট করে যার পেছনে তেমন বেশি কোন চার্য খরচ হয় না ?
' ' পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না , কিন্তু তা জগৎ সৃষ্টির আগেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে । নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ । এটা এ জন্য বলা হয় , যাতে তোমরা যা হারাও তাতে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন , তার জন্য উলস্নসিত না হও । আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না । ' ' ( আল হাদীস - ২২ - ২৩ )
গরুড়ের জন্ম ও সূর্যের রথে অরুণের সারথ্যকার্য্যে নিয়োজন : যখন বিনতা কদ্রুর দাসীরূপে অবস্থান করছেন তখন মহাবীর গরুড়ের জন্ম হয় ।
কুরিয়ার সার্ভিস একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান । আমাদের দেশে এখন ন্যাশনাল বা আভ্যন্তরীণ কুরিয়ার সার্ভিস এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বা আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের সেবা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সেবা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন । লিখেছেন খালেদ আহমেদ আপনি ইচ্ছে করলেই আমাদের দেশ থেকে নানা ধরনের কাগজপত্র , ব্যবহারিক পণ্য , উপহারসামগ্রী আপনার প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে পারেন বিশ্বের যে কোনো [ . . . ]
জয়পুরহাট , ১৩ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : জয়পুরহাটে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপন কুমার মোদককে প্রত্যাহারের দাবিতে তার আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করেছে আইনজীবীরা । আজ বুধবার সকাল থেকেই এ আদালত বর্জন করা হয় । আইনজীবীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মতিয়র রহমান জানান , দীর্ঘদিন থেকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিপন কুমার মোদক আইনজীবীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছিলেন । এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুলাই এডভোকেট সুশান্ত কুমার তার আদালতে যান । এ সময় সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি বেজে উঠে । এ ঘটনায় ওই আদালতের বিচারক শিপন কুমার মোদক পুলিশ দিয়ে তার মোবাইলটি জব্দ করাসহ তাকে ভৎসনা করেন । এ অবস্থায় আজ আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই বিচারককে প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / প্রতিনিধি / এসএস / এএইচ / ১৪ . ৪২ঘ . )
তুহিন তাওহিদ বলেছেন : আমি আর আপনার সাথে কখনোই কথা বলবো না , যদি আপনি আমাকে আপনার ছোট ভাইয়ের মত তুমি করে না বলেন । আর এমন একটু কষ্ট করতে আমার মন্দ লাগেনা
পোস্ট করা হয়েছে : সোম আগস্ট ০৪ , ২০০৮ ১০ : ৩৯ অপরাহ্ন
* গত দু ' শো বছরে গবাদিপশুর অবস্থার যতোটা উন্নতি ঘটেছে নারীর অবস্থার ততোটা উন্নতি ঘটে নি ।
উপকরনঃ লবন = পরিমান মত মুরগির মাংস = ৪ টুকরা চিনি = ১ / ২ চা চামুচ গুড়া মরিচ = ১ / ২ চা চামচ আদা , রসুন বাটা = ১ চা চামচ টক দই = ১ টেবিল চামচ টেঁসটি সল্ট = সামান্য তৈল = পরমান মত তৈল ছাড়া সব উপকরন এক সাথে মাংসের সাথে মাখাতে হবে , মসল্লা মিশ্রিত মাংস ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে , চুলায়ে তেল গরম হলে মাংসের টুকরা গুলো তেলে আলত করে ছেড়ে দিতে হবে ( অবশ্যই ডুবো তেলে মাংস ভাজতে হবে ) , প্রথম ৫ মিনিট চুলার আগুন কমিয়ে মাংসগুলো ভাজতে হবে , তারপর চুলার আগুন বাড়িয়ে মাংসের হাল্কা বাদামি রং না আসা পর্যন্ত ভাজতে হবে ( এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মাংস যাতে পুড়ে না যায়ে ) . . . । । চটপট তৈরি হয়ে গেল চিকেন ফ্রাই . . . খেয়ে জানাবেন কেমন হলও . . . ।
কিংবদন্তীর ডুয়েট Simon & Garfunkel - এর ক্লাসিক গান Sound Of Silence কারুর শোনা না থাকলে শুনে নিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে আসাটা ফরজে আইন হিসেবে বিবেচিত হবে । আপনাদের ছওয়াব কামানোর পথ সুগম করতে ধর্মপচারক গানটি এমবেড করে দিয়েছে । আর এই গানের আদলে যে - গানটি বানানো হয়েছে , সেটা শোনানোই আসল উদ্দেশ্য ।
আপনাকে ধন্যবাদ । বিষয়টা আসলে খুব কষ্টের । এবং খুব তাড়াতাড়ি এ থেকে উত্তোরণ প্রয়োজন ।
' রাওডি রাঠোর ' একটি সম্পূর্ণ অ্যাকশন ধর্মী ছবি । মার্শাল আর্ট , কমব্যাট ক্যারাটে আর্ট এ ভরপুর ছবিটি বলিউডের ছবি জগতে এক সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন অক্ষয় । ছবিটি নিয়ে খিলাড়ি নায়ক অক্ষয় প্রচুর পরিমাণে আশাবাদী । তার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এই ধরণের মুভিতে অভিনয় করার ।
রাজনীতিতে শেষ কথা না খাকতেই পারে কিন্তু রাজাকার বিষয়ে শেষ কথা - তুই রাজাকার
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ , কর্তৃপক্ষ মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশী ছাত্রী ভর্তি করানোর জন্য বাঙালি ছাত্রীদের বহিষ্কার করা হয়েছে ।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কান্নাড়া ভাষার একটি পত্রিকায় ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা নিবন্ধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দাঙ্গায় দু ' জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন । রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার পর রাজ্যের শিমোগা জেলার চারটি স্থানে সকাল - সন্ধ্যা কারফিউ জারি করা হয়েছে । নিহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে । আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর । খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার । এ ঘটনায় চারজন আহত হয় । পুলিশ বলেছে , পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় গুলি চালানো হয় । এতে একজন নিহত হয় । রোববার কর্ণাটকের বহুল প্রচারিত কান্নাড়া প্রভা নামে দৈনিক পত্রিকায় বোরখা প্রথাকে কটাক্ষ করে তসলিমা নাসরিনের একটি নিবন্ধের কান্নাড়ি অনুবাদ ছাপা হয় । এর প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদ্দিউরাপ্পার নিজ জেলা শিমোগায় গতকাল প্রায় দেড় হাজার মুসলমান বিক্ষোভ মিছিল বের করেন । কিছুক্ষণের মধ্যে কে বা কারা মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয় । এ সময় ২০টি গাড়ি ভাংচুর করা হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন । রাজ্যের হাসসান জেলার পরিস্থিতিও থমথমে । সেখানে প্রায় ১৫ হাজার লোক তসলিমাবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে । মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় । পরিস্থিতি শান্ত করতে শিমোগার চার জায়গায় সকাল - সন্ধ্যা সান্ধ্য আইন জারি করা হয় । বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও দোকানপাটে অগি্নসংযোগ করা হয় । এ অবস্থায় রাজ্য বিধানসভায় এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দিউরাপ্পা বলেন , শিমোগা ও হাসসানের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ।
করুণা অধীর উচ্ছ্বাসে কাঁদিতে লাগিল । এমন সময়ে নিধি আসিয়া উপস্থিত হইল । নিধি পণ্ডিতমহাশয়ের খরচে কাশী দর্শন করিতে আসিয়াছেন । পণ্ডিতমহাশয় তজ্জন্য নিধির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আছেন । তিনি বলেন , নিধির ঋণ তিনি এ জন্মে শোধ করিতে পারিবেন না । করুণাকে দেখিয়া একেবারে চমকিয়া উঠিল ; কহিল , ' ভট্রাচার্যমশায় , একটা কথা আছে । '
কোন সন্দেহ নেই , এ দুইটি বিশেষ কাজই আপনি সমাধা করেছেন । আপনার এহেন উক্তিতে আমি অন্ততঃ নিশ্চিত আপনার তথ্যগুলোতে জ্ঞানের কোন ঘাটতি নেই । কিন্তু আপনার এই ' জ্ঞানের অনুসন্ধান আর জ্ঞানের গলঃধকরন ' প্রক্রিয়াটার ঈঙ্গিতটা কেবলই ইসলাম ধর্মকে ঘিরে । তার মানে যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারা যেহেতু ইসলাম বিষয়ক জ্ঞানে জ্ঞানী নন , সুতরাং তারা অ . . . . . . জ্ঞানী ।
উল্লেখ্য , ১৯৯০ সালে তিনজোটের রূপরেখায় এ ধরনের অন্তত তিনটি অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত ছিল । তিনজোটের রূপরেখায় সুস্পষ্টভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা ছিল যে , অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এবং ' কোনো অজুহাতেই নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা ' হবে না । একইসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে অর্থবহ জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছিল । এছাড়াও ' স্বৈরাচারের চিহ্নিত সহযোগীদের কোনো দলে স্থান না দেওয়ার অঙ্গীকার ' ঘোষণা করা হয়েছিল । আমাদের সম্মানিত রাজনীতিবিদরা এসব অঙ্গীকারই ভঙ্গ করেছেন , যার মাসুল পরবর্তী সময়ে শুধু তাদের নিজেদেরই নয় , পুরো জাতিকে গুনতে হয়েছে ।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে ; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল ; পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল ; সব পাখি ঘরে আসে , সব নদী , ফুরায় এ - জীবনের সব লেনদেন ; থাকে শুধু অন্ধকার , মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন ।
" বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস - ২০১১ " এবং প্রচলিত মিডিয়ার বিপরীতে " ব্লগ - ফেসবুক জেনারেশন " : হেলাল এম রহমান
অয়োময় বলেছেন : মৃতের সংখ্যা নাকি ১০ হাজার হতে পারে ?
ধন্যবাদ , ইন্দিরাদি ! তিনটে ভিডিও ও দিলাম … কেমন লাগল জানাবেন … আর সময় করে ঘুরে আসুন , খুব খুব ভাল লাগবে
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন : শংকায় আছি , বাংলাদেশ আধো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবে কিনা !
কিন্তু , দিনরাত্রে বিন্দুর কান্না আর থামতে চায় না । সে তার কী কষ্ট , সে আমি জানি । বিন্দুর জন্যে আমি সংসারে অনেক লড়াই করেছি কিন্তু , ওর বিবাহ বন্ধ হোক এ কথা বলবার সাহস আমার হল না । কিসের জোরেই বা বলব । আমি যদি মারা যাই তো ওর কী দশা হবে । একে তো মেয়ে , তাতে কালো মেয়ে - - কার ঘরে চলল , ওর কী দশা হবে , সে কথা না ভাবাই ভালো । ভাবতে গেলে প্রাণ কেঁপে ওঠে ।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান র্যাবকে প্রশিক্ষণ দেয়ায় যুক্তরাজ্যের কড়া সমালোচনা করেন । তিনি বলেন , যুক্তরাজ্যের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ এ ধরনের মানবাধিকারবিরোধী সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে না । প্রশিক্ষণ দেয়ার আগে তাদের অবশ্যই খোঁজ নেয়া উচিত ছিল এই বাহিনী মানবাধিকার রক্ষায় কতটা কাজ করছে । তিনি বলেন , স্বাধীনতার পরপরই তত্কালীন সরকার জাতীয় রক্ষীবাহিনী গঠনের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যা , গুম , নির্যাতন শুরু করে । এর ধারাবাহিকতায় র্যাব গঠিত হয়েছে । এদের লাগাম অবশ্যই টেনে ধরতে হবে ।
ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শেষ করতে বড়জোর ৫ - ৬ মাস সময় লাগবে । মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু থেকে ৫ - ৬ মাসের মধ্যে দেশের সব ভোটারের ছবি , তথ্য সংগ্রহসহ মাস্টার কপির মুদ্রণ কাজও সম্পন্ন হবে । বুধবার নির্বাচন কমিশনে ছবিসহ . .
* * * * * * * * * পোস্টটি লেখা হয়েছিল ০৮ ই জানুয়ারি , ২০০৯ তারিখ এবং প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সামহোয়্যার ইন ব্লগে
' নতুন প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ ' স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ( বিসিএস ) খুলনা শাখার উদ্যোগে গতকাল শনিবার থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো - ২০১১ । নগরের টাইগার গার্ডেন হোটেল চত্বরে দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার । এ সময় তিনি বলেন , ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির আলো পৌঁছানো প্রয়োজন ।
রাত একটার দিকে শাহ আজিজুর রহমানের বাসা থেকে টেলিফোন পেলাম । শাহ সাহেব নিজেই কথা বলছিলেন । আমাকে বললেন ইব্রাহিম , সবুর ভাইয়ের অবস্থা খারাপ । ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছেন । এখন তাঁকে দেখতে যেতে হবে । আমি বললাম , এত রাতে যাই কি করে ? আমার তো কোন গাড়ী নেই । তাছাড়া রাস্তাঘাট বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে । শাহ সাহেব বললেন , আমি গাড়ী নিয়ে আসছি তুমি রেডি থেকো । শাহ সাহেবের সাথে যখন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পৌঁছি তখন সবুর সাহেব বেডে শুয়ে আছেন । আসার সময় দেখি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাক আর্মি দাঁড়িয়ে আছে । সেই রাতে হাসপাতালের ডাক্তাররা আন্তরিকভাবে সুবর সাহেবকে বাঁচাবার চেষ্টা করছিলেন । বারবার এসে খোঁজ নিচ্ছিলেন কখন তাঁর জ্ঞান ফেরে । সারারাত শাহ সাহেব , সাঈদুর রহমান আর আমি সবুর সাহেবের খাটের পাশে বিনিদ্র বসেছিলাম । চারদিকে তখন শেলিং এর আওয়াজ । ইন্ডিয়ান আর্মি ঢাকার উপকণ্ঠে প্রায় পৌঁছে গেছে । হাসপাতালের মেঝেতে দেখলাম বহুসংখ্যক লাশ পড়ে আছে । সব শেলিং এর শিকার । এদের মধ্যে গেন্ডারিয়ার মুসলিম লীগ নেতা আহসানুল্লাহ সর্দার আর তাঁর ছেলের লাশ চিনতে পারলাম । ফজরের সময় মেডিকেল কলেজের পাশেই ইন্ডিয়ান প্লেনগুলো বোমা বর্ষণ করল । বোধহয় সবুর সাহেবের কথা তারা জেনে ফেলেছিল । কখন কোথায় কি ঘটত আওয়ামী লীগারদের কল্যাণে ইন্ডিয়ান আর্মি সব জেনে যেত । ইন্ডিয়ান প্লেনগুলো আরও বোমাবর্ষণ করল গভর্ণর হাউসে । আমাদের তখন জীবন মৃত্যুর সীমানা খুব নিকটতর হয়ে এসেছে । সামনের দিনগুলো যে অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্টই টের পাচ্ছিলাম । ভোরের আলো ফুটতেই খাজা খয়রুদ্দীন আর পিডিপি ' র শফিকুর রহমান ও আবু সালেক এলেন সবুর সাহেবকে দেখতে । এর মধ্যে সবুর সাহেবের অবশ্য জ্ঞান ফিরেছে । একটু একটু কথা বলছিলেন তিনি । বোমা বর্ষণের পর আমাদের কাছে মনে হল সবুর সাহেবকে আর হাসপাতালে রাখা নিরাপদ নয় । ব্যাপার হল তাঁর মত মানুষকে যেখানেই রাখা হোক না কেন প্রতিপক্ষ অবশ্যই সেটা জেনে যেতে পারে । পরে আমরা সবাই মিলে অনেক চিন্তা - ভাবনা করে মোহাম্মদপুরে মর্নিং নিউজ পত্রিকার সম্পাদক আজিজুর রহমানের বাসায় তাঁকে রাখার সিদ্ধান্ত নেই । হাসপাতাল থেকে সবুর সাহেবকে ডিসচার্জ করে তাঁকে আজিজুর রহমানের বাসায় রেখে তারপর প্রথমে সবুর সাহেবের ধানমন্ডির বাসায় যাই । তাঁর বাড়ীর কাজের লোকদের ভালভাবে বলে আসি দরজা জানালা সব বন্ধ রাখতে । আর কেউ যদি সবুর সাহেবকে খোঁজ করতে আসে তাহলে পরিষ্কার ' জানিনা ' বলে দিতে । সবুর সাহেবের বাসা থেকে আমি শাহ আজিজের বাসায় গেলাম । তাঁকে খুবই উদ্বিগ্ন মনে হল । তাঁকে বললাম , আমাদের তো দিন ফুরিয়ে আসছে । শাহ সাহেব আল্লাহর উপর ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেয়ার কথা বললেন । শাহ সাহেবের বাসা থেকে ফিরে এবার আমার পাড়ার বন্ধু আবু সালেকের বাসায় ঢুঁ দিলাম । আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সরে যেতে হলে দু ' জনেই একসাথে সরে যাব । ১৪ ডিসেম্বর পুরো ঢাকা শহর থমথম করছিল । কে যে কোন পক্ষে , কার গতিবিধি কি রকম বোঝা মুশকিল হয়ে পড়েছিল । পাক আর্মি তখন প্রকৃতপক্ষে দিশেহারা হয়ে পড়েছে । পরে শুনেছি তারা তখন ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে সারেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে । ১৪ তারিখ রাত পার হল উদ্বেগ ও আশঙ্কার মধ্যে । ১৫ তারিখ সকালে আজিমপুর সরকারী কলোনীতে আমার এক ভগ্নিপতি ওহাব সাহেবের বাসায় গেলাম । বোনের খোঁজ নেয়ার জন্যই আমি সেখানে গিয়েছিলাম । ওহাব তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ - সচিব । তাঁর বাসায় পরিচয় হল একই মন্ত্রণালয়ের অরবিন্দু বাবু নামে আর এক উপ - সচিবের সাথে । অবস্থার কারণে তিনি এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন । আমি মুসলিম লীগ করি শুনে তিনি যেন সাপ দেখার মত আঁতকে উঠলেন । অনেকটা ফোঁস করে বলে উঠলেন : এখনও মুসলিম লীগ ! আমি বললাম , অরবিন্দু বাবু কেন এসব কথা বলছেন ? পাল্টা তিনি বললেন , বলব না কেন ? মুসলিম লীগই তো এদেশটাকে শেষ করেছে । বুঝতে পারছিলাম অরবিন্দু বাবু হাওয়ার গতি দেখে কথা বলা শুরু করেছেন । আমি তাঁকে বললাম দেখেন কারা শেষ করেছে বা করেনি সেটা এখন বিচার করার সময় নয় । আমি আজও বিশ্বাস করি মুসলিম লীগ একটা আদর্শ । এই আদর্শের জন্য আমি চিরদিন কাজ করেছি । এতে আমার সামান্যতম লজ্জা নেই । মুসলিম লীগ এ দেশের মানুষের জন্য কি করেছে তা ইতিহাস বিচার করবে । এদেশে যদি মুসলিম থাকে মুসলিম লীগও থাকবে । জানিনা অরবিন্দু বাবু আমার কথায় খুশী হতে পেরেছিলেন কি না । তবে তখনকার পরিস্থিতিতে যে তিনি আমার কথায় মনে মনে কৌতুকের হাসি হেসেছিলেন তা এখন স্পষ্ট বুঝতে পারি । বাসায় ফিরে এসে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু - বান্ধবের কাছে টেলিফোন করলাম । হেকিম ইরতেজাউর রহমান বললেন ইব্রাহিম , আমার তো পালাবার কোন জায়গা নেই । তাছাড়া বৌ ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় যাব ! আমি তো কোন অন্যায় করিনি । পাকিস্তান আমার আদর্শ , তার জন্য আমি কাজ করেছি । এটা কোন অপরাধ নয় । হেকিম সাহেব পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছিলেন । তারা তাঁকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল । তিনি ছিলেন বাংলাদেশে দ্বিতীয় পাকিস্তানপন্থী কারাবন্দী । প্রথমজন ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হকের ছেলে ফয়জুল হক । ফিরোজ আহমদ ডগলাসের কাছে টেলিফোন করার পর তিনি আমাকে বললেন , ইব্রাহিম ভাই আমার জন্য চিন্তা করবেন না । আমি আমার এক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুর সাথে ব্যবস্থা করে ফেলেছি । আমি ইন্ডিয়া চলে যাচ্ছি । ডগলাসের সাথে আমাদের মুসলিম লীগের এক কর্মী আবদুল বারীও ছিল । ইসলামপুরে আমাদের এক কর্মী মোবারকের বাসায় টেলিফোন করলাম । তিনি একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতেন । কিন্তু কর্মী হিসেবে তাঁর তুলনা ছিল না । তিনি আমার কাছে তাঁর অসহায়ত্বের কথা জানালেন । বললেন , ইব্রাহিম ভাই কোথায় আর যেতে পারি । পাকিস্তানের জন্য যদি মৃত্যু হয় তবে আল্লাহ যেন তা কবুল করেন । কয়েকদিন পর আমি তাঁর দুঃখজনক মৃত্যুর কথা শুনে মনে প্রচন্ড আঘাত পাই । পাক আর্মির আত্মসমর্পনের পরপরই এলাকার গেরিলারা তাঁকে খুঁজতে শুরু করে । বাঁচবার জন্য তিনি তাঁর বাড়ীর এক রুমের ফ্লোর খুঁড়ে গর্ত করেছিলেন । তিনি সেই গর্তের মধ্যে লুকিয়েছিলেন । কিন্তু মৃত্যু বোধ হয় তাঁকে তাড়া করে ফিরছিল । খোঁড়া হওয়ায় চলাফেরার জন্য তাঁকে একটি লাঠি ব্যবহার করতে হত । সেই লাঠিটা দেখেই গেরিলাদের সন্দেহ জাগে নিশ্চয় মোবারক বাসার ভিতর কোথাও লুকিয়ে আছেন । পরে খুঁজতে খুঁজতে তারা তাঁকে পেয়ে যায় । রিভলবারের গুলিতে তাঁর শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল । লাশ তারা সদরঘাটে কয়েকদিন ফেলে রেখেছিল প্রদর্শনীর জন্য । আমার তখন মনে হয়েছিল এই সদরঘাটে বাহাদুর শাহ পার্কে ১৯৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজরাও মুসলমানদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল । ১৬ ডিসেম্বর সকালে শুনতে পেলাম পাক আর্মি আত্মসমর্পন করবে । দুঃখ ও বিষাদের মধ্যে আমি নির্মমভাবে উপলব্ধি করলাম ত্রিশ বছর ধরে যে আদর্শের জন্য কাজ করেছি , যে পাকিস্তানের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি , মৃত্যুর সাথে জানবাজী রেখেছি , কোন ত্যাগ স্বীকারে পিছপা হইনি , আজ আমাকেই দেখতে হচ্ছে পাকিস্তানের করুণ পরিণতি । সে সকালে আরও ভেবেছিলাম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হয়ত অনেক ত্রুটি - বিচ্যুতি ছিল । হয়ত আমাদের অনেকের স্বপ্ন পাকিস্তানের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হতে পারেনি কিন্তু তাই বলে পাকিস্তানের প্রতি ভালবাসায় আমাদের কোন খাদ ছিল না । পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়া সেদিন আমার মত অনেকের কাছেই ছিল দুঃস্বপ্নের দীর্ঘ রজনীর মত । সে দিন সকালে সবুর সাহেব টেলিফোন করে আমাকে বললেন , সর্বনাশ হয়ে গেছে ইব্রাহিম । তোমরা সব বেরিয়ে পড় । ইন্ডিয়ান আর্মি আর তার সহযোগী গেরিলারা এবার মুসলমানদের কচুকাটা করবে । আমি মালেক সাহেবের কাছে টেলিফোন করে বললাম এখনতো বাসায় থাকাটা নিরাপদ নয় । আপনি আমার বাসায় চলে আসুন । আমার বাড়ীর কাছে মুসলিম লীগের এক প্রাক্তন এমএনএ মাহতাবউদ্দিন থাকতেন । তাঁর কাছে টেলিফোন করলাম । মাহতাব বললেন , ইব্রাহিম ভাই আমি রায়ের বাজারের কাছে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি । ইনশাআল্লাহ কোন অসুবিধা হবে না । ১৬ তারিখ সকালেই আমার পরিচিত আর্মির এক ক্যাপ্টেন নাজির হোসেন এল আমার বাসায় । সে ডিআইটির টেলিভিশন কেন্দ্র পাহারা দিত । সে বলল , আর্মি সারেন্ডার করতে যাচ্ছে । আপনিও আমাদের সাথে চলুন । নয়ত আপনার অনেক বিপদ হবে । আমি বললাম , ধন্যবাদ । আমার জন্য ভেবো না । আমি আমার সব ব্যবস্থা করব । যাওয়ার সময় সে তার কাপড় চোপড়ের স্যুটকেসটা বাসায় রেখে গেলো । বলল পরে নিয়ে যাব । আর্মির সারেন্ডারের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল । আমার বাসার পাশে ছিল বিপুল সংখ্যক বিহারীর বাস । সারেন্ডারের কথা শুনে তাদের বাসা থেকে যে গগণবিদারী কান্নার রোল উঠল তা কখনই ভুলবার নয় । গেরিলারা যে তাদের সর্বস্ব শেষ করে দেবে তা তারা তখনই বুঝতে পেরেছিল । সকাল ৯টার দিকে সালেক এলেন । আমরা দু ' জন আমারই পরিচিত এক বন্ধু ও আত্মীয় দক্ষিণ মৈষুন্ডীর এস . এ . চৌধুরীর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । এতদিন ঢাকা শহরে আছি । কোনদিন এভাবে জীবন বাঁচানোর জন্য নিরূপায় অসহায়ত্বের মধ্যে অন্যের আশ্রয় ভিক্ষা করতে হবে সে কথা ক্ষণিকের জন্যও চিন্তা করিনি । কোনদিন ভাবতেও পারিনি নিজের দেশের মাটিতে এমনি করে পরবাসী হয়ে উঠব । এস . এ . চৌধুরীর বাসায় গেলাম অনাহুতের মত । যতখানি আশা করেছিলাম চৌধুরী ঠিক ততখানি আন্তরিকভাবে আমাদের গ্রহণ করলেন না । পরিস্থিতিই এজন্য দায়ী । চৌধুরীর ব্যবসা - বাণিজ্যে আমি এতদিন তাঁকে সহযোগিতা করেছি । চৌধুরীর চেয়ে তাঁর স্ত্রীকে দেখলাম এক হাত বাড়া । মহিলা হয়ত আমাদেরকে ভীত - সন্ত্রস্ত করার জন্য আজগুবি সব কথা বলতে লাগলেন । তাদের বাসায় আমরা বিকাল পর্যন্ত ছিলাম । মনে মনে শঙ্কিত হয়ে উঠেছিলাম এখানে থাকা নিরাপদ নয় ভেবে । হয়ত এরাই শেষে আমাদের প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিবে । আমরা তখন পুরানো পল্টনের এস . এম . ইউসুফের সাথে যোগাযোগ করলাম । তখন তিনি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব । তাঁর দু ' ছেলে গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল । একবার আর্মি তাদের ধরে ফেললে আমি আর সালেক ছেলে দু ' টোকে উদ্ধার করেছিলাম । সালেক বললেন হয়ত কৃতজ্ঞতার খাতিরে তিনি আমাদের আশ্রয় দিবেন । ইউসুফ দেখলাম আমাদের ভোলেননি । তিনি একটা জীপ পাঠিয়ে দিলেন । জীপটা চালিয়ে নিয়ে এসেছিল কয়েকজন গেরিলা । বিপদে পড়লে মানুষের যে কত রকমের চেহারা দেখা যায় তখন তা বুঝতে পারলাম । ইউসুফের পাঠান জীপে করে যখন গভর্ণর হাউসের পাশ দিয়ে যাচ্ছি তখন দেখলাম ইন্ডিয়ান আর্মির কনভয় ডেমরার দিক দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে ক্যান্টনমেন্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । আর আমাদের জীপের গেরিলারা ' জয় বাংলা ' বলে এক একবার চিৎকার করছে । কয়েকবার গাড়ী থামিয়ে গেরিলারা ইন্ডিয়ান আর্মিকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে গেল । তারা কয়েকবার ইন্ডিয়ান সৈন্যদের বুকে জড়িয়ে ধরল । আমরা স্থবির হয়ে বসে রইলাম । মনে হল স্বপ্ন দেখছিনাতো ! আমরা কি এখনও বেঁচে আছি ? ইউসুফের বাসায় গিয়ে পৌঁছেছিলাম সন্ধ্যার দিকে । তিনি আমাদেরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন । বললেন , একি সর্বনাশ হয়ে গেল । আমার ছেলেরা আজকে যে মোহে ডুবে আছে , কিছুদিনের মধ্যেই সে মোহ ভঙ্গ হবে ইব্রাহিম ভাই । ওরা জানেনা ওরা মুসলমানদের কত বড় ক্ষতি করল । কথায় কথায় তিনি বললেন তাঁর ছেলে দুটো এখনও ঢাকায় পৌঁছেনি । সাভার হয়ে যে ইন্ডিয়ান আর্মির কনভয় আসছে তাদের সাথেই ওরা আসবে । রাত ১১টার দিকে হঠাৎ হৈ চৈ আর কান্নার রোল শুনতে পেলাম । ইউসুফের বাসার সামনে ছিল একটা খোলা জায়গা । দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম সেই খোলা জায়গায় কিছু সংখ্যক অবাঙ্গালীকে দাঁড় করানো হয়েছে গুলি করে মারার জন্য । কয়েকজন গেরিলা স্টেনগান তাক করে আছে তাদের বুক ও মাথা বরাবর । অবাঙ্গালীদের পোষাক - আশাক দেখে মনে হল তারা খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকজন হবে । তাদের বৌ ছেলে - মেয়েরা তখন গেরিলাদের কাছে মিনতি করে চলেছে সব কিছুর বিনিময়ে প্রাণ ভিক্ষা দেওয়ার । নিজের চোখে দেখলাম এই সব মেয়ে নিজেদের অলঙ্কার ছুঁড়ে দিচ্ছে গেরিলাদের দিকে । কিন্তু গেরিলাদের অন্তরে সামান্যতম করুণার উদ্রেক হয়নি । এক এক করে তারা সেই রাতে সবগুলো পুরুষকে গুলি করে মেরে ফেলল । নিহতদের বৌ ছেলে মেয়ের ভাগ্যে পরে কি ঘটেছিল তা আর কখনও জানতে পারিনি । এদের অপরাধ ছিল এরা অবাঙ্গালী । এই হত্যাকান্ডের নির্মম দৃশ্য দেখে আমি হতচকিত হয়ে পড়েছিলাম । সালেক বললেন , এখানে আমাদের অবস্থান বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যে কোন সময় । আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ধানমন্ডিতে সালেকের ভায়রা শামসুল আলমের বাসায় চলে যাব । ইউসুফকে বললাম ভাই এখানে তো আমরা আর কোনভাবেই নিরাপদ বোধ করছি না । তাছাড়া আপনার গেরিলারা কখন এসে পড়বে তাও বুঝতে পারছি না । তারা কিভাবে আসবে , কিভাবে আমাদের গ্রহণ করবে একেবারেই বলা মুশকিল । ইউসুফ আমাদের কথার গুরুত্ব বুঝতে পারলেন । তিনি নিজে সেই রাতে তার শ্যালক মাহফুজুর ইসলামকে ডেকে নিয়ে আসলেন । মাহফুজ রেডিও পাকিস্তানের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী ছিলেন । ইউসুফ তাঁকে বললেন , ভোর চারটার দিকে আমাদের দু ' জনকে ধানমন্ডিতে পৌঁছে দিতে হবে । মানুষ যেমন মানুষের শত্রু হয় কখনও কখনও তেমনি মানুষই মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসে - সেই রাতে মাহফুজ সাহেবের ব্যবহারে অন্তত তাই মনে হল । তিনি আমাদেরকে তখনি তাঁর নিজের বাসায় নিয়ে গেলেন । ইউসুফের বাসার কাছেই ছিল তাঁর বাসা । দীর্ঘক্ষণ তিনি আমাদের সময় দিলেন । ভোর সাড়ে তিনটার সময় নিজের গাড়ীতে করে আমাদের নিয়ে চললেন ধানমন্ডির দিকে । পুরানো পল্টন থেকে তিনি সোজাসুজি ধানমন্ডি না গিয়ে ইউনিভার্সিটির ভিতর দিয়ে রওনা হলেন । শীতের রাত । হঠাৎ হঠাৎ গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল । বুঝলাম কোথাও কোন অঘটন ঘটছে । তবে আমাদের জন্য আরও বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছিল । রাত চারটার দিকে শামসুল আলমের বাসায় গিয়ে যখন উঠলাম তখন দেখি তিনি আমাদের দেখে ভূত দেখার মত কেঁপে উঠলেন । আমাদের দেখেই তিনি সোজাসুজি বলে ফেললেন আপনারা এখানে কেন ? সালেক তাঁর আপন ভায়রা । আত্মীয়ের সাথে মানুষ কত প্রীতিহীন আচরণ করতে পারে সেটা আবার নতুন করে দেখলাম । শামসুল আলম বললেন , আপনারা আমাকে খুব বড় বিপদে ফেললেন । আপাতত থাকেন কিন্তু বেশীক্ষণ আমি আপনাদের আশ্রয় দিতে পারব না । তারপর তিনি তাঁর বাড়ীর পিছনের একটা ছোট্ট ঘরে অত্যন্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের থাকার ব্যবস্থা করলেন । ভোরে উঠে বুঝলাম এ বাড়ীটা মূলতঃ আওয়ামী লীগের আস্তানা । আমরা ঘরের মধ্যে চুপচাপ বসে ছিলাম । হঠাৎ দেখি ' জয়বাংলা ' ধ্বনি দিতে দিতে দুই গাড়ী ভর্তি কতকগুলো তরুণ তরুণী এসে বাড়ীটার সামনে থামল । তাঁরা বলাবলি করছে রেসকোর্সে গিয়েছিলাম । অমুক কর্ণেলকে মালা পরিয়েছি । অমুক ক্যাপ্টেনকে মিষ্টি খাইয়েছি । আমরা ভাবছিলাম এ কোথায় এসে পড়লাম । এর মধ্যে শামসুল আলম আমাদের ঘরে ঢুকলেন । আমার কাছে ছিল একটা ছোট্ট রেডিও । আমি তখন পাকিস্তানের খবর শুনছিলাম । রেডিওর আওয়াজ পেয়েই বোধ হয় তিনি ঢুকেছিলেন । আমাকে অনেকটা ধমকানোর সুরে বললেন , এখনও পাকিস্তান ! এসব বন্ধ করুন । এখানে আপনাদের থাকা মোটেই নিরাপদ নয় । উপায়ান্তর না দেখে টেলিফোন করলাম আমার এক আত্মীয় ইঞ্জিনীয়ার এস আর খানের বাসায় । বললাম নিজেদের অসহায়ত্বের কথা । তিনি আধা ঘন্টার মধ্যে আসছেন বলে টেলিফোন রেখে দিলেন । সত্যি সত্যি কিছুক্ষণের মধ্যে এস আর খানের স্ত্রী - যিনি সম্পর্কে আমার বোন - গাড়ী নিয়ে হাজির হলেন । তাঁর বাসা ছিল জিগাতলা মোড়ের কাছাকাছি । আমি আর সালেক আমাদের নতুন আশ্রয়ে গিয়ে উঠলাম । এস আর খান নিজে সমাদর করা শুরু করলেন । আমাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সব সময় তার খোঁজ - খবরও নিতে লাগলেন । তাঁর এক কথা আমাদের উপকার করতে পারলে তিনি আনন্দিত হবেন । যেদিন এস আর খানের বাসায় এসে উঠেছিলাম তার পরের দিন বিকেলের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে । হঠাৎ বাইরে হৈ চৈ শুনে বারান্দায় গিয়ে দেখি ইন্ডিয়ান আর্মি কিছু লোককে ধরে বেদম প্রহার করছে । জায়গাটা ঠিক বর্তমানের ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের উল্টো দিকে । আজকের ইন্ডিয়ান হাই - কমিশন বিল্ডিংগুলো ছিল বিখ্যাত তিব্বত কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রির মালিকের । মালিক অবাঙ্গালী ছিলেন । শুধু এ অপরাধে ইন্ডিয়ান আর্মি ও গেরিলারা বাড়ীর মালিককে উৎখাত করে এবং নির্বিচারে লুটতরাজ করে । পরে শেখ মুজিব এ বাড়ীগুলো ইন্ডিয়ান হাইকমিশনকে বরাদ্দ দেন । ইন্ডিয়ানরা যখন লুটতরাজ চালাচ্ছিল তখন ঐ বাড়ীর সামনে দিয়ে কিছু লোক কতকগুলো গরু নিয়ে যাচ্ছিল পিলখানার দিকে । দীর্ঘদিন ধরেই পিলখানায় এই এলাকার গরু জবাই হত ব্যবসায়িক ভিত্তিতে । গরু জবাইয়ের কথা শুনে ইন্ডিয়ান আর্মি দারুণ ক্ষেপে যায় এবং গোশত ব্যবসায়ীদের উপর তখন চড়াও হয় । গরুগুলো ইন্ডিয়ান আর্মি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয় আর ব্যবসায়ীরা প্রাণভয়ে দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করে । বুঝলাম মানুষের চেয়ে এখন গরুর ইজ্জত অনেক বেশী । এস আর খানের বাসায় আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি । রেডিও শুনে , খবরের কাগজ পড়ে আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভাবনায় আমাদের দিনগুলো কাটছিল । এর মধ্যে হঠাৎ দেখি ইন্ডিয়া ফেরৎ খালেদ মোশাররফ এস আর খানের বাসায় হাজির । তিনি ছিলেন এস আর খানের আপন ভাগ্নে । যুদ্ধ থেকে ফিরে মামার বাসায় উঠলেন । একই বাসায় আমরা আর খালেদ মোশাররফ কয়েকদিন কাটিয়েছিলাম । আমরা তাঁর পরিচয় জানলেও তিনি আমাদের সম্পর্কে বিন্দু - বিসর্গও জানতেন না । আমরা দু ' জন তাঁর মামীর দিকের আত্মীয় এটুকু তিনি শুনেছিলেন । দেখলাম খালেদ মোশাররফের মাথার সামনের দিকে একটা গুলির দাগ । শুনলাম যুদ্ধেই গুলিটা এসে লেগেছিল । অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান । ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা করিয়ে আসতে তাই একটু দেরী হয়েছে । তাঁর সাথে আমাদের দেখা হত খাওয়ার টেবিলে । তখন তাঁর সাথে কিছু কিছু আলাপ হত । তাঁর সাথে আলাপে যেটুকু আমার কাছে পরিষ্কার হয়েছিল যে খালেদ মোশাররফ ইন্ডিয়ান আর্মির ব্যাপক লুটতরাজ পছন্দ করতে পারছিলেন না । পাক আর্মির ফেলে যাওয়া কোটি কোটি টাকার সমরাস্ত্র যেভাবে ইন্ডিয়া লুটে নিচ্ছিল তাঁর কথায় মনে হত তিনি এসবের বিরোধী । এদিকে বাসায় অনুপস্থিত থাকায় আমার এলাকার গেরিলারা আমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে । গেরিলারা অবশ্য কোন কুমতলবে আমাকে খোঁজেনি । যুদ্ধের সময় আর্মির হাত থেকে যে সব গেরিলাকে আমি উদ্ধার করেছিলাম তারাই কৃতজ্ঞতা বশতঃ আমাকে বাসায় ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগী হল । এদের মধ্যে আবার আমার শ্যালক সাধনও ছিল । আর ছিল মাসুদ খান । জিলু , রাজা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে কিভাবে ঠিকানা বের করে একদিন বিকেলের দিকে ৫ / ৬ জন গেরিলা অস্ত্রশস্ত্রসহ জীপে করে এস আর খানের বাসায় হাজির । এস আর খানের স্ত্রী এতগুলো সশস্ত্র মানুষকে দেখে ঘাবড়ে গেলেন । বাড়ীর সামনের গেটেই গেরিলাদের সাথে তার তর্ক বেধে গেল । তিনি যতই বলেন ইব্রাহিম সাহেব বলে এখানে কেউ নেই ততই গেরিলারা বলতে লাগল আমরা সব খবর নিয়েই এসেছি । এস আর খানের স্ত্রী তবুও অনড় । এর মধ্যে খালেদ মোশাররফ এসে হাজির । তিনি গেরিলাদের উদ্দেশ্য করে বললেন , তোমরা এখানে কি চাও ? তাঁর কথা শেষ না হতেই আগত তরুণেরা বলল , এখানে আমাদের এক মুরুব্বী আছেন । তিনি আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন । আমরা তাঁকে নিতে এসেছি । এবার খালেদ মোশাররফের পাল্টা প্রশ্ন , কে তোমাদের মুরুব্বী ? তাদের কণ্ঠে নিষ্কম্প উচ্চারণঃ ইব্রাহিম হোসেন । খালেদ মোশাররফ তখন বললেন , ও তিনি তো উপরেই আছেন । তোমরা উপরে এসো । সবকিছু যেন নাটকীয়ভাবে ঘটে যাচ্ছিল । এস আর খানের স্ত্রী ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত । গেরিলারা উপরে উঠে এসে প্রথমেই আমাকে কদমবুসী করল । তারপর প্রায় সবাই এক সাথেই বলল , আপনি কেন এখানে এসেছেন । আপনি না হলে আমাদের অনেকেই জানে বাঁচত না । অনেকের সর্বস্ব শেষ হয়ে যেত । আপনার জন্য আমাদের এখন কিছু করবার সময় এসেছে । গেরিলারা খালেদ মোশাররফের কাছে আমার পরিচয় দিয়ে বলল , ইনি মুসলিম লীগের খুব বড় নেতা । তাঁর জন্যই আমরা বেঁচে আছি । খালেদ মোশাররফ একটু অবাক হয়ে বললেন : মুসলিম লীগের নেতা তোমাদের উপকার করেছে ? একরাশ বিস্ময় ঝরে পড়ল তাঁর চোখ থেকে । আমি তখন খালেদ মোশাররফকে বললাম দেশের মানুষের জন্য আমরা রাজনীতি করেছি । দেশের মানুষকে বাঁচাবোনা তো কাকে বাঁচাবো ? তবে ভারতীয় ষড়যন্ত্রকে আমরা কখনও মেনে নিতে পারিনি । খালেদ মোশাররফ তখন আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন আপনাদের সম্পর্কে আমার ভুল ধারণা ছিল । আজ বুঝলাম আপনারাও দেশপ্রেমিক । দেশপ্রেম কারও একচেটিয়া সম্পত্তি নয় । সেদিন ২৮শে ডিসেম্বর সন্ধ্যাবেলায় গেরিলারা আমাকে বাসায় নিয়ে এল । এতদিন অনেক কিছুর খবর রাখতে পারিনি । আমাদের দলের কে কোথায় আছেন তাও বুঝতে পারছিলাম না । খালি মনে হচ্ছিল আমি যেন অন্ধকারের বাসিন্দা হয়ে গেছি । বাসায় ফিরে আসার পর আশেপাশের কিছু অবাঙ্গালী প্রতিবেশী আমার সাথে দেখা করতে আসে । তাদের চোখে মুখে উদ্বেগের কালো ছায়া । তাদের মুখেই শুনলাম গেরিলারা তাদের উপরে কয়েক দফা চড়াও হয়েছে । তাদের বাড়ীঘর লুটতরাজ করেছে । শুনলাম তাদের অনেক আত্মীয় - স্বজনকে গেরিলারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে । ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের লোকজন ইন্ডিয়া থেকে ফিরে আসতে শুরু করেছে । একদিন শুনলাম মুজিবও পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছেন । বলা প্রয়োজন মুজিব পাকিস্তান থেকে সরাসরি ঢাকায় আসেননি । তিনি প্রথমে যান লন্ডন সেখান থেকে দিল্লী , পরিশেষে ঢাকা । দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার মুজিবকে বিরাট সম্বর্ধনা দেয় । এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল । কেননা ইন্ডিয়া যা কোনদিন চিন্তা করতে পারেনি , মুজিবের কারণে তাদের সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিল । ১৬ই ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের পতনের পর ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় দেয়া এক বক্তৃতায় বলেছিলেন আমরা হাজার বছরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছি । এই হাজার বছর বলতে ইন্দিরা মুসলমানদের হাতে বারবার হিন্দুর পরাজয়ের কথা বুঝিয়েছিলেন । একথা সত্য হাজার বছরে হিন্দুরা কখনও সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি । ইন্দিরার এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠে গেরিলাদের পরিচালিত ' স্বাধীনতার যুদ্ধে ' কেন ইন্ডিয়া নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিল । কারও স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতি যদি ইন্ডিয়ার শ্রদ্ধাই থাকত তাহলে ইন্ডিয়ার ভিতরে স্বাধীনতাকামী অনেক জাতি গোষ্ঠী রয়েছে তাদেরকে তারা মুক্ত করে দিত । দিল্লীর রামলীলা ময়দানে মুজিবের সম্মানে আয়োজিত এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতার সময় প্রথমে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র সম্বন্ধে একটা আভাস দেন । ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শেই মুজিব ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রের মূলনীতি হিসাবে এই জনসভায় সমাজতন্ত্র , ধর্মনিরপেক্ষতা , বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এবং গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন । আওয়ামী লীগের নেতারা যে কয়েকদিন ঢাকায় এসে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেনি সে কয়েকদিন প্রশাসন চলতে থাকে ইন্ডিয়ান আর্মির নির্দেশে । কয়েকজন ইন্ডিয়ান আমলাও এসেছিলেন নতুন দেশের প্রশাসনিক কাঠামো কিভাবে গড়ে উঠবে সে সম্পর্কে গাইড লাইন দিতে । এদের মধ্যে পি . এন . হাসকার ও ডি . পি . ধরের নাম মনে পড়ছে । রেডিও এবং কাগজে এ সময়ে সমানে প্রচার চালানো হচ্ছিল আমরা যারা পাকিস্তানপন্থী তাদেরকে দালাল বলে । যত রকম মিথ্যা ভাষণ ও মিথ্যা প্রচার চলতে পারে তাই চলছিল আমাদেরকে নিয়ে অব্যাহত গতিতে । একদিন শুনলাম উপনির্বাচনে যাঁরা এমএনএ ও এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদেরকে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । তাঁদের জন্য সময়ও বেধে দেয়া হয়েছিল । কেউ আত্মসমর্পন না করলে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল । আমার গ্রামের বাড়ীতে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আমার সম্পত্তির খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে শুনতে পেলাম । এদিকে গেরিলারা যদিও আমাকে নিয়ে এসেছিল কিন্তু তারাতো আমাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা কখনও দিতে পারত না । তাছাড়া কয়েকজন গেরিলা কি করতে পারে ! কে কখন আমার উপর চড়াও হয় সে ব্যাপারে কিছুই বলা সম্ভব ছিল না । এরকম অরাজক পরিস্থিতিতে বাড়ীর সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিলাম । এ সময় ঢাকার এসপি আব্দুস সালাম ছিলেন আমার পূর্ব পরিচিত । তাঁকে আমার স্ত্রী সব কথা খুলে বললে তিনি বললেন , কাল সকাল ১০টায় আপনার বাড়ীতে আসব । তারিখটা ছিল ১৯শে জানুয়ারী ১৯৭২ । এসপি সাহেব ১০টার দিকে আসতে পারেননি । আমিত সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি । সাড়ে বারোটার দিকে তিনি টেলিফোন করে বললেন , জেলের ভিতর একটা গন্ডগোল হয়েছিল , মিটমাট করতে দেরী হয়ে গেছে । আমি এখুনি আসছি । আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমার আত্মীয় - স্বজন অনেকেই এসেছিল । আমার প্রতিবেশীরাও কেউ কেউ এসেছিল । সবচেয়ে অসুবিধা হল আমার বাচ্চাগুলোকে নিয়ে । মাসুম বাচ্চারা যখন তাদের আব্বার জেলে যাওয়ার কথা শুনে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল তখন পরিস্থিতিটা সত্যিই অন্যরকম হয়ে গেল । রাজনীতির জন্য বাচ্চাদের কখনোই সময় দিতে পারিনি , আজ তাদের চোখের পানিতে আমার বুকটাও কেমন যেন সবকিছুর অজান্তে মোচড় দিয়ে উঠল । আমার জেলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে আর যারা সবচেয়ে বেশী ব্যথিত হয়েছিল তারা হল অবাঙ্গালী প্রতিবেশীরা । এতদিন তারা সুদিনে - দুর্দিনে আমাকে নির্ভরযোগ্য বন্ধু মনে করত । আজ আমাদের সবার এ ভাগ্য বিপর্যয়ের দিনে আমার জেলে চলে যাওয়াকে তারা অত্যন্ত মর্মঘাতী হিসেবেই বিবেচনা করছিল । এসপি সাহেব আমাকে নিয়ে জেলে পৌঁছলেন । তখন জেলার ছিলেন নির্মল রায় বলে এক হিন্দু ভদ্রলোক । রায় বাবুকে আমি আগের একটি ঘটনার কারণে কিছুটা চিনতাম । এবার এসপি সাহেব তাঁর কাছে নতুন করে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন তাঁর আত্মীয় এবং সাবেক এমএনএ হিসেবে । রায় বাবু শুনেছি আমাদের মত পাকিস্তানপন্থীদের মনে মনে পছন্দ করতেন না । কিন্তু উপরে উপরে আমার সাথে ভাল ব্যবহারই করলেন । হতে পারে এসপি সাহেবের সুবাদে তিনি এমনটি করেছিলেন । এসপি সাহেব রায়কে বললেন জেলের মধ্যে আমাকে যেন একটা ভাল জায়গা দেয়া হয় । রায় বাবু বললেন , জেলের ধারণক্ষমতা এক হাজার ৯শ জনের অথচ কয়েদী ঢুকানো হয়েছে ১২ হাজার । কোথায় যে কাকে জায়গা দেব কিছুই বুঝতে পারছি না । রায় বাবু তবুও এসপি সাহেবের খাতিরে একটা জায়গায় আমাকে দেয়ার কথা বললেন । আমি কয়েদী হিসেবে জেলের মধ্যে ঢুকলাম । এতদিন শুনে এসেছি রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা ও পরিপক্কতা অর্জনের জন্য জেল একটা উত্তম স্থান । পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদই জেলের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন - সেটুকু ভেবে এই দুর্বিপাকের দিনে সান্তনা পাওয়ার চেষ্টা করলাম । রায় বাবু তাঁর এক সুবেদারকে ডেকে আমাকে একটা ভাল জায়গার ব্যবস্থা করে দিতে বললেন । সুবেদার আমাকে নিয়ে গেল ফাঁসির সেলে । পাকিস্তানপন্থীদের জেলে ঢুকানোর আগে এসব জায়গায় সাধারণত ফাঁসির আসামীদের রাখা হত । একটা ছোট্ট রুম । জানালা নেই । সামনের দিকে একটা বড় লোহার দরজা । শ্বাস - প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় সেখানে । সেই ঘরের ভিতর দেখলাম এক পাশে কম্বল পাতা । ভাবলাম আমার মতই কোন দালালের শোয়ার জায়গা হবে । ঘরের অন্য পাশে আমার বিছানা করার চিন্তা করছি । এমন সময় এক তরুণ এসে আমাকে বলল আমি সবকিছু করে দিচ্ছি । কিচ্ছু ভাববেন না । তারপর সে আমাকে আর কিছু ভাববার সুযোগ না দিয়ে সুন্দর পরিপাটি করে বিছানা তৈরী করে দিল । তরুণটির এ অযাচিত বদান্যতা দেখে অবাক হলাম । তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই সে আমাকে বলল আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা । দেশের জন্য কি না করেছি । অথচ ইন্ডিয়ান আর্মি আমাদের জেলে ঢুকিয়ে দিল । আমি তখন বুঝলাম এরা দেশ স্বাধীনের দোহাই দিয়ে এমন লুটপাট শুরু করেছিল যে , ইন্ডিয়ান আর্মি পর্যন্ত বাধ্য হয়ে শান্তি - শৃঙ্খলার স্বার্থে এদের জেলে ঢুকিয়েছে । আজ আমার জেলে আসতে দেরী হয়েছিল এদের জন্যই । এসপি সাহেব এদের গন্ডগোলের কথাই বলেছিলেন । জেলে ঢুকেও এরা পুলিশের সাথে গন্ডগোল করছিল । দেশ স্বাধীন করেছে তারা । আর তাদেরই জেলে ঢুকানো হয়েছে । এত বড় স্পর্ধা । পুলিশ গন্ডগোল থামানোর জন্য গুলিও চালিয়েছিল । তরুণটির বদান্যতার কারণ কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার হল । সে আমাকে বলল আমি খালি হাতে জেলে এসেছি । আমাকে আপনার একটা লুঙ্গি দিন । তার কাতর মিনতি দেখে আমি তখন নিজের জন্য আনা একটা লুঙ্গি তাকে দেই । ঘরের মধ্যে পাতা বিছানায় কেবল বসেছি এমন সময় দেখি আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ফরিদপুরের ফায়েকুজ্জামান খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আসছেন । এতক্ষণে বুঝলাম ঘরের অন্য বিছানাটা তাঁরই । তিনি আমাকে দেখে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন । বললেন , কি খবর , ইব্রাহিম ? বাইরের অবস্থা কি ? আমাকে তো এক কাপড়ে ধরে এনে জেলে পুরেছে । কিছুই বুঝতে পারছি না । ফায়েকুজ্জামানকে দেখে আমার গলার স্বর ধরে এল । আমি কালই মাত্র শুনেছি তাঁর ছেলে নুরুজ্জামানকে ফরিদপুরের জালালুদ্দীন নামের এক কুখ্যাত ব্যক্তি ধরে নিয়ে মিরপুর ব্রীজের উপর গুলি করে মেরে ফেলেছে । দেখে মনে হল ফায়েকুজ্জামানের কাছে সে খবর এখনও পৌঁছেনি । ফায়েকুজ্জামান ছিলেন আইয়ুব খানের এককালীন বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াহিদুজ্জামানের ছোট ভাই । তিনি নিজেও ফরিদপুর থেকে মুসলিম লীগের এমএনএ হয়েছিলেন । তাঁর চেহারা দেখে খুব খারাপ লাগল । কিন্তু তাঁর ছেলের ব্যাপারে তাঁকে আমি কিছু বলিনি । একদিকে আমার ঘরের সামনে দৃশ্যমান ফাঁসির মঞ্চ অন্যদিকে পুত্রহারা পিতার এই মর্মান্তিক অবস্থার মধ্যে আমি কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না । একেই বলে নিয়তি । ফায়েকুজ্জামান যতদিন জেলে ছিলেন তাঁর পরিবারের কেউ তাঁকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি । পাছে তিনি জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন এই আশঙ্কায় । তাঁর ছেলে নুরুজ্জামানকে আমি চিনতাম । সুদর্শন চেহারার তরুণ । ঢাকা ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র । ছেলেটি এম . এ . পাশ করে অন্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল । ইউনিভার্সিটিতে সে এনএসএফ করত । ১৯৬৯ - এর দিকে যখন ইউনিভার্সিটিতে আইউব বিরোধী ছাত্ররা ১১দফার আন্দোলন গড়ে তুলে তখন সে একবার এনএসএফ - এর ইব্রাহিম খলিলের সাথে সবুর সাহেবের বাসায় আসে । আমার সাথে সে সময় তার পরিচয় হয় । সে সময় সে উপস্থিত কিছু ছাত্রের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাও দিয়েছিল মনে পড়ছে । তার কথা বলার ভঙ্গি , প্রাঞ্জল উচ্চারণ আমাদের দারুণভাবে মুগ্ধ করে । ঐ বক্তৃতায় সে জোরের সাথে বলেছিল আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয় । এ আন্দোলনের আড়ালে পাকিস্তানের শত্রুরা মূলতঃ শক্তি সঞ্চয়ে ব্যস্ত । যাতে সময় মত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মরণ আঘাত হানা যায় । ফায়েকুজ্জামানকে দেখে আমার এতদিনের পুরানো সব কথা মনে পড়ে গেল । নুরুজ্জামানের হত্যাকারী জালালুদ্দীনকে পরে শেখ মুজিব মন্ত্রীত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেন । ফায়েকুজ্জামান জেল থেকে বের হয়ে নুরুজ্জামানের মৃত্যুর কথা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি । পরে তিনি শেখ মুজিবের কাছে ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গিয়েছিলেন । তাঁর বিশ্বাস হয়েছিল মুজিব বোধ হয় নুরুজ্জামানকে ভারতে লুকিয়ে রেখেছে । মুজিব ফায়েকুজ্জামানকে দুলাভাই বলে ডাকত । তিনি তো সবকিছু জানতেন । তবু তিনি ফায়েকুজ্জামানকে বুঝানোর জন্য বলেছিলেন , দুলাভাই আপনি বাসায় যান । আপনার ছেলেকে আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি । জেলের সেই প্রথম রাত আমার কাটল ফায়েকুজ্জামানের সাথে নানা আলাপ , চিন্তা আর উদ্বেগ আশঙ্কার মধ্যে । ভোরে উঠে আমি পরিচিত হলাম জেলের নতুন নতুন অনেক কিছুর সাথে । জেলের খাত বলে একটা কথা প্রচলিত আছে । এর মানে হল প্রতিদিন সকালে নতুন কয়েদী হিসেবে যারা আসে তাদের উচ্চস্বরে ডাকা হয় এবং তাদের নতুন থাকার জায়গা বলে দেয়া হয় । জেলের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সিপাই ও সুবেদাররা এসব কাজ সাধারণত করে থাকে । খাতায় আমার নাম ডাকার পর আমার থাকার জন্য ' পুরানো হাজতকে ' বরাদ্দ করা হল । পুরানো হাজত হল একটা বিরাট হল ঘর । এ হলঘরের মধ্যেই কয়েদীরা থাকত । ' পুরানো হাজত ' নামকরণের কারণ হল জেলের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে পুরানো বিল্ডিং । জেলের সিপাইকে বলা হয় মিয়া সাহেব । এরকম একজন মিয়া সাহেব আমাকে ফাঁসির সেল থেকে পুরানো হাজতে নিয়ে এল । পুরানো হাজতে এসে দেখি এলাহী কারবার । সব পাকিস্তানপন্থীরা এখানে আলো করে বসে আছেন । আমাকে দেখে তাঁদের আনন্দ আর ধরে না । আরও দেখলাম মোনেম খানের কলেজ পড়ুয়া দুটো ছেলেকেও এখানে এনে রাখা হয়েছে । এরা রাজনীতির কি বুঝত আমি জানি না । মোনেম খান তাদের পিতা - বোধ হয় এটাই ছিল তাদের অপরাধ । পুরানো হাজতে বিখ্যাত আলেম মাওলানা মাসুমকেও দেখলাম । তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে কখনও শুনিনি । কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বরের পর ইসলামপন্থী হওয়াটাই ছিল একটা অপরাধ । সে কারণে তাঁকে জেলে ঢুকানো হয়েছিল । মাওলানা মাসুম জেলখানায় আমাদের নামাজে কয়েকদিন ইমামতি করেছিলেন । তিনি জেলে ঢুকেই বলেছিলেন , আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাকে ৯দিনের বেশী আটক করে রাখতে পারবে না । সত্যি তিনি ৯দিনের আগেই জেল থেকে মুক্তি পান । এর ফলে আমাদের বিশ্বাস দৃঢ়মূল হয় তিনি প্রকৃতই বড় বুজর্গ ছিলেন । তিনি আমাদের বলতেন , পাকিস্তান সারা ভারতের মুসলমানরা বানিয়েছিল । আল্লাহর কাছে মুসলমানরা অনেক কান্নাকাটি করেছিল - একদিন এই পাকিস্তান বানাবার জন্য । সেই পাকিস্তানের যারা ক্ষতি করেছে আল্লাহ তাদের উচিত শিক্ষা দেবেন । আল্লাহর আদালতে একদিন এদের বিচার হবেই । নামাজ শেষে মাসুম সাহেব আমাদের ধৈর্যধারণ করার উপদেশ দিতেন । তিনি আমাদের বলতেন , আল্লাহর রাহে যারা সংগ্রাম করে তাদের উপর এরকম বালা - মুসিবত আসে । এগুলো ঈমানদারদের উপর আল্লাহর পরীক্ষা , এ পরীক্ষায় ঈমানদারদের বিজয়ী হতে হবে । প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর আমরা জিকির করতাম । মাসুম সাহেব জিকিরের মাহফিল পরিচালনা করতেন । তখন আমার কাছে পুরো জেলখানাকে মনে হত দরবেশের হুজরা খানা । মাসুম সাহেব জোরের সাথে বলতেন আমাদের কাউকে ওরা আটকে রাখতে পারবে না । পুরানো হাজতে আমি বেশীদিন থাকতে পারিনি । দুদিন থাকার পর জেল কর্তৃপক্ষ আমাকে ডিভিশন বরাদ্দ করে । তখনকার স্বরাষ্ট সচিব শামসুদ্দীন আহমদ ছিলেন আমার আত্মীয় । মূলত তাঁর প্রভাবের কারণেই আমি ডিভিশন পাই । জেলের এক সুবেদার আমাকে ' পুরানো হাজত ' থেকে নিয়ে বিশ সেলে ডিভিশন বন্দীদের ভিতর পৌঁছে দেয় । বিশ সেল বলা হত এজন্য যে একতলা এ বিল্ডিংটিতে বিশটি কামরা ছিল । আসলে এটা ছিল নামেই ডিভিশন । পাকিস্তান আমলে এখানে রাখা হত দাগী আসামীদের । নতুন সরকার এসে এটিকে ডিভিশন প্রাপ্তদের আশ্রয়স্থল বানিয়েছিল । পাকিস্তান আমলে ২৬ সেল নির্মাণ করা হয়েছিল রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য । রাজনৈতিক বন্দীদের মর্যাদা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা দেয়া হত । শেখ মুজিব এখানে বহুদিন কাটিয়েছেন । নতুন সরকার ২৬ সেল কোন রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য বরাদ্দ করেনি । এটা তারা স্বতন্ত্রভাবে সংরক্ষণ করেছিল এই আশায় এখানে নাকি জে . নিয়াজী ও তাঁর সহযোগীদের বিচার করা হবে । ২০ সেলে প্রত্যেক চার রুমের পর দেয়াল তুলে পৃথক করে দেয়া হয়েছিল । আমাকে যখন বিশ সেলে নেয়া হয় তখন দেখি ফজলুল কাদের চৌধুরীকেও সেখানে রাখা হয়েছে । ফজলুল কাদের চৌধুরী দেখামাত্রই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন । বললেন , ইব্রাহিম তোমাকেও এরা নিয়ে এসেছে । আমি বললাম , আমি দিন তিনেক হল জেলে এসেছি । আপনি কবে ? ফজলুল কাদের চৌধুরী তাঁর জেলে আসার যে বর্ণনা দিলেন তা শুনে আমার মনে হল এটা রোমাঞ্চকর উপন্যাসকেও হার মানায় । তাঁর কাছ থেকে শোনা সেই অবিশ্বাস্য অথচ সত্য ঘটনাটি ছিল এরকম : ১৪ই ডিসেম্বর সবকিছু আঁচ করে তিনি পাকিস্তান নেভীর একটা শিপে করে পরিবার পরিজনসহ চাটগাঁ থেকে বার্মার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাচ্ছিলেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ নেভাল শিপটি ভাটার সময় চড়ায় আটকে যায় । তখন আশেপাশের গ্রাম থেকে নৌকায় করে লোকজন এসে জাহাজটি ঘিরে ফেলে । এরমধ্যে গেরিলাও ছিল । আশ্চর্যের ব্যাপার হল ফজলুল কাদের চৌধুরী যখন জাহাজ থেকে বেরিয়ে আসলেন তখন পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে যায় । চারদিকের লোকজন তাঁকে নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানায় । তারা তাঁকে তাঁর পরিবার পরিজনসহ তাঁদের গ্রামে নিয়ে যায় এবং গরু জবাই করে এ উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করে । ফজলুল কাদের চৌধুরীর জাহাজ আটকে যাওয়া এবং তাঁকে গ্রামে নিয়ে গিয়ে জনসাধারণের উল্লাস করার ঘটনা ইন্ডিয়ান আর্মির কানে যায় । তারা গেরিলাদের সহযোগিতায় দ্রুত গ্রামটি ঘিরে ফেলে । এ রকম অবস্থায় তারাও যে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না । ইন্ডিয়ান আর্মি তখন দিল্লীতে তাদের সদর দফতরের সাথে যোগাযোগ করে । দিল্লী থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিকে নির্দেশ দেয়া হয় তারা যেন কোনভাবেই ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে এবং অতি সত্ত্বর তাঁকে ঢাকায় জেলে পৌঁছে দেয় । ইন্ডিয়ান আর্মির প্রহরায় ফজলুল কাদের চৌধুরী চাটগাঁ থেকে ঢাকা জেলে পৌঁছেন । তাঁর পরিবার পরিজনকে ঐ গ্রামবাসীরা আঁচড় পর্যন্ত লাগাতে দেয়নি । ফজলুল কাদের চৌধুরী যে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন এবং তাঁর চমৎকার ব্যক্তিত্বের প্রতি দেশের মানুষ যে বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করত এ ঘটনা তার প্রমাণ । আমার মনে আছে , ৫৪ সালের নির্বাচনে যখন যুক্তফ্রন্টের সামনে মুসলিম লীগের করুণ অবস্থা তখনও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জিতে এসেছিলেন । নির্বাচনে জিতে অবশ্য তিনি মুসলিম লীগেই যোগ দেন । আগে মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারী বোর্ড তাঁকে নমিনেশন দেয়নি । চাটগাঁর ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি লোকজনকে দারুণভাবে মাতিয়ে ফেলতে পারতেন । চাটগাঁর উন্নতির জন্য ফজলুল কাদের চৌধুরী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন । ইউনিভার্সিটি , ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ , রিফাইনারী এগুলো তাঁর একক প্রচেষ্টার ফল । স্পীকার এবং কিছুদিনের জন্য পাকিস্তানের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তুলেছিলেন । ডিভিশনে আসার দুদিন পর আমার একটা নতুন কাজ জুটে যায় । জেল জীবনে হঠাৎ হঠাৎ এসব বৈচিত্র্য মন্দ লাগে না । আমরা ডিভিশন পেয়েছিলাম প্রায় পঞ্চাশ জন । এঁদের মধ্যে একজন ম্যানেজার থাকতেন । জেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদনেই এটা হত । ম্যানেজারের কাজ ছিল প্রতিদিন সকালে ডিভিশন বন্দীদের খাবার সামগ্রী অর্থাৎ প্রতিদিনের চাল , ডাল , তেল , গোশত , মাছ বুঝে নেয়া এবং রান্নার যাবতীয় ব্যবস্থা করা । জেলখানায় রান্নাঘরকে বলে চোখা । চোখায় বাবুর্চিদেরও তত্ত্বাবধান করেন ম্যানেজার । আমি আসার পর ডিভিশনের বন্দীরা আমাকে ম্যানেজার বানানোর জন্য জেলার নির্মল বাবুকে অনুরোধ করেন । ডিভিশনের বন্ধুরা কেন আমাকে ম্যানেজার হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন তা ভাবলে আজও আমি অবাক হয়ে যাই । রাজনৈতিক জীবনে তাঁরা যেমন আমার উপর আস্থা রাখতে পারতেন বোধ হয় জেল জীবনে এসেও তাঁদের সেই আস্থার অভাব হয়নি । নির্মল বাবু যখন আমাকে ম্যানেজারের দায়িত্ব নেয়ার কথা বললেন তখন আমি সানন্দে রাজী হয়ে যাই । আমার আগে ম্যানেজার ছিলেন মেজর আফসারউদ্দীন । তিনি ছিলেন ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি । তাঁর সেক্রেটারী ছিলেন মাওলানা মান্নান । প্রতিদিন সকালে আমি জেল গেট থেকে আমাদের মাথাপিছু বরাদ্দের সামগ্রী বুঝে নিতাম । আমাকে সাহায্য করত বাবুর্চিরা । আমি ম্যানেজার হবার পর চোখার বাবুর্চি পাল্টে দেই । তখন জেলে কিছু অবাঙ্গালী বাবুর্চি ধরে আনা হয়েছিল । এসব বাবুর্চির অপরাধ ছিল এরা অবাঙ্গালী ও পাকিস্তানী আদর্শে বিশ্বাসী । বাবুর্চিদের অধিকাংশই ছিল আমার পরিচিত । ঢাকার সেরা বাবুর্চি হিসেবে এদের নাম ডাক ছিল । এদের অনেককে আমি চোখার দায়িত্ব দেই । অবাঙ্গালী বাবুর্চিদের রান্নার গুণে আমাদের খাবার বেশ উপাদেয় হয়ে উঠল । ম্যানেজার হিসেবে আরও একটা দায়িত্ব ছিল আমার । ডিভিশনে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাড়াতাড়ি জেলের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হত । আমার একটা সুবিধা ছিল তখন ঢাকার সিভিল সার্জন ছিলেন সিরাজ উদ্দিন । মালদা জেলা স্কুলে তিনি আমার ক্লাসমেট ছিলেন । সিরাজ উদ্দিন জেলের ডাক্তারদের ভাল করে বলে রেখেছিলেন যেন তাঁরা আমার দেখাশুনা করেন । ডাক্তাররা বোধ হয় সে কারণেই আমাকে খুব সমীহ করতেন । কোন রোগী নিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি দেখে দিতেন । বিশেষ করে আমার অনুরোধে অনেক সময় ডাক্তাররা মেডিকেল ডায়েট বরাদ্দ দেয়ার জন্য লিখে দিতেন । মেডিকেল ডায়েটের ব্যাপারটা ছিল জেলের খাবার খেতে খেতে অনেকেরই অনীহা ধরে যেত । তাছাড়া জেলের বন্দীদশার কারণেও অনেকের খাবারের প্রতি অরুচি হত । ডাক্তাররা ইচ্ছে করলে তখন কয়েদীর মনের মত একটা ডায়েট লিখে দিতে পারতেন । এর মধ্যে হয়ত বিশেষ ধরনের মাছ যেমন কৈ , মাগুর কিংবা বিশেষ ধরনের সব্জির উল্লেখ থাকত । অনেক সময় ডাক্তাররা অসুখের কারণে সামনের লনে ঘোরার অনুমতি দেয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে লিখতেন । আমার অনুরোধে একবার তাঁরা ফজলুল কাদের চৌধুরী ও খাজা খয়েরুদ্দীনকে জেলের লনে ঘোরার অনুমতি দেয়ার কথা লিখেছিলেন । ম্যানেজার হওয়ার সুবাদে আমার একটা সুবিধা ছিল আমি ডিভিশনের প্রত্যেক বন্দীসেলে ইচ্ছেমত যেতে পারতাম । তাদের সুখ দুঃখের আলাপের ভাগী হতে পারতাম । কখন কার কি প্রয়োজন সেটা তাৎক্ষণিকভাবে শুনে সমাধানেরও চেষ্টা করতাম । একবার একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল । বাংলাদেশে উদযাপিত প্রথম বিজয় দিবসে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের জন্য উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করে । আমি মুরগীসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী চোখার এক কোণায় ফেলে রাখি এবং বাবুর্চিদের বলি প্রতিদিনের মত সাধারণ খাবার রান্না করতে । জেলার নির্মল বাবু কি করে যেন ব্যাপারটা টের পেয়ে যান । তিনি এসে আমাকে প্রায় কৈফিয়তের সুরে বলতে থাকেন , ইবাহিম সাহেব এসব কি হচ্ছে ? মুরগী রান্না করেন নি , বিরিয়ানি পাকাননি , আজকে দেশের এতবড় একটা উৎসব আর আপনারা নিরামিষভোজী হয়ে আছেন । আমি হাসতে হাসতে বললাম , জেলার সাহেব , আপনি আমাদের খোঁজ - খবর নিতে এসেছেন , ধন্যবাদ । কিন্তু এ বিজয় তো আমাদের বিজয় নয় । আমরা আজকে বিরিয়ানি খাব না । আমরা উপোস করব । যেদিন এদেশের মানুষের সত্যিকারের বিজয় আসবে সেদিন আমরা ভরপেট বিরিয়ানি খাব , আজকে নয় । নির্মল বাবু আমার কথা শুনে তো অবাক । তিনিও হাসতে হাসতে বললেন , খুব রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন ইব্রাহিম সাহেব । আমি তাঁকে বললাম , রাজনীতি নয় এটা আমাদের আদর্শ , জেলার সাহেব । নির্মল বাবু তখনকার মত কিছু না বলে চলে গেলেন । তবে আমি যে ১৬ই ডিসেম্বর বিরিয়ানী পাকানোর ব্যবস্থা করিনি এজন্য আমার ডিভিশনের বন্ধুদের মুখে কোন অভিযোগ শুনিনি । বোধ হয় তাঁরা মনে মনে খুশী হয়েছিলেন । একদিন জেলার অবাঙ্গালীদের এক সুবেদার এসে আমাকে খবর দিলেন গুদামে অনেক পাক বাসমতি চাল আছে । এই চাল আর কখনও পাকিস্তান থেকে আসবে না । আপনি যদি জেলারকে বলে কয়েক বস্তা চাল জোগাড় করতে পারেন তাহলে সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়াতে পারবেন । সুবেদারের আইডিয়াটা আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় মনে হল । আমি নির্মল বাবুকে বললে তিনি রাজী হয়ে গেলেন । গুদামে প্রায় সাত আট বস্তা বাসমতি চাল ছিল , তিনি সবটাই আমাদের দিয়ে দেন । এত অনায়াসে বাসমতি চাল পেয়ে যাব তা আমি ভাবিনি । নির্মল বাবু আমাদের মনে মনে পছন্দ করতেন না ঠিকই কিন্তু এটা তিনি বুঝতেন আজ যারা এখানে বন্দী আছেন তাঁরা একসময় দেশের দণ্ডমুন্ডের কর্তা ছিলেন । ভবিষ্যতেও যে চাকা উল্টে যাবে না , এঁরাই আবার যে মসনদে বসবেন না তারই বা নিশ্চয়তা কি ? বোধ হয় এসব চিন্তা করেই নির্মল বাবু আমাকে চাল দিতে দ্বিরুক্তি করেননি । জেলের মধ্যে একটা নিয়ম হল প্রত্যেক কয়েদীর জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ দেয়া । ডিভিশন বন্দীদের খাবার - দাবারের সুবিধাটা আরও বেশী । কিন্তু এসব খাবার কখনও কয়েদীরা ঠিকমত পায় না । দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও জেলের কর্মচারীরা এসবের মধ্যে অবৈধ ভাগ বসায় । যার ফলে কয়েদীদের ভাগ্যে জোটে খুব সামান্যই । আমরা যারা ডিভিশন পেয়েছিলাম তাঁদের খাবার ব্যবস্থা মোটামুটি ভালই ছিল । কিন্তু অসংখ্য ইসলামপন্থী ও পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী কয়েদী যারা ডিভিশন পাননি তাঁদের খাওয়ার দুঃখজনক অবস্থা দেখলে চোখে পানি এসে যেত । এসব কয়েদীদের প্রত্যেকেরই একটা সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা ছিল । আজ তকদীরের ফেরে সামান্য পুলিশ ও ওয়ার্ডারদের চোখ রাঙ্গানীও দেখতে হচ্ছে তাঁদের বেদনাটা সেখানেই । জেলের মধ্যে এতদিন কয়েদীদের নিয়ে জামাতে জুমার নামাজ পড়ার একটা রীতি চলে আসছিল । বাংলাদেশ হওয়ার পর নির্মল বাবুর নির্দেশে জুমার নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায় । আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ সরকারের কোন হোমড়া - চোমড়ার নির্দেশেই এটা করা হয়েছিল । তা না হলে নির্মল বাবুর অন্তত জামাতে নামাজ পড়া বন্ধ করার দুঃসাহস হত না । আমাদের ব্লকে আমার সাথে ফজলুল কাদের চৌধুরী ছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক ডেপুটি স্পীকার সাভারের এডভোকেট আজগর হোসেন ও মালেক মন্ত্রীসভার সদস্য কুমিল্লার এডভোকেট মুজিবর রহমান ছিলেন । মুজিবর রহমান ছিলেন খুব ধীরস্থির । তাঁর সাথে কথা বললেই বোঝা যেত ইসলামের উপর তাঁর ব্যাপক পড়াশুনা রয়েছে । বিশ সেলে আমাদের পরের ব্লকেই থাকতেন সবুর সাহেব , খাজা খয়েরুদ্দীন , পাবনার এম এ মতিন , পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির সাবেক ডেপুটি স্পীকার এ টি এম আব্দুল মতিন প্রমুখ । সেল বলতে আমাদের ডিভিশনের বন্দীদের যা বরাদ্দ করা হয়েছিল তা ছিল একট ছোট্ট জানালাবিহীন ঘর । সেই ঘরে কোনক্রমে একটা খাট পাতা হয়েছিল । একটা টেবিলও দেয়া হয়েছিল । আমার কাছে এটা জেল কর্তৃপক্ষের একটা মষ্করা বলে মনে হত । রাতে দুই ঘরের মাঝামাঝি দেয়ালের উপর একটা ফাঁকা জায়গায় বাল্ব জ্বলত । এটা দু ' ঘরকেই আলোকিত করার চেষ্টা করত । রাতে ঘরের মধ্যে একটা পাত্র দিয়ে রাখা হত । ঐ পাত্রেই আমাদের যাবতীয় প্রাকৃতিক কর্ম সারতে হত । জেলের মধ্যে আমার সবচেয়ে খারাপ লাগত ল্যাট্রিনের অবস্থা দেখে । ডিভিশনের বন্দীদের জন্য এক একজন ফালতু দেয়া হত । এরা ছিল নিম্ন শ্রেণীর গরীব কয়েদী । এরা ডিভিশনের বন্দীদের ফায়ফরমাশ খেটে দিত , চোখা থেকে খাবার নিয়ে আসত । গোসলের জন্য পানি আনাও ফালতুর কাজ ছিল । আমাদের ব্লকের গোসলখানায় একটা পানির চৌবাচ্চা ছিল । ফালতু পানি এনে চৌবাচ্চা ভরে দিয়ে গেলে আমরা গোসল করতাম । সমস্যা হল ফজলুল কাদের চৌধুরীকে নিয়ে , তাঁর তো ছিল বিরাট বপু । এতটুকু পানিতে তাঁর গোসল হত না । তিনি আমাকে বলতেন , ইব্রাহিম যেদিন আমি গোসল করব তোমরা দয়া করে সেদিন গোসল করো না । আমরা ফজলুল কাদের চৌধুরীর জন্য অনেকদিন গোসল না করে কাটিয়েছি । ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছিল সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস । অনেকদিন রাতে তিনি চিৎকার করে বলতেন ইব্রাহিম একটা সিগারেট দাও । খুব খারাপ লাগছে , ঘুমাতে পারছি না । আমার পাশের সেলটাই ছিল তাঁর । আমি তখন দেয়ালের উপর ফাঁকা জায়গাটা দিয়ে সিগারেট ছুঁড়ে দিতাম । সেই সিগারেট টেনে তিনি ঘুমাতেন । অনেক সময় রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যেত । ঘুম থেকে চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে শুনি চৌধুরী সাহেব তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করছেন । আমি স্পষ্ট শুনতাম তিনি মুনাজাত করতে করতে বলতেন , খোদা আমরা কি অপরাধ করেছি . . . . এই জালেমদের কবল থেকে দেশের অসহায় মানুষকে তুমি রক্ষা করো । তুমি আমাদের সবর করার তৌফিক দাও । হে আল্লাহ , আমরা যেন ঈমানের সাথে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারি ইত্যাদি । ফজলুল কাদের চৌধুরী তো গম গম করে কথা বলতেন । মনে হত লাউড স্পীকারে কেউ কথা বলছেন । দোয়ার সময় তাই সব শোনা যেত । ফজলুল কাদের চৌধুরী একবার জেলের মধ্যে এক মিয়া সাহেবকে ধরে আচ্ছা করে কিলঘুষি মেরেছিলেন । জেলের মধ্যে মানুষের মানষিক অবস্থা যে কতখানি বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে তা না দেখলে বোঝা যায় না । একদিন হল কি ফজরের সময় চৌধুরী সাহেবের প্রাকৃতিক কাজ করার খুব প্রয়োজন পড়ল । তিনি এত উঁচু লম্বা ছিলেন যে ঘরের মধ্যে রাখা পাত্রের উপর বসে প্রাকৃতিক কাজ সারতে পারতেন না । আবার এদিকে সেলের দরজাও তালা মারা , সকাল ৭টার আগে খুলবে না । তিনি আমাকে বললেন , ইব্রাহিম তুমি মিয়া সাহেবকে বল দরজাটা খুলে দিতে । আমি বললাম কাদের ভাই ৭টার আগে তো দরজা খোলার নিয়ম নেই । ও কি খুলবে ! তিনি আমাকে পীড়াপীড়ি করতে থাকায় আমি চেঁচামেচি করে মিয়া সাহেবকে অনেক বুঝিয়ে দরজা খুলতে রাজী করালাম । চৌধুরী সাহেব তাড়াতাড়ি করে ল্যাট্রিনে গেলেন । সেখান থেকে ফিরে আসার পর মিয়া সাহেব হয়ত একটু জোরের সাথেই তাঁকে বলেছিল তাড়াতাড়ি করে সেলের মধ্যে ঢোকার জন্য । তালা লাগাতে হবে নইলে কর্তৃপক্ষ তাকে কৈফিয়ত তলব করবে । আর যায় কোথায় চৌধুরী সাহেব তাঁর বিরাট বপু নিয়ে মিয়া সাহেবের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন । ইচ্ছামত কিল ঘুষি মেরে সেই শ্মশ্রুমন্ডিত মাঝারী বয়সী মিয়া সাহেবকে নাজেহাল করে ফেললেন । মার খেয়ে সে অনেকক্ষণ মেঝের উপর পড়েছিল । আমি সেলের ভিতর বসে সব শুনছি । মিয়া সাহেব কিছুক্ষণ মেঝেতে পড়ে থাকার পর জেল অফিসের দিকে চলে গেল । ততক্ষণে সেলের তালা খুলে দেয়া হয়েছে । আমি , চৌধুরী সাহেব , আজগর হোসেন ও মুজিবর রহমান একসাথে বসে আছি । হঠাৎ দেখি নির্মল বাবু তাঁর দলবলসহ আমাদের ব্লকের দিকে এগিয়ে আসছেন । নির্মল বাবু প্রায় চিৎকার করে বললেন জেলের তো একটা কোড আছে । চৌধুরী সাহেব আপনি এসব কিছুই মানতে চান না । আগেও আপনি এক সিপাইকে মেরেছেন । দেখলাম চৌধুরী সাহেব যে চেয়ারে বসেছিলেন সেটা নিয়েই তিনি দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি চিৎকার করে নির্মল বাবুকে বলতে লাগলেন গুলি করতে হলে গুলি চালাও । ফাঁসি দিতে হলে ফাঁসি দাও । এরকম করে খালি খালি আমাদের কষ্ট দিচ্ছ কেন ? বলতে বলতে চৌধুরী সাহেব অচেতন হয়ে পড়লেন । আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম । নির্মল বাবু এসব দেখে হতচকিত হয়ে তাড়াতাড়ি সরে পড়লেন । পাশের ব্লক থেকে সবুর সাহেব , খাজা খয়েরউদ্দীন ছুটে এলেন । আমরা চৌধুরী সাহেবকে ধরাধরি করে খাটের উপর শুইয়ে দিলাম । আমি গামছা ভিজিয়ে তাঁর কপালে ঠান্ডা পানির ছিটা দিলাম । কিছুক্ষণ পর তিনি চোখ মেললেন । অনেকক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তিনি আমাকে বললেন , ইব্রাহিম আমার কি হয়েছিল ? আমি বললাম কিছুই মনে নেই আপনার ? এত কান্ড হয়ে গেল আপনাকে নিয়ে । আপনি মিয়া সাহেবকে ধরে উত্তম মধ্যম দিলেন । জেলারকে গালাগালি করলেন । চৌধুরী সাহেব তখন বললেন , দেখ ইব্রাহিম আমার আজকাল কি হচ্ছে ! মাথা ঠিক রাখতে পারছি না । তুমি মিয়া সাহেবকে ডাকো । ওকি এখানে আছে ? আমি জিজ্ঞাসা করলাম , ও কি এখন আসবে নাকি ? তিনি বললেন তুমি বলেই দেখ না । আমি মিয়া সাহেবকে অনেক বুঝিয়ে বললাম , দেখো এত বড়লোক , পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন , তিনি আজ জেলে , কতক্ষণ মাথা ঠিক থাকে বল ? উনি তোমাকে ডাকছেন , না করো না । মিয়া সাহেব আমার কথায় রাজী হয়ে চৌধুরী সাহেবের ঘরে দেখা করতে এল । চৌধুরী সাহেব তখন তাঁকে বুকে নিয়ে বললেন দেখ আমার ভুল হয়ে গেছে । তুমি আমাকে মাফ করে দাও । তিনি মিয়া সাহেবের কাছে আবেগ তাড়িত কণ্ঠে বলতে থাকলেন , আমাকে সত্যি মাফ করেছ তো ? চৌধুরী সাহেবের এই শিশুর মত আচরণ দেখে আমি নিজেও হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম । মিয়া সাহেবের মুখে কোন কথাই ছিল না । সে পাকিস্তানের এক সময় সর্বোচ্চ পদাধিকারীর এই আচরণে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল । চৌধুরী সাহেব আমাকে বললেন , দেখ ইব্রাহিম আমার ঝুড়িতে কিছু ফ্রুটস আছে । এগুলো মিয়া সাহেবকে দিয়ে দাও । আমি যখন ফলগুলো নিয়ে মিয়া সাহেবকে দিচ্ছিলাম তখন তার চোখ দিয়ে দর দর করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল । ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন নরম দিলের মানুষ । অনেকদিন দেখেছি বাসা থেকে তাঁর জন্য ভাল ভাল খাবার এলে তিনি শুধু আমাদের ডেকে নিয়ে খেতেন না অনেকটাই ফালতুদের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন । একদিন তিনি আমাকে বললেন , ইব্রাহিম টাকা পয়সা দিয়ে কি হবে । ফালতুদের অবস্থাতো দেখছ ওদের গেঞ্জি ও লুঙ্গির ব্যবস্থা করে দেয়া উচিত । তখন তিনি আমাকে তাঁর বোনের জামাই ডিআইজি পুলিশ আব্দুল হকের কাছে একটা চিঠি লিখতে বললেন , কিছু গেঞ্জি ও লুঙ্গি জেলে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য । চৌধুরী সাহেবের যাবতীয় চিঠিপত্র আমি জেলে বসে লিখে দিতাম । পরদিন দেখি আব্দুল হক এক গাট্টি লুঙ্গি ও গেঞ্জি পাঠিয়ে দিয়েছেন । সেগুলো আমি আর চৌধুরী সাহেব মিলে ফালতুদের মধ্যে বিতরণ করেছিলাম ।
Download XML • Download text