ben-3
ben-3
View options
Tags:
Javascript seems to be turned off, or there was a communication error. Turn on Javascript for more display options.
উপরের টিপ্স গুলো শুধু Windows ডিফল্ট হিসেবে যে ভিডিও ফরম্যাটের ফাইল গুলোকে Thumbnails হিসেবে সো করে , সে ফাইল গুলো দেখা যাবে । যেমন : MPEG , AVI , WMV , DIVX ইত্যাদী ।
হঠাৎ সহনীয় অথচ একঘেঁয়ে একটা শব্দে ঘুম ভাঙ্গে স্বাতীর । ঘুমের মধ্যে প্রথমে ঠিক ঠাহর করতে পারে না , কিসের শব্দ এটা ? হাতড়ে মুঠো ফোনটা যখন হাতের নাগালে চলে আসে , তখনই স্বাতী সম্বিত ফিরে পায় , না এটা এলার্ম ক্লক নয় । ঘরের কোনায় ল্যান্ড ফোনটা বেজেই চলেছে । ঝটপট উঠে পড়ে সে । আলসেমি করলেই - - আর উঠতে পারবে না জানে । হ্যালো , মে আই নো হু ইজ দিস ? ঘুমে জড়ানো অস্পষ্ট কণ্ঠ স্বাতীর । - মর্নিং স্যাটি , দিস ইজ কারিনা । কুড ইউ কাম টু দ্যা অফিস এ্যাজ সুন এ্যাজ পসিবল । - হোয়াট ? ঘুমের মধ্যে স্বাতী কিছু ঠাহর করতে পারে না । - " রাইট নাউ । " কারিনা লাইনটা কেটে দেয় ।
ইব্রাহিম খালেদ বলে চলেন , " সাধারণত গণতান্ত্রিক দেশের যে বিচার ব্যবস্থা সেখানে যথেষ্ট শক্ত তথ্য - প্রমাণ নিয়ে আদালতে যেতে হয় । তা নইলে মামলায় জেতা খুব মুশকিল হয় ।
বর্তমানে গত রাত বাদ দিলে ( আজ শুক্রবার বলে রাতে শাশুড়ি ছিলেন ) চার রাত ধরে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটাই আমার বাড়ি ঘর । এখানেই থাকি , খাই , ঘুমাই , গোছল করি . . . এখান থেকেই সন্ধ্যায় অফিসে যাই ( তখন শ্বশুর / শাশুড়ি পাহারা দেয় ) , অফিস শেষে এখানেই ফেরৎ আসি । বউ - এর রক্তের সমস্ত প্যারামিটারগুলো স্বাভাবিক হয়ে এসেছে . . . . তারপরেও কিছুটা অসুস্থ আছে । আগামী আরো দুই / এক মাস এমন যাবে , তারপর স্বাভাবিকভাবেই শরীরের হরমোন লেভেল এডজাস্ট হয়ে ঠিক হয়ে যাবে । এখন শরীরের অভাবগুলো স্যালাইন দিয়ে মিটিয়ে দিচ্ছে . . . . এ অবস্থায় বাসায় গেলে সমস্ত যত্নের মধ্যেও আবার এরকম হবে . . . ১০ / ১২ দিন পর আবার এসে স্যালাইন নিতে হবে - - - পরিচিতের মধ্যে দেশে / বিদেশে যারা এইরকম লক্ষণের মধ্য দিয়ে গেছেন , তাঁদের অভিজ্ঞতা তাই বলে । ব্যাপারটা অনেকটা ব্যাটারি চার্জ করার মত । একবার রক্তে পুষ্টির চার্জ দিলে এতে ১০ / ১২ দিন যায় ।
" কাহার সঙ্গে যুদ্ধ করিব ? সিংহ কি কখনো শৃগালের সহিত যুঝিয়া থাকে ? শুনিয়াছি মোহাম্মদ হানিফা সর্বশ্রেষ্ঠ বীর ! তুমি কি সেই হানিফা ? "
দেখুন আপনি কিছুতেই ভাল করে শর্ত গুলো পড়ছেন না । সেখানে স্পষ্ট করে এই কথাটা লিখে দেয়া রয়েছে - " টেকনোলজি টুডে ব্লগে ৩১ শে অক্টোবর ২০১০ পর্যন্ত প্রকাশিত সব ব্লগই প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে । " কিন্তু আপনি বলছেন - " ৩১ শে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের ৭ পর্যন্ত এই কম্পিটিশন হবে , তাই না ? " আমরা কি করতে পারি আপনি ই বলুন ? ৩১ শে অক্টোবর থেকে শুরু নয় । ৩১ শে অক্টোবর শেষ । আর আপনি যত খুশি ব্লগ লিখতে পারেন । প্রথম পাতায় পোস্টের কোন সীমাবদ্ধতা নাই । শর্তাবলীতে যা যা দেয়া আছে এর বাইরে আর কোন সীমাবদ্ধতা নাই । আর আপনি বেশী লিখলেই পুরস্কার পাবেন , আর কম লিখলে পাবেন না । এমন কোন ব্যাপার নয় । আপনি একটি মাত্র অসাধারণ ব্লগ লিখেও পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন । লেখার মান এবং সংখ্যা দুটোই বিবেচনা করা হবে ।
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস জীববিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে তাতে সেতুবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে নতুন উদ্ভাবিত রোবট গর্ডন ৷ মস্তিষ্কের কোষ থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক সঙ্কেত ধরার জন্য গর্ডন ব্যবহার করছে ৬০টি ইলেকট্রোড ৷ ওই কোষের থেকে আসা সঙ্কেতের ভিত্তিতেই রোবটটি নড়াচড়া করতে সক্ষম হয় ৷
বেন আলির একনায়কতন্ত্র ধর্মীয় নয় , বরং কখনও সখনও ধর্মীয় স্বাধীনতাও ক্ষতিগ্রস্ত এখানে । যেমন , জনবহুল এলাকায় মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরে আসা নিষিদ্ধ । নেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও । দেশের উত্তরাঞ্চলের ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী অংশে পর্যটন , কৃষি , বস্ত্র শিল্প , এবং ভারী শিল্পের জন্য লোকের কিছুটা সচ্ছলতা থাকলেও , মধ্য ও দক্ষিণভাগের সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন অংশে কৃষিপ্রধান মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সঙ্গীন । কিন্তু রাষ্ট্রপতি বেন আলি এবং তার দলের লোকেরা দুর্নীতি করে সরকারি কোষাগারের টাকা আত্মসাৎ করে - এটাই দেশটার নিয়ম ছিল । দেশটিতে একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণী রয়েছে , এক তৃতীয়াংশ লোকের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে । রয়েছে এক শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণী । যদিও বোয়াজিজি নিচের তলার মানুষ , বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ না মাড়ানো রাস্তার ফেরিওয়ালা ।
এই অবস্থায় - বাংলার মুসলমান সমাজের মৃতকল্প অবস্থায় - এয়ুরোপ মহাদেশে শুরু হইল যুদ্ধের মহড়া । ১৯১২ সালে বলকান এলাকার যুদ্ধে তুর্কি সাম্রাজ্যের দৈন্যদশা পরিষ্কার হইয়া ফুটিল । ধর্মবন্ধনের দিক দিয়া ইসলাম আন্তর্জাতিকতার ধার ধারে বলিয়া বাংলাদেশের মুসলমান সমাজও এসলামিয়া রাজশক্তির অর্থাত্ গদিনশীন তুর্কি সাম্রাজ্যের - তথাকথিত খেলাফতের - ক্ষয়ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হইল । ইহাতে বাংলার মুসলমান রক্তে - মাংসে নাড়া খাইয়াও প্রাণে সাড়া দিতে পারিল না । ওয়াজেদ আলীর কথায় , যাহাদের মধ্যে এসলামের প্রাণটাই মূর্ছায় নিদ্রিত তাহারা বেদনা বোধ করিলেই কি , না করিলেও বা কি ?
আলাদা করা গেলে তো ভালো হতো । আপনার লেখার সাথে সহমত ।
পোস্ট করা হয়েছে : শুক্র আগস্ট ২৭ , ২০১০ ৯ : ২২ অপরাহ্ন
মাতৃভাষা : ১২ কোটি ৬০ লক্ষ , ২য় ভাষা : ১০ লক্ষ , মোট : ১২ কোটি ৭০ লক্ষ
লেখক বলেছেন : আপনার মন্বব্যে লজ্জা পেলাম । শিরোনামটা বুঝি ভালো লাগেনি ? নিজগুণে ক্ষমা করবেন । পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
যা হোক , আমি চলে যাচ্ছি । এ ব্লগে আর নয় । নগরের সবাই জানি এতে খুব আনন্দ পাবেন । সবার কলজেতে শান্তির ফোয়ারা বইতে আরম্ভ করবে । আহা , আর কোন নাগরিকের হৃদয় হুমায়ুন আজাদকে নরম্যান ম্যাকেজের কবিতা বা তসলিমা নাসরিনের কলাম নকল করতে দেখে ক্ষতবিক্ষত হবে না । আর তসলিমা নাসরিন কেন নারী হয়ে নারীবাদী হল , ও কোন নারীবাদী নাকি , আসল নারীবাদী তো পুরুষ হুমায়ুন আজাদ - এইসব নিয়ে ভেবে মারা যেতে হবে না । কি শান্তি , কি শান্তি ! ওম শান্তি ওম ! তবে হ্যাঁ , একাউন্ট মুছছি না , যদি দার - ওয়ান আমাকে ব্যান না করেন , তাহলে ফিরেও আসতে পারি কোন এক দিন , যদি দেখি এই নগরে সভ্য লোকের আগমণ ঘটেছে । নাগরিকব্লগের জন্য আমার শুভকামনা অবশ্যই আছে । একমাত্র এই ব্লগেই ধর্ম নিয়ে লিখলে সেই লেখা ব্যান করা যায় , যদি তা ঝামেলার সৃষ্টি করে । যদিও তা বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন , কিন্তু তবু এত সাহস আর কোন ব্লগের আছে ? এখনও নগর জমে ওঠেনি , গোড়াপত্তন তো এই সেদিন হল ! ব্লগজগতের কলকাতা সচলায়তন , ঢাকা সামহ্যয়ার । আশা করি একদিন নাগরিকব্লগও চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে , বা হয়ত সচলায়তনের চেয়েও ভাল একটা ব্লগ হয়ে উঠবে , যেন তখন কলকাতার সাথেই তুলনা দেয়া যায় নাগরিকব্লগকে । ইটস টাইম টু সে গুডবাই । সুখে আছো যারা সুখে থাকো , এ সুখ সইবে না . . . . দুখে আছো যারা বেঁচে থাকো , এ দুখ রইবে না , বন্ধু এ দুখ রইবে না . . . . . . . . . . .
মডেল : জাফরিন । সাজ : হারমনি স্পা । সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো , ফেব্রুয়ারি ২২ , ২০১১
লম্বা একটা ঘুম দিন নাকে সর্ষের তেল দিয়ে , স্বপ্নে নিশ্চয় যেতে পারবেন ; D ; D
খেলাধুলার প্রতি মানুষের ভালোবাসা আদিমকাল থেকে ছিলো এখন থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে আমরা বাঙালীরা যা করছি বা করেছি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর নাগরিকেরা তা করেছে বলে মনে হয় না , বিশ্বের খেলাধুলার সংবাদেও তার ফুটেজ দেখা যায়নি । বিশ্বের অন্যান্য দেশের কথা থাক , বিশ্ব ফুটবলের দুটি অন্যতম দল ব্রাজিল - আর্জেন্টিনাতেও তাদের নাগরিকের ঘরে ঘরে সে দেশের জাতীয় পতাকা টাঙিয়েছে কি - না সন্দেহ । এমনকি ব্রাজিলের খেলার সে দিন সেদেশের সাম্বানৃত্যের যে দৃশ্য আমরা অতীতে দেখে এসেছি , এবারের খেলাগুলোতে এখন পর্যন্ত তা টিভি পর্দায় নজরে পড়েনি । অথচ আমাদের দেশের রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দিকে লক্ষ্য করুন , এদেশের দর্শকরা তাদের সমর্থিত দেশের পতাকা শুধু ঘরের ছাদে কিংবা বেলকনিতেই নয় জানবাজি রেখে নারকেলগাছের মাথায় কিংবা অন্য কোনো গাছের মগডালে টাঙিয়ে রেখেছে । এসব পতাকার রঙ ঠিক থাকলেও সঠিক মাপ কিংবা সাইজের নয় । ৯ ইঞ্চি থেকে ৯০ ফুট লম্বা সাইজের পতাকাও রয়েছে । অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে , যেইসব বাড়ি , দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানে ভিন্নদেশের বেঢপ সাইজের পতাকা টাঙিয়েছে সে সব স্থানে দেশের জাতীয় দিবসে নিজ দেশের পতাকা একটিও টাঙানো হয় না । নিজ দেশের পতাকা আছে বলেও মনে হয় না । থাকলেও দু ' পাঁচজন সুনাগরিকের মতো তারাও ভিন দেশের পতাকার ওপরে নিজ দেশের পতাকাটি টাঙিয়ে দিতেন । সমর্থিত দেশের পতাকা অনুপাতে নিজ দেশের পতাকার মাপ অনেক ক্ষুদ্র হলেও যারা ভিন দেশের পতাকার ওপরে নিজ দেশের পতাকা টাঙিয়েছেন । তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়ে সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের কাছে বিনম্র জিজ্ঞাসা শুধু কি রাজনৈতিক দল মিছিল , মিটিং শোভাযাত্রা করলেই আইন ভঙ্গ হয় ? শুধু কি চুরি - ডাকাতি খুন - খারাবি , মাদকসেবন , ইভটিজিং করলেই আইন ভঙ্গ করা হয় এবং সেগুলো দেখভাল করাই আপনাদের দায়িত্ব ? এদেশের পতাকা আইন লঙ্ঘন করে যারা ভিন দেশের পতাকা উড়াচ্ছেন তারা কি আইন ভঙ্গের অপরাধে অপরাধী নয় ? এমন কাজের সাথে যারা জড়িত প্রশাসনের পক্ষ থেকে একদিনও কি তাদেরকে ভিন দেশের পতাকা তুলতে হবে সে কথাটি কি তাদেরকে জানানো হয়েছে ? সরকারের তথ্য বিভাগের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার কিংবা পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে নিয়ম নীতিটা সকলকে অবহিত করলে রোধ করি এমনভাবে নিজ দেশকে অসম্মান করে ভিন দেশের পতাকা তারা তুলতেন না ।
জগড়া না করে সর্বোচ্চ দেশীয় স্বার্থ রক্ষা করে কিভাবে দেশের সম্পদ উত্তোলন এবং তা কিভাবে দেশের স্বার্থেই কাজে লাগানো যায় সে লক্ষ্যে জোর দেয়া উচিৎ । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলছি , দেশকে যে আপনি ভালবাসেন এতে আমাদের কোন প্রকার সন্দেহ নাই । তবে তার দোহাই দিয়ে যে আপনি দেশের সম্পদ রক্ষা বা সুষ্ঠভাবে দেশেই ব্যবহারের দিকে সচেষ্ট হবেন না এটাও ঠিক না ।
তির্যক বলেছেন : বাংলাদেশ কই ? খেলুম না । দুঃখ দুঃখ দুঃখ । এই লিষ্টে বাংলাদেশও থাকতে পারতো
প্রফুল্ল চক্রবর্তীর মার্জিনাল মেন প্রকাশের ঠিক এক দশক পরে প্রকাশিত হল আর একটি বিশেষ উপযোগী বই , প্রদীপ কুমার বোস সম্পাদিত ' রিফিউজিস ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল ' । এই বইটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় যেগুলি দেশভাগের ইতিহাস চর্চাকে সমৃদ্ধ করে । প্রফুল্ল চক্রবর্তী যে কাজ শুরু করেন তাকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যান পরবর্তী গবেষকরা । মার্জিনাল মেন - পরবর্তী দেশভাগের ইতিহাস চর্চায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন সন্দেহ নাই ।
লুৎফর ফরাজী বলেছেন : আমিন । অনেক সুন্দর করে দুআ করলেন । আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।
সাবধানতা : খুব ঘনিষ্ট বন্ধু ছারা এভাবে ফাইল শেয়ার করা ঠিক না । এতে করে আপনার গুরুত্বপূর্ন তত্ব চুরি হয়ে যেতে পারে ।
স্কুল থেকে আর ঘরে ফেরা হলনা শিশু রীনা আক্তারের ( ৯ ) । ঘাতক চান্দের গাড়ী কেড়ে নিল কোমলমতি শিশু রীনার নি . . .
আপনার উত্থাপিত মূল প্রসঙ্গগুলো সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করছি : ১
মধ্যপ্রাচ্য মানেই মরুভূমি । এদেশও তার ব্যাতিক্রম নয় । পুরো দেশটাই স্রেফ মরুভূমি । এরই মধ্যে তৈরী হয়েছে ঘর - বাড়ী , দোকান - পাট , রাস্তা - ঘাট । গাছপালা যে একদম নেই তা নয় । প্রচুর পরিমানে আছে খেঁজুর আর বড়ই গাছ । এদেশের বড়ই খুবই মজার । ধরেও প্রচুর পরিমানে । বেশীর ভাগ বাড়ীর সামনেই একটা - দুটা বড়ই গাছ পাওয়া যাবে । কিন্তু এরা নিজেরা এ বড়ই ছুঁয়েও দেখে না । বিদেশীরাই ইচ্ছেমতো নিয়ে খায় । কেউ কিছু বলে না । খেঁজুরের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা । সব রাস্তার পাশে খালি খেঁজুর গাছ । এছাড়া আর যেসব গাছ জন্মে সবই ঝোপ ধরনের । শক্ত কান্ডওয়ালা উঁচু গাছ চোখে পড়ে না খুব একটা ।
সেই সময়েই কবি সুকান্ত গর্জে উঠলেনঃ - - " বিদ্রোহ আজ , বিদ্রোহ চারিদিকে আমি যাই তার দিন পঞ্জিকা লিখে । "
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন : আমারে জিগান ক্যা ! ব্লগ ডেভলপারদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন !
এ কয় বছরের জিবনে যে কয় দিন পাপ্তির সুখের আনন্দে ভাসছি তার মধ্যে বিয়ে করে বৌ পাওয়ার ঘটনা এক । সেই ভাল লাগা , ভালবাসার বৌকে , ১ মাসের মাধায় প্রবাসি হওয়ার নাতে যখন বিলাই মরার মতো ফেলে আসি তখন দুমরে মুচরে এ বুক ভেঙ্গে যায় . . .
লেখক বলেছেন : আমি একবার আমার বাড়ির পাশে হোয়াইট হল কমিউনিটি সেন্টারে বোরহানী প্রস্তুত প্রনালী স্বচক্ষে দেখে বোরহানীর উপর বিতৃষ্ণা নিয়ে ঐ পানীয়টা বর্জন করে আসছি । আমার কাছে বোরহানী খাবারটাই পছন্দনীয় নয় । আমি যখন ঐ দোকান থেকে খাবার কিনছি তখন ওদের দেয়াল এবং সাইন বোর্ডে বেশ বড় করেই লেখা দেখেছি - " আমাদের কোথাও আর কোনো ব্রাঞ্চ নেই " । এবং আমি দোকানীদের সাথে কথা বলেও বিষয়টা কনফার্ম হয়েছিলাম । হ্যা , আমি প্রায় দুই পুর্বে ঐ দোকানের ভিতরে গিয়েছি । যদিও এর মধ্যে আরো কয়েকবার ঐ দোকান থেকে বিরিয়ানি কিনেছি । প্রতিবারই আমার ছেলেরা কিম্বা সাথে থাকা অন্য কেউ খাবার নিয়ে এসেছে । আমি ওদের নতুন ব্রাঞ্চ সম্পর্কে জানিনা । আপনার লেটেস্ট ইনফর্মেশনের জন্য অজস্র ধন্যবাদ ।
- মহারাণী সত্যবতীর দূত এসেছে । মহারাণী আপনাকে একবার স্মরণ করেছেন । রাজসভায় যাবার আগে একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে যেতে অনুরোধ করেছেন
ফেলানী বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরুর মেয়ে । নূরু ভারতের দিল্লিতে কাজ করে । তার সঙ্গে সেখানে থাকতো মেয়ে ফেলানী । দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে অনন্তপুর সীমান্তের ৯৪৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ ও ৪ এস পিলারের কাছ দিয়ে ফেলানীর জামা আটকে যায় । বাবা সামনে চলে যাওয়ায় কাঁটাতারের বেঁড়ায় আটকে যাওয়া কিশোরী ফেলানী ভয়ে কেঁদে উঠে । আর ফেলানীর কান্নার শব্দ শুনে গর্জে উঠে নরপশু বিএসএফের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের সদস্যদের অস্ত্র । কাঁটাতারে ঝুলতে থাকে ফেলানীর রক্তাক্ত দেহ । গুলিবিদ্ধ হবার আধ ঘন্টা পর্যন্ত পানি পানি বলে চিৎকার করেছিল ফেলানী ; একসময় ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । চার ( ০৪ ) ঘন্টা এভাবে ঝুলতে থাকে ফেলানী । চার ( ০৪ ) ঘন্টা পরে ফেলানীর লাশ বাঁশে হাত - পা বেধে মরা গরু ' র মত ঝুলিয়ে নিয়ে যায় বিএসএফ ।
কিন্তু , সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে তার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কতোটা তা প্রশ্নসাপেক্ষ ৻ তবে , নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কথায় এটা স্পষ্ট যে খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতি রাষ্ট্রের আনুকূল্য যথেষ্ট ৻
আউটরাম ঘাট থেকে ভিক্টোরিয়ার দিকে যাওয়ার পথে তুললাম এই ছবিটি । ঠিক কাকের ছবি হিসেবে নয় , মনে হচ্ছিল সকালের প্রতীকি হিসেবে মুহুর্তটা খুবই মানানসই ।
তিন ছেলের পর এবার কন্যা সন্তানের বাবা - মা হলেন ফুটবলার ডেভিড বেকহাম ও সঙ্গীতশিল্পী ভিক্টোরিয়া বেকহাম । কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে ফেইসবুকে নিজের পৃষ্ঠায় বেকহাম লিখেছেন , " আমাদের কন্যা হারপার সেভেন বেকহামের জন্ম হওয়ার ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুব গর্বিত এবং সুখী বোধ করছি । " যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ৫৫ মিনিটে ভিক্টোরিয়া বেকহাম কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । তার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে হারপার সেভেন বেকহাম । এ নিয়ে বেকহাম দম্পতি চার সন্তানের পিতামাতা হলেন ।
অন্য এক হাদীসে সমস্ত মুসলিমদের একটি অখণ্ড প্রাচীরের সাথে তুলনা করে প্রিয় নবীজী ( স . ) বলেন , " মুসলিমগণ পরস্পরে একটি শীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় এবং একাংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে " ( বুুখারী ও মুসলিম ) ।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে । এ জন্য জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশ গর্ব করে বলতে পারে ' আমরা জাতিসংঘের শান্তি মিশনের একটি উল্লেখযোগ্য দাবিদার । ' কারণ বর্তমানে সংস্থাটির শান্তিরক্ষীদের ১০ ভাগই বাংলাদেশের । গতকাল রাজধানীতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা . দীপুমনি একথা বলেন ।
অবাক করা ব্যাপার হলো , এরা সচিবের বেতন ৪০ , ০০০ টাকা বলে লাফালাফি করে অথচ এরা তাদের প্রাপ্ত ভাতার কথা কি সুন্দর কড়ে এড়িয়ে যায় । সচিবদের কারনেই বাংলাদেশের মন্ত্রনালইয় গুলো এখন চলছে ও আগে থেকেই চলে আসছিলো । যদিও তারাও ঘুষ খায় । এইসব সাংসদ্দের টাকা কোত্থেকে আসে ?
লেখক বলেছেন : ধন্যবাদ অরণ্যচারী . . . আমাদের চিন্তাচেতনার দূর্ভিক্ষ কাটুক
দৃঢ় করি দুয়ি তনে নখ দিল ঘন ঘনে
দুরের বটগাছটাতে উথাল পাঠাল বাতাসের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে । তরুণ গাছটার বুড়োটে হলুদ পাতাগুলো এলোমেলো ছুটছে মুক্তির আনন্দে । পিচ ঢালা পথটা যেন নদী । বর্ষায় ভরভরন্ত যৌবন । ওই বাঁকে , এলোমেলো ওড়না নিয়ে ব্যাস্ত কিশোরী । আমি হেঁটে চলেছি . . . না . . . না . . . আমি নৌকা বেয়ে চলেছি পিচ ঢালা নদীতে । বাতাসের মাতলামিতে বারবার নিভে যাচ্ছে হাতের ম্যাচ , তবুও চেষ্টা করে চলেছি ।
" না , না , তাহা হইতে পারে না । অগ্রে মহারাজের সংবাদ , তাহার পর পুরী - প্রবেশ । পুরী - প্রবেশ করিয়াই সর্বাগ্রে রাজসিংহাসনের মর্যাদা রক্ষা ; পরে বন্দিমোচন । "
MySQL দিয়ে আমরা কোন ডেটাবেসে একটা query করতে পারি কোন নির্দিষ্ট কোন তথ্যের জন্য । এর ফলে সে একটা ফলাফল পাঠিয়ে দেবে । নিচে এমন একটা কোয়েরি দেয়া হল
ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন : একমত । তারা রড সিমেন্ট আর জায়গা জমির ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ।
অ : ট : @ serif john এবং জেলাল ভাই , এত বড় পোষ্টকে কোট করে শুধু ২ / ১ লাইন লেখাটা খুবই বাজে দেখা যায় , যথেষ্ঠ বিরক্তিকরও ।
@ ব্লগ ভাইয়েরা হাসান সাহেবের এই একই " টেবলেট " ( কপি - পেষ্ট ) আমার মনে হয় আরোও আট দশটি ব্লগারের মন্তব্যে পাবেন । আপনার উনাকে একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন ।
Closure Compiler ( code . google . com / closure / compiler ) একটি জাভা স্ক্রীপ্ট অপটিমাইজেশন টুল । এটি ব্যবহার করে সহজেই একটি বড় আকারের কোড থেকে সমান কার্যকরী ছোট কোডে রুপান্তর করা যায় । ত্রুটিপূর্ণ কোড , syntax এর ভুল , variable references ও ধরণ এবং জাভাস্ক্রীপ্টের সাধারণ ত্রুটি গুলি ( আরও … )
লেখক বলেছেন : ই - বুকটি অন্য সাইটে আপলোড করা হয়েছে । তাই অন্য কোথাও লিংক ব্যবহারে সমস্যা নেই । নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা যাবে ।
আযিযুল হক কলেজ সূত্র জানায় , একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১৭ জুন মেধা ও অপেক্ষমাণ মিলিয়ে এক হাজার ৪০০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয় । এর মধ্যে ৪৩০ জনের অপেক্ষমাণ তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে আপত্তি তোলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা । তাঁরা বলছেন , অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা সবাই এসএসসিতে গড়ে জিপিএ - ৫ পেয়েছে । কিন্তু বিষয়ভিত্তিক নম্বর কম পাওয়া সত্ত্বেও অনেকের নাম তালিকার প্রথম দিকে । আবার বেশি নম্বর পেয়েও কেউ কেউ নিচে স্থান পেয়েছে । অপেক্ষমাণ ওই তালিকার মধ্যে গ্রামীণ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদে বিজ্ঞানে ৯০ , মানবিকে ৭২ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৬৭ জনকে ২৩ জুন ভর্তির কথা জানানো হয় ।
চট্টগ্রাম , ১২ জুলাই ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । আজ মঙ্গলবার দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালক মো . মফিজ উদ্দিনকে আসামি করে স্থানীয় ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন । দুর্ঘটনার পর থেকে আসামি মফিজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে । মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান , পলাতক চালক মফিজকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে । গতকাল সোমবার মিরসরাইয়ের সৈদালী গ্রামে ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ছাত্রের মৃত্যু হয় । অভিযোগ রয়েছে এসময় ট্রাকের চালকের পরিবর্তে সহকারী আনোয়ার বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালাচ্ছিল । চলন্তাবস্থায় সে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল । এদিকে ঘটনা তদন্তে ওই দিনই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইবনে আলম হাসানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / এসআই / ডিএইচ / সস / ১৬ . ৩২ঘ )
দেশীয় রাজনীতিতে তারেক রহমান এক নক্ষত্র আর দেশ বিদেশে স্ব - নামধন্য জয় স্ব - নামধন্য - দু ' জনই বাংলাদেশ রাজনীতির আগামী প্রজন্ম - তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বোঝা চাপিয়ে দিয়ে নির্যাতনের পর নির্যাতনে তিনি দেশ ছাড়া কারন আগামী রাজনীতে তিনি যে অংশ গ্রহন করতে না পারেন কিংবা বি . এন . পির হাল ধরতে না পারেন যদিও তিনি দেশের মানুষের কাঝে খুবই প্রিয় হয়ে উঠছিলেন , আর জয় জন্মের পর থেকে বিদেশে অবস্থান এবং বিদেশীনি বিয়ের কারনে তিনি জনগনের কাছে অতটা গ্রহন যোগ্য নয় - তথাপি দু ' জনের মধ্যে কিছু অমিল নিয়ে " শামস " ভাই সুন্ধর বর্ননা দিয়েছেন - যা পড়লে ভালো লাগবে
ধন্যবাদ ওয়াংগং শেয়ার । আমার প্রয়োজন হলে গোবায় যোগাযোগ করব ।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন , " রাজশাহীর উন্নয়নে এখানকার সরকার দলীয় এমপিরা কোনো অবদান রাখতে পারেননি । তারা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত । বিগত বিএনপি ও জোট সরকারের সময়ই এ এলাকার উন্নয়ন হয়েছে । " সরকারের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন , " অল্প কিছুদিনের মধ্যে আ ' লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা - কর্মী রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করবেন । এ অবস্থা সারা দেশেই শুরু হয়েছে । "
লেখক বলেছেন : হ্যা , এমনই তো হয় । পাঠের জন্য ধন্যবাদ । সময় সহায় হোক । ।
তাই নাকি । স্ট্রেঞ্জ ! তবে এই রায়ই খালেদার জন্য একটি দন্ড । সে দন্ড সন্তান শাসন করতে না পারার অপরাধে ।
ঢাকা , ১০ জুলাই : হরতালেও ঢাকার পুঁজিবাজারে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে । চলতি বছরে সর্বচ্চ লেনদেন হয়েছে আজ ।
লোপা মমতাজ : কামোদ্দীপক অনেক কবিতা আপনি লিখছেন , আবার , আপনার ব্যক্তিগত এবং অন্যের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত , যা সে লুকাতে চায় এমন অনেক কিছুই আপনি অবলীলায় প্রকাশ করছেন , তাতে আপনার আপনজনরা বিব্রত হয় না ? যেমন আপনার মেয়ে . . .
- এর সাথে আছে Multiget । দেখতে কিছুটা ফ্ল্যাশগেটের মতে । লিংক : http : / / multiget . sourceforge . net / - আরো আছে ফায়ারফক্সের অ্যাডঅন " Downthemall " - জাভা ভিত্তিক প্লাটফর্ম ইনডিপেডেন্ট ডাউনলোড ম্যানেজার " JDownloader " . এটা দিয়ে র্যাপিডশেয়ার , মেগা আপলোড ইত্যাদি ফাইল হোস্টিং সাইট থেকে ফ্রি ডাউনলোড সার্ভিস থেকে ডাউনলোড করার সময় সিডিউল করে রাখা যায় । অর্থাৎ , ডাউনলোড হবে ফ্রি অ্যাকাউন্ট থেকেই । ডাউনলোড টিকেটের জন্য ওয়েটিং টাইম , ক্যাপচা ইত্যাদি সে নিজেই সামলাবে । সেইসাথে প্রথম ফাইলটি ডাউনলোড শেষ হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ফাইলটিও ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে । আপনাকে বার বার ব্রাউজারে একটা একটা করে লিংক দিয়ে ডাউনলোড করা লাগবে না । তবে এটা চালাতে গেলে র্যাম বেশি লাগে । তাতে পিসির র্যাম কম থাকলে সাধারণ কাজের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়তে পারে । তবে আমি প্রায়ই রাতে এইটা দিয়ে ডাউনলোড করতে দিয়ে ঘুমাতে যাই বা বিকালে বাইরে যাই । উঠে দেখা যায় দুই তিনটা ফাইল ডাউনলোড শেষ হয়ে গেছে । - এছাড়া Wine দিয়ে উইন্ডোজের প্রায় সবকটা ডাউনলোড ম্যানেজারই চালানো যায় ।
ছবিটি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
অজিত বলেছেন : দারুন লাগল ছবিগুলো । স্পেলবাইন্ডার ভাই , আমি এর পর মাস্টার্স , তারপর পিএইচডি করব , আমার সময় অফুরন্ত । তাই বুঝতেই পারছেন , আমার তিনবছর ওয়েট করতে কোন সমস্যা নাই লাইনে থাকব নাকি
উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন এখনো বন্ধ হয়নি । অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন রহস্যজনক কারণে উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে । ফলে নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম রয়েছে ভাঙনের হুমকির মুখে । এদিকে বালি উত্তোলনের কারণে বিয়ানীবাজারে নদী ভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে । নদী তীরে বেশ কয়েকটি গ্রাম বালি উত্তোলনের কারণে নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে ।
চাঁদপুরে ৬ টি পৌরসভা , ৬০ টি ওয়ার্ড , ১৯৫ টি মহল্লা , ৭ টি উপজেলা , ১ টি থানা , ৮৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১২২৬ টি গ্রাম রয়েছে ।
দুপুর ১২ পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ২১৮টি ইস্যুর মধ্যে ১৭৫টির দর ঊর্ধ্বমুখি , ২৮টির নিম্নমুখি ও ১৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল । ৪৭ হাজার ৫১৪ হাওলায় এ সময় হাতবদল হয় দুই কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৮৬টি শেয়ার ও ইউনিট ।
গুগল ওয়েভে সবকিছুই শেয়ার্ড । আর এটি অনেকটা উইকিপিডিয়ার মতো । এখানে প্রকাশিত তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েভের যে কেউ সম্পাদনা করতে পারবে । অর্থাৎ , একটি কমিউনিটির মিলনমেলা হতে পারে গুগল ওয়েভ ।
বিডিপালসের সূচনা থেকে বেশ কয়েকজন ব্লগার নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন সৃজনশীল টেকনোলজিক্যাল ব্লগ । প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্লগার আসছেন এবং বিডিপালস পরিবারের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন । সবাইকে স্বাগতম ।
( ২ ) মঞ্জুরী কমিশন তত্কর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য প্রত্যেক পরিদর্শন বা মূল্যায়নের অভিপ্রায় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বাহ্নে অবহিত করিবে এবং এইরূপ পরিদর্শন ও মূল্যায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধত্বের অধিকার থাকিবে ৷
মডেল পিএসসি ২০০৮ অনুসারে কনোকো ফিলিপস এর সাথে সরকারের সাগরের গ্যাস ব্লক ইজারা চুক্তি নিয়ে সরকার , কম্পানির ভাড়াটে বিশেষজ্ঞ এবং কর্পোরেট মিডিয়া নানান ধরণের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ; সাগরের গ্যাস ব্লক নিয়ে করা চুক্তিকে বিভ্রান্তির ঘোলা জলে ফেলে বহুজাতিকের স্বার্থ উদ্ধারে সদা তৎপর এরা । ফলে এই চুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে সেগুলোর জবাব দেয়া জরুরি । তার আগে চুক্তির কয়েকটি ধারা সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক ।
ভাইসাব আগে নিজের ঘর সামলান ! ! কাজে না মহাশয় , চিন্তায় ইউনিভার্সাল হতে হয় ! আপনি সারাবিশ্বের , সর্বধর্মের জন্য কাজ করতে পারবেনও না , সেটা আপনার দায়িত্বও না , আপনার দায়িত্ব নিজের ঘর সামলোনা ! ! তাছাড়া পূর্বে বহু পোস্টে আপনাকে বাংলাদেশের রাজনীতি , তারেক , খালেদা হাসিনার দূর্নিতি নিয়ে জ্বালাময়ি কমেন্ট করতে দেখেছি ! তখন কি ভ্রাত পেরু , কঙ্গো , মেক্সিকো ! আফগান , জর্জিয়ার রাজনীতিক সমস্যা মাথায় ছিলো ? ? ? এহেন এসকেপিস্ট মন্তব্য আপনি করিবেন আশা করিনাই ।
এই ভবিষ্যদ্বাণীও কত মহিমার সাথে পূর্ণ হয়েছে তা দেখুন ! আজ আমাদের সম্পর্কে বলা হয় , আমরা নাকি জিহাদ বিরোধী , কাশ্মীরিদের বিরোধী । কিন্তু হযরত মুসলেহ্ মওউদ ( রা . ) যে চেষ্টা বা উদ্যোগ নিয়েছিলেন , সে সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরছি । কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন তিনিই আরম্ভ করেছিলেন কেননা ' অল ইন্ডিয়া কাশ্মীর ' নামে যে কমিটি বানানো হয়েছিল এর নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত ছিলো । আর অনেক বড় বড় মুসলমান নেতা এই কমিটির সদস্য ছিলেন । যেমন , স্যার জুলফিকার আলী খান , ড . ইকবাল , খাজা হাসান নিযামী , সৈয়দ হাবীব , বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং রাজনীতিবিদ প্রভৃতি । এদের সবার পরামর্শক্রমে হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী ( রা . ) - কে এই কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয় । আল্লাহ্ তা ' লার ফযলে এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে নূন্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত সেসব কাশ্মীরি মুসলমানদেরকে স্বাধীনতা প্রদান করা হয় । মুসলিম প্রেস হযরত মুসলেহ্ মওউদ ( রা . ) - র এই সুমহান কর্মের স্বীকৃতি প্রদান এবং তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করতে গিয়ে একথাও লিখেছে ,
ঢাকা ডেস্ক : ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ডাকা ৪ঠা এপ্রিলের হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম । আজ ( শুক্রবার ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ' বর্তমান রাজনীতি , বিরোধী দলের অপতৎপরতা ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান ।
@ Sushanta Kar , ১ । হ্যাঁ , আপনি পেরেছেন । ২ । পেস্ট করা লেখা স্পষ্ট করে দেখার সমস্যার সমাধানের জন্য এই পোস্ট দেখুন ।
খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বেকারত্ব দূর করার দাবিতে সম্প্রতি বিশ্বের বহু দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে । এই কাতারে ভারতও যোগ দিল । তবে লক্ষণীয় বিষয় ছিল , এতে শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধির এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে শেস্নাগান দেয়া হয় । সরকারের বিরুদ্ধে একটি কথাও ছিল না । উড়িষ্যা থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা এক বিক্ষোভকারী বলেন , সংসদে আমাদের দাবির প্রতিধ্বনি তুলতেই আমরা এখানে এসেছি । তারা দেখুক সাধারণ মানুষ কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । একটি ব্যানারে লেখা ছিল , ' মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে খুন করবে ' । কৈলাস সেন নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন , ' আমরা দৈনিক কাজ করে মাত্র ১০০ থেকে ১২৫ রুপি মজুরি পাই । খাদ্যের মূল্য যদি এভাবে বাড়তে থাকে তবে বাঁচব কিভাবে ' । গত বছরের অধিকাংশ সময়েই ভারতে খাদ্যমূল্য চড়া থাকায় গরীব মানুষরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছে । ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতিকে দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ।
দেশে ডিজিটাল মিউজিয়াম তৈরী হতে পারে । তৈরী থাকুন ।
' তূর্য ! সাবধান ! বাসের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমায় গেছেন ! ' ' কই . . . , সত্যিইতো ! ' ' দেখ ভালো করে . . . ' এমনই কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আমাদের বাস দক্ষিণ কোরিয়ার ইস্ন এয়ারপোর্ট থেকে ডামইয়াং এর উদ্দেশ্যে চলছে । মঙ্গোলয়েড হবার কারণেই সম্ভবত কোরিয়ানদের চোখ খানিকটা ছোটো হয়ে থাকে । তবে আমাদের বাসের ড্রাইভারের চোখটা আসলে একটু বেশিই ছোটো ছিলো ।
তিনি ট্রাইব্যুনালের রেজিষ্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে বলেন , ' ' আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলো যদি মানতে রাজি না হন তাহলে পরিষ্কার করে বলুন । আর যদি এটাকে দেশীয় ট্রাইব্যুনাল বলেন তাহলে অভিযুক্তকে তার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার দিন । ফৌজদারী কার্যবিধি প্রয়োগ করুন । সাক্ষ্য আইন অনুসরণ করুন । একজন অভিযুক্তকে তার সব অধিকার দিন । একই মুখে দুই কথা বলবেন না । সভ্য আচরণ করুন । "
আর কারো কথা জানি না , আমার সমর্থন অন্ততঃ এই পশুরা পাবে না । আমি নিশ্চিতঃ আপনার লেখা আমার মতো আরো অনেকের মধ্যে এধরনের পরিবর্তন এনেছে এবং আনবে । পরিবর্তন তো একজন একজন করেই শুরু হয় । হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে . . . . . . . . .
১ . হলিউডের সবচাইতে বেশি বাজে মুভি তৈরি হয়েছে হরর জেনারের - - আমার নিজস্ব মতামত । হররের নামে উদ্ভট গেটআপ আর সাউন্ড এফেক্ট , হঠাৎ করে নীলমুখের এক বান্দর মুখের সামনে লাফ দিয়ে উঠবে আর বাজ পড়ার মতো আওয়াজে আপনি চমকে উঠবেন - - এটুকুকেই হরর সীন বলা যায় এসব মুভির । বলছি না যে হরর জেনারের সব সিনেমা রদ্দি মাল . . . কিন্তু যে কয়খানা হরর আমাকে মুগ্ধ করেছে , তা মুভির অসাধারণ গল্প - ট্যুইস্ট - অভিনয় দিয়েই মুগ্ধ করেছে , ভয় দেখিয়ে মুগ্ধ করা তো দূরের কথা , হাতের দু - তিনখানা লোমও দাঁড়া করাতে পারেনি । সিনেমা দেখে এই বয়সে ভয় পাওয়া না হলেও আরেকটু কচি বয়সে " জী হরর " দেখেও ভয় পেতাম । তখনো মেকআপ এর উদ্ভটতা , কাহিনীর অবাস্তবতা কিংবা " ভূত বলে কিছু নাই " টাইপ জ্ঞান ছোট্ট মাথায় খেলতো না । পানির তলা থেকে হাঙ্গর যখন করাতমার্কা দাঁতের সারি বাগিয়ে টিভির পর্দায় লাফ দিত , আমরা তখন তার দ্বিগুণ লাফ দিয়ে সোফার উপর উঠে বসতাম , যেন সোফার নিচেই হাঙ্গর বসে আছে পা টেনে নেবার জন্য ।
পারিবারিক সূত্র জানায় , গত ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর গতকালই প্রথম পরিবারের লোকজনের সাক্ষাত্ পেলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী । বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের হাজতখানায় পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি । এসময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় । গ্রেফতারের পর ৬ দিনে তার জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দুঃসহ দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন তিনি । ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায় , সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মানসিক অবস্থা এখনও আগের মতোই আছে । তিনি ভেঙে পড়েননি । তিনি স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে এবং পরিবারের উদ্দেশে বলেছেন , তার মনোবল অটুট আছে , থাকবে । সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তাদের বলেছেন , ' আমাকে সাফ করে দেয়া এতটা সহজ নয় । দল যদি পাশে থাকে ওরা আমার কিছুই করতে পারবে না । ' এসময় পরিবারের সদস্যরা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন , ম্যাডামের কাছে ( বিরোধীদলীয় নেতা ) আপনার সব খবর আছে । আপনাকে গ্রেফতার এবং নির্যাতনের বিষয় নিয়ে দলীয় পক্ষ থেকে কর্মসূচি চলছে । সাধারণ মানুষ সরকারের এসব বিষয় ভালোভাবে নেয়নি বলেও তাকে অবহিত করা হয়েছে । পরিবারের কাছ থেকে এসব কথা শুনে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মনোবল আরও দৃঢ় হয়েছে বলে জানা যায় ।
ওয়েব ডিজাইন » ৮ ডিসেম্বর , ২০১০ » 483 বার দেখা হয়েছে
খেলার দিন সকাল দশটা থেকে র্যাবের চারটি ইউনিট স্টেডিয়ামের বাইরের চারটি গেটে অবস্থান নেবে ।
এইসব নিয়ে আমরা মতামত দিতে পারি । আসুন আমারা শেয়ার করি আমাদের চিন্তা ধারা । তবে একটি অনুরোধ আমরা যেন রাজনীতির খাতিরে রাজনীতিবিদদের মত কথা না বলি ।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ক্লাব ফুট রোগ আক্রান্ত সকল মানুষের সুচিকিৎসা করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়ার মহতি এই উদ্যোগের কথা আপনাদের জানিয়েছিলাম । পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে এর বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তারা তাদের এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । উপরের ছবিতে ইতিমধ্যে স্হাপিত ক্লিনিক ও
তো সেই লক্ষ্যে আই এস আই , হরকাতুল জিহাদ - ই - ইসলামি , লস্কর - ই - তাইয়েবা , জইশ - ই - মুস্তাফা সহ অসংখ্য জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তুলে তাদের দিয়ে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী মুজাহিদীন বাহিনী ( JKLF ) নামে কাশ্মীর সহ ভারত জুড়ে সন্ত্রসী হামলা , বোমাবাজি করে তছনছ করে ফেললেও মুসলিম বিশ্ব আর সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে তারা সেই পূত - পবিত্র গোয়েন্দা সংস্থাই রয়ে গেছে । ৯ / ১১ এর হামলা না হলে পুকিদের তথা আইএসআই এর আসল রূপটা সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে অজানাই থেকে যেত ।
@ নিলয় আলোকচিত্রী , এখনো তো মরি নাই । মারা গেলে আপনাকে কনফার্ম করব ।
মিসরের অধিকাংশ মানুষ ইসলামী শাসনের পক্ষে মিসরের অধিকাংশ নাগরিক দেশটিতে ইসলামী শাসন চায় বলে সম্প্রতি দেশটিতে চালানো এক জনমত জরিপে বলা হয়েছে । আধা - সরকারী ' আল - আহরাম ' পত্রিকার পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে , মিসরের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ ইসলামী শাসন ব্যবস্থা চায় । অন্যদিকে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষের পছন্দ শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক সরকার । শতকরা মাত্র ৪ ভাগ মানুষ সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থার পক্ষে মত দিয়েছে । এছাড়া শতকরা তিন ভাগ মানুষ মনে করে , মিসরের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সামরিক শাসন যরূরী । তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনী মুবারকের পতনের দু ' মাসেরও বেশী সময় পরে মিসরে এ জনমত জরিপ চালানো হয় । ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু ৯ / ১১ - এর হোতা বলে কথিত আল - কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন গত ২রা মে রাতে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে মার্কিন সেনা হামলায় নিহত হয়েছেন । পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৯০ কিঃমিঃ দূরের সেনাশহর অ্যাবোটাবাদের ঐ দোতলা বাড়িতে গত ৬ বছর ধরে নাকি তিনি বসবাস করে আসছিলেন । ওসামাকে হত্যার দায়িত্ব পালন করে মার্কিন বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ' ইউএস নেভি সিল ' । বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর শত্রু ওসামাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল দেশটি । অবশেষে গত বছর আগষ্ট মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ উক্ত বাড়িটিকে শনাক্ত করে । তখন থেকে তারা বাড়িটির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছিল । অতঃপর ২রা মে গভীর রাতে আফগানিস্তান থেকে গোপনে পাকিস্তানী রাডারকে ফাঁকি দিয়ে ৭৯ সদস্যের মার্কিন মেরিন সেনার একটি দল চারটি হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করে ঐ বাড়ির আঙিনায় । মার্কিন সূত্র মতে মাত্র ৪০ মিনিটেই বিন লাদেন হত্যা অভিযান শেষ হয় । গুলী করে হত্যা করা হয় বিন লাদেন সহ অন্যদেরকে । এরপর তারা দ্রুত ওসামার লাশ হেলিকপ্টারে করে আফগানিস্তানে তাদের সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যায় । অতঃপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে আরব সাগরে মোতায়েন একটি সেনা জাহাযে স্থানান্তর করা হয় এবং বিন লাদেনের অনুসারীরা যাতে লাশকে ঘিরে ' মাযার ' গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য তার লাশ সাগরে সমাহিত করা হয় । এদিকে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী নানা জল্পনা - কল্পনার ডানা মেলছে প্রতিনিয়ত । বের হচ্ছে নিত্য - নতুন তথ্য । ' পাকিস্তান অবজারভার ' পত্রিকায় গত ১২মে " Dead Osama was brought into Abbotabad and killed " শিরোনামে পত্রিকাটির ওয়াশিংটন প্রতিনিধি জানিয়েছেন , কয়েক বছর আগেই ওসামাকে হত্যা করা হয় । ঘটনার দিন বরফ কফিনে ভরা ওসামার লাশ নিয়ে এসে অ্যাবোটাবাদের ঐ বাড়িতে হত্যার নতুন নাটকটি সাজায় যুক্তরাষ্ট্র । ঐ সূত্র মতে , আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটিতে ওসামার লাশ এতদিন সংরক্ষিত ছিল ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা কি সমস্যা নয় ? বিএন পি - জামায়াত সরকারের সময়ে বাংলা ভাই , শায়খুল হাদিস , ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমাবাজি - এসব কি সমস্যার আওতায় পড়ে না ? উত্তর : আমি মনে করি না । বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা বড় কোন সমস্যা এখনো হয়নি । জনগণ যদি ভোট দিয়ে মৌলবাদীদের নির্বাচন করে , তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে তাদের কি বাদ দেয়া যায় ? হোক না তারা মৌলবাদী । … প্রশ্ন : এ দুর্মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের মানুষ এখন কেমন আছে ? উত্তর : সবাই খুব ভাল আছে । বিশ্বের সব জায়গাতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি । এখনো বাংলাদেশে চালের দাম বিশ্বের যে কোন জায়গার চেয়ে কম ।
আসল ব্যাপার হোল এই লোকগুলো যাকে ফোন দেয় তা একটি দোকানের মালিকের নাম্বার । তারা তার ভিজিটিং কার্ড থেকে আমাকে ফোন দেয় । আমি তো ভাবি এ কেমন লোক যে তার কার্ডে ভুল নাম্বার ছাপিয়ে দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছে ।
লেখক বলেছেন : এট্টু কম লিক্ষা দেখলাম আর কি . . . ডেমো ভারশন
তূর্য বলেছেন : ধরেন আমি রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে বিড়ি ফুকতেছি , মুরুব্বীদের বেইল দিচ্ছি না . . . তখন দুইজন মুরুব্বী একজন আরেকজন কে বল্লেন , " দেখছেননি কারবার , ম মিয়ার পোলাদা কি বেয়াদপ ? ? ? ম মিয়া নিজে ভালা মানুষ হইলে কি হইব , পোলাডারে মানুষ করতে পারল না ! ! ! ! " বুঝাতে পারলাম কি ভাই ? ? ?
পোস্ট করা হয়েছে : রবি মে ২৫ , ২০০৮ ১০ : ৩১ অপরাহ্ন
কলকাতা , ১৩ মে : মমতা একাই সরকার গড়তে পারবেন । জোটের শরিক কংগ্রেসকে এখন আর তোয়াজ না করলেও চলবে । সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন । মমতার তৃণমূল পেয়েছে ১৮৪টি । আর তার প্রধান শরীক কংগ্রেস পেয়েছে ৪২টি ।
( ৫ ) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় ও নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে ৷
অবশ্যই rc হলো টেস্টিং ভার্শন - এখনো কিছু বাগ রয়ে গেছে । আর rtm হলো ফাইনাল ভার্সন , বাগটাগ যা ফিক্স করার ছিলো তা হয়ে গেছে , আর কোনো অদলবদল হবেন । তবে উইন্ডোজ ৭ - এর ২টা ফর্ক আছে , এই ভার্সনটা হলো rc লাইনের লেটেস্ট এডিশন । আরেকটা আছে winmain - ওটার অবস্থা কি জানিনা । তবে rtm - এ পৌছে গেছে যেহেতু , ফাইনাল রিলিজের আর বেশি দেরী নেই . . .
চবিতে নেত্রীকে নিয়োগ না দেয়ায় শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম , ৭ মার্চ ( শীর্ষ নিউজ ডটকম ) : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রবীণ শিক্ষক প্রফেসর হাসানুজ্জামান চৌধুরীকে তালাবদ্ধ করে রাখে । আজ রোববার এ ঘটনা ঘটে । আটক শিক্ষককে প্রায় ১ ঘণ্টা পর চবি প্রক্টর তালা ভেঙ্গে সেখান থেকে মুক্ত করেন । ছাত্রলীগ তাদের নেত্রীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে । ছাত্রলীগ নেতারা জানান , চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত পরীক্ষায় চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম - সম্পাদক মুন্সি তানিয়া আফছার চম্পা ও ছাত্রলীগ নেতা আরিফ বাবুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণ করে । সেখান থেকে শিক্ষক সিলেকশন কমিটি ছাত্রলীগ নেতা আরিফ বাবুসহ ৪ জনকে নিয়োগের জন্য বাছাই করলেও চম্পাকে করেনি । এ সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড . আবু ইউসুফ , সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আবুল কাসেম চৌধুরী ও প্রফেসর হাসানুজ্জামান চৌধুরী । এ নিয়ে আজ রোববার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগে প্রফেসর হাসানুজ্জামান চৌধুরীকে তার কক্ষে আটকে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয় । প্রায় ১ ঘণ্টা পরে চবি প্রক্টর প্রফেসর ড . জসিম উদ্দিন তালা ভেঙ্গে তাকে বের করে আনেন । এদিকে ছাত্রলীগ তাদের নেত্রীকে অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে যোগ্য বলে দাবি করে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে । চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম - সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন , নিয়োগ দেয়া অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে চম্পা অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন । সে ছাত্রলীগ করে বলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি । আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি । ( শীর্ষ নিউজ ডটকম / এসআই / এস / সস / ২১ . ৪১ঘ . ) http : / / www . sheershanews . com / index . php ? option = com_content & view = article & id = 13961 : 2010 - 03 - 07 - 16 - 09 - 55 & catid = 52 : 2009 - 07 - 24 - 13 - 37 - 08 & Itemid = 59
মশা অতিবিরক্তিকর প্রাণী । এই ছোট্ট একটা প্রাণীর বিরক্তিকর গুণ গুণানিতে আমাদের অবস্থা মৃতপ্রায় : হয়ে উঠে । মশা মারতেও পারি না আবার ধরতেও পারি না । মশা মারা জন্য আমাদের মানব সমাজে যেই সকল বিষ তৈরী হয়েছে তাহল -
ছাত্র জীবনে তিনি সব সময় আমার পাশে ছিলেন । ভার্সিটির একাডেমিক প্রয়োজন ছাড়াও ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও আমি স্যারকে একান্ত বন্ধুর মত , মুরুব্বির মত কাছে পেয়েছিলাম । তিনি অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে মানুষকে গ্রহণ করতে পারতেন । তাঁর মধ্যে কখনো কৃত্রিমতা ছিল না । তিনি পদ বা পদবীর জন্য কখনো ভূষণ এবং ভাষণ পরিবর্তন করেন নি । তিনি ছিলেন খাঁটি চাঁটগায়্যা ঘরানার জাতীয়তাবাদী বৈশ্বিক বাঙ্গালী । দেশ ছিল তাঁর চেতনায় , স্বকীয়তা ছিল ব্যক্তিত্বে , মনীষার দীপ্তি ছিল লেখায় এবং বক্তব্যে , - বক্তব্য ছিল রসময় , প্রাণময় চট্টগ্রামের শব্দ - সুধার বিপুল আয়োজন ।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারির পর ঢাকার রাস্তায় কোনো ফিটনেসবিহীন ও রংচটা গাড়ি চলতে পারবে না । বৃহস্পতিবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বাস মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
পৈশাচিক নখ দন্ত উঁচিয়ে সদম্ভে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ধর্মান্ধ খুনীর দল । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই বর্বর শক্তিকেই নিজেদের কাজে লাগানোর কৌশল গ্রহণ করেছে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার । আবার এমনও হতে পারে , রাজনৈতিক কর্তৃত্বহীন আমাদের ' তত্ত্বাবধানকারীরা ' এই অপশক্তির উপর নির্ভর করে নিজেদের রাজনৈতিক কর্তৃত্বহীনতার অপবাদ দূর করতে চাইছেন । কয়েকটি ঘটনার পরম্পরা দেখলেই এই সন্দেহ আরো দানা বাধবে , দুঃস্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ নেয়ার আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করবে ।
আমার বর্ণমালাসহ ৭৮টি বাংলাব্লগ একসাথে পাবার সাইট : শাহ আলম বাদশা
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো , সাকাবিরোধী মেরূর পত্রিকাবলয়ের এসব প্রচারণায় অনুপ্রাণিত ( ! ) হয়ে সাকাপক্ষীয় পত্রিকাবলয় আর বসে নেই । একদিকে সাকাবিরোধী পত্রিকাবলয় বলছে , সাকাতো তার সব কেচ্ছা - কাহিনী ও হাবিজাবি গোয়েন্দাদেরকে শুনিয়ে দিয়ে একেবারে চিচিং ফাঁক করে দিয়েছে । অন্যদিকে তার পক্ষের পত্রিকাবলয় প্রচার করছে , সাকার কাছ থেকে কচুও বাহির করতে পারেনি গোয়েন্দা বাবাজিরা ।
বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই প্রকৃতির সবচেয়ে বড় বড় বিস্ময়গুলো দেখে যাওয়া সম্ভব না । আমরা কখনই কলোসাল স্কুইড মাছের বাস্কেটবল আকৃতির চোখ দেখতে পারব না । নারহাল তিমির পঙ্খীরাজ ঘোড়ার মত শৃঙ্কও আমরা হয়ত শুধু ছবিতেই দেখব ।
গুগল এই যে এতো কিছু সার্চ করে আনে এটা গুগলের ক্রেডিট কিন্তু গুগল রেজাল্টগুলো দেখায় বিভিন্ন সাইটের লিঙ্ক আর কিছু নিজের ক্যাশ , আর্কাইভ থেকে । যেমন যে কোন তথ্যের জন্য অনলাইনে উইকিপিডিয়া হলো অন্যতম । গুগল সার্চে প্রায় দেখা যায় উইকিপিডিয়ার লিংক আগে থাকে । গুগল বট ক্রিপ্ট ব্যবহার করে উইকি সহ প্রায় জনপ্রিয় বেশির ভাগ সাইট ( হিট বা গুগল র্যাংক এর প্রাধান্য অনুসারে ) প্রায় প্রতিদিন ইনডেক্স করে । এখন যদি এমন হয় উইকির মতো সব তথ্য গুগলের নিজের থাকবে তাহলে কেমন হবে ? হ্যাঁ গুগল ঠিক সেই ধরনের একটা কাজ করতে যাচ্ছে । গুগলের একদম সাম্প্রতিক প্রজেক্টের নাম ' গুগল নোল ( Google Knol ) ' । আমার এই পোস্টের আসল বিষয় বস্তু গুগল নোল নিয়েই ।
উপরের এই দুই আলোচিত ব্যাক্তির উভয়েই আন্তর্জালে ঝড় তুলেছেন তাদের কাজের মাধ্যমে । এই একটা দারুণ মিল রয়েছে বটে তাদের । জুকারবার্গ সামাজিক যোগাযোগের একটা সহজ পদ্ধতি দেখিয়েছেন । আর অ্যাসঞ্জ বুঝিয়েছেন সাংবাদিকতা আসলে কেমন হতে পারে । এই দেখানো আর বোঝানোতে উভয়েই প্রযুক্তিকে বেছে নিয়েছেন ।
মুজাহিদ ও সাঈদী আরো ৪ দিনের রিমান্ডে স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নয় দিনের রিমান্ড শেষে আরো চারদিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে । হরতালের আগের দিন রাজধানীর মগবাজারে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে রমনা থানার মামলায় গত ৩০ জুন আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর কারেছিল । গতকাল শনিবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ড . আবদুল মজিদ ( সিএমএম ) রমনা থানার এই মামলায় রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন । এদিকে পল্টন থানা পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গত ২৫ জুন দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ দু ' নেতার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করেছেন । এর আগে পল্টন থানার পৃথক তিনটি মামলার নয় দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করা হয় । গতকালই মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পল্টন থানার দুইটি মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তৃতীয় মামলার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে । আদালতে শুনানি শেষে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ দু ' নেতার আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মশিউল আলম বলেন , পাঁচটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জামায়াত নেতৃবৃন্দকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন । এক টানা নয় দিন রিমান্ড শেষে সরকার পক্ষ রমনা থানার মামলায় চারদিনের রিমান্ডের অনুমতি চাইলে আমরা বয়োজ্যেষ্ঠ বিবেচনায় তাদের বিশ্রাম দেয়ার আবেদন করে বলেছি পল্টন থানার তিন মামলায় পৃথকভাবে তাদের একটানা নয় দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে । তারা বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ । গত নয় দিন তারা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেননি । রাতে তাদের মাথার ওপর উচ্চ ক্ষমতার বাতি জ্বালিয়ে রাখার কারণে এমনটি হয়েছে । এছাড়া বয়সের কারণে দু ' জনেই উচ্চ রক্তচাপসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন । ফলে তাদের বিশ্রামে রাখা প্রয়োজন । এ পর্যায়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হোক । কারাগারে সুস্থ হয়ে ওঠার পর এ মামলায় তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে । আদালতের আগের আদেশ অনুযায়ী দু ' জনের সুচিকিৎসার আবেদন জানিয়ে বলেছি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছেন । তাদেরকে ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করা এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হয়নি । আমরা আদালতে বিষয়টি জানালে আদালত ওকালতনামায় স্বাক্ষর করার অনুমতি দিয়েছেন । এছাড়া আদালত পল্টন থানার ২৫ জুনের মামলায় আমাদের করা জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন । সরকার পক্ষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত - ৫ এর স্পেশাল পিপি কামরুল হাসান খান ( আসলাম ) বলেন , রমনা থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের অনুমতির আবেদন করায় বলেছি আসামীরা সুস্থ । রিমান্ড শুরু অনুমতি না দিয়ে তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা উচিত হবে না । কারণ একই ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত ৩০ জুন চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন । আদালতকে বলেছি হরতালের আগের দিন রমনা থানা ঘটনার সঙ্গে আসামীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে । তাদের নির্দেশেই গাড়ি পোড়ানো হয়েছে । এ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে । গতকাল দুপুর থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয় । আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয় । আইনজীবী যারা ছিলেন : গত শনিবার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মশিউল আলম , এডভোকেট মোঃ আবদুর রাজ্জাক । আদালতে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান , এডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন , এডভোকেট মো . ইউসুফ আলী , এডভোকেট মো . আবদুর রশিদ , এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ , এডভোকেট জালাল উদ্দিন , এডভোকেট শামসুল ইসলাম আকন্দ , এডভোকেট আকতারুজ্জামান সোহেল , এডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লাসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী । ডিবি - আদালত - ডিবি অফিস : বেলা ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের কড়া প্রহরায় প্রিজন ভ্যান ( ঢাকা মেট্রো অ - ১১ - ১৬৩২ ) এ করে মিন্টো রোডস্থ ডিবি অফিস থেকে তাদেরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় । আদালতের কার্যক্রম শেষে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে একই প্রিজনভ্যানে করে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় । তাদের বহনকারী প্রিজনভ্যানটি বিকেল ৫টা ২ মিনিটে ডিবি অফিসে পৌঁছে । যে মামলায় রিমান্ড : গত ২৭ জুন রমনা থানার ৫৫ নং মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে । মামলার ধারাগুলো হচ্ছে , ১৪৩ / ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩১৬ / ৩০৭ / ৪৩৫ / ৪২৭ / সংযোজিত ৩০২ । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হচ্ছেন এসআই জাকির । তাদের বিরুদ্ধে মিছিল সহকারে এসে গাড়িতে পেট্রাল ঢেলে অগ্নিসংযোগ , মারাত্মক জখম ও হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে । গতকাল মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরিত করা হয় । এর আগে তদন্ত করে থানা পুলিশ । ২৯ জুন গ্রেফতারের পর ৩০ জুন জামায়াতের শীর্ষ এই তিন নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলাটি জামিন যোগ্য হওয়ায় সরকার আরো পাঁচটি মামলা প্রস্তুত করে রেকর্ড ৫০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে । আদালত পাঁচটি মামলায় ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে । এগুলো হচ্ছে পল্টন থানার তিন মামলায় ৯ দিন , রমনা থানার একটিতে ৪ দিন এবং উত্তরা থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ৩ দিন করে মোট ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত । এর মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মামলায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন । সারাদেশে নেতা - কর্মী গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জুলুম নির্যাতন করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না - ছাত্রশিবির ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা . মো . ফখরুদ্দিন মানিক গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন , সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে যেভাবে ইসলামী আন্দোলনের নেতা - কর্মীদেরকে গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতন করছে সেটি গণতান্ত্রিক দেশে আর চলতে দেয়া যায় না । সরকারের এ ধরনের হীন আচরণ দেশের জন্য উদ্বেগজনক । তারা বি - বাড়িয়া , নওগাঁ , নরসিংদী , কিশোরগঞ্জ ও জয়পুরহাটে ৪৪ জন নেতা - কর্মীকে গ্রেফতার এবং বাগেরহাটে ছাত্রশিবির কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশি ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । নেতৃদ্বয় বলেন , জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশ যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ঠিক তখন সরকার তার পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গ্রেফতার করছে গোপন মিটিং ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধাদানের অভিযোগে যা অত্যন্ত হাস্যকর ও লজ্জাজনক । অথচ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদে বারবার প্রতিনিধিত্বকারী বৈধ রাজনৈতিক দল যার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন রয়েছে এবং ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন । গণতান্ত্রিক দেশে সভা - সমাবেশ , প্রতিবাদ , মানববন্ধন , পোস্টারিং ও ক্যাম্পেইন করা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার । সরকার সে অধিকারে বারবার হস্তক্ষেপ করছে । এ সকল কাজ করতে গেলে সরকার তার পুলিশ বাহিনী , ছাত্রলীগ - যুবলীগকে দিয়ে সেখানে যৌথ হামলা চালাচ্ছে , আহত করছে , অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন । সরকারকে বারবার অনুরোধ করার পরও এগুলো থেকে নিবৃত হচ্ছে না । বরং তারা আরো বেশি পৈশাচিক আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ । তারা বলেন , সরকার মানুষের জান - মালের নিরাপত্তাকে ভূলুন্ঠিত করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায় । এভাবে চলতে থাকলে কখনো জনগণ আপনাদেরকে ছাড় দিবে না । জনগণের গণআন্দোলনকে গ্রেফতার , জুলুম - নির্যাতন দিয়ে কখনো দমিয়ে দিতে পারবেন না বরং সে আন্দোলন আরোও শক্তিশালী হবে । তাই এ সকল হিংসাত্মক আচরণ পরিহার করে বিরোধীদলকে তাদের কর্মসূচী বাস্তবায়নের সুযোগ দিন । নেতৃদ্বয় আরো বলেন , গতকাল সারাদেশে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগাতে গেলে পুলিশ নির্যাতন করে নেতা - কর্মীদেরকে গ্রেফতার করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত । এই পর্যন্ত সারাদেশে ছাত্রশিবিরের ৩০৪৬ জন নেতা - কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এ ধরনের কাজ গণতান্ত্রিক দেশে ঘৃণ্য যা আমাদের দেশে অহরহ অবিরাম গতিতে চলছে । নেতা - কর্মীদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হবে , সভা - সমাবেশ করা হবে , মানববন্ধন করা হবে ও প্রতিবাদ করা হবে - এগুলো সাংবিধানিক অধিকার । সরকার সে অধিকারে বারবার হস্তক্ষেপ করে প্রমাণ করেছে তারা এদেশে তাদের মতের বিরোধী কোন দল রাখতে চায় না , একদলীয় ফ্যাসিবাদী বাকশালী স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করতে চায় । ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ পরিচালনা করুন নচেৎ জনগণ এমন দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে এই বাংলাদেশের মাটিতে আপনাদের আর ঠাঁই হবে না । নেতৃদ্বয় অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতা - আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী , নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা - কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে , সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং রিমান্ডের নামে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে । স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোন জঙ্গী সম্পৃক্ততা নেই - তাসনীম আলম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু গত ৯ জুলাই সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হলে আয়োজিত এক ইমাম সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্যে ' ' জামায়াতের জঙ্গী সম্পৃক্ততা রয়েছে ' ' মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম গতকাল শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন । বিবৃতিতে তিনি বলেন , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোন জঙ্গী সম্পৃক্ততা নেই । এইগুলো জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয় । বহুপূর্ব থেকেই একটি বিশেষ মহল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আসছে । কিন্তু এই সব অপপ্রচার বরাবরই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে । তিনি বলেন , উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়া স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য করা মোটেই সমীচীন হয়নি । তিনি আশা প্রকাশ করেন , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার পদমর্যাদার কথা খেয়াল রেখে এই ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন । শিবিরের ৩০৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশে এ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩০৪৬ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে । গতকাল শনিবার ছাত্রশিবিরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয় । এতে বলা হয় , ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর সরকারী যুলুম - নির্যাতনের একটি অংশ হচ্ছে গ্রেফতার অভিযানে সারাদেশে পুলিশী নির্যাতনের শিকার নিরীহ ছাত্রশিবিরের নেতা - কর্মীরা । ছাত্রশিবির বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণের বন্ধু । সেটিকে সরকার তথা আওয়ামীলীগ সহ্য করতে না পেরেই পুলিশ বাহিনীকে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় ছাত্রশিবিরের নেতা - কর্মীকে গ্রেফতার করেছে । প্রাপ্ত তথ্য মতে , ঢাকা মহানগরীতে ৫১৬ জন , চট্টগ্রামে ৩৫৫ জন , খুলনায় ৭৫ জন , সিলেটে ১১৫ জন , বরিশালে ৫৫ জন , রাজশাহীতে ৩০৫ জন , নোয়াখালীতে ৬৫ জন , সিরাজগঞ্জে ২৫ জন , কুষ্টিয়ায় ৪৮ জন , ঝিনাইদহে ৫১ জন , যশোরে ৬৫ জন , সাতক্ষীরায় ১৯৫ জন , বাগেরহাটে ১৫ জন , কিশোরগঞ্জে ২৫ জন , ঝালকাঠিতে ২১ জন , চাপাইনবাবগঞ্জে ৫৫ জন , রংপুরে ৪৫ জন , রাজবাড়ীতে ৯৪ জন , ফরিদপুরে ৩৭ জন , মোমেনশাহীতে ৩৫ জন , নেত্রকোণায় ৫৫ জন , মৌলভীবাজারে ৭৬ জন , কুমিল্লায় ১১৫ জন , লক্ষ্মীপুরে ৩০ জন , কক্সবাজারে ১৫ জন , রাঙ্গামাটিতে ২০ জন , নারায়ণগঞ্জে ৪৫ জন , চাঁদপুরে ৩৬ জন , ফেনীতে ১১ জন , কুড়িগ্রামে ২৭ জন , বি - বাড়িয়ায় ৪৬ জন , গাজীপুরে ৪৫ জন , টাঙ্গাইলে ২৫ জন , জামালপুরে ৭ জন , নাটোরে ৩৯ জন , পাবনায় ৫৬ জন , নীলফামারীতে ৪৭ জন , নরসিংদীতে ১৫ জন , জয়পুরহাটে ৭ জন ছাড়াও অন্যান্য জেলাগুলোতে প্রায় দেড়শতাধিকসহ সর্বমোট ৩০৪৬ নেতা - কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশ , ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যৌথ হামলা ও নির্যাতনে আহত হয়েছে সহস্রাধিক । লক্ষাধিক ছাত্রের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত । শিক্ষাঙ্গনগুলো আজ বন্ধ , আর যেগুলো চলছে সেগুলো বন্ধের উপক্রম । সরকার দেশ থেকে বিরোধী মতাবলম্বীদের উচ্ছেদ করে দিতে চায় । চৌধুরী আলম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে গুম খুনের পথ বেছে নিয়েছে - ড . মোশাররফ স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড . খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন , সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে গুম , খুনের পথ বেছে নিয়েছে । তাদের চরিত্রের একটুও পরিবর্তন হয়নি । ৭২ / ৭৫ আমলে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল । এবার তারা গণতন্ত্রের আবরণে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে । কিন্তু এবার তা সম্ভব হবে না । বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবে । গতকাল শনিবার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে রমনা থানা বিএনপির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের নিখোঁজ ও সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন । বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি , ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া , ড . আব্দুল মঈন খান , সিনিয়র যুগ্ম - মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , যুগ্ম - মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান , রুহুল কবির রিজভী আহমেদ , সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন , যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল , বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন , সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভুইয়া এমপি , স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল , ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বাসার , চৌধুরী আলমের ছোট ভাই খোরশেদ আলম মিন্টু প্রমুখ । ড . মোশাররফ হোসেন আরো বলেন , বর্তমানে দেশ ও জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই । চৌধুরী আলমকে ১৫ দিন আগে সাদা পোশাকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ নেই । এ দেশের জনগণ এখন জানতে চায় চৌধুরী আলম কোথায় । তিনি বলেন , এর জবাব একদিন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিতে হবে । তিনি অবিলম্বে চৌধুরী আলমের মুক্তি দাবি করেন অন্যথায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের দাবি জানান । মওদুদ আহমদ বলেন , দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপহরণের রাজনীতি শুরু হয়েছে । ১৯৭২ - ৭৫ আমলে যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগ হত্যা করেছিল , বর্তমান একইভাবে গুম , খুন শুরু হয়েছে । দেশে আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন , একজন ব্যক্তিকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপনের নিয়ম থাকলেও চৌধুরী আলমের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না । আমরা এখন জানি না চৌধুরী আলম জীবিত না মৃত । সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন , আর যাতে কোন নাগরিককে এভাবে অত্যাচার , নির্যাতন ও গুম , খুনের শিকার হতে না হয় , সে জন্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে । রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন , সাংবিধানিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করার সুযোগ না দিলে জনগণ অসাংবিধানিক পন্থায় সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে । ড . মঈন খান বলেন , সরকার রাষ্ট্র চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে । শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে যদি চৌধুরী আলমকে না পাওয়া যায় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন করা হবে । সাদেক হোসেন খোকা বলেন , চৌধুরী আলমকে সরকারের পেটুয়া বাহিনী সাদা পোশাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে একবার অপহরণের চেষ্টা করেছিল । সেবার ব্যর্থ হলেও গত ২৫ জুন তারা সফল হয় । জনৈক বেলায়েত র্যা ব পরিচয় দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশ থানায় জিডি করেছিল । তিনি বলেন , চৌধুরী আলমের অপরাধ থাকলে তাকে আইনী প্রক্রিয়ায় শাস্তি দিতে পারতো সরকার কিন্তু তা না করে তাকে অপহরণ করেছে । এর জবাব একদিন সরকারকে দিতে হবে । তিনি বলেন , চৌধুরী আলম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে । AvIqvgxjxM ব্যারিস্টার রফিকুল হককে ' ব্যবহারজীবী ' বললেন ছাত্রলীগকে বিএনপি - জামায়াত নেতা - কর্মীদের পেটানোর পরামর্শ দিলেন পাটমন্ত্রী ! স্টাফ রিপোর্টার : পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে বিএনপি - জামায়াতের নেতা - কর্মীদের পেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন । গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের ( আসাফো ) ' র উদ্যোগে আয়োজিত ' ' যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রুত বিচার ও জাতীয় উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধ ' ' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে এ পরামর্শ দেন । আসাফোর সভাপতি অভিনেতা মিজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু , ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ , আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস উদ্দিন হেলালী , অভিনেতা প্রবীর মিত্র , কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম । পাটমন্ত্রী বলেন , গত ৭ বছরে ছাত্রলীগের নেতা - কর্মীরা মার খেয়েছে । বিরোধী দল ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ , যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন করেছে । এখন ছাত্রলীগের নেতা - কর্মীরা সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন হিসেবে একটু মারামারি করতেই পারে এটা তেমন কিছু না । ছাত্রলীগের নেতা - কর্মীরা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন , চক্রান্তকারীরা সংগঠনে ঢুকে নাশকতা চালাচ্ছে । নির্বাচনের পর বিরোধী দল কৌশলে ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্রদল ও শিবিরকে ঢুকিয়ে দিয়েছে । তারাই এখন ছাত্রলীগের নামে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি , খুন - খারাবি করছে । আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন , এদেশের সবচেয়ে ভালো সংগঠন ছাত্রলীগ । তারা কোনো অন্যায় ও অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয় । বিএনপির কর্মীরা ডাকাত আর আওয়ামী কর্মীরা হলো ছিঁচকে চোর । আগে বিএনপির নেতা - কর্মীরা গ্রেফতার হলে পুলিশকে প্যাকেট বিরিয়ানি খাইয়ে সরাসরি নিজেরা জেল থেকে বের হয়ে আসতো । আর বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা - কর্মীরা গ্রেফতার হলে টুকু ( স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ) সাহেবের সহযোগিতা নেয় । ওয়ান ইলেভেনের সময় ভূমিকার জন্য সাংবাদিকদের কঠোর সমালোচনা করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী । তিনি ঘটনার নায়কদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সাংবাদকিরা ওয়ান ইলেভেনকে আশীর্বাদ জানিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন । তিনি বলেন , টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানরা টাকা না দিলে আমাদের নিউজ দেখাতো না । টিভি ও পত্রিকার মালিকরা সুবিধাভোগী দালাল । দেশের সংবাদ মাধ্যম সরকারের ভালো কাজের সংবাদ প্রচার করে না । মন্ত্রী বলেন , ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় । সাংস্কৃতিক কর্মীরাই এদেশের প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে । সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সফল রাষ্ট্র গঠন করা যায় । অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে । তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দেশব্যাপী জনমত গঠন করতে আওয়ামী ও ছাত্রলীগ নেতা - কর্মীদের আহবান জানান । মন্ত্রী ওয়ান ইলেভেনের সময় ভূমিকার জন্য প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সমালোচনা করে বলেন , তিনি আইনজীবী নন বরং ব্যবহারজীবী হিসেবেই অধিক খ্যাত । তিনি আওয়ামী লীগ , বিএনপি সবার কাছে থেকেই সুবিধা ভোগ করেন । চট্টগ্রামে নিহতের স্মরণসভায়ও পুলিশী বাধা পুলিশ - বাস্তুহারা লীগ ভেঙ্গেছে মঞ্চ চট্টগ্রাম অফিস : র্যা বের ক্রসফায়ারে নিহত বাস্তুহারা দলের নেতা আলী আক্কাসের স্মরণ সভার আগের দিন রাতে বাস্তুহারা লীগের ক্যাডাররা মঞ্চ ভাংচুর ও পরের দিন পুলিশী বাধায় স্মরণ সভা হতে পারেনি । নগরীর বায়েজিদ ও সীতাকুন্ড থানার সীমান্তবর্তী জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় বিএনপির এ স্মরণ সভা ও সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন । নির্ধারিত বিএনপির সমাবেশস্থলে বাস্তুহারা লীগ সমাবেশ ডাকলে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে । গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৯টা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সকল ধরনের সভা - সমাবেশ মিছিল - মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে । এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সলিমপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । কিন্তু পুলিশ বাস্তুহারা লীগের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে । সীতাকুন্ড থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জানান , সলিমপুর এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত । তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি । যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সলিমপুর এলাকায় অতিরিক্ত ১ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । স্থানীয় লোকজন জানান , কয়েক দিন আগে র্যা বের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত বাস্তুহারা নেতা আলী আক্কাসের স্মরণসভার আয়োজন করে বিএনপি । ওই সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম মনজু । শনিবার বিকাল তিনটায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল । আলী আক্কাসের স্মরণ সভার কথা জানতে পেরে স্থানীয় বাস্তুহারা লীগ একই এলাকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে পাল্টা সমাবেশ আহবান করে । শুক্রবার রাত ১০টায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএনপির সভাস্থলে এসে মঞ্চ ভাংচুর করে । রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সব ধরনের সভা - সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ১৪৪ ধারা জারী করেছে । বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । hyØvciva গঠিত ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধানের পরিপন্থী বিশিষ্ট আইনজীবীবৃন্দ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ইস্যু সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা মাত্র 0শেখ মুজিব আমলের যুদ্ধাপরাধ ও দালাল আইনে তদন্ত ও বিচার বাতিল না করে নতুন তদন্ত ও বিচার অনৈতিক 0 সংগ্রাম রিপোর্ট : যুদ্ধাপরাধীর বিচার এই সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা মাত্র । সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি , বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য , দেশী - বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে এ পর্যন্ত যা বলা হয়েছে তাতে এটাই পরিষ্কার হয়েছে উঠেছে রাজনৈতিক স্বার্থেই কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যু সৃষ্টি করেছে । অপরদিকে দেশের সেরা কয়েকজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ( সাবেক বিচারপতি ) বলেছেন , মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত যে ট্রাইব্যুনাল সরকার গঠন করেছে সেটি সংবিধান পরিপন্থী এবং মানবাধিকার বিরোধী । তাদের মতে যুদ্ধাপরাধ ও দালাল আইনে শেখ মুজিব আমলের তদন্ত ও বিচার বাতিল না করে এ সম্পর্কিত নতুন তদন্ত ও বিচার অনৈতিক । অপরদিকে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন , যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে এর সাথে বিভিন্ন দেশকে জড়িয়ে দেশের জন্যই ক্ষতি করা হচ্ছে । বিভিন্ন ভ্রাতৃপ্রতিম দেশকে জড়িয়ে চলছে অপপ্রচার । যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন একটি বিতর্কিত বিষয় । দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবীরা এ সম্পর্কে বলেছেন , কোনো সভ্য সমাজে এই আইন হতে পারে না । সুপ্রীমকোর্টের সাবেক বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবী টিএইচ খান বলেছেন , মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য করা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টে ফৌজদারি কার্যবিধি সিআরপিসি ) ও স্বাক্ষ্য আইনকে এভিডেন্স ( এ্যাক্ট ) নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে । এই দু ' টি আইনের অনুপস্থিতিতে মানবতাবিরোধী বিচার হতে পারে না । টিএইচ খান এ সম্পর্কে আরো পরিষ্কার করে বলেছেন আন্তর্জাতিক আইনের সাথে মানবতাবিরোধী বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালের করা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের কোনো সামঞ্জস্য নেই । বরং আকাশ পাতাল ফারাক । এই আইনে আন্তর্জাতিক সভ্যতার অপব্যবহার হবে । মানুষের ধারণা জন্মাবে যে , আন্তর্জাতিকভাবে বুঝি এ ধরনের আইন করা হয়ে থাকে । তিনি বলেন - যুগ্লোসাভিয়ায় ৯ জন বিচারক নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল , রুয়ান্ডায় হয়েছিল ৬ জন বিচারক দিয়ে যেখানে বাংলাদেশ , দক্ষিণ আফ্রিকা , সেনেগাল , জাম্বিয়া , রাশিয়া ও সুইডেন থেকে । আর আমাদের দেশে সরকারদলীয় লোকদের তদন্তকারী সংস্থা , প্রসিকিউটর , জজ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে । এটা বিচারের নামে প্রহসন মাত্র । সুপ্রীমকোর্টের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন , এই আইনে জুডিশিয়াল রিভিউ করার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে । হাইকোর্ট বিভাগকে বাইপাস করা হয়েছে । সংবিধান হাইকোর্টকে জুডিশিয়াল রিভিউ করার ক্ষমতা দিয়েছে । রাতারাতি আইন করলে যা হয় বর্তমান এই আইনে সেটিই অনুপস্থিত । ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ( সাবেক স্পীকার ) বলেছেন , বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টে সিআরপিসি ও এভিডেন্স এ্যাক্ট অনুপস্থিত । যার ফলে সুবিচার পাওয়ার আশা নেই । সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন , আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের প্রতিটি ধারা আইনের শাসন , বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার খর্ব করা হয়েছে । গত ১৬ এপ্রিল তারা ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন । কাজেই সরকার তাড়াহুড়া করে যে ট্রাইব্যুনাল করেছেন তা যথাযথ আইনের পরিপন্থী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক । যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে সরকারের মধ্যেই রয়েছে শত মত শত কথা , যেহেতু এটি একটি মীমাংসিত বিষয় , আর সরকার দলীয় লোকদের ( আ ' লীগ নেতানেত্রীদের ) ভাষায় যারা যুদ্ধাপরাধী , তারা সরকার দলেই রয়েছে । যার ফলে তারা নানা ধরনের কথা বলছেন । সরকার বা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পর্কে কি বলছেন বা এক শ্রেণীর পত্রিকায় কি লিখছে তা স্ববিরোধিতায় ভরা । সংবাদ ৫ / ৪ / ১০ইং ' ' ১৯৭৫ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা দিয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ' ' , ২ / ৪ / ১০ জনকণ্ঠ ' ' গোয়েন্দা সংস্থা ৫০ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে ' ' । একই পত্রিকা ৪ / ৪ / ১০ তারিখে লিখেছে ' ' যুদ্ধারপাধীর বিচার ' ' ২৬ জনের বিশেষ নিরাপত্তা ' ' সমকাল ৫ / ৪ / ১০ ' ' চার - পাঁচশ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ সম্ভব ' ' । ইত্তেফাক ৫ / ৪ / ১০ ' ' বিমান বন্দরে পাঠানো ৩৬ জনের মধ্যে ১৪ জনই মৃত ' ' । একই দিনে কালের কণ্ঠ ' ' মৃত ব্যক্তিরাও গোয়েন্দা নজরদারিতে ' ' । ইত্তেফাক ৬ / ৪ / ১০ তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে তদন্ত সংস্থা ' ' জনকণ্ঠ ৭ / ৪ / ১০ ' ' হাল নাগাদ তালিকায় যুদ্ধাপরাধী ২২ ' ' ইত্তেফাক ৮ / ৪ / ১০ ' ' সন্দেহভাজন ৪৯ যুদ্ধাপরাধী ' ' । গতকাল ( ১০ / ৭ / ১০ ) কালের কণ্ঠের খবর ' ' সন্দেহ ভাজন ২৫ যুদ্ধাপরাধীর পাসপোর্ট জব্দ প্রক্রিয়া শুরু ' ' । যুদ্ধাপরাধীর বিচার বিষয়ে মন্ত্রী বা সরকারের দায়িত্বশীলরা কে কি বলছেন সেটাও রীতিমত মজার । ইত্তেফাক ২ / ৪ / ১০ ' ' মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে রাজনৈতিক কারণে হেনস্তা করা হবে না - আইনমন্ত্রী ' ' ৪ / ৪ / ১০ নয়াদিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকা ' ' কোন আইনজীবী আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে তাদেরও দেখতে চাই - আ ' লীগ নেতা নাসিমের হুঁশিয়ারি ' ' , ৪ / ৪ / ১০ বিভিন্ন পত্রিকায় ' ' বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী , তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে - আইন প্রতিমন্ত্রী ' ' নয়াদিগন্ত ৮ / ৪ / ১০ ' ' যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করা হবে । একই পত্রিকায় ' ' সৌদি আরব বিরোধিতা করলেও কিছু যায় আসে না - পরিকল্পনা মন্ত্রী ' ' । ইত্তেফাক ১০ / ৪ / ১০ ' ' যুদ্ধাপরাধীরা ষড়যন্ত্র করছে , আপনারা সোচ্চার হোন - সৈয়দ আশরাফ ' ' । সংবাদ ১১ / ৪ / ১০ ' ' রাজাকারদের তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দিন - সাজেদা চৌধুরী ' ' । আমার দেশ ১৩ / ৪ / ১০ ' ' আওয়ামী লীগে যুদ্ধাপরাধী নেই - দীপু মনি ' ' ইত্তেফাক ১৮ / ৪ / ১০ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দিতে বিদেশ থেকে টাকা আসছে - সাজেদা চৌধুরী ' ' আমার দেশ ' ' যুদ্ধাপরাধের দায়ে খালেদার বিচার হবে - সাজেদা চৌধুরী ' ' আমার দেশ ২২ / ৪ / ১০ ' ' ফরিদপুরে আ ' লীগ নেতাদের শেখ হাসিনা , পুতুলের দাদাশ্বশুর রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না , দেশে কোনো রাজাকার নেই । আইন মন্ত্রী - প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে যা বলেছেন - ' জানুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আদালত গঠন করা হবে - আইন মন্ত্রী ( যুগান্তর ২৬ / ১ / ১০ইং ) ' ' সরকার কঠিন সময় পার করছে - প্রতিমন্ত্রী ( যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রসঙ্গে ১৫ / ২ / ১০ ) ' ' ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি করার সুযোগ থাকছে না - প্রতিমন্ত্রী ( বিডি নিউজ ১১ / ৩ / ১০ ) ' ' আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে কোনো দেশের অভিযুক্তদের বিচার করতে পারবে - আইন মন্ত্রী ( সংবাদ ২৩ / ৪ / ১০ ) ' ' যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বিরোধীদল বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে - আইনমন্ত্রী ( ইত্তেফাক ২৩ / ৫ / ১০ ) , এছাড়াও মন্ত্রী - প্রতিমন্ত্রী নানা কথা বলেছেন । তারা বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের নয় , ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধীদের বিচার হবে ইত্যাদি । বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলছেন , শুধুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কথিত বিচারের উদ্যোগ আ ' লীগের অন্যতম শরীক দলের নেতা জাপা ' র চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন , ' ' যুদ্ধাপরাধী কারা আমি জানি না ' ' ( দিনকাল ৪ / ৪ / ২০১০ইং ) ২ / ৪ / ১০ইং তারিখে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আ স ম রব বলেন ' ' হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করলে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে । ' ' এছাড়া বিএনপি ' র মহাসচিব বহুবার বলেছেন , এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে । অপরদিকে এই কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে জড়ানো হচ্ছে । সৌদি আরব , পাকিস্তানকে জড়িয়ে নানা কথা মহল বিশেষ থেকে বলা হচ্ছে । সৌদি আরবকে জড়িয়ে নানা অপ - প্রচার চালানোয় তীব্র প্রতিবাদ করে সৌদী দূতাবাস । গত ৬ / ৪ / ১০ইং তারিখে তা ঢাকায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয় । প্রতিবাদে বলা হয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন চমৎকার ও শক্তিশালী হচ্ছে । এই সম্পর্ক গড়ে উঠছে দু ' দেশের নেতৃত্বের আশঙ্কা এবং পারস্পরিক স্বার্থ সম্মানের ওপর ভিত্তি করে । ' ' জড়ানো হয় অন্যান্য মুসলিম দেশকেও । ' ' মালয়েশিয়া থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন - মালয়েশিয়া যে ৫৫ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিকের ভিসা বাতিল করেছে তার পিছনে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাদের হাত থাকতে পারে ' ' ( আমার দেশ ৬ / ৪ / ১০ ) ৭ / ৪ / ১০ ইং তারিখে ভোরের কাগজ পত্রিকায় বিশাল খবর ' ' যুদ্ধাপরাধীদের টার্গেট এবার শ্রমবাজার ' ' । পাকিস্তানকে জড়ানো হলে বাংলাদেশস্ত পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে তীব্র প্রতিবাদ করে বলা হয় - ' ' ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর নি ত্তি হয় ৭ / ৪ / ১০ইং তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় এই খবর প্রকাশ পায় । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই সরকারের একটি রাজনৈতিক ইস্যু । আবারও সেটি পরিষ্কার করলেন আইনপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম । তিনি গত ৯ / ৭ / ১০ইং শুক্রবার বলেছেন , ' ' জামায়াত সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি মদদদাতা , তাদের এদেশে কোনো অবস্থাতেই রাজনীতি করতে দেয়া হবে না ' ' । তাদেরকে নির্মুল করা হবে । কাজেই এটা যে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই করা হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই । বিখ্যাত ইকোনোমিস্ট পত্রিকার সর্বশেষ রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে । ইকোনোমিস্ট লিখেছে , শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্য মামলায় গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনলে তা জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে । এতে আরও বলা হয় আন্তর্জাতিক মান বজায় না রেখে এবং মূল অপরাধী সেনাকামন্ডারদের বাদ দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না । evsjv ‡ ` k শিক্ষানীতি নিয়ে আইম্মাহ পরিষদের আলোচনা সভা চূড়ান্ত শিক্ষানীতি প্রকাশ না করে গোপনে বাস্তবায়ন দেশ জাতির সাথে প্রতারণার শামিল স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদ আয়োজিত ' নতুন শিক্ষানীতি : উপেক্ষিত ইসলামী শিক্ষা ' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন , সেক্যুলার ও সর্বজনীনের নামে দেশে ধর্মহীন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । তারা বলেন , আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেও এই ধরনের সেক্যুলার চিন্তাধারা ছিল না । সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন , তাহলে এখন কেন স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে ইসলাম ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বাদ দিয়ে জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়ে একটি ধর্মহীন শিক্ষানীতি চালুর পাঁয়তারা করা হচ্ছে । বক্তারা অভিযোগ করে বলেন , চূড়ান্ত শিক্ষানীতি দেশবাসীর সামনে প্রকাশ না করে গোপনে তার বাস্তবায়ন দেশ ও জাতির সাথে প্রতারণার শামিল । ভারতের মতো বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চক্তান্ত করা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সচেতন দেশবাসীকে কড়া নজর রাখারও আহবান জানানো হয় । গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সারাদেশের ইমামদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদ এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে । পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন রাববানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার উইং কমান্ডার ( অব . ) এম হামিদুল্লাহ খান । বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক , ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী , নিউ নেশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার , মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি ড . মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী , শর্শিনার ছোট পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী , ইসলামিক পার্টির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোবিন , ভাসানী ফ্রন্টের মহাসচিব মমতাজ চৌধুরী , আইম্মাহ পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক মুসা , মাওলানা মোশারফ হোসেন , আমীর আলী হাওলাদার , মাওলানা শামসুদ্দিন হেলালী , মাওলানা আবু সাইদ নোমান , অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হোসেন , প্রফেসর মাওলানা শফিকুল ইসলাম , মাওলানা আব্দুস সবুর মাতুববর , মাওলানা সাঈফ সিদ্দিকী প্রমুখ । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির মহাসচিব ও এনডিপি ' র মহাসচিব আলমগীর মজুমদার । উইং কামান্ডার হামিদুল্লাহ খান বলেন , আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও সেক্যুলার কোন চিন্তা ছিল না । তবে কেন আজ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর দেশে সেক্যুলার শিক্ষানীতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হলো তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয় । তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন , তাহলে কি দেশকে অন্যকোন দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব করা হচ্ছে ? তিনি আরো বলেন , দেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সকল চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে পারে তাহলে কোন অপশক্তিই সফল হতে পারবে না । দেশে আজ নানাভাবে চক্রান্ত চলছে । কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হচ্ছে উলুধ্বনির মাধ্যমে । এসব ইঙ্গিত দেশের জন্য ভাল নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন । অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক বলেন , যাদের নিয়ে শিক্ষা কমিটি করে এই শিক্ষানীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে তাদের কেউই ধর্ম বিশ্বাস করে না । এমনকি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ , কমিটির সভাপতি কবির চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন তারা কেউই ইসলাম ধর্মের অনুসারী বা বিশ্বাসী নন । তারা স্বঘোষিত নাস্তিক । কাজেই তারা যে কাজ করবে সেখানে ইসলাম ও ধর্মের কোন স্পর্শ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক । তিনি বলেন , চূড়ান্ত শিক্ষানীতি জনগণের সামনে প্রকাশ না করে সরকার জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে । কারণ সরকার জানে এই শিক্ষানীতি প্রকাশ করা হলে দেশের ইসলাম ও ধর্মভীরু জনগণ সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন শুরু করবে । সরকার যে জনগণকে ভয় পায় এবং জনগণের সাথে সরকারের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আজ তা প্রমাণিত হয়েছে । মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন , জঙ্গিবাদের নামে ইসলামের ওপর আঘাত দেয়ার নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে । বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ইসলাম যে শ্রেষ্ঠ তা সবাই স্বীকার করেন । তাহলে সরকার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামকে বাদ দিয়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে খাটো করবেন কেন ? সরকারের এই ধরনের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে , অন্যথায় তা সরকারের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে । আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন , র্যা ব দিয়ে পুলিশ দিয়ে কিংবা চিতা বা কোবরা বাহিনী দিয়ে দেশের আইন - শৃংখলার উন্নতি যতটা না করা যাবে তার চাইতে বেশি উন্নত হবে যদি মানুষকে ধর্মীয় মূল্যবোধের ও ধর্ম বিশ্বাসের আলোকে শিক্ষিত করে তোলা যায় । ধর্মীয় মূল্যবোধ তৈরিতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই । আর তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মকে বাদ দেয়ার কোন অবকাশ নেই । সরকার যদি তার পরেও সেটি করেন তাহলে দেশের জনগণই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে । ৮ জনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ রংপুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অনেক রাঘব বোয়ালের সন্ধান : মূল হোতারা এখনও পলাতক রংপুর অফিস : রংপুরের ' ভিন্নজগতে ' সরকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জালিয়াত চক্রের গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে । পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর গতকাল শনিবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান , এই জালিয়াতির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে । পুলিশ প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে মূল হোতাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান চালাচ্ছে । পুলিশ জানায় , প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ৮ জনের তিন দিনের রিমান্ডে থাকা বিজি প্রেসের কম্পোজিটর এটিএম মোস্তফা , সরকারি প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রণ শাখার কর্মচারী হামিদুল হক ওরফে শেখ জিয়া , পটুয়াখালি সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার , ঢাকার তেঁজগাও সার্কেলের সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরাদুল ইসলাম , নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান , প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম , মদিনা প্রেসের কর্মচারী মাসুম বিল্লাহ ও লিটন চন্দ্র দাস পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা সরবরাহ এবং প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ লাখ করে টাকা কন্ট্রাক্টের বিষয়টি স্বীকার করেছে । গতকাল বিকেলে এসপির হল রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান , একটি প্রতারকচক্র ৭ / ৮ বছর থেকে এই অপকর্ম করে আসছে । রিমান্ডে থাকা সরকারি কর্মকর্তা - কর্মচারীদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি । এর সাথে ঢাকা এবং স্থানীয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত । সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে । তদন্তের খাতিরে এখনই তাদের নাম বলা যাচ্ছে না । আমরা আশা করছি রিমান্ডে থাকা আসামীদের কাছ থেকে কিভাবে এই অপকর্ম হয় , কিভাবে নেটওয়ার্কিং হয় তা বের হয়ে আসবে । তিনি বলেন , তদন্তে আরও বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে । তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে । ভিন্নজগতের মালিকপক্ষকে আমরা সন্দেহে রেখেছি । তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । যতবড় রাঘোব বোয়াল জড়িত থাকুক না কেন তারা কেউ রেহাই পাবে না । তিনি বলেন , আরও ২ / ৩ জনকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে । বিজি প্রেসের কম্পোজিটর শহিদুল হকের তেজগাঁওয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে । তবে তাকে পাওয়া যায়নি । এদিকে শুক্রবার রাত ১০টায় এসপির হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির করা হয় সরকারি কর্মচারী এটিএম মোস্তফা ও হামিদুল হক ওরফে শেখ জিয়াকে । প্রেসব্রিফিংকালে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান , বিজি প্রেসের কম্পোজিটর শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনে তা রংপুরের পাগলাপীরের আতিকুল ইসলামের কাছে ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে তারা । এরপর তারা সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের সংগ্রহ করে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা করে কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সরবরাহসহ প্রার্থীদের প্রশ্ন সলিউশন করার ব্যবস্থা করে । তারা জানান , সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ পরীক্ষার্থীকে সংগ্রহ করে ' ভিন্ন জগত ' এর ড্রিম প্যালেসের প্রত্যেকটি রুম ও অডিটোরিয়াম প্রায় লাখ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে সেখানে কন্ট্রাক্টের ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নিয়ে ব্যাচ সিস্টেমে প্রশ্নপত্রের সলিউশন ক্লাস করানো হচ্ছিল । এজন্য তারা একটি উন্নতমানের ফটোস্ট্যাট মেশিনও বসায় সেখানে । পুলিশ সূত্র ও এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায় , বেড়াতে আসা এবং নানা অনুষ্ঠানের নামে ভিন্নজগতে স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ সেখানে মোটা অংকের টাকা দিয়ে রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড ও অপকর্ম করে আসছে । ভিন্ন জগতের আবাসিক রুমগুলোতে প্রতিদিনই দেহব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড হয় । এলাকাবাসী জানায় , পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করেছে ভিন্নজগত কর্তৃপক্ষ । অন্যদিকে ড্রিম প্যালেস বুকিংদানকারী পাগলাপীর - সিও বাজার এলাকার আতিকুল ইসলামসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন । এলাকাবাসী জানিয়েছেন , আতিকুলের অন্যতম সহযোগী সিও বাজার এলাকার মৃত জাকের হোসেনের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক ওই মামলার ১৩ নম্বর আসামী হলেও তাকে রিমান্ডে নেয়া হয় নি । গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিও বাজারে এলাকাবাসী আতিকুলকে গ্রেফতার এবং রাজ্জাককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে । এর আগে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভিন্নজগতের মালিককে বিএনপি - জামায়াতের চর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম হোতা দাবি করে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে । প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয় । সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ধনজিত ঘোষ তাপসসহ বিভিন্ন নেতারা । সিও বাজার এলাকাবাসী জানান , আব্দুর রাজ্জাক প্রতারকচক্রের অন্যতম হোতা এবং গত ৫ বছরের ব্যবধানে রাজ্জাক সিও বাজার এলাকায় ৪টি একতলা ও একটি ৪ তলা বাড়ি করেছেন । এছাড়াও হামিদুল হক ওরফে শেখ জিয়া রংপুর শহরের মুলাটোল এলাকার বাসিন্দা । কর্মচারী হয়েও সে কয়েক কোটি টাকার মালিক বলে জানান এলাকাবাসী । উল্লেখ্য , বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়ে ' ভিন্নজগতের ' ড্রিম প্যালেসে কনফারেন্স করার সময় পুলিশ প্রতারকচক্রের ৮ হোতাসহ ১৬৮ জনকে গ্রেফতার করে । সড়ক দুর্ঘটনা রোধ নিয়ে দুই মন্ত্রীর ভিন্ন বক্তব্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে না বলেই দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না - আইনমন্ত্রী প্রচলিত আইনে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয় - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার : আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন , পুলিশ প্রশাসন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না বলেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না । বিদ্যমান আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেই সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব । পক্ষান্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামছুল হক টুকু বলেছেন প্রচলিত আইনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনটির সংশোধন প্রয়োজন । গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে সাইফ ফাউন্ডেশন ও ফ্যামিলিজ ইউনাইটেড এগেইনস্ট ( ফুয়ারা ) - এর যৌথ আয়োজনে ' সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ , রাষ্ট্রীয় ও আইনগত গ্রহণীয় পদক্ষেপ ' ' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রীদ্বয় একথা বলেন । মন্ত্রী পরিষদ , সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান এম . আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট তারানা হালিম এমপি , স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার , প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব সরকারি কর্মকমিশন সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাইফের পিতা ইকরাম আহমেদ , সাইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও নিহত সাইফের মা বেগম সামিয়া হালিম , জার্মান টেকনোলজি করর্পেরেশনের কর্মকর্তা মি . রিচার্ড মাইন্ড , বিআরটির চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান , সাবেক সচিব ও সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই কন্যার শোকাহত পিতা সিদ্দিকুর রহমান , প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মোঃ শহিদ খান প্রমুখ । এ সময় সরকারি - বেসরকারি কর্মকর্তা এবং সড়ক দুর্ঘটনায় শোকাহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন । আইনমন্ত্রী বলেন , সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ওভারটেকিং ওভারলোডিং এবং ওভার স্পিডকে দায়ী করা করা হলেও এ বিষয়ে যথাযথ আইন রয়েছে । এ বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ প্রশাসনের । কিন্তু তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না বলেই এসব দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না । তিনি বলেন , সড়ক দুর্ঘটনা দেশের একটি বড় সমস্যা , সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ( স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ) চাইলে আইন মন্ত্রণালয় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে চাহিদা অনুযায়ী আইন তৈরি করবে । শামসুল হক টুকু বলেন , প্রতিনিয়ত আমাদের দুর্ঘটনার সাথে লড়াই করে চলতে হচ্ছে । বর্তমান প্রচলিত আইন দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয় । এ জন্য আইন সংস্কার ও যুগোপযোগী হওয়া দরকার । এছাড়াও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় , আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন । এডভোকেট তারানা হালিম এমপি বলেন , বেপরোয়া গাড়ি চালকরা বড় ধরনের অপরাধ করেও শাস্তি পায় না । অপরাধটি যেহেতু জামিনযোগ্য এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছরের কারাদন্ড তাই অপরাধীদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয় না । আর মনে ভয়ের সঞ্চার না হলে এ ধরনের অপরাধ কমে না বরং বাড়ে । এ জন্য তিনি সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছরের পরিবর্তে যাবজ্জীবন এবং জামিন অযোগ্য করে আইন প্রযণয়ন করা উচিত । আইয়ুবুর রহমান বলেন , সড়ক দুর্ঘটনা শুধু গাড়ি চালকদের জন্য নয় , সড়ক নির্মাতা , পথচারী এবং যাত্রীদের অসাবধানতার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে । এ জন্য বিআরটি সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে । বেগম সামিয়া হালিম বলেন , সব পিতা - মাতাই তার সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে । আমরাও সাইফকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম । কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের স্বপ্নকে খান খান করে দিল । তিনি বলেন , প্রচলিত আইনে ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছরের কারাদন্ড । তাও আবার জামিনযোগ্য । একজন মানুষের প্রাণ কি এতটাই মূল্যহীন ? সিদ্দিকুর রহমান বলেন , সড়ক দুর্ঘটনা আমার দুই মেয়েকে কেড়ে নিয়েছ । তাদের হারানোর বেদনায় আজও আমাদের মন ডুকরে কেদে ওঠে । বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ এর চেয়ে কঠিন কিছু নেই । আর যেন আমাদের মত কাউকে সন্তান হারা হতে না হয় । সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়ন করতে হবে । বক্তারা বলেন , বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । অনভিজ্ঞ চালক , ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স , ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা বিহীন এবং মাদকাসক্ত চালকের বেপরোয়া গাড়ি চলাচল সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ । বক্তারা বলেন , প্রচলিত আইনে ঘাতকের শাস্তি অত্যন্ত লঘু এবং তা জামিনযোগ্য হওয়ায় আইনের প্রতি চালকদের শ্রদ্ধা বা ভয় নেই । তাই দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বর্তমান আইনের সংস্কার এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন । ডিএমপি কমিশনারের উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দেয়নি সংগ্রাম রিপোর্ট : সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গতকাল শনিবার রাজধানীর হাইকোর্ট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এক ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে । এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও পুলিশ তাতে ন্যূনতম বাধা দেয়নি । বরং পুলিশ এতে সহযোগিতা করেছে । অথচ গত ৭ জুলাই দেশব্যাপী বিরোধীদলের মানববন্ধন কর্মসূচি ঢাকায় পালনকালে প্রচন্ড বাধা দিয়েছে পুলিশ । অনেক জায়গায় পুলিশ দাঁড়াতেই দেয়নি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের । ডিএমপি কমিশনার একেএম শহিদুল হক ঐদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয় বিধায় রাস্তার উপর মানববন্ধন করতে দেয়া হয়নি । বিরোধীদল মানববন্ধন করলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হয় আর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কেউ তা করলে বিঘ্ন হয় না । এটা হলো আরেক ডাবল স্ট্যান্ডার্ড । ইতোমধ্যে ঢাকায় ওয়াফেহাল মহলে ব্যাপক মুখরোচক কথা হলো বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর যে কঠিন নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটা হলো ডিএমপি কমিশনারের উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি । তিনি ভবিষ্যতে পুলিশের আইজি হতে চান । এজন্য সরকারের কাছে অতি প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য এই নির্যাতন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন । সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সুপ্রীমকোর্ট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মানববন্ধনের ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শনিবার বেলা ১১টা শুরু হয়ে ১২টা পর্যন্ত চলে । সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার , প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে এতে যোগ দেয় । ফোরাম নেতা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার , অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কেএম শফিউল্লাহ , জাসদ নেতা হাসানুল হক , ইনু , বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান , শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও ম হামিদ , নারী নেত্রী শিরিন আখতার মানববন্ধনে অংশ নেন । মানববন্ধন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয় । সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বক্তব্য রাখেন । সেই সাথে এ কে খন্দকারসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন । এই মানববন্ধন পালনকালে গতকাল শনিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরী , উত্তরে ফার্মগেট এবং পূর্বদিকে পল্টন মোড়ে ও এর আশেপাশের সব গলিতে যানজটের সৃষ্টি হয় । অথচ পুলিশ কোন বাধার সৃষ্টি করেনি । RvgvqvZ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত - শিবিরের ৩৯ নেতা - কর্মী গ্রেপ্তার নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০ নেতা - কর্মী এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থেকে শিবিরের সাত নেতা - কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এ ছাড়া জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতার মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানোর সময় নরসিংদীতে সাত এবং নওগাঁয় শিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । অন্যদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জামায়াতের দুই নেতাকে । ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ার শিবিরের মেস ' খন্দকার ম্যানশনে ' অভিযান চালিয়ে জামায়াত - শিবিরের ২০ নেতা - কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । নেতা - কর্মীরা ওই মেসে গোপন বৈঠক করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে । গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল করিম , শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ , কর্মী রহমতুল্লাহ , জিয়াউল হক , রাহাত , আলী ইমরান , মকবুল হোসেন , সেলিম , সোহেল ইসলাম , আবদুল হামিদ , নাছির উদ্দিন , রোমান , ফারুক , আনাস ইবনে হারুন , আবদুল্লাহ আল হোসাইন , মুছা মিয়া , বিল্লাল মিয়া , শিব্বির আহমেদ , আবেদুর রহমান ও ঢাকার আজিমপুর এলাকার জামায়াত সদস্য পরিচয়দানকারী লোকমান হোসেন । ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো . হামিদুল ইসলাম জানান , ধারণা করা হচ্ছে , নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করার জন্যই তাঁরা ওই গোপন বৈঠক করছিলেন । আক্কেলপুর ( জয়পুরহাট ) : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শিবিরের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আল - মামুন , সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । অন্যরা হলেন শিবিরের কর্মী হাবিবুর রহমান , ফরহাদ হোসেন , ফরহাজুল ইসলাম । পুলিশ জানিয়েছে , নাশকতা সৃষ্টির জন্য শিবিরের নেতা - কর্মীরা গোপন বৈঠক করছিলেন । জানা গেছে , গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার রোয়াইড় গ্রামের শাহ সেকেন্দার জামে মসজিদে শিবিরের অর্ধশতাধিক নেতা - কর্মী বৈঠক করছিলেন । স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা পুলিশকে খবর দেয় । রাত নয়টার দিকে সহকারী উপপরিদর্শক ( এএসআই ) আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে । অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান । এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু জিহাদি বই ও সাংগঠনিক সফরসূচির তালিকা উদ্ধার করে । এ ঘটনায় থানার এএসআই আলিমুজ্জামান বাদী হয়ে ওই রাতে মামলা করেন । আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন , নাশকতা সৃষ্টির জন্য শিবিরের নেতা - কর্মীরা ওই গোপন বৈঠক করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে । নরসিংদী : নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মণদী এলাকা থেকে গতকাল দুপুরে ছাত্রশিবিরের সাত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শামীম হাসান , বোরহান উদ্দিন , রুবেল মিয়া , তরিকুল ইসলাম , আমিনুল ইসলাম , মোবারক হোসেন ও ইসমাইল হোসেন । তাঁরা নরসিংদীর জামিয়া কাশিমিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী । নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক ( এসআই ) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন , জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানোর সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এ সময় কিছু পোস্টার জব্দ করা হয়েছে । তাঁদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে । নওগাঁ : নওগাঁয় মোহাম্মদ হাবিব , আবদুর রহিম ও হারুন - অর - রশিদ নামের ছাত্রশিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । আটক ব্যক্তিরা সবাই নওগাঁ সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র । নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) আমিনুল ইসলাম জানান , গত শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে শহরের দয়ালের মোড় এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে । তাঁরা জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী , আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিসংবলিত পোস্টার লাগাচ্ছিলেন । ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করার পর আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে জামায়াতের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাঁরা হলেন জামায়াতের শহর কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান ও ঝালকাঠি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নাসিরউদ্দিন । গত শুক্রবার রাতে শহরের কিফাইতনগর ও কৃষ্ণকাঠির বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় । গতকাল শনিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । পুলিশ জানিয়েছে , গত ২৯ জুন ঝালকাঠিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওই দিন রাতেই একটি মামলা হয় । ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে । [ প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক , ভৈরব এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া , আক্কেলপুর ( জয়পুরহাট ) , নওগাঁ ও ঝালকাঠি প্রতিনিধি ] গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা মামলায় সাঈদী ও মুজাহিদ রিমান্ডে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে । গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুন্সি আবদুল মজিদ এঁদের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন । গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা মামলায় রমনা থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন দুজনকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় । গতকাল পুলিশ আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের রিমান্ডে নেয় । গতকাল মুজাহিদ ও সাঈদীর আইনজীবীরা তাঁদের কারাগারে পাঠাতে আদালতে আবেদন করেন । আইনজীবীরা আদালতকে বলেন , পৃথক তিন মামলায় একটানা নয় দিন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । দুজনই অসুস্থ , তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন । সুস্থ হওয়ার পর তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হোক । শুনানি শেষে আদালত তা নাকচ করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন । সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার ( জিআরও ) উপপরিদর্শক ( এসআই ) রতন শেখ জানান , রাষ্ট্রপতির গাড়িবহরে হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এই দুজনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে পল্টন থানার পুলিশ । এ সময় মুজাহিদ ও সাঈদীর আইনজীবীরা তাঁদের জামিনের আবেদন করেন । আদালত আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন । এর আগে পল্টন থানার আরও দুটি মামলায় দুজনকে ছয় দিন রিমান্ডে নেওয়া হয় । ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে করা একটি মামলায় গত ২৯ জুন জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরদিন নিজামীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক পাঁচ মামলায় মোট ১৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত । মামলায় অভিযোগ করা হয় , গত ২৭ জুন হরতালের আগের রাতে ছাত্রশিবির , ছাত্রদল ও যুবদল নেতা - কর্মীরা টঙ্গী ডাইভারসন রোডে একটি এবং মগবাজারে ডাক্তারের গলির মুখে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন । এতে ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয় । হরতালের আগের দিন আসামিরা একটি সভা করেন । সভায় বলা হয় , যারা একটি গাড়িতে আগুন দিতে পারবে , তাদের তিন হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে । অভিযোগে আরও বলা হয় , আসামিদের উসকানি ও নির্দেশনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রমনা এলাকায় গাড়ি পুড়িয়ে চালক সুজন ও ফারুককে হত্যার চেষ্টা করা হয় । এ ঘটনার অগ্নিদগ্ধ ফারুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । এ ঘটনায় রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে । AvIqvgxjxM পাটমন্ত্রীর ভিন্ন পাঠ ! ছাত্রলীগ , সাংবাদিক , যুদ্ধাপরাধ ও সরকারে নিজের সহকর্মীদের কাজ নিয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ভিন্ন রকম এক পাঠ উপস্থাপন করলেন । তিনি ছাত্রলীগের প্রশংসা করেছেন , সমালোচনা করেছেন মন্ত্রীদের । তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন , বলেছেন জামায়াতের নেতারা যুদ্ধাপরাধী নয় , স্বাধীনতাবিরোধী । ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ' যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রুত বিচার ও জাতীয় উন্নয়নবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ' শীর্ষক আলোচনা সভায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাটমন্ত্রী । আলোচনা সভার আয়োজক আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম । ছাত্রলীগের উদ্দেশে পাটমন্ত্রী বলেছেন , ' নিজেরা নিজেরা মারামারি করো , ওদের দুই - চারটার সঙ্গে মারামারি করো না কেন ? আমি জানি , পত্রিকা - টেলিভিশনে আমার এগুলো নিয়ে . . . । তবে এ নিয়ে আমার কোনো তোয়াক্কা নেই । ' ছাত্রলীগ ও যুবলীগে চক্রান্তকারী শক্তি ঢুকে গেছে দাবি করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন , ' ছাত্রলীগের ছেলেরা কি এই খুন - খারাবি করেছে ? এরা কি সবাই খারাপ ? এই ছেলেদের আমরা বাদ দেব কেন ? ছাত্রলীগ বন্ধ করব কেন ? ছাত্রলীগ বন্ধ করে দেব , আর মাঠ দখল করে নেবেন ! ' তিনি বলেন , ' পত্রিকায় নিউজ আসবে সে ভয়ে আমি অস্থির হয়ে যাব না । পত্রিকা - টেলিভিশনওয়ালারা শেখ হাসিনাকে জেতায়নি । ' এক - এগারোর সময় সাংবাদিকদের ভূমিকার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন , ' ঘটনার নায়কদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সাংবাদিকেরা ওয়ান - ইলেভেনকে আশীর্বাদ জানিয়েছিল । ওই সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানরা টাকা না দিলে আমাদের খবর ও ছবি দেখাত না । টিভি ও পত্রিকার মালিকেরা আসলে সুবিধাভোগী । ' উপস্থিত সাংবাদিকেরা কোন মালিকেরা সুবিধাভোগী ও কারা টাকা খেয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী নাম বলেননি । তিনি বলেন , ' আমি অভিযোগ করেছি । আপনারা খুঁজে বের করেন । ' টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখিয়ে পাটমন্ত্রী বলেন , ' এই যন্ত্রগুলো আমাদের পক্ষে নয় । সাংবাদিক ছেলেটি আমাদের পক্ষের হতে পারে । কিন্তু মালিকেরা জিয়া - এরশাদের জঙ্গি শাসনের জারজ সন্তান । ধর্ম ব্যবসায়ী ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় সবচেয়ে অগ্রণী প্রচারমাধ্যম । ' লতিফ সিদ্দিকী বলেন , ' আমি যুদ্ধাপরাধ স্বীকারই করি না । এ ক্ষেত্রে আমি মুজাহিদের সঙ্গে একমত এবং অভিন্নতা পোষণ করি । তারা কেউ যুদ্ধাপরাধী নয় । তারা হলো স্বাধীনতাবিরোধী , আমার বোনের ইজ্জত হরণকারী , তাঁরা খুনি , ধর্ষক । ' এরপর তাঁর প্রশ্ন - তাদের বিচার করতে জেনেভা কনভেনশন কেন ? মন্ত্রী বলেন , আওয়ামী লীগ ও তাদের বন্ধুরা শুধু স্লোগান দেয় এবং ধান্ধায় থাকে । ধান্ধার বান্দারা কোনো লক্ষ ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারে না । তিনি বলেন , ' আমরা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করে ফিরেছি তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বার্থপর ও লুণ্ঠনকারী এক শক্তি । এই লুণ্ঠনকারী শক্তির সঙ্গে পরাজিত শক্তির সম্মিলনে যা দাঁড়িয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা এখন অগোছালো শক্তি । তাই তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে কতক্ষণ টিকব তা ভাববার বিষয় । ' লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রীদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন , ' সবাই বলে , এক ইটে মসজিদ হয় না । তাহলে একা শেখ হাসিনা এতগুলো শক্তির ফ্রন্ট সামলাবেন কীভাবে ? মন্ত্রীরা তো কোনো দায়িত্ব নেন না । ' আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি মিজু আহমেদ । আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক , সাংসদ মিজানুর রহমান খান , অভিনেতা প্রবীর মিত্র প্রমুখ । RvgvqvZ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত - শিবিরের ৪৬ নেতা - কর্মী গ্রেপ্তার কালের কণ্ঠ ডেস্কদেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনে জামায়াত - শিবিরের মোট ৪৬ জন নেতা - কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে । এর মধ্যে গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০ জন , কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীতে ১৪ জন ও নওগাঁ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এর আগে শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট থেকে সাতজন ও ঝালকাঠি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো , গোপনে বৈঠক ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ' রাষ্ট্রবিরোধী ' গোপন বৈঠক চলাকালে ২০ জামায়াত - শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পৌর এলাকার কাজীপাড়ার পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আলম খন্দকারের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি রাশেদুল কবির রানা , পৌর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি খালেদ সাইফুল্লাহ , জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা লোকমান হোসেন , শিবির ক্যাডার রহমতুল্লাহ , ইমরান , মকবুল , রাহাত , জিয়াউল , সোহেল , আবদুল হামিদ , নাছির , রোমান , ফারুক , সলিম , সাবি্বর , আনাস , আবদুল্লাহ , মুছা , বিল্লাল ও রিফাত । রিফাত ঢাকায় কর্মরত পুলিশের এসবির ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানের ছেলে । কিশোরগঞ্জ : জামায়াত নেতা নিজামী , মুজাহিদ ও সাঈদীর মুক্তি দাবি করে পোস্টার লাগানোর সময় গতকাল ভোরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকে আটক করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো জেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক বরকতউল্লাহ , পৌর শাখার সভাপতি আবদুল্লাহ মো . তাহের , মাসুদ , খালিদ , সাজিদ , ইউসুফ ও সাদ্দাম । নরসিংদী : নরসিংদীতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো শামীম , বোরহান , রুবেল , তরিকুল , আমিনুল , মোবারক ও ইসমাইল । তারা জেলার জামিয়া কাশিমিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী । তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে নিজেদের শিবিরকর্মী হিসেবে স্বীকার করেছে । নওগাঁ : নওগাঁয় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো রহিম , হাবিব ও রশীদ । গতকাল ভোর ৬টার দিকে শহরের দয়ালের মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । জয়পুরহাট : আক্কেলপুর উপজেলার রোয়ার গ্রামের শাহ সেকেন্দার জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে বৈঠক করার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আক্কেলপুর থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি - সম্পাদকসহ সাত শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে । গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো আল মামুন , মোতাছিম , হাবিবুর , ফরহাদ , ফরহাদুল , মিজানুর ও আফতাব । ঝালকাঠি : পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের মামলায় ঝালকাঠিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মজিবুর রহমান ও নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । শুক্রবার রাতে শহরের কিফাইতনগর ও কৃষ্ণকাঠির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । গতকাল ঝালকাঠির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবু জাফর নোমানী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন । হিযবুত - জামায়াত গোপন বৈঠকের সমন্বয়ক ছিলেন কামারুজ্জামান মাসুদ কার্জন ' জেএমবি বা হুজি জঙ্গি হলো হিযবুত তাহরীর হাইয়েস্ট অর্ডারের জঙ্গি সংগঠন । হিযবুত তাহরীর ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে আসলে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই , যা আছে তা হলো আবরণগত । সবার আলটিমেট গোল বা চূড়ান্ত লক্ষ্য সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা । ' নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা রিমান্ডে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসাবাদে এ রকম মন্তব্যই করেছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে । জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যাপক গোলাম মাওলা স্বীকার করেছেন , সম্প্রতি জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের ঐক্য গড়ে উঠেছিল । জামায়াতের আগ্রহেই এই ঐক্য হয় । সর্বশেষ ৩০ জুন জামায়াত নেতাদের সঙ্গে হিযবুত তাহরীরের গোপন যে বৈঠকে হয় , এর সমন্বয় করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান । তবে বৈঠকে গোলাম মাওলা বা কামারুজ্জামান কেউই উপস্থিত ছিলেন না । তাঁরা দুজনই বৈঠকের খুঁটিনাটি সব কিছুই জানতেন । বৈঠকটির আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে করণীয় বা সরকারকে অস্থিতিশীল করা । হিযবুতের লক্ষ্য সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি বেগবান করা । এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গতকাল রমনা থানার ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ । আদালত আগেই এ মামলায় তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন । অপর দিকে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পল্টন থানায় দায়েরকৃত তৃতীয় মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । গোয়েন্দা পুলিশের ( ডিবি ) উপকমিশনার মাহাবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান , জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য বা গোপন সম্পর্কের বিষয় নিশ্চিত হতে খুব তাড়াতাড়িই রিমান্ডে থাকা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার মুখোমুখি করা হবে গোলাম মাওলাকে । হিযবুতের ' থিং ট্যাংক ' হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক গোলাম মাওলা শুধু দিকনির্দেশনা দিতেন । সরাসরি কোনো বৈঠক বা কর্মসূচিতে তিনি তেমন উপস্থিত থাকতেন না । সূত্র জানায় , গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হিযবুত তাহ্রীর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় গোলাম মাওলার কাছে । তখন তাঁর মন্তব্য ছিল , এই সংগঠনের কর্মী - সমর্থকরা কখনো পটকা বা ককটেল ফাটাবে না । করলে তারা বিমান ছিনতাই করবে । তবে আপাতত সংগঠনের লোকবল বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছিল । ভালো অবস্থানে যাওয়ার আগে তাদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে তাদের সাংগঠনিক অবস্থা একেবারেই নড়বড়ে । নিজের সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম মাওলা বলেন , তাঁর শিক্ষাজীবনে কখনো দ্বিতীয় হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই । এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতে স্ট্যান্ড করেছিলেন তিনি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স দুটিতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম । পরে ১৯৮৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ওপর পড়ালেখা করতে কমনওয়েলথের বৃত্তি নিয়ে লন্ডন যান । লন্ডনে জুলফিকার , ফিরোজ ও সালেহ নামের তিন প্রবাসী বাঙালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় তাঁর । তাদের মাধ্যমে এ সংগঠনের দীক্ষা নেন । পরে তারা কয়েকটি সেমিনার ও ধর্মীয় আলোচনা সভায় নিয়ে যায় তাঁকে । বিদেশি ধর্মতাত্তি্বকদের আধ্যাত্দিক আলোচনা শুনে তিনি তখন থেকেই খেলাফত রাষ্ট্র কায়েমের চিন্তা শুরু করেছিলেন । পরে ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসেন । দেশে ফিরেই সংগঠন করার বিষয়টি নিয়ে ড . মহিউদ্দিন , মামুনুর রশীদ আনসারীসহ বিভিন্ন শিক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে মতবিনিময় করেন । পরে ২০০১ সালে হিযবুত তাহ্রীর গঠন করেন । উত্তরায় ইসলামিক হেরিটেজ নামে একটি এনজিও অফিসের একটি কক্ষ তাঁদের সংগঠনের জন্য দেওয়া হয় । ওই কক্ষে বসেই বৈঠক করতেন তাঁরা । লন্ডন থেকে টাকাও আসত ইসলামিক হেরিটেজের মাধ্যমে । তবে নিষিদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তৎপরতা গোপন করে ফেলেন । যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করতে গিয়ে ওই দেশের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি । ঢাকায় ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকায় ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল পরিচালনা করেন । নিজের তিন সন্তানের সবাই ইংরেজি মাধ্যমে পড়ছে । তার পরও অন্যদের কেন ইসলামী শাসনের স্বপ্ন দেখান_এ রকম প্রশ্ন করলে নীরব থাকেন গোলাম মাওলা । সূত্রমতে , জামায়াত - শিবিরের সঙ্গে হিযবুত তাহ্রীরের সম্পর্ক জানতে চাইলে গোলাম মাওলা জানান , জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক অনেক পুরনো । হিযবুতের যাত্রা শুরুর পর জামায়াত - শিবির প্রথম তাদের সমর্থন দেয় । শুরুতে ঢাকার কাঁটাবন এলাকার একটি ভবনে গোপন পাঠচক্র করত হিযবুত তাহরীর । ওই জায়গাটি জামায়াতই তাদের দিয়েছিল । হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা আছে । ওই সব শিক্ষক জামায়াতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত । গোয়েন্দা সূত্র জানায় , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াতে ইসলামী নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । এই ছকের অংশ হিসেবেই বিভিন্ন ইস্যু তৈরি এবং বিরোধী দলের ছত্রচ্ছায়ায় দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার পরিকল্পনা করছিল । অজঙ্গি সংগঠনগুলো চাঙ্গা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিল জামায়াত । এ জন্য আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিচ্ছে । প্রথম দফায় রাজশাহী , সিলেট ও চট্টগ্রামকে আন্দোলনের ক্ষেত্র বানোনোর চেষ্টা করছিল তারা । এর অংশ হিসেবে হিযবুত - জামায়াত গোপন বৈঠক করে । গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান , এ ব্যাপারে কিছু তথ্য তাঁদের কাছে আছে । মুজাহিদ - সাঈদীর পছন্দ কারাগার : আদালত সূত্র জানায় , পল্টন থানার তিন মামলায় ৯ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে মুজাহিদ ও সাঈদীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নিয়ে আসা হয় । তাঁদের প্রথমে হাকিমের এজলাসে না তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কিন্তু পরে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মহানগর হাকিম আবদুল মজিদের এজলাসে তুলে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় । তাঁদের আইনজীবী মশিউল আলম , আবদুর রাজ্জাক , এস এম কামাল উদ্দিন তাঁদের একটানা রিমান্ডের পরপরই আবারও রিমান্ডে না নিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান । তাঁরা আদালতে বলেন , পল্টন থানার তিন মামলায় একটানা রিমান্ডের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা খুব ক্লান্ত এবং গুরুতর অসুস্থ । এ পর্যায়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হোক । কারাগারে সুস্থ হয়ে ওঠার পর এ মামলায় তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে । আদালতের আগের আদেশ অনুযায়ী তাঁরা দুজন সুচিকিৎসার আবেদন জানিয়ে বলেন , তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছে । এ আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ কামরুল হাসান খান আসলাম ও অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন , এ রিমান্ড আগেই মঞ্জুর হয়ে আছে । তাই ওই রিমান্ড বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই । তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে অবশ্যই তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন । এ মুহূর্তে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই । এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুজাহিদ ও সাঈদী বলেন , তাঁরা ভীষণ অসুস্থ । তাঁদের কোনো প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না । সাঈদী বলেন , রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে । কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে । দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন নাকচ করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন । এরপর তাঁদের আইনজীবীরা পল্টন থানার তিন মামলায় মহানগর হাকিম মোস্তফা শাহরিয়ারের আদালতে তাঁদের জন্য জামিন চান । দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তা নাকচ করে দেন । রাজউক চেয়ারম্যান কাজ করছেন জামায়াতের হয়ে ! * নিজ কক্ষে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক * ড্যাপে চিহ্নিত জলাশয়কে আরবান এলাকা ঘোষণা * জামায়াত নেতা - কর্মীর নকশা গেলেই পাস উম্মুল ওয়ারা সুইটিরাজউক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের পক্ষে কাজ করে আসছেন । সরাসরি তিনি জামায়াতের কোনো পদ - পদবি বহন না করলেও জামায়াতের মালিকানাধীন হাউজিং কম্পানি ও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতা - কর্মীদের ভবনের নকশা অনুমোদনে বিশেষ সহায়তা করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নূরুল হুদা সম্প্রতি ড্যাপের তৃতীয় নকশায় জলাধারের তালিকা থেকে জামায়াত মালিকানাধীন উত্তরণ হাউজিংয়ের দখলকৃত ভাওয়াল এস্টেটের ১৫১ বিঘা জলাশয় বাদ দিয়ে আরবান এলাকা ঘোষণা করেছেন । উত্তরণ হাউজিং ও মিশন প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান হলেন উত্তরা থানা জামায়াতের সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ । এর আগে গত ১৩ জুন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক ও ২১ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত এবং গেজেট আকারে প্রকাশিত ড্যাপের প্রথম নকশায় ওই জলাধারটি বন্যাপ্রবাহ এলাকা ( ফ্লাড ফ্লো জোন ) হিসেবে চিহ্নিত ছিল । কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওয়েবসাইটে দেওয়া নকশায় সেটিকে আরবান জোন হিসেবে দেখানো হয়েছে । রাজউকের একজন উপপরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন , নরসিংদীর গাবতলী জামিয়া কাশিমিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন জাফরী জামায়াতের পক্ষে এসব কাজের তদবির করে থাকেন । তিনি জানান , ড্যাপের উত্তরণ হাউজিং কম্পানির ওই ১৫১ বিঘা জমি জলাধার হিসেবে চিহ্নিত থাকার পরও সেটি বাতিল হওয়ার আগে রাজউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কামালউদ্দিন জাফরীর বেশ কয়েকটি বৈঠক হয় । সম্প্রতি রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর অন্তত চারটি বৈঠক হয়েছে । এর সবকটি বৈঠকই হয়েছে রাজউক কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে । অফিস ছুটির পর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭ - ৮টা পর্যন্ত ওইসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে রাজউক চেয়ারম্যান ও কামাল উদ্দিন জাফরী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন । রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন , কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করারও একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নূরুল হুদা । এরই মধ্যে পূর্বাচল প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক প্লট নিয়ে সেখানে একটি ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠান করার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে । সিদ্ধান্ত হয়েছে , রাজউক চেয়ারম্যানের ছেলে ও জাফরীর নামে একটি প্লট নিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠান করা হবে । প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন করবে জামায়াত । উল্লেখ্য , সাইয়্যেদ কামালউদ্দিন জাফরী হলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াই । জাফরীর ছেলের সঙ্গে মতিউর রহমান নিজামীর মেয়ের বিয়ে হয়েছে । ওই উপপরিচালক আরো জানান , ' কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে নূরুল হুদার বৈঠকের আলোচ্য সূচি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি এভাবে যে , হঠাৎ করেই চেয়ারম্যান সাহেব সাভার - আশুলিয়ায় অবস্থিত উত্তরণ হাউজিংয়ের জমির ব্যাপারে নতুন করে খোঁজ - খবর নিচ্ছিলেন । এর আগেও তিনি জামায়াতের এই দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্লট , ফ্ল্যাট বা ভবনের নকশা ও লে - আউট এলেই তা অনুমোদন করে দিতেন । ' এদিকে জাফরী পরিচালিত নরসিংদীর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা গাবতলী জামিয়া কাশিমিয়া কামিল মাদ্রাসা শিবিবের ঘাঁটি হিসেবে এলাকায় বিশেষভাবে পরিচিত । এ ব্যাপারে আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন চন্দ্র বর্মণ গতকাল মাদ্রাসা এলাকা ঘুরে এবং আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছেন , শিক্ষার আড়ালে এ মাদ্রাসায় শিবিরের কার্যক্রম চালানো হয় । নরসিংদী পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন , গাবতলী ব্রাহ্মন্দীর পুরো এলাকা জামায়াত এবং শিবিরবেষ্টিত । জামায়াতের নেতাদের বাড়িঘর সেখানে । এর আগে জাফরী জামায়াতের রোকন ছিলেন । তখন তিনি কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে পাওয়া অনেক দায়িত্ব পালন করতেন । স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে , জাফরী বেশির ভাগ সময় এলাকার বাইরে থাকেন এবং ওয়াজ মাহফিল করে বেড়ান । দেশের বাইরেও তাঁর বেশ যাতায়াত রয়েছে । গতকাল মাদ্রাসার মহিলা হোস্টেল সুপার ও উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন , ' জাফরী সাহেব ঢাকায় আছেন । কবে আসবেন তা - ও জানি না । কারন তিনি কাউকে বলে যাওয়া - আসা করেন না । তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন । ' নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন কালের কণ্ঠের নরসিংদী প্রতিনিধিকে বলেন , নরসিংদীর এই মাদ্রাসাটি শিবিরের আঁতুড়ঘর । মাদ্রাসাটি এখন শিবির উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । এখানে শিবিরের নিয়মিত দলীয় ক্লাস নেওয়া হয় । ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যদি কেউ শিবির না করে বা সে ক্লাসে না যায় তাহলে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও মেয়র অভিযোগ করেন । এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য কামাল উদ্দিন জাফরীকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি । জানা গেছে , জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি অপরিচিত নম্বরের ফোন ধরেন না । এদিকে নরসিংদী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , গতকাল নিজামী - মুজাহিদসহ তিন নেতার মুক্তির দাবিতে ওই এলাকায় পোস্টার লাগানোর সময় সাত শিবিরকর্মীকে পুলিশ আটক করে । আটককৃত ব্যক্তিরা সবাই জাফরীর ওই মাদ্রাসার ছাত্র । রাজউকের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান , সর্বশেষ গত ২৯ জুন কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিজের রুমে বৈঠক করেন । সেদিন অবশ্য জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী , সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হন । পূর্বাচল প্রকল্পের প্রকৌশলী আরো জানান , এর আগে ড্যাপের নকশায় জলাধার তালিকা থেকে উত্তরণ হাউজিংয়ের জমিটি বাদ দেওয়ার জন্য তদবির নিয়ে আসেন জাফরী সাহেব । বিভিন্ন সময় রাজউক কর্মকর্তারা জাফরী সম্পর্কে নূরুল হুদাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিশেষ পরিচিত বলে জানান । রাজউকের নকশা অনুমোদন বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন , চেয়ারম্যান সাহেবের জামায়াত প্রীতির কথা সবাই জানেন । তিনি বলেন , একমাত্র জামায়াতের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান মিশন প্রপার্টিজের কোনো ফাইল রাজউকে আটকা পড়ে নেই । কোনো রকমের যাচাই - বাছাই ছাড়াই মিশন প্রপার্টিজের ফ্ল্যাটের নকশা অনুমোদন হয়ে যায় । অথচ অনেক বড় বড় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ফ্ল্যাটের ফাইল রাজউকে জমা হয়ে আছে । রাজউক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা বিদেশে থাকায় এসব বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি । রাজউক সূত্র জানায় , সাবেক উত্তরা বর্তমান তুরাগ থানার তুরাগসংলগ্ন ধৌড় , আশুতিয়া ও নলভোগ মৌজায় ভাওয়াল স্টেটের ১৫১ একর জমি উত্তরণ হাউজিং দখল করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় । ভাওয়াল স্টেটের প্রধান প্রকৌশলী রাজউককে বিষয়টি জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন । ওই অভিযোগে বলা হয় , ' উত্তরণসহ বেশ কিছু হাউজিং কম্পানি কর্তৃক ভাওয়াল স্টেটের ভূমি দখলের ঘটনা ঘটছে । ভাওয়াল এস্টেট থেকে মৌজা নম্বরসহ রাজউককে অনুরোধ করা হয় , রাজউক যেন কোনোভাবেই তাদের ভূমির ওপর উত্তরণ হাউজিং কম্পানিকে কোনো কাজ করার অনুমোদন না দেয় । কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা সে বিষয়টিও পাশ কাটিয়ে যান । এরপর ড্যাপের নকশায় ওই জমিকে ফ্লাড জোন হিসেবে দেখানো হলেও সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় । নূরুল হুদা গেজেট প্রকাশের কয়েক দিন পর সেই নকশায় ওই জমিকে জলাধার থেকে আরবান এলাকা হিসেবে দেখান । এখনো ওইসব মৌজার জমি পানির নিচে রয়েছে । ১৫ দিন ধরে সেখানে দ্রুতগতিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে । AvIqvgxjxM ছাত্রলীগকে লতিফ সিদ্দিকীর পরামর্শ নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে যুদ্ধাপরাধী ও বিরোধীদের মারো নিজস্ব প্রতিবেদকনিজেদের মধ্যে মারামারি না করে বিরোধীদের ওপর চড়াও হওয়ার এবং যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগ নেতা - কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী । তিনি বলেন , বিগত সাত বছর ছাত্রলীগের নেতা - কর্মীরা মার খেয়েছে । এখন তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে । এর বদলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের মারতে পারে না ? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে দেশব্যাপী জনমত গঠনে ভূমিকা রাখতেও ছাত্রলীগ নেতা - কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি । গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ' যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রুত বিচার ও জাতীয় উন্নয়নবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ' শীর্ষক আলোচনা সভায় পাটমন্ত্রী এসব কথা বলেন । সংগঠনের সভাপতি অভিনেতা মিজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ , ওলামা লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী , সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রীনা আমিন প্রমুখ । আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু , সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান খান দীপু , অভিনেতা প্রবীর মিত্র প্রমুখ । ছাত্রলীগের নেতা - কর্মীরা কোনো টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় , বরং চক্রান্তকারীরা এই সংগঠনে ঢুকে নাশকতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন লতিফ সিদ্দিকী । এক - এগারোর সময় সাংবাদিকদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন , এক - এগারোর ঘটনার নায়কদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সাংবাদিকরা এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল । তিনি টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার মালিকদের সুবিধাভোগী আখ্যায়িত করে বলেন , তাঁরা কখনোই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না । পাটমন্ত্রী অভিযোগ করেন , ' ওয়ান - ইলেভেনের সময় টাকা না দিলে টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানরাও আমাদের নিউজ দেখাত না । আমি নিজে ১১ বার মার খেয়েছি । কিন্তু টাকা দেইনি বলে টিভিগুলো সেটা দেখায়নি । ' সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক - উল হকের ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন পাটমন্ত্রী । তিনি বলেন , ' রফিক - উল হক আইনজীবী নন , বরং ব্যবহারজীবী । তিনি আওয়ামী লীগ - বিএনপি সবার কাছ থেকেই সুবিধা নেন । এমনকি যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াত নেতাদের আইনি সহায়তা দিতেও কুণ্ঠা বোধ করবেন না । ' আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ' জীবন দিয়ে হলেও ' আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন । ঝিনাইদহে গতকাল শনিবার নবনির্মিত কারাগারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , ' দেশ থেকে চিরতরে জঙ্গিবাদ , সন্ত্রাসবাদ , চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি দমন করতে হবে । আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন , জীবন দিয়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করব । ' মন্ত্রী অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊধর্ে্ব থেকে মানবসেবার দায়িত্ব নিতে কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব . ) আশরাফুল ইসলাম খান । সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই , শফিকুল ইসলাম অপু , আব্দুল মান্নান , শফিকুল আজম খান , নুরজাহান বেগম , জেলা প্রশাসক রমা রানী রায় , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস প্রমুখ । ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৯ একর জমির ওপর নতুন এ কারাগার নির্মিত হয়েছে । সেখানে ২০০ বন্দি ধারণক্ষমতা রয়েছে । hyØvciva বরিশালে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি বরিশাল অফিসমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার বরিশাল অডিটরিয়ামে মুুক্তিযোদ্ধাদের ঢল নেমেছিল । বরিশাল জেলা কিংবা মহানগর নয় , ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধারা এ সংবর্ধনায় উপস্থিত হন । তাঁদের সবার মুখে ছিল একই দাবি , ' নিজামী - মুজাহিদ - সাঈদীসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই , দিতে হবে ' । বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা . মোকলেছুর রহমান । প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিব বাহিনীর বরিশাল অঞ্চলের প্রধান ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ । অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ( অব . ) হেলাল মোর্র্শেদ খান । বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ , বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরণ ও সংসদ সদস্য তালুকদার মোহম্মদ ইউনুস । মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবনির্বাচিত নেতারা বলেন , অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতে হবে । বিচার করতে কোনো ধরনের টালবাহানা সহ্য করা হবে না । দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল । এখন সময় এসেছে মূল্যায়ন করার । মুক্তিযোদ্ধা , তাঁদের ছেলেমেয়ে ও নাতি - নাতনিদের চাকরি , চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে । মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে পুনর্বাসন করাসহ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে । জামায়াত - শিবির প্রসঙ্গে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন , এ দেশের জামায়াতে ইসলামী কোনো দল নয় । এরা ধর্মের নাম ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করে । গোলাম আযম , নিজামী , সাঈদী ও মুজাহিদ পাকিস্তানের বিতর্কিত লেখক মওদুদীর আদর্শে বিশ্বাসী । হেলাল মোর্শেদ খান বলেন , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে । নানকের অভিযোগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে নিজস্ব প্রতিবেদকযুদ্ধাপরাধীদের বিচার , বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন এবং ' দুর্নীতিবাজ ' তারেক রহমানের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি - জামায়াত জোট দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক । গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুবলীগের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম । জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন , বিরোধী দল অকারণে ধ্বংসাত্দক কর্মসূচি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে । তিনি অভিযোগ করেন , চাল - ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গুদামজাত করে বিএনপি - জামায়াত সমর্থক ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করছে । তিনি এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সভায় । যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম বলেন , খালেদা - নিজামী দেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল ; কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে তা সম্ভব হয়নি । যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নুরুন - নবী চৌধুরী শাওন , সংসদ সদস্য শরীফ সামছুর রহমান ডিলু , সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার , সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার , সংসদ সদস্য জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ । আলোচনা সভায় তদন্ত সংস্থার সদস্য যুদ্ধাপরাধের বিচারে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে নিজস্ব প্রতিবেদকএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে গঠিত সংস্থার সদস্য এবং ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা . এম এ হাসান বলেছেন , যে গতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ চলছে , তাতে এই সরকারের মেয়াদে বিচার করা যাবে না । এ মেয়াদেই বিচারকাজ শেষ করতে হলে আদালত , বিচারক ও তদন্ত সংস্থার সদস্যসংখ্যা বাড়াতে হবে । গতকাল শনিবার বিকেলে ' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম : অগ্রগতি ও করণীয় ' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন । বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভা শেষে ' আলবদর ' নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় । সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ - উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ , সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী , অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন , পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শামসুল হক ভুইয়া , এ এম বাহালুল মজনু চুন্নু , ড . অনুপ কুমার ঘোষাল , খোকা শিকদার , এ বি এম শফিউল আলম বক্তব্য দেন । সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি এম এ এইচ হায়দার । RvgvqvZ গোপন বৈঠক চলাকালে ৪৪ জামায়াত শিবির ক্যাডার গ্রেফতার জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সরকারবিরোধী গোপন বৈঠককালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুক্র ও শনিবার রাতে ৪৪ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক চলাকালে জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিসহ ২০ জামায়াত - শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । শনিবার দুপুরে পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট শাহ আলম খন্দকারের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় । এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকেও গোপন বৈঠক চলাকালে শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতার করা হয় । গোপন সভা করার সময় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি মসজিদ থেকে শিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এদিকে নওগাঁয় নিজামী , মুজাহিদ ও সাঈদীর মুক্তির দাবিতে পোস্টারিং করার সময় ৩ শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পোস্টার লাগানোর সময় নরসিংদী থেকে ৭ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । খুলনায় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে র্যাব - ৬ - এর একটি দল প্রচুর বই এবং কাগজপত্রসহ পাঁচ অপপ্রচারকারীকে গ্রেফতার করেছে । বাগেরহাটে পুলিশ ছাত্রশিবিরের অফিসে তলস্নাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার বই ও চাঁদা আদায়ের রসিদ জব্দ করেছে । তবে এ সময় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । এছাড়া ঝালকাঠি থেকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতিসহ দু ' জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের । ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতারকৃত শিবিব ক্যাডারদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তার পুত্রও রয়েছে । এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায় , শনিবার সকালে বিএনপি নেতার বাসায় জামায়াত - শিবিরের গোপন বৈঠক শুরম্ন হয় । বৈঠকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির ক্যাডাররা এসে যোগ দেয় । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দুপুর সোয়া ১২টায় ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত - শিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কবির রানা ( ৩০ ) , পৌর ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুলস্নাহ ( ২২ ) , জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা লোকমান হোসেনসহ ( ৪১ ) ২০ ক্যাডারকে গ্রেফতার করে । ঢাকায় কর্মরত পুলিশের এসবির ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানের পুত্র রিফাতকেও সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় । আক্কেলপুর থানা সূত্রে জানা যায় , জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতা গ্রেফতারের পর জামায়াত সারাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । এরই ধারাবাহিকতায় আক্কেলপুর বাজারে অগি্নসংযোগ ও ভাংচুরসহ বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রোয়ার গ্রামের সেকেন্দার জামে মসজিদে শিবিরকর্মীরা সভা করার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আল মামুন , সাধারণ সম্পাদক মোতাস্মিম বিলস্নাহ আপেলসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে । পুলিশ জানায় , গ্রেফতারকৃত শিবির সভাপতি আল মামুনের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জে , অন্যান্য নেতাকর্মীর বাড়ি নওগাঁ জেলা ও জয়পুরহাট জেলায় । অন্য জেলার ছেলে কি করে আক্কেলপুর উপজেলার পলস্নীতে গভীর রাতে সভা করতে যায় এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা জামায়াতের এক শীর্ষনেতা জানিয়েছেন , তাদের বাড়ি ভিন্ন জেলা - উপজেলায় হলেও আক্কেলপুর উপজেলায় দলের কাজ করতে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল । জেলার আরও ৭টি স্থানে এ ধরনের সভা করার প্রস্তুতি রয়েছে এমনটা তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে । পুলিশ সেভাবে সতর্ক রয়েছে । নওগাঁ সদর থানার ওসি জানিয়েছেন , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামায়াতের ৩ শীর্ষনেতা নিজামী , মুজাহিদ এবং সাঈদীর মুক্তির দাবিতে পোস্টারিং করার সময় ওই এলাকা থেকে ৩ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় । এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ / ২৫টি পোস্টারও উদ্ধার করা হয় । জানা গেছে , জামায়াতের ওই শীর্ষনেতারা গ্রেফতার হওয়ার পর সারাদেশের মতো জামায়াত - শিবির নওগাঁতেও গোপন বৈঠকসহ সরকারবিরোধী নানা অপতৎপরতা শুরম্ন করে । এৰেত্রে জামায়াত - শিবিরের পাশাপাশি জঙ্গী মদদদাতা ও জামায়াতপন্থী বিএনপির কিছু নেতাকর্মী এককাট্টা হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে । শহরের দয়ালের মোড়ের চারপাশ জুড়ে জামায়াত - শিবির শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছে বলে পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা স্বীকার করেছে । এদিকে জেলার দায়রা জজকে মোবাইল ফোনে বোমা মেরে আদালত উড়িয়ে দেয়ার হুমকিদাতা সেই সহকারী জিপি এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে । সেই সঙ্গে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার জঙ্গীদের শেল্টারদাতা এবং জঙ্গীনেতা বাংলাভাইয়ের আইনজীবীখ্যাত অপর দুই আইনজীবীও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে । নওগাঁ সদর থানা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে । বাগেরহাটে পুলিশ ছাত্রশিবিরের অফিস তলস্নাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার বই ও সংগঠনের চাঁদা আদায়ের রসিদ জব্দ করেছে । শনিবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ শহরের সোনাতলা এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছাত্রশিবিরের অফিস তলস্নাশি চালায় । এ সময় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি । পুলিশ অফিসকক্ষ থেকে তাফিমুল কোরানসহ বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধর্মীয় ও ছাত্র সংগঠনের বইপত্র জব্দ করে । ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে র্যাব - ৬ খুলনার একটি বিশেষ দল প্রচুর বই ও কাগজপত্রসহ ৫ অপপ্রচারকারীকে গ্রেফতার করেছে । শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের নর্থসাউথ জোনের বি - বস্নকের ২৭৪ নং রোডের ১১ নং পস্নটের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার এবং অপপ্রচারমূলক বই ও কাগজপত্র জব্দ করা হয় । পুলিশ জানায় , খালিশপুরস্থ নর্থসাউথ জোনের সিদ্দিক মঞ্জিলে দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্মের নামে বিভিন্ন তৎপরতা চালানো হচ্ছিল । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের বিশেষ একটি দল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইসলামের অপপ্রচারকারী হিসেবে তৈয়েবুর রহমান ( ৭২ ) , কাজী আমানউলস্নাহ ( ৮৭ ) , মাহবুবুর রহমান ( ৫৫ ) , আব্দুর রউফ ( ৫০ ) ও মশিউর রহমান ( ৪০ ) কে গ্রেফতার করে । পুলিশ তাদের ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নিচ্ছে । জঙ্গী কানেকশনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঝালকাঠি থানা পুলিশ শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে গাবখান থেকে নাসির উদ্দিন ( ৩৫ ) এবং শহরের কৃষ্ণকাঠি থেকে ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মজিবুর রহমানকে ( ৪২ ) গ্রেফতার করেছে । পুলিশের কাজে বাধাসহ সরকারবিরোধী কর্মকা - ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে । ' বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নীলনকশা জামায়াতের ' শংকর কুমার দে ॥ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার নীলনকশা তৈরি করেছে জামায়াত । যুদ্ধাপরাধী বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই বিএনপির ডাকা হরতালে ফারুক হোসেনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে । সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য হরতালের সময়ে জামায়াতের ক্যাডার ও জঙ্গীদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে অগ্নিসংযোগ , ভাংচুর ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে । নয় দিনের রিমান্ডের পর আদালতে হাজিরা শেষে ফারম্নক হোসেন হত্যা মামলায় পূর্বে মঞ্জুরকৃত ৪ দিনের রিমান্ডে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী , সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরম্ন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ । গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াতের ষড়যন্ত্রের নীলনকশার কথা ফাঁস করে দিয়েছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী । জামায়াতের সঙ্গে জেএমবির সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নিজামী , মুজাহিদ ও সাঈদীর সঙ্গে জেএমরি আমির মাওলানা সাইদুর রহমানকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ডে আনা হচ্ছে । হরতালের সময়ে জামায়াতের কর্মী - ক্যাডার ছাড়াও জেএমবি , হুজি , হিযবুত তাহরীরসহ জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীদের মাঠে নামানো হয়েছে বলে তদনত্মে বের হয়েছে । হরতালের সময়ে ফারম্নক হোসেনকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জামায়াত নেতা মুজাহিদ ও সাঈদীকে । ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ( ডিবি ) কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুজাহিদ ও সাঈদী হরতালের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেছেন , এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল । সরকারের সঙ্গে বিএনপিকে মুখোমুখি করার জন্য কৌশল নিয়েছে জামায়াত । জামায়াতের নেতা , কর্মীরাই হরতালের সময়ে মাঠে ছিল । হরতাল সফল করার জন্য অগি্নসংযোগ , ভাংচুর , ধ্বংসাত্মক কর্মকা - চালিয়ে ভয় ভীতির সৃষ্টি করা হয় । জামায়াতের নেতাকর্মীদের আগুনেই ফারম্নক হোসেন অগি্নদগ্ধ হয়ে মারা গেছে । প্রকৌশলী আবুল কাসেমও অগি্নদগ্ধ হয়েছে জামায়াতের কর্মীদের আগুনেই । তারা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে , যেহেতু বিএনপি হরতাল ডেকেছে তাই যা কিছু ঘটবে তার দায় - দায়িত্ব বিএনপির কাঁধে গিয়ে পড়বে । জামায়াত বিএনপির কাঁধে দায় - দায়িত্ব ফেলে সরকারের মুখোমুখি করার জন্য হরতালের সময়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকা - চালিয়েছে । বিএনপি প্রথমে হরতাল আহ্বান করতে চায়নি । হরতাল আহ্বান করলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভের পর হরতাল থেকে সরে আসতে চেয়েছিল তারা । জামায়াতই বিএনপিকে হরতাল কর্মসূচী দিতে উস্কে দেয়ার ভূমিকা পালন করেছে । কারণ সরকারের সঙ্গে বিএনপি মুখোমুখি হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে তারা মাথা ঘামাতে পারবে না । মুজাহিদ ও সাঈদী গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে , ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক শীতল হয় । তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে কারারম্নদ্ধ করে রাখার সময়ে জামায়াত তাদের পৰে না থাকায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে । আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পর বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক শীতলই ছিল । যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার ঘোষণা দেয়ার পর জামায়াত বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির জন্য চেষ্টা করে । বিএনপি প্রথমে সায় দেয়নি । জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে একানত্মে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করেন । বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক উন্নত হতে শুরম্ন করে । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পৰে জামায়াতের প্রার্থী প্রত্যাহার করে তাদের পৰে প্রচার চালানোর পর বিএনপি প্রার্থীর বিজয়ে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক উন্নত হয় । বিএনপির ডাকা হরতালে জামায়াত সমর্থন দিয়ে প্রচারে অংশ নেয়ার পর বিএনপি - জামায়াত সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে থাকে । বিএনপির যুদ্ধাপরাধীর বিচার থেকে জামায়াত নেতাদের রৰার জন্য বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে পৰাবলম্বন করার পর বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক আগের সুসম্পর্কের অবস্থায় ফিরে আসে । বিএনপির ডাকা হরতালের সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশি মাঠে দেখা যায়নি । জামায়াতের নেতাকর্মীরাই মাঠে ছিল । জামায়াতের নেতাকর্মীরা মাঠ দখল করে অগি্নসংযোগ , ভাংচুর করলেও তাদের কাঁধে দায়িত্ব বর্তাবে না । যেহেতু হরতাল ডেকেছে বিএনপি , তাই দায়দায়িত্বও তাদের কাঁধেই বর্তাবে । জামায়াত নেতাদের গ্রেফতারের পর বিএনপি তাদের পৰে এসে দাঁড়িয়েছে । এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশলের বিজয় বলে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে মুজাহিদ ও সাঈদী । জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের জানানো হয়েছে , বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসের বাসা কাম অফিসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কারা হামলা করেছে সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মুজাহিদ ও সাঈদীকে । জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে , মীর্জা আব্বাসের বাড়ি কাম অফিসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার বিষয়টি ছিল পূর্বপরিকল্পিত । মীর্জা আব্বাসের বাড়ি কাম অফিসে আগে থেকেই জামায়াত - শিবিরের কর্মীদের সেখানে অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল । জামায়াতপন্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে তখন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মীর্জা আব্বাসের বাড়ি কাম অফিসে হামলা চালানো হয় । বিএনপি - জামায়াত সমর্থক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত রেখে ভিডিও ফুটেজে তা ধারণ করে প্রচার করানো হয় । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তুলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো হয়েছে । মুজাহিদ ও সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদে ও গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এই তথ্য বের হয়ে এসেছে । গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসাবেই হরতালের নামে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে অংশ নিয়েছে জামায়াত - শিবির । বিএনপিকে এখন পাশে পাওয়ার পর জামায়াত সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে । আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ৰমতায় আসার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ঘোষণা দেয়ার বিরম্নদ্ধে জামায়াত নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে । বিডিআর বিদ্রোহের ব্যাপারে ইন্ধন দিয়ে ও বিদ্রোহের পর নানাভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে জামায়াত । বিদু্যত , পানি , গ্যাসের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলারও একটিই কারণ হচ্ছে যে , যুদ্ধাপরাধীর বিচার থেকে মানুষজনের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা । জামায়াত প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের বিপৰে দেশে ছাড়াও বিদেশে প্রচার চাালিয়ে যাচ্ছে । পাকিসত্মান , সৌদি আরব , মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহসহ বিভিন্ন দেশে জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরম্নদ্ধে প্রচার চালিয়ে বলছে , দেশে যুদ্ধাপরাধী বলতে কিছুই নেই । জামায়াত দেশে ও বিদেশে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । জামায়াত নেতারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায় , জামায়াত তাদের ৩০ জন আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছে । তারা ফেসবুকসহ ওয়েবসাইটে জামায়াতের পৰে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । জামায়াতে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই । রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে হয়রানি করা হচ্ছে এই ধরনের প্রচারের জন্য ফেসবুক ও ওয়েবসাইটের আশ্রয় নিয়েছে জামায়াতের আইটি বিশেষজ্ঞরা । মুজাহিদ ও সাঈদী জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করার কথা স্বীকার করেছে । জামায়াত - শিবিরের নতুন প্রজন্ম নিজামী , মুজাহিদসহ বয়োবৃদ্ধ সেকালের নেতাদের চায় কিনা সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা । জামায়াতের জন্য তারা বোঝা হিসাবে দেখছে জামায়াত - শিবিরের নতুন প্রজন্মরা । কারণ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অধিকাংশই যুদ্ধাপরাধীর তালিকাভুক্ত । জামায়াত - শিবিরের নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীর কলঙ্কের বোঝার দায়দায়িত্ব বহন করতে চায় না । জামায়াত - শিবিরের নতুন প্রজন্মকে টানার জন্যই এখন বিএনপির সঙ্গে মিলে জামায়াত আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে । এতে জামায়াত দল হিসাবে সংগঠিত হবে । বিএনপির সঙ্গে বাড়বে তাদের ঘনিষ্ঠতা । জামায়াতের নতুন প্রজন্মের কাছে যুদ্ধাপরাধীর ইসু্য মন থেকে মুছে যাবে । মুজাহিদ ও সাঈদী জিজ্ঞাসাবাদে এই ধরনের তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে । খুব শীঘ্রই জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে । মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী , আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে । জামায়াতের সঙ্গে জঙ্গীদের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দারা । জামায়াতই দেশের ভেতরে জঙ্গীদের উত্থানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে । বিএনপি - জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী জেএমবির সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই সম্পর্কে বলেছিলেন , বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি । জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাবাদে জানিয়েছিল মুজাহিদ ও সাঈদীর সঙ্গে এক বিছানায় শুয়েছে , রাত কাটিয়েছে । জামায়াতের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি । জেএমবিকে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারেও তথ্য দিয়েছে মাওলানা সাইদুর রহমান । নিজামী , মুজাহিদ ও সাঈদীকে মুখোমুখি করে এসব ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । উগ্র ইসলামী জোট জামায়াত হিযবুত ও জঙ্গী শীর্ষ নেতাদের গুলশানে গোপন বৈঠকে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গাফফার খান চৌদুরী ॥ ভবিষ্যতে বিএনপি - জামায়াত জোট ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে_ এমন আশ্বাসের মুখে উগ্র মৌলবাদী দল ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে ' ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ' গড়ে তুলেছে জামায়াতে ইসলামী । নিজামী , মুজাহিদ ও সাঈদী গ্রেফতার হওয়ার তিনদিন পর গুলশানের একটি অভিজাত বাড়িতে জামায়াত - শিবির - জঙ্গী ও ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠকে নতুন এই জোট গঠন করা হয় । বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন । নতুন এই জোট সরকার উৎখাতে সব ধরনের কার্যক্রম চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে এ ব্যাপারে বিএনপির সহযোগিতা চাওয়া হয় । হিযবুত তাহরীর দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করার কথা বললেও দলটির শীর্ষ নেতাদের পারিবারিক চালচলন পশ্চিমা ধাঁচের । দলটির থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত অধ্যাপক গোলাম মাওলার পরিবারে আরবি তো দূরের কথা বাংলায় কথোপকথন হয় না । সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইংরেজীতে কথোপকথন শুরু হয় । হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি - জামায়াতের একটি অংশ জড়িত । জড়িতদের মধ্যে ৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে অধ্যাপক মাওলা । নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড . সৈয়দ গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে । গোয়েন্দা সূত্র জানায় , ভবিষ্যতে বিএনপি - জামায়াত জোট সরকার ৰমতায় গেলে হিযবুত তাহরীরের রাজনীতি এদেশে বৈধ করে দেয়া হবে । জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারুজ্জামানের এমন আশ্বাসের পর হিযবুত তাহ্রীরের প্রতিনিধি পাঠানো হয় গোপন বৈঠকে । পুরো বৈঠক সমন্বয় করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারুজ্জামান । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সরকার উৎখাতে সব রকমের চেষ্টা চালানো হবে । এটি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী শাসন কায়েমের পক্ষের দলগুলোর জন্য অস্তিত্বের লড়াই । এ লড়াইয়ে টিকতে না পারলে সোজা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে হবে । ভবিষ্যতে বাঁচার আর কোন পথ থাকবে না । প্রয়োজনে গোটা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে হবে । সরকার উৎখাতে প্রয়োজনে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে । আন্দোলনে বিএনপি পাশে না থাকলেও অসুবিধা নেই । শুধু কৌশলে বিএনপির কাছ থেকে সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচী আদায় করে নিতে হবে । এমন পরিকল্পনা থেকেই জামায়াতে সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে ' ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ' নামে জোট গঠন করা হয় । এরপর থেকেই আটঘাট বেঁধে জামায়াত - শিবিরের পাশাপাশি হিযবুত তাহ্রীর সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে রয়েছে । এজন্য চট্টগ্রামে জামায়াত - শিবিবের পাশাপাশি হিযবুত তাহ্রীরের জঙ্গীরা ঝটিকা মিছিল করে । পুলিশ প্রায় ২শ ' জনকে গ্রেফতার করে । চট্টগ্রামে সুবিধা করতে না পেরে জঙ্গীরা ঢাকায় আসতে থাকে । বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ জঙ্গীই ঢাকামুখী । শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামে হিযবুত তাহ্রীরের পক্ষে জঙ্গী মিছিলের নেতৃত্বদানকারী ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যত রোডম্যাপ উদ্ধার করা হয়েছে । অন্যদিকে বিডিআরে স্মরণকালের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পর হিযবুত তাহরীর ও জামায়াত পরিকল্পিতভাবে মাঠে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে লিফলেট বিতরণ করেছিল । তবে মাঠ পর্যায়ে লিফলেট বিতরণের দায়িত্ব পালন করেছিল হিযবুত তাহরীর । হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি - জামায়াতের একটি অংশ সরাসরি জড়িত । জড়িতদের মধ্যে জুলফিকার , সালেহ ও ফিরোজ নামে তিন প্রবাসী হিযবুত তাহরীরকে নানাভাবে সহায়তা করে আসছে । প্রসঙ্গত , গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড . মহিউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এরপর দিন ২১ এপ্রিল জঙ্গী সংগঠনটির যুগ্ম সমন্বয়কারী কাজী মোরশেদুল আলমকে গ্রেফতার করে র্যাব । সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল দলটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড . সৈয়দ গোলাম মাওলাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ । তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের ডিসি মাহবুবর রহমান ও এডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান , নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েম করার পক্ষে । অথচ দলটির শীর্ষ নেতাদের চালচলন পশ্চিমা ধাঁচের । দলটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড . সৈয়দ গোলাম মাওলার বাড়ি কুমিলস্না সদরের দক্ষিণ পাড়ায় । তিনি ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম হন । ১৯৭৫ সালে এইচএসসিতেও চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন । এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে সম্মান ও এমকম শ্রেণীতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৩ সালে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন । এরপর কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে ১৯৮৭ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল ব্রেডফোর্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন । সেখানে পড়াশুনাকালীন সময়ে জড়িয়ে পড়েন আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে । ১৯৮৭ সালে জেনিফার আহমেদ নামে মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার করে । পরবর্তীতে গোয়েন্দাদের অস্বাভাবিক নজরদারির কারণে ১৯৯৪ সালে তিনি দেশে ফিরে পুরনো কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন । ২০০২ সালে প্রচার শুরু করে ২০০৩ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশে দলটির কার্যকম চালু করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় । মার্চ মাস থেকে দলটি বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠে নামে । সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর সরকার দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে । অধ্যাপক মাওলার স্ত্রী ধানমণ্ডি লেকহেড গ্রামার নামের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিৰিকা ছিলেন । তাঁর কোন ছেলে সন্তান নেই । ৪ মেয়ে ঢাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করেছে । তাঁর স্ত্রী ও চার মেয়ে লন্ডনের নাগরিক । তাদের বাড়িতে আরবি তো দূরে থাক , বাংলা ভাষার ব্যবহার হয় না । মেয়েরা সকালে ঘুম থেকে উঠে গুডমর্নিং বলে । অথচ দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করছে অধ্যাপক মাওলা । এ সবই বিদেশ থেকে আসা এবং জামায়াতসহ এদেশীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া টাকা আত্মসাত করার অপকৌশল । AvIqvgxjxM মারামারি ছেড়ে যুদ্ধাপরাধী প্রতিহত করুন ছাত্রলীগকে পাটমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছাত্রলীগসহ নিজ দলের কঠোর সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী । নিজেদের মধ্যে মারামারির বদলে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন , ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে । এর বদলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের মারতে পারে না ? তিনি আওয়ামী লীগেরও সমালোচনা করে বলেন , ' আওয়ামী লীগের বড় সমস্যা হলো এরা কেবল স্লোগান দেয় আর ধান্ধা করে । এরা হলো ধান্ধার বান্দা । আওয়ামী লীগের কিছু নেতা - কর্মীর এমন আচরণ আর কিছু মিডিয়ার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রসত্ম হচ্ছে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে দেশব্যাপী জনমত গঠনে ভূমিকা রাখতেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি । শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম ( আসাফো ) আয়োজিত ' যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রম্নত বিচার ও জাতীয় উন্নয়নবিরোধী কর্মকা - প্রতিরোধ ' শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ আহ্বান জানান । তিনি বলেন , বিএনপি - জামায়াত জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গত ৭ বছরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই মার খেয়েছে । তারা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয় । তবে সুযোগসন্ধানী ও চক্রান্তকারীরা এই সংগঠনে ঢুকে নাশকতা চালাচ্ছে । এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন , ' বিএনপির কর্মীরা ডাকাত , আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছিঁচকে চোর । আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে পুলিশকে প্যাকেট বিরিয়ানি খাইয়ে সরাসরি নিজেরা জেল থেকে বের হয়ে আসত । আর বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে টুকু সাহেবের ( স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ) সহযোগিতা নেন । ' ওয়ান ইলেভেনের সময় মিডিয়ার ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন , অনেক টিভি ও পত্রিকার মালিক ওয়ান ইলেভেনের ঘটনার নায়কদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে ওয়ান ইলেভেনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন । তারা কখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিরম্নদ্ধে কথা বলেন না । তাঁর অভিযোগ , ' ওই সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানরাও টাকা না দিলে আমাদের নিউজ দেখাত না । আমি নিজে ১১ বার মার খেয়েছি । কিন্তু টাকা দেইনি বলে টিভিগুলো সেটা দেখায়নি । ' ওয়ান ইলেভেনের সময় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক - উল হকের ভূমিকারও সমালোচনা করে তিনি বলেন , তিনি আইনজীবী নন , বরং ব্যবহারজীবী হিসেবেই খ্যাত । আওয়ামী লীগ - বিএনপি সবার কাছ থেকেই তিনি সুবিধা নেন । এমনকি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জামায়াত নেতাদের আইনী সহায়তা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করবেন না । তিনি বলেন , ' আমিও নিজামীদের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই , তারা যুদ্ধাপরাধী নন । তবে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধেও সময় গণহত্যা , ধর্ষণ , লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধ করেছে । আর এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যই তাদের বিচার হবে । ' আসাফো ' র সভাপতি ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মিজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ , ওলামা লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী , কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম , সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রীনা আমিন । এই সময় সেখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু , সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান খান দীপু , অভিনেতা প্রবীর মিত্র উপস্থিত ছিলেন । কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও করে ছাত্রলীগ নেতার উল্লাস , হুমকি আত্মরক্ষায় পরিবার বাড়িছাড়া , এক নেতা গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা , টাঙ্গাইল , ১০ জুলাই ॥ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক । তার পৈশাচিকতা শুধু ধর্ষণ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকেনি । ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা উল্লাস প্রকাশ করেছে । কিশোরী ধর্ষিতে বাদী হয়ে মামলা করলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি । আসামিরা প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে তাদের বংশকে নির্বংশ করার । আসামিদের হুমকিতে পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । শনিবার সকালে ধর্ষিতের পরিবার বাড়ি ছেড়ে আত্মরক্ষার্থে অন্যত্র পালিয়ে গেছে । এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আকাশ নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার এস আই মিজানুর রহমান জানান , সখীপুর পৌর এলাকার কাহারতা গ্রামের ওই কিশোরী ( শান্তা আক্তার ) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নবম শ্রেণীতে পড়ে । কিশোরী গত ৫ জুলাই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে সখীপুর বাজারে আসে খাতা কেনার জন্য । বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ ইতিহাস ওরফে হাবিব , উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আরিফ আহমেদ , সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদারের ভাগ্নে বাবুল আজাদ ও তার নাতি আরিফুল ইসলাম আকাশ জোরপূর্বক অপহরণ করে কিশোরীকে মোটর সাইকেল যোগে সখীপুর হাজিপাড়ায় আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় । পরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুলস্নাহ ইতিহাস ওরফে হাবিব কিশোরীকে ধর্ষণ করে । এ সময় তার সহযোগীরা ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ করে । পরে আরেকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করতে গেলে মেয়েটি সুযোগ বুঝে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে । এ সময় মেয়েটিকে তারা ধাওয়া করে । মেয়েটির চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায় । এ ঘটনায় কিশোরী ধর্ষিতে বাদী হয়ে সখীপুর থানায় পরের দিন ৬ জুলাই মঙ্গলবার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুলস্নাহ ইতিহাস ওরফে হাবিব , আরিফ আহমেদ , বাবুল আজাদ ও আরিফুল ইসলাম আকাশকে আসামি করে মামলা দায়ের করে । পরে পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোরে আকাশকে গ্রেফতার করে । মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা ধর্ষিতের পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলা , মামলা তুলে নেয়া ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । ধর্ষিতের পরিবার অভিযোগ করে , এ মামলার আসামি আকাশকে গ্রেফতারের পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার থানায় গিয়ে আসামি ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ও অশোভন আচরণ করেন । এ বিষয়ে শওকত শিকদার বলেন , এ ঘটনা আমার জানা নেই । সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোজাম্মেল হক বলেন , আমরা আসামি ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ রাজিব বলেন , এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি । আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি । ঘটনা যদি সত্য হয় তবে সাংগঠনিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । ধর্ষিতের ভাই ফারম্নক আহমেদ বলেন , মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়তই আমাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে । আমরা চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বন্ধ করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কিং খালেদ বিমানবন্দরে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা রিয়াদ , সৌদি আরব , ১০ জুলাই , বাসস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার ( ওআইসি ) জন্য একটি অভিন্ন তহবিল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন । তিনি বলেন , ' আমরা দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে ওআইসি দেশগুলোর জন্য শীঘ্রই অভিন্ন তহবিল গঠনের ব্যাপারে চিন্তা - ভাবনা করতে হবে । ' শুক্রবার রাতে এখানে বাদশাহ্ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সৌদি পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী ড . নিজার ওবায়েদ মাদানীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন । পশ্চিম আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশ নাইজিরিয়ায় অনুষ্ঠিত ৭ম ডি - ৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে রাজধানী আবুজা থেকে দেশে ফেরার পথে এই বিমানবন্দরে তিনি দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন । এর আগে শেখ হাসিনা বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সৌদি পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানান । বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন । শান্তি ও সমপ্রীতির ধর্ম ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন , ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদে লিপ্ত হওয়া কারও কাম্য নয় । তিনি বলেন , ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ও নিরপরাধ লোকদের হত্যার কোন সুযোগ নেই । শেখ হাসিনা বলেন , কিছু কর্মকাণ্ড , যা পবিত্র ধর্মের ইমেজ মস্নান করে দিচ্ছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে । সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ বন্ধ করার ব্যাপারে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন , জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশে ঘৃণ্য তৎপরতা বন্ধে তাঁর সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ । পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন , বৈঠককালে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আনত্মর্জাতিক ইসু্য ছাড়াও দ্বিপৰীয় স্বার্থ - সংশিস্নষ্ট সার্বিক বিষয় এবং বাণিজ্যের প্রসার ও দু ' টি মুসলিম দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাণিজ্য সমপ্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে । সৌদি প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি বাদশা আবদুলস্নাহ বিন আবদুল আজিজ আল সউদের শুভেচ্ছা পেঁৗছে দেন । প্রধানমন্ত্রীও অনুরূপ শুভেচ্ছা জানান । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন , মুসলিম উম্মাহ্ এবং উভয় দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে । তিনি বিশেষভাবে সৌদি আরবসহ ওআইসি দেশগুলোকে বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান । এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশ্বমানের তৈরি পোশাক , চামড়া , সিরামিক ও ওষুধ আমদানির জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানান । এর আগে তাঁর সৌদি আরব সফরে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট সংক্রানত্ম সমস্যা সমাধানে স্বাৰরিত চুক্তির আংশিক বাসত্মবায়নের কথা উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা এ সমস্যা যথাশীঘ্র সম্ভব সমাধানের জন্য সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান । সৌদি সহায়তায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সমপ্রসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন , তাঁর বিগত সরকারের আমলে সৌদি সহায়তায় এ কাজ শুরম্ন হয়েছিল । তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে , বিএনপি - জামায়াত জোট সরকার ৰমতায় আসার পর এ কাজ বন্ধ করে দেয় । অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সনত্মোষের সঙ্গে নাইজার ওবাইদ মাদানিকে বলেন যে , একটি অবাধ , নিরপেৰ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ৰমতায় এসে তাঁর সরকার এ কাজ সম্পন্ন করেছে । দু ' দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সনত্মোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে , ঢাকা ও রিয়াদের এ সম্পর্ক আগামীতে আরও সুসংহত হবে । পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি , প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য - সচিব এমএ করিম , প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । we Gb wc সরকারই চৌধুরী আলমকে অপহরণ করেছে বিএনপির সমাবেশে দাবি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতা ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর চৌধুরী আলমকে সরকারই অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা । অবিলম্বে সরকার যদি তার অবস্থান না জানায় তাহলে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা এবং সরকারকে পতনে বাধ্য করার ঘোষণা দেন তারা । তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন , চৌধুরী আলমকে সরকার অত্যাচার - নির্যাতন করছে বা হত্যা করেছে । এজন্য সরকারকে চরম মাশুল দিতে হবে । বক্তারা এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেন । চৌধুরী আলমকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন , এর সব দায় - দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে । শনিবার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে বিএনপি আয়োজিত বিৰোভ - সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন । চৌধুরী আলমকে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক অপহরণ ও সরকারের রহস্যজনক নীরবতার প্রতিবাদে এবং তার সন্ধানের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয় । বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড . খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন , চৌধুরী আলম নিখোঁজ হওয়া ও সরকারের নীরবতার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই আমরা । বাংলাদেশ টেলিভিশনেও চৌধুরী আলমের গ্রেফতারের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে - দাবি করে তিনি বলেন , চৌধুরী আলম কোথায় - জনগণ তা জানতে চায় । প্রধানমন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে । তিনি বলেন , গুম করার ইতিহাস আওয়ামী লীগের এটাই প্রথম নয় । স্বাধীনতাপরবর্তীতে রৰীবাহিনী দিয়ে এভাবে অনেক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করেছে তারা । আসলে আওয়ামী লীগের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি । সরকার গণতন্ত্রের আবরণে বাকশালী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে - অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন , বিএনপি নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের বাকশাল কায়েমের শখ মেটাতে দেবে না । দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এমপি বলেন , দেশের সংবিধান অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করতে হয় । তা না করলে ধরে নেয়া হয় যে , সরকার আইন অমান্য করে গ্রেফতার করেছে । চৌধুরী আলম নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তার সন্ধান জানতে আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম । সরকার পৰ আমাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে । এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে , সরকার সংবিধান লংঘন করে চৌধুরী আলমকে অত্যাচার - নির্যাতন করছে বা সরকার তাকে হত্যা করেছে । তবে চৌধুরী আলম জীবিত না মৃত তা আমরা এখনও জানি না । বর্তমান সরকারকে সংবিধান লংঘনকারী সরকার উলেস্নখ করে তিনি বলেন , দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপহরণের রাজনীতি শুরম্ন হয়েছে । দূর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে পতনে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষনা দেন তিনি । স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন , চৌধুরী আলম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার । তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন , চৌধুরী আলম নির্বাচিত নেতা । তাকে গুম করতে পারবেন না । সরকার সংবিধান লংঘন করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন । তিনি বলেন , সরকার যদি এ পথ থেকে ফিরে না আসে তবে জনগণ সরকারকে ৰমতা ছাড়তে বাধ্য করবে । স্থায়ী কমিটির সদস্য ড . আব্দুল মঈন খান বলেন , চৌধুরী আলমকে যদি ফিরে না পাই তবে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে । বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর বলেন , চৌধুরী আলমের সন্ধান জানতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলাম । তিনি দেখা করেননি । স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সময় দিয়েও দেখা করেননি । সরকার সমগ্র দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে - অভিযোগ করে তিনি বলেন , সরকার আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে । যুগ্ম মহাসচিব আমান উলস্নাহ আমান সরকারের উদ্দেশে বলেন , চৌধুরী আলমকে ফেরত দিন । নইলে এর দায় - দায়িত্ব আপনাদেরই বহন করতে হবে । সভাপতির বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা বলেন , সাদা পোশাকে সরকারের পেটোয়া বাহিনী চৌধুরী আলমকে অপহরণ করেছে । এখনও আমরা তার সন্ধান পাচ্ছি না । আগেও চৌধুরী আলমকে অপহরনের চেষ্টা হয়েছে - অভিযোগ করে তিনি বলেন , আমি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় র্যাব পরিচয়ে তাকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল । পুলিশী বাধার কারণে তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় । এ বিষয়ে পুলিশ গুলশান থানায় জিডি করেছে বলেও দাবি করেন তিনি । খোকা সরকারের উদ্দেশে বলেন , যারাই তাকে অপহরণ করম্নক , সরকারকে জবাব দিতে হবে । চৌধুরী আলমের মতো একজন জনপ্রতিনিধিকে গায়েব করে দেবেন , এটা সোজা কথা নয় । চৌধুরী আলমের সন্ধানের দাবিতে আরও কর্মসূচী দেয়া হবে । এসব কর্মসূচী আরও জোরদারভাবে পালন করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান । তিনি বলেন , চৌধুরী আলমকে ফিরে না পাওয়া পর্যনত্ম আন্দোলন অব্যাহত থাকবে । মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ , সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন , শিৰা বিষয়ক সম্পাদক খায়রম্নল কবির খোকন , সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া এমপি , যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল , স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব - উন - নবী খান সোহেল , শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ - সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী , মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ বিএনপি দলীয় বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বক্তব্য রাখেন । বক্তারা বলেন , চৌধুরী আলমকে ফিরে না পেলে এর দায় - দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে । চৌধুরী আলমকে ফিরে না পেলে প্রধানমন্ত্রীসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরম্নদ্ধে মামলা করা হবে । বক্তারা অবিলম্বে চৌধুরী আলমসহ গ্রেফতারকৃত দলের সকল নেতা - কর্মীর মুক্তি দাবি করেন । hyØvciva অকাট্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শীঘ্র ৭ জন গ্রেফতার হবে যুদ্ধাপরাধী বিচার স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল এর মধ্যে অকাট্য তথ্য - প্রমাণের ভিত্তিতে শীঘ্র ৬ থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হতে পারে । এছাড়া গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর তিন শীর্ষনেতাকেও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার তদন্তেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে । সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে । তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রসিকিউটর সূত্রে জানা গেছে , ১০৭ দিনে তদন্তকারী সংস্থা তদন্তকাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে । দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে সমস্ত তথ্য - উপাত্ত পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই শীর্ষ পর্যায়ের ৬ থেকে ৭ জনকে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে গ্রেফতার করা হতে পারে । তদন্তকারী সংস্থার সমন্বয়ক আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেছেন , তদন্তকাজ আশানুরূপ এগিয়েছে । জামায়াতের গ্রেফতারকৃত শীর্ষ তিন নেতা মতিউর রহমান নিজামী , আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ , দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে । এছাড়া আরও ৬ থেকে ৭ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীকে শীঘ্র গ্রেফতার করা হবে । তিনি বলেন , সারাদেশে তদন্তকাজ এগিয়ে যাচ্ছে । তথ্য - উপাত্তের ভিত্তিতে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । কেউই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবে না । উল্লেখ্য , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে । ট্রাইব্যুনালে লজিস্টিক সাপোর্টসহ লোকবল দেয়া হয়েছে । এখন পুরোদমে ট্রাইব্যুনালের কাজ চলছে । তদন্তকাজে গতি বাড়াতে ইতোমধ্যে তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রসিকিউটরদের মধ্যে সমন্বকারী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে । একই সাথে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তদন্তকারী সংস্থায় আরও তিন নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে । নতুন তিন সদস্য নিয়োগের ফলে সংস্থায় সদস্য সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে । নিয়োগ পাওয়া তিন সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( চলতি দায়িত্ব ) এসএম আক্তারুজ্জামান , সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ও সিআইডির পরিদর্শক ওবায়েদ উল্লাহ । এর আগে ২৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত সংস্থায় ৭ জনকে নিয়োগদান করে । এর মধ্যে বিতর্কিত কারণে সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পদত্যাগ করেন । আরেক কর্মকর্তা পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র চলে যান । তদন্তকারী সংস্থায় বর্তমান কর্মকর্তা হলেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম , সাবেক ডিআইজি কুতুবুর রহমান , মেজর ( অব ) এএসএম সামসুল আরেফিন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান , সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন , পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম , সিআইডির পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক খান ও ওবায়েদ উল্লাহ । এছাড়া একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে শীঘ্র রিপোর্ট প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে । তিন ধাপে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে , প্রথম ধাপে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী , দ্বিতীয় ধাপে জেলা পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধী এবং উপজেলা পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের তৃতীয় ধাপে রিপোর্ট প্রদান করা হবে । রিপোর্ট দেয়ার পর আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়টি উত্থাপন করবেন । এরপর শুরু হবে সেই বহু কাঙ্ৰিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার । ট্রাইব্যুনাল গঠন হবার পর দীর্ঘ ১০৭ দিনে তদন্তকারী সংস্থা অনেকদূর এগিয়ে গেছে । যে সমস্ত তথ্য - উপাত্ত পেয়েছে তদন্তের জন্য সেটাই যথেষ্ট । ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে , তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত শেষে প্রসিকিউটরদের কাছে রিপোর্ট প্রদান করবে । এরপর ঐ রিপোর্ট যাচাইবাছাই করে ট্রাইব্যুনালের কাছে তুলে ধরা হবে । ট্রাইব্যুনাল তখন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবেন । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশের দোসর রাজাকার , আলবদর , আলশামসের হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে । ২ লাখ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে । হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে । প্রাণের ভয়ে প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল । এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে । যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করুন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মানববন্ধন স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম । রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে কর্মসূচী পালনকালে বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান । তাঁরা বলেন , সারাদেশে তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে । যত দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে দেশের বিরুদ্ধে ততই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব হবে । বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে তা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতী । তাদের বিচার করে নতুন প্রজন্মের কাছে গ্লানিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ তুলে দিতে হবে । তা না হলে নতুন প্রজন্ম আমাদের কোনদিন ৰমা করবে না । শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় । সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যনত্ম চলা এ কর্মসূচীতে প্রগতিশীল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মানবন্ধ কর্মসচীতে অংশ নেন । অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি একে খন্দকার বীর উত্তম , জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি , রাশেদ খান মেনন এমপি , সিপিবি সভাপতি মনজুরুল আহসান খান , ড . জাফর ইকবাল , সাবেক সেনাপ্রধান কেএম শফিউল্লা , সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন - অর রশিদ বীরপ্রতীক , রামেন্দু মজুমদার , কর্মজীবীর নারীর সভাপতি শিরিন আখতার প্রমুখ বক্তৃতা করেন । পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার বলেন , যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রম্নত হোক জনগণ তা দেখতে চায় । এ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সফল হবে । দ্রম্নত তাদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে রায় অনুযায়ী শাসত্মি নিশ্চিত করা হবে । যুদ্ধাপরাধীদের অত্যাচার , নির্যাতন , মানুষ হত্যা , ধর্ষণের কথা আজও মানুষ ভুলে যায়নি । মানবতার বিরম্নদ্ধে যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরম্নদ্ধে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে । হাসানুল হক ইনু বলেন , দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয় । মহাজোটের ইশতেহার অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে সারাদেশের জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছে । জামায়াতের যে তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল । তিনি গ্রেফতারকৃতদের দ্রম্নত ট্রাইবু্যনালের কাছে হসত্মানত্মরের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান । ড . জাফর ইকবাল বলেন , যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য এ দেশের জনগণই সবচেয়ে বড় শক্তি । মুক্তিযুদ্ধে যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে , নারী ধর্ষণ করেছে , তারা কিভাবে এদেশে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে । তারা কিভাবে গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে চলার সুযোগ পায় । তিনি বলেন , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই । এ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন করেছে । এ বিচারে সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে । নতুন প্রজন্মের কাছে গস্নানিমুক্ত দেশ তুলে দিতে হলে এ বিচার হতেই হবে । মুক্তিযুদ্ধে আমরা যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম তা আজও পায়নি । বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে । রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন , দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া যত দ্রম্নত শুরম্ন করা যায় ততই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব হবে । বিচার এ সরকারের আমলেই শেষ করতে হবে । এ প্রক্রিয়ায় দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে । মনজুরম্নল আহসান খান বলেন , বিলম্বে হলেও দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়েছে । চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারী করতে হবে । গ্রেফতারের পর তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে । তিনি বলেন , এ বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে তা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতীমূলক । কেএম শফিউলস্নাহ বলেন , ৩৯ বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তারা এখন বিভ্রানত্মি ছড়াতে শুরম্ন করেছে । এখন বলছে এটা মীমাংসিত ইসু্য । বঙ্গবন্ধু তাদের ৰমা করে গেছেন । অথচ বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচাুেরর আওতায় এনেছিলেন । বিচারের অনেকের সাজাও প্রদান করা হয়েছিল । কিনত্ম বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা - ের পর গ্রেফতারকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে । সাংস্কৃতিক কর্মী রামেন্দু মজুমদার বলেন , যারা মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে । যারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তারাই দেশে জঙ্গীবাদের মদদ দিয়েছে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যতদিন না হবে সংস্কৃিত কর্মীরা ততদিন এ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে । হারম্নন অর রশিদ বীরপ্রতীক বলেন , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বেগবান ও শক্তিশালী করতে হবে । যাদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা না হলে তারা দেশ ও সমাজে বিষবাষ্প ছড়াবে । যতদিন তারা এ কাজে লিপ্ত থাকবে ততদিন জাতি মুক্ত হবে না । কর্মজীবী নারী সভাপতি শিরিন আখতার বলেন , গোলাম আযমসহ যাদের বিরম্ন " ে " দ্ধ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেফতার করে ট্রাইবু্যনালের কাছে হসত্মানত্মর করতে হবে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ ও অসাম্প্রদায়িকমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে হবে । RvgvqvZ ¯ ^ ivóª cÖwZgš ¿ xi e ³ ‡ e ¨ i cÖwZev ` Rvwb ‡ q ‡ Q RvgvqvZ † Zvdv ¾ j † nv ‡ mb : ¯ ^ ivóª cÖwZgš ¿ x A ¨ vW . kvgmyj nK UyKz MZ 9 RyjvB PuvcvBbeveM ‡ Äi knx ` mvUz n ‡ j Av ‡ qvwRZ GK Bgvg mgv ‡ e ‡ k † ` qv e ³ ‡ e ¨ Rvgvqv ‡ Zi Rw ½ m ¤ ú " ³ Zv i ‡ q ‡ Q g ‡ g © † h gšÍe ¨ K ‡ i ‡ Qb , Zvi cÖwZev ` Rvwb ‡ q ‡ Qb Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi † K › ` ªxq cÖPvi wefv ‡ Mi † m ‡ µUvwi Aa ¨ vcK † gv . Zvmbxg Avjg | MZKvj GK wee " wZ ‡ Z ¯ ^ ivóª cÖwZgš ¿ xi e ³ ‡ e ¨ i Rev ‡ e wZwb e ‡ jb , Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi m ‡ ½ † Kv ‡ bv Rw ½ m ¤ ú " ³ Zv † bB | Gme Rvgvqv ‡ Zi wei " ‡ × AccÖPvi Qvov Avi wKQyB bq | eûw ` b † _ ‡ KB GKwU we ‡ kl gnj evsjv ‡ ` k Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi wei " ‡ × GB ai ‡ bi AccÖPvi Pvwj ‡ q Avm ‡ Q | wKš ' Gme AccÖPvi eiveiB wg_ ¨ cÖgvwYZ n ‡ q ‡ Q | wee " wZ ‡ Z Zvmbxg Avjg e ‡ jb , Z_ ¨ - cÖgvY Qvov ¯ ^ ivóª cÖwZgš ¿ xi GB ai ‡ bi gšÍe ¨ Kiv † gv ‡ UB mgxPxb bq | Zvi c ` gh © v ` vi w ` ‡ K † Lqvj † i ‡ L Zv ‡ K GB ai ‡ bi wfwËnxb gšÍe ¨ Kiv † _ ‡ K weiZ _vKvi AvnŸvb Rvbvb wZwb | Qq † Rjvq † ` qv ‡ j † cv ÷ vi muvUv ‡ bvi mgq I † Mvcb ˆeVKKv ‡ j RvgvqvZ - wkwe ‡ ii cÖvq † ` ok † bZvKg © x † MÖßvi Rv ‡ e ` AvLZvi : Rvgvqv ‡ Zi † MÖßviK … Z kxl © 3 † bZvi gyw ³ i ` vwe ‡ Z † ` ‡ ki K ‡ qKwU † Rjvq MZKvj kwbevi I ïµevi Mfxi iv ‡ Z gyw ³ i ` vwem ¤ ^ wjZ † cv ÷ vi † ` qv ‡ j muvUv ‡ bvi mgq Ges † Mvcb ˆeVK PjvKv ‡ j cywjk † ` ‡ ki 6 † Rjv † _ ‡ K cÖvq † ` ok RvgvqvZ - wkwei † bZvKg © x ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q | eªvþYevoxqv † _ ‡ K ` xcK † PŠayix evàx Rvbvb , ivó « we ‡ ivax † Mvcb ˆeVK PjvKv ‡ j MZKvj kwbevi † cŠi GjvKvi KvRxcvovi † cŠi KvDwÝji I weGbwc † bZv A ¨ vW . kvnAvjg L › ` Kv ‡ ii evmv † _ ‡ K cywjk Kg © KZ © vi † Q ‡ jmn RvgvqvZ - wkwe ‡ ii 20 † bZvKg © x ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q cywjk | † MÖßviK … Ziv n ‡ jb - QvÎwkwe ‡ ii † Rjv † m ‡ µUvwi iv ‡ k ` yj Kwei ivbv , † cŠi † m ‡ µUvwi Lv ‡ j ` mvBdzjøvn , Rvgvqv ‡ Zi † K › ` ªxq † bZv † jvKgvb † nv ‡ mb , wkweiKg © x ingZzjvn , Avjx Bgivb , gKeyj † nv ‡ mb , ivnvZ , wRqvDj nK kvwKj , † mv ‡ nj Bmjvg † mŠif , Avãyj nvwg ` , bvwQi DwÏb , † ivgvb , dvi " K , mwjg , mvweŸi Avn ‡ g ` , Avbvm Be ‡ b nvi " b , Avãyjvn Avj † nvmvBb , gyQv wgqv , wejvj wgqv I Av ‡ e ` yi ingvb widvZ | widvZ XvKvq Kg © iZ cywj ‡ ki Gmwei BÝ ‡ c ± i nvweeyi ingv ‡ bi † Q ‡ j | Lv ‡ j ` mvBdzjøvn I ivbv Gi Av ‡ MI † MÖßvi n ‡ q Av ` vjZ † _ ‡ K Rvwgb wb ‡ q ‡ Q e ‡ j Rvbv † M ‡ Q | m ` i _vbvi fvicÖvß Kg © KZ © v † gv . nvwg ` yj Bmjvg e ‡ jb , KvDwÝji kvnAvjg L › ` Kv ‡ ii IB evmvwU wkweiKg © xiv † gm wn ‡ m ‡ e fvov wb ‡ q ` xN © w ` b a ‡ i Zv ‡ ` i mvsMVwbK Kvh © µg cwiPvjbv K ‡ i AvmwQj | † MÖßviK … Z ‡ ` i wei " ‡ × ivóª ‡ ` ªvwnZvi gvgjv ` v ‡ q ‡ ii cÖ ¯ ' wZ Pj ‡ Q | RqcyinvU † _ ‡ K † kLi gRyg ` vi I kwdDj Avjg mwd Rvbvb , † Rjvi Av ‡ ° jcyi Dc ‡ Rjvi † ivqvBi MÖv ‡ g gmwR ‡ ` i † fZi † Mvcb ˆeVK PjvKv ‡ j ïµevi Mfxi iv ‡ Z e ¸ ov , RqcyinvU I bIMuv † Rjvi 7 wkwei † bZv ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q Av ‡ ° jcyi _vbv cywjk | Av ‡ ° jcyi _vbvi Iwm † gvL ‡ jQyi ingvb Rvbvb , † ivqvBi MÖv ‡ gi kvn † m ‡ K › ` vi Rv ‡ g gmwR ‡ ` AvMš ' K 7 hyeK ˆeVK Ki ‡ Q Ggb msev ` † c ‡ q cywjk NUbv ¯ ' ‡ j wM ‡ q Zv ‡ ` i † MÖßvi K ‡ i gvgjv ` v ‡ qi K ‡ i | † MÖßviK … Ziv n ‡ jb , Av ‡ ° jcyi _vbv wkwei mfvcwZ I e ¸ ov † Rjvi wkeMÄ Dc ‡ Rjvi DËik ¨ vgcyi MÖv ‡ gi Avj gvgyb , Av ‡ ° jcyi Dc ‡ Rjvi mvaviY m ¤ úv ` K † gvËvKxg wejvn , bIMuv † Rjvi e ` jMvQx Dc ‡ Rjvi PuvcvWvj MÖv ‡ gi wkwe ‡ ii mv_x nvweeyi ingvb wn ‡ iv , Lv ` vBj MÖv ‡ gi dinv ` † nv ‡ mb I dvinvRyj Bmjvg , Rqcyinv ‡ Ui † ¶ Zjvj Dc ‡ Rjvi Avgxiv MÖv ‡ gi wgRvbyi ingvb I RqcyinvU m ` i Dc ‡ Rjvi Dwo MÖv ‡ gi b ~ i Av ³ vi | † MÖßviK … Z ‡ ` i KvQ † _ ‡ K cywjk wKQy † Rnv ` x eB I Kg © m ~ wPm ¤ ^ wjZ Wv ‡ qwi D × vi K ‡ i | bIMuv † _ ‡ K Avmv ` yi ingvb Rq Rvbvb , m ` i g ‡ Wj _vbv cywjk MZKvj † fv ‡ i † cv ÷ vi jvMv ‡ bvi mgq † ek wKQz † cv ÷ vimn 3 wkweiKg © x ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q | † MÖßviK … Ziv n ‡ jb - bIMuvi ivbxbMi Dc ‡ Rjvi cviBj MÖv ‡ gi † gv . Avãyi iwng , mvcvnvi Dc ‡ Rjvi ReB MÖv ‡ gi † gv . nvwee I cZœxZjv Dc ‡ Rjvi ` w ¶ Y j ¶ Ycyi MÖv ‡ gi † gv . nvibyi ikx ` | bIMuv m ` i _vbvi fvicÖvß Kg © KZ © v † gv . Avwgbyj Bmjvg Rvbvb , † fvi 6Uvq kn ‡ ii ` qv ‡ ji † gv ‡ o wbRvgx - gyRvwn ` - mvC ` xi wbtkZ © gyw ³ i ` vwe ‡ Z Qvcv ‡ bv † cv ÷ vi jvMv ‡ bvi mgq Zv ‡ ` i † MÖßvi Kiv nq | Zv ‡ ` i wei " ‡ × gvgjv ` v ‡ qi K ‡ i mKv ‡ jB Av ` vj ‡ Z † mvc ` © Kiv n ‡ q ‡ Q Ges ciewZ © ‡ Z Zv ‡ ` i wigv ‡ Û † bqv n ‡ Z cv ‡ i | biwms ` x † _ ‡ K gvnveyeyi ingvb Rvbvb , MZKvj † cv ÷ vi jvMv ‡ bvi mgq biwms ` x _vbv cywjk wewfbœ † Rjvi RvgvqvZ - wkwe ‡ ii 7 † bZvKg © x ‡ K AvUK Ki ‡ Q | AvUKK … Ziv n ‡ jb - nweMÄ † Rjvi kvgxg nvmvb , kixqZcyi † Rjvi † evinvb DwÏb , Kzwgjøvi iwdKzj Bmjvg i " ‡ ej , † bÎ ‡ Kvbvi ZwiKzj Bmjvg , biwms ` xi Avwgbyj nK † gvjøv , † gveviK † nv ‡ mb I BmgvBj † nv ‡ mb | Giv mevB biwms ` x † Rjvi Rvwgqv Kvwkwgqv gv ` ªvmvmn wewfbœ gv ` ªvmvi wk ¶ v_ © x | wK ‡ kviM ‡ Ä † _ ‡ K † kL gvmy ` BKevj Rvbvb , wK ‡ kviM ‡ Ä kn ‡ ii cyivb _vbv I Av ` vjZ GjvKv † _ ‡ K MZKvj kwbevi † fv ‡ i † cv ÷ vi jvMv ‡ bvi mgq wkwe ‡ ii 7 † bZv ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q cywjk | † MÖßviK … Ziv n ‡ jb - † Rjv QvÎ wkwe ‡ ii A_ © m ¤ úv ` K eiKZ Djvn , † cŠi kvLvi mfvcwZ Ave ` yjvn † gv . Zv ‡ ni , Avãyjvn Avj gvmy ` , Lvwj ` nvmvb Rygb , Dgi dvi " K mvwR ` , BDmyd Avjx I mvÏvg † nv ‡ mb | wK ‡ kviMÄ _vbvi fvicÖvß Kg © KZ © v gxi † gvkvid † nv ‡ mb Rvbvb , † MÖßviK … Z wkwei † bZviv bvkKZvg ~ jK Kg © KvÊ Pvjv ‡ bvi † Póv KiwQj | ` ycy ‡ i Zv ‡ ` i Av ` vj ‡ Z cvVv ‡ bv n ‡ q ‡ Q | mvZ ¶ xiv † _ ‡ K † gv ¯ ÍvwdRyi ingvb D ¾ j Rvbvb , mvZ ¶ xiv m ` i Dc ‡ Rjvi aywjni GjvKv † _ ‡ K MZ ïµevi Mfxi iv ‡ Z † ` qv ‡ j † cv ÷ vi muvUv ‡ bvi mgq cywjk 2 wkweiKg © x ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q | † MÖßviK … Ziv n ‡ jb , m ` i Dc ‡ Rjvi evjyBMvQv cwðgcvov Rv ‡ g gmwR ‡ ` i Bgvg IwRqvi ingvb I Lyjbv † Rjvi cvBKMvQv Dc ‡ Rjvi kÖxKÚcyi MÖv ‡ gi dvi " K † nv ‡ mb | bvkKZvi Rb ¨ cÖ ¯ ' wZ wb ‡ " Q wkwe ‡ ii 5 mnmªªvwaK mš ¿ vmx cøveb miKvi : evsjv ‡ ` k Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi wZb kxl © † bZv wbRvgx , gyRvwn ` I mvC ` x ‡ K † MÖßv ‡ ii ci nVvr K ‡ i mviv ‡ ` ‡ k wkwe ‡ ii 5 mnmªªvwaK ` vwM Acivax I mš ¿ vmx ‡ K Avev ‡ iv mwµq K ‡ i ‡ Q msMV ‡ bi † bZviv | miKvi ‡ K cvëv Reve w ` ‡ ZB G D ‡ ` ¨ vM † bqv n ‡ q ‡ Q e ‡ j ` vwe K ‡ i ‡ Qb † Mv ‡ q › ` v Kg © KZ © viv | † Mv ‡ q › ` v ‡ ` i aviYv , G ‡ ` i ‡ K w ` ‡ q † ` ‡ k AivRKZv m " wói † Póv n ‡ Z cv ‡ i | Z ‡ e cÖkvm ‡ bi Kg © KZ © viv e ‡ j ‡ Qb , Zviv me ai ‡ bi AivRKZv † iva I AvBbk " • Ljv cwiw ¯ ' wZ wbqš ¿ ‡ Y ivL ‡ Z m ‡ e © v " P mZK © Zv Aej ¤ ^ b Ki ‡ Qb | mswkøó m ~ Î Rvbvq , † MÖßviK … Z RvgvqvZ † bZv ‡ ` i ` ª " Z gy ³ Ki ‡ Z RvgvqvZ wkwe ‡ ii † bZviv AvBwb cÖwµqvi cvkvcvwk wewfbœ dw › ` AuvU ‡ Qb | † MÖßviK … Z kxl © RvgvqvZ † bZv ‡ ` i hy × vciva gvgjvq † MÖdZvi † ` wL ‡ q wePv ‡ ii AvIZvq † hb bv wb ‡ Z cv ‡ i † m Rb ¨ ZrciZv Pvjv ‡ " Q † bZvKg © xiv | AvBb - k " • Ljv i ¶ vKvix evwnbxi GKvwaK m ~ Î Rvbvq , hy × vciva ZvwjKvq _vKv RvgvqvZ † bZviv hv ‡ Z cvjv ‡ Z bv cv ‡ i I † ` ‡ k bvkKZv † VKv ‡ Z mxgvšÍ GjvKv w ` ‡ q we ‡ ùviK ev A ¯ ¿ mn † Kv ‡ bv wKQy XzK ‡ Z hv ‡ Z bv cv ‡ i † mRb ¨ mxgvšÍ i ¶ vKvix evwnbx ‡ K m ‡ e © v " P mZK © Zv Aej ¤ ^ ‡ bi wb ‡ ` © k † ` qv n ‡ q ‡ Q | G Qvov RvgvqvZ wkwe ‡ ii kxl © † bZv ‡ ` i Dci Kov bRi ` vwi Ki ‡ Z wewfbœ † Mv ‡ q › ` v ms ¯ ' vi Kg © KZ © v ‡ ` i wb ‡ ` © k † ` qv n ‡ q ‡ Q | GKwU † Mv ‡ q › ` v m ~ Î Rvbvq , mviv ‡ ` ‡ k AivRKZv m " wó Ki ‡ Z mš ¿ vmx ‡ ` i mwµq Kivi Ask wn ‡ m ‡ e m ¤ úÖwZ wkwe ‡ ii † K › ` ªxq KwgwUi wZbRb † bZvi † bZ … ‡ Z ¡ ivRavbxi K ‡ qKwU ¯ ' v ‡ b † Mvcb ˆeVK Kiv nq | † Mvcb ˆeV ‡ Ki ¯ ' vb ¸ ‡ jvi g ‡ a ¨ i ‡ q ‡ Q , ivRavbxi † gvnv ¤ § ` cyi , jvjevM , KuvUveb , hvÎvevwoi RyivBb I DËiv | Gme GjvKvi wbw ` © ó ¯ ' v ‡ b Zviv ` yB - GKRb K ‡ i R ‡ ov n ‡ q ˆeVK K ‡ i | Gme ˆeV ‡ K ivRavbxi wewfbœ GjvKvi wkwe ‡ ii mš ¿ vmxiv QvovI ivRkvnx Ges PÆMÖv ‡ gi wkwe ‡ ii ` ya © l © wkwe ‡ ii mš ¿ vmxiv Ask † bq e ‡ j m ~ Î Rvbvq | m ~ Î g ‡ Z , wkwe ‡ ii mš ¿ vmx ‡ ` i cÖwk ¶ Y † ` qvi Rb ¨ ivRkvnxi wkwei K ¨ vWvi Avjx Rvdi evey Ii ‡ d Rvdi evey ‡ K cvVv ‡ bv n ‡ q ‡ Q K • evRv ‡ i | Zv ‡ K † mLv ‡ bi wbivc ` ¯ ' v ‡ b wkwe ‡ ii mš ¿ vmx ‡ ` i A ‡ ¯ ¿ i cÖwk ¶ Y w ` ‡ Z ejv n ‡ q ‡ Q | † mLv ‡ b Rvdi eveyi mn ‡ hvMx wn ‡ m ‡ e Av ‡ Qb Av ‡ bvqvi † nv ‡ mb , Kvgvj Avn ‡ g ` , PÆMÖvg wek ¦ we ` ¨ vj ‡ qi ` ya © l © wkwei mš ¿ vmx g ‡ bvqvi | Z ‡ e † mLv ‡ b Kx cwigvY mš ¿ vmx ‡ K cÖwk ¶ Y † ` qv n ‡ e Zv Rvbv hvqwb | G wel ‡ q wkwe ‡ ii † K › ` ªxq KwgwUi mfvcwZ † iRvDj Kwi ‡ gi m ‡ ½ † gvevB ‡ j † hvMv ‡ hv ‡ Mi † Póv K ‡ iI Zv ‡ K cvIqv hvqwb | AvšÍR © vwZK Rw ½ ‡ ` i m ‡ ½ Rvgvqv ‡ Zi m ¤ ú " ³ Zv hvPvB Ki ‡ Q † Mv ‡ q › ` viv wecøe wek ¦ vm : ag © wfwËK ivRbxwZi Avov ‡ j AvšÍR © vwZKfv ‡ e wbwl × † ek wKQy Rw ½ msMV ‡ bi m ‡ ½ Nwbô † hvMv ‡ hvM iv ‡ L Rvgvqv ‡ Z Bmjvgx | † MÖßvi nIqv kxl © wZb † bZvmn ` ‡ ji GKvwaK † bZv beŸB ` k ‡ Ki ci G Kvi ‡ Y † Mvc ‡ b GKvwaKevi Avmv - hvIqv K ‡ i ‡ Qb cvwK ¯ Ívb , AvdMvwb ¯ Ívbmn wewfbœ † ` k † _ ‡ K | Gi Av ‡ M wewfbœ mgq fviZ - cvwK ¯ ÍvbwfwËK Rw ½ msMV ‡ bi † MÖßvi nIqv GKvwaK † bZvi † ` qv Z ‡ _ ¨ mZ ¨ Zv Lyu ‡ R † c ‡ q ‡ Qb † Mv ‡ q › ` viv | Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi AvšÍR © vwZK Rw ½ m ¤ ú " ³ Zvi wel ‡ q ¯ ^ ivóª cÖwZgš ¿ x A ¨ vW ‡ fv ‡ KU kvgmyj nK UzKz Rvbvb , e ½ eÜz ‡ K nZ ¨ vi ci † _ ‡ K RvgvqvZ † ` k ‡ K mš ¿ vm I Rw ½ ev ‡ ` i AfqviY ¨ Kivi † Póv Ki ‡ Q | evMgvivq Rw ½ ‡ ` i DÌv ‡ bi wel ‡ q wbRvgx IUv ‡ K wgwWqvi m " wó ej ‡ jI RbM ‡ Yi Kv ‡ Q Zv Avi † Mvcb _v ‡ Kwb | Rw ½ ‡ ` i m ‡ ½ Rvgvqv ‡ Zi Kv ‡ bKkb † bB , GwU † KD wek ¦ vm K ‡ i bv | Gevi mewKQyB † ei n ‡ q Avm ‡ e e ‡ j wZwb ` vwe K ‡ ib | wigv ‡ Û Rvgvqv ‡ Zi wZb † bZv ‡ K AvšÍR © vwZK m ¤ ú ‡ K © i Z_ ¨ _vKvq wRÁvmvev ` Kiv nq e ‡ j ¯ ^ xKviI K ‡ i ‡ Qb wWwm ( wWwe ) gwbi " j Bmjvg | wZwb e ‡ jb , Rvgvqv ‡ Zi m ‡ ½ G ‡ ` ‡ ki Rw ½ Kv ‡ bKkb Luy ‡ R cvIqv † M ‡ Q | Z ‡ e Zv ‡ ` i wZbRb ‡ K wRÁvmv Ki ‡ j † KŠk ‡ j Gwo ‡ q hv ‡ " Qb | wKQz ej ‡ jI we ¯ ÍvwiZ ej ‡ Qb bv | Zv ‡ ` i † ` qv Z ‡ _ ¨ i hvPvB - evQvB Kiv n ‡ " Q | Rvgvqv ‡ Zi 3 † bZvi † ` qv Z_ ¨ hvPvB ïi " cøveb miKvi : XvKv gnvbMi † Mv ‡ q › ` v ( wWwe ) cywj ‡ ki † ndvR ‡ Z wigv ‡ Û _vKv Rvgvqv ‡ Zi 3 kxl © † bZv ‡ ` i † ` qv Z_ ¨ ¸ ‡ jv hvPvB Ki ‡ Z ïi " K ‡ i ‡ Qb gvgjvi Z ` šÍ Kg © KZ © v I † Mv ‡ q › ` viv | PÆMÖv ‡ g 10 UªvK A ¯ ¿ AvUK , mvi KviLvbv † _ ‡ K GK nvRvi 182 Ub iK mvjdvi Pywi , XvKv wek ¦ we ` ¨ vj ‡ qi wk ¶ K ûgvqyb AvRv ` ‡ K nZ ¨ v , msMV ‡ bi mvsMVwbK KvVv ‡ gv , Kg © cwiKíbv , Av ‡ qi Drm I e ¨ ‡ qi LvZ m ¤ ú ‡ K © wRÁvmvev ‡ ` RvgvqvZ † bZv ‡ ` i † ` qv Z_ ¨ ¸ ‡ jv Zviv † ewk ¸ i " Z ¡ w ` ‡ q † ` L ‡ Qb e ‡ j Z ` šÍmswkøó Kg © KZ © viv Rvwb ‡ q ‡ Qb | wWwe m ~ Î Rvbvq , Pvi ` jxq † RvU miKv ‡ ii mg ‡ q ¯ ^ v ¯ ' ¨ wefv ‡ M RvgvqvZ - wkwe ‡ ii cÖvq 15 nvRvi m ` ‡ m ¨ i wb ‡ qvM † ` qv nq | Zv ‡ ` i eZ © gvb Kg © KvÊI † Mv ‡ q › ` viv LwZ ‡ q † ` L ‡ Q | † Mv ‡ q › ` viv Rvgvqv ‡ Zi c " ô ‡ cvlKZvq cwiPvwjZ wewfbœ cÖwZôvb we ‡ kl K ‡ i e ¨ vsK I nvmcvZv ‡ ji Avw_ © K † jb ‡ ` b I e ¨ ‡ qi wn ‡ me m ¤ ú ‡ K © Z ` šÍ Ki ‡ Qb | Gme cÖwZôv ‡ b cÖwZ eQi cÖvq 15 nvRvi † KvwU UvKvi † jb ‡ ` b nq | Gi g ‡ a ¨ 3k † KvwU UvKv Zv ‡ ` i wewfbœ ivR ‰ bwZK Kg © Kv ‡ Ê LiP Kiv nq e ‡ j † Mv ‡ q › ` viv Z_ ¨ † c ‡ q ‡ Qb | Gme cÖwZôv ‡ bi Av ‡ qi GKwU eo Ask Rw ½ ‡ ` i † cQ ‡ b e ¨ q Kiv n ‡ q ‡ Q wKbv ZvI Z ` šÍ Kiv n ‡ " Q | † Mv ‡ q › ` viv Rvb ‡ Z † c ‡ i ‡ Qb , PÆMÖvg mvi KviLvbv † _ ‡ K Pzwi nIqv GK nvRvi 182 Ub iK mvjdvi Rw ½ ‡ ` i † ` qv n ‡ qwQj | GQvovI Rw ½ cÖwk ¶ Y I A ¯ ¿ † Kbv , bZyb Kg © x msMÖn , † RvU miKv ‡ ii mg ‡ q 5 kZvwaK GbwRI ‡ K Aby ‡ gv ` b † ` qvi wel ‡ q RvgvqvZ † bZv ‡ ` i † ` qv Z_ ¨ I hvPvB - evQvB Kiv n ‡ " Q | RvgvqvZ † bZv gyRvwn ` I mvC ` x Av ` vjZ † _ ‡ K Avev ‡ iv wigv ‡ Û cøveb miKvi : evsjv ‡ ` k Rvgvqv ‡ Z Bmjvgxi † m ‡ µUvwi † Rbv ‡ ij Avjx Avnmvb † gvnv ¤ § ` gyRvwn ` I wmwbqi bv ‡ q ‡ e Avwgi gvIjvbv † ` jvIqvi † nvmvBb mvC ` x ‡ K Av ‡ iv 4 w ` ‡ bi wigv ‡ Û wb ‡ q ‡ Q cywjk | ivRavbxi cëb _vbvi gvgjvq wRÁvmvev ` † k ‡ l cywjk MZKvj kwbevi ` ycy ‡ i G ` yB RvgvqvZ † bZv ‡ K XvKvi wmGgGg Av ` vj ‡ Z nvwRi K ‡ i | G mgq cywjk igbv _vbvi Mvwo † cvov ‡ bv I dvi " K nZ ¨ vgvgjvq wRÁvmvev ‡ ` i Av ‡ e ` b Ki ‡ j gnvbMi nvwKg gywÝ Ave ` yj gwR ` Zv ‡ ` i cywjwk † ndvR ‡ Z wRÁvmvev ‡ ` i AbygwZ † ` b | MZ 30 Ryb Av ` vjZ G gvgjvq Zv ‡ ` i 4 w ` ‡ bi wigvÛ gÄyi K ‡ iwQ ‡ jb | wWwei ( ` w ¶ Y ) Dc - cywjk Kwgkbvi gwbi " j Bmjvg e ‡ jb , cëb _vbvq ` v ‡ qi Kiv ivó « cwZi Mvwo en ‡ i nvgjv I cywj ‡ ki KZ © e ¨ Kv ‡ R evav † ` qvi gvgjvq RvgvqvZ † bZv gyRvwn ` I mvC ` xi wigvÛ † kl nIqvq Zv ‡ ` i Av ` vj ‡ Z cvVv ‡ bv n ‡ q ‡ Q | MZKvj † _ ‡ K G gvgjvq Rvgvqv ‡ Zi Avwgi gvIjvbv gwZDi ingvb wbRvgx ‡ K wRÁvmvev ` Kiv ïi " n ‡ q ‡ Q | Av ` vjZ m ~ Î Rvbvq , IB ` yB RvgvqvZ † bZv ‡ K Av ` vj ‡ Z nvwRi Kivi ci Zv ‡ ` i AvBbRxexiv Avmvwg ‡ ` i Amy ¯ ' ` vwe K ‡ i Zv ‡ ` i KvivMv ‡ i cvVv ‡ bvi Av ‡ e ` b K ‡ ib | GKBm ‡ ½ Zviv cëb _vbvi wRÁvmvev ` Kiv wZb gvgjvq Rvwg ‡ bi Av ‡ e ` b K ‡ ib | Aciw ` ‡ K igbv _vbvq ` v ‡ qi Kiv Mvwo † cvov ‡ bv I dvi " K nZ ¨ vgvgjvq Av ‡ MB Av ` vj ‡ Z gÄyi nIqv 4 w ` ‡ bi wigv ‡ Û wb ‡ q wRÁvmvev ‡ ` i Rb ¨ Av ‡ e ` b K ‡ i | Gici Av ` vjZ Avmvwg c ‡ ¶ i Av ‡ e ` b bvKP K ‡ i Zv ‡ ` i Av ‡ Mi gÄyiK … Z 4 w ` ‡ bi wigv ‡ Û wb ‡ q wRÁvmvev ‡ ` i Av ‡ e ` b gÄyi K ‡ ib | ` yB RvgvqvZ † bZv ‡ K Av ` vj ‡ Z nvwRi Kivi Av ‡ M † _ ‡ KB Av ` vjZ cÖv ½ ‡ Y RvgvqvZ I wkwe ‡ ii † bZvKg © xiv wfo ïi " K ‡ i | c ‡ i cywjk Av ` vjZ cÖv ½ ‡ Y K ‡ Vvi wbivcËv e ¨ e ¯ ' v MÖnY K ‡ i Rvgvqv ‡ Zi ` yB † bZv ‡ K Av ` vj ‡ Z nvwRi K ‡ i | G mgq Av ` vjZ GjvKvq AwZwi ³ cywjk I i ¨ ve † gvZv ‡ qb Kiv nq | wewfbœ † Mv ‡ q › ` v ms ¯ ' vi m ` m ¨ ‡ ` i Dcw ¯ ' wZI wQj j ¶ Yxq | AvIqvgxjxM Xvwe ‡ Z Avev ‡ iv mvsevw ` K † cUv ‡ jv QvÎjxM K ¨ vWvi Gg Gg Rwmg : XvKv wek ¦ we ` ¨ vj ‡ q Avev ‡ iv mvsevw ` K wcwU ‡ q i ³ v ³ Kij QvÎjxM K ¨ vWviiv | ÔGB ZzB Kvi ivRbxwZ Kwim ? , † Zv ‡ K n ‡ j IwV ‡ q ‡ Q † K ? , KZ b ¤ ^ i i " ‡ g _vwKm ? n ‡ ji QvÎjxM mvaviY m ¤ úv ` K evey ‡ K wM ‡ q Avgvi bvg ewjmÕÑ Gfv ‡ e bvbv cÖ ‡ kœ RR © wiZ Kivi GKch © v ‡ q MZ ïµevi ga ¨ iv ‡ Z kxl © wbDR WU K ‡ gi wek ¦ we ` ¨ vjq cÖwZ ‡ e ` K † g ‡ nw ` nvmvb ‡ K wcwU ‡ q AvnZ K ‡ i e ½ eÜz † kL gywReyi ingvb nj I BwZnvm wefv ‡ Mi lô † mwg ÷ v ‡ ii QvÎjxM K ¨ vWvi † mv ‡ nj ivbv | AvnZve ¯ ' vq Zv ‡ K wek ¦ we ` ¨ vjq wPwKrmv † K ‡ › ` ª cÖv_wgK wPwKrmv † ` qv nq | AvnZ † g ‡ nw ` nvmvb wek ¦ we ` ¨ vj ‡ qi MY ‡ hvMv ‡ hvM I mvsevw ` KZv wefv ‡ Mi cÖ_g e ‡ l © i QvÎ | G NUbvq † g ‡ nw ` nvmvb kvnevM _vbvq GKwU gvgjv ` v ‡ qi K ‡ i ‡ Qb | Gi Av ‡ M MZ Pvi gv ‡ m K ¨ v ¤ úv ‡ m Av ‡ iv PviRb wek ¦ we ` ¨ vjq cÖwZ ‡ e ` K QvÎjxM K ¨ vWvi ‡ ` i nvgjvi wkKvi nq | MZ ïµevi ivZ mv ‡ o eviUvi w ` ‡ K † g ‡ nw ` nvmvb Zvi eÜz mRxe ‡ K wb ‡ q e ½ eÜz † kL gywReyi ingvb n ‡ ji AwZw_ K ‡ ¶ AvÇv w ` w " Q ‡ jb | G mgq nj QvÎjxM K ¨ vWvi † mv ‡ nj ivbvmn K ‡ qKRb AwZw_ K ‡ ¶ Av ‡ mb | Zviv † g ‡ nw ` nvmvb ‡ K † Pqvi † Q ‡ o m ‡ i emvi wb ‡ ` © k † ` b | † g ‡ nw ` nvmvb Zv bv ï ‡ b † mv ‡ nj ‡ K Zvi m ‡ ½ em ‡ Z e ‡ jb | G mgq † mv ‡ nj † g ‡ nw ` ‡ K Po I _vài gv ‡ ib Ges jvwV w ` ‡ q wcwU ‡ q i ³ v ³ K ‡ ib | G ‡ Z † g ‡ nw ` nvmv ‡ bi bvK † d ‡ U hvq | c ‡ i Zvi eÜyiv Zv ‡ K D × vi K ‡ i wek ¦ we ` ¨ vjq wPwKrmv † K ‡ › ` ª cÖv_wgK wPwKrmv † ` b | † g ‡ nw ` nvmvb e ‡ jb , eÜz ‡ ` i m ‡ ½ n ‡ ji AwZw_ K ‡ ¶ AvÇv † ` qvi mgq † mv ‡ nj bv ‡ g GK QvÎjxM Kg © x m ‡ i em ‡ Z e ‡ jb | K_v bv ïbvq Zvi Ici nvgjv Pvjvq | QvÎjxM Kg © x † mv ‡ nj ivbv e ‡ jb , wZwb Rvb ‡ Zb bv † g ‡ nw ` mvsevw ` K | Zv ‡ K m ‡ i em ‡ Z ejvq ZK © ïi " K ‡ i | c ‡ i Zvi m ‡ ½ nvZvnvwZ nq | Gi Av ‡ M MZ 22 b ‡ f ¤ ^ i KvR © b n ‡ ji mvg ‡ b BDGbwei wek ¦ we ` ¨ vjq wi ‡ cvU © vi mvBdzj Bmjvg Ry ‡ qj ‡ K QvÎjxM K ¨ vWvi gviai K ‡ i i ³ v ³ K ‡ ib | 4 GwcÖj kvnev ‡ M mwjgyjøvn gymwjg n ‡ ji QvÎjxM mfvcwZ ˆmKZ mvw ` ` mvßvwnK cwÎKvi d ‡ qR Avn ‡ g ` I mvßvwnK eyaev ‡ ii AvwbQ ivqnvb ‡ K gviai K ‡ ib | Gici Kwe Rmxg DÏxb n ‡ ji mfvcwZ Avãyi iwng Rxeb ˆ ` wbK RbZvi wek ¦ we ` ¨ vjq wi ‡ cvU © vi mvMi ‡ K nj † _ ‡ K † ei K ‡ i † ` b | G wel ‡ q wek ¦ we ` ¨ vj ‡ qi DcvPvh © Aa ¨ vcK W . Av Av g m Av ‡ iwdb wmwÏK e ‡ jb , kxl © wbD ‡ Ri wek ¦ we ` ¨ vjq wi ‡ cvU © vi † g ‡ nw ` nvmvb ‡ K gviai Kiv n ‡ q ‡ Q | wjwLZ Awf ‡ hvM † c ‡ jB nvgjvKvixi wei " ‡ × k " • Ljvf ‡ ½ i Kvi ‡ Y e ¨ e ¯ ' v † bqv n ‡ e | Ab ¨ mvsevw ` K ‡ ` i wel ‡ q wZwb e ‡ jb , hviv Gi Av ‡ M mvsevw ` K ‡ ` i gviai K ‡ i ‡ Q Zv ‡ ` i wei " ‡ × BwZg ‡ a ¨ B e ¨ e ¯ ' v † bqv n ‡ q ‡ Q | Uv ½ vB ‡ j wK ‡ kvix ‡ K al © ‡ Yi ` " k ¨ wfwWI K ‡ i ‡ Qb QvÎjxM † bZv ! Gnmvbyj nK Lvb , Uv ½ vBj † _ ‡ K : Uv ½ vB ‡ ji mLxcyi Dc ‡ Rjvq GK wK ‡ kvix ‡ K Dc ‡ Rjv QvÎjx ‡ Mi hyM ¥ AvnŸvqKt al © Y K ‡ i ‡ Qb e ‡ j Awf ‡ hvM cvIqv † M ‡ Q | ïay ZvB bq , al © ‡ Yi wfwWI avi ‡ Yi ci IB QvÎ ‡ bZv DjøvmI K ‡ ib | wfKwUg gvgjv Ki ‡ jI cywjk Avmvwg ‡ ` i † MÖßvi Ki ‡ Z cv ‡ iwb | Avmvwgiv cÖvYbv ‡ ki ûgwK w ` ‡ " Q wfKwU ‡ gi cwievi ‡ K | MZKvj kwbevi mKv ‡ j awl © Zvi cwievi evwo † Q ‡ o AvZ ¥ i ¶ v ‡ _ © Ab ¨ Î cvwj ‡ q † M ‡ Q | G NUbvq cywjk Avwidzj Bmjvg AvKvk bv ‡ g GKRb ‡ K † MÖßvi K ‡ i ‡ Q | wZwb Dc ‡ Rjv QvÎjxM † bZv e ‡ j Rvbv † M ‡ Q | gvgjvi Z ` šÍ Kg © KZ © v I mLxcyi _vbvi GmAvB wgRvbyi ingvb Rvbvb , mLxcyi † cŠi GjvKvi KvnviZv MÖv ‡ gi IB wK ‡ kvix Dš § y ³ wek ¦ we ` ¨ vj ‡ qi Aax ‡ b beg † kªYx ‡ Z c ‡ o | MZ 5 RyjvB ` ycyi mv ‡ o 12Uvq † m evwo † _ ‡ K mLxcyi evRv ‡ i hvq LvZv wKb ‡ Z | † divi c ‡ _ mLxcyi Dc ‡ Rjv QvÎjx ‡ Mi hyM ¥ AvnŸvqK nvweeyjøvn BwZnvm Ii ‡ d nvwee , Dc ‡ Rjv QvÎjxM † bZv Avwid Avn ‡ g ` , mLxcyi Dc ‡ Rjv † Pqvig ¨ vb kIKZ wmK ` v ‡ ii fv ‡ Mœ eveyj AvRv ` I Zvi bvwZ Avwidzj Bmjvg AvKvk † Rvic ~ e © K AcniY K ‡ i wK ‡ kvix ‡ K † gvUimvB ‡ K ‡ j mLxcyi nvwRcvovq GKwU QvÎvev ‡ m wb ‡ q hvq | † mLv ‡ bB nvweeyjøvn BwZnvm Ii ‡ d nvwee wK ‡ kvix ‡ K al © Y K ‡ i | Avi Zvi mn ‡ hvMxiv al © ‡ Yi wPÎ wfwWI aviY K ‡ i | c ‡ i Av ‡ iKRb cvjvµ ‡ g al © Y Ki ‡ Z † M ‡ j wK ‡ kvixwU my ‡ hvM ey ‡ S † ` Š ‡ o cvjv ‡ bvi † Póv K ‡ i | G mgq wK ‡ kvix ‡ K Zviv avIqv K ‡ i | wK ‡ kvixi wPrKv ‡ i Avkcv ‡ ki † jvKRb GwM ‡ q G ‡ j al © YKvix I Zvi mn ‡ hvMxiv cvwj ‡ q hvq | NUbvi ciw ` b wfKwUg mLxcyi _vbvq nvweeyjøvn BwZnvm Ii ‡ d nvwee , Avwid Avn ‡ g ` , eveyj AvRv ` I Avwidzj Bmjvg AvKvk ‡ K Avmvwg K ‡ i gvgjv ` v ‡ qi K ‡ i | mLxcyi _vbvi fvicÖvß Kg © KZv † gvRv ‡ ¤ § j nK e ‡ jb , Avmvwg ai ‡ Z me © vZ ¥ K † Póv Pj ‡ Q | † Rjv QvÎjx ‡ Mi mvaviY m ¤ úv ` K BmwZqvK Avn ‡ g ` ivwRe Rvbvb , G ai ‡ bi GKwU NUbvi K_v wZwb ï ‡ b ‡ Qb | welqwU LwZ ‡ q † ` Lv n ‡ " Q | NUbv mwZ ¨ n ‡ j mvsMVwbKfv ‡ e Awfhy ³ ‡ ` i wei " ‡ × e ¨ e ¯ ' v † bqv n ‡ e | hy × vciv ‡ ai wePvi I QvÎjxM wb ‡ q Av ‡ jvPbv n ‡ Z cv ‡ i AvÕjx ‡ Mi Kvh © wbe © vnx msm ‡ ` i ˆeVK Ryev ‡ qi gvngy ` : hy × vciv ‡ ai wePvi Bmy ‡ Z RbgZ ˆZwi I QvÎjx ‡ Mi mv ¤ úÖwZK mwnsm Kg © KvÊ wb ‡ q Av ‡ jvPbv n ‡ Z cv ‡ i AvMvgx 16 RyjvB AvÕjx ‡ Mi Kvh © wbe © vnx msm ‡ ` i ˆeV ‡ K | cvkvcvwk AvÕjx ‡ Mi mvsMVwbK kw ³ Av ‡ iv evov ‡ bvi wel ‡ q Av ‡ jvPbv n ‡ e e ‡ j ` jwUi GKvwaK † R ¨ ô † bZv Rvwb ‡ q ‡ Qb | 16 RyjvB ïµevi we ‡ Kj 5Uvq cÖavbgš ¿ xi miKvwi evmfeb MYfe ‡ b AbywôZ n ‡ e ` jwUi † K › ` Öxq Kvh © wbe © vnx msm ‡ ` i mfv | AvÕjxM mfv ‡ bÎx I cÖavbgš ¿ x † kL nvwmbv G ‡ Z mfvcwZZ ¡ Ki ‡ eb | ¸ i " Z ¡ c ~ Y © © G ˆeV ‡ Ki G ‡ RÛv m ¤ ú ‡ K © AvÕjx ‡ Mi mvsMVwbK m ¤ úv ` K weGg † gvRv ‡ ¤ § j nK e ‡ jb , ` ‡ ji mvsMVwbK wfZ gReyZ Kiv I hy × vciv ‡ ai wePvi Bmy ‡ Z RbgZ ˆZwi Ki ‡ Z ` ‡ ji cÖwZwU _vbv , Dc ‡ Rjv , † Rjvq Kg © x Ges ewa © Z mfvi g ‡ Zv Kvh © µg † bqvi wel ‡ q ˆeV ‡ K Av ‡ jvPbv n ‡ e | Gme Kg © m - wP ‡ Z Kxfv ‡ e RbM ‡ Yi m ¤ ú " ³ Zv evov ‡ bv hvq † mB wel ‡ qI we ¯ ÍvwiZ Av ‡ jvPbv n ‡ e | G ‡ RÛvq bv _vK ‡ jI ` ‡ ji mn ‡ hvMx msMVb ¸ ‡ jvi KvDwÝ ‡ ji welqwUI ewa © Z mfvi ˆeV ‡ K D ‡ V Avmvi m ¤ ¢ vebv i ‡ q ‡ Q e ‡ j Rvbvb wZwb | Ievq ` yj Kv ‡ ` i ˆeV ‡ Ki Av ‡ jvP ¨ m ~ wP m ¤ ú ‡ K © e ‡ jb , QvÎjx ‡ Mi mv ¤ úÖwZK Kg © KvÊ , PÆMÖv ‡ g ` ‡ ji mvsMVwbK Ae ¯ ' v , hy × vciv ‡ ai wePvi I ` ‡ ji mvsMVwbK Kvh © µg g ~ j ¨ vq ‡ bi welq ¸ ‡ jv ˆeV ‡ K Av ‡ jvPbvi m ¤ ¢ vebv i ‡ q ‡ Q | ` ‡ ji ` ßi m ¤ úv ` K g " Yvj KvwšÍ ` vm ewa © Z mfvi G ‡ RÛv m ¤ ú ‡ K © Rvbvb , 15 AvM ÷ RvZxq † kvK w ` em I 21 AvM ‡ ÷ i fqven † MÖ ‡ bW nvgjv w ` e ‡ m AvÕjx ‡ Mi Kg © m ~ wP P ' ovšÍ Kiv I mn ‡ hvMx msMV ‡ bi Kg © m ~ wP wba © viYB ˆeV ‡ Ki g ~ j Av ‡ jvP ¨ welq | AvBb - k " • Ljv i ¶ vKvix evwnbxi Kvi ‡ YB moK ` yN © Ubv † iva Kiv hv ‡ " Q bv : AvBbgš ¿ x wniv ZvjyK ` vi : AvBb - k " • Ljv i ¶ vKvix evwnbxi m ` m ¨ ‡ ` i ` vwq ‡ Z ¡ Ae ‡ njvi Kvi ‡ YB moK ` yN © Ubv † iva Kiv m ¤ ¢ e n ‡ " Q bv e ‡ j Rvwb ‡ q ‡ Qb AvBbgš ¿ x e ¨ vwi ÷ vi kwdK Avn ‡ g ` | wZwb e ‡ jb , moK ` yN © Ubvi KviY wn ‡ m ‡ e Ifvi ‡ UwKs I Ifvi ‡ jvwWs ‡ K ` vqx Kiv n ‡ jI G wel ‡ q h_vh_ AvBb i ‡ q ‡ Q | A_P AvBb cÖ ‡ qvMKvix ms ¯ ' vq Kg © iZ e ¨ w ³ iv Gme Aciv ‡ ai Awf ‡ hv ‡ M AvUKK … Z ‡ ` i m ‡ ½ we ‡ kl mg ‡ SvZvq Mvwo ¸ ‡ jv † Q ‡ o † ` b | welqwU ¯ ^ ivó « gš ¿ Yvj ‡ qi ch © ‡ e ¶ Y Kiv DwPZ | XvKv Awdmvm © K ¬ ve wgjbvqZ ‡ b mvBd dvD ‡ Ûkb , d ¨ vwgwjR BDbvB ‡ UW G ‡ MBb ÷ † ivW Gw • ‡ W › U ( dyqviv ) I Awdmvm © K ¬ v ‡ ei † hŠ_ Av ‡ qvR ‡ b ÔmoK ` yN © Ubv cÖwZ ‡ iva : mvgvwRK , ivó « xq I AvBbMZfv ‡ e MÖnYxq c ` ‡ ¶ cÕ kxl © K GK † mwgbv ‡ i MZKvj wZwb Gme K_v e ‡ jb | gš ¿ x e ‡ jb , Î " wUc ~ Y © Mvwoi jvB ‡ mÝ † ` qvi † ¶ ‡ Î ïay Mvwoi gvwjK I PvjKB ` vqx bb , jvB ‡ mÝ cÖ ` vbKvix ms ¯ ' vi Kg © KZ © vivI ` vqx | moK ` yN © Ubv † iv ‡ a cÖ ‡ qvR ‡ b bZyb AvBb cÖYqb A_ev cÖPwjZ AvBb ms ‡ kvab Ki ‡ Z miKvi me © ` v cÖ ¯ ' Z Av ‡ Q | AvBbgš ¿ x e ‡ jb , AvBb cÖYqb Ki ‡ jB n ‡ e bv , Gi cÖ ‡ qv ‡ Mi h_vh_ e ¨ e ¯ ' v MÖnY Ki ‡ Z n ‡ e | GRb ¨ ¯ ^ ivó « gš ¿ Yvjq ‡ K f ' wgKv ivL ‡ Z n ‡ e | we ‡ kl AwZw_i e ³ ‡ e ¨ ¯ ^ ivó « cÖwZgš ¿ x A ¨ vW ‡ fv ‡ KU kvgmyj nK UzKz e ‡ jb , † hvMv ‡ hvM gš ¿ Yvjq , AvBb gš ¿ Yvjq I ¯ ^ ivó « gš ¿ Yvj ‡ qi g ‡ a ¨ AvšÍtgš ¿ Yvjq KwgwU MVb K ‡ i moK ` yN © Ubv cÖwZ ‡ iv ‡ a cÖ ‡ qvRbxq e ¨ e ¯ ' v wb ‡ Z n ‡ e | wZwb e ‡ jb , cÖPwjZ AvB ‡ b moK ` yN © Ubv † iva Kiv m ¤ ¢ e bq | GRb ¨ bZyb AvBb Ki ‡ Z n ‡ e Ges † m AvBb cÖ ‡ qv ‡ Mi † ¶ ‡ Î ¯ ^ ivó « gš ¿ Yvjq m ‡ Pó _vK ‡ e | gwš ¿ cwil ` mwPe I Awdmvm © K ¬ v ‡ ei † Pqvig ¨ vb Gg Avãyj AvwR ‡ Ri mfvcwZ ‡ Z ¡ † mwgbv ‡ i e ³ e ¨ iv ‡ LbÑ Zvivbv nvwjg Ggwc , ¯ ^ ivó « mwPe Avãyj † mvenvb wkK ` vi , cÖavbgš ¿ xi gyL ¨ mwPe † gv . Avãyj Kwig I dzqviv dvD ‡ Ûk ‡ bi AvnŸvqK GKivg Avn ‡ g ` | hyØvciva G eQ ‡ ii g ‡ a ¨ B wPwýZ hy × vcivax ‡ ` i wePv ‡ ii KvVMovq ` uvo Kiv ‡ bv n ‡ e Uv ½ vB ‡ j AvBb cÖwZgš ¿ x Gnmvbyj nK , Uv ½ vBj † _ ‡ K : AvBb , wePvi I msm ` welqK cÖwZgš ¿ x A ¨ vW . Kvgi " j Bmjvg e ‡ j ‡ Qb , † MÖßviK … Z Rvgvqv ‡ Zi kxl © † bZv ‡ ` i wei " ‡ × cÖv_wgKfv ‡ e hy × vciv ‡ ai cÖgvY UªvBeybv ‡ ji nv ‡ Z i ‡ q ‡ Q | Zv ‡ ` i ‡ K UªvBeybvj h_vmg ‡ q † MÖßvi † ` Lv ‡ Z cv ‡ i | G eQ ‡ ii g ‡ a ¨ B cÖ_ ‡ g wPwýZ hy × vcivax ‡ ` i wePv ‡ ii KvVMovq ` uvo Kiv ‡ bv n ‡ e | wZwb MZKvj kwbevi ` ycy ‡ i Uv ½ vBj † Rjv wkíKjv GKv ‡ Wwg wgjbvqZ ‡ b AvBb mnvqZv cÖ ` v ‡ b RbcÖwZwbwa ‡ ` i f ~ wgKv kxl © K † mwgbv ‡ i cÖavb AwZw_i e ³ e ¨ ivLwQ ‡ jb | AvBb cÖwZgš ¿ x e ‡ jb , wePviK ¯ ^ íZvi Kvi ‡ Y gvgjvi RU ˆZwi n ‡ " Q | miKvi AwZ ` ª " Z wePviK wb ‡ qvM w ` ‡ q gvgjv RU ` ~ i Ki ‡ e | GQvov wkMwMi miKvwi AvBbMZ mnvqZv bxwZgvjvi cwieZ © b Kiv n ‡ e | A ¯ ^ " Qj , mnvq m ¤ ^ jnxb , bvbv Kvi ‡ Y Amnvq wePvi cÖv_x © ‡ ` i AvBwb mnvqZv wbwðZ Ki ‡ Z cÖwZwU Dc ‡ Rjv I BDwbqb ch © v ‡ q KwgwU MVb Kiv n ‡ e | evsjv ‡ ` k wjM ¨ vj GBW mvwf © ‡ mm Uªv ÷ ( e ¬ v ÷ ) I gvbevwaKvi ev ¯ Íevqb ms ¯ ' vi mn ‡ hvwMZvq I RvZxq AvBbMZ mnvqZv ms ¯ ' vi Av ‡ qvR ‡ b † mwgbv ‡ i mfvcwZZ ¡ K ‡ ib Uv ½ vB ‡ ji † Rjv I ` vqiv RR † Mvjvg gZy © Rv gRyg ` vi | G e ³ e ¨ iv ‡ Lb wPd RywWwmqvj g ¨ vwR ‡ ÷ ªU † Lv › ` Kvi nvmvb † gv . wd ‡ ivR , RvZxq AvBbMZ mnvqZv ms ¯ ' vi † Pqvig ¨ vb Avwgbyj Bmjvg , cywjk mycvi wgRvbyi ingvb , e ¬ v ‡ ÷ i Dc - cwiPvjK dwi ` v BqvQwgb , † Rjv AvIqvgx jx ‡ Mi mvaviY m ¤ úv ` K dRjyi ingvb dvi " K , † K › ` ªxq hyejx ‡ Mi mvsMVwbK m ¤ úv ` K A ¨ vW ‡ fv ‡ KU gvgybyi ikx ` gvgyb cÖgyL | hy × vcivax ‡ ` i wePvi cÖwµqv fÊyj n ‡ Z † ` qv n ‡ e bv gvbeeÜ ‡ b † m ± i KgvÛviiv ` x ‡ bk ` vm : miKviwe ‡ ivax Av ‡ › ` vj ‡ bi bv ‡ g hy × vcivax ‡ ` i wePvi cÖwµqv fÊyj n ‡ Z † ` qv n ‡ e bv e ‡ j ` " p cÖZ ¨ q e ¨ ³ K ‡ i ‡ Qb † m ± i KgvÛvim † dviv ‡ gi † bZviv | wPwýZ I m ‡ › ` nfvRb hy × vcivax ‡ ` i Awej ‡ ¤ ^ † MÖßvi K ‡ i ` ª " Z wePvi m ¤ úbœ Kivi ` vwe ‡ Z MZKvj ivRavbxi BwÄwbqvm © Bbw ÷ wUD ‡ Ui mvg ‡ b gvbeeÜbKv ‡ j Zviv G cÖZ ¨ q e ¨ ³ K ‡ ib | G mgq e ³ e ¨ iv ‡ LbÑ † dviv ‡ gi mfvcwZ I cwiKíbvgš ¿ x GqvifvBm gvk © vj ( Ae . ) G ‡ K L › ` Kvi , wmwbqi mnmfvcwZ † gRi † Rbv ‡ ij ( Ae . ) † K Gg mwdDjøvn , † j . K ‡ b © j ( Ae . ) Avey Imgvb † PŠayix , mvaviY m ¤ úv ` K † j . † Rbv ‡ ij ( Ae . ) nvi " b Ai iwk ` cÖgyL | G Kg © m ~ wP † _ ‡ K AvMvgx 24 RyjvB mKvj 11Uv † _ ‡ K 12Uv ch © šÍ wefvMxq kn ‡ i Ges 6 AvM ÷ † Rjv kn ‡ i GKB mg ‡ q gvbeeÜb Kg © m ~ wP cvj ‡ bi † NvlYv † ` qv nq | Aa © kZ msMVb I † ` ‡ ki wewkó bvMwiKiv MZKvj G gvbeeÜb Kg © m ~ wPi cÖwZ msnwZ Rvwb ‡ q AskMÖnY K ‡ ib | wewkó bvMwiK ‡ ` i g ‡ a ¨ Dcw ¯ ' Z wQ ‡ jbÑ IqvK © vm © cvwU © i mfvcwZ iv ‡ k ` Lvb † gbb , Rvm ` mfvcwZ nvmvbyj nK Bby , evsjv ‡ ` ‡ ki KwgDwb ÷ cvwU © i mfvcwZ gbRyi " j Avnmvb Lvb , mw ¤ § wjZ Bmjvgx † RvU mfvcwZ nv ‡ dR gvIjvbv wRqvDj nvmvb , wn › ` y - † eŠ × - wLª ÷ vb HK ¨ cwil ‡ ` i mvaviY m ¤ úv ` K A ¨ vW ‡ fv ‡ KU ivbv ` vk ¸ ß cÖgyL | we Gb wc evi ‡ Wg nvmcvZv ‡ j AveŸvm ‡ K wb ‡ q cywjk - Kg © Pvix Uvbv ‡ nuPov nvwjg † gvnv ¤ § ` : weGbwci ¯ ' vqx KwgwUi m ` m ¨ I mv ‡ eK c ~ Z © gš ¿ x wgR © v AveŸvm ‡ K wb ‡ q MZKvj ` ycyi † _ ‡ K mÜ ¨ v ch © šÍ cywjk I nvmcvZvj KZ © " c ‡ ¶ i g ‡ a ¨ Uvbv ‡ nuPov n ‡ q ‡ Q | Amy ¯ ' AveŸvm ‡ K MZKvj ` ycy ‡ i cywjk Av ` vj ‡ Z wb ‡ q hvIqvi cÖ ¯ ' wZ ¯ ^ iƒc Beªvwng KvwW © qvK nvmcvZvj † _ ‡ K Zv ‡ K QvocÎ w ` ‡ q † ` q | G mgq wbKUvZ ¥ xqiv Zv ‡ K ¸ i " Zi Amy ¯ ' e ‡ j cybivq nvmcvZv ‡ j fwZ © i Av ‡ e ` b K ‡ ib | wKš ' cywjk Kg © KZ © vi wb ‡ ` © ‡ k Zv ‡ K Av ` vj ‡ Z nvwRi Kivi Rb ¨ iIqvbv w ` ‡ j evi ‡ Wg nvmcvZv ‡ ji EaŸ © Zb Kg © KZ © v ` ª " Z nvmcvZv ‡ j hvb | wZwb nvmcvZv ‡ ji 4_ © Zjvq wM ‡ q AveŸvm ‡ K cix ¶ v - wbix ¶ vi ci cybivq fwZ © K ‡ ib | Gevi AveŸvm ‡ K cvk © ¦ eZ © x evi ‡ Wg nvmcvZv ‡ ji 11Zjvq † Kwe ‡ b ivLv nq | d ‡ j ¸ i " Zi Amy ¯ ' Zvi mb ` † ` qvq Zv ‡ K mswkøó nvmcvZvj † _ ‡ K Av ` vj ‡ Z † bqv nqwb | eZ © gv ‡ b † mLv ‡ bB wPwKrmv wb ‡ " Qb wZwb | MZ 27 Ryb niZvj PjvKv ‡ j cywjk ivRvievM msjMœ wgR © v AveŸv ‡ mi evwo † _ ‡ K Zv ‡ K AvnZve ¯ ' vq † MÖßvi K ‡ i | evsjv ‡ ` k cÖkœcÎ duv ‡ mi NUbvq RwoZ ivNe ‡ evqvjiv , † nvZviv cjvZK wigv ‡ Û ¸ i " Z ¡ c ~ Y © Z_ ¨ w ` ‡ " Qb 8 Rb Avjx Avkivd , iscyi † _ ‡ K : iscy ‡ ii † emiKvwi we ‡ bv ` b † K › ` ª ÔwfbœRMZÕ - G PvÂj ¨ Ki miKvwi wk ¶ K wb ‡ qvM cix ¶ vq RvwjqvZP ‡ µi † MÖßviK … Z ‡ ` i wigv ‡ Û wRÁvmvev ` Ae ¨ vnZ i ‡ q ‡ Q | cywjk mycvi mv ‡ jn † gvnv ¤ § ` Zvbfxi MZKvj kwbevi we ‡ K ‡ j † cÖmweªwds ‡ q Rvwb ‡ q ‡ Qb , G RvwjqvwZi e ¨ vcv ‡ i wigv ‡ Û ¸ i " Z ¡ c ~ Y © Z_ ¨ cvIqv † M ‡ Q | Z_ ¨ vbyhvqx , cÖkœcÎ duv ‡ mi NUbvq eû ivNe ‡ evqvj RwoZ | cywjk cÖvß Z_ ¨ hvPvB K ‡ i † nvZv ‡ ` i † MÖßv ‡ i Awfhvb Pvjv ‡ " Q | cywjk Rvbvq , cÖkœcÎ duv ‡ mi NUbvq † MÖßvi 8 Rb wZbw ` ‡ bi wigv ‡ Û i ‡ q ‡ Qb | Zviv n ‡ jbÑ wewR † cÖ ‡ mi K ‡ ¤ úvwRUi GwUGg † gv ¯ Ídv , miKvwi wcÖw › Us † cÖ ‡ mi g ` ªY kvLvi Kg © Pvix nvwg ` yj nK Ii ‡ d † kL wRqv , cUzqvLvjx m ` i Dc ‡ Rjvi mnKvix wk ¶ v Kg © KZ © v Aveyj evkvi , XvKvi † ZuRMvI mv ‡ K © ‡ ji mgvR ‡ mev Kg © KZ © v wdiv ` yj Bmjvg , bxjdvgvixi wK ‡ kviMÄ gwnjv K ‡ j ‡ Ri Aa ¨ ¶ † gv ¯ ÍvwdRyi ingvb , cÖvBgvwi ¯ ‹ z ‡ ji wk ¶ K iwdKzj Bmjvg , gw ` bv † cÖ ‡ mi Kg © Pvix gvmyg wejøvn I wjUb P › ` ª ` vm | wigv ‡ Û wRÁvmvev ‡ ` Zviv cÖkœcÎ duvm K ‡ i mieivn Ges cÖ ‡ Z ¨ K cÖv_ © xi KvQ † _ ‡ K 5 jvL K ‡ i UvKv † bqvi welqwU ¯ ^ xKvi K ‡ ib | Gw ` ‡ K † cÖmweªwds ‡ q cywjk mycvi Rvbvb , GKwU cÖZviKPµ cÖvq 8 eQi † _ ‡ K G AcKg © K ‡ i Avm ‡ Q | Zv ‡ ` i m ‡ ½ XvKv Ges ¯ ' vbxq GKwU kw ³ kvjx wmwÛ ‡ KU RwoZ | Z ` ‡ šÍi LvwZ ‡ i GLbB Zv ‡ ` i bvg ejv hv ‡ " Q bv | Avkv KiwQ , wigv ‡ Û _vKv Avmvwg ‡ ` i KvQ † _ ‡ K Kxfv ‡ e GB AcKg © nq , Kxfv ‡ e † bUIqvwK © s nq Zv † ei n ‡ q Avm ‡ e | wZwb Av ‡ iv e ‡ jb , Z ` ‡ šÍ Av ‡ iv † ek wKQz bvg cvIqv † M ‡ Q | Zv ‡ ` iI † MÖßvi Kiv n ‡ e | ÔwfbœRMZÕ - Gi gvwjKc ¶ ‡ K Avgiv m ‡ › ` ‡ ni ZvwjKvq † i ‡ LwQ | Zv ‡ ` i wei " ‡ × RwoZ _vKvi cÖgvY cvIqv † M ‡ j h_vh_ e ¨ e ¯ ' v MÖnY Kiv n ‡ e | hZeo ivNe ‡ evqvjB RwoZ _vKzK wKbv Zviv † KD † invB cv ‡ e bv | wZwb e ‡ jb , Av ‡ iv 2 / 3 Rb ‡ K wigv ‡ Û † bqv n ‡ Z cv ‡ i | wewR † cÖ ‡ mi K ‡ ¤ úvwRUi kwn ` yj n ‡ Ki † ZRMuvI ‡ qi evwo ‡ ZI Awfhvb Pvjv ‡ bv n ‡ q ‡ Q | Z ‡ e Zv ‡ K cvIqv hvqwb | Gw ` ‡ K ïµevi ivZ 10Uvq Gmwci nji " ‡ g GK † cÖmweªwds ‡ q nvwRi Kiv nq miKvwi Kg © Pvix GwUGg † gv ¯ Ídv I nvwg ` yj nK Ii ‡ d † kL wRqv ‡ K | † cÖmweªwdsKv ‡ j Zviv NUbvi m ‡ ½ RwoZ _vKvi K_v ¯ ^ xKvi K ‡ i Rvbvb , wewR † cÖ ‡ mi K ‡ ¤ úvwRUi kwn ` yj Bmjv ‡ gi KvQ † _ ‡ K cÖkœcÎ wK ‡ b Zv iscy ‡ ii cvMjvcx ‡ ii AvwZKzj Bmjv ‡ gi Kv ‡ Q 25 jvL UvKvq wewµ K ‡ ib | Gici Zviv mviv ‡ ` ‡ ki wewfbœ ¯ ' v ‡ b G ‡ R › U ‡ ` i gva ¨ ‡ g PvKwi cÖv_ © x ‡ ` i msMÖn K ‡ i 4 † _ ‡ K 5 jvL UvKv K ‡ i K › Uªv ‡ ± i gva ¨ ‡ g cÖkœcÎ mieivnmn cÖv_ © x ‡ ` i cÖkœ mwjDkb Kivi e ¨ e ¯ ' v K ‡ i | Zvi Av ‡ iv Rvbvb , mviv ‡ ` k † _ ‡ K cÖvq 300 cix ¶ v_ © x ‡ K msMÖn K ‡ i Ôwfbœ RMZÕ - Gi wWªg c ¨ v ‡ j ‡ mi cÖ ‡ Z ¨ KwU i " g I AwW ‡ Uvwiqvg cÖvq jvL UvKv w ` ‡ q fvov wb ‡ q † mLv ‡ b K › Uªv ‡ ± i 1 † _ ‡ K 3 jvL UvKv ch © šÍ AwMÖg wb ‡ q e ¨ vP wm ‡ ÷ ‡ g cÖkœc ‡ Îi mwjDkb K ¬ vm Kiv ‡ bv nw " Qj | GRb ¨ Zviv GKwU DbœZgv ‡ bi d ‡ Uv ÷ ¨ vU † gwkbI emvb † mLv ‡ b | wWªg c ¨ v ‡ jm eywKs ` vbKvix cvMjvcxi - wmI evRvi GjvKvi AvwZKzj Bmjvgmn Ab ¨ iv cjvZK i ‡ q ‡ Qb | GjvKvevmx Rvwb ‡ q ‡ Qb , AvwZKz ‡ ji Ab ¨ Zg mn ‡ hvMx wmI evRvi GjvKvi g " Z Rv ‡ Ki † nv ‡ m ‡ bi cyÎ Avãyi iv ¾ vK IB gvgjvi 13 b ¤ ^ i Avmvwg n ‡ jI Zv ‡ K wigv ‡ Û † bqv nqwb | cywjk m ~ Î I GjvKvevmxi Awf ‡ hvM † _ ‡ K Rvbv hvq , † eov ‡ Z Avmv Ges bvbv Abyôv ‡ bi bv ‡ g wfbœRM ‡ Z ¯ ‹ zj K ‡ jRmn wewfbœ eqmx bvix - cyi " l † mLv ‡ b † gvUv As ‡ Ki UvKv w ` ‡ q i " g fvov wb ‡ q bvbv AcKg © K ‡ i Avm ‡ Q | GjvKvevmx Av ‡ iv Awf ‡ hvM K ‡ i , cvwb Dbœqb † ev ‡ W © i Rwg ` Lj K ‡ i ‡ Q wfbœRMZ KZ © " c ¶ | MZKvj ïµevi ` ycy ‡ i wmI evRv ‡ i GjvKvevmx AvwZKzj ‡ K † MÖßvi Ges iv ¾ vK ‡ K wigv ‡ Û wb ‡ q wRÁvmvev ‡ ` i ` vwe ‡ Z we ‡ ¶ vf wgwQj K ‡ i ‡ Q | Gi Av ‡ M ïµevi iv ‡ Z QvÎjxM † bZvKg © xiv wfbœRM ‡ Zi gvwjK ‡ K weGbwc - Rvgvqv ‡ Zi Pi I miKv ‡ ii fvegywZ © ¶ zYœKvix Ges cÖkœcÎ duv ‡ mi Ab ¨ Zg † nvZv ` vwe K ‡ i Zv ‡ K † MÖßv ‡ ii ` vwe ‡ Z we ‡ ¶ vf wgwQj I mgv ‡ ek K ‡ i ‡ Q | † cÖmK ¬ v ‡ ei mvgb † _ ‡ K wgwQjwU bMixi wewfbœ moK cÖ ` w ¶ Y † k ‡ l mgv ‡ e ‡ k wgwjZ nq | mgve ‡ k e ³ e ¨ iv ‡ Lb † Rjv QvÎjx ‡ Mi mfvcwZ abwRZ † Nvl Zvcmmn wewfbœ † bZviv | wmI evRvi GjvKvi K ‡ qKRb Rvbvb , Avãyi iv ¾ vK cÖZviKP ‡ µi Ab ¨ Zg † nvZv Ges MZ 5 eQ ‡ ii e ¨ eav ‡ b wZwb wmI evRvi GjvKvq 4wU GKZjv I GKwU 4 Zjv evwo K ‡ i ‡ Qb | GQvovI nvwg ` yj nK Ii ‡ d † kL wRqv iscyi kn ‡ ii gyjv ‡ Uvj GjvKvi evwm › ` v | Kg © Pvix n ‡ qI wZwb K ‡ qK † KvwU UvKvi gvwjK e ‡ j Rvbvq GjvKvevmx | D ‡ jøL ¨ , e " n ¯ úwZevi we ‡ K ‡ j miKvwi gva ¨ wgK mnKvix wk ¶ K wb ‡ qvM cix ¶ vi cÖkœcÎ w ` ‡ q ÔwfbœRMZÕ - Gi wWªg c ¨ v ‡ j ‡ m Kbdv ‡ iÝ Kivi mgq cywjk cÖZviKP ‡ µi 8 † nvZvmn 168 Rb ‡ K † MÖßvi K ‡ i |
Download XML • Download text